নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একুশ ছিল বাংগালী জাতীয়তাবাদের সুচনা, ফলের জন্য অপেক্ষা

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪



আমাদের পুর্বসুরীরা উর্দুর অনুপ্রবেশ ঠেকায়েছিলন ঠিক মতো, তাঁদেরকে ধন্যবাদ; তাঁদের সেইদিনের প্রতিবাদ বাংগালী জাতীয়তাবাদের বীজ বপন করেছিলো, আমরা আলাদা জাতি, আমাদের নিজস্ব ভাবনা, নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব পথ আছে; স্বাধীন বাংলাদেশ তারই ফসল। ১৯৫২ সালে যাঁরা ঢাকা ইউনিভার্সিটি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা কলেজে ছিলেন, তাঁরা ততকালীন সময়ের শিক্ষিত পরিবারের লোকজন ছিলেন, সেই সময়ে সাধারণ পরিবারের লোকজন অত উঁচুতে ছিলো না বললেই চলে।

'৫১ সালের আন্দোলনকারীরা ১৯৭১ সালের মাঝে দেশের প্রশাসনে বড় বড় পদে ছিলেন, এদের কেহই বড় কোন অবদানের জন্য তেমন পরিচয় লাভ করেননি। জামাতীরা দাবী করে যে, ভাষা আন্দোলনে জামাতের আমীর গোলাম আজমেরও অবদান ছিলো; মুক্তিযুদ্ধে উনার মিলিশিয়া বাহিনীই মানব ইতিহাসের এক বৃহত্তম গণহত্যা চালায়।

বায়ান্ন সালের আন্দোলনকারীরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মোটামুটি অংশ নেননি প্রত্যক্ষভাবে; উনাদের ভাষা আন্দোলনে উজ্বীবিত হয়ে, কমশিক্ষিত ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, আনসার, চাষীর ছেলে ও ছাত্ররা যুদ্ধ করে জাতিকে মুক্ত করেছেন।

বিভিন্ন সময়ে, 'ভাষা সৈনিকদের' বক্তব্য শোনার সুযোগ হয়েছিল; উনাদের বক্তব্যে থাকতো মিলিছেের বর্ণনা, ১৯৫২ সালে পুলিশের গুলির দৃশ্যপট, ছাত্রদের ভুমিকা, সরকারের ভুমিকা, পাকিস্তানীদের অহমিকার কথা। ভাষা আন্দোলনের পর, জাতীর জন্য এই আন্দোলনকারীদের ভুমিকা নিয়ে কথা বলতে আমি শুনিনি; কারণ, আন্দোলনের পর, উনাদের যে আরো ভুমিকা রাখার কথা, সেটা উনারা অনুধাবণ করেননি। আজকাল, কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কথা বলতে দিলে, উনি যুদ্ধের বর্ণনা দেন মাত্র, যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে উনার অবদানের কথা বলতে পারেন না; কারণ, যুদ্ধের পর উনার অবদান নেই, অবদান রাখার জন্য সুযোগ উনাকে দেয়নি কোন সরকার। যে সামান্য পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধা বড় বড় পদে ছিলেন, তাঁরা পার্টিকে মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে বড় মনে করতেন; তাদের কাজে কর্মে পার্টির পরিচয়, পদচিহ্ন রেখেছেন।

ভাষা আন্দোলনের বড় অবদান হতে পারতো, জাতির প্রতিটি সন্তান যেন বাংলায় পড়তে, লিখতে ও শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারেন; সেটি আন্দোলনের বেগে ঘটেনি; একজন অশিক্ষিত বাংগালী নিজের আন্চলিক ভাষায় কথা বলেন, তিনি আসল বাংলা বলতে পারেন না; তিনি কোনদিন কবি নজরুল বা রবী ঠাকুরের লেখা একটি লাইন পড়ার সুযোগ পাননি। আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, ৪৬ বছর পর, ৪৫% মানুষ 'বাংলাদেশ' শব্দটি বাংলায় লিখতে পারেন না।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

পলাশমিঞা বলেছেন: পড়তে শুরু করেছি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো এমন কিছু না, এগুলো নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

পলাশমিঞা বলেছেন: আপনাকে আমি সবসময় সম্মানই করব। আপনি এমন সব বিষয় বিশদ বিশ্লেষণ করেন যা পড়ে হতভম্ব হতে হয়। আক্কেল দাঁতে কট করে ওঠে।

"আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি, ৪৬ বছর পর, ৪৫% মানুষ 'বাংলাদেশ' শব্দটি বাংলায় লিখতে পারেন না।"

শতভাগ সত্য কথা। আমি শুধু কল্পগল্প লেখি। আর কিচ্ছু লেখতে পারি না কারণ, সত্য বার বার বিকৃত হয়েছে। এখন আর কিছু বিশ্বাস করতে চাই না। কারণ যাঁদেরকে আমরা বিশ্বাস করি বা করতাম তাঁরা বার বার আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

বাংলা দেশে অনাথ অসহায় থাকার কথা নয়। কিন্তু বেশির ভাগ লোক উপোস থাকে। এসবের জন্য দায়ি কে?
আমাকে বকে লাভ হবে না। সকলে মিলে খালে পড়েছি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি তেমন বিশ্লষণ করছি না, যা সাধারণ চোখে দেখা যায়, সেটা বলার চেস্টা করছি।

আমরা চলমান বিশ্ব থেকে কিছু শিখার চেস্টা করছি না; জাপান, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, ভারত কিভাবে ভালো করছে, সেটা নিয়ে ভাবছি না।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পলাশমিঞা বলেছেন: জি, আপনি সত্য বলেছেন। আপনার সাথে মন্তব্য বিনিময় হলে আমি মন খুলে লেখি। ওরা এখনও শুধু নিজের জন্য চিন্তা করে। নিজেরা ধনি হতে চায়। অন্যের সম্পদ কেড়ে নিজে বিত্তশালী হওয়ার জন্য বেপরোয়া এবং মরিয়া। সমস্যা হলো বুভুক্ষার দল দেশকে দলখ করছে। তাদের পেট কবে ভরবে তা এক মাত্র আল্লাহ ভালো জানেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকে যারা দেশ চালাচ্ছে, কালকে কারো নাম ২ দিনের জন্যও থাকবে না, বাতাসে মিশে যাবে।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নাগরিক কবি বলেছেন: গোলাম আযমের নাম আমি অনেক জায়গায়, অনেক আগেও পড়েছি। এখন নামটি প্রশ্নবিদ্ধ। আপনার কাছে অনুরোধ করবো যথাযথ তথ্য দিয়ে, আমার উপকার করেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিজেও বুজি না কে সত্য বলছে, কে মিথ্যে বলছে? আমরাতো সত্য মিথ্যের খেলায় জড়িয়ে আছি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রসিদ্ধ ব্যক্তিরা জীবনে অনেক কাজ করেন, শুধু ২/১টি কাজের জন্য উনারা প্রসিদ্ধ হয়ে থাকেন; গোলাম আজম প্রসিদ্ধ হয়েছে পাকী বাহিনীকে ৫১ হাজার সদস্যের রাজাকার ও আল বদর বাহিনী দিয়ে, যারা ছিল এদেশের আবর্জনা ও জল্লাদ। রাজাকার ও আল বদর না গঠিত হলে, পাকিরা শহরগুলোতে থাকতো, ৩ মাসে পালিয়ে যেতো।

উহার বিষয়ে কোন তথ্য আমার কাছে নেই; তবে, ১৯৫২ সালে, উহা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ছিলো।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসল কথাগুলো আপনার কাছ থেকেই জানতে পারি। এর জন্যই আপনাকে ভালো লাগে আমার। আমরা মনে হয় ভাষার প্রতি ঠিকঠাক যত্নশীল হতে পারিনি। তাই এখনও বাংলা ভাষা নিয়ে মাঝেমধ্যে বেহাল সমালোচনা দেখতে হয়।

আসল কথা হচ্ছে, সবাই মঞ্চে বক্তব্য দিয়েই তৃপ্তি পায়, কিন্তু বক্তব্যের বিষয়বস্তু সমাজের মধ্যে খুঁজে দেখে না।

আপনার আলোচনায় ভালো লাগা রইল।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের ভাষার দাম আছে, বিশ্বে স্হান আছে; সমস্যা হলো, মানুষকে শিখার সুযোগ থেকে বন্চিত করা হচ্ছে; মানুষের ১ম মৌলিক অধিকার শিক্ষা।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,



"ভাষা আন্দোলনের বড় অবদান হতে পারতো, জাতির প্রতিটি সন্তান যেন বাংলায় পড়তে, লিখতে ও শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারেন ...................................." কিন্তু হয়নি । এখন "বাংলিশ" এ এসে ঠেকেছে প্রায় গোটা জাতি । সুশীলরা আবার ফতোয়া দিয়েছেন , সাহিত্য জীবন থেকে নেয়া বলে সব সময় সবখানে বানের জলের লাহান আঞ্চলিক ভাষার জোয়ার ওঠাই নাকি আধুনিকতা । এ কারনেই শুদ্ধ বাংলার প্রচলন প্রায় উঠেই গেছে ।
হায়রে...................

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুদ্ধ বাংলা হলো "বাংলা ভাষা"; আন্চলিক বাংলা হলো ভাষার অশিক্ষিত ভার্সন। আমাদের ভাষার সুশীল ছিলেন ড: শহীদুল্লাহ, প্রফেসর ইব্রাহিম খাঁ, সৈয়দ মুজতবা আলী; আমরা উনাদের অনুসরণ করবো।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

সারা দিন নানা যায়গায় একুশে ফেবরুয়ারী আয়োজনের তোরজোর দেখিয়া মনে হইতেছে, আমরা যা বলি বা করি তা নিজের ইচ্ছায় করি বা বলি মনে করিলে ভূল করিব, সবই করিতেছি নিয়ম রক্ষার্থে বা নিয়ম পালন করিতেছি মাত্র। নিয়ম পালনের এই অস্থিরতায় সৃষ্টি হইয়াছে এ শুন্যতার, অন্তত আমি শুন্যতা অনুভব করিতেছি, শুধুই মনে হইতেছে কি যেন একটা ছিল.......।

ভাষা আন্দলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা....।


২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


শহীদদের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

সময়ের সাথে উদ্দেশ্য আদর্শ বদলাতে পারেননি জাতি, চলছে গড্ডলিকা

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪

টুনটুনি০৪ বলেছেন: (৪৬ বছর পর, ৪৫% মানুষ 'বাংলাদেশ' শব্দটি বাংলায় লিখতে পারেন না। ) বিষয়টি দুঃখ জনক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার, শিক্ষামন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের কোন দু:খ নেই; তারা বাংলাদেশ লিখতে জানে নিজে; বেকুবেরা নিজের বাহিরে কাউকে বুঝে না।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৮

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

আমাকে হয়ত রতিগ্রস্থ ভাবিতে পারেন, তবে শিক্ষিত সমাজের ২১শে ফেব্রুয়ারী আয়োজনের কর্মকান্ড দেখিয়া মনে হইতেছে যে বাঙালী জাতিকে পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞান করা হইতেছে, অর্থাৎ জ্ঞানের এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হইতেছে। মানুষকে জ্ঞানের এলাকায় প্রবেশ নিষেধ একেক জায়গায় একেক রকম চেহারায় করা হইতেছে ।

আজকে দিনের বেলায় দেখছিলাম যে ২১শে ফেব্রুয়ারী উজ্জাপন আয়োজন করতে রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ভির, দূরে গাছগাছালি চোখে পরিতেছে, মনে মনে ভাবছিলাম এই কয়টি গাছের কথা ছাড়িয়া দিলে, এইখানে লোকজন ঠিক কি কাজে ব্যস্ত তাহা একশতভাগ পরিস্কার বুঝা যইতেছে না.....

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



দিনটিকে প্রতিবাদের দিন হিসেবে করার কথা ছিলো, কিন্তু এখন এমনিতেই পালিত হচ্ছে।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তাঁরা ততকালীন সময়ের শিক্ষিত পরিবারের লোকজন ছিলেন, সেই সময়ে সাধারণ পরিবারের লোকজন অত উঁচুতে ছিলো না বললেই চলে। আপনার এইরকম কথাগুলি সত্যি না এবং বেখাপ্পাই লাগে।।
আপনি হয়তো তৎকালীন নেতৃবৃন্দদের আলোকেই একথা বলেছেন!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের গ্রাম থেকে প্রথম মেট্রিক পাশ করেছেন ১৯৬২ সালে ১ জন; উত্তর পাশের গ্রাম থেকেও সেই বছর; দক্ষিণ পাশের গ্রাম থেকেও ১৯৬২ সালে; পশ্চিম পাশের গ্রাম থেকে পাশ করেছেন ১৯৬৮ সালে; এবং প্রতি গ্রাম থেকে ১ জন করেই।

আমরাই তো সাধারণ মানুষ।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।
আমাদের ভাষা নিয়ে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে । আমরা কি ভাষার উন্নয়ন চাই, না কথার উন্নয়ন চাই , নাকি এর এর বহুল প্রয়োগ চাই সে নিয়ে একটি মতানৈক্য প্রয়োজন ।

বাংলা ভাষার বর্ণ সংখ্যা নিয়ে আমরা কি কিছু ভাবছি ? আপনার পোন্টে একুশের সাত সকালে তাই এটা নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই এই মন্তব্যের ঘরে ।

বর্তমানে বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত বর্ণ সংখা ৫০ টি ( ৎ ংঃঁ সহ ) । এর মধ্যে প্রায় সমার্থক ও সম উচ্চারণ সম্পন্ন শব্দ গুলি নিম্ম রূপ :
১) ই , ঈ = ২ টি
২) উ ঊ = ২ টি
৩) গ ঘ= ২ টি
৪) জ ঝ য = ৩ টি
৫) ড ঢ = ২ টি
৬) দ ধ = ২ টি
৭) ন ণ = ২ টি
৮) ব ভ = ২ টি
৯) শ ষ স = ৩ টি
১০) র ড় ঢ় = ৩ টি
মোট = ২৩ টি

প্রায় সমার্থক ও সম উচ্চাণ মূলক শব্দ সংখা দেখা যায় ২৩ টি, এই সমার্থক সম উচ্চাণ মূলক শব্দ গুলিকে কমিয়ে একটি বর্ণে রুপান্তর করে সহজেই ১৩ বর্ণ কমানো যায় । এর ফলে বাংলা ভাষায় বর্ণ সংখ্যা কমে ৩৭ টি হতে পারে । বাংলা ভাষার বর্ণ সংখা কমানো গেলে এর লিখন ও টাইপিং গতি ধারণাতীত ভাবে বৃদ্ধি পাবে । ছাত্র ছাত্রীগনসহ দেশের অগনিত জনতা মুক্তি পাবে বানান ভুলের অভিশাপ থেকে । অন্যের লিখায় বানান ভূল ধরার জন্য কিছু লোকের কাজও কমে যাবে, কারো লিখায় বানান ভুল দেখার পরিমান অনেক কমে যাবে !!! কারো লিখার প্রুফ রিডিং এর মত ঝক্কি যামেলার কাজও কিছুটা তাঁদের কমে যাবে !!! বর্ণ জনিত বানান প্রমাদের কারণে লিখক পাঠক উভয়েরই বিব্রত হওয়ার পরিমান কমে যাবে !!! বিষয়টা সকলের জন্য কতই না ভাল হয় !!!! একটি শব্দে বানানটি কেন ভূল তার ব্যকরণ সন্মত সাইনটিফিক ব্যাখা কেরো কি দিতে পারবে । ণত্ব সত্ব সেতো শত বছরের পুরাতন, এই বিধানের হতে কি পারেনা কোন পরিবর্তন , আধুনিক লিখন ডিভাইস ( ওয়ার্ড প্রসেসিং ইন কমপিউটার , মোবাইল ইত্যাদি) প্রতিদিনই হচ্ছে অআপডেটেড , অথচস বাংলা শব্দ দিয়ে শব্দ গঠন এখনো রয়ে গেছে শত বছর আগের ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ব্যকরণের মধ্যেই সীমিত ।

যাহোক, যে কথা বলা হচ্ছিল বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত অপরাপর শব্দের বর্ণ থেকে শ্রোতা বা পাঠক ঠিকই বুজে নিতে পারবে বক্তব্যের বিষয় বস্তু কিংবা বক্তার মনের ভাব । এজন্য শব্দে সমার্থক বর্ণ প্রয়োগই অধিক গুরুত্বপুর্ণ , যেমন পাখী কে পাখি লিখলে ঠিকই বুজা যায় যে এটা দিয়ে পাখীই বুঝানো হয়েছে । কবি গুরু রবিদ্রনাথ ঠাকুর তার খাচার পাখি কবিতায় পাখী কে পাখি লিখেছেন । ভাবার্থ বুজতে কারো কোন অসুবিধা হয়না ।
ইংরেজী ভাষায় but , put , last ,lust , push bush , এরকম অনেক শব্দেই একই বর্ণ ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম উচ্চারণ বা অর্থ বুঝানো হয়ে থাকে । ফলে মাত্র ২৬ টি বর্ণমালা নিয়ে ইংরেজী এখন বিশ্বের অ্ন্যতম সেরা ভাষা । বাক্যের মধ্যে শব্দের প্রয়োগ অনুযায়ী বিভিন্ন অর্থ বুজানোর জন্য একই বর্ণ প্রয়োগ করা হয় সফল ভাবে ।

ভাষা একটি সতত পরিবর্তনশীল বিষয় । যে ভাষা যত গ্রহণ ও বর্জন করতে পারে সে ভাষা ততই সমৃদ্ধ ও উন্নত হয় । সংস্কৃত ভাষা একসময় খুবই উন্নত ও সমৃদ্ধ ছিল , কিন্ত রক্ষশীল এই ভাষাটি কিছু গ্রহণ করেনি এবং বর্জনও করেনি । ফলে কালের প্রবাহে এ ভাষাটি আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে । তবে আশার কথা আমাদের বাংলা সহজেই গ্রহণ ও বর্জন করতে পারে। যেমন ঌ ( লি ) বর্ণটির ব্যবহার একেবারেই উঠে গেছে বলা যায় । তাই বাংলা ভাষার আরো সমৃদ্ধির জন্য, আমাদের ভাষার বর্ণ উন্নয়নের বিষয়ে ভাষা বিজ্ঞানিদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করি । ভাষার নতুন নতুন বর্ণ এমনি এমনি মাটি ফোড়ে বেরিয়ে আসেনি, কালের প্রবাহে প্রয়োজনের তাগিদে যেমনি ভাবে বর্ণমালার উৎপত্তি হয়েছে তেমনিভাবে একটি বর্ণের সাথে আর একটি বর্ণ মিলে মিষে আর একটি সুন্দর ও বহুমাত্রিক উচ্চারণ ক্ষমতার অধিকারী বর্ণ হিসাবে আবির্ভুত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় ।

আমার প্রস্তাবনাটি শুধুমাত্র একটি ধারণা পত্র । তবে কাজটি খুব সহজ নয় । প্রথমত রক্ষনশীলতা, সর্বোপরি উচ্চারণ ও ভাব প্রকাশের ক্ষেত্রে জটিলতা ।
তবে এটা ইচ্ছা করলেই কাটিয়ে উঠা যায় ।
যেমন কিছুদিন পুর্বে ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় বাসের ভিতর দেয়ালে নিম্মে বর্ণিত বাক্য ভুল বর্ণ ব্যবহার লক্ষ করেছিলাম :
বদ্র ব্যবহারে ভংশের পরিচয় , যা আসলে হবে ‘ভদ্র ব্যবহারে বংশের পরিচয়’ ।

ভুল বর্ণ ব্যবহার কিংবা বর্ণ পরিবর্তনের পরেও কিন্তু এর মর্মার্থ বুজতে কারো কোন অসুবিধা হয়নি । যদিও এটা বর্তমান প্রচলিত বর্ণ প্রয়োগ প্রেক্ষিতে কটু ও সুশ্রবনীয় ছিলনা । তথাপি শব্দের মধ্যে বর্ণের এরূপ ভুল প্রয়োগে আমার কিংবা অপরাপর যাত্রীদের ব্যবহারে কোন পরিবর্তন হয়নি । বাস চালক অথবা হেলপারের সাথেও কেও অভদ্র আচরণ করেন নি । একটি কথাই বার বার মনে হয়েছে শব্দের মধ্যে বর্ণটিই বড় কথা নয় ভাবটিই বড় কথা । তাই মনে হলো বাংলা ভাষা থেকে কিছু সমার্থক ও সম উচ্চারণ সম্পন্ন শব্দাবলী কমিয়ে বর্ণ সংখ্যা সহজেই কমানো যায় । বাংলা সাহিত্যের লিখন , পঠন ও সাধারণ প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এখন থেকেই এর পরীক্ষামূলক একট প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে ।

এখানে মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো বর্ণ যাই থাকুক না কেন , উচ্চারণ যেমনই হোক না কেন বাক্যটির মর্মবাণি শ্রুতা ঠিকই বুজে নিবেন দীঘ্র দিনের শুনার, বলার ও দেখার অভ্যাস সহ বাক্যটির মধ্যে ব্যবহৃত সহ- শব্দের অন্তরনিহীত সহজাত অর্থ থেকে ।
ভাষা হলো একের মনের ভাব অপরের কাছে প্রকাশ করার মাধ্যম । মোট কথা মনের ভাব অপরের নিকট প্রকাশ করতে পারাটাই আসল লক্ষ্য । পাখি কিচির মিচির করে নীজের মনের ভাব সগোত্রিওদের জনান দেয় , এবং সেমত আচরণ করে , তাদের কোন ব্যকরনের ধার ধারতে হয়না , তবে হয়তা তাদের ভাষার একটি ব্যকরণ আছে যা আমাদের ভাষার ব্যকরণ থেকেও হয়তবা অনেক বেশী উন্নত এবং আমরা তা জানিনা । যাহোক মায়ের পেটের ভাষা কিংবা যুগের পর যুগ, শতাব্দির পর শতাব্দি থেকে শুনে আসা সমার্থক ও সগোত্রিয় উচ্চারিত শব্দের সঠিক অর্থ বুজতে খুব বেশী একটি বেগ পেতে হয়না । জানা শব্দের মোটামুটি কাছাকাছি উচ্চারণ শুনা গেলে এবং উচ্চারিত বাক্যটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি ধারনা জম্মে গেলে শব্দে বাবহৃত বর্ণ খুব বেশী একটি প্রভাব ফেলেনা ।

কুমিল্লা থেকে ‘ঢাকায় বাসে এসেছেন’ না লিখে কেও যদি ‘ঢাকায় ভাসে এছেছেন’ লিখে তাহলে এটা সহজেই মনে হবেনা যে তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকায় পানিতে ভাসতে ভাসতে এসেছেন । প্রাথমিক ভাবে একটু বিভ্রান্ত হলেও তার সাথে পুর্বের কথোপকথন এবং বক্তার পরবর্তী কোন বাক্য থেকেই ভ্রান্তি দুর হয়ে যাবে । এমনি ভাবে বাক্যে ব্যবহৃত শব্দে অন্তর্ভুক্ত বর্ণ থেকেও সঠিক উচ্চারণ ও অর্থ বুঝা যাবে । যেমন ইংরেজী শব্দ but put থেকে বুঝা যায় । b p দুটিই consonant , নিয়ম অনুযায়ী উচ্চারণ হওয়া উচিত বাট পাট কিন্তু তা হচ্ছেনা, বাক্যে শব্দ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এবং conventional উচ্চারণ বিধি থাকার কারণে । তাই চলার পথে বাসে বসে এটাকে বাস , বাছ, বাঁশ, বাষ ভাস, ভাষ, ভাশ, ভাছ যা কিছুই বলিনা কেন এটাকে সকলই বাস বলেই ধরে নিবে । লিখার বেলাতেও তাই হবে । তবে বর্ণ কমানো এবং একে সকলের কাছে বোধগম্য ও গ্রহণযোগ্য় করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হবে ।

যাহোক, এ বিষয়ে সকলের সুচিন্তিত গঠনমূলক মতামত বাংলা ভাষার বর্ণমালা উন্নয়নে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যায় ।

ধন্যবাদ , একুশ নিয়ে সুন্দর পোষ্টটির জন্য । তবে আমার প্রস্তাবটাও একটু বিবেচনা করে দেখবেন, বাংলা ভাষা হতে বর্ণ সংখ্যা কমানোর কোন সুযোগ আছে কিনা ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বানান ভুল কমানোর জন্য বেশ মৌলিক ভাবনা।

আমাদের ভাষায়, ইংরেজী, স্পেনিশ, জার্মান ও ফরাসী ভাষা থেকে বর্ণ বেশী; কয়েকটা কমানো সম্ভব।
বেশী কমানো সম্ভব নয়, আপনি নিজেই বলেছেন যে, 'উচ্চারণ' সমস্যা হবে।

বাংলা একাডেমীকে আপনার ভাবনা জানিয়ে দেখেন, ওরা কি ভাবে!

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যারা দেশের জন্য কাজ করে তারা ক্ষমতার জন্য চিন্তা করে না। আবার তারা যদি রাজনীতি করতে চায় তাহলে তাদের দল ও সমর্থক দুই দিক থেকেই অবহেলার চোখে দেখা হয়। যে কারণে, ভাষা সৈনিক কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমতায় পাওয়া যায় না। এটা রাজনৈতিক নেতাদের চতুরতাও বলা যেতে পারে...

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভাষা সৈনিকরা খুবই বড় বড় পদে কাজ করেছেন; ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ঢাকা ইউনিভার্সিটি ও মেডিকেলের লোকেরা সব উপরের পদে ছিলেন; কিন্তু উনারা সাধারণ মানুষের পড়ালেখা পছন্দ করতেন না।

আওয়ামী লীগ অকারণ ভয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের যদি সাথে রাখতেন, শেখ ও তাজুদ্দিন সাহেবকে কেহ এভাবে হত্যা করতে পারতো না। সঠিকভাবে ভাবলে, মুক্তি যোদ্ধারাই দেশ চালানোর কথা ছিল।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

নাগরিক কবি বলেছেন: আপনারা প্রবীণ। আপনারা যদি আমাদের না শিখান আমরা নবীন রা শিখবো কিভাবে? আর আমরাই বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কি শিক্ষা দিব??

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক কিছুই সমাজ থেকে শিখতে হয়; আবার কিছু কিছু বিষয় নতুন জেনারেশনকে আবিস্কার করতে হয়।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং ডঃ এম এ আলীর মন্তব্য দু’টো নিয়েই ব্যাপক কাজ করা দরকার। দেশ ও জাতির উন্নয়নে দু’টোই গুরুত্ব পাওয়ার দাবী রাখে। গোলাম আযমের একটি কাজ ভাল হলেও অন্য কাজ জঘন্য সে জন্য তার ভাল কাজ আলোচনায় আসেনি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


গোলাম আযম যা করেছে, জাতি অশিক্ষিত হওয়ায় বুঝতে পারেনি; মুরগীর বাচ্ছা ২/৪ হারিয়ে গেলে মুরগী টের পায় না।
ড: আলীর ভাবনাটা কাজে লাগাতে হলে বাংলা একাডেমীকে কাজ করতে হবে, কিছু বর্ণ কমানো সম্ভব।

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ৪৫% মানুষ 'বাংলাদেশ' শব্দটি বাংলায় লিখতে পারেন না।

এই আক্ষেপ যাদের শোনা উচিৎ তাদের কর্ণকুহরে গিয়ে ঠেকে না । সম্ভবত কোন দিনই পৌঁছাবে না!!!!!!!!!!!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা জাতিকে বন্চিত করছে, তারা ঝরা পাতার মতো উড়ে যাবে; এরা ক্ষমতা থেকে সরার পরদিন মানুষ এদের মুছে দেবে; দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া নামে কেহ ছিল, বিএনপিও জানে না।

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

বিলিয়ার দ্য ডেভিল বলেছেন: এখন থেকে এই নিক দিয়ে লেখা চুরির খবর জানাবো!!!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো কাজ, আমাদের তরুণরা ন্যায়, অন্যায় বুঝুক; লেখা ইত্যাদি বিনা অনুমতিতে নেয়া সঠিক নয়, এটি কেন মাথায় ঢুকছে না, কে জানে!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিক'টা করতে গিয়ে ইমোশানেল হয়ে গেছেন আপনি!

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ১১ নং মন্তব্যে ডা.এম এ আলী ভাইয়ের মন্তব্য পুরোপুরি পড়ে দেখলাম। ভালই মনে হলো। মন্তব্যটি মানুষের মাঝে তুলে ধরলে গ্রহণযোগ্যতা সহজেই অনুমেয় হবে।
মন্তব্যটিতে যুক্তি গুলো আমার কাছে ভালো লাগলো।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য । বাংলা একাডেমিকে জানানোর আগে দেখে নিই আমাদের বিজ্ঞ ব্লগার একাডেমিকরা কি বলেন । এটা একা কারো কাজ নয় , এর জন্য প্রয়োজন ব্যপক জনসাড়া । সকলের সম্মিলিত চিন্তাভাবনা প্রয়োজন । বাংলা একাডেমীর মৌলিক চিন্তাভানার সময় নেই , তাঁরা বই মেলায় বই বেচাকেনা কিনা ব্যস্ত আছেন , বই এর ঝক ঝকে প্রচ্ছদ এখন তাদের মৌলিক গবেষনার বিষয়, ভিতরে যাই থাক প্রচ্ছদ আকর্ষনীয় হলে এর কাটতি সকলকে ছাড়ায় !!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"বর্ণের সংখ্যা কমানোর দরকার, এতে লেখা সহজ হবে, বানান ভুল কমবে"; আপনার এই মৌলিক ধারণার উপর পোস্ট দেন, ব্লগারেরা এ ব্যাপারে আপনার পক্ষে যাবেন, আমার ধারণা।

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: আপনার সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে সকলে সচেতন হয়ে উঠুক ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, আমি অবস্হা বুঝার চেস্টা করছি; ব্লগারেরা যাতে মানুষকে বুঝে বই লেখে, সেদিকে আলোকপাত করার চেস্টা করছি।

২০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ১৯২৬ সনে নোবেল বিজয়ী রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর হাঙ্গেরীতে বসে বাংলা লিপিকে সেখানকার সুধী সমাজে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য নীজ হাতে লিখেছিলেন নীচের মত করে :

এখানে তাঁর কথাটিই আমার বেশী করে মনে পড়ে । কারণ বাংলা ভাষার বর্ণ সংখ্যা কমানোর বিষয়ে দুটি পোষ্ট দিয়েছিলাম এ ব্লগে একটি গদ্যে আর একটি পদ্যে, বলতে গেলে হাতে গনা দু একজন বাদে কেও না তা পাঠে । আমার সে পোষ্ট হতেই দুএকটি কথা তুলে এনেছিলাম এ ব্লগের মন্তব্যের ঘরে।

রবিঠাকুর যেমন বলেছেন
অামার লিখন ফুটে পথ ধারে
ক্ষনিক কালের ফুলে,
চলিতে চলিতে দেখে যারা তারে
চলিতে চলিতে ভুলে ।


প্রজাপতির মত আমিও সময় না গুনি, তাই যেখানে সুযোগ পাই লিখে চলি । জানি দেখিবেনা কেহ, ভাবিবেনা কেহ, সে কেবল রয়ে যাবে আমারি ।নিরস ভেবে আমার লিখা কেও করবেনা চুরি , এটাই মনে মনে শান্তনা ভারি !!!

ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান পরামর্শের জন্য ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সময়ের সাথে ভাষার বর্ণমালাকে সাজানোর দরকার; আধুনিক ভাষাগুলোর এত বেশী বর্ণ নেই। সাধারণ মানুষ এগুলো নিয়ে ভাবার কথা নয়; আপনি চেস্টা করুণ, আমরা সাথে আছি।

২১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪১

রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক তাৎপর্যপূর্ণ কথা লিখেছেন।

সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।

ক্যাম্পাসে এক ছোট ভাই যুদ্ধাপরাধীর উপরে একটা নাটক লিখেছিলো।" মুক্তিযুদ্ধের পর সবাই রাজাকারদের কথা প্রায় ভুলতে বসেছিলো। যে যার যারটা নিয়ে ব্যস্ত। কে কি করলো দেখবার কারো সময় নেয়। এই সুযোগে যুদ্ধাপরাধীরা দেশে নিজেদের আসন পাকাপক্ত করে ফেলে।
যখন কিছু তরুণ এই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে কথা বলছে, বিচারের দাবি তুলছে সবাই তখন ব্যস্ত। এই বিষয়ে কথা বলার মত কারো সময় নেই। কেই আছে রাজনীতি, কেউ বা ব্যবসা, কেউ নাটক সিনেমা নিয়ে।""
তার নাটকটি যখন দেখলাম, খুব অবাক হলাম। ভাবলাম- আসলেই তো। আমরা আমাদের দ্বায়িত্বটুকুকে কখনও বুঝতে শিখেনি।
আমরা চাই অনেক কিছু, সময় দিতে পারিনা। আমাদের অনেক ব্যস্ততা। অনেক বাঁধা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মতো বিশৃল দেশে, সরকারকেই জাতি গঠনের কাজ করতে হবে, এখানে মানুষ থেকে জাতি গঠনের ভাবনা কেড়ে নেয়া হয়েছে।

২২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার ইচ্ছা পোষনের জন্য ।
বাংলা ভাষা হতে বর্ণ সংখ্যা কমানোর জন্য আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চলতেই থাকবে ।
ভাষার মাসে এই ২১ শে ফেব্রোয়ারীতে এটাই আমার অঙ্গীকার ।
শুভেচ্ছা রইল

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিভাবে এগুবেন, সেটি নিয়ে ভাবুন।

২৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৪

মোঃ গাউছুল আজম বলেছেন: বাংলাদেশ

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ কোনভাবেই সঠিক পথ বের করতে পারছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.