নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম এলাকাগুলোতে গলাকাটা ক্যাপিটেলিজম গড়ে উঠেছে

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৭



ইসলাম ধর্ম এই মহুর্তে ধর্ম হিসেবে, তার নিজস্ব উন্নতির শিখরে আছে; কোন যুগে, কোন মুসলিম দেশে, ইসলাম ধর্ম এত পরিস্কার ও বোধগম্য ছিলো না; কোন মুসলিম অন্চলে এত বেশী মানুষ আরবী ভাষা বুঝতেন না, এত বেশী মানুষ ধর্মীয় শিক্ষা পেতেন না, এত মাদ্রাসা, এত মসজিদ ছিলো না, এত বেশী তরুণ তরুণী ইসলামিক জীবন সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায়নি। মুসলিম এলাকাগুলোতে মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক সেন্টার, বইপত্র, ইসলামিক দল, ইসলামিক ব্যাংকিং, অনলাইনে প্রচার এখন একেবারে শিখরে।

মুসলিম-প্রধান দেশগুলো এখন ক্যাপিটেলিজমের সেন্টারে পরিণত হয়েছে, দুবাই, রিয়াদ, জাকার্তা, তেহরান, আম্মান, দোহা এখন বিশ্বের অন্যতম ক্যাপিটেলিজম সেন্টারসমুহ, নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ, হংকং, বেইজিং'এর সাথে পাল্লা দিয়ে সামনে এগুচ্ছে।

ক্যাপিটেলিজমের মুল চালিকাশক্তি হলো, "মানুষ একা নিজের শ্রম ও সম্পদ দিয়ে ধনী হতে পারে না; তাকে অন্যের শ্রম ও সম্পদ থেকে কিছু নিতে হবে; অন্যকে বাজার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।"

ক্যাপিটেলিজমের মুল ভাবনা কিন্তু ক্যাপিটেলিস্টদের মাঝে বাজারের জন্য আভ্যন্তরীন প্রতিযোগীতার সৃস্টি করে; সেদিক থেকে মুসলিম দেশগুলো নিজেদের মাঝে প্রতিযোগীতায় আছে; তা'ছাড়া তাদেরকে নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ, হংকং, বেইজিং'এর সাথে প্রতিযোগীতা করতে হচ্ছে।

লন্ডন, নিউইয়র্ক, জুরিখ, হংকং মুলত অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গত শতাব্দী থেকে প্রতিস্ঠিত হয়ে গেছে; তাদের মুল শক্তি "ফাইন্যান্স"; আবার ফাইন্যান্স হচ্ছে আধুনিক জ্ঞান-ভিত্তিক ক্যাপিটেলিস্ট ইনস্টিটিউশান; এখানে মুসলিম ক্যাপিটেলিস্ট সেন্টারগুলো পিছিয়ে আছে; তাদের সম্পদ, মুলত: উৎপাদন ও কাঁচামাল ভিত্তিক। আধুনিক জ্ঞান-ভিত্তিক ও সম্পদ-ভিত্তিক ক্যাপিটেলিজমে আধুনিক জ্ঞান-ভিত্তিকদের সুযোগ বেশী।

মুসলিম দরিদ্রদেশগুলোও পিছিয়ে নেই, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, তিউনিসিয়া থেকে শুরু করে আফ্রিকান মুসলিম দেশসমুহ সৌদী ও দুবাইকে অনুসরণ করে ধনী হওয়ার চেস্টা চালাচ্ছে!

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

বিজন রয় বলেছেন: ব্যবহার আর অপব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য কি?

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ব্যবহার" সভ্যতাকে সামনে নেয়; অপব্যবহার সবকিছুকে সংকুচিত করে দেয়।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

বিজন রয় বলেছেন: বিপদে পড়লেই মানুষ সজাগ হয়।

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিপদে পড়ার পর, সজাগ হলেও বেশীরভাগ সময় আংশিকভাবে হলেও ক্ষতি গুনতে হয়; বিপদ আছে ধরে নিয়ে যারা হিসেবে করে, তাদের জয়ের অনুপাত বেশী।

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশ কবে নাগাদ ধনী দেশ হতে পারবে গাজী ভাই?

০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ ধনীদের দেশ; সাধারণ মানুষ এখন বাজারে পরিণত হয়েছে; এর থেকে বেশী ধনী উৎপন্ন করার মতো সম্পদ আর নেই বাংলাদেশে।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

ওমেরা বলেছেন: ঠিক ই বলেছেন ইসলামের অনেক প্রচার প্রসার হচ্ছে অনেক কিন্ত অনুসরন বাড়ছে পুজিবাদের ।ধন্যবাদ ভাইয়া

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানরা ক্যাপিটেলিজমের বড় অনুসারী।

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

ফকির জসীম উদ্দীন বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম এলাকায় সাধরণ মানুষের উপর দীর্ঘদিন নিপীড়নের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে; ধর্মের কারণে, এর থেকে বের হওয়াও সহজ হবে না।

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

নতুন বলেছেন: মুসলিম-প্রধান দেশগুলো এখন ক্যাপিটেলিজমের সেন্টারে পরিণত হয়েছে, দুবাই, রিয়াদ, জাকার্তা, তেহরান, আম্মান, দোহা এখন বিশ্বের অন্যতম ক্যাপিটেলিজম সেন্টারসমুহ, নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ, হংকং, বেইজিং'এর সাথে পাল্লা দিয়ে সামনে এগুচ্ছে।

দুবাই, রিয়াদ,দোহা এর পেছনে কিন্তু বিদেশিরাই কাজ করছে.... বড় বড় সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা তৌরি করছে তাই আরবরা জোব্বা পড়ে বসে আছি কিন্তু ক্যাপিটেলিজমের বাস্তবায়ন করছে আমেরিকা/ইউরোপের মানুষ...

০৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সভ্যতা এমন জায়গায় এসেছে, আপনার সম্পদ থাকলে সবাই আপনাকে সাহায্য করতে চাইবে।

৭| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: খুব ভালোলাগে আপনার পোষ্টগুলো

০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ক্যাপিটেলিজমের মাধ্যমে সুখ শান্তি আনতে হলে, আমেরিকার মতো প্রাকৃতিক সম্পদ থাকতে হবে, সুইসদের মতো ফাইন্যান্স বুঝতে হবে; ইংরেজদের মতো কলোনীর মালিক হতে হবে, কিংবা জাপানীদের মতো খাটতে হবে।

৮| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

মূর্ক্ষের পিতা হস্তী মূর্ক্ষ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর কথা ধন্যবাদ

০৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যাপিটেলিজম মানুষকে সম্পদ অর্জনের ক্রমাগত প্রতিযোগীতার মাঝে নিয়ে যায়; এটা সমাজের শান্তি নস্ট করতে যথেস্ট

৯| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, অন্যকে ব্যবহার না করে ধনী হওয়া যায় না।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামিক মনোভাবের কারণে, মানুষ নিজের দুর্ভাগ্যকে দোষ দিয়ে থেমে যায়, তারা নিজেদের অধিকার আছে ভাবার মতো শিক্ষা পায়নি।

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ক্যাপিটালিজম ও ধনী হওয়া দুটো সমার্থক শব্দ নয়।

কারণ, কমিউনিস্টরাও ধনী হতে পারে। বাংলাদেশেই অনেক কমিউনিস্ট বা তার সমর্থক আছেন যারা ধনী।

বরং, যেসব ধনী মানুষ তাদের সম্পদ গরীবদের সাথে শেয়ার করেন না, তারাই নিন্দনীয় হওয়া উচিৎ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে কোনদিন কম্যুনিস্ট ছিলো না।

ক্যাপিটালিজম ও ধনী হওয়া দুটো সমার্থক শব্দ নয়, সঠিক; ক্যাপিটেলিজম একটা অর্থনীতি ও ফাইন্যানসিয়াল সিস্টেম, যা ধনীকে আরো ধনী হতে সঝায্য করে, এবং দরিদ্রদের প্রায় ক্রীতদাসে পরিণত করে।

১১| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ১। রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু মানুষ রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়।
২। ইফতারের জন্য জিলাপী কিনি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। হোটেল সেরাটনে এক কেজি জিলাপীর দাম নেয়- ২০০০ টাকা।
৩। বাংলাদেশের কিছু মানুষের হাতে এত পরিমান টাকা যে- মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যাই।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের সামান্য মানুষ দেশের সিংহভাগ ব্যবসা ও সম্পদ দখল করে নিয়েছে অন্যায়ভাবে

১২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: ইসলাম ধর্ম...নিজস্ব উন্নতির শিখরে আছে...মুসলিম-প্রধান দেশগুলো ক্যাপিটেলিজমের সেন্টারে পরিণত হয়েছে...নিউইয়র্ক, লন্ডন, জুরিখ, হংকং, বেইজিং'এর সাথে পাল্লা দিয়ে সামনে এগুচ্ছে। ----

অাপনি কি বলতে চাচ্ছেন অারব দেশগুলো এখন সঠিক পথে আছে।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবেরা কোনদিনও সঠিক ছিলো না; আজকে তারা তেল বেচে ক্যাপিটেলিজম অনুসারে বানরের ভাগ করছে।

১৩| ০৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ক্যাপিটালিজম ব্যবহার করে নিজে সমৃদ্ধ হচ্ছে, যদি সাথে অন্য গরিব দেশগুলোকে ধনী করতে পারতো তাহলে ভালো হত। কিন্তু ধনী ব্যক্তি কখনো নিজের সমতুল্য ছাড়া কাউকে সাহায্য করে না!!

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সীমিত সম্পদের দেশ, বাংলাদেশে ক্যাপিটেলিজম ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে; মানুষ নিজের বসতভিটা বিক্রয় করে, বিদেশে শ্রম দিয়ে হার্ড কারেন্সী আয় করছে; ব্যবসায়ী, সরকারী কর্মচারী ও রাজনীতি লোকরা সেই কারেন্সীকে পাচার করছে।

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:০১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

খাটি কথা! সহমত!

০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা স্বাভাবিকভাবে ক্যাপিটেলিজম অনুসরণ করে আসছে।

১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: ধনী হতে হলে হিংস্র হতে হয়। বিবেক বিকৃত হয়। পাঁচ বার নমাজ পড়লে আত্মশুদ্ধি হয়। সমস্যা হলো, যাদেরকে আমরা দায়িত্ব দেই ওরা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। এখন আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। পৃথিবীতে এখন মুসলিম দেশ নেই। তবে অসংখ্য মুসলমান আছেন। মিথ্যা বলে ইতরামি না করলে ক্ষমতা ধরে রাখা যায় না।

আপনার সাথে আমি একমত। আমার সাথে একমত হতে হবে না।

০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ; ওখানে কাজের থেকে নামায বেশী হয়; বাজেটের বড় অংশ ওখান থেকে চুরি হয়।

১৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:১৭

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি হয়তো জানেন, দুনিয়াতে বড়বড় মসজিদ হবে। বর্তামানে গির্জাতে ক্লাবিং হয়। আমি নিজে গিয়েছিলাম কাসটমার আনার জন্য।
এখন কঠিন কাজ হলো ইমান ঠিক রাখা। মানুষ এখন শুধু হিংস্র হবে। চুরিচুট্টামি বাড়তেই থাকবে।
যাক, আপনার লেখ পড়লে অনেক অজানা জানা হয়।

আপনি কেমন আছেন? আরও দুই ঘণ্টা পর আমি সেহরি খাব।

বইটা শেষ করেছিলাম অনেক কষ্ট করে, আপনি সদয় হয়ে আমার জন্য যথেষ্ট কাজ বার করে দিয়েছেন।

০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি আপনার বই যতটুকু ব্লগে দিয়েছেনততটুকু পড়েছি মাত্র; আপনি হয়তো আপনার পরিচিত এলাকার ধারণার উপর লিখেছেন অনেকটা; বইয়ের প্লট জানলে হয়তো আমার জন্য স হজ হবে; আমি সময় করতে পারছি না; চোখেও সামান্য সমস্যা আছে; আমি পরে সময় করে পড়বো, আশাকরি।

একটি বিষয়, আপনি কিছু মানসিক প্রতিক্রিয়া বুঝানোর জন্য "দৌড়ে চলে যাওয়া, দাঁত কিড়কিড় করা, মাথা দিয়ে সংকেত দেয়া", ইত্যাদি বারবার ব্যবহার করেছেন।

১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৪৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি যে সব বিষয়ে আলোকপাত করছেন তা আমি গল্পে গতি রাখার জন্য করেছি। বই এখনো শত ভাগ শেষ হয়নি। আমি শুধু আসল গল্প শেষ করেছি। এখন একজন সম্পাদকে বই ঠিকঠাক করতে পারবে। প্লটিং আমি গ্রামে করেছি, পরে সে শহরে আসে। পরিবেশ আমি বেশি বিশ্লেষণ করিনি। তবে তাদের হাবভাব একটু বেশি বিশ্লেষণ করেছি পাঠককে গল্পের ভিতর রাখার জন্য। অনেক সংলাপ আছে তাদের হাবভাব বিশ্লেষণ না করলে অসামঞ্জস্য হবে, কোনো কিছুর মিল থাকবে না। আপনার মন্তব্য আমি উৎসাহিত হচ্ছি এবং বইও স্পষ্ট হচ্ছে। আপনি আপনার মত মতামত দেবেন। রোজা পর কাজ শুরু না করলে আবার বইটা পড়ব। অনেক কাজ এখনও বাকি।

শুরুতে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে নিশ্চয় সহজ হবে। বায় দা ওয়ে আপনি হয়তো শহুরি?
আমার গ্রামের মাঝখানে একটা নদী আছে। পূব পশ্চিমে হাওড়। বাড়ির সামনে বন আছে। গ্রামে একটা বাজার আছে। এখনও বর্ষামাসে আমার বাড়িতে গাড়ি যায় না।

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি জীবনে একটি গল্পের অর্ধেক লিখেছিলাম।

১৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: লেবারটিজম নামে নতুন একটি লিজম গড়া দরকার যেখানে কেপিটেলকে কেপটিভ করে লেবার কে উপরে তুলে গড়ে উঠা
লেবারটিজম ইউরোপ আমিরিকা লন্ডন নিউইয়র্ক , দুবাই, রিয়াদ, জাকার্তা, তেহরান, আম্মান, দোহা সহ বিশ্বের ক্যাপিটেলিজম সেন্টারসমুহকে কব্জা করে নিবে নীজ ক্ষমতার দাপটে ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক কিছুই ঘটবে, আমরা জানবো না।

১৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫১

অবিসংবাদিত নেতা নেহরু বলেছেন: ভালই বলেছেন
কিন্ত ইসলাম তো ধন সম্পদ চায় না ইসলাম চায় ঈমান।
ধন্যবাদ

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম মুসলমানদের জীবনের অংশ; উহাকে আলাদা করা সম্ভব নয়; মুসলমানদের জীবনের প্রতিফলনই ইসলাম।

২০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে।

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলিম দেশগুলোর অর্থনীতির নিয়ম বলছে যে, ইসলাম ক্যাপিটেলিজমের পক্ষে।

২১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: আপনার লেখায় কনসেপ্টগুলো অনেক ক্লিয়ার থাকে । ছোট পোস্টের বিশ্লেষন পড়াটা একদিকে যেমন সহজ অন্যদিকে জানার নতুন দিগন্তকে উন্মুক্ত করে ।

আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ূ কামনা করছি ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি চেস্টা করছি নিজের বক্তব্যকে ব্লগারদের সাথে মিলিয়ে দেখতে; আপনি ভালো থাকুন।

২২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০১

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ক্যাপিটেলিজম একটা অর্থনীতি ও ফাইন্যানসিয়াল সিস্টেম, যা ধনীকে আরো ধনী হতে সঝায্য করে, এবং দরিদ্রদের প্রায় ক্রীতদাসে পরিণত করে।
এটা ইসলাম সমর্থন করে না।

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



৫০টি মুসলিম দেশে সেটা ঘটছে; এখন ইসলাম শিখরে আছে, কে তা সমর্থন করছে?

২৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০২

স্বতু সাঁই বলেছেন: তবে আপনার পোস্টে পোস্টের উপর মন্তব্য এখন করছি না সময় হলে অবশ্যই করবো। তবে বিপদে পড়ে নিজস্ব ব্যাপারে কমেন্ট করছি। সাহায্য চাই, তবে অর্থনৈতিক সাহায্য নয়। আপনি যেহেতু অনেক পুরানো ব্লগার তাই ভাবলাম ব্লগ সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান ও সাহায্য আপনার নিকট থেকে পাবো। তবে আমি অনেক অনুসন্ধান করে এই ব্লগে ব্যক্তিগত বার্তা আদান প্রদানের কোন ব্যবস্থা দেখতে না পেয়ে বিষয়টা মন্তব্যেই লিখতে বাধ্য হলাম। আর আপনার বিরক্ত বাড়াবো না, প্রসঙ্গেই আসছি।

ব্লগে যুক্ত হওয়ার প্রায় ছয়দিন হতে চললো কিন্তু কোন লিখা প্রথম পাতায় এখনও প্রকাশ করতে পারছি না, কর্তৃপক্ষও কোন প্রকার বার্তা দিয়ে আমাকে জানায় নি। জানি না এখানে জানানোর কোন নিয়ম আছে কি না। তবে আজ সাধারণ প্রশ্ন উত্তর পাতায় জানতে পারলাম, "কোন পোস্ট লেখার পর বা এডিট করার পর রাইটিং প্যানেলের ডান দিকে "বাঁধ ভাঙার আওয়াজ" বক্সটি টিক দেয়া আছে কিনা দেখে নেবেন(এই বক্সটি বাই ডিফল্ট সিলেক্টেড অবস্থায় থাকবে),না থাকলে সিলেক্ট করে দেবেন। নাহলে পোস্টটি প্রথম পাতায় আসবে না।"

এখানে উল্লেখিত "বাঁধ ভাঙার আওয়াজ" বক্সটি টিক দেয়া আছে কিনা, আমি বাক্সটি খুঁজে পাচ্ছি না। যদি বাক্সটির খোঁজ আপনি বলে দিতেন তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। শুভকামনা রইলো ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথমে দেখেন, আপনার "মডারেশন স্ট্যাটাস" কি "সেফ"? যদি উহা "জেনারেল" হয়, আপনার লেখা ১ম পাতায় যাবে না; স্টা্যাটাস দেখার জন্য নিজের নিকের লিংকের উপর ক্লিক করুন; বামপাশের প্যানেলে গ্রাফিক্যালী আপনার "মডারেশন স্ট্যাটাস" দেখাব।

নতুন পোস্ট লেখার সময়:

"নতুন ব্লগ লিখুন" মেন্যুতে ক্লিক করলে, লেখার জন্য এডিটর দেখাবে; সেখানে "শিরোনাম" লেখার "টেক্টট বক্স" ও মুল এডিটর থাকবে।

মুল এডিটরের বাম পাশে দেখবেন, "পোস্টটি প্রকাশিত হবে" নামে টেব আছে, তার নীচে " প্রথম পাতা" টাইটেলে একটি চেক বক্স আছে, উহা "চেক করা থাকে", না থাকলে চেক করবেন। এর নীচে আছে, "মন্তব্য সেটিং"; সেখানে প্রথম রেডিও বাটনে লেখা আছে "সরাসরি প্রকাশিত হবে", সেটা চেক থাকে; না থাকলে সেটা চেক করুন।

গুডলাক।

২৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনি একটু বিশে সিরিয়াস টাইপের মানুষ। গল্প লিখেছেন মানে আমার মনে রস আছে। আপনি কবিতাও লিখতে পারেন তা আমি দেখেছি।

০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কবিরা আলাদা মানুষ!

২৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জি, আপনি সত্য বলেছেন। কবিরা আসলেই আলাদা।

২৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: ধন্যবাদ..

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা ক্যাপিটেলিজমে বেশী অভ্যস্ত হয়ে গেছে।

২৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: প্রতিটি মানুষ যদি বিপণন কেন্দ্রে পরিণত হয়, তাহলে তো পুঁজিবাদীরা সে সুযোগ নিবেই

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম এলাকাগুতোতে বিপুল পরিমাণ মানুষকে অশিক্ষিত করে রাখা হয়েছে কৌশলে; তাই শিক্ষিতদের বিশাল ভুমিকা পালন করতে হবে।

২৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: কিন্তু কথা হলো, অধিকাংশ মুসলিমই মুসলিম না। অধিকাংশই মুনাফক মুশরিক ও কাফের।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানের মুসলমান, হিন্দুরা হিন্দু, খৃস্টানরা খৃস্টান; কারো ধর্মীয় বিশ্বাস, ও আমলকে মাপা যায় না, এমন কোন একক নেই।

২৯| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে একটু উদাহরণ দেবো, ব্যপকতায় যাচ্ছি না এখনই।

আমরা অধিকাংশই শুনে শুনে মুসলমান। ফলে বাবা মারা গেলে ভাড়া করে হুদুর এনে বাপের জানাজা পড়াতে হয়। ধর্মের প্রতি এমনই দূর্বল বিশ্বাস যে নিজে জানাজা পড়ালে বাপ বেহেস্তে যাবে না, তাই ভাড়া করা হুদুরের দ্বারা জানাজা পড়ায়। আমাদের না জানা কথাগুলোই ব্যক্ত করছি। আসলে শুনে শুনে মুসলমান হওয়া যায় না, এটা কোরান বিরোধী। আল্লাহ কোরানের বহু আয়াতে কাফেরের সংজ্ঞা স্পষ্ট করেই ব্যক্ত করেছেন, আমি তার মধ্য থেকে এখানে কোরানের প্রারম্ভে সুরা বাকারার ৬ ও ৭নং আয়াতে কাফের সম্পর্কে আল্লাহ যা ব্যক্ত করেছেন তা উল্লেখ করছি। "(৬) নিশ্চয় যারা কাফের, তুমি তাদেরকে ভয় দেখাও বা না দেখাও তাদের পক্ষে সমান কথা, তারা ইমান আনবেই না। (৭) আল্লাহ তাদের মন ও কর্ণে রোধক স্থাপন করেছেন এবং চোখে উপরে আবরন দ্বারা ঢেকে রেখেছেন, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন সাস্তি।"

উপরে উল্লেখিত কোরানের দুটি আয়াতে আল্লাহ এতো সুন্দরভাবে কাফেরের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন যার পর আর কিছুই বলার থাকে না। অন্ধ বিশ্বাসে আল্লাহকে স্বীকার করলেই যে সে মুসলিম হবে, এর কোন শর্তই তিনি রাখেন নি। তাহলে আসুন আয়াত দুটি একটু বিশ্লেষণ করে দেখি। আপনি যেহেতু একজন লেখক, কবি বা সাহিত্যের অন্যন্য শাখায় লিখা লিখি করেন সেহেতু বাক্য গঠনের সকল প্রক্রিয়াগুলো আপনার ভালই জানা আছে। কিভাবে বিশেষ্য বিশেষণের ব্যবহার করা হয়, কিভাবে উপমাগুলোরে রূপকে রূপান্তর করা হয় এবং ক্রিয়ার ব্যবহার প্রত্যয়ের ব্যবহার, অব্যয়ের ব্যবহার করা হয় তা কওমী মাদ্রাসার হুদুররা না জানলেও আপনি নিশ্চয় তা জানেন ভালো করে। না জেনে নিশ্চয় কবিতা বা গল্প উপন্যাস লিখতে সাহস করেন নি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনার এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। আসুন এবার সরাসরি বিশ্লেষণে চলে যায়।

৬নং আয়াত ব্যাখ্যার আগে ৭নং আয়াতের বিশ্লেষণ করে নেই। "(৭) আল্লাহ তাদের মন ও কর্ণে রোধক স্থাপন করেছেন এবং চোখে উপরে আবরন দ্বারা ঢেকে রেখেছেন, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন সাস্তি।" এই আয়াতে আল্লাহ কিছু উপমার দ্বারা একটি রূপক দাঁড় করেছেন। নিশ্চয় পঞ্চেন্দ্রিয় সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে বলে আমি মনে করি কারণ আপনি কবিতা লিখেন। কবির পঞ্চেন্দ্রিয় সচেতন সফল কবিতা লিখতে পারেন না। পঞ্চেন্দ্রিয় দূর্বল হলে কবিতার অভ্যন্তরে উপমা ব্যবহারের দ্বারা রূপকের বন্ধন সৃষ্টি সঠিকভাবে হয় না কবিতার ভাব ও সৌন্দর্য লোপ পায়, এমন কি কবিতাকে কবিতা বলেই মনে হয় না। শুধু আনকমন শব্দের ব্যবহার আর ছন্দ মাত্রা দিয়ে কবিতা রচনা হয় না। তার চাইতে সাহিত্যের অংশ হিসেবে গদ্য অনেক ভালো।

এই আয়াতে আল্লাহ চক্ষু কর্ণ ও মন এই তিনটি উপমার দ্বারা সুন্দর রূপকের সৃষ্টি করেছেন। এখানে আরও একটু সংযোজন করছি কারণ এসব ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ হুদুররা আপনাকে দিতে পারবেন না কারণ মুখস্থ করা ছাড়া সাহিত্য রচনা কৌশল সম্পর্কে তাদের অতো ধ্যান ধারণা নেই। কিছু হাদিস ও কিছু চাপা মুখস্থ থাকলেই ওয়াজ করা যায় তাতেই হাজার হাজার টাকা কামায় করা যায়, ফলে সাহিত্যের গভীরতা নিয়ে তাদের ভাবনা নয়। কিন্তু আল্লাহ তো আর হুদুরদের মত এতো নির্বোধ না চাপাবাজী মেরে কোরানের মত একটি কাব্যগ্রন্থ রচনা করবেন। তাই আল্লাহর সৃষ্টি তত্ত্বে সাহিত্যাঙ্গনে কাব্য রচনা উন্নতমানের সৃষ্টি রহস্য। তাই আল্লা বার বার কোরানে উল্লেখ করেছেন, "পারলে তোমরা কোরানের আয়াতের মত একটি আয়াত সৃষ্টি করে !" তাই তো একটি আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান করতে এতো কথা খরচ করতে হচ্ছে।

চক্ষু কর্ণ, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা। এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়কে পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয় বলে। অর্থাৎ আমরা যা জ্ঞান অর্জন করি তার সকল কিছু এই পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা আহরণ করে বিবেকের দাঁড়িপাল্লায় অঙ্কশাস্ত্রীয়ের বাটখারা দিয়ে ওজন করে সঠিক হলে তা থেকে জ্ঞান অর্জন করি। শুধু চোখে দেখলেই জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞানী হওয়া যায় না। জ্ঞানী হতে হলে অনেক বিচক্ষন হতে হয়।

চক্ষু দ্বারা আমরা সরাসরি দেখে থাকি। কিন্তু সবসময় যে আমরা সঠিক দেখি তাও না। কারণ অনেক সময় অন্য এক ব্যক্তিকে দেখে নিজের পরিচিত জনের নাম ধরে ডাকি, এ রহিম বা করিম ইত্যাদি। কিন্তু আসলে সে রহিম বা করিম না। আলোকতরঙ্গের তারতম্যের কারণে স্নায়ুতন্ত্র মস্তিস্কে ভুল তথ্য প্রদান করায় এরূপ ভুল হয়ে থাকে। তাই চক্ষু দ্বারা সকল দর্শনই জ্ঞান এ ধারণা সঠিক না। এ জন্য চক্ষু দ্বারা দৃশ্যগ্রাহ্য বিষয়টিকে নিয়ে বিবেকের স্মরণাপন্ন হতে হয়। এরূপ কর্ণ দ্বারা শ্রবণগ্রাহ্য কোন শব্দের ক্ষেত্রেও একই। শব্দ যদিও অদৃশ্য একটা মাধ্যম, কিন্তু এর আওয়াজের বিস্তৃতি ব্যাপক বলে একই সাথে অনেকেই তা শুনতে পায়। কিন্তু নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা দ্বারা অনুভূতিগ্রাহ্য যে ধারণাগুলো আমরা আহরণ করি তা প্রথমে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে মস্তিস্কে গিয়ে তা মনে আনুভূতি জাগায়। সেক্ষেত্রেও চক্ষু ও কর্ণের মত ভুল হতে পারে, তাই মনকেও বিবেকের স্মরণাপন্ন হয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হয়। এজন্য আল্লাহ কোরানে শুধু মন দ্বারা ইন্দ্রিয়ের নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা এই তিনটি ইন্দ্রিয়কে একত্রিকরণ করে পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয়কে উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ চক্ষু দ্বারা দৃশ্যরস, কর্ণ দ্বারা শব্দরস, নাসিকা দ্বারা গন্ধরস, ত্বক দ্বারা স্পর্শরস এবং জিহ্বা দ্বারা রসরস গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর সৃষ্টি সকল সৃষ্টির সৃষ্টিহস্যের জ্ঞান অর্জন করি। অর্থাৎ পঞ্চেন্দ্রিয়ে সচেতনগ্রাহ্য ব্যক্তিকেই আল্লাহ জ্ঞানী বলে উল্লেখ করতে চেয়েছেন। কিন্তু যদি কারো পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয় আবরুদ্ধ বা আবরণে ঢাকা বা মোড়ানো থাকে তাদেরকে কি বলা যেতে পারে? তাদেরকে অজ্ঞ, মূর্খ, অন্ধ, বোবা, বধির ইত্যাদি শব্দ দ্বারা বিশেষায়িত করা যেতে পারে। তাই আল্লাহ ৫নং আয়াতে উল্লেখ করছেন যে কাফেরের এই পঞ্চেন্দ্রিয় বা জ্ঞানেন্দ্রিয় অবরুদ্ধ বলে এরা অজ্ঞ মূর্খ, এদের দ্বারা সৃষ্টিতত্ত্বের জ্ঞান অর্জনে সম্পূর্ণরূপে অসামর্থ। অর্থাৎ কোরানের পরিভাষায় আল্লাহ স্পষ্ট করেই উল্লেখ করছেন যে জ্ঞান অর্জনে যারা অসামর্থ অজ্ঞ মূর্খ তারাই কাফের।

এখন লেখককে আমি পিছনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। কি করে আপনি শুনুয়া মুসলমান হয়ে নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করবেন? আসলে আমরা যাদেরকে মুসলিম বলে চিনি বা জানি তারা কোরানের পরিভাষায় মোটেও মুসলিম না।

এখন আসুন, মুসলিম শব্দটি দ্বারা আল্লাহ মুসলিমের যে অন্তর্নিহীত ভাব ব্যক্ত করেছেন সেখানেও তিনি উল্লেখ করেছেন অজ্ঞ মূর্খ কখনই মুসলিম হতে পারে না। মুসলিম শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, অনুগত। এখন প্রশ্ন হলো, কার অনুগত হতে হবে? শেখ হাসিনার? খালেদার? শফি হুদুরের? নাকি আল্লাহর? নিশ্চয় এ ক্ষেত্রে আল্লাহরই হবে। এখন অনুগত বলতে আমরা কি বঝে থাকি? প্রভূ বা স্বামীর আদেশসমূহ মান্য করা এবং নিষেধসমূহ পরিহার করে চলাকেই প্রভূ বা স্বামীর অনুগত বলে বুঝি। তাহলে আল্লাহর অনুগত হতে হলে, আল্লাহর আদেশসমূহ মান্য করতে হবে এবং নিষেধসমূহ পরিহার করে চলতে হবে। আল্লাহর এই নির্দেশনাগুলো আমরা কোথায় পাবো? নিশ্চয় তা কোরানে! অর্থাৎ কোরান অজ্ঞ বা মূর্খের দ্বারা বোঝা সম্ভব না তাই কোরান বুঝতে হলে তাকে জ্ঞানেন্দ্রিয়ে সচেতনশীল জ্ঞানী হতে হবে। এখন বলুন, মুসলিম শব্দে আল্লাহ মুসলিমের যে অন্তর্নিহীত ভাব ধরে রেখেছেন, তাতে কি আপনি শুনুয়া মুসলমানকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি দিতে পারেন? কখনই না। মুসলিম হতে হলে অন্তত পক্ষে জেনে বুঝে কোরানের জ্ঞান আহরণ করতে হবে তবেই নিজেকে মুসলিম বলে পরিচিতি দেওয়া সম্ভব। সাপের মন্ত্র স্বরূপ কোরান আবৃতির দ্বারা নিজেকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি প্রদান করা সম্ভব না। অথবা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলা যায় আমার বাপ দাদা মুসলিম ছিলো আমি তাই মুসলিম তাও আল্লাহ আপনাকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি দিবেন না। কারণ নুহের সন্তান কেনানকে নুহের স্ত্রী ও লুতের স্ত্রীকে আল্লাহ মুসলিম বলে স্বীকৃতি দেন নি। কিন্তু ফেরাউনের স্ত্রী ও ইব্রাহীমকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অর্থাৎ আল্লাহর পরিভাষায় নিকষিত মানবই হচ্ছে একমাত্র মুসলিম। মুসলিম কোন জাতি বা গোত্র নয়। মুসলিম শব্দটি দ্বারা আল্লাহ জ্ঞানী হওয়ার নির্দেশনা দান করেছেন। কিন্তু যত্রতত্রভাবে নিজেদেরকে মুসলিম বলে স্বীকৃতি দান করায়, মুসলিম জাতি হয়েছে, গোত্র হয়েছে, ফলে মুসলিম শব্দটি এমনই পচন ধরেছে যার ফলে সারাবিশ্ব এর দূর্গন্ধে দূর্গন্ধময়।

#লেখক, লিখাটা প্রথম পাতায় প্রকাশ করার নিমিত্তে লিখেছিলাম। কিন্তু এখনও অনুমতি না পাওয়ায়, আপনার উত্তরের সাথে সামঞ্জস্য বলে মন্তব্য আকারেই দিয়ে দিলাম।

০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হযরত মোহাম্মদের জীবনকালে হয়তো পুরো আরবে সবাই শুনে শুনে মুসলিম ছিলেন; এখন সবচেয়ে বেশী মুসলমান পড়তে পারেন।

৩০| ০৯ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: পড়াশুনার কথা শুনে লালনের একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো,

গুণে পড়ে সারলি দফা
করলি রফা গোলেমালে।
খুঁজলি নে মন কোথা সে ধন
ভাজলি বেগুন পরের তেলে।।

করলি বহু পড়াশুনা
কাজের বেলায় ঝলসে কানা
কথায় তো চিড়ে ভেজে না
জল কিংবা দুধ না দিলে।।

আর কি হবে এমন জনম
লুটবি মজা মনের মতন
বাবার হোটেল ভাঙ্গবে যখন
খাবি তখন কার বা শালে।।

হায় রে মজার তিলেখাজা
খেয়ে দেখলি নে মন কেমন মজা
লালন কয় বিজাতের রাজা
হয়ে রইলি চিরকালে।।

০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লালনের সময়, সেই এলাকায় লালন ব্যতিত অন্য কেহ পড়তে পারতেন বলে মনে হয় না।

৩১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: কে বলে তারা পড়াশুনা জানতো না? ওদের পুস্তক কাগজে ছাপানো পুস্তক নয়। ওদের পড়াশুনার কোন পাঠশালার প্রয়োজন ছিলো না। দেহ ও মন ছিলো তাদের পাঠশালা, প্রকৃতি তাদের পাঠ্য পুস্তক।

০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষাহীন অবস্হায় প্রকৃতি যতটুকু দেয়, সেটা নিয়ে ততকালীন বাংলা, আজকের আফগানিস্তান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া কোনভাবে টিকে আছে।

৩২| ০৯ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

স্বতু সাঁই বলেছেন: মানুষকে মানবরূপে না গড়ে রাষ্ট্র কায়েম করে কোন লাভ নাই। তা হবে ছিদ্রযুক্ত বাঁধ বেঁধে জল ছেচনের মত।

০৯ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে সেটাই ঘটেছে।

৩৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১১

স্বতু সাঁই বলেছেন: শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বজুড়ে এই চলছে। আর চলবে নাইবা কেনো। শক্তি(শারীরিক বল), ক্ষমতা(রাজনৈতিক কৌশল), ধর্ম(সম্মোহকারী মন্ত্র), এই তিনের সমন্বয়ে সভ্যতার নামে পুঁজিবাদের দাসত্ব লীলা নিয়েই এই জগতের রচনা হয়েছে হাজার হাজার বছর আগে। খালি খোলস পাল্টাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন নামের লেবেল লাগিয়ে বলছে, সভ্যতার উন্নয়ন ঘটছে উত্তরোত্তর। এভাবেই ধূর্তরা ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম লিখিয়ে ইতিহাস হয়ে যায়। আর মূর্খরা তাই নিয়ে খিল খিল করে হাসে।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যাপিটেলিজম মানুষকে কৌশলে শিক্ষা থেকে দুরে রাখে।

৩৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫২

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাদের একটাই শিক্ষা ব্যবস্থা, দাসত্ববিদ্যা। ঘরের চাক থেকে প্রধানমন্ত্রী বা প্রসিডেন্ট সকলেই তাদের দাস। তাই সমাজটা হয়ে আছে, পুঁজিবাদের দাস, দাসের দাস এবং ক্রমান্বয়ে দাসের দাস।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.