নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার মাস: শেখ সাহেব ও মানুষের ভাবনা একই লেভেলে ছিলো না

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০



শেখ সাহেব যখন ৬ দফা দিয়েছিলেন, তখন বাংলার শতকরা ৮০ জন, অংকে ৬ সংখ্যাটি লিখতে জানতেন না, হাতের আংগুলে ৬ গুনতেন; তারা ৬ দফায় কি ছিলো ঠিক বুঝতো না, অনুমানে ধরে নিয়েছিলো, এটা নতুন জীবনের রূপরেখা; আসলে, ৬ দফা বাংলাকে আলাদা করার জন্য যথেস্ট ছিল মাত্র, এখানে নতুন জীবনের রূপরেখা আসলে ছিলো না। ৬ দফা পাকিস্তান ভাংতে পারে ভেবেই আইয়ুব খান, শেখ সাহেবকে ধরার সুযোগ খুঁজছিলো; আগরতলা মামলায় শেখ সাহেবকে জেলে নেয়া হলো; এতে, মানুষ ৬ দফা নিয়ে আরো বিশালভাবে উৎসাহী হয়ে গেলো, তারা শেখ সাহেবকে মাও ও লেনিনের মত উপরে নিয়ে গেলো; ১৯৬৬ সালে, চীন ও সোভিয়েত বিশ্বের কাছে বিস্ময় ছিলো; বাংগালীরাও ৬ দফা নিয়ে ঐ রকম বিস্ময়কর কিছু পাবার চেস্টা করছিলো; এখানে ছিলো সমস্যা, ৬ দফায় চীন বা রাশিয়ার মতো জীবনের রোডম্যাপ ছিলো না; থাকলে, পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষও ৬ দফা নিয়ে লেগে যেতো, বালুচ, পাঠান সবাই ভালো জীবন চাচ্ছিলো; পশ্চিম পাকিস্তানের সবাই আদমজী, ইস্পাহানী, দাউদ, বাওয়ানী ছিলো না; পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ ৬ দফাকে ভালোবাসেনি, ভয় পেতো; কারণ, সেখানে শুধু পুর্ব বাংলার কথা ছিলো।

মানুষের কাছে ৬ দফার যে অর্থ ছিল, সেটা হলো নতুন অর্থনীতি, সম্পদশালী, শিক্ষিত, নিজ মুদ্রাধারী সোনার বাংলা; শেখ সাহেবের কাছে ছিল আলাদা এক দেশ, যেখানে পাকিস্তানীরা থাকবে না; এখানে শেখ সাহেব ও মানুষের মাঝে বিরাট পার্থক্য ছিলো। লেনিনের রাশিয়া ও জারের রাশিয়া ছিলো আলাদা; জারের ছিল রাজতন্ত্র, লেনিনের সমাজতন্ত্র; চীনে চিয়াং কাইশেক ছিল পুরানো চীনের প্রবক্তা, মাও ছিল নতুন জীবন ব্যবস্হার প্রবক্তা; শেখ সাহেব ঐ রকম কেহ ছিলো না, উনার ভাবনা ছিলো আলাদা দেশ, নিজস্ব সংস্কৃতি; শুধু আইয়ুব খান আর পাকিস্তানীরা থাকবে না, শুধু আদমজী, দাউদরা থাকবে না; দাউদ ইস্পাহানীর জায়গায় মিজানুর রহমান চৌধুরী, গাজী গোলাম মোস্তফা, নুরে আলম সিদ্দিকীরা আসবে, বসুন্ধরা আসবে, এরা বাংলায় কথা বলবে, বাংলার সম্পদ বাংলায় থাকবে; কার কাছে থাকবে, সেটা কোন বিষয় নয়, ধনী দরিদ্র নিয়েই সমাজ!

শেখ সাহেব ১৯৭২ সালে পাকিস্তান থেকে ফিরে এসে এক আলাদা দেশ পেয়েছিলেন, এটাই শেখ সাহেব চেয়েছিলেন; মানুষ অপেক্ষা করছিলো কখন সোনার বাংলার কথা হবে, কখন সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য ডাক আসবে; মানুষ বিপ্লোবোত্তর জীবনের রূপরেখার জন্য, সেই রূপরেখাকে কাজে পরিণত করার জন্য ছিলো অস্হির; কিন্ত শেখ সাহেবের জগতে নতুন কিছু ছিলো না, উনার মতে ৬ দফা বাংলাদেশ সৃস্টি করেছে, এখানেই ৬ দফার শেষ, এটাই গন্তব্য। শেখ সাহেব পাকিস্তান সরকারের অসম-শাসনের প্রতিবাদ করছিলেন, মানুষ নতুন জীবনের আশায় বিপ্লব করছিলেন।


মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষন

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীনতার পরপরই শেখ সাহেব ও মানুষের মাঝে একটা শুন্যতার সৃস্টি হয়েছিল, মনে হয় এটাই তার কারণ।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৩

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে পরাজিত করে ,অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন বাংলাদেশই ছিল বাঙািলীদের স্বপ্ন ।
তাই আমার মনে হয়, স্বাধীনতার যুদ্ধ অসমাপ্ত রয়ে গেছে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ কলোনী থেকে বের হওয়ার পর, মানুষ নতুন জীবনের সন্ধানে ছিল, আজও সেই সন্ধান চলছে।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা পরিস্কার করা গেল যে, বঙ্গ রন্ধু ও জনগনের চাওয়া এক ছিলনা।। কিন্তু আপনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন সেটা বুঝার মতো সক্ষমতাও জনগনের মাঝে তৈরী ঞযনি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ অশিক্ষিত হওয়ায়, তাঁদের রাজনৈতিক পরিভাষা ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ জানা নেই, কিন্তু সুন্দর জীবনের আশা মানুষের স্বপ্ন।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সেই সময়ের দাবী তো সেটাই ছিল 'নিজস্ব দেশ'।

কিন্তু, দেশ গড়ার কাজ আর করতে দিলেন কই! খুন, রাহাজানি, রাজনৈতিক অস্থিরতা তো লাগিয়েই রেখেছেন। তবুও যেটুকু করে গেছেন সেই সুফল এখনো ভোগ করছে বাংলার মানুষ। ৪৬ থেকে ২১ বাদ দিলে ২৫, এর মধ্যেও অনেক সমীকরণ আছে, বাংলার মানুষ মোটামুটি বুঝে ফেলেছে এখন।

বাঙালি জাতির মধ্যে শেখ সাহেবের মতো আর একটা তৈরি করে দেখান। যদি না পারেন, তবে শেখ সাহেবের ভুল খোঁজার দরকার কি ?

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


নেতা প্রতিদিন তৈরি হয় না, বিপ্লব প্রতিদিন আসে না। মানুষ হেরে গেছে, শেখ সাহেবের সাগরেদেরা আদমজী, দাউদ, বাওয়ানী হয়েছে; যারা বিপ্লব করেছিল তাদের ছেলেরা আরবে, মেয়েরা গার্মেন্টস'এ; আপনারা রাজ কবি হবেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"বাঙালি জাতির মধ্যে শেখ সাহেবের মতো আর একটা তৈরি করে দেখান। যদি না পারেন, তবে শেখ সাহেবের ভুল খোঁজার দরকার কি ? "

- সময়ের সাথে, মানুষ ও শেখ সাহেবের ভুল বুঝতে পারলে, ভুল শোধরানো সম্ভব হবে; ভুল নিয়ে বাস করলে আজীবনের জন্য আফগানিস্তান, সোমালিয়া হয়ে বসে থাকতে হবে।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

বহ্নি শিখা বলেছেন: বঙ্গবন্ধু তো মুক্তির সংগ্রামের কথা বলেছিলেন-----

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

উনার মতে মুক্তি মানে, আইয়ুব গং থেকে মুক্তি; আদমজী দাউদ থেকে মুক্তি; মিজানুর রহমান চৌধুরী, নুরে আলম সিদ্দকী যে লাইনে আছে, বসুন্ধরা যে ভুমিদস্যু হতে পারে, ৩৭% মানুষ যে ভুমিহীন হবে, মানুষকে বউ ফেলে সৌদী গিয়ে উট চরাতে হবে, অতদুর উনার ভাবনায় ছিলো না।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মন্তব্য করবো না। এখনও আমার অনেক জানার বাকি, পড়ার বাকি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজনীতিতে, ভেবেচিন্তে ও বুঝে বলতে হয়, আপনি ঠিক আছেন; অনেক বাংগালী প্রশ্ন শোনার আগেই উত্তর দিয়ে ফেলেন।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২

মিঃ আতিক বলেছেন: যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ কে নতুন ভাবে আবার পরিচালনার গুন ওনার মধ্যে কতটুকু ছিল? সেদিনের শেখ সাহেব আর আজকের শেখ হাসিনা দেশের ক্ষমতা হাতে পেয়ে চাটুকারদের নিয়ন্ত্রণ কি করতে পেরেছেন? ১৭৫৭র প্রতারনার ক্ষত আজো ভালো হয়নি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৭৫৭ সালের ক্ষতও রয়ে গেছে? তারপর ১৮৫৭, ১৯৪৩, ১৮৪৭ ..., এতগুলো যোগ করলে ভারী হয়ে যাবে।

যুদ্ধের পর, প্রতিটি মানুষ শেখ সাহেবের আদেশের জন্য অপেক্ষা করেছিল, আদেশ আসেনি

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২

আল ইফরান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ আসলে কোন শ্রেণী-সংগ্রাম ছিলো না, যা সাধারণ মানুষ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়।
আর এই ভূলের অন্তহীন বৃত্তের মাঝেই আমরা এখনো আমাদের সোনার বাংলাকে খুজে ফিরি।
অন্তঃ-শ্রেণী সংঘাতের (পাকি ও পূর্ব বাংলার মধ্যবিত্ত শ্রেণী) চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবেই ১৯৭১ আসে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, মানুষ হয়তো আপনার লেভেলে বুঝতো না; তবে, একেবারে কিছু না বুঝে প্রাণ দিতে যাননি মুক্তিযুদ্ধে; যেটা বুঝেছিলেন, সেটা ছিল সাদামাটা, নিজভুমে সুখে দু:খে মিলেমিশে সন্মানের সাথে্ থাকা।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
"যারা বিপ্লব করেছিল তাদের ছেলেরা আরবে, মেয়েরা গার্মেন্টস'এ; আপনারা রাজ কবি হবেন।"

আমি কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি।
রাজ কবি! আমি না, আমার লক্ষ্য তেমন কিছু না। লেখার ইচ্ছা থেকেই কবিতার মতো করে লেখি। আমার কবি হওয়ার কোনো যোগ্যতা নাই।

- "সময়ের সাথে, মানুষ ও শেখ সাহেবের ভুল বুঝতে পারলে, ভুল শোধরানো সম্ভব হবে; ভুল নিয়ে বাস করলে আজীবনের জন্য আফগানিস্তান, সোমালিয়া হয়ে বসে থাকতে হবে।" খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন। এখানে সাধারণের কতটুকু বুঝার মতো সেটাই বুঝিনা। আমিও তো নিম্নশ্রেণীর সাধারণ মানুষ। যাদের বোঝার দরকার তারা কতটুকু বোঝেন, সেটাই মুখ্য।

(আমরা আলোচনা করলেও কেউ ভাবতে পারেন যে, তর্ক হচ্ছে!)

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুধুমাত্র শিক্ষিত মানুষ বিশ্বকে, নিজের জাতিকে, নিজকে সঠিকভাবে বুঝতে পারেন। যারা আরবের মরুভুমিতে ক্রীতদাসের মতো জীবন যাপন করছেন, তাদের বেশীর ভাগই খুশী; এরাই বলেন যে, দেশ স্বাধীন হওয়ায় এই 'মহান সুযোগ' এসেছে জীবনে; করার কিছু নেই; এরা কি বুঝতে পারছেন যে, নিজ জাতির জন্য এদের শ্রম ব্যয় হওয়ার কথা ছিল, তাদের শ্রম থেকেই এক শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে উঠার কথা ছিল? কিন্তু তাদের শ্রম থেকে গড়ে উঠছে ওমান, আবুধাবী, সৌদী; কিন্তু চট্টগ্রাম নোয়াখালীতে গ্রামে পুরুষও নেই; কার ছেলে, কার মেয়ে কি করছে কেহ জানে না।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি, তবে আমার বাবা বলতেন, শেখ সাহেব পাকিস্তান থেকে এসে একটি স্বাধীন দেশ পেলেন, মনে করলেন আমি সাত রাজার ধন পেয়েছি, আমিই এখন রাজা।
...... এরপর সবাই জানে বঙ্গবন্ধু নিজেকে কেমন দেখতে চেয়েছিলেন।

একটা কথা আমার আব্বা বলতেন, "শেখ সাহেবের ছেলে মেজর ডালিমের বৌয়ের সাথে আকাম-কুকাম করলে, মেজর ডালিম নেতার [বঙ্গবন্ধু] কাছে নালিশ দিলে নেতা তার ছেলের বিচার করেন নাই, এজন্যই শেখের এই করুন পরিণতি।" কথাটা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই। আল্লাই ভাল জানেন।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার শ্রদ্ধার পা্ত্র।

শেখ সাহেব নিজেক রাজা ভাবেননি; উনি প্রতিবাদী রাজনীতিবিদ ছিলেন; আধুনিক দেশ ও জাতি গঠন সম্পর্কে উনার দক্ষতা কম ছিলো, এটা প্রতীয়মান। ডালিমের বউকে শেখ সাহেবের ছেলে কিছু করেনি; ততকালীন সময়ে কেহ কারো বউ নিয়ে কিছু করতো না; কামাল জানতো যে, শেখ সাহেব ওর বাবা, সে মগের মুল্লুকে বাস করতো না। যারা শেখ সাহেবকে হত্যা করেছে, দেশের বেকুবদের আরো বেকুব বানানো জন্য এসব হাউকাউ কথা ছড়ায়েছিল।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০৩

ইউনিয়ন বলেছেন: আমি হলফ করে বলতে পারি, বাংলা দেশের বর্তমান প্রজন্ম ছয় দফায় কি ছিল তা ঠিক মত বলতে পারবেনা, লীগ এর বাইরে নয়। জাতি এখন কমন আইডেন্টিটিফাইট এ ভুগছে! ১৬, ২১ আর ২৬ এর মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেনা। দেশের খেটে খাওয়া মানুষ ছয় দফার কথা শুনলে হ্যা করে তাকিয়ে থাকবে!

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


৬ দফা ততকালীন আওয়ামী লীগের অনেকেই বুঝতো না; তারা জানতো যে, ৬ দফা দিয়ে বাংগালীদের ভোট পাওয়া যাবে।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ব্যাপার্টা এমন হয়ে গ্যালো না , আজকের ল্যাপটপ-স্মার্টফোন যুগের কোন পোলায় প্রথম যুগের বিশালাকৃতির কোন কম্পিউটার দেখে যদি বলে, কোন হালায় এই বেসম্ভব সাইজের কম্পিউটার বানাইছে, হালারে পিডায় না ক্যান ?

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও উনার দল যা চেয়েছিলেন, যা বুঝতেন সেটা অনুযায়ী উনারা চেস্টা করেছেন; কিন্ত সেটার থেকে আরও বেশী ছিল মানুষের স্বপ্ন। কম্প্যুটার যারা বানায়েছেন, সবাই তাদের সন্মান করে, কিন্তু তাদের কম্প্যুটার মানুষ নাও চাইতে পারে; আইবিএম পারসোনেল কম্প্যুটার বাজার হারায়েছে, বিশ্বে প্রথম পিসি বানায়ে বাজারে টিকতে পারেনি, বাধ্য হয়েছে "লেনেভো"র কাছে বিক্রয় করে দিতে

১৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রশ্ন: আগরতলা মামলা কি শুধুই "গন্ডগোলের '৭১ এর মত ষড়যন্ত্র??

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগরতলা ষড়যন্ত্র নামে যে মামলা হয়েছিল, স্বাধীনতার পর, শেখ সাহেব তা মানুষের সামনে বলে পরিস্কার করে গেলে ভালো হতো; কোর্টে শেখ সাহেবের আইনবিদরা ষড়যন্ত্র হয়নি বলে প্রমাণ করার চেস্টা করেছে।

আইয়ুব খান বুঝতে পেরেছিল যে, ৬ দফার ফলে পাকিস্তান ভাংবে, হয়তো।

১৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৩

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
বিএনপি ক্ষমতায় এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলকে হিন্দুদের হল বানায়। তারা শিক্ষা ও সামাজিকতার ক্ষেত্রে বিভাজন তৈরি করে মুসলমানদের মধ্যে উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাব তৈরি করে।
বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতার রুপান্তর ঘটেছে, যারা সরকারের ভেতরে থেকেই দিনকেদিন শক্তিশালী হচ্ছে। তাই স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি রেখা টানা যাচ্ছে না ।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাপান, স্কানডেনেভিনান দেশ সমুহে মানুষে মানুষে হিংসা বিদ্বেষ কমে এসেছে, শিক্ষা ও জীবনের মান উন্নত হলে মানুষ অন্যের ক্ষতি করতে চাহে না; বিএনপি ছিল মুল বিপ্লবের বাহিরের মানুষজন।

বর্তমান সরকার মানুষে মানুষ প্রতিযোগীতা সৃস্টি করে মানুষকে ব্যস্ত রেখেছে।

১৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেকে এখনো ৬ দফা কি জানেনা এমন কি যারা ৬ দফা নিয়ে গবেশনা করে তারাও না ।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


৬ দফা আজ ইতিহাস, কিন্তু রাজনীতিবিদদের ৬ দফাকে জানা দরকার।

১৯৭২ সালে, ৬ দফাকে নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন করে আপডেট করার দরকার ছিলো; কিন্তু শেখ সাহেব নিজের ৬ দফার কথা পুরোপুরি ভুলে গেলেন; উনার ৬ দফার মননকে যদি ১৯৭২ সালে ব্যবহার করতেন, মানুষের সাথে উনার সম্পর্ক সব সময় অটুট থাকতো, মাঝখানে ইঁদুর ঢুকতে পারতো না।

১৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৩৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হয়।

শেখ সাহেব মানুষকে দেশ গড়ার দায়িত্ব দেননি।

১৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

লেখা পাগলা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে, শেখ সাহেব ও জনতার মাঝে একটা শুন্যতার সৃস্টি হয়েছিল।

১৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
নিউইয়র্ক টাইমস প্রত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে “ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, তবে তাদের দাবী অনুযায়ী সব পরিবর্তন করা হয়নি”।
এই খবর প্রচারের মাধ্যমে নিউইয়র্ক টাইমস বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে প্রমান করতে চইছে। তবে পাঠ্য পুস্তকের এই পরিবর্তন অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নর জন্য যে একটি বড় ধাক্কা ,তা স্বীকার না করে উপায় নেই।এবং বিএনপি-ও পাঠ্য পুস্তকের পরিবর্তনে সন্তুষ্ট ,মানে হেফাজতের সহিত একাত্বতা প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি ছোট হলেও সরকার যেভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে নকি স্বীকার করছে, তাতে ভবিষ্যতে হেফাজতের দাবী অনুযায়ী আরও বড় কোন পারবর্তনও সরকার করতে পারে। তাই সরকারের সাম্প্রদায়িক শাক্তর সহিত এই আপোস অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন বাংলাদেশ-এর পরিপন্থি, তাই স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি রেখা টানার প্রশ্নই উঠেনা, আরও একটি যুদ্ধ আসন্ন মনে হচ্ছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরেকটা যুদ্ধ নয়, হত্যাকান্ড হতে পারে; যুদ্ধের নিয়ম থাকে, সোয়ন্য বাহিনী থেকে; এখন সিরিয়া, ইরাকে ও ইয়েমেনে যুদ্ধ হচ্ছে না, হচ্ছে হত্যাকান্ড।

পাঠ্য পুস্তক তৈরি করবে শিক্ষায় নিয়োজিত ;রিসার্চ ফেলোরা'; আমাদের পুস্তক কে তৈরি করছে, কেহ জানে না।
হেফাজতকে শেখ হাসিনা ম্যানেজ করে চলছে, যাতে ক্ষমতা ঠিক থাকে; উনার জন্য ক্ষমতায় থাকা বড় কথা, বাকীটুকু গৌণ।

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২২

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এটা পরিস্কার করা গেল যে, বঙ্গ রন্ধু ও জনগনের চাওয়া এক ছিলনা।। কিন্তু আপনি যা বুঝাতে চাচ্ছেন সেটা বুঝার মতো সক্ষমতাও জনগনের মাঝে তৈরী ঞযনি।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষের জন্য বেঁচে থাকাই একমাত্র সংগ্রাম; মানুষ যদি খাওয়া যোগাড় করতে জীবন ব্যয় করেন, ভাববেন কখন?

২০| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

শেয়াল বলেছেন: নয়া বোতলমে পুরানা জিনিস =p~

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা বোতলে আটকা পরেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.