নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

৪৬ বছরের পাহাড়ী সমস্যা, যার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯



পাহাড়ী মানুষের সাথে বাংগালীদের সমস্যা হচ্ছে, অর্থনৈতিক, ভুমি দখল; তারপর যোগ হয়েছে সাংস্কৃতিক সমস্যা ও বাংগালীদের নিজস্ব সমস্যাগুলো পাহাড়ীদের উপর চাপিয়ে দেয়া।

১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাহাড়ী রাজা, রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানী সৈন্যদের ভয়ে(যথাসম্ভব) মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে; পাকিস্তাীরা কিছু পাহাড়ীকে অস্ত্র দেয়, বেতন দেয়; রাজাকেও সামান্য টাকা পয়সাও দিয়েছিল। এর আগে, কাপ্তাই বাঁধের কারণে রাজার বাড়ীসহ পাহাড়ীদের কিছু পরিমাণ জমি ডুবে যায়; পাকিস্তান সরকার ঠিক মতো ক্ষতিপুরণ না দেয়ায় পাহাড়ীরা পাকিস্তান সরকারের উপর ক্ষুব্ধ ছিলো; যুদ্ধের সময়, পাকিস্তানের পক্ষে না যাওয়ারই কথা; যুদ্ধের আগে, পাহাড়ীদের সাথে বাংগালীদের সম্পর্ক ভালো ছিল সব সময়। পাকীরা পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে রাজা পাকিস্তানে পালিয়ে যায়; পাকিস্তান উনাকে সন্মান দেখায়ে আজীবনের জন্য কি এক বিষয়ে মন্ত্রিত্ব দেন; তিনি কিছু বছর আগে সেখানেই প্রাণ ত্যাগ করেছেন।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর, জামাতের লীডারশীপে কয়েক হাজার রাজাকার ও আলবদর পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে থাকে; কিছু পাহাড়ী এদের যোগানদার হিসেবে সমান্য লাভবান হয় ও অস্ত্রও পায়; পাকিস্তানীদের উস্কানী, রাজাকারদের উপস্হিতি, ও যুদ্ধের সময় রাজার পাকিস্তান সাপোর্ট, রাজার পালিয়ে যাওয়া সব মিলে পাহাড়ীরা কিছুটা বাংগালী বিরোধী হয়ে উঠে। আবার পাকিস্তানী সময়ে, কাঠুরিয়া ইত্যাদি কর্ণফুলী পেপার মিলের জন্য বাঁশ কাটতে গিয়ে পাহাড়ীদের বাড়ীঘরে যাওয়া আসা করতো, বাংলা মদ খেতো অনেকেই, সামান্য পয়সা দিয়ে পাহাড়ী মেয়েদের সাথে জিং জিংও করতো; এগুলো বাংগালী বিরোধীতায় যোগ হয়েছিল।

যুদ্ধের সময়, যেসব পাহাড়ী মোটামুটি রাজাকারের ভুমিকায় ছিলো, তারা ভয়ে ভারতীয় এলাকায় ও গভীর জংগলে লুকিয়ে যায়; এতে , এসব পাহাড়ী পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এরা যেসব নির্জন এলাকায় পালিয়ে যায়, সেসব এলাকায় পুর্ব ভারতীয় বিচ্ছিন্নবাদীদের ঘাঁটি ছিল গভীর জংগলে; এদের মিলন ঘটে এসব দুর্গম এলাকায়; ভারতীয় বিচ্ছিন্নবাদীরা হত্যাকান্ড, চোরাকারবারী ইত্যাদিতে যুক্ত ছিল। এদের ও লুকিয়ে থাকা রাজাকারদের সমন্ময়ে গড়ে উঠে 'শান্তি বাহিনী'; শান্তি বাহিনী পাহাড়ী এলাকায় একটি স্বাধীন পাহাড়ী দেশের কথা বলতে থাকে পাহাড়ীদের কাছে।

যুদ্ধের পর থেকে, পাহাড়ীরা বুঝতে পেরেছিল যে, রাজার পাকিস্তান সাপোর্ট ভুল ছিল; পাহাড়ীদের যে অংশ পড়ালেখা জানতো, তারা শেখ সাহেবের সাথে দেখা করলো, যাতে যুদ্ধের সময়ের ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটে। পাকিস্তানী সময়ে, বাংগালীরা পাহাড়ে বাস করতো না, ও অলিখিত নিয়মে পাহাড়ী এলাকা রাজার অধীনে অনেকটা অটোনোমাস ছিল। শেখ সাহেব, আগের অটোনোমাসের কোন নিশ্চয়তা দেননি, এবং নাকি বলেছিলন, "তোমারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে মিলে বাংগালী হয়ে যাও"; এটা নাকি সেই সময়কার পাহাড়ীদের জন্য অপমানকর ছিলো; এতে পাহাড়ীরা খুশী হয়নি; পাহাড়ীরা আশা করেছিল, রাজাকে মাফ করে দিয়ে দেশে আসতে অনুমতি দেয়া হবে; সেটাও ঘটেনি; এতে শান্তি বাহিনীর সুবিধে হয়।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

জগতারন বলেছেন:
লক্ষ লক্ষ বাংগালীদের প্রানের মিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে দেশ বিরোধী কোন সন্ত্রাসীদের স্থান নাই।
এ সমস্ত জংলী, বরবরদের বরদাস্থ করা হবে না।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, এরা সবাই মোটামুৈ অশিক্ষিত ছিলো, দরিদ্র ছিল; ম্যালেরিয়া অর্ধেক বাচ্ছা, বাকীরা ৪০ বছর বয়সেডর মাঝে মারা যেতো। আজ তাদের অনেকেই অস্ত্র পেয়েছে, এলাকাকে আলাদা দেশ করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের অংশ আমরা হারাতে পারি না; এটার সমাধান বের করার দরকার ছিল ১৯৭২ সালে; আজও সমাধান হয়নি; কারণ অনেকে ভুল সমাধান দিয়েছে।

কোন কিছুর সমাধান করা বাংগালীদের জন্য কস্টকর; এজন্য মাদ্রাসায় নকল হয়, বাকী সবখানে প্রশ্ন ফাঁস করে পরীক্ষা দেয়।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল বিশ্লেষন করেছেন । সংস্লিস্টগন এর সঠিক মুল্যায়ন করলে ভাল হয় ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সংশ্লিস্ট হচ্ছেন ২ জন: আপনি ও আমি

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ তাহলে আসুন প্রথমেই পার্বত্য শান্তি চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক । এতে কারা লাভবান হলো বলে মনে করেন ?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার পার্বত্য-চুক্তি কিছুটা আশার সন্চার করেছিলো; কিন্তু পাহাড়ী এলাকায়, জিয়ার সময় বরিশালের চরের ভুমিহীনকিছু চোর-ডাকাত ও নোয়াখালীর অনেক জল্লাদ ডাকাতদের পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিল; ওরা পাহাড়ীদের সামান্য সুবিধাটুকু কেড়ে নিয়েছে; শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সমাধান দেননি; আবার পাহাড়ী বাংগালীরা জিং জিং করার জন্য পাহাড়ী মেয়েদের অসহায়ত্বকে কাজে লাগায়েছে, ভালোবাসার নামটাম দিয়ে সহজে জিং জিং করেছে, বিয়ে করেনি কোনদিন, এটাও ভয়ানক ক্ষোভের সৃস্টি করেছিল এক সময়।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: পাহাড়ীদের কথা তো কখনও ভাবিনি আগে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন ভাবুন, দেরীতে হলেও কিছু সমাধান খুঁজে পান কিনা দেখেন!

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: :)

সুন্দর পোস্ট।
অজানা অনেক কিছুই জানলাম।

+++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি শুরুর কথা বলেছি, বর্তমান অবস্হা আসলেই ভয়ানক

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ছোট্ট একটা দেশে এত যন্ত্রণা!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


রওশন, তোফায়েল, আমু, হানিফ, মতিয়া, এগুলো নিজেরাই সমস্যা, পড়ালেখা করেনি, এরা কি করে সমস্যার সমাধান করবে?

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১১

আহা রুবন বলেছেন: জিং জিং তখনও খেলত এখনও খেলে। আমার এক বাল্যবন্ধু খাগড়াছড়িতে চাকরি করতে গিয়ে উপজাতি মেয়েদের সঙ্গে জিং জিং খেলত মাত্র একটা মুরগি দিয়ে X(

ভারত ভাগ হবার সময় কথা ছিল মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল হবে পাকিস্তান, বাদ বাকি থাকবে ভারতের সঙ্গে। চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে অমুসলিমের সংখ্যা বেশি, সেই হিসেবে এই অঞ্চল যাবার কথা ছিল ভারতের অংশে। চট্টগ্রামে পাকিস্তানের পতাকা নাকি ১৪ অগাস্টে ওড়েনি, কয়দিন পরে উড়েছিল। একই ঘটনা হয়েছিল খুলনাতেও হিন্দু প্রধান খুলনা ভারতের সঙ্গে আর মুসলিম প্রধান মুর্শিদাবাদ পাকিস্তানে আসার কথা ছিল। পরে অদল-বদল করা হয়। কিন্তু আসলে তখন ঘটেছিল কী? জানা থাকলে একটি পোস্ট আশা করব।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীদের সাথে পাকীদের মিল আছে, ফ্রি বা সস্তায় পেলে জিং জিং খেলে; কিন্তু উহা যে অপরাধ সেটা বুঝতে পারে না; পাহাড়ের মেয়েদের অসহায়ত্ব নিয়ে অনেক জিং জিং হয়েছে; সেগুলো ওখানকার ছেলেদের প্রতিশোধ-পরায়ন করেছে।

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩১

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: অনেকে পাহাড়ের সরল মানুষ গুলোর সরলতার সুযোগ নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড করে, কিন্তু তার চেয়েও ঢের বেশি অনৈতিক কর্মকান্ড সমতলে চলমান প্রতিদিন। পাহাড়কে অস্থিতিশীল রাখার পেছনে যতটা না পাহাড়ীদের হাত তারচেয়েও বেশি কলকাঠি নাড়ে আমাদের পরিক্ষীত বন্ধূরা এবং এদেশে তাদের দোশররা। ভোটের জন্য মানুষের পা ধরার নীতি যে দেশে চলে, সেখানে এগুলো তো মামুলি ব্যাপার মাত্র। দালালী করার গ্যারান্টি দিয়ে যারা মানুষের মাথা ভেংগে খায়, তাদের কাছে সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায় দিই আমরা শর্ট টার্ম মেমরীর জনগণ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুল ভুমির সমস্যা পাহাড়ের ভেতরেও চলে গেছে; ওখানকার সমস্যা দিনে দিনে বেড়েছে ৪৬ বছর; ওদের সাথে বসে দেখার দরকার সমাধান ক্সকি হতে পারে?

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পাহাড়িদের মূল চাওয়া স্বাধীনতা যা কোন ভাবেই মানা সম্ভব না।
পাহাড় বর্তমানে অশান্ত করছে কয়েকটি এনজিও আর চিহ্নিত কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের আয়তন ও লোক সংখ্যার কারণে, প্রতিটি বর্গফুট জমি দরকারী; এটার থেকে কেটে নিয়ে আরেকটা দেশ করার অবস্হা নেই; তাদেরকে নিজেদের মতো করে সমস্যা সমাধানের সুযোগ দেয়ার দরকার; তবে, স্বাধীনতা ব্যতিত।

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যে জায়গায় রাজাকাররা আশ্রয় নিয়েছে, পুনর্বাসন করা হয়েছে সমতলের সবচেয়ে জঘন্য লোকদের, সেখানে দেশবিরোধী বা সমস্যা হওয়ারই কথা। শান্তিচুক্তি অনেকটা সুফল আনতে পারলেও পুরোপুরিভাবে সমাধান পায়নি পাহাড়িরা। তারা সামান্য দুটানা অবস্থানে সবসময়। সঠিক ব্যবস্থার দরকার। কিন্তু ...

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শান্তি বাহিনীকে নিরাশ করার জন্য জিয়া মানুষ আমদানী করতে গিয়ে, অমানুষ আমদানী করেছে; সেটা এখন সমস্যা

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাহাড়িরাই দায়ী সব সমস্যার জন্য। ভাগ্যিস জিয়াউর রহমান সেটেলার পাঠিয়েছিলেন, না হলে এতদিন পূর্ব ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে মিলে(আপনার লেখায় আছে) পাহাড়িরা তালেবানদের মতই এক দেশে আলাদা শাসন জারি রাখতো। আমাদের বঙ্গবন্ধুর কথাতেই ফিরে যেতে হবে, "তোরা বাঙালী(কিংবা বাংলাদেশী) হয়ে যা"...
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আলাদা অধিকার, আলাদা কৌটা, আলাদা ভূমি এসব হাস্যকর...

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্হলভাগে মানুষের ঘনত্ব কমানোর জন্যও পাহাড়ে কিছু মানুষকে নেয়ার দরকার ছিলো; সাথে সাথে শান্তি বাহিনীর বিচরণ কমানোর জন্য জন বসতির দরকার ছিলো; সেগুলো প্ল্যান মাফিক করার দরকার ছিলো সেই ধরণের 'সিলেকটিভ মানুষ' দিয়ে; বিএনপি'র ওয়াদুদ ভুইয়া নামে একজন নোয়াখালীর লোক, নোয়াখালীর চরের গৃহহীন ওখানে নিয়ে গেছে, যারা কাজ করেনি, পাহাড়ীদের জুমের জমি ইত্যাদি দখল করেছে; এরপর বরিশাল ও খুলনার রাস্তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছে; এগুলো ছিল নতুন সমস্যা।
জিয়া এসব মানুষের আয়ের কথা ভাবেনি; এরা গিয়ে গাছ কেটে বিক্রয় শুরু করেছিল, এখন সব মরুভুমি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এদরকে কোটায় কিছু চাকুরী না দিলে এরা কি করে ঢাকা, নোয়াখালী, কুমিল্লার মানুষের সাথে প্রতিযোগীতা করে চাকুরী পাবে?

১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩০

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন:

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শান্তি বাহিনীর অনেক অপরাধ করেছে; সেগুলোর সমাধান বাংলাদেশকেই বের করতে হবে; সমাধান না করে, যদি প্রতিশোধ নেয়া হয়, সমস্যা বাড়বে।

আপনি অবশ্যই প্রতিশোধে বিশ্বাসী!

১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের সাথে সহমত হলাম।
আর আপনার পোষ্টে নতুন অনেক কিছু জানলাম। ভালো

কিন্তু দেশ এখন অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যে খুব কঠিন সমস্যা। এসব বিষয় তার সমাধান করা যায় তা নিয়ে যদি লিখেন তাহলে ভালো লাগতো। কেউ একজন লিখলে কিছু পথ তো বের হবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই সমস্যাও আমাদের মুল সমস্যাগুলোর অংশ; তবে, পাহাড়ীরা মালয়েশিয়া বা সৌদী গিয়ে আয় করার অবস্হানে ছিলো না কোনদিন।

১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: সমস্যার সমাসান্ত হলেও সমস্যার শেষ হবে না।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু জাতি সমস্যার সমাধান খোঁজেন, কিছু জাতি নিজেরাই সমস্যা

১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪০

সপ্তম৮৪ বলেছেন: ডার্ক ম্যান বলেছেন: পাহাড়িদের মূল চাওয়া স্বাধীনতা যা কোন ভাবেই মানা সম্ভব না।
পাহাড় বর্তমানে অশান্ত করছে কয়েকটি এনজিও আর চিহ্নিত কয়েকজন মানবাধিকার কর্মী

ডার্ক ম্যানের কথাই ঠিক মনে হচ্ছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটা কোন বাংগালী মানবে না; সেটা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে, বর্তমান অর্থনৈতিক সমাধান খোঁজার দরকার।

১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: ১) ১৪ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ক্ষুদ্রায়তনের বাংলাদেশের এক-দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্রগ্রাম উপজাতীয় এলাকা (উপজাতিদের ভাষায় জুম্মল্যান্ড) হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

(২) পার্বত্য চট্রগ্রামে বসতি স্থাপন, ভুমিক্রয় বা বন্দোবস্তি নেয়ার সংবিধান স্বীকৃত নাগরিক অধিকার অস্বীকৃত হয়েছে। এর ফলে দেশের ১৪ কোটি নাগরিক পার্বত্যাঞ্চলে বিদেশী হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।

(৩) পার্বত্য চট্রগ্রামে বসবাসরত ৬ লক্ষাধিক বাংগালী নাগরিককে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসের জন্য উপজাতীয় হেডম্যান/চেয়ারম্যান এবং সার্কেল চীফের সনদ প্রাপ্তির উপর নির্ভরশীল করা হয়েছে। উক্ত সনদ প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হলে পার্বত্যাঞ্চলে তারা ভীনদেশী হিসেবে পরিগণিত হবে । আর সেখানে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে সনদ না পেলে কেউ ভোটার তালিকাতেও অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেনা এবং উচ্ছেদ হতে বাধ্য হবে।

(৪) পার্বত্য ৩ জেলায় প্রতিষ্ঠিত ৩টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদসমূহের নির্বাচনে বাংগালীরা ভোট দিবে তবে উক্ত পদসমূহে প্রতিদ্বন্দিতা করার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

(৫) পার্বত্যাঞ্চলে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার শীর্ষ প্রতিষ্ঠান আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটিও শুধুমাত্র উপজাতিদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়ে দেশের এক-দশমাংশে উপজাতীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। এর ফলে ভুমিপুত্র বাংগালীদেরকে পার্বত্যাঞ্চলে উপজাতিদের প্রজায় পরিণত করা হয়েছে। এ দেশবাসি পরাধীনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করলেও বর্তমানে পার্বত্য বাংগালীরা আবার ভিনদেশী চাকমা উপজাতির শাসনাধীনে পতিত হয়েছে।

(৬) পার্বত্য মন্ত্রনালয় এবং উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে মন্ত্রিত্ব এবং চেয়ারম্যান পদ দুটিতেও উপজাতীয় উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনী দু’যুগ ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম করে পার্বত্যাঞ্চলের এক ইঞ্চি ভুমি দখল করতে না পারলেও কেন জেএসএস এর কাছে আওয়ামী সরকারের এ আত্মসমর্পন ?

(৭) দেশের এক-দশমাংশ এলাকার বিস্তীর্ন ভুমির উপর শুধুমাত্র ৬ লক্ষ উপজাতির একক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। লক্ষ্যনীয় যে, পার্বত্যাঞ্চলে গড়ে দেশের ১ কোটি ৬০লক্ষ নাগরিকের আবাস হওয়ার কথা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ৫০ কোটি অতিক্রম করলেও চুক্তি অনুযায়ী মাত্র ৬/৭ লক্ষ উপজাতির বসবাসের জন্য দেশের এক-দশমাংশ পার্বত্য এলাকা নির্দিষ্ট করে দেয়া হলো। অথচ দেশের ৭ কোটিরও বেশি মানুষ ভুমিহীন।

(৮) চুক্তি অনুযায়ী একটি ভূমি কমিশন গঠন করা হয়েছে যারা জেএসএস এর দাবী মোতাবেক পার্বত্যবাসী ৭ লক্ষ বাংগালীকে ভুমি থেকে উৎখাত করলেও দেশের সুপ্রিম কোর্টও বাংগালীদের আপীল শোনার ক্ষমতা রাখবেনা।

(৯) পার্বত্যাঞ্চলের ৬টি ক্যাম্প ব্যতীত সকল নিরাপত্তা ক্যাম্প তুলে নেয়ার জন্য আওয়ামী সরকার জেএসএস এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনে যে কোন জায়গায় নিরাপত্তা স্থাপনা ষ্ট্যাবলিশ করার ক্ষেত্রে সরকারের স্বার্বভৈাম অধিকার (খবমরঃরসধঃব জরমযঃ) এর সাথে জেএসএস-কে অংশিদার করা হয়েছে। তিনদিক থেকে ভারত-বেষ্টিত হওয়ায় দেশের কৌশলগত নিরাপত্তার দিক থেকে পার্বত্য-চট্রগ্রামের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে নাজুক। তার উপর পার্বত্য চট্রগ্রামের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিকল্পনায় ভারতপোষ্য জেএসএস এর অংশিদারিত্বের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে সরকার আপতকালীন মূহুর্তেও পার্বত্য চট্রগ্রামে সেনা মোতায়েন করার ক্ষমতা রাখবেনা। অন্যদিকে চুক্তি অনুযায়ী সকল নিরাপত্তা ক্যাম্প উঠিয়ে নিলে পার্বত্য চট্রগ্রামের ভুমি ও মানুষের উপর জেএসএস এর পূর্ণাংগ কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হবে আর সরকারের কর্তৃত্ব বিলুপ্ত হবে।

(১০) পার্বত্য চট্রগ্রামের সকল অফিস-আদালত এবং শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য উপজাতিদের অগ্রাধিকার মেনে নেয়া হয়েছে। এর ফলে বাংগালিদেরকে শোষনের পথ উম্মুক্ত করা হলো। চাকুরীর ক্ষেত্রে পার্বত্য বাংগালিরা বর্তমানে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।

(১১) প্রায় ৩৫ হাজার পার্বত্য মানুষের গণহত্যাকারী দেশোদ্রোহী শান্তিবাহিনীকে নগণ্য সংখ্যক অকেজো অস্ত্র জমাদানের বিনিময়ে সাধারন ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে। হত্যা, অপহরন, ধর্ষন, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ, সশস্ত্র বিদ্রোহ ইত্যাদি জঘন্য অপরাধের কারনে শুধুমাত্র বেকসুর দায়মুক্তিই মেলেনি, জেএসএস পেয়েছে পুরো পার্বত্য চট্রগ্রামের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব আর জেএসএস এর প্রত্যেক সদস্য লাভ করেছে নগদ ৫০ হাজার টাকা। দেশ স্বাধীনকারী জাতির শ্রেষ্ট স›তান বলে কথিত মুক্তিযোদ্বারা অনাহারে ধুকে ধুকে মরলেও তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সদস্যরা দেশোদ্রোহিতা এবং গণহত্যার পুরুষ্কারস্বরুপ লাভ করেছে উপরোক্ত ৫০ হাজার টাকা এবং সরকারী পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী। এর ফলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মরা হয়তবা দেশরক্ষার্থে মুক্তিযোদ্বা হবার পরিবর্তে শান্তিবাহিনীর মত দেশোদ্রোহী হওয়াকে বেশি লাভজনক মনে করবে।

(১২) চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্রগ্রামে সকল প্রকার খাজনা আদায়ের মালিক আঞ্চলিক পরিষদ। আঞ্চলিক পরিষদের হাতে পার্বত্য চট্রগ্রামের বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্রগ্রামে জাতীয় খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্যও আঞ্চলিক পরিষদকে খাজনা দিতে হবে। শুধু তা-ই নয়, দেশী-বিদেশী যে কোন কোম্পানি কর্তৃক পার্বত্য চট্রগ্রামে শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য অনুমোদন দেবার মালিক বানানো হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদকে। এমনকি আঞ্চলিক পরিষদ বিদেশী যে-কোন উৎস্যের কাছ থেকে অনুদান গ্রহন করতে পারবে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ।

(১৩) এভাবে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপজাতীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্রগ্রাম নামক দেশের এক-দশমাংশ এলাকায়। চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষেরই কোন নাগরিকাধিকার পার্বত্য চট্রগ্রামে নেই। চুক্তি করে দেশের মধ্যে দেশ তৈরী করা হয়েছে। পার্বত্য চট্রগ্রামের নর্বিাচতি জনপ্রতিনিধি না হয়েও সন্তু লারমা জেএসএস প্রধান হিসেবে আঞ্চলিক পরিষদের সর্বময় ক্ষমতা অগণতান্ত্রিকাবে লাভ করে পার্বত্য চট্রগ্রামে চাকমা শাসন জারী করেছে।


পার্বত্য চট্রগ্রামে সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়তি উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রায় ৯৫%-ই উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য পরিচালিত। সন্ত্রাস দমনের চেয়ে সেনাবাহিনী উপজাতিদের উন্নয়নেই বেশী নিয়োজিত বলে ধারনা করা যেতে পারে। সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে প্রতিটি উপজাতীয় এলাকায় নির্মিত হয়েছে স্কুল-কলেজ, কিয়াংঘর, উপজাতীয় ছাত্রাবাস, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে উপজাতীয় সাং®কৃতিক কেন্দ্র ইত্যাদি। ৫২% পার্বত্যবাসী বাংগালির জন্য কোন সাং®কৃতিক কেন্দ্র এবং ছাত্রাবাস নির্মানের প্রয়োজনীয়তা এযাবত কেউ অনুধাবন করেননি। ফলে চরম বৈমাত্রেয় আচরনের শিকার পার্বত্য বাংগালিদের অস্তিত্ব আজ বিপন্নের পর্যায়ে। প্রতিবছর উপজাতীয় শিক্ষাকোটায় দ্বিতীয় বিভাগধারীসহ ৩২৫ জন উপজাতি ছাত্র-ছাত্রী ক্যাডেট কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক্যাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ইত্যাদি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়, অথচ পার্বত্যবাসী বাংগালি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উচ্চশিখ্যার জন্য অনুরুপ সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সরকারী বৈষম্য নীতি দ্বারা পার্বত্য বাংগালিদেরকে উপজাতিদের তুলনায় একটি নিকৃষ্ট জাতি হিসেবে পরিগণিত করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


চুক্তি অনুসারে অনেক কিছু হয়েছে, অনেক কিছু হয়নি; এগুলোর সমাধান করার দায়িত্ব সরকারের।

আপনি নিশ্চয় কোন সমাধানের পক্ষের লোক নন।

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৫

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আপনি তাহলে এত কিছু বলার কেউ নন । আপনি বাঙালী মরলে খুসি হন । শান্তি বাহিনি যত অশান্তির মুল । দেশে অনেক উপজাতি আছে তাদের কোন সমস্যা নাই চাকমাদের যত সমস্যা । এই দেশে রেল লাইনে কত বস্তি আছে তাদের কোন সমস্যা না। পাহার আমাদের কোন উপজাতির না। যাকে নিয়ে লিখছেন তাঁর ব্যাপারে ভাল করে জেনে মায়া কান্না করুন । আমি এই দেশের নাগরিক । আমার বাবা এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে । আমি বলব না ত রাজাকার ত্রিবেদী বলবে ।।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বাবা যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুদ্ধ করে থাকেন, উনার জন্য সন্মান রলো!

১৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: কাশ্মীর চাইলে পাহাড় চাইবে না কেনো?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুখন্ড ও বৃটিশের সময় তাদের আলাদা রাজ্য থাকায় কাশ্মীর ভারত থেকে আলাদা হতে চেয়েছে; আমাদের পাহাড়ীরা আমাদের এলাকায় এসেছে, এটা ওদের বাসস্হান ছিলো না।

১৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সংখ্যালঘু হিন্দু একটা বড় ফ্যাক্ট কিন্তু পাহাড়িরা নয়, কেননা তাদের ভোট নিবাচনে কোন ফ্যাক্ট না। রাজনৈতিক দলগুলো তাই তাদের নিয়ে এত মাথা ঘামায় নি। আর বাংলাদেশ সরকারের উচিত, কিছু ড্রোন কিনে সেখানে নিয়মিত এইগুলো দিয়ে টহল দেওয়া।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত নয়, তারাও জীবন খুঁজে পাচ্ছে না ওখানে, এটার সমাধান দরকার।

২০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৫১

রক বেনন বলেছেন: আজ পর্যন্ত কোন পাহাড়িকে সমতলে নেমে এসে গণ্ডগোল করতে দেখেনি। দেখেছি বাঙ্গালীকে পাহাড়ে গিয়ে গণ্ডগোল করতে। দেখেছি তাদের জায়গা সম্পত্তি গ্রাস করতে। নিজ চোখে দেখেছি তাদের উপাসনালয়/শ্মশান কে দখল করে পশু চারণ ভূমিতে পরিণত করতে। কী বোর্ডে অনেকেই বড় বড় কথা লিখে ঝড় তুলতে পারে। উপরে কমেন্টে অনেকেই লিখেছে পাহাড়িরা হেন করেছে, তেন করেছে। বাঙ্গালীরা তাদের কি করেছে তা কখনো দেখেছেন? দেখেননি কারণ আপনাদের দৌড় পাহাড়ের টুরিস্ট স্পট গুলো পর্যন্ত। তাই এখন থেকে আমরা সবাই বাঙ্গালী, এদেশ আমাদের বাংলাদেশ এর বদলে বলবেন- আমরা বাঙ্গালী সবাই বাঙ্গালী তবে পাহাড়িরা ছাড়া, এদেশ আমাদের বাংলাদেশ তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আলাদা।

আঙ্কেল, খুব ভালো একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন। যদিও অনেকে রুঢ় কথা বলে ফেলেছি। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক কিছুই আমার খুব কাছ থেকে দেখা। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


গড়ে খারাপ বাংগালীদের পাহাড়ে স্হান দেয়া হয়েছিল; তারা স্হানীয়দের সন্মান করেনি; সমস্যা হয়ে গেছে। যেসব পরিবারে সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে সমতলে নিয়ে আসটে হবে।

২১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: পাহাড়ি সমস্যা সমাধান হওয়ার নয়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব পাহাড়ী পরিবারে সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে সমতলে গুচ্ছ গ্রামে নিয়ে আসার দরকার।

২২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি কেন সেই রাজাকারদের সাথে ‘শান্তি চুক্তি’ নামে একটি চুক্তি করল?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহাড়ী সমস্যার সমাধান করার চেস্টা; আপনার কাছে বিকল্প ভাবনা আছে?

২৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: শান্তি বাহিনী'; শান্তি বাহিনী পাহাড়ী এলাকায় একটি স্বাধীন পাহাড়ী দেশের কথা বলতে থাকে পাহাড়ীদের কাছে।



ওরা আসলে স্বাধীনতার মুলা দেখাইয়া চাঁদাবাজী করে যাচ্ছে!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


চাঁদাবাজী সম্ভব; তবে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত, কওমীরা সবাই চাঁদাবাজি করে; ফলে, বন্ধ হচ্ছে না।

২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: বাঙালির একটা স্বাভাব হলো যেটা জানবে সেটা নিয়ে তো বলবেই, যেটা না জানবে সেটা নিয়ে আরো বেশি বলবে!

পাহাড়ে সমস্যা নিয়ে ঢাকার এসি রুমে বসে যারা বকবক করে তাদের বেশিরভাগই নারী প্রসঙ্গ টেনে আনে! চাঁদগাজি তাই করতে চেয়েছেন! এর কারণ হলো এই ট্রাম্প ব্যবহার করে সহজেই সহানুভূতি পাওয়া যায়! যারা এটা নিয়ে লাফায় তাদের বলবো হুমায়ূন আহমেদের "পাহাড়ের ঝরনা ধারায় হিংসার স্রোত ও রোকেয়া লিটার ডুমুরের ফুল " বই দুটি পড়ে নিতে!

লেখক, কমেন্টে বারবার বলতে চেয়েছে যাদের সেখানে নেওয়া হয়েছে এরা দাগী সন্ত্রাসী " হাউ ফানি!! আরেকটি অভিযোগ ভূমিহীনদের নেওয়া হয়েছে! তো ভূমিহীনদের নিবে নাকি চুতিয়া "সুলতানা কামাল, কানা মিজান, ইফতেকুজ্জাতান, ইমতিয়াজ মাহমুদ, মেজবা কামালদের মতো নিয়ে যাবে??

সেখানে গিয়ে বাঙালিরা ওদের জুম চুরি করে খেয়েছে লেখকের অভিমত! যে ব্যাক্তি জুম সম্পর্কে ধারণা না রাখে সে এরচেয়ে ভালো বলতে পারে না! জুমে কি হয় তা জুম যারা করে তারাই বলতে পারে!

আজকে পাহাড় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ! সেটা বাঙালিদের কারনেই সম্ভব হয়েছে! জীবনে বাঁচার তাগিদে পাহাড় জঙ্গল কেটে আজ আবাদি জমিতে পরিনত করেছে! অথচো পাহাড়ি অধ্যুষিত এলাকায় এখনো চাষ উপযোগী করতে পারেনি উপজাতিরা!

ভূমি দখলের কথা এসেছে! বিচ্ছিন্নতাবাদ ও জনগণের ভারসাম্য আনয়নের উদ্দেশ্য সেখানে বাঙালি নেওয়া হয়েছে (আগেও ছিলো)! বাঙালিদেরকে ওদের ভুমি নয় খাস জমি দেওয়া হয়েছে! এমনকি যেই ভুমি দেওয়া হয়েছে "শান্তি বাহিনীর " আক্রমনে তা ছেড়ে দিয়ে গুচ্ছ গ্রামে আজও বসবাস করতে হচ্ছে বাঙালিদের! এখনো সেই ভূমি বুঝে পায়নি!

সমস্যার সমাধানের কথা বলছেন! সেটা চাইবে তা তারাই যারা এখানে স্বার্থ খুজে পায়! পাহাড় অশান্ত থাকলে কাদের লাভ? একএকটি পাহাড়ি সংগঠন বছরে শতকোটি টাকার উপরে চাঁদা তুলে! সমস্যা সমাধান হলে তারা করবে কি?

UNDP বলে সেখান থেকে বাঙালি নিয়ে আসলে তারা সকল আর্থিক সহায়তা করবে! পাহাড় থেকে বাঙালি সরিয়ে আনতে UNDP এর এতো দরদ কেন?

পাহাড়ে সকল নিয়োগে ৭০ শতাংশ কোটা, সারা দেশে ৫ শতাংশ কোটা, বিনা সুদে সরকারি ঋন, ঠিকাদারিতে অগ্রাধিকার, পার্বত্য মন্ত্রনালয়, তিন জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এদের জন্য বরাদ্দ! অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর কতো দিতে হবে? কতো??

পাহাড়ে ২০১২ সাল পর্যন্ত লংগদু ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা UNDP তাদের কর্মকাণ্ডের বাহিরে রেখেছে শুধু্ বাঙালি অধ্যুষিত বলে! এটা কিসের ইঙ্গিত?

আরো অনেক বলার আছে এখানে সব সম্ভব না!

আসুন সমাধান খুজি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


চাঁদা তোলা বন্ধ করতে পারে সরকার।
সরকার পুরোপুরি এমনেস্টি দিটে পারে অস্ত্রধারীদের জন্য; তারা পরিবারে ফিরে আসুক।

যেসব পরিবারের সন্ত্রাসী থাকবে, তাদেরকে সমতলে নিয়ে আসতে হবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার কথায় মনে হচ্ছে, আপনি নিজেই সমস্যায় আছেন।

২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: পার্বত্য চট্টগ্রাম ইস্যুতে পাহাড়ী বাঙ্গালী উভয়েই দায়ী, বাঙ্গালী চায় পাহাড়ীদের শোষন করতে আর পাহাড়ীরা বাঙ্গালীদের এই শোষন কে পুজি করে নিজেদের স্বাধীন করে জম্মুল্যানড প্রতিষ্ঠা করতে। ঐক্যমতের ভিত্তিতে ঐক্যবধ্য হয়ে সমস্যার সমাধান কেউই চায় না

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:




বাংগালী বলতে, বিএনপি'র ওয়াদুদ ভুইয়া পরিবার, আর চোর ডাকাত যারা পাহাড়ে যারা ঢুকেছে তারা চায়; নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা চাহে না; এখন বাংগালী পক্ষ মানে শেখ হাসিনা।

যারা জম্মুল্যানড প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে সমতলে গুচ্ছ-গ্রামে নিয়ে আসতে হবে, বাকীদের জন্য নিরাপদ এলাকা ও অর্থনৈতিক সুবিধার সৃস্টি করতে হবে।

২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: আমার তো সমস্যা আছেই! কারণ আমাকে চাঁদা দিয়ে পাহাড়ে চলতে হয়! না হয় খুন! আপনি সেই দুঃখ কিভাবে বুঝবেন??
অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার শর্তে চুক্তি হয়েছে! আবারও চুক্তি!!

যারা সন্ত্রাসী তারা স্ব ইচ্ছায় ফিরে আসলে পাহাড় বাঙালিদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিব! অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার কি করেছে তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপরের কমেন্টে বলেছি! আরো??

বাঙালি শুধু আপনি! আর ওখানে যারা থাকে সব ভিন গ্রহের এলিয়েন!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহাড়ে বাংগালীদের নেয়া হয়েছে শান্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে; এবং নেয়ার সময় সঠিক প্ল্যান করে নেয়নি।

চাঁদা তোলা ঠেকানো খুবই সহজ, আপনারা সেই বিষয়ে সেখানকার মিলিটারী ও সরকারের লোকদের সাথে কাজ করুন।

২৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার কাম শুধুই প্যাচানো, আপনি কি বাস্তব জীবনেও এমন?







ভালোা ধাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটাই বাস্তবতা, আপনি কম বুঝেন, আপনার দু:খ-কস্ট, ভাবনা লিলিপুটিয়ান লেভেলে

২৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩২

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: চাদগাজী ভাই আপনি একটু একতরফা কথা বলছেন, প্রবলেমটা জিয়ার বাঙ্গালী সেটেলমেন্ট এর আগে থেকেই শুরু হয়েছিলো, মানবেন্দ্র লারমারা তাদের এই অঞ্চলে কেন্দ্রের অবহেলা কে পুঁজি করে স্বায়ত্বশাসন সহ আরো নানাবিধ দাবী পেশ করে পাকিস্তান কে যে ট্যাবলেট বঙ্গবন্ধু গেলাইছে মানবেন্দ্র লারমা যে একই ট্রিটমেন্ট বঙ্গবন্ধুকে দিতে চাচ্ছে তা বঙ্গবন্ধু বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছিলেন সংঘাতের বীজ সেখানেই বপন হয়ে যায়, জিয়ার বাঙ্গালী সেটেলমেন্ট বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুনে জাস্ট ঘি ঢেলেছে। মানবেন্দ্র লারমা শন্তু লার্মাদের খায়েশ প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রেসিডেন্ট হওয়া যার জন্য তাদের সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য হওয়া লাগবে so সেই পথে না হেটে শটকার্ট পথ ধরেছে তাহল সহজ সরল পার্বত্য জনগনের মধ্যে জাতিগত হুজুগ জাগিয়ে তুলে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে।
শন্তু লারমারা দেখেছে কিভাবে আঞ্চলিক জনপ্রিয় দুই নেতা মুজিব ভুট্টো একটা দেশ ভেঙ্গে আলাদা আলাদা দুই দেশ বানিয়ে নিজেরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছে কিভাবে শফিউল্ল্যাহ জিয়াদের মত ব্যাটেলিয়ান কমান্ড দেওয়া অফিসার রাতারাতি কোর কমান্ডিং জেনারেলে পরিনত হয়েছে। শন্তু লারমাদের খায়েস তো জাগতেই পারে।
কার্মা ইজ দ্যা বিচ

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমস্যা পাকিস্তানের সময় শুরু হয়েছিল খুবই ছোট আকারে; পাকিস্তানী সরকার এগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়নি; বাংলাদেশ আমলে এর সমাধান দরকার ছিল। আজকে সমাধান দরকার। যারা ওখানে গন্ডগোল করছে, সন্তুুকে একটা কাজ দিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসার দরকার; না হয়, দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করার দরকার।

২৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: শন্তুদের খায়েশ দেশের হর্তাকর্তা হবার, যা বাংলাদেশে হওয়া কঠিন তাই শন্তুরা চাচ্ছে স্বাধীন জম্মুল্যান্ড করে সে দেশের হর্তাকর্তা হতে

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা সন্তুর আশা পুরণ হতে দেবে না; শুধু মানুষকে কস্ট দিচ্ছে কিছু ডামী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.