![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
"ধর্মনিরপেক্ষ দেশ" কথাটা বুঝা কি কঠিন? হ্যাঁ, কঠিন; যদি রাজনীতি, ফিলোসফী, সমাজ বিজ্ঞান, পলিটিক্যাল ইকোনোমী, ইকোনোমী, ফাইন্যান্স, ইতিহাস, অংক, লজিকে ভালো ধারণা না থাকে "ধর্মনিরপেক্ষ দেশ" কথাটা অনুধাবন করাটা মোটমুটি অসম্ভব। নাকি এটো সাবজেক্টের নাম যোগ করে, আমিই কঠিন করে তুলছি! গূগলে ২ লাইন ডেফিনেশন সাহায্য করবে না; কারণ, শব্দটা হঠাৎ আবিস্কার করা কোন শব্দ নয়; এটা সভ্যতার অংশ হিসেবে রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে, যেভাবে সভ্যতার অংশ হিসেবে রাজতন্ত্র ধারণাটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটতে হাজার বছর লেগেছে, "ধর্মনিরপেক্ষ দেশ" টার্মটাও হাজার বছরের সভ্যতার কারণে জন্ম নেয়া একটা শব্দ, এটাকে অনুধাবন করতে, বুঝতে বেশ বড় ধারণা-শক্তির দরকার হচ্ছে। কিছু শব্দ আছে, এগুলো শোনা মাত্র বোঝা যায়; যেমন, "জিং জিং"; "ধর্মনিরপেক্ষ দেশ", সেই ধরণের সোজা শব্দ হয়।
যদিও বাংলাদেশের সংবিধানে "ধর্মনিরপেক্ষতা" একটি মুলনীতি, বাংলাদেশ কখনো ধর্মনিরপক্ষ দেশ নয়; কারণ, বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেব ঘোষণা করার জন্য কোন আইন পাশ হয়নি; সংবিধানে থাকলে, আপনি সেটা মানতে পারেন, বা না মানলেও চলবে; কিন্তু উহার সাথে সাংঘর্ষিক কোন আইন করা যাবে না; যেমন, সংবিধানের কারণে, বাংলাদেশকে ধর্মীয় দেশ করার আইন পাশ করা যাবে না।
"ধর্মনিরপেক্ষতা"কে কি আমি এই পোস্টে জোর করে কঠিন ঘোষণা করছি; আমি কি রহস্যের সৃস্টি করছি? না, যেহেতু এটি একটি কমপ্লেক্স রাজনৈতিক ধারণা, যা মানব সভ্যতার সাথে সাথে ক্রমে রাজনীতির নিয়মে পরিণত হচ্ছে, এটি সাধারণ একটি শব্দ নয়; সেজন্য অনেকে এটিকে সহজে অনুধাবন করতে পারছে না। লজিক, অংক, রাজনীতি সব সময়ই কঠিন ছিল, আজও আছে; যেমন, বাংলাদেশে গড়ে শিক্ষিতদের প্রশ্ন করলে, "আপনি পীথাগোরাসের থিওরী" প্রমাণ করতে পারবেন? চল্লিশ বছরের বেশী বয়স্ক বাংলাদেশের শিক্ষিতদের শতকরা ৬০ জন ইহাকে প্রমাণ করতে পারবে না; কারণ, ইহা লজিক, ইহা বুঝার মত, ইহাকে অনুধাবন করার মতো দক্ষতা থাকতে হবে অংকে। তবে, প্রমান করতে না পারলেও, পীথাগোরাসের থিওরী আছে তা বুঝতে পারবে, স্মরণ করতে পারবে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ জনতার ৬০% জানবেও না যে, পীথাগোরাসের থিওরী আছে। ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার ব্যাপকতা কিন্তু পীথাগোসারের থিওরী থেকে আরো অনেক অনেক বেশী বৃহৎ ও কঠিন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতি সংঘের অন্তর্ভুক্ত ১৯৫ দেশে মানুষের "মৌলিক অধিকার" রক্ষার অংগীকার করে, সদস্যপদ পেয়েছে; রাস্ট্র মৌলিক অধিকার হিসেবে, শিক্ষা, চাকুরী, খাদ্য, বাসস্হান ও চিকিৎসাকে গণ্য করে; ধর্ম ব্যক্তির নিজস্ব ভাবনার অংশ হওয়ায়, রাস্ট্র সেটাকে কন্ট্রোল করবে না।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
মিঃ আতিক বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য ধর্ম নিরপেক্ষতা খুব জরুরি প্রয়োজনীয় কোন বিষয় নয় কারন এখানে মুসলমানদের সংখ্যা ৯০%, এর চেয়ে ভালো হবে যদি ভিন্ন ধর্মীয়দের প্রাপ্য অধিকার তারা পাচ্ছে,স্বস্তি ও নিরাপদে আছে এটা নিশ্চিত করা যায়।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, এইসব কারণে বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে কোন আইন করা হয়নি।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমি নিজে ধর্মনিরপেক্ষ!
আই মিন অন্য কারো ধর্ম পালনে বাধার সৃষ্টি করি না!
আমার কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা মানে এইটুকুই!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
গণতন্ত্রে বিশ্বাসীরা রাস্ট্রের সাথে নিজেও অপরের প্রতি সহ্যশীল ও স হানুভুতিশীল হওয়া দরকার।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:০০
Al Rajbari বলেছেন:
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধরে নিচ্ছি, আপনি বুঝতে পেরেছেন; এটা ভয়ের কিছু না, রাস্ট্রের একটি দায়িত্ব মাত্র
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে আলোচনায় ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কিছু লেখলেন না, এটা ভালো হল না। ছোট করে একটা সংজ্ঞা দিতে পারতেন, ধর্মনিরপেক্ষতা কাকে বলে? তাহলে আমার মতো সাধারণ পাঠক ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে কিছু জানতে পারতো। অনেকেই কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে ধর্মহীনতা বোঝে, কেউ কেউ এরকমই বোঝায় সাধারণ মানুষকে। আপনি এগুলো সম্পর্কে কিছুই বললেন না!