নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব জাতিকেই উত্থান-পতন, পরিবর্তনের মাঝ দিয়ে যেতে হয়

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩



ইংরেজেরা দ্রুত শিখেছে সবকিছু, পিগমীরা আস্তে আস্তে শিখে চলছে; ইংরেজরা দ্রুত শিখে ফেলার কারণে, জাহাজ বানাতে পেরেছে, চলে এসেছে ভারতে, ব্যবসা করেছে; সেই ফাঁকে বুঝে নিয়েছে যে, সিরাজ উদ-দৌলা খরগোসের বাচ্ছার মত শক্তিহীন, উহার ঘাঁড় মটকায়ে রাজ্য দখল শুরু করলে, একদিন পুরো ভারতের মালিক হওয়া যাবে; শেষে তাই করেছে; সেই কারণে আজকের রাণী ৩৪ বিলিয়ন ডলারের মালিক, ৭টি প্রাসাদের মালিক; আর পিগমীরা এখন কুঁড়ে ঘরে থাকে, বানর মারা নিষেধ, সেজন্য ভুট্টার চাষ করে, আর জাতি সংঘের রিলিফে দেয়া নাইকো জুতা পরে। তবে, পিগমীদের ভাগ্য ভালো, আকারে ছোট হওয়ায়, ক্রীতদাস ব্যবসায়ীরা ওদের ধরে নেয়নি আমেরিকা ও ইউরোপে।

বাংগালীরা ইংরেজদের মতো দ্রুত কিছু শিখতে পারেনি, তবে ভারতে ইংরেজ আসার পর, কখনো বানর শিকার করে খায়নি; বানর দিয়ে ভবিষ্যত গণনা করায়েছে, বউ সুন্দরী হবে, একদিন মাটির নীচে গুপ্তধন পাবে, ১ ডজন ছেলেমেয়ের বাবা হবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।

তবে, ১৭ কোটীর থেকে ৬ লাখ বাংগালী ইংরেজ রাজ্যে পৌঁচেছে, দুই'একজন বিলিওনিয়ার হয়েছে, রাণীর প্রাসাদে নববর্ষের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন, অনেকে ইংরেজদের সমানে সমান কাজ করছেন, হরদম ইংরেজী কথা বলছেন; ৪/৫ জন ইংরেজদের পার্লামেন্টে স্হান করে নিয়েছেন; হয়তো, এই ৪/৫ জন আমাদের হয়ে, ইংরেজ খরগোসের বাচ্ছা খুঁজে বের করবেন।

আরো ৫ লাখ ইংরেজদের নাতিপুতীদের দেশ আমেরিকায় গেছেন, টিকে থাকার চেস্টা করছেন, দেশে ডলার পাঠাচ্ছেন, ইংরেজীতে কথা বলেন, নাসা মাসায় চাকুরী করে রকেট বানানো শিখছেন, মিলিটারীতে যাচ্ছেন, টমাহক মিসাইল মারতে শিখছেন; একদিন দেশে আসবেন এরা সবাই, সবাইকে শিখাবেন, দেশ বদলাবে।

অবস্হা একেবারে খারাপ নয়, দেশ চলছে, যারা পড়তে চাহে না, তারা দেশ চালায়; সবাই প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষা দিচ্ছেন, মেয়েরা কাপড় সেলাই করছেন, আদম ব্যাপারীরা মানুষ বিক্রয় করছেন, বসুন্ধরা সবার জমীতে বাড়ি তুলছেন; যারা কাজ করে না, তারাই দামী গাড়ী চালায়; পরিবর্তন হচ্ছে।

আজকের বড় সমস্যা হচ্ছে, বাংগালীরা কয়টা নববর্ষ পালন করা উচিত ও কিভাবে? মনে হয়, ৩টা নববর্ষ হওয়া উচিত: যেহেতু বিশ্বের সাথে চলছি, ১ লা জানুয়ারী; যেহেতু বাংগালী, ১ লা বৈশাখ; যেহেতু মুসলিম, ১ লা মুহরম। কোনটা কিভাবে পালন করবেন? ইনরেজীটা বিশ্বের সবার সাথে তাল মিলিয়ে, বাংগালী পারিবারিক পরিবেশে; ১ লা বৈশাখ বাংগালী পরিবেশে, ভালো খাবেন, হাডুডু খেলবেন, শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে যাবেন, বলিখেলা হবে, আনন্দ ফুর্তি হবে; মুসলিমটা হতে হবে ধর্মীয় পরিবেশে, হয়তো দোয়া খায়ের হবে, মিলাদ হবে, ইসলামী গজল হবে, আরবী উলু হবে, তলোয়ার খেলা হবে।

সব জাতির মতো আমরাও বদলাচ্ছি, হয়তো ইংরেজদের মতো দ্রুত নই, বা পিগমীদের মতো অত ধীর গতিতে নই; আমাদের মানুষজন আমেরিকা, কানাডায় ক্রীতদাস হয়নি; ইংরেজদের দেশে ভালো করছে; আমাদের পরিবর্তন ঘুরেফিরে ভালোর দিকে যাবে।





মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বরাবরের মতো ভাল লিখেছেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত বিশৃংখলা, এত উথাল পাথালের মাঝে মানুষ শেষ ইয়েমেনের মানুষের মতো আধা-পাগল হয়ে যাবে।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তিনটা নববর্ষ পালনে আপত্তি রাখি না, তবে, তরোয়াল খেলায় আপত্তি রয়ে গেল।

শেষ স্টেপ পড়ে একটু আস্বস্ত হতে পেরেছি, যাক, হবে তো....!

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্লাষ্টিকের তলোয়ার হলে চলবে, এটা আরবদের খেলা; মুসলিম বিশ্বের অনুস্ঠানে আরবদের কিছু থাকতে হয়, শুরু ওখনে।

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তাইলে শফি হুজুর পহেলা বৈশাখ পালনের বিরুদ্ধে কেন? আরবরাও তো পহেলা বৈশাখে নাচানাচি করে, আনন্দ ফুর্তি করে, দেখলাম এক ভিডিও সেদিন। আমাদের বাংলা গান বাজিয়ে আরব ছেলে মেয়ে নাচছে। তবে, শফি হুজুরের আপত্তি কেন?

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শফি হুজুর ইত্যাদি হচ্ছে বৃটিশ আমল থেকে অবহেলিতদের প্রতীক; আজকে সরকার যাদের খবর রাখে না, সেইসব মানুষদের মধ্য থেকে শফি হুজুর ও সেই রকম কোটী মানুষ কস্টে যায়গা করে নিয়েছে; আজকের বাংলাদেশে, সরকার গরীবের ছেলের খবর রাখে না, কওমীরা তাদের নিয়ে কিছু একটা শিখায়; ফলে, শফি হুজুরের জীবন নাচগানের জীবন নয়; এটা কঠিন জীবন।

আবার, যদিও সব প্র‌তিকুলতাকে পরাজিত করে এরা বেরিয়ে এসেছে, দরকারী কিছু এরা জানে না, সেখানেও সমস্যা

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

জাহিদ হাসান বলেছেন: আজকের বড় সমস্যা হচ্ছে, বাংগালীরা কয়টা নববর্ষ পালন করা উচিত ও কিভাবে? মনে হয়, ৩টা নববর্ষ হওয়া উচিত
আপনার এই কথার সাথে বাঙ্গালী একমত হলেও - হেফাজতে ইসলাম একমত নয়। তাদের মতে শুধু আরবি নববর্ষই পালন করতে পারবে মুসলিমরা। এইবার বুঝেন ঠেলা। ইংরেজি ও বাংলা নববর্ষ পালনকে হারাম বলে এরা । কি বাজে পরিস্থিতিতে ফেলছে এই ধর্মকানারা। X(

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওরা দেশ চালায়নি, সমাজ চালায়নি, ওরা অন্যের উপর চলে! ওদের কথা শুনবে?

৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০

মিঃ আতিক বলেছেন: ইসলামে নববর্ষ পালন করতে হবে এমন কোন আদেশ আছে শুনিনি।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামও সবকিছুর সাথে বদলাচ্ছে; ১০ ই মুহরম যোগ হয়েছে, পীর আওলয়ার মাজার যোগ হয়েছে; শিয়া, সুন্নী, কুর্দ, ওয়াহাবী যোগ হয়েছে; এতকিছু যোগ হয়েছে যে, লিখে শেষ করা যাবে না।

৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পরিবর্তনও হবে আবার অধঃপতনও হবে...

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিবর্তন আপাতত নীচের দিকে নিচ্ছে; উহা থামবে; তারপর শুরু হবে ভালো দিকে; ভয় হচ্ছে, পুটিন, ট্রাম্প ও শী জিনপুং পারমানবিক যুদ্ধ শুরু করলে, আমরা শেষ!

৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: মন্দ বলেন নাই। ধন্যবাদ গাজী ভাই।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার তো মনে হয়, মন্দই বলেছি: ১ জাতিে কিভাবে ৩টি নতুন বছর পালন করে, আমরা কি উৎসবের বলদ?

৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তবে রাজনৈতিক প্রভাব কমিয়ে যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে দেশ পরিবর্তন হতে বাধ্য। এখন সরকারী দল ক্ষমতায় এসে যদি বিরোধী দলের পেছনে বেশী সময়, নিজ দলের দুষ্ট লোকদের বিচার না করে তাহলে কীভাবে পরিবর্তন হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.