নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল ধর্মীয় মানুষই সামাজতান্ত্রিক রাজনীতিকে ভয় পায়

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:১২



ধর্মীয়রা প্রথমত: জ্বীন ও ভুতকে ভয় পায়; জ্বীন ও ভুতকে যারা ভয় পায়, তারা কাকে ভয় পাবে, কাকে ভয় পাবে না, তা নির্ধারণ করা একেবারেই অসম্ভব। অনেক আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, লজিকে বিশ্বাসী মানুষও জ্বীন-ভুতকে ভয় পায়; এদের ভয়, জ্বীন-ভুতে বিশ্বাস ধর্মীয়দের থেকে কিভাবে আলাদা? আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের জ্বীন-ভুতের ভয় মানসিক; আর ধর্মীয়দের ভয় ধর্মীয় বই অনুসারে প্রতিষ্ঠিত। বাংগালীদের জীবন জুড়ে জ্বীন-ভুতের বিশাল প্রভাব আছে; এবারের বই মেলায় নাকি অনেক বই বের হয়েছিল; এমন কি ড: জাফর ইকবালও বোধ হয় এই ধরণের বই বের করেছেন; মনে হয়, ব্যবসা্য়িক মনোভাবের কারণ, কিংবা শিশুদের কাছে নিজকে বেকুব প্রমাণ করার চেস্টা!

যারা ধর্ম-চর্চা করেন, তারা ধর্মের শুরুর টাইম-লাইন, স্হান ও পাত্রকে ধর্মীয় জীবনের কেন্দ্রে ধরে রাখেন, তারা আধুনিক বিশ্বে থেকেও পুরানো দিন গুলিকে সুদিন হিসেবে দেখানোর চেস্টা করেন; ইহুদীরা ঘুরেফিরে ৩৫০০ বছর আগের ঘটনাসমুহকে আলোকিত করেন, জেরুযালেম, হযরত মুসাকে সবকিছুতে দেখতে চান; ঠিক একই কথা মুসলমানদের বেলায়, খলীফা ওমরের সময়, সালাদিনের বিজয়; শুধু খৃস্টানরা ক্রমেই জেরুযালেমের উপর দাবী কমিয়ে এনেছে।

ধর্মীয়দের ভয়, নতুন যেই কোন ভাবনাই ধর্মের বিপক্ষে যাবে। ওরা শ্রমজীবি মানুষের জীবনের উপর লিখিত উপন্যাসকেও ভয় পায়; কিন্তু আকবরনামার কথা শুনলে আনন্দিত হয়ে থাকেন।

আধুনিক মানুষ সভ্যতাকে বদলায়ে দিয়েছেন; সর্ব বিষয়ে মানুষ এমন জ্ঞান ঊপার্জন করেছেন যে, আগের সময়গুলো মানুষের জন্য বেঁচে থাকার সংগ্রাম ও কস্টের ইতিহাস হিসেবে গণ্য হচ্ছে। ১৭৯৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের সমাপনের মাঝ দিয়ে, বিশ্বের রাজতন্ত্র ক্রমেই গণতন্ত্র-মুখী হয়েছে; রাজতন্ত্রের অর্থনীতি দ্রুত ক্যাপিটেলিজমের রূপ ধারণ করেছে; সেই সময়ের জন্য ক্যাপিটেলিজম রাজতন্ত্রের অর্থনীতি থেকে কোটীগুণে প্রগ্রেসিভ ছিলো। রাজতন্ত্রের শুরু থেকে, আজ অবধি মানুষ ধনীদের সমীহের চোখে দেখে; যদিও শতকরা ৮০ জন ধনের উৎস বুঝে না।

ক্যাপিটেলিজম এখনও অনেক দরিদ্রের জন্য একটা উৎসাহ, "একদিন আমিও ধনী হবো, সব গরীবদের সাহায্য করবো"। আসলে, তা প্রায়ই ঘটে না।

রাজতন্ত্রের সম্পদ যখন ক্যাপিটেলিজমের রূপ নিয়ে, সমাজে সুবিধাভোগীর সৃস্টি করছে, সেই সময়, ১৮৬৭ সালে কার্ল মার্ক্স অথনীতিতে মানুষর অধিকারকে নতুন করে ব্যাখ্যা করেন, এবং নতুন পথ দেখান যে, প্রায় সব মানুষেই অর্থনৈতিকভাবে সন্তুস্ট হওয়ার মত পথ আছে; সবার জন্য সমাজ সমান সুযোগের সৃস্টি করতে পারবে। এই অর্থনীতি সমাজের শ্রেণীগুলো বিলুপ্ত ঘটাতে সক্ষম। রাজতন্ত্রের সময়, ধর্মীয় পুরোহিতগণ রাজাদের পক্ষে অনস্হান নিতেন; রাজা নেই, এবার তারা ক্যাপিটেলিজমের পক্ষে; ক্যাপিটেলিস্টদের মতো, ধর্মীয়রাও শ্রেণীহীন সমাজ পছন্দ করেন না; ধর্মীয়রা, সব সময় নিজেদের সমাজের মাথা, সমাজের নেতা মনে করেন। নিউইর্কের বিশপ নিজকে ট্রাম্প থেকে ক্ষমতাবান মনে করেন।

ক্যাপিটেলিস্টরা সমাজতন্ত্রকে পছন্দ করার কথা নয়; তাদের সাথে ধর্মীয়রাও নাচছেন; আসলে, ধর্মীয়রা ভয় পান যে, মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হলে, ধর্মীয়দের কোন স্হান থাকবে না সমাজে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধার্মিকের কোন চিন্তাই করে না, ধর্মের বিরুদ্ধে।
তারা তাই, নতুন কিছু আনতেও পারে না।
জাফর ইকবাল ছোটদের জন্য লেখেন বলে লিখেছেন। বইটা পড়িনি। বলতে পারছি না কিছু। তবে,যারা তার বই পড়ে, তারা অন্তত লছিক ছাড়া চিন্তা করতে শেখে না

২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লজিক*

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মীয়রা নিজকে ব্যতিত সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখে

৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৯

মিঃ আতিক বলেছেন: অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীনতা অর্জনের পর ইউরোপ, আমেরিকা আবার জাতীয়তাবাদী হওয়ার চেষ্টা করছে। আরব অভিবাসীদের আগমনের পর ইয়োরোপীয়রা মুসলিম বিদ্বেষী হয়েছে এবং কট্টর পন্থি খ্রিষ্টান সংগঠন গুলো নতুন করে জনপ্রিয় হচ্ছে। ব্যাপারটা কি দাঁড়াচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তির পর ধর্ম নিয়ে মানুষ কিছুদিন উদাসিন ছিল আবার যখন অর্থনৈতিক অসুবিধার ব্যাপার আসছে ধর্মই এ থেকে রক্ষার প্রধান ঢাল হচ্ছে।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবরা যেকোন দেশের স্হানীয় সংস্কৃতিকে বিশ্রীভাবে সমালোচনা করে। মার্কেল ভয়ানক বিপদে পড়েছে সিরিয়ানদের নিয়ে; তার পার্টিও তাকে চাপের মাঝে রেখেছে আরবদের বিদায় করতে।

৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আসলে আমরা যত কথাই বলি না কেন, শেষ সময়ে জানাজার কামনাটা ঠিকই করি।। আহমেদ শরীফদের কথা না ভেবেই বলা যায়।।
ধর্মকে না টানলেও লেখাটি সুন্দর হতো।।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যদি বসুন্ধরার মত সব দখল করে ফেলেন, কিংবা ড: শহীদ উল্লাহ'র মতো হন, তাতে কোন অসুবিধা নেই, মৃত্যু ঠিক সময়েই আসবে।

কার্ল মার্ক্স কারো কবর নিয়ে কিছু বলেননি; উনি বলেছেন, " সমাজে সম্পদকে এমনভাবে বন্টন সম্ভব, যাতে সবাই উপকৃত হবে।"

আর যদি উনি এটা না বলে থাকেন, আমি বলছি!

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


চীনারা পদ্মাসেতু বানিয়ে দিচ্ছে, রাশিয়ানরা আনবিক চুল্লী; ওরা কেহ কি বিনা কবরে থাকবে?

আমি ধর্মকে টানি নাই; আমি বলছি যে, ধর্মীয়রা জ্বীন, ভুত ও সোস্যালিজমকে ভয় করে।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩২

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
কার্ল মার্কস-এর তত্ব-কে মানুষের সামনে ভূল ভাবে উপস্থাপন করে এবং মানুষের মধ্যে সমাজতন্ত্র এবং ধর্ম সাংর্ঘসিক এই তত্ব প্রচারের ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিন কে সার্থক বলতে হবে। তাদের “ গড ইজ ডেড, মার্ক্স ইজ ডেড” নামের একটি প্রবন্ধ আমি পড়েছি।
সেখানে লেখা কম্যুনিজমের দিন শেষ হয়ে গেছে, মানুষ কার্ল মার্কস-কে গড হিসেবে মানতে নারাজ। এই ধরনের নীতি বির্বজিত সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিদের উপর ভর করেই ক্যাপিটেলিজম টিকে আছে ।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কার্ল মার্ক্স একটা নতুন ধারণা দিয়েছেন মাত্র, "মানুষ শ্রম দিয়ে নিজের ও সমাজের উন্নতি করলে, জীবন সফল হবে, যদি মানুষের শ্রমে ১ জন, বা এক পরিবার লাভবান হয়, সেটা সমাজের জন্য হিতকর নয়"।

৬| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৫

কামালপা বলেছেন: সমাজতন্ত্র মারা গেছে; আপনি একটা মৃত তন্ত্র নিয়ে হাউকাউ করছেন?

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যাপিটেলিজম পুরো সভ্যতাকে নিয়ে মরবে; ক্যাপিটেলিজমের কারণে পারমানবিক যুদ্ধ হতে পারে।

৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০৬

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

সমাজতন্ত্র মারা গেছে, ভাল কথা। তো আপনারা এখন তৈরি করেছেন ধনতন্ত্র।
এই তন্ত্রে বলা হয়েছে কি সবাই স্বাধীন। কিছু লোক শ্রমিক, কিছু লোক পুঁজিপতি থাকবে। তার মধ্যে সকলে সমান। কিন্তু আবার সকলে সমান নয়। অদ্ভুত যুক্তি।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যাপিটেলিজম ভবিষ্যতের জন্য কোন সম্পদ রাখছে না, ওরা বিলিয়ন বছরের তেল ২০০ বছরে পড়ায়ে ফেলছে; সম্পদ ওদের পাগল বানিয়ে ফেলেছে; পুটিন মাটিসহ বিক্রয়ের চেস্টা করছে।

৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:২২

রাসেল সরকার বলেছেন: কমিউনিস্টরা মুসলমানদের ওপর যেসব গণহত্যা চালিয়েছে ইতিহাস তার যুগ-যুগান্তরে এর কোনো দৃষ্টান্ত প্রত্যক্ষ করেনি ।
তারা পূর্ব তুর্কিস্তানের ২ লাখ ৫০ হাজার মুসলমানকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ছিলেন অনেক চিন্তাবিদ, আলেম-উলামা এবং যুবক শ্রেণি। ১৯২৫ সালে চীনবিপ্লব সংঘটিত হয়। তখন ২ লাখ একুশ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়।
যুগোশ্লাভিয়া : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মার্শাল টিটো ২৪ হাজার মুসলমানকে হত্যা করে।
ক্রিমিয়া : বেলা কোনের (ইল্কষধ কড়যহ)-এর শাসনামলে কমিউনিস্টরা ১৯২১ সালে ১ লাখ মুসলমানকে হত্যা করে এবং ৫০ হাজার মুসলমানকে দেশান্তর করা হয়। ক্রিমিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তারের পূর্বে, দ্বিতীয় ক্যাটরিনার সময়ে মসজিদ ছিলো ১৫৫৪টি এবং মুসলমান ছিলো ৫ মিলিয়ন। কিন্তু কমিউনিস্টরা মুসলমাদের হত্যা করে, তাদের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, সাইবেরিয়ায় বিতাড়িত করে এবং মসজিদ ধ্বংস করে। অবশেষে ওখানে মুসলমানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ মিলিয়ন এবং মসজিদ অবশিষ্ট থাকে ৭০০টি। ১৯২০ সালে বলশেভিকরা ক্ষমতায় এসে সমস্ত মসজিদ বন্ধ করে দেয় এবং মুসলমানদের ওপর এবং ক্রিমিয়ার অধিবাসীদের ওপর ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়।
১৯২২ সালের ১৫ জুলাই ইঝভেৎসিয়া (ওুাবংঃরধ, রাশিয়ার সংবাদপত্র) তার বন্ধুদের উদ্দেশে (যেমন লেনিন) ক্রিমিয়ার দুর্ভিক্ষ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, এ বছরের জানুয়ারি মাসে দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয় ৩,০২,০৯০ জন এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুমুখে পতিত হয় ১৪,৪১৩ জন। মার্চ মাসে দুর্ভিক্ষ আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩,৭৯,০০০ জনে এবং তাদের মধ্য থেকে মৃত্যুবরণ করে ১২,৭৫৪ জন।
জুন মাসে দুর্ভিক্ষগ্রস্তদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯২০৬৩ জনে; কিন্তু তাদের মধ্যে কতোজন মারা গিয়েছিলো তা পত্রিকাটি উল্লেখ করেনি। [আল-ইসলাম ফি ওয়াজহিজ জাহাফিল আহমার, মুহাম্মদ আল-গাজালি, পৃষ্ঠা ১২৪] ১৯৪৬ সালে ক্রিমিয়ায় মাত্র অর্ধমিলিয়ন মুসলমান বেঁচে ছিলো। স্ট্যালিন তাদের সাইবেরিয়ায় দেশান্তর করেন। [আল-বালাগ, কুয়েত, সংখ্যা ৪৭৮, নভেম্বর, ১৯৭৮; আল-আফআল ইয়াহুদিয়্যা ফি মাআকিলিল ইসলাম, আবদুল্লাহ আত-তাল, পৃষ্ঠা ৪৮]
ককেশাস (চেচনিয়া এবং সারকাসিয়ান) : স্ট্যালিন ককেশাসের সমস্ত মুসলমানকে সাইবেরিয়া ও আজারবাইজানে দেশান্তর করে। তাদের মধ্যে ৮ লাখ চেচেন মুসলমান, ৩ লাখ কারাশাই মুসলমান এবং ২ লাখ ৫০ হাজার কালমুক মুসলমান। গোটা চেচনিয়ায় এখন একটি মসজিদও পাওয়া যায় না।
চেচনিয়ার সব মসজিদ ধসিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সেগুলোকে পশুশালা, সিনেমাহল, বিভিন্ন সংগঠনের অফিস, বিনোদনকেন্দ্র এবং ক্লাবে পরিণত করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকার অবশিষ্ট মসজিদগুলো সরকারকে শুল্ক প্রদান করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে মসজিদে লেনিনের কথা বলা যেতে পারে, মুসলমানরা এই মসজিদের জন্য প্রতিবছর ২৪ হাজার রুবল কর প্রদান করে থাকেন। তিনি অন্যান্য মসজিদকে পর্যটনকেন্দ্র ঘোষণা করেছেন।
পশ্চিম তুর্কিস্তান : পশ্চিম তুর্কিস্তানে মোট ৬০ লাখ মুসলমানকে হত্যা করা হয়। ১৯১৯ সালে পশ্চিম তুর্কিস্তান থেকে ২৫ লাখ মুসলমান পালিয়ে যান। ১৯৩৪ সালে কমিউনিস্টরা ১ লাখ মুসলমানকে হত্যা করে।
১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে ৫ লাখ মুসলমানকে হত্যা ও সাইবেরিয়ায় দেশান্তর করা হয়।
১৯৩৪ সালে ৯৩০০ হাজার মুসলমানকে দেশান্তর করা হয়।
১৯৫০ সালে ৭ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়।
১৯৩২ সাল থেকে ১৯৩৩ সালের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে ৩০ লাখ মুসলমান মারা যান। তাদের সংখ্যা নিরুপণ করা হয় এবং তা চীনের কাছে পেশ করা হয়।
১৯৫১ সালে ১৩,৫৬৫ জন মুসলমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[পশ্চিম তুর্কিস্তান সম্পর্কিত তথ্যগুলো জাতিসঙ্ঘে পেশকৃত প্রতিবেদন থেকে গৃহীত। আরো দেখুন : আল-আফআল ইয়াহুদিয়্যা ফি মাআকিলিল ইসলাম এবং আল-ইসলাম ফি ওয়াজহিজ জাহাফিল আহমার]
রাশিয়ার পারসংখ্যান থেকে এটা প্রমাণিত যে, স্ট্যালিন ১১ মিলিয়ন (১ কোটি ১০ লাখ) মুসলমানকে হত্যা করেছেন। বর্তমানে যেসব মুসলমানের আশঙ্কায় সোভিয়েত ইউনিয়নের উপলব্ধি ও সতর্কতা আরো বেড়েছে, তাদের সংখ্যা হবে প্রায় ৬০ মিলিয়ন। গত শতাব্দীর শেষের দিকে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০ মিলিয়নে। ইরানের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের বিস্তার ঘটছে।

ইসলামি শিক্ষা, মসজিদ এবং আলেম-উলামা
সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। তবে ধর্ম-শিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করার জন্য কেবল কিছু ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব তাত্ত্বিকভাবে অনুমোদিত। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কেবল একটি মাদরাসার অনুমোদন দেয়া হয়েছিলো। এটি হলো বুখারার মিরি গারব মাদরাসা। বন্ধ করে দেয়ার পর পুনরায় এটি চালু করা হয়।
কেবল এক রাশিয়াতেই ১৯৩১ সালে মসজিদ ছিলো ২৬২৭৯টি। বুখারা ও খিভার অসংখ্য মসজিদ বাদ দিয়েই মসজিদের এই সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র ঝড়ারবঃ ডধৎহবংি-এর ভাষ্য অনুযায়ী পরে মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত মসজিদ ছিলো মাত্র ১৩১২টি।
১৯৬৪ সালে ফরাসি ভাষায় তাশখন্দ সম্পর্কিত একটি বুলেটিন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয় যে, কাজখস্তানসহ গোটা মধ্য-এশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা মাত্র ২৫০টি।
আলেম-উলামা : ১৯১৭ সালে (বুখারা ও খিভা ব্যতীত) আলেম-উলামা ৪৫৩৩৯ জনের কম ছিলেন না। কিন্তু ১৯৫৫ সালে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮০৫২ জনে; কারণ তিরিশের দশকে অধিকাংশ আলেম-উলামাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
জাকাত প্রদান ছিলো নিষিদ্ধ। হজ করাও ছিলো অসম্ভব। ১৯৪৫ সালের পর হজের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত, এমনকি ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত হজ পালনকারী ব্যক্তির সংখ্যা একশোর বেশি ছিলো না। আর রমজান মাসের রোজা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ না হলেও কার্যত নিষিদ্ধ ছিলো। রোজা রাখা ছিলো অসম্ভব। অবশেষে কয়েকজন মুফতি মুসলমানদের এই ফতোয়া দিতে বাধ্য হন, তারা যেনো তিন দিন রোজা রাখে, যাতে তিন দিন ত্রিশ দিনের স্থলাভিষিক্ত হয়। এই তিন দিন হলো রমজানের ১ম, ১৫শ এবং ৩০শ দিন। [আল-মুসলিমুনা ফিল ইত্তিহাদিস সুফিয়াতি, পৃষ্ঠা ২৭৬ ও তার পরবর্তী]
ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা : কমিউনিস্টরা একটি সংঘ প্রতিষ্ঠা করে এবং এর নাম দেয় ¯্রষ্টাহীনদের সংঘ। যুদ্ধের পর রাজনৈতিক তথ্যপ্রচার সংস্থা গড়ে তোলা হয়। এর অধিকাংশ কর্মকান্ড- ছিলো ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই।
কাজাখস্তান অঞ্চল : কাজাখস্তান অঞ্চলে সংস্থাটি ১৯৪৬-১৯৪৮ সালের মধ্যে ৩০৫২৮টি বক্তৃতার আয়োজন করে। এর মধ্যে ২৩০০০ টি বক্তৃতাই ছিলো ইসলামের বিরুদ্ধে।
উজবেকিস্তান : ১৯৪১ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে ১০ হাজারেরও বেশি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
তুর্কমেনিস্তান : ১৯৬৩ সালে ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ হাজারেরও বেশি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
পুস্তক রচনা : ১৯৫৫-১৯৫৭ সালের মধ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৪ টি পুস্তক রচনা করা হয় এবং সেগুলোর ৮ লাখ কপি মুদ্রণ করে বিতরণ করা হয়।
১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২১৯টি পুস্তক ও বুলেটিন মুদ্রিত হয়।
পবিত্র কুরআন : রাষ্ট্রীয় কোনো কোনো কানুন আছে, যাতে বলা হয়েছে কারো কাছে পবিত্র কুরআন পাওয়া গেলে তাকে এক বছর কারাদ- দেয়া হবে।
—- আবদুস সাত্তার আল আইনি

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীদের হত্যা করেছে পাকিস্তানীরা; ইয়েমেনীদের হত্যা করছে সৌদীরা; সিরিয়ানদের মারছে শিয়ারা।

২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুগোশ্লাভিয়া, বুলগেরিয়া, আলবেনিয়া, ক্রিমিয়া দখল করেছিল তুর্কি ও তাতারেরা; সেখানে তারা রক্তপাত ঘটায়েছিল; পরে তারা সেজন্য মুল্য দিয়েছে, মনে হয়; এগুলো ছিল যায়গা দখল নিয়ে মারামারি।

৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৩১

পথে-ঘাটে বলেছেন: সকল ধর্মীয় মানুষই সামাজতান্ত্রিক রাজনীতিকে ভয় পায়।

যদি আপনার কথা সত্য হয় তাহলে বলতে হবে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পনের টুকরো হয়েছে ধর্মীয় কারণে। রাশিয়ার জনগণ সমাজতন্ত্র চাইনি সেটাও ধর্মীয় কারণ। রাশিয়ানরা শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে দিয়েছে সেটাও ধর্মীয় কারণ। পৃথিবীতে কার্ল মার্ক্সের মতবাদ বিরোধী অর্থাৎ সমাজতন্ত্র বিরোধী যত রাষ্ট্র আছে তাদের বিরোধিতার কারণও ধর্মীয়।

হুম হতে পারে পৃথিবীতে সমাজতন্ত্র টিকে থাকতে না পারার বড় কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হল ধর্ম। কারণ তারা দেশে দেশে জোর পূর্বক সমাজতন্ত্রকে চাপিয়ে দিয়েছিল। এক পর্যায়ে সেটা ধর্ম বিরোধিতায় পর্যবসিত হয়। যার ফলে শুধু মুসলমানদের পক্ষ থেকেই নয় বরং অন্যান্য ধর্ম থেকেও প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল। আর এই ধর্ম বিষয়ক অস্ত্রটা খুব ভাল ভাবেই ব্যাবহার করতে পেরেছিল আমেরিকার নেতৃত্বে পুঁজিবাদী জোট।

সমাজতন্ত্রিক রাষ্ট্রের পতনের আরও একটি প্রধান কারণ ছিল, ভিন্ন মতের দমন। সাইবেরিয়ার রুশ বন্দী শিবির থেকে পলাতক এস্টোনীয় লেখক এমাস্তে এলভার লেখা ‘দি লং নাইট’-এর ইংরেজি অনুবাদটি পড়লে বুঝতে পারবেন ভিন্ন মতের উপর কি পরিমাণ অত্যাচার করেছিল সমাজতন্ত্রের তৎকালীন ধ্বজাধারীরা। চিরন্তন এক প্রামাণ্য কাহিনী। এস্টোনীয় জনসংখ্যার এক-দশমাংশ মানুষ সাইবেরিয়ার সোভিয়েত বন্দী শিবিরে কিভাবে হারিয়ে গেল, তার এক মর্মন্তুদ চিত্র গ্রন্থটি। এবং ফুটে উঠেছে একজন পরাধীন দেশপ্রেমিকের অন্তর্জ্বালার কথা।

আর দয়া করে সমাজতন্ত্রকে ধর্ম বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করা বন্ধ করুন। প্রথম দেখায় কারো বিরুদ্ধে কথা বললে সেও আপনার বিরুদ্ধেই কথা বলবে। আপনার মাঝে যে ভাল গুণটি সেটা অদেখাই রয়ে যাবে স্রেফ বিরোধিতার কারণে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.