নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহরের বাহিরের স্কুল ও কলেজগুলোতে সায়েন্সের ছাত্র খুবই কম

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮



গত কয়েক বছরে, গ্রামের স্কুল ও কলেজে সায়েন্সের ছাত্র খুবই কমে গেছে; স্কুলের বাচ্ছারা নিজেদের উপর আস্হা হারিয়ে ফেলছে, তারা ধরে নিচ্ছে যে, তারা সায়েন্সে পড়ে ভালো করতে পারবে না, সায়েন্স কঠিন। যারা ক্লাশের জন্য ভালো ছাত্র, তারা "ফাঁস করা প্রশ্নে" উত্তর দেয়ার পর, নিজেদের ক্ষমতাকে নিজেরাই আর অনুধাবন করতে পারে না। তাদের মনে একটা শংকা এসে ভর করেছে যে, তার রেজাল্ট ভালো হয়েছে শুধুমাত্র প্রশ্নপত্র আগে হাতে পাওয়াতে।

যারা "ফাঁস করা প্রশ্ন" দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে, তাদের ৮০% একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে নকল করে। যদিও প্রশ্নপত্র পাবার পর, ভালো ছাত্ররা দেখেছে যে, সব প্রশ্নের উ্ত্তরই তারা পারে, কিন্তু যাতে সে আরো ভালোভাবে লিখতে পারে, এবং কিছু ভুলে না যায়, সেজন্য তারা উত্তর প্রস্তুত করে নেয় নকল হিসেবে।

অস্টম শ্রেণী ও এসএসসি'তে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর, অসৎ শিক্ষক ও টিউটরেরা প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর ছাত্রদের দিয়েছে বেশীভাগ ক্ষেত্রে; যেসব ছাত্রছাত্রী ফাঁসকরা প্রশ্নের উত্তর নিজেরা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে পারবে না ভেবেছে শিক্ষকেরা, সেইসব ছাত্রকে পরীক্ষার হলেও লিখিত উত্তর যোগাড় করে দিয়েছে অনেক অসৎ শিক্ষক।

যেসব শিক্ষকেরা অসদুপায়ে ছাত্রদের পাশ করতে সাহায্য করছে, তারা এসব ছাত্রদের মেধাকে মোটেই মুল্য দেয় না; মানসিকভাবে ধরে নেয় যে, এগুলো গর্দভ; এসব শিক্ষকেরাই ছাত্র ও তাদের পিতামাতাকে বলেন যে, এরা সায়েন্সের মতো কঠিন সাবজেক্ট পড়ে ভালো করতে পারবে না।

উত্তর চট্রগ্রামের একটি কলেজ বিশেষভাবে চেষ্টা চালায়েও( হেড-হান্টিং) এইচএসসি সায়েন্স গ্রুপের জন্য পরিমিত ছাত্র পায়নি; অনেক উৎসাহ দিয়ে ও বুঝায়ে ভর্তি করার পর, ২/৩ মাসের ভেতর বেশীর ভাগ ছেলেমেয়ে কমার্স ও আর্রটস গ্রুপে চলে গেছে।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার কথা পুরো সত্য অথবা প্রায় সত্য!


কিন্তু সমস্যা হলো আমরা( পড়ুন রুইকাতলারা) সেই সত্য মানিনা

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমাজের অনেকেই চাচ্ছে যে, গ্রামের ছেলেরা সৌদী যাক, মেয়েরা গার্মেন্টস'এ আসুক। বাংলাদেশে পড়ালেখা নিয়ে পরিবারে পরিবারে প্রতিযোগীতা চলছে।

চট্টগ্রামের গ্রামে যাদের হাতে টাকা দেখছেন, এদের অনেকেই আদম ব্যাপারী।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: শিরোনামে যা বললেন তা একদম সত্য, অনেকেই সায়েন্স নিতে চায় না বা সাইন্সে পড়াশোনার মান ভালো না।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সায়েন্স ছাত্রদের ভাবনাশক্তিকে প্রসারিত করে, প্রতিটি বিষয়কে লজিক্যালী ভাবার সামর্থ গড়ে তোলে। নতুন ভাবনা বিশ্বকে বদলাচ্ছে প্রতিদিন; জাতির একটা অংশ হলেও সেই মহাজ্ঞানের অংশ হতে হবে; সেখানে আমাদের উপস্হিতি কমে যাওয়া মানে আমরা আরো পেছনে পরে যাবো।

৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা জাতীয় সমস্যা, এটার সমাধান দরকার এখুনি; এটার সমাধান সরকার চাইলেও সহজে দিতে পারবে না।

৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাঝারী মানের মেধাবীদের সাইন্স না নেওয়াই উচিত। সবাই তো আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবে না? বরং ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর্টস/কমার্স পড়ে পাশাপাশি কারিগরি জ্ঞান নিলে ভবিষ্যতে দেশে কিংবা বিদেশে ভালো করতে পারবে।
বাংলাদেশের সাধারণ চাকুরির জন্য তূলনামূলকভাবে কঠিন 'বিজ্ঞান' নেয়ার দরকারই বা কি? আর যারা মেধাবী তারা অজ পাড়াগাঁয়ে থাকলেও ঠিকই উঠে আসবে...

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সায়েন্সে পড়লে যে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে তা মোটেই সঠিক নয়; অর্থনীতি, ফিলোসফি, স্ট্যাটিসটিকস, ফার্মেসী, বাইোলোজী, পদার্থবিদ্যা, কেমেস্ট্রী, অংক সবকিছুতেই সায়েন্স দরকার।

দেশে যে গার্বেজ রাজনীতি হচ্ছে, সেটা সায়েন্স নলেজের অভাবে। আধুনিক বিশ্বে সেরা লেখক, কবি সবাই সায়েন্সের ছাত্র।


৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সায়েন্স খাতা কলমে শিখার বিষয় নয়। এর জন্য দরকার এক্সপেরিমেন্ট। আমাদের দেশে অনেক স্কুল কলেজে এইসব এক্সপেরিমেন্ট টুলস আছে কিনা আমার সন্দেহ!!! আমরা সায়েন্স এর নামে ল্যাব গুলোতে ছাএদের নিয়ে পিকনিক খেলি।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার ও শিক্ষকেরা পড়ালেখার যত্ন নিচ্ছে না; সরকার এই খাতে টাকা ব্যয় করছে না; পার্টির লোকদের ছেলেমেয়েরা ল্যাব-ওয়ালা স্কুলে এ-লেভেল ও-লেভেল করছে, বিদেশে পড়ছে।

এখন নাগরিকদের নিজের টাকায় ছেলেমেয়েদের বড় করতে হবে, ল্যাব প্রতিষ্টায় পরিবার প্রতি ১০০ টাকার নীচে খরচ হবে।

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৫

বার্ণিক বলেছেন: জ্ঞানার্জন যেখানে মুখ্য নয় সেখানে বিজ্ঞান কলা মুলা সব সমান।

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জ্ঞানার্জনের জন্য সরকার, পরিবার ও শিক্ষালয়ের একই প্ল্যানে কাজ করার দরকার; সেটা হয়ে উঠছে না: সরকার উৎসাহী নয়, ৬০% পরিবার জানে না তাদের ছেলেমেয়েরা কি পড়ছে, শিক্ষকদের বিরাট অংশ চাকুরী না পেয়ে ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়েছে; এগুলো সমাধান আমাদের হাতে এখন।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: পদার্থ বিজ্ঞান পড়ে হয় ব্যাংকার, বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে হয় কর কর্মকর্তা। ইভিনিং এমবিএর ছাত্রদের বড় অংশ সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের। এদেশে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ খুবই সীমিত। খামাখা কঠিন বিষয় পড়ে সময় নষ্ট করার দরকার কি?

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেহেতু দেশে চাকুরী প্ল্যান মাফিক কর্ম সৃস্টি হচ্ছে না, বেকারত্ব বড় সমস্যা, এই অবস্হায় এভাবে চলবে; এগুলোর সমাধান সায়েন্সের লোকজনই করবে; অন্যদের পক্ষে এগুলোর সমাধান দেয়া সম্ভব হবে না। ফলে, এখন কিছু বেশী সময় দিতে হবে।

গাছ রোপনের পর অপেক্ষা করতে হয়।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: ক্লাসে সাইন্সের ছাত্র ছাত্র না আসার কারন শ্রেণি শিক্ষকদের ইন্টারনাল পলিটিক্স অনেক দায়ি এক্ষেত্রে লোভ অনেকটা কাজ করে ।
আমি যখন ক্লাস নাইনে , আমাদের ক্লাসে প্রায় ৪০ এর মত ছাত্র ছাত্রি ছিল । ৪০ জনের মধ্যে প্রায় ১৫ জনের মত সাইন্স নিলাম, বাকি হাতে গুনা কয়েকজন কমার্স এবং বাদবাকি সবাই আর্টস নিল ।

কমার্সের শিক্ষক পরের দিন ক্লাসে ঢুকে দেখে অবস্থা ডাইল , কমার্সের ছাত্রছাত্রি খুবই কম ! তার ব্যাচে পড়িয়ে আয় রোজগারের পথ বন্ধ হবার যোগার ! স্যার ঘন্টা খানেক বক্তব্য দিয়ে বুঝালেন সাইন্স নেয়া কতটা আহাম্মকের কর্ম ! আমাদের উদ্দেশ্যে বললেন বাবারা এখনও সময় আছে তোমরা সাইন্স নিয় না , পড়তে পড়তে মাথা ঘুরান দিয়ে পরে যাবা ! স্যারের বক্তিতা শুনে ক্লাসের সাইন্স নেবার জন্য যারা নাম লেখাইছিল তাদের প্রায় ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনই অন্য সাবজেক্টে চলে গেল , শেষমেষ আমি সহ ৫ টিকে ছিলাম !

এই হল অবস্থা , তাছাড়া বেশীর ভাগ স্কুল গুলোতে সাইন্স ল্যাবরেটরি নাই বললেই চলে ! পড়াশূনা কোচিং নির্ভর হোয়াতে স্যারেরা ক্লাসে ভাল পড়ায় না , সাইন্স নিলে প্রাইভেট বেশী পড়তে হবে ভেবে অনেকে পড়তে চায় ! আরো অনেক কারন আছে !!


২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


গ্রামগুলোতে সায়েন্সের শিক্ষকও নেই; টিউটর পাওয়া মুশকিল; কারণ, সমস্যা শুরু হয়েছে বেশ আগেই।

আপনি যে কাহিনী বললেন, গতকাল এক শিক্ষক তার কাছাকাছি কাহিনী বলেছেন, উনি সায়েন্স শিক্ষক; উনাদের স্কুলের হেড মাস্টার নতুন সায়েন্স শিক্ষক নেননি অনেক বছর, ১ জনের পোস্ট খালি; হেড মাস্টার বাচ্ছাদের ভয় দেখান যে, সায়েন্স নিয়ে ভালো গ্রেড পাওয়া মুশকিল।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: আমাদের যে শিক্ষাব্যাবস্থা তাতে করে ছোট থেকেই বেইজ টা ঐভাবে গড়ে ওঠে না।
পিএসসি থেকেই ছেলেমেয়েদের নকল এর ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তোলা হয়

২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি সস্তা শ্রমিক বিক্রয় করছে সৌদী ও মালয়েশিয়ার কাছে; কিন্তু সস্তা জীবন বলতে কিছু নেই। জীবন হওয়া দরকার বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মত।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১:২৭

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
He who kills himself does a less injury to society than he who quits his country for ever।
------------Cesare Beccaria

উপরের উক্তিটি ১৮ শতকের ইতালীয় দার্শনিক সেসার বেকারিয়া-র । আমাদের দেশে মানসম্মত শিক্ষকের অভাব । কেননা সবাই বিদেশমুখী ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


একদিন আসতে পারে, দেখা যাবে যে, শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া, স্পীকার শিরীন, এরশাদ ও রওশন এরশাদ গণভবনে বসে আছে, বাংলাদেশে খালি।

এরা জাতিকে পংগু করে ফেলেছে, সবাই পালিয়ে যেতে চায়।

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৩৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরো ব্লগে বলতে গেলে আপনার লেখা পড়েই কিছুটা চিন্তা করার সুযোগ পাওয়া যায়। আগে যারা তুখোড় ব্লগ লিখতেন-উনারা এখন প্রায় সবাই ফেসবুকে আশ্রয় নিয়েছেন। ব্লগের সোনালী সময়ে আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে ব্লগের অনেকেই বেশ চিন্তাশীল লেখা লিখতেন। মাঝে মাঝে ব্লগে আসি-কিন্তু সেই প্রাণবন্ত দিনগুলো আর খুঁজে পাইনা। মূলতঃ আপনার লেখাগুলোই এখন পড়তে ব্লগে আসা। অনেক শুভকামনা রইলো-আপনার জন্য।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আগের ব্লগারেরা প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর প্রায়ই লিখতেন, গত ৩/৪ বছরে অনেক ব্লগার ফেইসবুকে চলে গেছেন; তাঁদের অনেকেই ব্লগে আর ফেরত আসছেন না; ক্লান্ত হয়ে গেলেন নাকি?
নতুন ব্লগারদের অনেকেই কম-প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন, অনেক সময়।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কি বলবো!!! আমি নিজেই সাইন্স থেকে এসএসসি পাশ করে ইন্টারে এসে নিয়েছিলাম কমার্স। আর ইন্টার পাশ করার পর ডিগ্রীতে সোজা মানবিক। পরে ০০ সাল থেকে চাকরি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সায়েন্স পৃথিবীতে মানুষের জীবনকে নতুন উন্নত স্তরে নিচ্ছে; আমাদের কমপক্ষে এই বিশাল পরিবর্তনকে বুঝতে হবে।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: এক সময় সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল সেক্টর ছিল সবচাইতে দূর্নীতির আখরা। এখন বৈদেশিক সম্পর্ক ও বানিজ্য সম্প্রসারণের ফলে ট্যাক্স, কাস্টমস, পুলিশ, প্রশাসন ইত্যাদি এই দুইটি সেক্টরকে ছাড়িয়ে গেছে। ভাল ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা সরকারী চাকুরে মানে বড় বড় দূর্নীতিবাজ। আর সামাজিক ইতিবাচক পরিবর্তনে সাইয়েন্স পড়ুয়াদের যদি বিন্দুমাত্র ভূমিকাই না থাকে তাহলে খামোখা প্যারাসিটামল কিভাবে বানায় সেই সূত্র পড়িয়ে ওদের কষ্ট দেয়ার কোন মানেই নেই।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সায়েন্স পড়া মানে, মানুষের মগজকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা; না হয়, মগজের বিরাট অংশ কখনো ব্যবহৃত হয় না।

১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

গরল বলেছেন: সায়েন্স কঠিন সেটা হয়ত মূল কারণ না, মূল কারণ হচ্ছে সায়েন্স পড়ে ভবিষ্যত কি? বুয়েট থেকে পাশ করে যমুনা কম্পানীতে ফ্যাক্টরীতে ১২ হাজার টাকার চাকুরী তাও আবার দিনে ১২ ঘন্টা খাটুনী বা সিভিল ইঞ্জিনীয়ার হলে ডেভলপার কম্পানীতে। আর ডাক্তার হলে প্রাইভেট ক্লিনিকে ১৫ হাজার দিয়ে ক্যারীয়ার শুরু করতে হয়। ডাক্তার বা ইঞ্জিনীয়ার ও কম্পিউটার সাইন্স ছাড়া বাকি সাবজেক্ট হলে তো কোথাও পাত্তাও পাবে না। অথচ অন্যান্য সাবজেক্ট হলে ব্যাংকে শুরু হয় কম হলেও ২৫ হাজার দিয়ে, বা মাল্টিন্যাশনাল কম্পানী হলে যেখানে মূলত কমিউনিকেশন, মার্কেটিং, ফিন্যান্স, ট্রেডিং এও ২০-২৫ হাজার দিয়ে শুরু করা যায়। তাছাড়া বিবিএ বা এমবিএ হলে কোনো না কোন একটা জব পাওয়াই যায় যা সাইন্স পড়ে পাওয়া যায় না বিশেষ কিছু সাবজেক্ট ছাড়া। মৌলিক বিষয় যেমন পদার্থ, রসায়ন, যুওলোজী/বোটানী ও গণিতের কোন চাকুরী নাই পড়াশুনাও ওনেক বেশী।

শিল্প বিপ্লব বা গবেষণার প্রচলন দেশে না থাকলে আসলে সাইন্স কোন দরকার হয় না। লোভনীয় ক্যারীয়ার না থাকাটাই মূলত বিজ্ঞানের ছাত্র কমে যাওয়ার মূল কারণ। আমিও এর ভুক্তভোগী, কোনরকম চেষ্টা করে প্রোগ্রামিং শিখে আইটি পেশায় ঢুকে যাওয়াতে রক্ষে। তবে এরকম হয়ত করতে পেরেছে হয়ত মাত্র ১% এর বেশী হবে না। আমিও কাউকে সাইন্স পড়তে উৎসাহিত করি না এই কারনে। কারণ আমার সহপাঠীদের মধ্যে যারা খুব ভাল আছে তারা বড় জোড় স্কুল বা কলেজে শিক্ষকতা করে। এর মূল্য সমাজে কি আছে তা সবাই ভাল জানে।

তাছাড়াও যে বিজ্ঞান আমাদের দেশে পড়ান হয় তা যে কোন কাজেই লাগবে না সেটাও সবাই বুঝে। মুখস্ত করে পড়া সাইন্স পড়ার চেয়ে না পড়াই ভাল।

৩০ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"তাছাড়াও যে বিজ্ঞান আমাদের দেশে পড়ান হয় তা যে কোন কাজেই লাগবে না সেটাও সবাই বুঝে। মুখস্ত করে পড়া সাইন্স পড়ার চেয়ে না পড়াই ভাল। "

- বিজ্ঞান তো এভাবে পড়ানোর কথা না; আর রিসার্চ গড়ে তোলার কথা বিজ্ঞান-মনাদের; বিজ্ঞানের ছাত্র কমতে থাকলে রিসার্চ কে করবে, কে ফান্ডিং করবে? নিশ্চয় মতিয়া-মেনন, তোফায়েল-আমু, ফালু-শামীম ওসমান তো এগুলো করার কথা নয়।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ফেসবুকে সেদিন একজন বললো এখন নাকি ফিজিক্সের কোনো সুত্র পড়বার আগেও আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে। তাদের বিশ্বাস এই সুত্রগুলো নাকি পড়ার জন্যই পড়া, এগুলো নাকি সত্য না, বা সত্য হলেও গোঁজামিল।

এটা হলো জিপিএ ৫ পাওয়া এক বিজ্ঞানের ছাত্রের কাছ থেকে শোনা।

আমাদের সরকারকে নিয়ে আসলেই আমার গর্ব হয়

৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব আগাছার মগজ বানরের কাছাকাছি; না থামালে, এগুলো জাতিকে বানর বানিয়ে ফেলবে একদিন।

১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: একমত। আমি টানা ৬ বছর কলেজে শিক্ষকতা করেছি। নূতন অনেক বেসরকারি কলেজে সায়েন্স নেই। অনেক জেলা শহরের সরকারি কলেজে সায়েন্সের শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি ল্যাবরেটরি, সরঞ্জামের সমস্যাও প্রকট।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শিক্ষক ও ল্যাব সমস্যা হওয়ার কথা? শিক্ষিত মানুষ ও সরকারের পক্ষ থেকে নাহিদ সাহেব কি করছে?

১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

আবিদা সিদ্দিকী বলেছেন: তিনি কি করছেন তা তো গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে সেটা নিয়ে কথা বলা নিষেধ কিন্তু ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে শিক্ষার্থীরা ৩০০ টাকায় প্রশ্নপত্র বিক্রি করে, স্কিনশট দেয়, হা হা হা হাসে, সেসব আবার তার চোখ এড়িয়ে যায়। শুধু সায়েন্স নয় আর্টসেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। এর একটা কারণ হিসেবে বলা হয় কমার্সে বেশি নাম্বার নিয়ে পাশ করা যায়। আর এখন তো পাশ করার জন্য একাউন্টিং জানতে হয় না বা ম্যানেজমেন্ট বুঝতে হয় না, খাতায় লিখলেই হয়। আরেকটা কারণ হলো "সাবজেক্ট"। বোর্ড থেকে সব কলেজকে সব সাবজেক্ট দেয়া হয় না। আবার যেহেতু এ গ্রুপ থেকে বি গ্রুপ থেকে সাবজেক্ট নিতে হয়, অনেকেই পচন্দের সাবজেক্ট পায় না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ অদক্ষ শিক্ষিত বানাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.