নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মমতা ব্যানার্জির অস্বাভাবিক জীবনের ক্ষতিপুরণ দিচ্ছে বাংলাদেশ?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৬



মমতা ব্যানার্জির অনেক গুণ; এই মহুর্তে উনি পশ্চিম বংগের চীফ মিনিস্টার; কমপক্ষে ৬/৭টি মিনিস্ট্রি উনার অধীনে; তিনি তৃণমুল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা; এর আগে অনেক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ছিলেন; চুরির অপবাদ নেই; কঠিন জীবন যাপন করেন; নিয়মিত ব্যায়াম করেন, সাধারণ কাপড় পরেন, সুন্দর বক্তৃতা দেন, ভালো খান; পাক-ভারতের রাজনীতিতে আদর্শ মানুষ।

ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, উনার চোখে মুখে অকারণ কাঠিন্যতা ও হতাশা লেগে আছে, এটা স্বাভাবিক নয়; এই ধরণের মানুষ খুবই নিয়ম কানুন মেনে চলেন, সবকিছুই আদর্শের মাঝে রাখেন; কিন্তু কোথায়ও ভুল করলে সেটাকে টের পান না; কারণ, সারাক্ষণ মনে ধারণা, কোথায়ও ভুল নেই, ভুল হতে পারে না।

উনার আগে ভারত ছিল, বংগ ছিল, বাংগালী ছিল, নদী ছিল, মাছ ছিল; এখনো নদী আছে, পানি আছে, হয়তো মাছ নেই, বাংগালী আছে; উনার পরেও সবকিছু থাকবে, সবকিছু চলবে। সীমান্তের উত্তর পাশের বাংগালীদের যদি পানি দরকার হয়, দক্ষিণ পাশের বাংগালীদেরও পানির দরকার; অনেক রাজনীতি করে, অনেক রীতিনীতি মেনে, অনেক আদর্শ জীবন যাপন করে এই ছোট্ট লজিকটি বুঝতে পারেননি! অস্বাভাবিকেরা অন্যের জীবনকে অস্বাভাবিক করে দিতে পারে, যদি এরা ক্ষমতা পায়। এ ধরণের অস্বাভাবিকরা জীবনে উঁচু যায়গায় চলে যায়, কারণ এরা কিছু চায় না, কিছু হারালেও টের পায় না; যেদিকে ছুটে ছুটতেই থাকে!

উনি হয়তো এখনো টের পাননি যে, উনি মিথ্যা কথা বলেছেন, "তিস্তায় পানি নেই"; উনি গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানিকে গংগায় নিয়ে গেছেন; সবাই জানে, মোদী বাবুও জানে। সবাই জানার পরও কিভাবে এত বড় দায়িত্বশীল, এই আদর্শবাদী মহিলা মিথ্যা বললেন? এটাই অস্বাভাবিকতা, তবে এটাই এখন উনার জীবন।

উনি নাকি কবিতা লিখেন! সামুতে হয়তো কোন এক অস্বাভাবিক নিক নিয়ে আছেন; আমি দেখবো, ৯ বছরে কেহ ৯০০ কবিতায় সর্বোমোট ৯টি বা তার কম কমেন্ট পেয়েছেন কিনা!

মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মমতা একজন রাজনীতিবিদ, কিন্তু তিনি স্টেটসওম্যান নন। এত বেশি জেদ, রাগ ও অদূরদর্শীতা কখনোই একজন মানুষকে দীর্ঘ মেয়াদে সফলতা এনে দিতে পারে না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


যোগ বিয়োগ করলে, এরা শুন্য, জিরো, অনর্থ; মানুষ এদের কথা ভুলে যাবে ১ দিনে।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

রক বেনন বলেছেন: গত নির্বাচনের আগে উনাকেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল ভোটারদের কাছে। নির্বাচনের আগে আগে কলকাতায় ফ্লাইওভার ভেঙে পড়ায় উনার দলের কিছু লোকের দুর্নীতিতে সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কথা উঠেছিল।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওদিক থেকে উনার সমস্যা নেই, পুরো ভারত চুরি করলেও উনি চুরি করবে না; কারো জন্য চুরি করার উনার দরকার নেই, ঘরে ১ টা বিড়ালও নেই; বিড়ালের অভাবে হয়তো ইঁদুর আছে ২/৪ জোড়া।

সমস্যা হয়তো অস্বাভাবিক জীবন, কোনটা সঠিক সেটা ঠিক করতে পারে না, শাসনতন্ত্র বুঝে।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: ঠিক লিখেছেন চাদঁগাজী ভাই । তবে এদের আদর্শ এমন কোন উচ্চমার্গীয় আদর্শ নয় । নিম্নস্তরের জাতীয়তাবোধ, দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছি, হেব্বি একটা কাজ করছি - এই হুজুগ তুলে ভোট কেনা - এই তো ।

তবে আমাদের ইতর, বদমাস, আত্নসম্মানহীন, প্রবঞ্চক ন্যাতা-নেত্রী, আর এদের পা-চাঁটা চেলা-চামুণ্ডা, চাকর-বাকরগুলোর চেয়ে মমতা ব্যানার্জি বা তার মত নেত্রী অনেক অনেক গুন উন্নত, এটা বলতেই হবে ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পশ্চিম বংগের লোকজন আমাদের থেকে সবদিক দিয়ে উপরে, পড়ালেখা, রিসার্চ, সাহিত্য; কিন্তু কিছু মানুষ অনুদার।

আমাদের খেতারা আমাদের জাতিকে "সৌদীর রাস্তার ঝাড়ুদার" ও মালয়েশয়ার মালি বানানোর কারখানা বসায়েছে।

পানি না দেয়ার পর, শেখ হাসিনার উচিত ছিলো তাজ মহল দেখে ঢাকা চলে আসা; উনি কি বিনিয়োগকারী খুঁজছে; উনার লোকেরা নিউইয়র্ক থেকে মালয়েশিয়য় বিনিয়োগ করছেন।

আমাদের নেতা মেতাদের কারণে মমতা দাম দিচ্ছে না

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২২

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: মমতার কথা একটাই তালগাছটা তাহাদের ........ আজব.........

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে আজীবন তালগাছে পানি দেবেন, এর থেকে করার বেশী কিছু নেইও

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

আখেনাটেন বলেছেন: আমার মতে বাংলাদেশ এখানে মার খেয়েছে রাজনৈতিকভাবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এমন যে এখানে দুই পক্ষকেই সমঝে চলতে হয়। এক পক্ষের হঠকারী পদক্ষেপ আরেক পক্ষের জন্য অশনি সংকেত। তাই এখানে একটা রশি টানাটানির ভাব সেই বালাদেশের জন্মের পর থেকেই বিরাজমান।

এই রশির টানটা বর্তমান বাংলাদেশ সরকার তার নিজের রাজনৈতিক স্থিতিবস্থার জন্য কিছুটা অালগা করে দিয়েছে। আর এই সুযোগে অপরপক্ষ বেশ খানিকটা রশি নিজের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু বাংলাদেশ চীন থেকে সাবমেরিন কেনায় (ভূ-রাজনৈতিক কৌশলে) বাংলাদেশ আবার রশিকে নিজের দিকে খানিকটা টেনে নিতে সক্ষম হয়েছিল। যা ভারতকে কিছুটা ব্যাকফুটে খেলতে বাধ্য করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সালের নির্বাচনের কথা চিন্তা করে খেলায় ট্ক্কর দেওয়ার আগেই হার স্বীকার করে নিয়েছে। এতে বিশেষ দলটির লাভ হলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বার্থ তিস্তার জলে জলাঞ্জলি হয়ে গেছে।

এখন দেখার বিষয় দেশের ভিতর এই ব্যর্থ সফরের (সরকারের দিক থেকে সফল সফর; কারণ যে উদ্দেশ্য নিয়ে সফর হয়েছে তা নিশ্চয় সফলকাম হয়েছে; ভারতের দিক থেকেও সফল কারণ মোদীর প্রোটোকল ভেঙ্গে বিমানবন্দরে যাওয়া বৃথা যেতে পারে না) বিষয়টা বিরোধীদল কীভাবে মোকাবেলা করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পারে?

আন্ত:রাষ্ট্রীয় ও আন্ত:দলীয় এই রশি টানাটানির মাঝে সাধারণ জনগণ হিসেবে আমাদের শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কীই বা করার আছে?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসতে চান, এটা পরিস্কার; উনি বাবার মত প্রাণ হারানোর মত বেকুব নন, বা জর্জ মিয়ার গ্রেনেডের সুযোগ আর দেয়ার লোক নন, এটা পরিস্কার।

আপনারা চীনের সাবমেরিণকে কেন এত বড় চোখে কেন দেখছেন, আমি বুঝছিনা; চীন ভারত যুদ্ধ হলে, ভারত বা চীন বাংলাদেশের জল ও স্হলে অবস্হান নেবে, পারমিশনের জন্য বসে থাকবে না। তবে, চীন-ভারত যুদ্ধের সম্ভাবনা কমে আসছে।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।







ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতা বন্দনা

৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ”অস্বাভাবিকরা জীবনে উঁচু যায়গায় চলে যায়”

”গণতন্ত্র এমন ব্যবস্থা যে কেহ একবার সুযোগ পেলেই তাকে আর দমন করা যায় না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের ৯৯.৯% মানুষ জীবনমুখী, এরা রাস্তামুখী ও গগণমুখী।

৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

জগতারন বলেছেন:
অস্বাভাবিকেরা অন্যের জীবনকে অস্বাভাবিক করে দিতে পারে, যদি এরা ক্ষমতা পায়।

সহমত!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



কলিকাতার লোক ওর জ্বালায় দিল্লীতে চাকুরী করে; কলিকাতা ভরে গেছে হিন্দিভাষী লোকজনে

৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সীমান্তের উত্তর পাশের বাংগালীর যদি পানি দরকার হয়, দক্ষিণ পাশের বাংগালীরও পানির দরকার; অনেক রাজনীতি করে, অনেক রীতিনীতি মেনে, অনেক আদর্শ জীবন যাপন করে এই ছোট্ট লজিকটি বুঝতে পারেননি! অস্বাভাবিকেরা অন্যের জীবনকে অস্বাভাবিক করে দিতে পারে, যদি এরা ক্ষমতা পায়। এ ধরণের অস্বাভাবিকরা জীবনে উঁচু যায়গায় চলে যায়, কারণ এরা কিছু চায় না, কিছু হারালেও টের পায় না; যেদিকে ছুটে ছুটতেই থাকে!


চমৎকার বিশ্লেষণ!:)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এ ধরণের লোক ভালো, এরা না থাকলে আরো ভালো, ক্ষমতায় গেলে সবার জীবন অতিস্ঠ।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: বাঙালি কখনো আগাতে পারবে নাহ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে, গতকাল অবধি তাই ঘটেছে।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: মমতা নামক ভদ্র মহিলা কে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে খুবি অপছন্দ করি। উনি বাঙ্গালী কিন্তু উনি কট্টর বাংলাদেশী বিরোধী।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের খেতারা আমাদের জাতিকে "সৌদীর রাস্তার ঝাড়ুদার" বানায়ে আমাদের মান নীচু করে দিয়েছে; না হয়, মমতা ব্যানার্জি রাজশাহীতে এসে পদ্মা স্নান করতো।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: সায়নমতে তিনি মকর রাশির মানুষ। তার জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫। তারা খুব কঠোর মনের মানুষ হন এবং স্থির স্বভাবের। আবেগ তাদের নেই বললেই চলে। তারা কট্টর বাস্তববাদী। তবে মানুষ হিসেবে ভাল। আত্মস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে তারা কিছু করেননা। তাদেরকে ঠকানো খুব কঠিন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


একটা বাক্য যোগ করলে কেমন হয়, "উহারা নিজকে ঠকায়"?

১৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

রক বেনন বলেছেন: ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, উনার চোখে মুখে অকারণ কাঠিন্যতা ও হতাশা লেগে আছে, উনার জীবনটা স্বাভাবিক নয়; এই ধরণের মানুষ খুবই নিয়ম কানুন মেনে চলেন, সবকিছুই আদর্শের মাঝে রাখেন; কিন্তু কোথায়ও ভুল করলে সেটাকে টের পান না; কারণ, সারাক্ষণ মনে ধারণা, কোথায়ও ভুল নেই, ভুল হতে পারে না।
মনে হয় এটাই মূল কারণ। ব্যক্তিগত জীবনে উনাকে ছাড়াও আরো অনেককে দেখেছি একই ধরণের মানসিকতা পোষণ করতে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ যখন জীবন নিয়ে ব্যস্ত, এরা বায়বীয় ভাবনায় ব্যস্ত, উনার চেহারায় জীবনের চিহ্নও নেই; এত রীতিনীতি মেনে, শেষে মিথ্যা বলছেন।

পানি কম থাকলে, সেটার ভাগ সম্ভব তো? উনার মাথায় উদারতা ও অংক প্রবেশ করেনি

১৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

বিজন রয় বলেছেন: মমতার দিন ফুরোল।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মমতাহীন মেয়ের নাম রেখেছেন মমতা

১৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনি কি দেশে আসবেন?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি যাওয়া আসাতে আছি, থাকতে পারছি না স্হায়ীভাবে, স্ত্রী অসুস্হ; ঢাকার ডাক্তারকে ভয় পায়।

১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: এবার আসলে কি আপনার সাথে দেখা করার সুযোগ হবে আমার ?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



অবশ্যই, আমি খুশী হবো; আসার সময় জানাবো আপনাকে।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কৃষক ও শ্রমিক (উৎসর্গঃ ব্লগার চাঁদগাজী) - এ শিরোনামে একটা সনেট লিখেছি। একটু দেখে দেবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি নিয়মিত আপনার ব্লগ এলাকায় যাই, আজকে কেন যাওয়া হয়নি!

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কেউ কারো নয়, সবাই যার যার পুঁটলি নিয়েই ব্যস্ত!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমস্যা হলো মমতার পুটলী নেই, সেজন্য যা মনে আসে তাই করে বেড়ান; এখন যেটা করছেন, সেটা আসলেই অস্বাভাবিক।

১৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একদম যতার্থ বলেছেন, শেষের লাইন তো পুরোই ফাটিয়ে দিয়েছেন +

যায় হোক সুন্দর টপিকস নিয়ে আলোচনা করেছেন, সারাদেশ তো এখন সাকিব-অপু নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, টিপিক্যাল বাঙালী!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



অপু ধর্ম পর্যন্ত বদলায়েছে, বেচারীর সাথে লোকটা অভিনয় করেছে মাত্র

২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার এত সুন্দর একটা আলোচনা আমার কাছে তুচ্ছ হচ্ছে কেবল শিরোনামটার জন্য। বড় কষ্ট লাগলো শিরোনামটা।
আলোচনা পড়তে এসে মুগ্ধতা নিয়ে গেলাম। যাবার সময় একটা লাইকও দিয়ে গেলাম শুধু আলোচনার জন্য। আনলাইক এর সিস্টেম থাকলে একটা আনলাইক দিয়ে যেতাম শিরোনামটির জন্য।

এটা আমার সামুতে ২০০০তম মন্তব্য। ভাবছিলাম কোন কবিতায় একটা কমেন্ট করে দই হাজার কমেন্ট পুরা করবো, কিন্তু আপনার আলোচনা পড়ে মন্তব্য না করে যেতে পারলাম না।

আমি আপনার শিরোনামের সাথে একমত হতে পারলাম না।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতমত: আমি চিন্তা করে, প্ল্যান করে, ভেবে লিখি না; ফলে, মাথা থাকলে কান থাকে না, পা আছে তো হাত নেই।

আপনি কি ধরণের শিরোনাম দিতেন, এই ২০ লাইনের পোস্টে?

২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

আখেনাটেন বলেছেন: আপনি বলেছেন----আপনারা চীনের সাবমেরিণকে কেন এত বড় চোখে কেন দেখছেন, আমি বুঝছিনা;

এখানে সাবমেরিনটা বড় কথা না; এর ভিতরের ব্যাপারটা। বাংলাদেশের চীনের প্রতি সামরিকভাবে এত পরিমাণ হেলে পড়া ভারতের কাছে মনে হয়েছে চীন বাংলাদেশকে কৌশলগতভাবে বশে অানছে। এতে ২৪ বিলিয়ন ডলার ক্রেডিটও জড়িত। এমনিতেই ভারতে চারপাশে শত্রু বেষ্টিত (ভারতের ভাষায়)। নেপালের সাথেও সম্পর্ক চীনের কারণে বেশ খানিকটা ঘোলাটে। এমতবস্থায় একমাত্র বাংলাদেশই রয়েছে ভারতের দুর্দিনের বন্ধু হিসেবে। কিন্তু চীনের নানারকম কৌশল (ভারতের ভাষায়) ভারতকে এই সম্পর্ককেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

ভারতের সন্দেহ সাবমেরিন সরবরাহ ও সোনাদিয়াই চীনের গভীর সমুদ্রবন্দর করতে চাওয়া চীনের তথাকথিত 'স্ট্রিং অব পার্ল' থিওরির অংশবিশেষ। অাবার চীন এদিকে ঘোষণা দিয়েছে যে ভারত মহাসাগরেও তারা তাদের নৌ শক্তি বৃদ্ধি করবে। যার ফলস্বরূপ পাকিস্থানের গোয়াদরে নৌ ঘাঁটি ও চীন-পাকিস্থান অর্থনৈতিক করিডর বিদ্যমান।

এসব কিছুই ভারতকে মনে করিয়েছে যে চীন বুঝি বাংলাদেশকেও সামরিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে বশে আনছে। এতে ভারতের মহা বিপদ হবে কারণ তারা হারাবে অল ওয়েদার ফ্রেন্ড বাংলাদেশকে। তাই এই সামরিকচুক্তি ও ৫ বিলিয়ন ক্রেডিটের মুলা।

এখানে কখনই যু্দ্ধ হবে না। তবে চীন-ভারত দ্বৈরথে সামনে বাংলাদেশকে আরো গভীর ও সরু চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ভবিষ্যতে। বাংলাদেশের সাবমেরিন কেনার কয়েকদিনের মধ্যে ভারতের মায়ানমারকে সাবমেরিন ধ্বংসকারী টর্পেডো সরবরাহ অনেক কিছুর ইঙ্গিত বহন করে। বাংলাদেশকে দাবার গুটি হিসেব করেই খেলতে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ কি দাবার গুটি নাকি ফুটবল?

চীন ভারত যুদ্ধ লাগলে, আমাদের অফিসারেরা ইউনিফর্ম রেখে সাদা কাপড়ে পালিয়ে যাবে; এরা সৈনিক আপনার মনে হয়? এরা সৈনিক হলে, ইপিআর'এর ঘটনায় এতগুলো অফিসার মরে? "ক্রস ফায়ারের" অটোজেনারেটেড গল্প নিয়ে কাজ করে?

বিশ্ব উন্নত হয়েছে, সব জমির দাম বেড়েছে, সব সস্তা-শ্রমিকেরও ক্রয় ক্ষমতা আছে, চীন ভারতের বাজার হয়েছে; তাই চীন ভারত ১৭ কোটীকে বাজার মনে করে। যারা সাতার জানে না, তাদের সাবমেরিণ কি দরকার?

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাবমেরিণ না কিনে, সেই টাকায় প্রতিটি বাংগালী যুবককে বছরে ২ সপ্তাহ মিলিটারী ট্রেনিং দিলে অনেক বেশী কাজ হতো।

বার্মা টর্পেডো কোন দিকে ছাড়বে ঠিকানা নেই, নাফ নদীতে স্হলভাগের দিকেও ছাড়ার সম্ভাবনা আছে। ওরা বাংলা মদের মানুষ।

২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গাজী ভাই বুঝে পাচ্ছি না আমাদের তিস্তার পারি এদো দরকার কেন, দেশ মরু ভূমি হচ্ছে মরুতে হেজুর গাছ রুপন করবে চাষি খেজুর ফলাবে বিদেশে বিক্রি করে বেশি টাকা আয় হবে রাষ্টের উন্নত হওয়ার পথ থেকে উন্নত দেশে পরিনত হয়ে যাবে। মমতা সমতারার তাদের তিস্তার পানি দেয়ে বাপের শ্রাদ্ধ শেষ করুক।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধানের পানি সংগ্রহ করে রাখা কোন সমস্যাই নয়; হয়তো নৌকা থাকবে না; মাছ এমনিতেই শেষ।

২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মমতা-কে নিয়ে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। মমতা একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিস্তার পানি ছাড়াও বাংলাদেশ বেঁচে ছিল, আছে, থাকবে। তিস্তা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ভারতের সাথে সমঝোতা করে চলতে হবে। বিশ্ব খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিস্তার পানির আগে দরকার দেশের মানুষের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, সুশাসন...

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশকে যদি শিক্ষিত করতো, মানুষকে যদি দক্ষ হওয়ার সুযোগ দিতো, সবাইকে যদি শুরুতে সমান সুযোগ দিতো, আমাদের এত পানি, নৌকার দরকার হতো না। ইসরায়েলেও বৃস্টিও হয় না, ওরা মরুকে সবুজ করে ফেলেছে।

২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ব্যাটা ইংরেজরা যদি বাংলাকে ভাগ না করে বঙ্গদেশ রাখতো তাহলে আজ কোথায় তলিয়ে যেত মমতা। মমতার তার নামের সাথে সুবিচার করেননি। তাকে ধিক্কার জানাই।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবার জন্য যথস্ট পানি আছে, ওরা আন্তর্নদী সংযোগ করে প্রাকৃতিক প্রবাহকে ঘুরায়ে দিয়েছে; এটা বড় ধরণের অন্যায়।

২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৭

নীলসাধু বলেছেন: আমি ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে গেছি। তাদের নদী খাল নিজের চোখে দেখেছি। সবখানেই উপচে পড়া পানি। কোন নদী খাল শুকনো দেখিনি। প্রবল স্রোতের নদীও প্রচুর। সে সব দেখে বাংলাদেশের কথা মনে হয়েছে। আমাদের নদীগুলোর কথা মনে হয়েছে। সুজলা সুফলা নদী মাতৃক বাংলাদেশ কি আজ আর আছে?
ভারতের রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কথা শুনতে বাধ্য! আমার ধারণা তাদের সংবিধানেও তাই আছে। তারা বাহানা করে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। আমরা পারছিনা আমাদের যা প্রাপ্য তাও আদায় করে নিতে।
ভালো থাকবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সঠিকই দেখেছেন।

মোদীর নির্বাচনের একটা বড় এজেন্ডা ছিল আন্তর্নদী সংযোগ; সেটা তারা করেছে, কোন আওয়াজ শোনা যায়নি, যাতে বাংলাদেশ আবার কথা তোলে।

পানির ভাগ পাওয়া স হজ হচ্ছে না; আমার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আন্তর্জাতিক অবস্হান বুঝে ওরা কড়া খেলছে।

২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদ দিন দিন আমি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


চেস্টা করছি, আমার কিছু কিছু পোস্ট আমার নিজেরও পছন্দ হচ্ছে; আমাকে আরেকটু হয়তো মাথা ঘামাতে হবে , যাতে পোস্টে লজিক্যাল ভাবনা থাকে।

২৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৫

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আহা কি আনন্দ কি আনন্দ এসে গেছে কোকা কোলা, গেছে সব দেনার দায়ে বাকি আছে কাপড় খোলা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের আগের সেক্রেটারীরা দেশের নামে ঋণ নিয়ে ঢাকায় বাড়ী তুলেছে, এখন সেইগুলোর সুদ দিতে রেমিট্যান্স লাগছে।

২৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মমতা ভারতের দুইজন পুরুষ প্রধানমন্ত্রীরে ৩০০ % অক্ষম প্রমান করিয়াছেন ! মমতারে সেলুট না করা অন্যায় হবে ! :D :P

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান পৃথিবীতে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও ভাবনা অনেক উপরে থাকা দরকার; মমতা সেখানে ফেল করেছেন মিথ্যা কথা বলে।

২৯| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫১

ইফতি সৌরভ বলেছেন: ইতিহাস বিভাগ থেকে ব্যাচেলর এবং ইসলামি হিস্ট্রিতে মাস্টার ডিগ্রি প্রাপ্ত এল. এল. বি. করা মমতা "কোথায়ও ভুল করলে সেটাকে টের পান না; কারণ, সারাক্ষণ মনে ধারণা, কোথায়ও ভুল নেই, ভুল হতে পারে না।" - একমত এবং "উনার চোখে মুখে অকারণ কাঠিন্যতা ও হতাশা লেগে আছে"।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'কুছ তো মিলা' কিন্তু জেদি মমতা হলে হয়তোবা বলতেন, পানি না হলে কিসের চুক্তি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সমালোচনা নেহাত কম না কিন্তু আমি কখনও মমতার নামে কোন দুর্নীতির অভিযোগ কাউকে করতে শুনি নি। আমার দেশের নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী হত, তবে আমরা তিস্তা পানি সহ আরও অনেক কিছুতেই লাভবান হতে পারতাম .......

মন্তব্যসমূহে আপনার উত্তরগুলো পড়ে পুলকিত হয়েছি অনেক বেশি

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতা ব্যক্তিগতভাবে কোন দুর্নীতির সাথে জড়িত নন; পার্টিতে সমস্যা ছিলো, তবে উনি সেগুলোর ব্যবস্হা নিয়েছেন; এসব ঠিক আছে; সেজন্য সে শেখ হাসিনা থেকে ট্রাম্প কাউকে পাত্তা দেবেন না; কিন্তু উনি মিথ্যা বলেছেন, "তিস্তায় পানি নেই"; সাথে সাথে ভুল, কম পানি থাকলে সেটার ভাগও বাংলাদেশের পাওয়া উচিত।

৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে মমতার প্রতি আপনার মমতা কম।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ হিসেবে উনি আদর্শ। কিন্তু মানুষের দায়িত্ব নেয়ার পর, উনি এভাবে মিথ্যা বলা ঠিক হয়নি; উনি অনেক সন্মান হারায়েছেন।

৩১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মমতার উপরে লিখা একটি বলাম পাঠ করছি এখন, তাই পরে আবার আসব । রেখে আসা প্রশ্নটির জবাব দেখে আসতে পারেন ।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতার বিশাল রাজনৈতিক জীবন আছে; তবে, সবটাই মনে হয় টেকনিক্যাল রাজনীতি; ক্ষমতা ও দায়িত্বের দিক থেকে বিচার করলে, মোটমুটি উল্লখযোগ্য কেহ নন।

৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





Teesta Barrage ; Main barrage across river Teesta at Gajoldoba in Jalpaiguri District

কে তখন ক্ষমতায় ছিল সে প্রশ্নে আমি যাবনা , আমি বলব সে সময়কার বাংলাদেশ সরকারের করনীয় কিছু বিষয়ের কথা ।
ভারত যখন ১৯৭৬ সনে গজল ডোবায় তিস্তা নদীর উপর বাঁধ বাধ দেয় , সাথে আরো দুইটি টি পিক আপ ব্যেরেজ ( যথা মগহানন্দা নদীতে একটি ও দোয়াক নদীতে একটি করে পিক আপ ব্যরেজ) নির্মান করে তখন সে সময়কার সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছিল তা জানতে বড় ইচ্ছে করে । শুধুই কি তিস্তা নদীর উপরে বাঁধ, এর পানি ডাইভারসনের জন্য তিস্তার ডান দিকে ২৫ কিমি মহানন্দা লিংক কেনাল , ৩২ কিমি মহানন্দা মেইন কেনাল ,৮০ কিমি দোয়াক নগর মেইন কেনাল ৪২ কিমি নাগর টানগন মেইন কেনাল এবং বা দিকে ৩০ কিমি তিস্তা জলডাকা মেইন কেনাল নির্মান করে। তখন সরকার কেন চোখ বুঁজে ছিল , তারা কি তখন দেখেনি ভারতের এ সকল কর্মকান্ড । সে সময় সরকারে নিয়োজিত লোক সুশীল সমাজ ও মিডিয়া কি দেখেনি তা , করেনাই কেন ফুসফাস এখনকার মত!!! তাহলে জনগনকে সাথে নিয়ে তখনই করা যেতো প্রতিরোধ ।

ভারতীয় অংশের পশ্চিম বঙ্গে ১১ লক্ষ হেকটর জমিতে পানি সেচের জন্য নির্মিত প্রায় ৩০০০ হাজার কোটি ভারতীয় রুপীর এই বৃহত তিস্তা প্রজেক্টের কর্মকান্ড বন্ধ করা কিংবা সেখান থেকে পিছিয়ে আসা ভারতীয় কোন সরকার সে কেন্দ্রীয় হোক আর রাজ্য সরকারই হোক তা এ যর্যায়ে কতটুকু সম্ভব, তাদেরোত জনগন আছে , জনগনের কাছে জবাবদিহিতা আছে!!!

ভারত তিস্তা নদীতে বাঁধ দেয় ১৯৭৬ সনে ,তাই ভারত কতৃক প্রকল্পটি শুরুর আগে প্রথমেই যদি আন্তর্জাতিকভাবে কুটনৈতিক পর্যায়ে কিংবা দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্পের কার্যকলাপ বন্ধ করা যেতো তাহলে এখন এই পর্যায়ে এত বিকট সমস্যা দেখা দিতনা । অংকুরেই একে বন্ধ করা যেতো অনায়াসে ।

সে সময় উল্লেখযোগ্যে তেমন কোন ( অাদৌ কোন প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল কিনা তা জায়না জানা ) ব্যবস্থা না নিয়ে তখনকার বাংলাদেশ সরকার নাকে তেল দিয়ে না ঘুমায়ে এখনকার মত কিছুটা হৈ চৈ করলেও বিষয়টা এতখানি গড়াত না , তখন ছোট খাট কোন বিষয়ে ছাড় দিয়ে হলেও এই বিশাল দির্ঘমেয়াদী ক্ষতিকারক কর্মকান্ডটিকে বন্ধ করতে পারতো অনেক সহজে ।

তা না করে বাংলাদেশ ১৯৭৯ সনে তিস্তা নদীর উপরে বাঁধ নির্মান প্রকল্পের কাজ দেয় শুরু করে ( রিভাইজড প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ২০০০ কোটি টাকার উপরে) বলা হয়েছিল প্রকল্পটি সমাপ্ত হলে ১১লক্ষ হেকটর জমিতে পানি সেচ দেয়া সন্ভব হবে, দেশবাসীও প্রকল্পটি নিয়ে ছিল উৎফুল্ল । দেশবাসী জানতোনা এর বাস্তবায়ন কতখানি কঠীন হবে । যদি পাবলিকে এর পিছনের কাহিনী কিছুটা জানত তাহলে প্রকল্পটি গ্রহনের আগে ভারতের সাথে চুক্তি করে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে প্রকল্প নেয়ার কথাটি বলত ।

কিন্তু কথা হল, প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্টাডি টিমের কাছে ( পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বুয়েটের অধ্যাপক সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ টীম ) কি এটা জানা ছিলনা যে তিস্তা নদীর উজানে সিকিমে নদীর উপরে নির্মিত প্রথম বাঁধ . তারপরে গজল ডোবায় নির্মিত ২য় বাঁধ ও আরো দুটি পিক আপ বাঁধ, সেই সাথে বিভিন্ন ডাইভারসন কেনেল দিয়ে ভারত পানি তুলে নেয়ার পরে তিস্তায় কতটুকু পানি থাকবে? , ভাটির দিকে তিস্তা যে শুকিয়ে মরা নদী হয়ে যাবে এটা কি বিশেষজ্ঞদের মগজে ঢুকেনি তখন । তারা তখন ভারতের সাথে কোন পানি চুক্তি না করেই কিংবা কোন সমঝোতায় না গিয়েই হাজার কোটি টাকার তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করলেন কোন যুক্তিতে কোন ভরসায় ?

প্রাথমিক পর্যায়ে ভারতের তিস্তা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাঁধা না দিয়ে , দ্বিতীয়ত ভারতের সাথে কোন রকম পানি চুক্তি না করে বাংলাদেশ অংশে ২০৪২ কোটি টাকার (১ম পর্যায়ে ৮৭৫ কোটি + ২য় পর্যায়ে ১১৬৭ কোটি টাকা = ২০৪২ কোটি টাকা ) তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করার পরে এর কার্যকারীতাকে শুন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার অদুরদর্শী কার্যকলাপ করে এখন যত দুষ সব মমতার ঘারে চাপিয়ে দিয়ে আত্ন তৃপ্তির অবকাশটি কেথায় কেও কি তা ভেবে দেখেছে । সেই পুরাতন প্রবচনটিই ঘটতে দেখা যায়, কোম্পানীকা মাল দরিয়া মে ডাল এর মতই কর্মকান্ড । তিস্তায় বাঁধ দিছে আর তা ফি বছর ভেসে গেছে বন্যার তোরে এমন দৃশ্যইতো চোখে পড়ত অনেক সময় তিস্তা নদী পার দিয়ে যাওয়ার কালে ।

যা করার করে গেছে নতুন ও পুরাতন দিনের সব সরকারে, এখন আর কান্নাকাটি করে ফল কি হবে, শুধু সময়টাই কাটবে আহ্লাদি সব কথা শুনে । উচিত হবে এখন দায়ীদেরকে কাঠগরায় দাঁড় করাতে, তাকি কোন দিন পারা যাবে !!!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখনকার বাংলাদেশের লোজন এসব খবর জানেননি, শুনলেও বুঝতে পারেননি; মানুষ এখন থেকে অনেক কম ভেবেছেন।

ভারত যখন এসব করেছে, তারা নদীর ভাটির জনসংখ্যার অধিকারকে খর্ব করেছে; ওরাও মোটামুটি ইডিয়ট ছিলো।

৩৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উনি মিথ্যা কথা বলেছেন, "তিস্তায় পানি নেই"; উনি গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানিকে গংগায় নিয়ে গেছেন; সবাই জানে, মোদী বাবুও জানে। সবাই জানার পরও কিভাবে এত বড় দায়িত্বশীল, এই আদর্শবাদী মহিলা মিথ্যা বললেন? এটাই অস্বাভাবিকতা,

+++++

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ব্লগে কম আসছেন আজকাল, সব ভালো তো?

৩৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর হয়েছে লেখা :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


চেস্টা করছি ব্লগারেরা যেন পড়েন।

৩৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব কাছ থেকে দেখেছি, পড়েছি জেনেছি তাঁর সম্পর্কে। উনার মত দেশপ্রেমিক সৎ রাজনীতিবিদ দুনিয়াতে খুব বেশী নেই, এক উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট জোসে মুযিকা ছাড়া! আমাদের খারাপ লাগতে পারে বটে!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



তিনি রাজনীতিতে আদর্শ মানুষই ছিলেন, যতক্ষণ না বলেছেন, "তিস্তায় পানি নেই", এখন তিনি আমার জন্য আবুল হোসেন, মেয়র খোকা, মেয়র মহিউদ্দিনের সমান।

৩৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

বর্ষন হোমস বলেছেন:
জন্মের পর থেকেই এই পানি বন্টন চুক্তি নিয়ে শুনে আসছি।যদি কোনদিন কেউ এর একটা বিহিত করতে পারে তাহলে হয়ত বঙ্গবন্ধুর মর্যাদাও পেয়ে যেতে পারে।তিস্তা পানি বন্টনের সমাধান করা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক হবে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ইন্দিরা গান্ধীর সাথে এগুলো নিয়ে কথা বলেছিলেন; তখন প্রতিটি ইডিয়ট বাংগালী বলেছে যে, উনি ভারতের দাস বানাচ্ছে আমাদের। অবশ্য উনি এগুলোর সুদুর প্রসারী ভয়ংকর প্রভাবে বুঝতেন বলে মনে হয় না।

৩৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

ফ্রিটক বলেছেন: মমতা নিজের দেশের স্বার্থ বড় করে দেখছেন। এটা তার দেশ প্রেম কিন্তু মানবতা লঙ্ঘন করছেন। কারন তার দেশের স্বার্থের জন্য আমাদের অনেক ক্ষতির কারন হয়ে যাচ্ছে। এরকম স্বার্থান্ধ মহিলাকে পরিত্যাগ করা উচিত।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতা নিজ দেশকে ভালোবাসছে, ভালো; কিন্তু বাংলাদেশের ভাগের পানি না দেয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলেছে; আসলে আন্তর্নদী সংযোগ করে তারা পানি গংগায় নিয়েছে; সেটা অন্যায়।

উনার সকল আদর্শ জীবনের পেছনে একটা অস্বাভাবিক জীবন ধরা পড়েছে।

৩৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , তিস্তা কিংবা তিস্তার পানি নিয়ে করো কোন চিন্তা বা কোন মাধাব্যথা আগেও ছিলনা এখনো নেই । তিস্তার মুল সমস্যা কেও কখনো জানতে চায়নি কিংবা বুঝতে চায়নি শুধু বুঝতে চেয়েছে এর রাজনীতি , একে কিভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে ও অর্থ কামানোর হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে । এটা ভারতে ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই দেখা যায় । ভারতে ১৯৭৫ সনে যখন তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্প ভারতীয় পরিকল্পনা কমিশনে পাশ করা হয় তখন এর অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় ছিল ৭৫ কোটি ভারতীয় রূপী , শেষ পর্যন্ত এর ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০০০ কোটি ভারতীয় রুপীতে ,( অবশ্য এর সাথে পরে আরো কিছু অতিরিক্ত অংগ যুক্ত হয়েছে) এই অর্থ কার পকেটে কতটুকু কিভাবে গিয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে । অপর দিকে বাংলাদেশে ১৯৭৯ সনে তিস্তা ব্যরেজ শুরুর সময় এর অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় ছিল ৮৭৫ কোটি টাকা যা পরে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ২০৪২ কোটি টাকায় ( এর সাথে পরে অবশ্য আরো কিছু অতিরিক্ত অংগ যুক্ত হয়েছে) । এই বর্ধিত প্রকল্প ব্যয় কিভাবে কোথায় এপ্রোপিয়েট/ইউটিরাইজ হয়েছে তা আনেকেরই বুঝার কথা । ১৯৭৯ -৮৩ পর্যন্ত সময়কালে বিশ্বব্যংকের অর্থায়নে পরিচালিত একটি ইরিগেশন ম্টাডি প্রকল্পের আওতায় উত্তর বংগে নিবীরভাবে কিছু কাজের অভীজ্ঞতা এই অভাগার অাছে , সে সময়ে বিশ্ব ব্যাংকের জন্য প্রনীত প্রতিবেদন নিয়ে গুটি কয়েক পুস্তকও হয়েছে লিখা, তই বিষয়গুলি খুব কাছ হতেই দেখা ।

১৯৩৫ - ১৯৪৫ সময়কালে তিস্তা নদীর পানি নিয়ে সংযোগ কেনেলের মাধ্যমে ইরিগেশনের চিন্তা ভা্বনা শুরু হয় ভারতীয় অংশে । ১৯৬০-৬৮ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা ব্যরেজ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয় পাকিস্তান আমলে । এ সময়ের পানি রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দৃস্টিটাকে আরো একটু পশ্চিমে ফিরাতে হবে । পাকিস্তানে ( তথা সে সময়ের পশ্চিম পাতকিস্তান ) সিন্ধু নদের উজানে ভারত বাধ দিয়ে পাকিস্তানকে মরুভুমি বানাতে উদ্যোগ নিলে শুরু হয় পানি নিয়ে রাজনীতি । পাকিস্তান যে কোন ছোটখাট স্বার্থ ত্যাগের বিনিময়ে ( পাকিস্তানের জন্য ছোটখাট স্বার্থ ত্যগের মধ্যে পুর্ব পাকিস্তান অংশে পানির বিষয়ে ভারতকে ছাড় দেয়ার বিষয়টিও পরে ) ভারতের সাথে সিন্ধু নদের পানি নিয়ে ভারতের সাথে চুক্তি করে ফেলে । এদিকে ভারত যখন ফারাক্কায় এবং তিস্তায় বাধ দেয়ার চিন্তাভাবনা ও প্রকল্প গ্রহন করে তখন পাকিস্তান নামকা ওয়াস্তে কিছু প্রতিবাদ ও আলোচনা করার পাশাপাশি আমাদেরকে ভুলিয়ে রাখার জন্য লরকে লেংগে জাতীয় ভাষা প্রয়োগে রেডিও পাকিস্তানের মাধ্যমে শুধু ভারত বিরোধী কিছু মৌখিক প্রপাগান্ডা চালিয়ে রাখে, আর অন্য দিকে নির্বিঘ্নে ভারতকে তার বাঁধ নির্মানে এগিয়ে যেতে দেয় , সিন্ধু নদের পানির মত ভারতের সাথে কোন পানি চুক্তি না করে । ভাবখানা এমনই ছিল, পুর্ব পাকিস্তানের যা হয় হোক শুধু পশ্চিম পাকিস্তানের সিন্ধু নদের পানি প্রবাহে কোন বিঘ্ন যেন না হয় ,গাছের গোড়ায় পানি ডেলে লোক দেখানো অাগার ডাল কাটার জন্য শুধু কিছু মাতামাতি করে । এটাকেই তলে তলে পানি রাজ নীতি বলে, যার কুফল আমরা এখন ভোগ করছি অনেক মুল্য দিয়ে।

অপরদিকে বাংলাদেশ অংশে তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্টাডি টিমের কাছে ( পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বুয়েটের অধ্যাপক সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ টীম ) কি এটা জানা ছিলনা যে তিস্তা নদীর উজানে সিকিমে নদীর উপরে নির্মিত প্রথম বাঁধ . তারপরে গজল ডোবায় ১৯৭৬ সনে নির্মিত ২য় বাঁধ ও আরো দুটি পিক আপ বাঁধ, সেই সাথে বিভিন্ন ডাইভারসন কেনেল দিয়ে ভারত পানি তুলে নেয়ার পরে তিস্তায় কতটুকু পানি থাকবে? , ভাটির দিকে তিস্তা যে শুকিয়ে মরা নদী হয়ে যাবে এটা কি বিশেষজ্ঞদের মগজে ঢুকেনি তখন । তারা তখন ভারতের সাথে কোন পানি চুক্তি না করেই কিংবা কোন সমঝোতায় না গিয়েই হাজার কোটি টাকার তিস্তা ব্যরেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করলেন কোন যুক্তিতে কোন ভরসায় ? প্রকল্টির মুল উদ্দেশ্য যদি হতো পানি তাহলে পানির নিশ্চয়তাই আগে করা হতো , কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক সহ বিভিন্ন বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প সহায়তার আওতায় এ ধরনের একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নটাই যেন মুখ্য ছিল তাদের কাছে ।

যাহোক, প্রায় ৩০০০ কোটি ভারতীয় রুপী ব্যয়ে বাস্তবায়ীত প্রকল্প হতে পিছিয়ে আসা মমতা কেন পশ্চিম বংগ সহ ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারে জন্য এ মহুর্তে পিছিয়ে আসা কতটুকু সম্ভব , কিংবা এত দামী একটি প্রকল্পের পরিকল্পিত সুফল ভোগ থেকে ভারতীয় জনগনকে এ মহুর্তে বঞ্চিত করা আদৌ সম্ভব কিনা কেও কি তা ভেবে দেখেছে । এটা মমতার দেশ প্রমের প্রশ্ন নয় এটা ভারতীয় রাজনীতির খেলা , মোদি বলবে দিব যদি তোমরা কিছু দাও, আর মমতা বলবে দিবনা আলোচনা করে যাও, শুধু শুধু সময়টা বাড়াও ।

চলবে শুধু পানি রাজনীতি , কেও বলবে দেশ বেচে দিলে , আর কেও বলবে তোমরা আগে কি করেছিলে । আর আমজনতা সসস্যার গভীরে না গিয়ে শুধু মমতার ঘারে দুষ চাপিয়ে ক্ষমতার পালা বদলের চিন্তা করবে । ধরে নিলাম চিল্লা চিল্লিতে ক্ষমতার পালা বদল না হয় হল, পারবে নতুনেরা তিস্তা নিয়ে চুক্তি করতে , যদি পারেই তবে অাগে কেন পারলানা , যে কারণে পারলনা সে কারণকি রাতারাতি দুরীভুত হবে । তিস্তা সমস্যার রূপরেখাটিই বা কি , তা কি কেও কিছু বলছে , শুধু আপনার পোষ্টেই দেখি তিস্তার উজানে বাংলাদেশ অংশে পানির বিশাল একটি রিজার্ভ গড়তে হবে , কিন্তু এরকম রিজার্ভ নিয়েওতো ভারত সংকিত, কেননা তারা ভাবে এটা করা হলে ভারতীয় অংশে প্রবল বন্যা দেখা দিবে , যার ফলে তিস্তার পানি না দেয়ার জন্য তারা আরো মরিয়া হবে কিংবা হতে পারে , এটা শুধু সম্ভাবনা নয় মমতা নিজেও এ কথা বলেছে ।

যাহোক, বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক লম্বা হবে , তবে যে কোন সমস্যারই সমাধান আছে , সমস্যা সমাধান করতে হলে সমাধানের মত করেই সকলকে চিন্তাভাবনা করতে হবে , পানি রাজনীতি করলে এটা শুধু হাজার বছর জিয়ে থাকবে অান্তর্জাতিক পানি মাফিয়াদের হাত ধরে । আমরা শুধু সামুর পাতাতেই কিছু হা হুতাশই করে যাব, সুবিধা বাদীরা ( সরকারী বিরোধী উভয়েই কারণ সব রসুনেরই এক গোড়া ) ঠিকই হাজার হাজার কোটি টাকার সুবিধাগুলো ভোগ করে যাবে বিবিধ প্রকারে !!!!

তাই আসুন সকলে মিলে সমস্যাটি সমাধানের লক্ষে তিস্তার পানি চুক্তির জন্য সঠিক করনীয় বিষয়ে আলোচনা করি , হয়ত সকলের আলোচনায় সঠিক কোন রাস্তা বেরিয়ে যেতে পারে, আমরা পাব তিস্তার পানি আগের মত করে :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লজিক্যাল ভাবনা।

অবশ্য, ১৯৭৯ সালে কতজন বাংগালী স্পেশালিস্ট মাথা ঘামায়েছেন যে, ২০০০ সালে কি ঘটবে! সেই রকম কোন বাংগালীর নাম তো শুনি নাই।

৩৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫২

সোহানী বলেছেন: আলী ভাইয়ের কমেন্টেই সব বলা আছে....

আমি এখানে অনেক পশ্চিমবাসীদের সাথে মমতাকে নিয়ে কথা বলেছিলাম, সবাই এক বাক্যে বললো, ও হলো গড মাদার।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতা শুধু রাজনীতি নিয়ে আছেন; ভালো করেছেন; তবে, তার কোয়ালিশনে কিছু শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ বিরোধী লোকজন আছে।

৪০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪০

আহা রুবন বলেছেন: সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য মমতা এত মমতাহীন। সে গোঁয়ার, মাথামোটা, অদূরদর্শী - আমাদেরও এক জন আছে। তিস্তার পানির জন্য উত্তর বঙ্গের যে অঞ্চলটা মরুভূমি হচ্ছে, ওখানকার কৃষি-শ্রমিকেরা বাধ্য হয়ে সীমানা টপকে ওপার কাজ করতে যায়। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, এটি তাদেরও জন্যও সমস্যা তৈরি করবে, মমতা এটা বুঝতে চেষ্টা করছে না।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতার কোয়ালিশনে কিছু শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ বিরোধী লোকজন আছে।

৪১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের কলঙ্ক । অলটাইম মিথ্যা কথা বলে । এই মিথ্যা কথা বলার জন্য ওনাকে আমরা মিথ্যা কালী বলে ডাকি ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সোস্যালস্টরা তো মানুষের ও সময়ের দাবী মেটা্তে পারলো না, কি করবেন?

৪২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে এবং প্রতিমন্তব্যে তীর্যক ভাষায় অনেক রূঢ় সত্য কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, মমতা চাচ্ছেন শেখ হাসিনার বদনাম হোক, এদিকে জাতির ক্ষতি হচ্ছে, সেটা উনি বুঝতেছেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.