নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকে, তুর্কিদের থেকে ভেড়ার তৈরির কারখানা বসানোর কথা

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪



আজকে তুরস্কে জাতীয় রেফেরেন্ডাম হচ্ছে, 'প্রাইম মিনিস্টার' পদ্ধতি থেকে 'প্রেসিডেনসিয়াল' সিস্টেমে যাবার জন্য; দেশের সর্বময় ক্ষমতা থাকবে প্রেসিডেন্টের হাতে; আমাদের শেখ সাহেবও করেছিলেন; এতে শেখ সাহেব থেকে জেনারেল জিয়ার সুবিধা হয়েছিল বেশী। তুরস্কের এরদেগান সব ক্ষমতা নিজের হাতে আনতে চায়; ১৪ বছর দেশ চালানোর পর, আরো ক্ষমতা দরকার, মৃত্যু অবধি ক্ষমতায় থাকার দরকার।

সবচেয়ে বড় কথা, এই রেফেরেন্ডামে জিতলে, সে "আগামী ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনা", ২০২৯ সাল অবধি; এটা বর্তমান ইউরোপেের জন্য নতুন ঘটনা; এটা ৫০ ভাগ নিশ্চিত যে, আগামী ১২ বছরের কোন একদিন সে বিরোধীদের হাতে প্রাণ হারাবে।

পার্লামেন্টের সীট বাড়ানো হবে, ৫৫০ সীট থেকে ৬০০ সীট; এখানেও একটা জালিয়াতী হবে; জনসংখ্যা বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে সীট বাড়ানো হচ্ছে না; নিজ দেশের নতুন কিছু এলাকা দখলের প্রচেষ্টা; কিছু কুর্দিশ এলাকা থেকে অনেক মানুষ পালিয়ে চলে গেছে ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দিশ এলাকায়, এখানে এরদেগান নিজের লোকদের প্রবেশ করায়ে দিয়েছে, যাতে কুর্দরা আর ফেরত আসতে না পারে, ও এগুলোকে তার পুরো দখলে আনতে তার কিছু সীটের দরকার।

অনেক বাংগালীও এরদেগানকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে; এরা অবশ্য আফগানিস্তানের তালেবান থেকে, মিশরের ব্রাদারহুডের সমর্থক, আসলে এরা গুহার জীবনের সমর্থক; এরা জানে না, কিভাবে পরাজিত "অটোম্যান" সাম্রজ্য থেকে তুরস্কের জন্ম হয়েছিল; আসলে, বর্তমনা অনেক তুর্কীও কামাল পাশার বিশাল বীরত্বের কথা বুঝার মতো অবস্হানে নেই।

অটোম্যান সাম্রাজ্য ছিল সময়ের সথে তাল মিলিয়ে আধুনিক রাজতন্ত্র; শেষ দিকে, ওরা বৃটিশ কলোনিয়েল সিস্টেম থেকেও উন্নত ছিল, এবং প্রায় ৭০০ বছর রাজত্ব করে গেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তারা মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছে; তাদের সাম্রাজ্য দখল করেছে বৃটিশ। শেষ সুলতান চুক্তি করে নিজ পরিবার নিয়ে লন্ডনে বনবাসের জন্য তৈরি হচ্ছিল। রাজ্য তো গেছে, তুর্কিরা নিজের মুলভুমিও হারিয়ে ফেলছে, তারা যাবে কোথায়? লন্ডন তো সব তুর্কিদের নেবে না।

এই পরাজিত সাম্রাজ্য থেকে নিজেদের বাসস্হানকে রক্ষা করার জন্য কামাল পাশা বাকী জেনারেলদের নিয়ে তুরস্কের বিরাট এলাকা দখল করে রাখার জন্য যুদ্ধ শুরু করে, সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য নয়। সে বৃটিশকে জানায়, সে "অটোম্যান সাম্রজ্য নয়", তুর্কীদের বাসস্হানের জন্য যুদ্ধ করছে; সে রাজতণ্ত্রে ফেরত যাবে না, বৃটিশের মতোই একটি "ডেমোক্রেটিক" দেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। যাক, অনেক ঘটনার মধ্য দিয়ে সেটাই ঘটেছে।

অটোম্যান রাজ পরিবারের সুলতান তৈরি হতো "ডারুইন পদ্ধতিতে", সবচেয় শক্তিশালী, ধীরস্হির, শিক্ষিত সন্তানের জন্ম দেয়া হতো "হেরেম" পদ্ধতিতে: সুলতান অনেক স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়ে অনেক সন্তানের জন্ম দিতেন; তাদের পড়ালেখা ছিল ইউরোপীয় পদ্ধতিতে; যে সন্তান সব দিক থেকে উন্নত, সে সুলতান হতো; বুঝা যাচ্ছে, ওগুলো মোল্লা শফি ছিলেন না।

কিন্তু বাকীদের পড়ালেখা "মাদ্রাসায়"; মাদ্রাসার লোকদের দিয়ে সৈন্য-বাহিনী ও মসজিদ কেন্দ্রিক দেশ চলেছে ৭০০ বছর; আর কতো? যখন কামাল পাশা "ডেমোক্রেটিক তুরস্ক" গঠন করলেন, শিক্ষিদের বড় অংশ ছিল ধর্মীয় বিদ্যায় শিক্ষিত, ওদের ভাষায় মোল্লা; এ্ই ধর্মীয়রা "ডেমোক্রেসী" বুঝতো না, তারা জানতো "অটোম্যান" পদ্ধতি; কামাল এদের নিয়ে বিপদে পড়েছিল; কারণ, সে বৃটিশ থেকে রক্ষা পেয়েছেন "ডেমোক্রেসীর" দোহাই দিয়ে, আর মোল্লারা ফিরে যেতে চায় রাজতণ্ত্রে। যাক, উনি মোল্লাদের থামায়েছিলেন সেই সময়ে।

কিন্তু মোল্লাদের স্বপ্ন থেমে যায়নি; ৮০ বছর পর, মোল্লাদের স্বপ্ন নিয়ে এসেছে এরদেগান; ৮০ বছর আগের মোল্লারা নেই, এরা এখন এরদেগানী মোল্লা; সবকিছু মিলিয়ে এরা বেদুইন হতে চায় আবারো; একটা তাঁবু, হুক্কা, ছোট্ট একটা হেরেম, ২টা ঘোড়া, বিকেলে একটু খরগোশ শিকার!











মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দীর্ঘদিন পর ইসলাম নিয়ে ভালোবাসা জাগ্রত হওয়ার কারণে আধুনিক প্রো ইউরোপিয়ান তুর্কীতে এরদোগান মুসলিম দেশগুলোতে অনেক জনপ্রিয়। কিন্তু ক্ষমতায় দীর্ঘ সময় থাকার যে বাসনা সেটা হোসনি মোবারক, গাদ্দাফি, সাদ্দামের মতই বুমেরাং হতে পারে...

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমস্যা হলো, সিরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: তুরস্ক একটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগুচ্ছে।

বাই দ্যা ওয়ে, আমেরিকা বনাম উত্তর কোরিয়া্র ফুটবল ম্যাচের কোন আপডেট আছে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, এরদেগান সেখানে সিরিয়া বানাবে।

গতকাল উ: কোরিয়ার মিসাইল টেস্ট ফেইল করেছে; আজকে নাকি ডিম পাটাবে, টেস্ট করার জন্য

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই এরদোগান লোকটি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নেগেটিভ মন্তব্য করার পর থেকেই তাকে আমি অপছন্দ করি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


উহা শেষে কিম জং হয়ে যেতে পারে; তবে, ইতিমধ্যেই বাশার হয়ে গেছে; ইউরোপ, আমেরিকা ও সৌদীকে ক্ষেপাচ্ছে।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: উত্তর কোরিয়া বনাম আমেরিকা'র যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা ঐ পর্যন্তই। এর বেশি কখনই এগোইনি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এবার অবস্হা অন্য রকম, আমেরিকার লেজে পা দিয়েছে

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৫

আহা রুবন বলেছেন: ‌এ-ধরণের পাগল, ভূতদের দরকার আছে। এরা নিজের ঘরে আগুন লাগায় বটে, জঞ্জাল পোড়াতে, নতুন সমাজ গঠনে সহায়তা করে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


তুর্কীরা কঠিন পরোশ্রমী জাতি ছিল; ওরা জার্মনীকেও গড়ে উঠতে সাহায্য করেছিল; এখন আমেরিকায় আসছে মাদ্রাসার মোদাররেস হওয়ার ভিসা নিয়ে।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২২

কামালপা বলেছেন: এরদোগান জনপ্রিয় শাসক, তিনি তুরস্কের অনেক উন্নতি করেছেন। আপনার কথা ইউরোপীয় কলোনিস্টদের চর্বিত চর্বণ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


যান না ওখানে, বিয়ে টিয়ে করেন, আরামে থাকেন, তখন টের পাবেন! ছাগল কখনো মানুষ হতে চাহেনী, তাই ছাগল রয়ে গেছে; যেসব স্পেসিসগ বুদ্ধিমান হতে চেয়েছিলো, সেগুলো মানুষ হয়ে গেছে!

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

কামালপা বলেছেন: তুরস্কের মানুষ নিজেরাই এরদোগানের সমর্থক। ওরা সবাই ছাগল? আর আমি বিদেশে যাব কেন? দেশেই তো আছি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরডেগানের সমর্থক, ব্রাদারহুদের সমর্থকের অভাব নেই, সভ্যতার সাথে তাল না মিলায়ে ভেঁড়া হতে চাইলেও লোকজনের অভাব হয় না।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: প্রাইম মিনিস্টার' পদ্ধতি থেকে 'প্রেসিডেনসিয়াল' সিস্টেমে যাবার জন্য তুরস্কে জাতীয় রেফেরেন্ডাম হচ্ছে যা একেপি তথা রজব তৈয়ব এদুরগান কে আরো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পথ কে প্রশস্থ করবে। তবে এদুরগানের উচিত তাকে বৈধ পন্থায়ে ক্ষমতা থেকে অপসারন করার অপশন রাখা এবং একেপিতে তরুন নেতৃত্ব প্রমোট করা যাতে ভবিষ্যত এদুরগান তৈরি হয়।
এদুরগানের সামনে ইতিহাসে যেমন আনোয়ার পাশা, আদনান মেন্ডারিজ, সাদ্দাম, গাদ্দাফি, মুজিব, জিয়ার ট্র্যাজিক উদাহরন আছে তেমনি মাহথির মুহাম্মদের মত সফল বিচক্ষন উদাহরন ও আছে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনো সব পথে খোলা আছে, তবে, সে ডেমোক্রেসীকে সংকুচিত করার পথ নিচ্ছে।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

কামালপা বলেছেন: ছাগলরা আপনাকে বলে গেছে, ওরা মানুষ হতে চায় না!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেক মানুষ পেছনে সরতে চায়, সভ্যতা সেটাকে মানতে পারে না।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ১৪ বছর দেশ চালানোর পর, আরো ক্ষমতা দরকার, মৃত্যু অবধি ক্ষমতায় থাকার দরকার।


মানুষ ক্ষমতা লোভী! আর এ লোভের পাত্রটা অসীম! কিছুতেই ভরে উঠে না!!!!!!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


একা বাশারের জন্য সিরিয়া শেষ, এটা ক্ষমতার লোভের চেয়ে অনেক বেশী।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: :(

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কথা থাকলে বলতে হয়

১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০২

দূর পাহাড়ে বলেছেন: কামাল ছিল অন্ধ। একটা নরকিট। যুগ যুগান্তরে পুষে রাখা অনাবিল শান্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সে শান্তি তো আবার ফিরবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কামালের প্রেতাত্মাও বার বার অাসে। সীমাহীন দেশপ্রেমের কাছে সে প্রেতাত্মা বার বার মুখ থুবড়ে পড়ে। কামাল এখন দুঃস্বপ্ন তুরস্কের জনগণের কাছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কামাল ছাগলের পছন্দ করতো না, সে অটোম্যানদের চালাতো, ও বৃটিশকে থামায়ে দিয়েছিল

১৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তুরস্কের জনগণ এরদোগানের হাতে ব্যাপক ক্ষমতা অর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছে। ৯৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোট গণনার পর হ্যাঁ এর পক্ষে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ৪৮ দশমিক ৬৮ এর বিপক্ষে ভোট দেয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, অবশিষ্ট সব ভোট না-এর বাক্সে গেলেও তা ৫০ শতাংশে পৌঁছাবে না। এ ধরনের সমীকরণের মাঝেই প্রেসিডেন্ট এরদোগানের একে পার্টি অফিসের সামনে বিজয়োল্লাস শুরু হয়ে যায়। সার্বিকভাবে এরদোগানের হ্যাঁ এর পক্ষে রায় এলেও তাকে ধাক্কা খেতে হয়েছে বড় বড় শহর, ইউরোপের কয়েকটি দেশে এবং কুর্দি অধ্যুষিত সাগর তীরবর্তী এলাকায়। ফলাফলে দেখা গেছে, আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও ইজমির এবং কুর্দি অধু্যুষিত এলাকায় না ভোট পড়েছে বেশি। ওদিকে ব্রিটেন প্রবাসী তুর্কিরা প্রায় ৮১ শতাংশ এবং গ্রিস প্রবাসী তুর্কিরা ৭৭ শতাংশ না ভোট দিয়েছেন। অপরদিকে ৬০ শতাংশ ভোট পুনর্গণনার দাবি বিরোধীদের ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সে নিজের কবর খোঁড়া শুরু করেছে।

১৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৪৬

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: তুর্কিরা এটা বুঝছে না যে তাদের রক্ষার জন্য কামাল পাশারা বার বার জন্মাবে না

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কামাল পাশা দিয়ে গেছে ইউরোপীয় তুরস্ক, এরদেগান উহাকে পঁচা এশিয়া-মুখী করেছে; একজন বৃটিশকে পরাজিত করে দেশ গঠন করেছে; আরেকজন উহাকে আরবদের পায়ের নীচে নামিয়ে আনছে।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "অনেক মানুষ পেছনে সরতে চায়, সভ্যতা সেটাকে মানতে পারে না।"

সামনে আর পেছনে - পার্থক্য কিন্তু একটু ঘুরে যাওয়া মাত্র। আমি যাকে সামনে ভাবছি, সভ্যতার সম্মুখ সেটা নাও হতে পারে যদি আমার মুখ থাকে অন্য দিকে। কি বলেন??

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান টেকনোলোজী সবকিছুকে মাপতে পারে, বর্তমান নলেজ আগামী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম; এরদেগানের আরো ১২ বছর থাকার চেস্টার ফলে, তুরস্কে গৃযুদ্ধ হবে।

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কামাল ছিল স্তালিনের চেয়েও বড় বিচিওয়ালা পাঁঠা। ইংরেজের সাধ্যও ছিল না এতো বড় দেশটাকে নিজের বিচির তলায় রাখার।একসময় না একসময় তাহারা ইংরেজের বিচি ফাটাইয়া বাহির হইতই ! উপমহাদেশে খেলাফত আন্দোলন যখন তুঙ্গে, হিন্দু -মুসলমান যখন মিলিতভাবেই খেলাফত আন্দোলন করছে, ইংরেজের পেট নাইম্মা যাওয়ার উপক্রম হইছে, তখনই কামাল দেশ থেকে খেলাফত উচ্ছেদ কইরা , ইসলামী সব নিয়ম কানুন উঠাইয়া তাহার বিচির গণতন্ত্র চালু করে।কামালের দুইটা মাত্র সফলতা ছিল। এক। ইংরেজদের হাত থেইকা ভূখণ্ড উদ্ধার। দুই। ইসলামরে উৎখাতের চেষ্টা করা।
সেতো বিরাট ধর্ম নিরপেক্ষ ছিল ! ইসলাম ছাড়া সব ধর্মের ক্ষেত্রেই তাহার উদারতার সীমা ছিল না।নিজে লম্পট আছিলো, জাতিরেও লম্পট বানাইতে কসুর করে নাই ! খেলাফতের সময় যে তুরস্ক ইউরোপ কাপাইতো , উহাই কামালের বিচি তন্ত্রের সময়ে ইউরোপের রুগ্ন মানুষের খেতাব পায় ! এরদোগান যাহাই করুক , দুই কারণে প্রশংসার যোগ্য। এক. কামালের বিচিগুলো একে একে ছাটাই করা। দুই। তুরস্কের অর্থনীতির দারুন উন্নয়ন।
এদুইয়ের মোকাবেলায় কামালের বিচিতন্ত্রের দরকার নাই !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনারা এমন কিছুনিয়ে ব্যস্ত আছেন, যাহা আসলে প্রয়োজন নেই, যা আসলে অচল।
খেলাফত আন্দোলন হয়েছে, রেজাল্ট কইছু নেই; তিতু মীরের বাঁশের কেল্লা, রেজাল্ট থাকার কথা নয়।
বেগম জিয়ার ৯১ দিনের আন্দোলন, রেজাল্ট শেখ হাসিনাকে আরো ক্ষমতা দেয়া

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

আল ইফরান বলেছেন: ইংরেজীতে একটা কথা আছে 'Power corrupts, absolute power corrupts absolutely'
শাসনতন্ত্রের চেক এন্ড ব্যালান্স নস্ট করার পারিপার্শ্বিক ফলাফল হয়তো অতি অল্পদিনের মধ্যেই সেলজুকরা দেখতে পাবে।
আফসোস !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


তেলহীন লিবিয়া সৃস্টি হচ্ছে তরস্কে!

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:




মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি ভাই আপনার অবস্থাও তাই হয়েছে। তারদেশের জনগন যদি চাই আহলে আপনার কেন এতো চুলকানী তুর্কিরা কী আপনার চেয়ে কম জ্ঞানী? জনগণ যা চাইবে তাই হবে। এরদোগান যখন ক্ষমতা নেই তখন তুর্কিদের মাথাপিছু আয় ছিল ৩২০০ ডলার এখন তা হয়েছে ১০০০০ ডলার; তাহলে বলেন তাকে কী ভাবে খারাপ বলবো। এরদোগানতো আর বিনা ভোটে ৫৫০০ সিট দখন করেনাই। যা করছে জনগনে রায়নিয়েই করছে।






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


২০০৩ সালে আপনার পরিবারের মাথা পিছু আয় ছিল ৪০০ ডলার, সালমান রহমানের ছিল ১৫০ মিলিয়ন ডলার; ২০১৬ সালে, আপনার পরিবারের গড় আয় ১১০০ ডলার, সালমান রহমানের আয় ২৫০ মিলিয়ন ডলার; এসব অংক আপনার মাথায় প্রবেশ করবে না; এইজন্য আপনার মাথা চুলায় না।

শফি মিয়ার কাছে উর্দু পড়ে ৫/৭ বছর কয়েক লাখ ছেলেপেলে 'মাস্টার্স পাবে'; আবার ঢাকা ইউনিভার্সিটির পিএইচডির কাছে পড়ে কয়েক হাজার মাস্টার্স পাবে; পার্থক্য বুঝার মতো মগজ আছে?

বাংগালীরা ঘরবাড়ী বিক্রয় করে, লিবিয়া হয়ে নৌকায় করে ইতালী যায়, উহা আপনার মাথায় ঢোকে? আপনাদের মগজ লিলিপুটিয়ান থেকেও কম।



১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

blogermassud বলেছেন: জানা হলো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

ওকে

২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "আপনারা এমন কিছুনিয়ে ব্যস্ত আছেন, যাহা আসলে প্রয়োজন নেই, যা আসলে অচল।"

আপনারা এমন কিছু নিয়ে ব্যাস্ত আছেন, যাহার প্রয়োজন পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আছে , ম্যাংগো পিপলের কাছে নাই !

"খেলাফত আন্দোলন হয়েছে, রেজাল্ট কিছুই নেই; তিতু মীরের বাঁশের কেল্লা, রেজাল্ট থাকার কথা নয়।"
খেলাফত আন্দোলন , বাসের কেল্লা ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতার গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।পশ্চিমা চোখ দিয়ে দুনিয়া দেখা মানুষ হিসেবে আপনার কাছে ইহার গুরুত্ব থাকিবে না ইহাই স্বাভাবিক !

"বেগম জিয়ার ৯১ দিনের আন্দোলন, রেজাল্ট শেখ হাসিনাকে আরো ক্ষমতা দেয়া"
এগুলোর সাথে আমার কি সম্পর্ক ? আমি রাজনীতিরে কাছ থেইকা দেইখা আজীবন ঘৃণা করিয়া আসিয়াছি। বস্তাপচা রাজনীতি আমার বিষয়ই নহে।
আপনি সম্ভবত বুঝাইতে চাহিতেছেন গোলাপি বিবির আন্দুলন গোপালী বিবিরে আরো শক্তিশালী করিয়াছে , তেমনি ইংরেজ বিরোধী আন্দুলন ইংরেজরে আরো শক্তিশালী করিয়াছিল !

আমার তা মনে হয় না। ক্ষমতা সবসময় বাঘের পিঠে চড়ার মতো। তাই কেউ নামতে সাহস পায় না। ইংরেজের তাই নামার সময় হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা বাধানোর ব্যবস্থা করিতে হইয়াছিল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


হিন্দু মুসলিম দাংগা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে; ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে; ভারতীয়দের ব্যাখ্যা ও অভিযোগ আছে; বৃটেনের ব্যাখ্যা ও অভিযোগ আছে। আমি বৃটিশের ব্যাখ্যায় বিশ্বাসী:

বৃটিশ পার্লামেন্ট ও রাণী যখন ভারতের স্বাধীনতা দেয়ার জন্য প্রস্তুত; ভারতের বৃটিশ প্রশাসন তৈরি হতে পারেনি; ভারতীয় প্রশাসন জানতো যে, দাংগা হবে হয়তো, কিন্তু বিশাল পান্জাব দান্গার কথা তারা অনুমান করতে পারেনি; যুদ্ধের পর, সব সৈন্যরা দেশে ফেরত যাচ্ছিল; নিকটবর্তী দুরত্বে কিছু সৈন্য ছিলো এডেনে, কিন্তু সেখানকার গভর্ণর সৈন্য দেয়নি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতে মোগলদের পতনের পর, মুসলমানেরা পায়ের নীচ থেকে জমি সরে যেতে দেখেছে, হিন্দুরা লাভবান হয়েছে; তাই, মুসলমানেরা স্বাধীনতায় বেশী বিশ্বাসী ছিল, তাদের এ্যকশন বেশী ছিল; কিন্তু বৃটিশের শক্তি ও রাজনীতির কাছে সেইগুলো ছিলো লিলিপুটিয়ানদের সমান। আবার ইউরোপে তখন গণতন্ত্র, কিন্তু ভারতীয় মুসলমানদের কোন রাজনৈতিক আইডিয়া ছিলো না; তারা কিসব খেলাফত ইত্যাদির কথা বলছিল, যার কোন আগামাথা ছিলো না; ফলে, বৃটিশ মনে করেছে যে, এরা মোগলদের ছায়া মাত্র।

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমি বৃটিশের ব্যাখ্যায় বিশ্বাসী"

বিশ্বাসী মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী তার বিশ্বাসের ভিত্তিতেই হয়। একই কাজ করে একই ব্যাক্তি এক দৃষ্টিতে বিপ্লবী অন্য দৃষ্টিতে রাস্ট্রদ্রহী।

আচ্ছা বৃটিশের ব্যাখ্যায় মীর জাফরের অবস্থানটা কোথায়? জনদরদী, দুরদর্শী, বিচক্ষণ, ভারত ভাগ্য বিধাতাকে বরণকারী - না কি অন্য কিছু??

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মীর জাফরকে ওরা কিভাবে দেখেছে, সেটা অনুমান সম্ভব: ক্ষমতার জন্য ষড়যন্ত্রকারী।

আসলে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হিসেবের খাতায় তার কি অবস্হান, আমি জানি না। বাংগালীরা তাকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দেখে; তবে, সেই ডেফিনেশনও সঠিক নয়; কারণ, রাজতন্ত্রে ওরা ওভাবেই জীবন যাপন করতো।

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১২

সপ্তম৮৪ বলেছেন: আপনি লোক ভালনা। মুসলিম জাহানের নটুন খলিফা এরদেগান সাবের সমালুচোনা করেন। তার হাত ধরেই মুসলিম জাহান আবার উসমানীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠিত করবে। বলেন নারায়ে তাকবির, খেলাফত জিন্দাবাদ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



উসমানিয়া সাম্রজ্যের পতনের পর, সুলতান পরাজয় বরণ করে, বাস করতে গেছেন লন্ডনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.