নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্র -বিরোধীতা জাতির সংস্কৃতি সম্পর্কে ভয়ংকর ধারণা দিচ্ছে

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৭



রবী ঠাকুর কি লিখেছেন, ৯ কোটী বাংগালী তা পড়তে পারেন না, এই ৯ কোটী নিজের নামও লিখতে পারেন না; বাকী ৮ কোটীর মাঝে যারা মাদ্রাসায় পড়েছেন, তারা রবী ঠাকুরের নাম নিতে পারেন না, এতে গুণাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে; এর পরে যারা আছেন, তাদের অনেকে পড়েছেন যে, রবী ঠাকুর ১টি কবিতা লিখেছেন, "আমাদের ছোট নদী" ( নামটা ভুলে গেছি, ছোট নদী,বা তিস্তা এ রকম কিছু হবে )।

যাক, উনি বাংলা ভাষার কবি, উনি নিজের লেখার গুণে নোবেল পেয়ে বাংলা ভষাকে বিশ্বে পরিচিত করেছেন; উনি জীবিকার জন্য লিখেননি; উনার পরিবার জমিদার ছিলেন, টাকা পয়সা ছিল; বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন, ইউরোপ আমেরিকা উনাকে চিনতেন, আইনষ্টাইনও উনাকে চিনতেন, এতে নোবেল পাওয়া সহজ হয়েছে।

উনি নিজও জমিদার ছিলেন, কোন প্রজার মেয়েকে নিয়ে জিং জিং করেননি। উনার সমস্যা হলো, উনি হিন্দু ছিলেন।বর্তমানে, হিন্দু ধর্মের কোন মানুষ ইসলাম পছন্দ করেন না; হিন্দু ধর্ম আনন্দের ধর্ম, ধর্ম পালনে কোন বাধাধরা নিয়ম নেই, ভালো লাগলে গণেশকে, বা শিবকে, অথবা কালীর উপাসনা করা হয়; প্রতিদিন উপাসনা করা যায়, বছরে একবার করলেও চলে; ফলে, রবী ঠাকুর নিশ্চয় ইসলাম, খ্রীশ্চিয়ানিজম, জুডাইজমের ফ্যান ছিলেন না; এটা নিশ্চয় উনার অপরাধ নয়; এবং কবিতা লিখাও অপরাধ নয়; ব্লগে আমাদের সবাই কবি; ব্লগে হিন্দু, খ্রীস্টান কবিও আছেন; সমস্যা হলো, বাংলায় লেখায় উহাদের টিকি ধরা সম্ভব নয়।

উনি নাকি ঢাকা ইউনিভার্সিটির বিরোধীতা করেছিলেন; এগুলো শোনা কথা; ইংরেজেরা উনার কথায় চলতেন না; ইংরেজরা যখন পুর্ব বাংলায় ইউনিভার্সিটি করার অনুমতি দিয়েছিল, উহা ঠেকানোর ক্ষমতা কারো ছিলো না। আমাদের চিটাগং ইউনিভার্সিটি কুমিল্লায় হওয়ার কথা ছিল, ফজলুল কাদের ছৌধুরী উহার বিরোধীতা করেছিল, এবং উহাকে চট্টগ্রাম নিয়ে গিয়েছিল; কিন্তু ইউনিভার্সিটি হওয়া বন্ধ করতে পারেনি; কারণ, আইয়ুব খান পুর্ব পাকিস্তানের পুর্ব এলাকায় ১টি ইউনিভার্সিটি করার জন্য অনুমতি দিয়েছিল।

যাক, রবীন্দ্র বিরোধীতার লেভেল বাড়ছে, এটা খারাপ লক্ষণ জাতির জন্য; কিছু লোকজন আছে তারা বাংলায় কবিতা, গান, উপন্যাস, কাব্য, নাটক পছন্দ করে না; তারা নজরুল ইসলামকে পছন্দ করে না, তারা ব্লগারদেরও পছন্দ করে না।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি শুধু বলতে এসেছি, পড়েছি।

আমিও শুনা কথা শুনেছি। তবে কিছু বিষয় আমি আলাদা ভাবে জেনেছি, তা শেয়ার করা নিষ্প্রয়োজন।

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৭ কোটী বাংগালীর মাঝে ১৬ কোটী মনে করে যে, ব্লগারেরা খারাপ মানুষ!

২| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: শিল্পি তো শিল্পিই। তাতে আবার হিন্দু মুসলিম কী! অনেক মুসলমান হয়তো ইসলামের বিরুদ্ধে লিখছে আবার কোন অমুসলিমকেও হয়তো মুসলমানদের সম্মান দিতে দেখা যায়। তাই আমার মতে সাহিত্যে ধর্ম দেখার কিছু নেই। গুণমান বিচার করতে হয়।

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে নিয়মটা হলো একটু আলাদা; এখানে লেখকের ধর্ম কর্ম সব দেখা হয়। আইয়ুব খান রবী ঠাকুরকে পছন্দ করতেন না।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অতিরিক্ত রবীন্দ্র পূজাও জাতির সংস্কৃতি সম্পর্কে ভয়ংকর ধারণা দিচ্ছে...

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ নামাজ পড়েনা, ঘুষ খায়, হিন্দুরা পারলে স্বরস্বতী পুজা করে না; রবী ঠাকুরকে পুজা করার লোক কোথায় পারেন? ৯ কোটী তো বাংলা পড়তে পারে না, ওরা কি রবীন্দ্র পুজা করবেন?

আমাদের ভাষায় যেই লোক নোবেল পেয়েছেন, শিক্ষিতরা উনাকে স্মরণ করবেন সব সময়; বাংগালীরা বই পড়ে না, কে উনার বই পড়ছে? মেলায় রাজিব নুরের বই বিক্রয় হয়নি; ১০ লাইন মুখস্হ কবিতা লেখার জন্য নকল করেছে বাংগালিরা; এখন তারা বিসিএস; ওরা কবিতা পড়বে?

৪| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:০৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ব্লগার হতে পারব না :(

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি এই ব্লগে এখন বিশাল পপুলার ব্লগার, আপনার লেখা সব সময় "আলোচিত পোস্টে" দেখছি!

৫| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:২০

বিলুনী বলেছেন: সোজা কথায় বলা যায় যারা রবিন্দ্র বিরোধী তারা রবিন্দ্রনাথের বিশালত্বের এক বিন্দু পরিমানেও জানেনা ।
তারা মহাপন্ডিত শুধু অন্যের মুখের বোল নীজের মধ্যে টেনে রবিন্দ্রনাথের নামে বিরোধীতা করা, এরা আসলে মানবতার চরম শত্রু , মানবতার শত্রু মানে সবকিছুরই শত্রু । নীজের মাতৃভাষা হলো বাংলা , আর বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসন দিয়েছেন তিনি । তাই তাঁর বিরোধিতা করা আর নীজের মাতৃভাষার বিরোধিতা করা । এখন বুঝেন রবিন্দ্র বিরোধীদের মুল লক্ষটা কি ।কিন্তু সমস্যাটা হলো, যতই তারা রবিন্দ্রনাথের বিরোধীতা করছে রবিন্দ্রনাথ ততই আরো বেশী বিকসিত হচ্ছে , রবিন্দ্রনাথকে এদেশে বন্দ করতে গিয়ে রবিন্দ্র কবিতা হয়েছে এখন এদেশের জাতীয় সঙ্গীত ।

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের ভাষাকে যে উনি উপরে নিয়েছেন, সেটা অনেকের বুঝার কথা নয়; দেশের ১২ কোটী মানুষ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলতে পারে না।

৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কই আপনারা আর কই আমি।

কয়েকটা মন্তব্যের উত্তর দিলে আলোচিত ব্লগ হয়।

যাক, আর বিরক্ত করতে চাই না।

০৯ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগারে ব্লগারে তুলনা করা সম্ভব হবে না, প্রতিটি ব্লগার স্বীয় মহিমায় উজ্বল; আমরা সবাই নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখি; কিছু সময়ের জন্য কিছু বিষয়ের পাঠক বাড়ে, কমে; এখানে অনেক ব্লগার আছেন, যাঁরা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়ে খুবই উঁচু মানের লেখা দেন; তাঁদের অনেকের পাঠক কম; কিন্তু তারা খুবই বড় ধারণার লোকজন; ব্লগার মানে ব্লগার

৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবি হিসেবেই খ্যাতি অর্জন করেননি তাঁর প্রতিভা বিস্তৃত ছিল আরও অনেক সৃষ্টিশীল কর্মে। তিনি ছিলেন অনেক বড় মাপের গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, প্রবন্ধকার, দার্শনিক এবং চিত্রশিল্পী। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ধারণার পথিকৃৎ। মন্তব্যের ঘরে এ দিকটার উপরেই একটু জোড় দিব বেশী, ইচ্ছা করছিল অালাদা একটা পোষ্ট দিব বিস্তারিত ভাবে , পরে ধারণাটা পরিবর্তন করে প্রাসঙ্গিক ক্রমে সংক্ষেপে এখানেই কিছু কথা তুলে ধরা হল ।

জমিদার রবীন্দ্রনাথের দারিদ্র্য ভাবনা নিয়েই বলতে চাই আগে । বলা যায় দারিদ্র ভাবনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তাঁর কাব্য-উপন্যাস, ছোট গল্পে ও সংগীতে। তাঁর লেখাগুলো থেকে প্রাপ্ত দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্পর্কিত ভাবনাগুলো আজও প্রাসঙ্গিক। বস্তুত, রবীন্দ্রনাথের প্রদর্শিত পন্থাই দারিদ্র্য দূরীকরণের সবচেয়ে মোক্ষম উপায় এখনো সর্বমহলে অনুভুত হয়ে আসছে । যৌবনের প্রারম্ভেই রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে স্বেচ্ছাব্রতী ও গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে পল্লী উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ কবির অনুভূতি দিয়ে রচনা করেছেন
“ ... ওই যে দাঁড়ায়ে নতশির
মূক সবে, ম্লানমুখে লেখা শুধু শত শতাব্দীর
বেদনার করুণ কাহিনী; স্কন্ধে যত চাপে ভার
বহি চলে মন্দগতি যতক্ষণ থাকে প্রাণ তার--
তার পরে সন্তানেরে দিয়ে যায় বংশ বংশ ধরি,
নাহি র্ভৎসে অদৃষ্টেরে, নাহি নিন্দে দেবতারে স্মরি,
মানবেরে নাহি দেয় দোষ, নাহি জানে অভিমান,
শুধু দুটি অন্ন খুঁটি কোনোমতে কষ্টক্লিষ্ট প্রাণ
রেখে দেয় বাঁচাইয়া। সে অন্ন যখন কেহ কাড়ে,
সেপ্রাণে আঘাত দেয় গর্বান্ধ নিষ্ঠুর অত্যাচারে,
নাহি জানে কার দ্বারে দাঁড়াইবে বিচারের আশে--
দরিদ্রের ভগবানে বারেক ডাকিয়া দীর্ঘশ্বাসে
মরে সে নীরবে।”

নিজে জমিদার হয়েও জমিদার শ্রেণীকে রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন পরগাছা। তিনি লিখেছেন: “আমার জন্মগত পেশা জমিদারি, কিন্তু আমার স্বভাবগত পেশা আসমানদারি। তিনি বলতেন আমি জানি জমিদার জমির জোঁক; সে প্যারাসাইট, পরাশ্রিত জীব... প্রজারা আমাদের অন্ন জোগায় আর আমলারা আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেয় এর মধ্যে পৌরুষও নেই, গৌরবও নেই।”

বস্তুত, রবীন্দ্রনাথ প্রজাদেরকে জমিদারির মালিকানাও দিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কমিউনিটি ভিত্তিতে তিনি তার জমিদারী পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিমা দেবীকে তিনি লিখেন: “বহুকাল থেকেই আশা করেছিলুম, আমাদের জমিদারি যেন আমাদের প্রজাদেরই হয়, আমরা যেন ট্রাস্টির মতো থাকি। অল্পকিছু খোরাক-পোশাক দাবি করতে পারবো, কিন্তু সে ওদেরই অংশীদারের মতো।” জীবন সায়ান্নে এসে পতিসরে দেওয়া সংবর্ধনা সভায় তিনি আফসোস করে বলেছিলেন: “ইচ্ছা ছিল মান সম্মান সম্ভ্রম সব ছেড়ে দিয়ে তোমাদের সঙ্গে তোমাদের মতই সহজ হয়ে জীবনটা কাটিয়ে দেব। কী করে বাঁচতে হবে তোমাদের সঙ্গে মিলে সেই সাধনা করব। কিন্তু আমার এই বয়সে তা হবার নয়, আমার যাবার সময় হয়ে এসেছে।”

পল্লী উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য দূরীকরণের কাজ তিনি পরিকল্পিতভাবে শুরু করেছিলেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তিনি শিলাইদহে পল্লীসমাজ গড়ার কাজে হাত দেন। একইভাবে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে তাঁর জমিদারির অভ্যন্তরে লাহিনী গ্রামে ৪০/৫০ বিঘা জমির উপর পরিকল্পিত আদর্শ গ্রাম তৈরিতে সচেষ্ট হন। বঙ্গবন্ধু এই আদর্শ গ্রাম প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন নি তার আকাল প্রয়ানের কারণে ।

রবীন্দ্রনাথ অনুধাবন করেছিলেন গ্রামের উন্নতির সঙ্গে কৃষির উন্নতি জড়িত। রবীন্দ্রনাথ উন্নতমানের কৃষিব্যবস্থা নিয়ে হাতে-কলমে যে এক্সপেরিমেন্ট পরিচালনা করেছিলেন তার অংশ হিসেবে তিনি ১৯২২ সালে শ্রীনিকেতনে, যা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে অবস্থিত শান্তি নিকেতন থেকে মাইল দুয়েক দূরে, ‘ইন্সিটিটিউট অব রুরাল রিকনস্ট্রাকশন’ নামক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ কৃষকদের প্রতি জমিদার-মহাজনের অত্যাচার সম্বন্ধে অবহিত ছিলেন। বিপন্ন চাষীদের মহাজনদের হাত থেকে রক্ষা করা, তাদের ঋণমুক্ত করা এবং কুটিরশিল্পের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে তিনি প্রথম শিলাইদহে কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। এর প্রায় ১১ বছর পর ১৯০৫ সালে তিনি পতিসরে অনুরূপ কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতা পেলেও নোবেল পুরস্কারের পুরো অর্থ (১ লাখ ৮ হাজার টাকা) তিনি পতিসর কৃষি ব্যাংকে জমা দেন।

আত্ম ও আত্মনির্ভরশীলতা উন্নয়নের জন্য রবীন্দ্রনাথ ‘চাষীকে আত্মশক্তিতে দৃঢ় করে তুলতে’ চেয়েছিলেন। তাই তিনি দরিদ্রদেরকে জাগিয়ে তোলার ওপর জোর দেন:
তিনি লিখেন
“... এই-সব মূঢ় ম্লান মূক মুখে
দিতে হবে ভাষা; এই-সব শ্রান্ত শুষ্ক ভগ্ন বুকে
ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা; ডাকিয়া বলিতে হবে--
‘মুহূর্ত তুলিয়া শির একত্র দাঁড়াও দেখি সবে;

দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ সংগঠিত হওয়া ও সংগঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি লিখেন: বিদ্যা বলো, টাকা বলো, প্রতাপ বলো, ধর্ম বলো, মানুষের যা-কিছু দামী এবং বড়ো, তাহা মানুষ দল বাঁধিয়াই পাইয়াছে।”

তিনি আরও লিখেছেন: “যদি প্রত্যেক চাষা কেবল নিজের ছোটো জমিটুকুকে অন্য জমি হইতে সম্পূর্ণ আলাদা করিয়া না দেখিত, যদি সকলের জমি এক করিয়া সকলে একযোগে মিলিয়া চাষ করিত, তবে অনেক হাল কম লাগিত, অনেক বাজে মেহন্নত বাঁচিয়া যাইত। ফসল কাটা হইলে সেই ফসল প্রত্যেক চাষার ঘরে ঘরে গোলায় তুলিবার জন্য স্বতন্ত্র গাড়ির ব্যবস্থা ও স্বতন্ত্র মজুরি আছে; প্রত্যেক গৃহস্থের স্বতন্ত্র গোলাঘর রাখিতে হয় এবং স্বতন্ত্রভাবে বেচিবার বন্দোবস্ত করিতে হয়। যদি অনেক চাষী মিলিয়া এক গোলায় ধান তুলিতে পারিত ও এক জায়গা হইতে বেচিবার ব্যবস্থা করিত তাহা হইলে অনেক বাজে খরচ ও বাজে পরিশ্রম বাঁচিয়া যাইত। যার বড়ো মূলধন আছে তার এই সুবিধা থাকাতেই সে বেশি মুনাফা করিতে পারে, খুচরো খুচরো কাজের যে-সমস্ত অপব্যয় এবং অসুবিধা তাহা তার বাঁচিয়া যায়।”

রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন ধারণার মূল লক্ষ্য ছিল আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অসাম্প্রদায়িকতার ওপর জোর দিয়েছিলেন এবং হিন্দু-মুসলমান সবাইকে নিয়ে কাজ করেছিলেন। ‘গোরা’ উপন্যাসে তিনি লিখেছেন: ”আমি আজ ভারতবর্ষীয়। আমার মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান কোনো সমাজের কোনো বিরোধ নেই।

রবীন্দ্রনাথ জেনেছিলেন, শুধুমাত্র কৃষির ওপর নির্ভর করে একটি জাতি বাঁচতে পারে না, এই বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য শিল্পোন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। তাই রবীন্দ্রনাথ কৃষির পাশাপাশি শিল্পকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি শ্রীনিকেতনে ‘শিল্পভবন’ গড়ে তুলেছিলেন। পল্লী উন্নয়ন চিন্তার অন্যতম পথিকৃৎ রবীন্দ্রনাথ দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্পর্কিত সৃজনশীল ধারণার শুধু উদ্ভাবকই ছিলেন না, তিনি এগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করার উদ্যোগও নিয়েছিলেন। তাঁর লেখনী ও চর্চা থেকে আমরা যা পাই তা , সংক্ষেপে বলতে গেলে:

(১) দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য শিক্ষা ও আনুসঙ্গিক প্রণোদনা ও প্রযুক্তি উন্নয়ন কর্মকান্ড
(২) জনগণের আত্ম ও আত্মনির্ভরশীল উন্নয়নের জন্য তাদেরকে প্রণোদিত করা
(৩) দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সমবায়ের মাধ্যমে সংগঠিত করা
(৪) সেক্টর বা খাতভিত্তিক কাজের পরিবর্তে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, পয়ঃনিষ্কাশন তথা সার্বিক গ্রামোন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা
(৫) কৃষির পাশাপাশি শিল্প-কারখানা ও কুটির শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া

এখনো আমাদের বর্তমান ধ্যান-ধারণা রবীন্দ্রনাথকে ছাড়িয়ে বেশিদূর এগুতে পারেনি। বস্তুত, তাঁর দারিদ্র্য ভাবনা আমাদের জন্য এখনও আলোক বর্তিকা হিসেবে কাজ করে। রবিন্দ্রনাথকে নিয়ে যতবেশী আলোচনা করা যাবে তত বেশী তার অবদান জানা যাবে ।

ধন্যবাদ মুল্যবান পোষ্ট টি দিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দানের জন্য ।

০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি তো দেখা যায় বিশাল বটবৃক্ষ; কিছু বাদুর বটগাছের ডালে ঝুলে ছায়াতলের মানুষের উপর বমি করছে, তা'হলে!

৮| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ নজরুল এক বিশ্বয়কর কবি
সাহিত্যিক দার্শনীন নিজ গুনে আলোকীত
উজ্জল নক্ষত্র। সেই সাথে লালন সবার উপরে
মানুষ সত্য তার উপরে নাই।
রবীন্দ্রনাথ একেশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন। প্রাত
ভ্রমনে মসজিদের ইমামের সাথে সালাম
বিনিময় ও নানান বিষয় মত বিনিময় করতেন।
লালনের উক্তি এমন মানব জনম আরকি হবে
মন্জা কর তরায় কর এই ভবে।
রবীন্দ্রনাথ বলেন আকাশ ভরা তারা বিশ্বভরা
প্রান বিশ্বয়ে জাগে আমার মন।
অন্ধ কারের উৎসহতে উৎসারিত আলো সেইত
আমার আলো সকল দন্দদিরর মাঝে জাগ্রত
যে আলো সেইত আমার আলো।
আমার প্রানের মানুষ আছে প্রানে তাই হেরি
তাই সকল খানে।
তার দরশনে সাহিত্যে প্রতিটি লেখায় সৃষ্টিকর্তার সম্মানার্থক উক্তি উঠে এসেছে।
ধন্যবাদ,

০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, " রবীন্দ্রনাথ নজরুল এক বিশ্বয়কর কবি "

- আমার প্রশ্ন, উনি কি নিজের টাইটেল বদলায়ে ঠাকুরের যায়গায় "নজরুল" লিখেছিলেন অবশেষে?

৯| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার এই লেখার শিরোনামের সাথে একমত।আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো যারা রবীন্দ্রনাথ সমালোচনায় মুখর তারা যুক্তি হিসেবে যা দেখান সবই হয় পলিটিক্যাল বিষয়ভুক্ত না তার ধর্মসংক্রান্ত।ক্ষুদ্র (পরিমাণে যারা অল্প লেখেন সেই অর্থে) লেখকদের মতাদর্শ বিবেচনা করার জন্য এগুলো হয়তো হিসেবে আসতে পারে।তাও লেখকের লেখার ক্ষেত্রের ভিত্তিতে।কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এত বিষয়ের উপর এত লেখা আছে।তার সমালোচনার জন্য অন্য কিছু টানাটানি করা মানে একটা অর্থই দাঁড়ায় সমালোচনাকারী তার লেখা কোনদিন পড়েইনি।

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। যারা উনাকে বাদ দেয়ার চেস্টা করছেন, তারা মুলত: সাহিত্য বিরোধী, এরা শিক্ষাদীক্ষা-বিরোধী।

১০| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:২০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার পোষ্টে ঢুকে। আপনার রবীন্দ্র প্রেম দেখে মুগ্ধ।

আমাদের ধর্মকে অন্তরেই লালন করা উচিৎ, ধর্মকে সামনে এনে মানুষ জাতি সমাজ বিভক্তিকরণ ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে দিবে এমনটা ভাবাই যায়।

৭নং মন্তব্য ড. এম এ আলী ভাইয়ের মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধা ভরে। মন্তব্যের ঘরে এত সুন্দর করে রবীন্দ্র ধারণা দেওয়ার জন্য, আমি পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আপনার পোষ্টের চিন্তাভাবনায় শ্রদ্ধা রেখে গেলাম। ভালো একটা দিক আলোচনা করতে চেয়েছেন।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে ছোট করে বলি, আমি মধুসুদন দত্তের পাঠক।

রবী ঠাকুর ও ড: ইউনুস নোবেল পেয়ে যত ল্যাঠা লাগায়েছেন।

১১| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

রক বেনন বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীতের গায়েও তাহলে ধর্মের গন্ধ লেগে থাকে??

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এভাবে চললে, জাতীয় সংগীত একদিন বদলায়ে দেবে।

১২| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: আমি ব্লগে সেইফ হওয়ার পরেও কোন ধরণের পোষ্ট করতে পারছিনা। মডারেশন প্যানেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি এর থেকে সহজ সমাধান বের করুন

১৩| ০৯ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

কানিজ রিনা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর নজরুল ইসলাম সেই
সাথে লালন ফকির। এক বিশ্বয়কর দার্শনিক
সাহিত্যিক কাব্যিক গল্পকার সুরের যাদুকর।
নজরুল রুটির দোকানে কাজ করতে করতে
কাব্য রচনা করেছিলেন। রবিন্দ্রনাথ জমিদার
ফ্যামিলিতে থেকে। লালন ফকির অবস্থায়।
সৃষ্টি কর্তা পদত্ব এইসব মানব জন্ম বিশ্বয়কর
বটে।
রবীন্দ্র রচনা বলি পড়েছি ছোটকালেই তার
গীতান্জলি আরও অনেক কবিতা গান নাটক
শেষে শুনীলের প্রথম আলো পড়ে যা মনে হয়
কোথাও কোনও জাতির প্রতি তার হিংসা
বিদ্বেশ ছিল কিনা তা পাইনা। ধন্যবাদ,

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক বলেছেন, এঁরা আমাদের ভাষাকে গতি দিয়েছেন, সাহিতয় দিয়েছেন; এঁদের বিরোধীরা বাংগালীত্বে বিশ্বাস করে না

১৪| ০৯ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: কিছু লোক বিরোধিতা করে নিজেকে বিশেষ কিছু প্রমানের জন্য, আর কিছু লোক কেবলমাত্র না শব্দটির সাথে বসবাস করে । ব্লগ বা ব্লগার সম্পর্কে অনেক শিক্ষিতদেরই অনেক বাজে ধারনা ।

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেখানে বুয়েটের জিনিয়াস মাহমুদুর রহমান, মোল্লা শফি, বেগম জিয়া ব্লগিং-বিরোধী, সেখানে কয়েক কোটী ব্লগিং বিরোধী থাকা খুবই সহজ; ম্যাডামের পকষে আছেন ড: এমাজুদ্দিনও

১৫| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমিও অনেক কিছুই জীবনে শুনেছি। কি কমেন্ট করবো বুঝতে পারছি না।

ডঃ এম এ আলী ভাই এর মন্তব্যে +++

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি একজন নোবেল পুরস্কার-প্রাপ্ত সাহিত্যিক, উনাকে হেয় করার চেস্টা করছে কিছু সাহিত্য-বিরোধী মানুষ; নজরুল ইসলামের অবস্হা আরো খারাপ ছিল বৃটিশ আমলে।

১৬| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন: উনি মনে হয়, ব্রাহ্ম সমাজের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। রবী ঠাকুর মনে করতেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঠিক পথ দেখাতে পারে ব্রাহ্মরাই। এই আর্টিকেলটি দেখুন বিস্তারিতের জন্যে- [link|http://www.thebrahmosamaj.net/founders/rabindra.html|view this lin

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি তো ধর্মীয় কারণে আমাদের কাছে পরিচিত নন, উনি সাহিত্যের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন আমাদের ভাষায়; আমাদের মাঝে যারা উনার লেখা পড়েন, তারা সাহিত্য অনুরাগী মানুষ, ধর্ম প্রচারক নন।

১৭| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমরা সবাই নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখি; কিছু সময়ের জন্য কিছু বিষয়ের পাঠক বাড়ে, কমে; এখানে অনেক ব্লগার আছেন, যাঁরা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়ে খুবই উঁচু মানের লেখা দেন; তাঁদের অনেকের পাঠক কম; কিন্তু তারা খুবই বড় ধারণার লোকজন; ব্লগার মানে ব্লগার

আপনার কথাটা ঠিক।

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব ব্লগারেরা আপন মহিমায় উজ্বল

১৮| ০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন । তবে বিষয়টা আরও গুরুতর এবং তাৎপর্যপূর্ণ ।

রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামাত এবং জঙ্গীগোষ্ঠিগুলোর একটা গুরুত্বপূর্ণ এজেণ্ডা। এরা মাত্রাভেদে ভিন্ন হলেও, দেশ বা স্থানভেদে এরা কোথাও লাভ-জিহাদী, কোথাও যৌন-জিহাদী, নাস্তিক-কতল-জিহাদী, ট্রাক-লরি-জিহাদী থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ইতিহাস রচনা জিহাদী । বাংলাদেশে জঙ্গি আন্দোলন কে সফল করতে এরা সংস্কৃতির মূলে আঘাত করতে চাইছে । সেই লক্ষে রবীন্দ্রনাথ যেহেতু বাঙ্গালী সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে রবি জীবন এবং কর্ম সম্পর্কে মানুষের মনে বিদ্বেষ রোপন করছে।

হয়ত লক্ষ করেছেন, সামু ব্লগে সাম্প্রতিক সময়ে এক বা একাধিক জঙ্গী-জামাতি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে একের পর এক বিদ্বেষপূর্ন বায়োনাট পোস্ট দিচ্ছে । এর মূল বক্তব্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, কিন্তু সে এটাকে তথ্যের সাথে মিশিয়ে তার তত্ত্বকে পরিবেশন করে খুব কায়দা করে। খুব আশ্চর্যের বিষয়, এই জঙ্গী-জামাতিরা বাংলা উইকিপিডিয়াতেও লিখছে ।

এদের লেখার একটা উদাহরণ দেই। উইকিপিডিয়ায় শিবাজির বায়োডাটায়, শায়েস্তা খাঁ সম্পর্কে বলা হচ্ছে "যালিম, লুটেরা দস্যু কাফিরদের দমন করার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড- নির্ঝঞ্ঝাট হওয়ায় বাংলায় তার শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়ার কিংবদন্তী রচিত হয়েছে।"। লক্ষ করুন উইকিপিডিয়ায় শিবাজিকে বলা হচ্ছে "কাফের" !!!!

এখন আপনার লেখা প্রসঙ্গে বলি । সাহিত্যে বাঙ্গালী কবি রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলেও রবীন্দ্রনাথের কর্মের তুলনায় এই পুরস্কার খুব বড় কিছু নয় । সাহিত্যিক হিসেবে রবীন্দ্রনাথের স্থান গ্যেটের সমতুল্য । তার কিছুটা সমসাময়িকদের মধ্যে একমাত্র তলস্তয়কে তার সাথে তুলনা করা যেতে পারে । রবীন্দ্রনাথের কর্ম জগৎ তলস্তয়ের চেয়েও বিস্তৃত । নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনের কোন-না-কোন বই আমি পড়েছি। এদের মধ্যে টমাস মান আর সম্ভবত ইয়েটস ছাড়া রবীন্দ্রনাথের সাথে তুলনীয় আর কেউ নয় । দার্শনিক হিসেবে এবং সর্বোপরি মানুষ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ আরও বড়। মনুষ্যত্বের বিচারে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের মধ্যে রমা রলা আর বার্ট্রাণ্ড রাসেল হয়তবা তার কাছাকাছি হলেও হতে পারেন ।

অশিক্ষিত, অর্ধ-অশিক্ষিত, জঙ্গীমনস্ক, যৌন-জিহাদী, ইতিহাস জিহাদীরা রবীন্দ্রনাথ পাঠ করে মগজে-মননে কিছু ধারণ করতে পারলে মৃত রবীন্দ্রনাথের কোন লাভ নেই। সেই অশিক্ষিত, অর্ধ-অশিক্ষিত, জঙ্গীমনস্কদের লাভ আছে - যদি কেউ মানুষ হয়ে উঠতে পারে।

০৯ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



৫০% বাংগালী নাম লিখতে পারে না; তাই পঠক নেই; এরপরও রবী ঠাকুর নোবেল পাওয়া ছিল বড় ব্যাপার ।

ব্লগের অনেক ব্লগর আছেন, যারা ব্লগিং-বিরোধী

১৯| ০৯ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: রবী ঠাকুরকে নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই।এতটুকু শুধু বলতে পারি তাঁর লেখা পড়ে অসংখ্যবার তাঁর প্রেমে পড়েছি।

০৯ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু মানুষ ভাষা মাষা বুঝে না: উহারা হিন্দু, মুসলিম, খৃস্টান বুঝেন

২০| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লোকজন ভাষা মাষার সাথে ধর্ম কর্ম মিশায়ে ফেলছেন।

২১| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টটি এবং মন্তব্য গুলো পর-পর দুই বার পড়লাম।
আপনি সব সময়ই ভালো (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় নিয়ে লিখেন।

যাই হোক, বইমেলাতে আমার বই ''বিকল্পহীন রবীন্দ্রনাথ'' বিক্রি হয়নি। কিন্তু বইটি শেষ করতে আমার সাত বছর সময় লেগেছিল। অনেক পরিশ্রম করেছি।

আমি আপনাকে আমার ''বিকল্পহীন রবীন্দ্রনাথ'' এক কপি দিতে চাই। কিভাবে দিব দয়া করে জানান।

আমার মেইলঃ [email protected]

১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি কাজ উপলক্ষ্যে বাহিরে আছি; এসে যোগাযোগ করবো; আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বাংগালীরা বই কিনে না, সে প্রসংগে আপনার উদাহরণ দিয়েছি; যারা পড়ে না, তারা রবী বাবুর নাম জানে, আর জানে যে, উনি মুসলিম নন; এত অল্প জানলে সমস্যা

২২| ০৯ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:১৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে যাহারা দেবতা বানাইয়াছেন তাহারা ভুল করিতেছেন। রবীন্দ্রনাথকে যাহারা ভিলেন বানাইতেছেন তাহারাও ভুল করিতেছেন। তিনি মানুষ ছিলেন। তাহার দোষ গুন ছিল। আমাদের উপমহাদেশে মানুষকে হয় দেবতা বানানো হয় অথবা ভিলেন বানানো হয় , মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয় না।

১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নোবেল পুরস্কার-প্রাপ্ত নিজের ভাষার কবির আলাদা মুল্য আছে জাতির কাছে; বাংলার মানুষ কাউকে কোনদিন মানেনি

২৩| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪৪

মিঃ আতিক বলেছেন: ব্লগে এক পাতা থেকে অন্য পাতায় যেতে ৩৫ থেকে ৪০ সেকেন্ড কখনো এর চেয়ে বেশিও লাগছে, সমস্যাটা আমার না সবার হচ্ছে?
গত কাল সিঙ্গাপুর থেকে ব্রাউজ করলাম, আজ কুয়ালালামপুর থেকে একি সমস্যা পাচ্ছি।

১০ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সফ্টওয়ারে সমস্যা হচ্ছে, মনে হয়; ঢাকা এসে ট্রাই করেন

২৪| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৬

নাইম রাজ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১০ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


একটু ভাবার দরকার হচ্ছে, কবির ধর্ম এখন সমস্যা হয়ে যাচ্ছে!

২৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: রবি বাবু যে লেখে গেছেন এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক আছে কি না জানা নাই। তিনি তার চারিপাশের সুন্দর্য কে তুলে ধরেছেন। তিনি নিজে হিন্দু ধর্ম পালন করতেন কি না এটা নিয়ে বিশদ সন্দেহর অবকাশ আছে। কারন তিনি একঈশ্বর বাদি ছিলেন। মোল্লারা না বুঝে চেচায় ওদের চেচানিতে মাঠ হয়ত গরম হয় কিন্তু এতে সাধারন মানুষের (কিছু বাদে) কান গরম হয় কি না এটা নিয়া ভাবার বিষয়। ১৬ কটি মানুষের মধ্যে ৫০ লাখ মানুষের দাত খিচানি দেখে ধরে নেয়া যায় না যে বাংলাদেশিরা রবি বাবু বিরোধী। মোল্লা দের নজরুল কে নিয়েও সমস্যা আছে। যারা ডোডো পাখির মতো মুখ লুকিয়ে থাকে এদের সব কিছু নিয়েই সমস্যা থাকে, যা ধরার কিছু নাই।

১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



রবি বাবু সমস্যা নয়, মোল্লারা সমস্যা; মোল্লারা বরিবাবু বিরোধী নয়, মোল্লারা বাংগালিত্বের বিরোধী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.