নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঠ্য-পুস্তক নিয়ে বাংগালী বিজ্ঞানীদের মনোকস্ট

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৬



নিউইয়র্ক শহরে ট্যাক্সি ড্রাইবার হিসেবে প্রথমস্হানে এখন বাংগালীরা, সংখ্যায় ১০ হাজারের বেশী হবে; এদের অর্ধেকেরও বেশীর কমপক্ষে ব্যাচেলর বা তার থেকেও বড় ডিগ্রি আছে; এরা এখন বুঝতে পারে, পড়ালেখার মান সঠিক না হলে, বড় ডিগ্রিও সাহায্য করে না। তবে, এরা ভালো আয় করে, কম ট্যাক্স দেয়; ইমিগ্র‌েন্ট গ্রুপ হিসেবে ভালো করছেন। এদের অনেক বন্ধু-বান্ধব অফিসে আদালতে চাকুরী করেন; ফাইন্যান্সিয়েলী এরা ট্যাক্সী ড্রাইবার থেকে যে ভালো করছেন, তা নয়; সমস্যা হলো, যারা ড্রাইভ করেন, কালকে চাইলে তারা অফিসে একটা চাকুরী পাবেন না, কিন্তু অফিসের লোকজন ট্যাক্সিতে আসতে সময় লাগবে না।

এরশাদ যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন উনার বন্ধু, লিবিয়ার গাদাফি বাংলাদেশ থেকে আড়াই হাজার বাইওলোজির শিক্ষক চেয়েছিলেন, কয়েক হাজার লোকজন চেস্টা করেছিল, যেতে পেরেছেন কয়েক'শ, বাকীদের সমস্যা ছিল, সঠিকভাবে ইংরেজী বলতে পারতো না! এরা বাইলোজী কি উর্দু মিডিয়ামে পড়েছিল?

পড়ালেখা, বই, স্কুল, ইউনিভার্সিটি, শিক্ষক, পরিবেশ, সব মিলে শিক্ষার মান উপরে, নীচে যায়; একটাকে বাদ দিয়ে, একটাতে জোর দিয়ে শিক্ষার মান বাড়ানো সম্ভব নয়।

সম্প্রতিক, ২টি বিষয়ে ব্লগার থেকে মানুষ সবাই সোচ্ছার, ১টা হলো 'প্রশ্ন আউট', অন্যটা হলো, 'শিশুদের বইতে কি আছে'; শিশুদের বই নিয়ে মহা চিন্তিত; অংকে মাস্টার ডিগ্রির কোন সাবজেক্টে কি আছে, সেটা নিয়ে কেহ কিছু বলে না কেন? সহজ ব্যাপার, ঐ লেভেলে গেলে, সব পন্ডিত রাখাল ছেলের সমান হয়ে যায়।

শিশুদের বই নিয়ে ভাবনার কারণ হতে পারে, শিশু যেন ছোটকাল থেকে সঠিকভাবে বড় হওয়ার সুযোগ পায়; ভালো কথা, শিশুর আগামী ১৬ বছর কিভাবে যাবে, সেটা চিন্তা করার মাথা কার কার আছে? কে কে ১৬ বছর সামনে দেখছেন, হেফাজতের মোলভীরা, প্রশাসনের কেরানীরা, জামাতের রাজনীতিবিদরা, ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা, বিএনপি'র রিজভি সাহেব? এরা ১৬ দিন পর, নিজের কি হবে তাও জানে না, যতসব বিজ্ঞানী!

প্রশ্ন আউট বন্ধ কিভাবে বন্ধ করতে হয়, সেটা শিখতে নাহিদ সাহেবকে হয়তো ১০ বছর ট্রেনিং নিতে হবে।

শিশুদের, বা অন্যদের পড়ালেখায় কি থাকা উচিত? কোরিয়া, চীন, ইসরায়েল, পোল্যান্ড, নরওয়ে, যা যা পড়ায়, আমাদের তা পড়ানো দরকার। আমাদের পিএইডি'দের উচিত ওদের বইগুলোর অনুকরণ করে, আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে, পাঠ্য বই সংকলন করা।


মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা বিজ্ঞান থেকে দূরে সরে গিয়ে বাণিজ্যের চারিপাশে খাবি খাচ্ছি।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ছেলেমেয়েরা পড়ার সময়টা টেলিফোন, ফেসবুক ও আড্ডায় ব্যয় করছে; সামান্য পড়ে ভালো করার অপচেস্টা হিসেবে বিজনেস পড়ছে; তারাই আবার সবকিছুকে পণ্য বানাচ্ছে।

বিজ্ঞানের জন্য সময় দিতে হয়, চাপ সহ্য করতে হয়।

২| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

মিঃ আতিক বলেছেন: যেখানে সরকারী চাকরিতে বিনা পরীক্ষায় গোপনে নিয়োগ চলছে, সেখানে ফাঁস না হওয়া প্রস্নে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে ভালো ছাত্রছাত্রী হওয়ার দরকার কি? শিক্ষা জীবনে পরিশ্রম করে বুঝে পড়ে পাণ্ডিত্য অর্জনের তো একটা মানে থাকতে হবে।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী জাতি মানে আজকের সরকার নয়, এগুলো সাময়িক; এই সরকারের এই অবস্হা হওয়ার পেছেন কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা আছে।

আমাদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে, জাতির অংশ হিসেবে ভাবতে হবে; নতুন আলোকিত মানুষ সামনের দিনগুলোতে দেশ চালাবে, আমাদেরকে সুদিনের জন্য তৈরি হতে হবে।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: যে জাতির কপালে শিক্ষার চাইতে প্রতিরক্ষার বাজেট বেশি সে জাতির লোকজন বিদেশে গিয়ে ট্যাক্সিই তো চালাবে। কারণ কীভাবে ট্যাক্সি তৈরি করতে হ্য় সে শিক্ষাতো এ জাতির সন্তানেরা পায় নি।

দেশের উচ্চশিক্ষা যে কি ভয়ংকর অবস্থায় আছে তা অনুধাবন করার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হবে না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা গ্রাজুয়েশন শুরু করেই গাইড বই নিয়ে লাইব্রেরীতে দৌড়ায় কিছু হাউকাউ জিনিস মুখস্ত করে আমলা হওয়ার জন্য। এখানে জ্ঞান সৃষ্টির ধারে কাছেও কেউ নেই। না সরকার না অন্যরা।

এক অদ্ভুদ অবস্থায় রয়েছে এই উচ্চশিক্ষা।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সাল থেকে প্রতিটি তরুণকে বছরে ৪ সপ্তাহ করে মিলিটারী ট্রেনিং দেয়ার দরকার ছিলো; এতে শক্তিশালী ভলনটিয়ার মিলিটারী গঠন হতো, জাতি শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হতো।

আমাদের প্রতিরক্ষা শক্ত করতে গিয়ে শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব প্রাণ হরালেন; তারপরও কেহ কিছু শিখলো না।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৫

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হিসেব মতে দেশের স্কুল গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এদর মধ্যে অনেকেই হয়তো প্রাথমিক শিক্ষার পরেই ঝরে পড়বে। তবে এই বিপুল শিক্ষার্থীকে অন্তত সত্য/সঠিক শিক্ষা দেওয়া জরুরী।
পাকিস্থানে মালালা নামের এক বালিকাকে লেখাপড়া করার অপরাধে গুলি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলাম ৩ কোটি শিক্ষার্থীকে গুলি করতে পারছে না। ভিন্ন পন্থা হিসেবে তাদের পাঠ্য পুস্তকে পরিবর্তনের দাবী তুলেছে, যাতে ভবিষ্যত প্রজম্নকে একটি সাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন যারা হেফাজত মেফাজত করছে, এক সময় সরকার তাদেরকে শিক্ষা থেকে বন্চিত করেছে; তারা নিজ চেস্টায় মাদ্রাসায় কোন মতে সামান্য কিছু শিখেছে, যা আধুনিক বিশ্বের জন্য কিছুই না; তাদের কস্টের ইতিহাস তাদের মনে আছে, তাদের একটা ভুবন আছে, তারা তাদের দল বড় করতে চায়; কিন্তু বিশ্ব অনেক সামনে, তাদের মতো কেহ যেন বন্চিত না হয়, মানুষকে সেটা দেখতে হবে।

৫| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছোটদের বইগুলো খারাপ না। দেখেছি। আমাদের চাইতে ঠাল তবে এবারে নাকি ধর্ম গিলে খেয়েছে অনেককিছু।
একটা শিশুকে ধর্ম শেখানোর চাইতে বাস্তবজ্ঞান ও বিজ্ঞান ও শিশুতোষ সাহিত্য শেখানো বেশি জরুরি এটক মাথা মোটারা বুঝতে পারছে না।
প্রশ্ন ফাঁসের দায় নাহিদ সাহেব শিক্ষকদের দিছেন। কথা হইল ওরা প্রশ্ন পায় পরীক্ষ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে, তাইলে আগের রাতে প্রশ্ন এমন কেজি দরে বিক্রি হয় কেন?

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রশ্ন কি করে কন্ট্রোল করতে হয়, এসব ধারণার মানুষের অভাব নেই বাংলাদেশে; নাহিদ সাহেব কি করছে বুঝা মুশকিল; নাহিদ সাহেব ছাত্র রাজনীতি করেছেন, পড়ালেখা করার সময় পাননি, এখন সেটাই বড় সমস্যা, হয়তো।

সরকারীভাবে, বাচ্ছাদের বিশ্ব মানের শিক্ষা দেয়ার দরকার; ধর্মকর্ম পরিবারের সাথে শিখবে।

৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
আমি যতদুর জানি নাহিদ সাহেব সরকারী ভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এমন কোন বিজ্ঞপ্তি দেননি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট কোনদিন প্রকামিত হবে না।
তবে প্রত্রিকায় পড়েছি, অফ দ্যা রেকর্ড, সরকারের একজন দায়িত্বশীল লোক বলেছেন যে, প্রশ্ন ফাঁস বিষয়টি স্বীকার করলে আবার পরীক্ষা নিতে হবে,তখন যে আবার প্রশ্ন ফাঁস হবেনা তার গ্যারেন্টি কে দেবে। তাই মনে হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া ঠেকানো নাহিদ সাহেবের ক্ষমতার বাইরে।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রশ্ন ফাঁস, সাধারণ মেকানিক্যাল ক্রাইম; এটা থামাতে মাঝারী ধরণের "প্রবলেম সলভিং" মনের মানুষ দরকার মাত্র। নাহিদ সাহেব নিজেই ছাত্র রাজনীতিবিদ ছিলেন, জীবনে বই'এর সাথে দেখা হয়নি; উনি কি করে সমস্যার সমাধান করবেন?

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

মিঃ আতিক বলেছেন: অনেকে পাঠ্যবইয়ে ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, ধর্ম শিখে কেউ খারাপ হয়না। ধর্মের অংশটুকু বাদে বাকিটা পাঠ্য অংশ টা আধুনিক কিনা এটা দেখার বিষয়। আজকাল অনেক স্কুল পাঠশালা হয়েছে, এগুলো যখন ছিলোনা মানুষ চার্চ,মন্দির, মসজিদে পড়া শিখেছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম সাবজেক্ট সব সময় ছিলো, আছে। বাংলা বা অংকে ধর্মের প্রতিফলন ঘটানোর কিছু নেই। মানুষ সাজেসশন দিবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্পেশালিস্টদের।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন: শুধু বাচ্চাদের পাঠ্য বই না এদেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনার সিস্টেমেও সমস্যা আছে ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো স্নতকের বই বাংলায় রয়েছে ।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চয় জয়, তারেক, কোকো, ওবায়দুল কাদেরদের ছেলেমেয়ে, বা সলামান রহমানের নাতনী পড়ে না; সমস্যা কিসের আবার?

৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

ইউনিয়ন বলেছেন: :#) দেশ এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্হায় তুঘলকি এবং মুঘল কর্মকান্ড চলছে! দেশে যারা নিজেদের শিক্ষা+আবিদ হিসেবে জাহির করতে চাচ্ছেন তাদের প্রভাব সমাজে খুবই ক্ষীণ। সরকার তাদের গণার বাহিরে রেখেছে। ফলে তারা না পারছে নিজেরা কিছু করতে না পারছে সরকার কে কিছু করাতে বাধ্য করতে।

আরেক দল আছে যাদের শিক্ষা এবং এ শিক্ষা ব্যবস্হাপণা বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকা সত্বেও তারা পাঠ্য সূচি প্রণয়ণে সাজেসন্স প্রদান করেন। তারা শিক্ষা ব্যবস্হা বলতে বোঝেন অসাম্প্রদায়িক আর সাংস্কৃতিক চেতনা। তাদের আবার এক পাশ্বে জোড় বেশি, সেটি হল মিডিয়া। মিডিয়া তাদের বক্তৃতা হাই লাইট করে প্রচার করে। অথচ তাদের কে যাত্রাপালার মঞ্চে ভাল করার কথা ছিল। সেখানে তারা মহা ফ্লুপ! জন গণের উপর তাদের প্রভাব নেই। মিডিয়া তাদের বড় সম্পদ।

আরেক দল আছে যারা উপরের গ্রুপের কর্মকান্ডে নাখোশ হয়ে নিজেরা শিক্ষাবিদ হয়ে পাঠ্য সূচি এবং সিলেবাস প্রণয়ণে প্রেসক্রিপশন দেয়। তাদের বড় শক্তি এদেশের ধর্মকারী জনগণের সহমমর্মিতা। ফলে সরকার তাদের দেয়া প্রেস ক্রিপশন অনুযায়ী দাওয়াই দিতে বাধ্য হয়।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার ও ব্যুরোক্রেটরা পড়ালেখা সম্পর্কে মানুষের সেন্টিমেন্ট ও বিদ্যার জোর শুনে, ব্যবস্হা নিয়েছে: নিজেদের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াচ্ছে; দেশের পড়ালেখার উপর ব্যবসা করছে।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: পিথিবীতে এত দেশ, কিন্তু আমার শুধু আমেরিকা যেতে ইচ্ছা করে।

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকান সাধারণ মানুষ সবার থেকে উদার

১১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: বাংলাটাই তো এখনো মানুষ সঠিক ভাবে বলতে পারে নাহ।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর, ৪৫% নিজের নাম লিখতে পারে না; শিশুদের বই নিয়ে মাথা ব্যথা!

১২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪২

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
যাই হোক , মন্তব্য করতে গিয়ে মনে পড়ে গেল, বিগত বইমেলায় সমাপনী অনুষ্ঠানের সরকারের কোন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি বা কোন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি ভাষন দিচ্ছিলেন ( আমি মঞ্চ থেকে অনেক দূরে ছিলাম বলে ঠিক বুঝতে পারিনি)।
তিনি বলছিলেন ,পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বইমেলায় শুধূ বই বেচাকেনা হয়, কিন্তু আমাদের দেশের বইমেলা হচ্ছে উৎসব, বই এখানে মূল বিষয় নয়। ভাষন শেষে তিনি হয়তো সেলফিও তুলেছেন। উনার জ্ঞানের প্রসংশা না করে পারলাম না, এরাই যখন দেশের বুদ্ধিজীবি, দেশের কর্নধার,সেই আজব দেশে পাঠ্য পুস্তক-এর অবস্থা কি হবে তা বলাই বাহুল্য ।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে শিল্পমেলায় যেই পরিমাণ লোক হয়, আমেরিকায় এত লোক কোথায়ও একত্রিত হয় না; ঢাকায় মানুষের যাওয়ার মত কোন যায়গা নেই; তাই, এত মানুষ আসে মেলায়; ট্রাক একসিডেন্ট হলেও ২/৩ শ জন দর্শক হয়।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আজ জম্মার নামাজে একদিকে খুৎবা হচ্ছে অন্যদিকে আমি বেচারা দুপুরে কি খাবো তাতেই মগ্ন!! ইমাম রেছে ইমামের কাজ, আমারটা আমি।।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্যরি, ওখানে খাওয়া কি সমস্যা? প্রবাস চিরদিন কস্টকর।

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মুল্যবান একটি বিষয়ে লিখার জন্য ।

দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য কারিকুলাম ও পাঠ্য ব্‌ই লিখা বা বিভিন্ন জনের লিখা হতে ভাল ভাল লিখাগুলি নিয়ে সম্পাদনা পুর্বক পাঠ্য বই তৈরী করে তা ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়ার দায়িত্ব ন্যস্ত আছে National Curriculum and Text Book Board (NCTB) এর উপর । কিন্তু এ ব্যপারে তারা ক্রমাগত ব্যর্থতা প্রদর্শন করেই চলেছেন। তারা সচেষ্ট হলে অন্যান্য অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ এই সামুর পাতা হতেই পেতে পারতেন অনেক ভাল ভাল লিখা, বিভিন্ন বিষয়ের উপরে মুল্যবান প্রবন্ধ , নিবন্ধ, ফিচার , গল্প কবিতা, ভ্রমনকাহিনী, যেগুলি ছাত্রদের প্রয়োজন মিটাত যুগের চাহিদা অনুসারে ।

এখানকার লিখাগুলি সংক্ষেপে ও প্রয়োজনীয় চিত্র বা ছবির সাহায্যে যত সহজ করে পাঠকের জন্য লিখা হয় তা থেকে স্কুল কলেজের ছাত্ররা পেতে পারত অনেক সহায়তা যা তাদের বর্তমান বই হতে পাওয়া যায়না সহজে ।

National Curriculum and Text Book Board (NCTB) এর আরো একটি বড় দুর্বলতা রয়েছে, তাহলো তাদের
existing strategies and programmes for overall development of education and its quality are inadequate and inappropriate. Education systems are not equipped to manage learners
from diverse backgrounds and with individual needs. দেশের বিদ্যালয়গুলির সাথেও নেই তাদের যোগাযোগ বা ফিডব্যাক । তাই এ মহুর্তে যা প্রয়োজন তা হল শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মানের পুথিপুস্তক পাওয়ার ব্যপারে কোন পরিবর্তন ও উন্নতি সাধন করতে হলে National Curriculum and Text Book Board (NCTB) এর মধ্যে একটি বড় পুর্ণগঠন প্রয়োজন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ব্লগ জগত হতেই তারা পেতে পারেন পাঠ্যপুস্তকের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহ বিশেষজ্ঞগন । :)

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


National Curriculum and Text Book Board (NCTB)'তে কাহারা আছেন কে জানে! এদের ব্যাপারে আমার ধারণা নেই। তাদের একটা কাজ করা দরকার, মানুষ যাহা সাজেস্ট করে, তারা শোনার ব্যবস্হা করতে পারে; সাথে সাথে মিডিয়াতে মোল্লা ইত্যাদিকে শিক্ষা নিয়ে মাথা না ঘামানোর জন্য কিছু ব্যবস্হা নি্তে পারে। মিডিয়ায় অশিক্ষিতদের শিক্ষা নিয়ে চিৎকার বাকীদের চিন্তিত করে তোলা।

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কী অবস্থা? আছেন কেমন?

১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গতকাল আপনার কথা ভাবছিলাম; আশাকরি ভালো আছেন।
আমি ভালো আছি।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পোস্টগুলো ব্লগে রাখুন, ব্লগারেরা পড়ুক।

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

টুনটুনি০৪ বলেছেন: দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য কারিকুলাম ও পাঠ্য ব্‌ই লিখা বা বিভিন্ন জনের লিখা হতে ভাল ভাল লিখাগুলি নিয়ে সম্পাদনা পুর্বক পাঠ্য বই তৈরী করে তা ছাত্রদের হাতে তুলে দেয়ার দায়িত্ব ন্যস্ত আছে National Curriculum and Text Book Board (NCTB) এর উপর । কিন্তু এ ব্যপারে তারা ক্রমাগত ব্যর্থতা প্রদর্শন করেই চলেছেন। তারা সচেষ্ট হলে অন্যান্য অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ এই সামুর পাতা হতেই পেতে পারতেন অনেক ভাল ভাল লিখা, বিভিন্ন বিষয়ের উপরে মুল্যবান প্রবন্ধ , নিবন্ধ, ফিচার , গল্প কবিতা, ভ্রমনকাহিনী, যেগুলি ছাত্রদের প্রয়োজন মিটাত যুগের চাহিদা অনুসারে । অন্তত আলী ভাইয়ের নিবন্ধ পাঠ্যতালিকা ভুক্ত হওয়ার যোগ্য। এমন আরো অনেকেই আছেন যাদের মূল্যায়ন করা যেতে পারে।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

শিক্ষানীতি আসলে একেবারে সাধারণ কিছু নয় যে, তা মানুষের কথায় চলে; আমাদের শিক্ষা নীতি হলো বৃটিশ কলোনিয়েল সিস্টেমের মতো, "বাবার পয়সা আছে পড়, না হয়ে শারীরিক কাজ কর"।

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যোগ্যতা তৈরী না হলে এমন শিক্ষা ব্যবস্থার দরকার কি?

১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটা বিরাট প্রশ্ন, সেটা সরকার, ব্যুরোক্রেসী ও পার্লামেন্ট দেখে; এই ৩টা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আছে। সেক্রেটারীদের এমন যোগ্যতা যে, ওদের ১৪ গোস্ঠী যাতে চলতে পারে, সেই পরিমাণ সম্পদ ওরা দখল করে; বাকী ২টি কি করছে দেখছেন।

এখন পুলিশের ছেলেও বিদেশ পড়ে; দেশে যারা পড়ে, ওদের যোগ্যতা পরিবারের হাতে।

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
শিশুদের, বা অন্যদের পড়ালেখায় কি থাকা উচিত? কোরিয়া, চীন, ইসরায়েল, পোল্যান্ড, নরওয়ে, যা যা পড়ায়, আমাদের তা পড়ানো দরকার। আমাদের পিএইডি'দের উচিত ওদের বইগুলোর অনুকরণ করে, আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে, পাঠ্য বই সংকলন করা।"- এগুলো বললে হেফাজত আর চরমুনাই খেপা দিবো!!!!!

১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



চর মুনাই পুনাইকে অনেক আগেই পীর ব্যবসা থেকে সরানোর দরকার ছিলো; এ যুগে পীর ব্যবসা করতে দেয়া, মানে মানুষের ক্ষতি করতে লাইসেন্স দেয়া।

হেফাজতের সৃস্টি হয়েছে শেখ সাহেবের অন্যায়ের কারণে; গরীবের ছেলেদের স্কুলে যাবার আইন না করাতে সেইসব ছেলেদের সামান্য অংশকে মাদ্রাসা নিয়ে গেছে, চাঁদা তুলে পড়ায়েছে; মাদ্রাসা ওদের কাছে শেখ সাহেব থেকে বড়।

১৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

আল ইফরান বলেছেন: NCTB তে আমার এক আত্নীয়ের চাকুরীর সুবাদে আমি যতটুকু জানি তাদের পলিসি বাস্তবায়নের একটা বড় অংশ বিভিন্ন প্রজেক্টের (বৈদেশিক দান-নির্ভর অবশ্যই) মাধ্যমে আসে। নিজস্বতা ও স্বয়ংসম্পুর্ণতার অভাব আমাদের পাঠ্যবইগুলোতে দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি কোনদিন নিজকে নিয়ে গর্ব করতে পারলো না ভিক্ষুকদের জ্বালায়; এখন কেন বৈদেশিক সাহায্যের দরকার?

২০| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: খুবই ভাল লাগল লেখাটা। কিন্তু আমি এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আগে অনেক ঘাটতাম। এখন আর ঘাটি না। কারণ ওনাদের সন্তানেরা এদেশে পড়াশোনা করে না। সুতরাং এদেশের সন্তানদের পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য, হানিফ ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য, মহাখালী ফ্লাইওভারের স্প্যান সংখ্যা মুখস্থ করালেই হবে। তাইতো ব্যাংক হ্যাক হয়ে যায় বলতেও পারে না।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার ও প্রশাসনের লোকজনের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়ছে; তাই উনারা শিক্ষকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন।

২১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সম্প্রতিক, ২টি বিষয়ে ব্লগার থেকে মানুষ সবাই সোচ্ছার, ১টা হলো 'প্রশ্ন আউট', অন্যটা হলো, 'শিশুদের বইতে কি আছে'; শিশুদের বই নিয়ে মহা চিন্তিত; অংকে মাস্টার ডিগ্রির কোন সাবজেক্টে কি আছে, সেটা নিয়ে কেহ কিছু বলে না কেন? সহজ ব্যাপার, ঐ লেভেলে গেলে, সব পন্ডিত রাখাল ছেলের সমান হয়ে যায়।।
আসলে ভার্সিটি পর্যায়ে যেয়ে মাথায় ওই একটাই চিন্তা থাকে, চাকুরী ধরতে হবে!! শিক্ষা গভীর ভাবে নেয়া হয়না। আর বিষয় গুলো নিয়ে টিচারদেরও কোনো চিন্তা নেই!!

শিশুদের, বা অন্যদের পড়ালেখায় কি থাকা উচিত? কোরিয়া, চীন, ইসরায়েল, পোল্যান্ড, নরওয়ে, যা যা পড়ায়, আমাদের তা পড়ানো দরকার। আমাদের পিএইডি'দের উচিত ওদের বইগুলোর অনুকরণ করে, আমাদের সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে, পাঠ্য বই সংকলন করা।
এবেপারেও আমরা অনেক পিছিয়ে, আমরা বিদেশী শিক্ষা অনুসরণ করিনা করি পোশাকের অনুসরণ! কত কম পরা যায় আরকি!! হাস্যকর.....!!!!!

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হয়, বাংগালীরা বিদেশী শিক্ষা অনুসরণ করে না; বাংগালীরা বিদেশী কিছু সহজে অনুকরণীয় বিষয় অনুসরণ করেন, যা অনেক সময় আমাদের জীবন ও সংস্কৃতির সাথে মিলে না।

২২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বিজ্ঞান শিক্ষা তো এদেশে প্রাশ্চাত্যের আমলেই রয়ে গেছে! আসলে কাকে দোষ দিবো? কারোরই পৃষ্ঠপোষকতা নেই!

১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিজ্ঞান শিক্ষা অন্য অনেক সাবজেক্ট থেকে কঠিন ও শ্রমসাধ্য; এজন্য বিজ্ঞান-শিক্ষা নিয়ে সরকারকে আলাদা প্রগ্রাম নেয়ার দরকার।

২৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সরোজ মেহেদী বলেছেন: ভাইও, কে করবে? এসব করতে গেলেইতো যারা দায়িত্বে আছেন তাদের ভাগে টান পড়বে, দুপুর দুপুর বাড়ি ফেরা বন্ধ হয়ে যাবে, অলস মাথা গরম হবে। ভারতরে কতভাবে আমরা ভ্যাঙ্গাই কখনো কি তাদের অর্জনগুলো থেকে শিখি। জাস্ট শ্রিলংকার মতো একটা দেশ খুব নিরবে কোথায় চলে যাচ্ছে, ভিয়েতনাম কোথায় চলে গেল শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে।

১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের দেশ তথাকথিত ছাত্র রাজনীতিবিদরা সবকিছু চালাচ্ছে; এগুলো আসলে ঘোড়াও না, গাধাও না, মাঝামাঝি কিছু একটা।

২৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:১০

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আর কত এক্সপেরিমেন্ট করলে আমরা পাব সঠিক শিক্ষার দিশা!!!

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা অন্যদের লেজ ধরার চেস্টা করবো আজীবন, সব সময় পেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.