নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিলখানা, ১৫২ জনের ফাঁসী, রূপকথার গল্পের দেশেই সম্ভব

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬



পিলখানায় সর্বোমোট ৭২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে; হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েক হাজার বর্ডার প্রহরীকে দায়ী করা হয়েছিল; অবশেষে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে; বিচারের আগে পিটায়ে বোধ হয় মেরে ফেলেছে ২০/২৫ জনকে। আমি বিচারক নই, আইনবিদও নই, কিন্তু ফিলখানার ঘটনা প্রবাহ, সরকারের ভুমিকা, দেশের ততকালীন পরিবেশ, বর্ডার প্রহরীদের ইতিহাস, দেশের বিচার ব্যবস্হা সবকিছু মিলিয়ে দেখলে মনে হবে, এগুলো বিচার নয়, দরিদ্র মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা, সরকারীভাবে হত্যা করে করে প্রতিশোধ গ্রহন, ও বিচারের নামে অদক্ষদের ফাঁসী ফাঁসী খেলা।

২য় বিশ্বযুদ্ধে ৭ কোটী মানুষ প্রাণ হারায়েছেন; নুরেমবার্গের বিচারে, প্রথমে খুবই উঁচু পদের সামরিক লোকসহ ১১ জন নাজিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়, ১০ জনকে জেলে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করে গণহত্যা চালানোর জন্য আজ অবধি ৬/৭ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে।

তা'হলে ৭২ জনের জন্য কি করে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে? কোন অবস্হায়, এই ধরণের হত্যাকান্ডে ১৫২ জন ষড়যন্ত্র করে এই আক্রমণ চালাতে পারে না। হয়তো, হাজারেরও বেশী সৈনিক "তৎক্ষনাত"ভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত হতে পারে। সেদিন যেই অবস্হার সৃস্টি হয়েছিল, তাতে উপস্হিত ৪ হাজার সৈনিকের ৫০% হয়তো পুরোদিনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি।

নিহতের সংখ্যা অনেক কমানো যেতো, সেনা বাহিনী ও সরকার কোন জরুরী মিলিটারী ব্যবস্হা নেয়নি।

বিচারের সময়, দরিদ্র সৈনিকদের পক্ষে কোন বিখ্যাত আইনবিদ অংশ গ্রহন করেনি; দেশের নামকরা আইনবিদরা কখনো দরিদ্রদের পক্ষে যায় না; ফলে, সরকারের লোকেরা যা ইচ্ছে তাই করেছে; বটতলার উকিলরা পার্টি করে বিচারক হয়; সেই বিচারকেরা সরকারের ইচ্ছা পুরণ করেছে।

এখনো যদি এদের ফাঁসি না হয়ে থাকে, আবার বিচার করা দরকার।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এতজন নিরিহ বিডিআর কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পক্ষে আমারও মত ছিল না, ছিল না কোন যুক্তিও।

সেদিনের দ্রোহিতার কারণ অবশ্যই একটা কিছু ছিল। কেন এমন দ্রোহী হয়ে ওঠলো তারা, সে সম্পর্কে কারো মাথা ব্যথা দেখিনি।

গরীব হওয়াটাই চরম বোকামি, অন্যায়, অপরাধ!!!!
আল্লায়ে কেন যে আমারে ধনী বানাইলো না!!!!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের বটতলার সব উকিল পার্টির কারণে বিচারকের চাকুরী পেয়ে গেছে; এদের বিচারবুদ্ধি থাকলে, এত লোকের ফাঁসী হতে পারে না। এখনো ফাঁসী না হয়ে থাকলে, এই মানুষগুলোর আবার বিচার হওয়ার দরকার।

পাকিস্তান ছিল গরীবদের জন্য জাহান্নাম, বাংলাদেশ হলো গরীবদের জন্য হাজতখানা।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সেরকমই মনে হচ্ছে। এদেশ গরীবদের জন্য হাজতখানাই।
ভাবছি শেখ হাসিনা যখন রিটায়ার করবেন, তখন দেশটাকে কে রক্ষা করবো, কে বাঁচাবে গরীবদের।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা কখনো গরীবদের জন্য কিছুই করেননি, দখলবাজদের ছিটেফোটা পেয়ে গরীবদের অবস্হা কিছুটা সাময়িকভাবে ভালো হয়েছে; কাজের মাঝে হয়েছে, গরীবরা শেষ যায়গা জমি বিক্রয় করে, আরবে বা মালয়েশিয়া গিয়ে ক্রীতদাস হয়েছে, ওদের মেয়েগুলো গার্মেন্টস চালাচ্ছে; উনার কাছে দেশের থেকে পার্টি বড়।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ধরে নিন এটা জানার জন্য বলছি। কারণ এসব ব্যাপারে তেমনকিছু আমার জানা নেই।

বিডিআর, সেনাবাহিনী যাই বলেন না কেন, সিনিয়র স্যার যা বলবে জুনিয়ররা তা করতে বাধ্য। এখন সিনিয়র স্যার গুলি চালাতে বললে জুনিয়র কেন চালাবে না?

জুনিয়র না চালালে সিনিয়রতো বলতেই পারে কথা না শোনার কারণে গুড বাই। এই বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করবেন কেউ?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফিলখানায় যা ঘটেছে, সেই সময় সিনিয়র জুনিয়র কিছুই থাকার কথা নয়; কোন বিচারবুদ্ধি কাজ করেনি, মনে হচ্ছে!

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: কমান্ডার কথাটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত, এই সমস্ত ব্যাপারে, ২য় বিশ্ব যুদ্ধে সমান্ডারের ফাসি হয়েছে। অন্যরা তো কমন্ডারের অধীনে চাকুরী করে, তাদের কিছুই করার থাকে না। আর্মি বা বিডিআর বাহিনীতে কেউ কমান্ড অমান্য করার কোন নিয়ম নাই। তাই সমস্ত দোষ পরে কমান্ডারের উপর। জানি না....................................... আইন কি বলে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হয়, বিডিআর'এর বিচার হয়েছে সিভিল কোর্টে। তবে, এই ধরণের বিশাল ঘটনার বিচার করার মতো কোন নামকরা, বিদ্যান বিচারক বাংলাদেশে আছে কিনা সন্দেহ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:




''বাংলাদেশের বটতলার সব উকিল পার্টির কারণে বিচারকের চাকুরী পেয়ে গেছে; এদের বিচারবুদ্ধি থাকলে, এত লোকের ফাঁসী হতে পারে না। এখনো ফাঁসী না হয়ে থাকলে, এই মানুষগুলোর আবার বিচার হওয়ার দরকার।

পাকিস্তান ছিল গরীবদের জন্য জাহান্নাম, বাংলাদেশ হলো গরীবদের জন্য হাজতখানা।''

-অনেক গুরুত্বপূর্ন কথা বলেছেন।

ঠান্ডা মাথার এসব খুন খারাবি নিয়ে কথা বলতে ব্লগারদের ভিতরেও মনে হয় এক ধরনের ভীতি কাজ করছে! আর আবেদন নিবেদন কাকে করবেন? এদেশে আর কখনও কোন কিছুর জন্য গনতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ যদি বর্তমান হাজতখানা (আপনার ধারনা) থেকে (আল্লাহর কাছে পানা চাচ্ছি, তিনি এমনটি কখনও না করুন) জাহান্নামেও রুপান্তরিত হয়, তবু এখানকার মানুষ সম্ভবত: আর কোন দিন কথা বলবেন না, আর কোন দিন প্রতিবাদে মাঠে নামবেন না, আর কোন দিন অধিকার আদায়ের জন্য রাস্তায় সমবেত হবেন না; জনগনের জন্য, দেশের জন্য, গনতন্ত্র রক্ষার জন্য কখনোই তারা হয়তো আর বুক পেতে দেবেন না বুলেটের সামনে; জনগনের রক্তের সাথে নির্মম তামাশা, সীমাহীন মিথ্যাচার আর জাতিকে পরাশ্রিত হাসির পাত্রে পরিনত করার প্রতিবাদে তারা বরং মনে হয়, গনতন্ত্রের বর্তমান এই স্বৈরাচারী বাকশালী সংস্করনে ভাষাহীন বোবামুখে নিরবে জাহান্নামের আগুনে পুড়ে নিশেষ হওয়াকেই পছন্দ করবেন। এ জাতি আর কোন দিন হয়তো নিজেদের কথা বলার অধিকার ফিরে পাবেন না, স্বাধীন দেশের এই পরাধীন জীবনে।

কে যাবে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধতে! সবাইতো চাটুকারিতায় বিভোর! সবাইতো ''পকেট ভরনা কি লিয়ে...'' ব্যস্ত সমস্ত!

শুভেচ্ছা গাজী ভাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে, ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়ে জাতি গঠন করেছে, বারবার দুস্টরা ফল ভোগ করে; মানুষ এখন হতাশ; সময় মতো ভালুকের মতো আরেকবার জেগে উঠবে বাংগালী, তখন যদি ঠগীরা পালায়।

৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা বলেছেন: অাসল অপরাধী তামাক খাচ্ছে এখন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসল কে, সেটা বের হবে সময়ের সাথে

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি আরকি!!!( ওনাদের মতানুযায়ী)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাজার হাজার পরিবার সঠিক বিচার পায়নি, মনে হচ্ছে। দেশ পিছিয়ে থাকা, বিশৃংখলা, অনৈক্যের মুলে এ ধরণের ঘটনাগুলো ফ্যাক্টর হয়ে আছে।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
সামরিক বাহিনির ক্ষমতা সর্ম্পকে তো আপনি অবগত। ৭২ জনের বদলে ১৫২ জনের জান নেওয়া আমার কাছে তো কমই মনে হচ্ছে ।

সামরিক ডিনার টেবিলে সুধীবৃন্দ উপস্থিত,
কেউ মন্ত্রী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ঘোড়েল আমলা,
টেবিলে খাবারের পর সাজানো খাবার,
কৃষকের চামড়া দিয়ে তৈরি করা মোঘলাই পরোটা,
শ্রমিকের রক্ত দিয়ে তৈরি করা হালুয়া,
ডিনার টেবিল জুরে মনোরম খাদ্য আয়োজন ।


২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের একটা বাহিনী ছিল, যাঁরা দেশকে মুক্ত করেছিলেন; পরে, তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেব, এঁদের বৃহৎ ভুমিকাকে ছোট করে, তাদেরকে আবার পাকিস্তানী বাহিনীর অনুকরণে সাজায়েছিল।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নিজেদের কমান্ডারদের ধরে ধরে মেরে ফেলেছে তারা, তাদের স্ত্রীদের ইজ্জত নিয়েছে। সেখানে মাত্র ১০/১১ জনের কথায় তারা প্ররোচিত হলেও নিজেদেরও বিবেক হারিয়েছিল। তারা একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী ছিল। এত বড় একশানে যাওয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি বাংলাদেশে। আমার তো মনে হয় আরো বেশী ফাঁসি হওয়া উচিত। অবশ্য ৬০/৭০ জনের মত কারাগারেই মারা গিয়েছে বা মেরে ফেলা হয়েছে। এখানে বিচারটা অনেকটা সহজ। কারণ, এক বাহিনীর মধ্যে কেউ কেউ রাজসাক্ষী হয়ে অনেক কিছুই বলে দিচ্ছে । আমরা হয়তো দূর থেকে কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে মূল ২০/২৫ জন খুনী দ্বিতীয় দিনেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। একদিন সব কিছু পরিস্কার হবে ইনশাআল্লাহ...

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে, লুট করেছে, তাদের বেলায় মৃত্যুদন্ড ঠিক আছে।
মনে হয়, যারা প্ল্যানে ছিলো, তাদের বেশীর ভাগ পালায়েছে।

মিলিটারী ও বর্ডার প্রহরীদের পাকিস্তানী মডেলে সাজায়েছে দেশ।

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানী বাহিনীর অনুকরণে সাজানো সামরিক বাহিনী সরাসরি শ্বাসন করেছে । কিন্তু আজও অলক্ষ্যলোকে এদেশ সামরিক বাহিনীর প্রভাব মুক্ত নয়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তি কখনই তা হতে দেবে না ।

তলোয়ার হয়নি এখনো লাঙলের ফলা,
ট্যাংক হয়নি এখনো ট্রাক্টর,
বাড়ছে শুধু নিরাপত্তা খাতের টাকা...।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানী মিলিটারী শাসন থেকে বের হয়ে আসার পর, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব একই ভুল করলেন; উনাদের কোন দক্ষতাই ছিলো না মিলিটারী নিয়ে।

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

আমার কাছে মনে হয় বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর যে অশুভ সামরিক শক্তির উত্থান ,তা থেকে আজ পর্যম্ত বাংলাদেশ কখনই সামরিক শক্তির প্রভাব মুক্ত হতে পারেনি।
তবে নব্বই এর দশকে এই অশুভ শক্তি জনসাধারনের উত্থানকে ভয় পাওয়া শুরু করে, তখন তারা শোষনের নতুন কৌশল নেয়, এক শ্রেনীর অর্থলোভী,উচ্চাভিলাসী শিক্ষিত সম্প্রদায়কে সকল প্রকার বৈষয়িক সুবিধাদি দেয়, এবং আজও অবধি এই শ্রেনীর দোসররাই অলক্ষ্যে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রন করছে ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব নিজেদের মৃত্যু ডেকে এনেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত সেনাদের সেনা বাহিনীত নিয়ে ও বিজয়ী বেংগল রেজিমেন্টকে পুনরায় ক্যানটনমেন্টে ও ইপিআরকে বর্ডারে দিয়ে।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অপেক্ষা করেন ইতিহাস নীজেই বলবে সেখানে সেদিন কি ও কেন ঘটিছিল !!!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব ইতিহাস এক সময় বের হয়; কিন্তু আজকে যারা কিছুই পাচ্ছেন না, ইতিহাস তাদের কি দেবে?

১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মনে হয়- ১৫২ জন আসল অপরাধী না।
সেদিন টিভিতে দেখেছিলাম- নানক বিডিআর গেটের কাছে দাঁড়িয়ে হাতে মাইক নিয়ে বলেছিল- আপনারা গোলাগুলি বন্ধ করুন, আপনাদের সব দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হবে। পরে তাদের কোনো দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয়নি। বরং ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



নানক, ফানক ইত্যাদি বাংগালী জাতির কেহ নন; সামান্য দখলবাজ।

১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০২

টুনটুনি০৪ বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির বিচার ব্যবস্হা কারা চালাচ্ছে কে জানে?

১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৩

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

আপনি মুক্তিযোদ্ধা তাই সত্য ইতিহাস তুলে ধরলেন।
তবে আমাদের রাজনীতি ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য বৃহত্তর, জনগনের জন্য অসীম স্বাধীনতা আর অপরিসীম ন্যয় প্রতিষ্ঠা করা, তাই জনগনের সামনে সত্য তুলে ধরার মত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবার মত সময় তাদের নেই। তাদের মতে কিছু গুরুত্বহীন মানুষ ’সত্য’ নিয়ে চিৎকার করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে থেমে যাবে। তবে আশাকরি আপনি কখনও থেমে যাবেন না ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের উপর হতাশ হয়ে, জাতির কথা ভুলে, নিজে নিজে টিকে থাকার চেস্টা করছে; তাতে পরিবারের পরিবারে বাঁচার প্রতিযোগীতা চলছে।

১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৪

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

তবে স্যার, খুবই খারাপ লাগে যখন দেখি বি এ পি বলে এই হত্যাকান্ড ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র, এ ধরনের কথা বলে মূল অপরাধীদের ‘ইনডেমনিটি’ দিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের কথার পর এর সঙ্গে যারা জরিত মূল অপরাধীরা মনে হয়ে আনন্দে অট্টহাসি দিচ্ছেন ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার সরকারের সময় ঘটনা ঘটেছে, শেখ হাসিনার সরকারের দায়িত্ব মানুষকে পরিস্কার ঘটনা বলা; সরকার যা বলার বলেছে; মানুষের যদি সরকারের প্রতি আস্হা থেকে থাকে, মানুষ সেটাই বিশ্বাস করেছে!

১৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য । উত্তরের যাত্রায় করা প্লশ্নের উত্তরটা দেয়া হয়েছে তথায় ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ

১৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ফিলখানা বলে তো কিছু নেই শব্দটা বোধ করি পিলখানা। আপনার নিজস্ব বানান রীতি অনুযায়ী আপনি হয়ত ফিলখানা লিখতে পারেন, তবে যারা সচেতন ব্লগার হিসেবে পরিচিত, তারা আশা করি বানানগত ত্রুটির ক্ষেত্রে আরো সচেতন হবেন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ঠিক করে দিচ্ছি।

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: `খুবই উঁচু পদের সামরিক লোকসহ ১১ জন নাজিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়, ১০ জনকে জেলে পাঠানো হয়।'

কিন্তু পিলকানার ব্যাপারে আমারা নির্বাক দর্শক হওয়া ছাড়া কিছু তো করতে পারবো না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাস্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক ও বাঁধন নেই; সরকার জানে, মানুষের কাছে জবাবদিহি করার দরকার নেই; ফলে, আরো কিছু সময় এভাবে যাবে।

২০| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১৮

জসীম অসীম বলেছেন: আপনার সঙ্গে পরিচয় যখন হয়, তখন আমি একটি দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের চাকুরি করেছি।কুমিল্লায়। মাসে মাত্র 10,000/- (দশ হাজার) টাকা বেতনে। 7 মাসের মাথায় দিলাম সেই চাকুরি ছেড়ে।অবশ্য এই মুহূর্তে কুমিল্লায় কেউ আর কাজও দেবে না। কারণ পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে আমার কোনোদিনও কোনো হিসাব মিলেনি।তারপর সামু ব্লগে এলাম লিখতে। ব্লক করে দিলো আমাকে। নভেম্বর 2015 এর পর সামু ব্লগ আর আমাকে লিখতেই দিচ্ছে না। এমনকি অনেকদিন আমার ব্লগে আর প্রবেশ করতেও পারলাম না। তবে অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকতে পারলেও নতুন ব্লগ আর লিখতেই পারছি না।নতুন ব্লগ লিখতে চাইলেই সামু বলছে: দুঃখিত, একটি ভুল পাওয়া গেছে। এদিকে কুমিল্লা শহরের রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র উদ্ধার করতাম আমি আমার শ্বশুরের 26 বছরের পুরনো এক পত্রিকা ‘নিরীক্ষণ’ দিয়ে। এ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছিলাম বিগত 4+4=8 বছর ধরে।কিন্তু এখানকার রাজনৈতিক কতিপয় নেতা আমার শ্বাশুড়ি এবং একমাত্র শ্যালিকাকে টাকা দিয়ে বশ করে সেই পত্রিকা তাদের (নেতাদের) চেলাচামুন্ডা দিয়ে কিনে নিয়েছে। এ অবস্থায় আমি এখন প্রায় উন্মাদের মতো হয়ে রয়েছি লিখতে না পারার জন্য। তারপর আবার এ মুহূর্তে বেকারত্বের হতাশায়ও পেয়ে বসেছে। ইদানিং ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান-সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী আমি। শুধু এই কারণে এবং স্ত্রী ও একমাত্র ছেলের (বয়স-8 বছর) প্রতি ভালোবাসা না থাকলে আত্মহত্যাই করে বসতাম।আমার পেশার লোকেরাও আমার বিরুদ্ধে এখন গোপনে কূটনীতি করে। কারণ আমি আমার লেখা দিয়ে তাদের অনেকেরও ভীষণ ক্ষতি করেছি। তবে আমি লেখা দিয়ে যা-ই করেছি, অবশ্যই ন্যায্যভাবেই করেছি। অর্থ-স্বার্থ এবং কোনো শর্তে প্রভাবিত হয়ে কোনোদিনও লিখিনি আমি। অনেকদিন পর আপনার লেখা দেখেও পড়তে পারার স্থিরতা নেই বলে পড়তে পারলাম না। এজন্য খুবই দুঃখিত। পরে আপনার পড়ে নেবো একসময়। এ জন্য ক্ষমা করবেন। 2014 সালের পর মনে হয় এই 2017 সালেই আপনার ব্লগে এলাম।ভালো থাকবেন। চিরকাল। অবশ্যই।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিবার আপনার জন্য বড়, লিখতে পারবেন পরে। কুমিল্লায় সম্ভব মতো ছোটখাট ব্যবসা চালু করার চেস্টা করেন; বেকার অবস্হা থেকে বের হওয়ার চেস্টা করেন, আজকাল চাষেও বড় সম্ভাবনা আছে।

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৮

জসীম অসীম বলেছেন: পিলখানা, ১৫২ জনের ফাঁসী, রূপকথার গল্পের দেশেই সম্ভব



পিলখানায় সর্বোমোট ৭২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কয়েক হাজার বর্ডার প্রহরীকে দায়ী করা হয়েছিল। অবশেষে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। বিচারের আগে পিটিয়ে বোধ হয় মেরে ফেলেছে ২০/২৫ জনকে। আমি বিচারক নই, আইনবিদও নই, কিন্তু পিলখানার ঘটনা প্রবাহ, সরকারের ভূমিকা, দেশের তৎকালীন পরিবেশ, বর্ডার প্রহরীদের ইতিহাস, দেশের বিচার ব্যবস্হা সবকিছু মিলিয়ে দেখলে মনে হবে, এগুলো বিচার নয়, দরিদ্র মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা। সরকারীভাবে হত্যা করে করে প্রতিশোধ গ্রহণ ও বিচারের নামে অদক্ষদের ফাঁসী ফাঁসী খেলা। ভাই, এই মতামত তো আপনার। এখন যদি বলা হয়, এই মতামতের স্বপক্ষে যথাযথ তথ্য দিন।সে রকম তথ্য আপনার সংগ্রহে রয়েছে কি? তথ্য পরিপূর্ণভাবে না নিয়ে আমি সামরিক কোনো বিষয় নিয়ে লিখি না।

২য় বিশ্বযুদ্ধে ৭ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন নুরেমবার্গের বিচারে। প্রথমে খুবই উঁচু পদের সামরিক লোকসহ ১১ জন নাজিকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। ১০ জনকে জেলে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে যুদ্ধ করে গণহত্যা চালানোর জন্য আজ অবধি ৬/৭ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। তা'হলে ৭২ জনের জন্য কি করে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে? ... সেদিন যেই অবস্হার সৃস্টি হয়েছিল, তাতে উপস্হিত ৪ হাজার সৈনিকের ৫০% হয়তো পুরোদিনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। আপনার এমন বক্তব্য তো সঠিক। আমি ইউটিউবে এমন কিছু ভিডিও এ বিষয়ে দেখেছি যে, এই ফুটেজের বক্তব্যও আপনার মতামতের সমান্তরাল হয়ে গেছে।একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজরও বলেছিলেন, নিহতের সংখ্যা আরও অনেক কমানো যেতো। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সরকার কোন জরুরী মিলিটারী ব্যবস্হাই নেয়নি।

বিচারের সময় দরিদ্র সৈনিকদের পক্ষে কোন বিখ্যাত আইনবিদ অংশগ্রহণ করেনি। দেশের নামকরা আইনবিদরা কখনো দরিদ্রদের পক্ষে যায় না। ফলে সরকারের লোকেরা যা ইচ্ছে তাই করেছে। এই কথা যদি সত্যি হয়ে থাকে, হায়! তা হলে যে কতো বড় ট্র্যাজেডি হবে। কিন্তু আরও তথ্য উপস্থাপন সাপেক্ষে বক্তব্য পেশ করা গেলে আরও চমৎকার হতো। তবে এই লেখা পড়েও আমি নতুনত্ব এবং যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছি। ভালো থাকবেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঘটনাটাকে লজিক্যালী ভাবলে, যত বড় অপরাধই হোক না কেন, এই লোক এক সংগে অপরাধ ঘটাতে পারে না, বিশেষ করে এরা মোটামুটি মিলিটারী মানুষ।

আর এত লোক যদি ঠিকই অপরাধ করে থাকে, সেখানে নিশ্চয়ই বিরাট কারণ আছে; বিচার করতে গিয়ে, সেই কারণের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করতে হবে।

আপনি কুমিল্লায় কিছু একটা খুঁজে বের করেন, যাতে পরিবার চলতে পারে; লিখতে আপনি পরেও পারবেন।

২২| ০৭ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

জসীম অসীম বলেছেন: বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআর সদরদপ্তরে রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ নিয়ে এখনো ঘটনার মূল কারণ সম্পর্কে অনেকের মনে বিভিন্ন রকমের সন্দেহ রয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ রাইফেলস বা বিডিআর-এর সৈন্যদের নানা ক্ষোভের কারণে বিদ্রোহ হয়েছে বলেই প্রথম জানা গিয়েছিল। কিন্তু এটি একটি ব্যাপক হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয় কেন? বিডিআর সৈন্যদের ক্ষোভ কেন হত্যায় রূপ নিল? এটি কি একটি বিদ্রোহ ছিল? নাকি কোনো ষড়যন্ত্র? চার হাজারেরও বেশি বিডিআর সৈন্যের কারাদণ্ড এবং দেড়শ-র বেশি মৃত্যুদণ্ডও সন্দেহকে দমন করতে পারেনি। ঢাকার তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে 2009 সালের 25 এবং 26শে ফেব্রুয়ারিতে ওই বিদ্রোহের ঘটনায় 57 জন সেনা কর্মকর্তাসহ 74 জন নিহত হন। আমার বাসা ছিল তখন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরেই। 7 ফেব্রুয়ারি আমার ছেলের জন্ম হলো। শহরের এক হাসপাতালে। 14 ফেব্রুয়ারি 2009 তারিখে আমি আমার ছেলে ও বউকে নিয়ে চলে গেলাম কুমিল্লা বার্ডে (বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী) আমার ভাইয়ের বাসায়। ভাই বার্ডে চাকুরি করেন। কিন্তু ভাইয়ের বাসায় রয়ে গেলাম 28 ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত। কুমিল্লা বার্ডের পশ্চিম পাশেই কোটবাড়ি বিডিঅার সেক্টর কমান্ডারের কার্যালয়। উত্তরপাশে কুমিল্লা সেনানিবাস। আমি তখনও সেনানিবাসের বাসায় যাইনি। 25 তারিখ রাতে একটি গুজব উঠল যে, রাতে বিডিআর আর আর্মির মধ্যে কুমিল্লায়ও ফায়ারিং হতে পারে। মাঝখানেই বার্ড। বড় ভাই বললেন, এ অবস্থায় তোর বাচ্চা নিয়ে সেনানিবাসের বাসার মধ্যে যাওয়া ঠিক হবে না। বরং প্রয়োজনে অবস্থা খারাপ হলে আমাদেরই বরং কুমিল্লা শহরে চলে যাওয়া দরকার। এ অবস্থায়ও আমি আমার কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের বাসায় গেলাম। গিয়ে দেখি সব জায়গায়ই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আমার ওই বাসার প্রতিবেশিদের একজন ছিলেন পুলিশ এবং আর বাকিরা সেনাবাহিনীর সদস্য। শুধুমাত্র আমিই কেবল একঘর সাংবাদিক পরিবার ছিলাম। কিভাবে আমি তখন ওখানে ছিলাম এবং কেন সেটা অন্য প্রসঙ্গ। গিয়ে দেখলাম আর্মি ভাবীরা সবাই টিভি-তে খবর দেখছেন।...একজন ভাবী (রাজুর মা) বললেন, আপনি তো সাংবাদিক। জানেন কিছু? অন্যদেশের কোনো টেলিভিশনের সংবাদে আলাদা কোনো খবর পেয়েছেন? বিডিআর কেন সেনাবাহিনী থেকে আসা অফিসারদেরকে মেরেই ফেলছে? আমি বললাম, আমি শুনেছি, বিডিআর ডালভাত কর্মসূচীতে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। রাজুর মা বললেন, দুর্নীতির জন্য এভাবে গণহারে আর্মি অফিসার হত্যা করবে! আমি বললাম, এ বিষয়ে তো ভাবী আমি কিছুই বলতে পারবো না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার মাত্র 40 দিনের মধ্যে এমন একটি ঘটনা ঘটলো। তাদের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও অনেকে মনে করলেন। বিদ্রোহ দমনে সরাসরি সামরিক শক্তি প্রয়োগ না করায় বিরোধী দল বিএনপি শুরুতেই নানা প্রশ্ন তুলেছিল। অনেকেই এই ঘটনার জন্য আবার ভারতকে জড়িত মনে করেন। কিন্তু এই ধরনের কোনো তথ্যাদি গণমাধ্যমে এসেছে বলে আমার জানা নেই।
কোন মামলায় এত সংখ্যক আসামীর সাজা বাংলাদেশে আগে তো কখনো হয়নি আর । কিন্তু তারপরও এ নিয়ে এখনো অনেকে সংশয়মূলক মতামত প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে অবশ্যই অতিরিক্ত কিছু বলতে যাওয়া উচিত হবে না। কারণ বিষয়টি নিয়ে এখনো বিচারাধীন কতিপয় প্রসঙ্গ রয়েছে।...। আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে আপনার যে মতামত এবং পরামর্শ, সে জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি সেভাবেই কাজ খুঁজতে চেষ্টা করবো। এই দুঃসময়ে পাশে থেকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আজীবন ঋণী থাকলাম আপনার কাছে। ভালো থাকবেন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার মন্তব্য পড়লাম, আমাকে আরো বুঝতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.