নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে অংশীদারত্বের উন্নয়ন হচ্ছে না, মুনাফার উন্নয়ন হচ্ছে!

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯



রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে, সেই এলাকা ও বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন হবে না? অবশ্যই হবে। সুন্দর বনের আশেপাশের যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, তাঁরা বিদ্যূৎ পাবেন, "বিদ্যুতের বিল" দেবেন; যিনি চুরি করে সুন্দর বন থেকে মধু আহরণ করেন, তাঁর মধু চুরির ব্যবসায় বিদ্যুৎ কি "বিলের পরিমাণ" নতুন টাকা যোগ করবে? করবে না। উনাকে মধুর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য মধুতে আরো বেশী চিনির সিরাপ যোগ করতে হবে। বিদ্যুতের কয়লার ধোঁয়ায় যদি মধুপোকা প্রাণ নিয়ে পালিয়ে যায়, তারপরও মধু বিক্রয় বন্ধ করা যাবে না, বিল দিতেই হবে।

বিদ্যুত আসার পর, মধু চোরের বিল বাড়বে, সম্পদ বাড়বে না; অসততা বাড়বে, আয় বাড়বে না; কিন্তু ভারতীয় কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ারের দাম বাড়বে, ডিভিডেন্ড বাড়বে; পিডিপির লোকদের বোনাস বাড়বে, মিটার রিডারদের আয় বাড়বে।

কিন্তু এভাবে কি বিদ্যুত কেন্দ্র করা যায় না, যাতে করে, যারা বিল দেবে, তাদের বিলের কিছু টাকা বিদ্যুতের লাভের থেকে আসবে; শুধু মধু চুরি ও মধুর বদলে চিনির সিরাপ থেকে বিল দিতে না হয়? যাক, বিদ্যুত এলে কলকারখানা হবে না? হবে, অবশ্যই হবে! সেই কলকারখানা হওয়ার সময় কি মধু আহরণকারীকে ডাকা হবে? তাঁকে কি সুযোগ দেয়া হবে কল-কারখানা করতে? তার কি মুলধন আছে? মুলধন আছে কর্ণেল ফারুকের, সালমান রহমানের, আলম ব্রাদার্সের, ওরিয়নের, বসুন্ধরার; কলকারখানা তারা করবে! মধু বিক্রতা বরাবরই 'বাজার হিসেবে' থাকবে! সে কি মিটার রিডারের কাজ পাবে? না পাবে না; কারণ মিটার রিডারের চাকুরী ৫০ লাখের নীচে বিক্রয় হবে না; মধু মিয়া কি ৫০ লাখ যোগাড় করতে পারবে? মনে হয় না।

দেশের ৬০% মানুষ কোন না কোনভাবে মধুমিয়া হয়ে গেছে, এরা পরিস্কার "বাজার", বৃটিশ কলোনীর মত বাজার; এরা বিল দিতে থাকবে, সেল ফোনের বিল, বিদ্যুতের বিল, কেবল টেলিভিশনের বিল, ভ্যাট; এরা এইসব বিল দেয়ার জন্য ভুমধ্য সাগের পাড়ি দেবে, সাউথ আফ্রিকা যাবে, ট্রলারে করে মালয়েশিয়া যাবে, রাতের ফ্লাইটে আরব যাবে।

বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশে, এবং বাংলাদেশে গড়ে ৬০% মানুষকে মধুমিয়া বানানো হয়েছে; এরা বাজারে পরিণত হয়েছেন, এদের মুলা দেখায়ে ভোট নেয়া হচ্ছে; ঘুরে ফিরে এরা মধু মিয়াই হয়েই বেঁচে আছে; কিন্তু সামান্য মধু থেকে, সামান্য ধানের আয় থেকে, সামান্য দিন মজুরীর টাকা থেকেও বিদ্যুত কেন্দ্র করা সম্ভব, সেই ধরণের অংক আছে।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তাহলে কি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরকার নেই ?

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরকার আছে; শেখ হাসিনার দরকার ছিলো, সেটা মানুষের পয়সায় করা

২| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা , দেশের টাকায় করতে পারলেই ভালো হতো। লাভের অংশ দেশেই থাকতো।

কিন্তু , বিদেশি সাহায্য নেয়ার পিছনে আরও কোন কারণ থাকতে পারে হয়তো

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কারণের অভাব নেই; অনেক কারণের মাঝে সঠিক কারণটাকে বের করা, স্হান দেয়া, ও সেটার সঠিক সমাধান বের করা বুদ্ধিমানের কাজ; শেখ সাহেব সঠিক সমাধানে ব্যর্থ হয়েছিলেন; শেখ হাসিনাও ব্যর্থ হচ্ছেন।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

মোঃ নুরুজ্জামান (জামান) বলেছেন: পরিবেশ নিয়ে কিছু বললেন না? নাকি আমি বুঝতে পারলাম না।

১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


না পরিবেশ নিয়ে কিছু বলিনি; তবে, এক সময়ে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র পরিত্যক্ত হবে , হয়তো!

৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৯

খালিদ১২২ বলেছেন: GOOD THINKING. THANX

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কোথায়, ৬০% এর মাঝে, নাকি ৪০% এর মাঝে?

৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩০

সত্যের ছায়া বলেছেন: রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দর বনে না হয়ে অন্য যায়গায় হতে পারত। পদ্মার চরে হতে পারত।চাঁদপুরের হাইমচরে হতে পারত। গজারিয়ার হতে পারত। সেখানে হলে বিদেশী কোম্পানির নির্মাণ খরচের ব্যয় বাড়ত।

রামপাল শব্দটি আলাদা আলাদা করলে দাঁড়ায় রাম+পাল = রাম্পাল।
মানুষ যে এত রাম রাম রাম......পাল পাল পাল করতেছে এতে মানুষের মনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা উদয় হইতেছে। যা বিদ্যুৎ প্লান্ট থেকে অতি জরুরী!

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিজ জাতির মানুষ বাড়ী ভিটে বিক্রয় করে, সাউথ আফ্রিকা গিয়ে মরছে, ভারতীয় কোম্পানী রামপালে বিনিয়োগ করছে; এগুলো বড় ধরণের বোকামী, ৪৬ বছর জাতি একইভাবে ভুল করে চলেছে।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব সময় শুনি দেশের ব্যাংকগুলোতে অলস টাকার পাহাড়। রিজার্ভে রেকর্ডের পর রেকর্ড। তাহলে কেন অন্য দেশের সাহায্যে প্রকল্প করা? নিশ্চয়ই লেনদেনের ব্যপার আছে...

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের ব্যাংকে অলস টাকা হয়তো আছে, কিন্তু উহাতে সাধারণ মানুষের কোন লাভ নেই, সেই টাকা ব্যবহার করছে পরিচিত মুখেরা; সাধারণ মানুষকে দেয়া হবে না; সরকারও নেবে না; কারণ, ষরকার সেই পথে এগুচ্ছে না।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,




খুব সত্য একটি কথা বলেছেন উদাহরন সহ ।
দেশে মুনাফারই উন্নয়ন হচ্ছে, অংশীদারত্বের উন্নয়ন হচ্ছে না !

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমরা যারা বুঝি, তাদেরকে নিজ অবস্হান থেকে বাকী ৬০% এর হয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চেস্টা করতে হবে।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: দেশে এখন হিড়িক এবং আতঙ্ক চলছে। এর ভয়ে জাতি স্তব্দ হয়ে আছে।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


অর্থনৈতিক অসফলতার কারণে বেশীর ভাগ মানুষ পেছনের লাইনে চলে গেছে, তাদের তেমন বক্তব্য নেই; তারা নিজেরাই ধরে নিয়েছে যে, তারা অসফল।

৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১৮

সত্যের ছায়া বলেছেন:
'দেশের ৬০% মানুষ কোন না কোনভাবে মধুমিয়া হয়ে গেছে, এরা পরিস্কার "বাজার", বৃটিশ কলোনীর মত বাজার; এরা বিল দিতে থাকবে, সেল ফোনের বিল, বিদ্যুতের বিল, কেবল টেলিভিশনের বিল, ভ্যাট; এরা এইসব বিল দেয়ার জন্য ভুমধ্য সাগের পাড়ি দেবে, সাউথ আফ্রিকা যাবে, ট্রলারে করে মালয়েশিয়া যাবে, রাতের প্লাইটে আরব যাবে।'

বোল্ড করা অংশে যদি একটু নজর দিতেন।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ

১০| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:২১

সত্যের ছায়া বলেছেন: আমরা এত বিল, ভ্যাট দেই কিন্ত ভিআইপি পায় কাদের আর মাল সাহেব!

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির চেয়ে পার্টি বড় এখন।

১১| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: মিটার রিডারের চাকরী তো বিলুপ্তির পথে,,, ৫০লাখেও কাজ হবে না তখন।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপাতত বিলুপ্ত হচ্ছে না।

১২| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি ৬০% দলে পড়ছি কারণ আমার ৫০ লাখ নাই।
আর রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চাই না, এতে সুন্দর বন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বায়ু দূষিত হবে, আরো অনেক সমস্যা হবে। কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার কোনো আবশ্যকতা নেই, আরও অনেক উপায়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়।
কিন্তু সরকার কেন জানি ভারতের কাছ থেকে ৮৫% ঋণ নিয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবেই উনাড়া প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
হাস্যকর।
ভারত এতো টাকা দিবে ঋণ!! এই বিদ্যুৎ প্রকল্প করার জন্য আশ্চর্জ্জনক!! এতো মায়া ইন্ধিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও দেখান নাই যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে।
দেশে অনেক রাজনীতি কূটনীতি চলতেছে আন্তর্জাতিক কলকাঠিও নরতেছে, অনেক কিছু বলার ছিলো। পরে বলবখন।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র শেশ হাসিনার পতনের সুচনা করবে।

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সেল ফোনের বিল, বিদ্যুতের বিল, কেবল টেলিভিশনের বিল, ভ্যাট; এরা এইসব বিল
ভাই, নেট বিলও তো দিতে হয়, নইলে তো ব্লগিং বন্ধ হয়ে যাবে !!

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ সব বিলই দেয়ার কথা, তবে এমন খারাপ অবস্হায় নয়; সুইজারল্যান্ডের লোকজন সব বিল দিচ্ছেন, তারপরও শান্তিতে বসবাস করছেন, কারণ আয় আছে; আমাদের মানুষের দরকারী পরিমাণ আয় নেই।

১৪| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:২৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি সত্যি আপনার ভক্ত।

চক্র চলবেই। তবে আমরা চালাক হলে ওরা আমাদের চক্রে চক্কর দেবে। তবে এমন হবে না। গরিব হলে মানুষের মগজ বিকল হয়। :((

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মানুষকে কৌশলে অশিক্ষিত করে রেখে, তাদেরকে বিদেশ বিক্রয় করছে, আর নিজ দেশে "বাজার বানায়েছেন" রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনরা মিলে।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মাছে ভাতে বাঙালি।

ভাত খাওয়ার সাথে সাথে আমার ঘুমে ধরে। আমরা আসলে সত্যি অলস!

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি তো কাজ করে খাচ্ছে; পার্টি ও সরকারের লোকেরা বসে, ঘুমায়ে খাচ্ছে

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ভাত খাওয়ার পর মগজ অলস হয়। আমরা ভাত বেশি খাই।

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:

১ জন বাংগালী, ১ বেলায়, গড়ে ৫/৬ ইউরোপিয়ানের সমান ভাত খায়।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

আলোকিত চিন্তা বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশের সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য ভারতের একটা ষড়যন্ত্র যা শেখ হাসিনাকে দিয়ে করাচ্ছে... আসলে, আমাদের বর্তমান জীবনব্যস্থায়ইতো দূর্নীতিগ্রস্থ... পরবর্তী জীবনাদর্শ আশা করছি... যেটা জনগণকে পরিপূর্ণভাবে সেবা করবে...

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা কি করছেন, উনি নিজে জানেন; তবে, শেখ হাসিনা মানুষ থেকে দুরে আছেন।

১৮| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সঠিক পরিকল্পনা ও তার সফল বাস্তবায়নের অভাবে কোন কিছু হতেই কাঙখিত ফলাফল আসছেনা , সম্পদের পাহার জমছে নব্য পুঁজিপতিদের হাতে । মুনাফার বিতরন পুঁজিবাদি কেন্দ্রিক । ফলে দারিদ্রের ঘুর্ণায়মান চক্রটিকে কোন মতেই ভাঙ্গা যাচ্ছেনা । কেও কি সঠিকভাবে বলতে পারবেন নীচে দেয়া দারিদ্রের এই ঘুর্ণায়মান চক্রটিকে ( Vicious cycle of poverty ) ভাঙ্গতে হলে আমাদের কোন জায়গা হতে ও কিভাবে শুরু করতে হবে ?

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

যদিও এটি একটি পুরাতন থিওরী, এর পেছনে অংক ছিলো; কম অংকে প্রমানের জন্য বলা যেতে পারে, " একটি সংখ্যার সাথে, অন্য একটি সংখ্যা যোগ ও একই সময়ে বিয়োগ করিলে আগের সংখ্যাটা সমান থাকে"। যাক, অনকের দিক বাদ দি্যে ঊডাহরণ হলো চীনারা ইহাকে ভেংগেছে, "রাস্ট্রীয় শ্রম সন্চয়ের" মাধ্যমে, রাস্ট্র ১ম দিকে আপনাকে পুরো শ্রমের মুল্য দেবে না, পারে দেবে।
বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে তা সম্ভব ছিলো; কিন্তু তাজুদ্দিন সাহেব থিওরিটিশিয়ান ছিলেন ও বড় পদে বসেছিলেন, কিছুই করেননি।

১৯| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১:৩৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মজার বিষয় হলো আমি ভাতের ব্যাবসায়ি, ইংলিসদের মত ঝাল এবং ভাত আমরা সকলে খেতে পারি না। নিশ্চয়তার সাথে বলার কারণ আমি মার্কামারা বাবুর্চি। ভাই গো ভাই, পাল একটা তরকারির নাম, একজনের তরকারিতে দেড় চামচ মরিচ দেওয়ার পরেও বলে ঝাল হয়নি। |-)

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশরা ও স্পেনিশরা মরিচ খাচ্ছে; শীতের দেশ ও জেনেটিক্যালী ওকে। বাংগালীডের খাদ্যাভাস বদলানোর দরকার; ভাত কমায়ে সব্জির স্যুপ চালু করা দরকার।

২০| ১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন । চীনারা এটা ভাঙ্গতে পেরেছে রাস্টিয় সঞ্চয়ের মাধ্যমে । কিন্তু বাংলাদেশে এটার সুযোগ ছিল সেই ১৯৭২ সনেই । কিন্তু সে সময়ে মানুয়ের রিয়েল ইনকাম না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে দেয়া হয়েছিল । খুব সম্ভবত আপনার মনে থাকার কথা সে সময়ে সরকারী প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল কমিয়ে দেয়া হয়েছিল কিছুটা । নীচের দিকের কর্মচারী ও দেশের কিছু লোকের কাছ থেকে তখন বাহবা পেলেও আখের তার ফলটা ভাল হয়নি ( পরে অবশ্য সরকারের সুবুদ্ধির উদয় হয়েছিল তবে এর মধ্যে যা হ ওয়ার তা হয়ে গেছে( । উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তদের বেতন উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমে যাওয়ায় সরকারী পর্যায়ে একদিকে ঘুষ খাওয়ার দুর্ণীতি বেড়েছিল অপর দিকে বিবিধ কারণে সারা দেশের মানুষের রিয়েল ইনকাম কমে যাওয়ায় সঞ্চয় কমে যায় , ফলে বিনিয়োগ কমে যায় , বিনিয়োগ কমার ফলে এমপ্লয়মেন্ট কমে যায় ফলে আবার রিয়েল ইনকাম কমে যায় এবং তা পুণপৌনিক ভাবে চলতেই থাকছে যা এখনো আছে , আরো বহুদিন চলতে থাকবে বলেই মনে হচ্ছে , তা্ই এমন অবস্থায় দারিদ্রের ঘুর্ণায়মান চক্র হতে দেশ কোনদিন বেরিয়ে আসতে পারবেনা কিনা তা হলফ করে বলা যাচ্ছেনা ।

১৮ ই মে, ২০১৭ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭২ সালে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব ২/৩ বছরের জন্য বিনা বেতনে ৩ কোটী লোককে খাটাতে পারতেন, সেখান থেকে যে পরিমাণ সম্পদের সৃস্টি হতো, সেটা বাংলাদেশকে আজকের মালয়েশিয়া থেকে অনেক বেশী উপরে নিয়ে যেতো।

২১| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তিনি অবশ্য বলেছিলেন তিন বছর তিনি কিছু দিতে পারবেন না । অআমরা তা মেনে নিয়েছিলাম , কিন্তু আমরা কি দেখলাম ! তাঁর চাটার দলেরা ( এটা বঙ্গবন্ধুর নীজের মুখের কথা ) আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে , আমাদের এলাকার একজন এম এল এ
(প্রাদেশিক পরিষদের এমপি) যাকে এলাকার লোকজন চাদা তুলে নির্বাচিত করেছিল রাস্তা হতে তুলে এনে তার মত অনেকেই
রাতারাতি অঢেল অর্থের মালিক হয়ে গেছে , তখন অবস্থা অন্যদিকে টার্ণ নিল , এর জন্য দায়ীকে ? ফল ভোগ করছে প্রজন্ম হতে প্রজন্ম । তা না হলে মালএশিয়া কেন অনেক উন্নত দেশই আমাদের পিছনে পরে যেত এতদিনে ।

১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব প্রতিবাদ করতে অভ্যস্ত ছিলেন।

২২| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: সহমত।
দেশটার নাম যেহেতু বাংলাদেশ তাই এসব সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই অন্যায়ের সাথে মিউচুয়াল করে চলছে

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালের পর, জাতীর জীবনে বড় কিছু না ঘটাতে মানুষ হতাশ হয়ে নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।

২৩| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: বিদ্যুত আসার পর, মধু চোরের বিল বাড়বে, সম্পদ বাড়বে না; অসততা বাড়বে, আয় বাড়বে না; কিন্তু ভারতীয় কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ারের দাম বাড়বে, ডিভিডেন্ড বাড়বে; পিডিপির লোকদের বোনাস বাড়বে, মিটার রিডারদের আয় বাড়বে
বাপেক্স ভবনের নিচে আইএফআইসি ব্যাংকের ব্রাঞ্চে আমার বন্ধু কর্মরত আইএফআইসির ঐ ব্রাঞ্চেও বাপেক্স এর লেনদেন গুলো হয়, তার কাছেই শুনেছি যে বাপেক্স এর লোকেরা যে কি পরিমান বোনাস পায়।

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশটা প্রশাসনের বাজার হয়ে গেছে

২৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

রক বেনন বলেছেন: মিটার রিডারদের ঘুষ ছাড়া নিয়োগ দিয়ে ভাল বেতনে চাকরি করার সুযোগ দিলে তারা কি ভাল ভাবে কাজ করবে? নিয়মিত রিডিং নেয়া, সঠিক রিডিং নেয়া, সঠিক ভাবে বিল প্রদান ইত্যাদি ইত্যাদি কি সঠিক ভাবে করবে?

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৬ বছরে, সরকারগুলো যেই ধরণের উদাহরণ ও পরিবেশ সৃস্টি করেছে, এতে মানুষ সৎ থাকার কথা নয়

২৫| ১৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: বানাবার পর কি হবে সেটা অনেক পরের ব্যাপার। বানাবার আগেই কিছু লোকের জেপি মরগান চেজে কয়েক মিলিয়ন করে জমা হয়ে গেসে নাকি? তার উপর এসব প্রজেক্টের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবেনা!!

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো কলোনিয়েল মনোভাবের পরিচয়

২৬| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বর্তমান বিশ্বের অনেক দেশে, এবং বাংলাদেশে গড়ে ৬০% মানুষকে মধুমিয়া বানানো হয়েছে; এরা বাজারে পরিণত হয়েছেন, এদের মুলা দেখায়ে ভোট নেয়া হচ্ছে; ঘুরে ফিরে এরা মধু মিয়াই হয়েই বেঁচে আছে; কিন্তু সামান্য মধু থেকে, সামান্য ধানের আয় থেকে, সামান্য দিন মজুরীর টাকা থেকেও বিদ্যুত কেন্দ্র করা সম্ভব, সেই ধরণের অংক আছে। আপনার অংক যারা বুঝার তারা যদি বুঝতো তবে আমরা উপকৃত হতাম। আমরাতো বিল দিতে দিতে শেষ হয়ে গেলাম!

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কথা ছিলো, বা সম্ভব ছিলো, আমরা নিজের ব্যবসায় বিল দেবো; কিন্তু বেনিয়ারা আমাদেরকে পুরোপুরি বাজারে পরিণত করেছে।

২৭| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ বেনিয়া তন্ত্রের থেকে বাঁচার জন্য যুদ্ধ চলছে পোনে তিনশ বছর ধরে। আমরা তবে কবে এ থেকে মুক্তি পাব। আর কিভাবেইবা পাব?

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান সমাজ কঠিন হয়ে গেছে, এক সাথে বিশাল পরিমাণ মানুষ জড়ো হয়ে গেছে; সেই কারণে, সবকিছু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অধীনে চলে গেছে; প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে সুখে শান্তিতে বাস করার, যারা এতে বিশ্বাস করে তারা পরিবর্তন আনবেন।

২৮| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

নাগরিক কবি বলেছেন: আমরাও 'তো মধুমিয়া প্রিয় গাজী ভাই। B-)

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে আমরা চেস্টা করেছিলাম যদু মধু থেকে বাংলার সন্তান হতে, এখন আমরা শ্রমিক মৌমাছি

২৯| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: Brilliant

১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকেই এভাবে ভাবছেন

৩০| ১৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

আখেনাটেন বলেছেন: যত বেশি উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটানো হবে তত বেশি কমিশন। কারণ এই উন্নয়নের সাথে টেকসই শব্দটি নেই।

১৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুধু "টেকসই" নয়, উনারা বিশ্বের ফাইন্যানসিয়াল জগতের সবচেয়ে নব্যতম শব্দও যোগ করে দেবেন দরকার হলে, কিন্তু বস্তু পুরানোটি; কারণ, ইহার বাহিরে উহাদের ধারণাশক্তি নেই।

৩১| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:০৪

বিলুনী বলেছেন: দারুন লিখেছেন , তবে দেশের উন্নয়নের জন্য মুনাফার প্রয়োজন আছে ।
শুনা যায় নিউ ইয়র্ক সিটিতে মাত্র কয়েকটা কোম্পানী বাস সার্ভিসের মালিক
আর ঢাকা সিটিতে বাস কোম্পানীর মালিক হাজার খানেক !!!!
এখন বুঝেন মুনাফা গুটি কয়েকের পেটে গেলেও ক্ষতি তেমন নাই
শুধু বিলটা কম হলেই হল । মুনাফা সকলের পেটে গেলে প্রাইভেট
কারের ঠেলায় ঢাকার রাজপথে পা ফেলাই হবে দায় !!!!!!!!!!!!!!!

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুনাফা বা লভ্যাংশ যদি "মনোপলি" হয়ে যায়, সেখানে সমস্যা; ঢাকায় বাস কোম্পানী হাজাারের বেশী, কারণ সেখানে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা বিশাল ঝুঁকিতে; কোন প্রাইভেট বা পাবলিক কোম্পানী সেখানে মনোপলি ব্যবসার কথা ভাববেন না; কিন্তু বিদুৎ, সেলফোন, খাদ্য, ইস্পাত, রিয়েলস্টেটে মনোপলি খবই সহজ।

৩২| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বাংলাদেশের মত দেশে আয়ের প্রধান খাত বলতে চারটি-

১) প্রবাসী বাংলাদেশীদের টাকা,
২) গারমেন্টস শিল্প,
৩) বৈদেশিক সাহায্য,
৪) টেক্স

আর...
৫) প্রাকৃতিক সম্পদ।

এখন দেশের সরকারের নিয়ন্ত্রনে আছে শুধু ৪ ও ৫ নং। এই দুটোকে ভালো ভাবে ইঊটিলাইজ করা ছাড়া সরকারের হাতে আর কি উপায় আছে দেশের জি,ডি্‌পি বাড়ানোর?

আমাদের উচিৎ সরকারগুলোর উপর আস্থা বাড়ানো এবং তাঁদের সহযোগিতা করা।

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আমাদের উচিৎ সরকারগুলোর উপর আস্থা বাড়ানো এবং তাঁদের সহযোগিতা করা। "

-সরকার যেভাবে চলছে, সরকারকে কোনভাবে মানুষ সাহায্য, সহযোগীতা করতে পারবে না; সেই পথ সরকার রাখেনি

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলছেন, "১) প্রবাসী বাংলাদেশীদের টাকা " সরকারের ১ নং আয়?

-প্রবাসী বাংগালীরা সরকারকে ডলার, পাউন্ড, ইউরো পাঠায়? বাংলাদেশের ভাত ও অক্সিজেন নস্ট করছেন আপনি!

-২ নং আয়ের বেলায়ও ভুল করেছেন, গার্মেন্টস থেকে আয় করে কর্পোরেশন গুলো।

৩৩| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: উহু, ভুল বুঝেছেন। সরকার নয়, প্রবাসীদের টাকা দেশের আয়।

আপনাকে মনে হয় একটু ইকোনমিক্স আর ফাইন্যান্স নিয়ে পড়তে হবে। গুগল করলেই অনেক ফ্রি ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে এই দু'টো বিষয় ফ্রি-তে শিক্ষা দেওয়া হয়।

আর, দেশের সিংহভাগ মানুষ সরকারের সাথে আছে।

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"দেশের সিংহভাগ মানুষ সরকারের সাথে আছে", মানে কি? কলোনিয়েল সিস্টেমেও মানুষ সরকারের সাথে ছিল; জার্মানরা হিটলারের সাথে ছিল! ভালো।

সালমান রহমানের থাকা, ফালুর থাকা, আর বিনে-ভিসায়-ইতালী-্রপ্রবাসীর ছেলে সরকারের সাথে থাকা সমান নয়।
গুগলে যদি দরকারী পড়ালেখা থাকতো, ইউনিভার্সিটিগুলো বন্ধ হয়ে যেতো।

৩৪| ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ৩:২০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ম্যাক্রো ইকোনোমিক্স-টা একটু ট্রাই করবেন।

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওকে, দেখি নতুন কিছু যোগ করা হয়েছে কিনা!

১৯ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি অর্থনীতির ছাত্র?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.