নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতের বিজয় জাতির জন্য একটা অনুপ্রেরণা হতে পারে!

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০



হেফাজত রাজনৈতিক দল নয়, তারা আপাতত নিজদের ধর্মীয় দল হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে; মৃত্যুর পর উনারা সবাই হয়তো বেহেশতে যাবেন সময় মতো, সেটা ভালো; কিন্তু দেশ চালনা তাদের হাতে গেলে দেশ আফগানিস্তান কিংবা সোমালিয়ার মতো চলবে; যাক, দেশ উনাদের চালাতে হবে না হবে না কোনদিন, সেটাই সুখবর।

কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক ২টি বিজয়ই রাজনৈতিক ওজন বহন করছে: তাদের সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে "মাস্টার" ডিগ্রির সমতুল্য করার দাবীকে প্রতিস্ঠিত করা একটি বড় ধরণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিজয়; এবং থেমিসকে কয়েক গজ সরানোও শেখ হাসিনার "আয়রণ ফিস্ট" নীতির বিপক্ষে মানসিক বিজয়! পরিবেশ বাদীরা শেখ হাসিনাকে সুন্দর বনের ব্যাপারে পিছু হটাতে পারেনি; বিএনপি ৯১ দিনের তত্বাবধায়ক আন্দোলন করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথকে মসৃণ করতে গিয়ে, রাজপথই হারিয়ে ফেলেছে; আলম ব্রাদার্স'এর বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নিজের বাড়ীঘর রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়েছে; কিন্তু তারা বিচার পায়নি; হেফাজত ভালো কিছু পেয়েছে, এতে জাতির জন্য ভালো ও ক্ষতি দুটোই হবে।

কি ক্ষতি পারে? হেফাজতের মাদ্রাসার গ্রাজুয়েটরা সেক্রেটারিয়েটে মাস্টার্স'এর সম-মানের চাকুরী পাবার পর, জাতির দরকারী ফাইলগুলো টেবিলে আরো বেশী আটকা পড়বে, ওরা দক্ষতার সাথে কাজ করার কথা নয়; আবার, অনেক মৌলভী ঘুষ খাওয়া শিখবে।

ভালো দিক হলো, তারা প্রমাণ করেছে যে, সমবেতভাবে কাজ করলে, ঐক্য দেখাতে পারলে, মাথা গণনা হয়, শেখ হাসিনা মানুষের কথা শুনতে বাধ্য। হেফাজতের বিজয় জাতির জন্য বড় কোন সুফল বয়ে আনেনি; কিন্তু ইহা দেশের নাগরিকদের একাংশের বিজয়, হেফাজতীরা এই দেশেরই নাগরিক! তাদের বিজয় থেকে সাধারণ মানুষ ধারণা পাবার কথা।

হেফাজত জয়ী হয়ে প্রমাণ করেছে যে, সরকারকে মানুষের কথা মানতে হবে এক সময়; যা বিএনপি ও বামধারার লোকেরা পারেনি। হেফাজত যা চেয়েছে, তাতে তাদের প্রত্যেক সদস্যই অর্থনৈতিক বা মানসিকভাবে লাভবান হয়েছে। বিএনপি ভোটে জয়ী হওয়ার পথ নিশ্চিত করতে চায়; বিএনপি নির্বাচিত হলে, দেশের মানুষ কোনভাবেই উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা নেই; এমন কি বিএনপি'র ভোটারদেরও ক্ষতি হবে; ফলে, জাতি, কিংবা বিএনপি'র ভোটারেরাও বিএনপি'র জন্য মাঠে নামার সম্ভাবনা কম। বামদের বেলায়, সৈন্য থেকে জেনারেল বেশী, সেটা শেখ হাসিনা জানে; কারণ, শেখ হাসিনা তাদের নেতাদের কেনাকাটা করেন মাঝে মাঝে!

মন্তব্য ১০৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুন ভাল লেগেছে। মুগ্ধতা রেখে গেলাম।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষ হেফাজতকে জয়ী হতে দেখলো, এখন নিজেদের অবস্হান বুঝতে পারবেন।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ওমেরা বলেছেন: আমি রাজনীতি বুঝি না কিন্ত আপনার লিখা গুলো পড়ি এতে অনেক কিছু জানতে যেমন পারি আবার আপনার চিন্তা ভাবনা গুলো ভাল ও লাগে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি যে রাজনীতি বুঝি তাও পুরোপুরি সঠিক নয়, হয়তো! আমি রাজনীর মুলনীতিগুলো বুঝার চেস্টা করছি, ও চলমান ঘটনা-প্রবাহকে এনালাইসিস করার চেস্টা করছি।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: মৃত্যুর পর উনারা সবাই হয়তো বেহেশতে যাবেন সময় মতো, সেটা ভালো; কিন্তু দেশ চালনা তাদের হাতে গেলে দেশ আফগানিস্তান কিংবা সোমালিয়ার মতো চলবে[/su
এইগুলো এক ধরনের ঊস্কানিমূলক কথা। আমাদের দেশে কিছু মানুষ হুজুর দারি টুপি দেখলে তাদের শুরশুরি লাগে? নিজেরা ঘুষ খেলে ক্ষতি নাই, হুজুর খেলে যত সমস্যা।

ওরা দক্ষতার সাথে কাজ করার কথা নয়; আবার, অনেক মৌলভী ঘুষ খাওয়া শিখবে। 
দেশে অনেক প্রতিস্টান আছে, যেখানে হুজুরেরা সুনামের চাকরি করে।



১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সবচেয়ে সুন্দর কথা বলেছেন, "নিজেরা ঘুষ খেলে ক্ষতি নাই, হুজুর খেলে যত সমস্যা। "

-এই ধরণের যুক্তি ও বিশ্বাসগুলো ধর্মীয় ধারণার মান কমায়ে দেয়; একজন সাধারণ মানুষ ঘুষ খেলেও, একজন মৌলভীর কিছুতেই ঘুষ খাওয়া উচিত হবে না।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

সত্যের ছায়া বলেছেন: হেফাযত উদ্ধার করতে গিয়ে আপনি ভিন দেশের পতাকা টেনে এনেছেন। যা পোষ্টের সাথে সাংঘর্ষিক। হেফাযত, হাসিনা, বাংলাদেশ, আর তুরস্কের পতাকা সব কিছু আলাদা প্যাটার্ন বহন করে। পোষ্টের বিষয় প্রাসঙ্গিক হলেও আপনার উদ্দেশ্য সন্দেহ জনক। এই জন্য মাইনাস বাটন চাপলাম। আর ছবির ব্যাপারে আপত্তি রেখে গেলাম।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কামাল পাশা বিশ্বাস করতেন যে, আধুনিক রাজনৈতিক জ্ঞানের অধিকারীরা দেশ পরিচালনা করা উচিত।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পোষ্টে সমালোচনার সাথে আলোচনা রেখেছেন সুন্দরভাবে।
সেজন্য মনে হয় আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগলো, বিশেষ করে শেষ স্টেপের সুদূরতা।

১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোস্টের মুল ধারণায় ভুল না থাকলেই বেঁচে গেলাম!

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:০০

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ভাই, তবে ২টা পয়েন্টে গোলমাল লাগল।
১। দেশ চালনা ওনাদের হাতে গেলে দেশ আফগানিস্তান বা সোমালিয়ার মত চলবে।
২। ওরা দক্ষতার সাথে কাজ করার কথা নয়, আবার অনেক মৌলবি ঘুষ খাওয়া শিখবে।
কারেকশনঃ
১। সবাই জানে আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থার মুল হোতা আমরিকা। দাড়ি টুপি ওয়ালা মোল্যারা নন।
২। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের চেয়ে কম আধুনিক হতে পারে, কিন্ত সেটা আগাগোড়াই কঠোর অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে চলে। কোরান হাদীসের ব্যুতপত্তিগত জ্ঞান নিয়ে যারা পড়ে থাকে তারা অন্তত আমাদের চেয়ে কম দূর্নীতিবাজ সেটা অনেক দাড়ি টুপি ওয়ালা সরকারী চাকুরীজীবি দেখে বোঝা যায়।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


১) হেফাজত যদি বাংলাদেশ চালায়, আমেরিকাও বাংলাদেশ চালনার সুযোগ নেবে

২) মাদ্রাসায় ভালো পড়ালেখা করলে পরকাল ভালো হওয়ার নিশ্চয়তা আছে; কিন্তু আধুনিক দেশ চালনা কঠিন হবে; দেশ চালনা থেকে ভালো পরকাল নিশ্চিত করাই মাদ্রাসার মুল লক্ষ্য হওয়ার দরকার।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার ""নিজেরা ঘুষ খেলে ক্ষতি নাই, হুজুর খেলে যত সমস্যা। "

একজন আধুনিক লোক- মেয়ে মোমের মূর্তির সাথে বুকে বুক লাগিয়ে ছবি তুললে দোষ, বলবেন যে চামড়া ছিড়া কলার সাথে ছবি

কিন্তু হুজুর ছবি তুললে দোষ নাই

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলিমুদ্দি দফাদার নিজ কমেন্টে হুজুরদের ব্যাপারে লজিক্যাল ভুল করেছেন।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হেফাজতিদের বিজয় খুব একটা হয়নি। একই মূর্তি এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং-এ গিয়েছে। আর মাস্টার্স ডিগ্রী থাকলেও কোন লাভ নেই। ব্যাংকে কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া চাকুরি হয় না। সরকারী / প্রাইভেটে মামা ছাড়া চাকুরি হয় না। এই কওমীরা প্রথম বাছাইয়ে বাদ পড়বে...

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসার ছেলেরাও অন্যদের সাথে বেকারত্ব যোগ দেবে; কিন্তু আইনগতভাবে মাস্টার ডিগ্রিপ্রাপ্ত। অনেক চেস্টার পর, কিছু মাদ্রাসার ছেলে চাকুরী পেলে, তারা চেইন সৃস্টি করতে সমর্থ হবে, তারা জানে যে, তাদের সামনে বাধা আছে।

মুর্তির ব্যাপারে তারা শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে নাড়া দিয়েছে, যা অন্যেরা পারেনি।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বামদের ব্যাপারে মওলানা ভাসানী সাহেবের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো-

নিজ বাড়িঘর আর গ্রাম পাকিদের হাতে পুড়ে যাওয়ায়, দেশ ছাড়তে বাধ্য হোন ভাসানী সাহেব। গিয়ে ঠাই নেন ভারতে। সেখানে নিজ দলের সেক্রেটারী যাদু মিঞা তাঁর সাথে দেখা করতে যান।

কিন্তু, তিনি দেখা না করে বললেন যে, যাদু আমাকে বেচতে এসেছে। সে আমাকে ফিরিয়ে নিতে চায়।

সত্যি সত্যিই যাদু মিঞা কয়েক দিন পর যাদুর খেলা দেখিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে গিয়ে পাকিদের সাথে হাত মেলান।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মওলানা ভাসানী ও যাদু মিয়া নিশ্চয় ১ম ও শেষ বাম নন; লেনিন, মাও, চে, ফিডেল সবাই বাম, এবং বড় বড় ইতিহাস রেখে গেছেন।

১০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪০

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: েখ হাসিনা হেফাজতের কাছে মাথা নত করেনি, তিনি মাথা নত করেছেন ধর্মের কাছে। তিনি জনগনকে বোঝাতে চেয়েছেন যে তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ।বক ধার্মিকের দেশে ধর্ম একটা লেবাস মাত্র যে লেবাসের আড়ালে হাজারটা অধার্মিক কুকাজ করা যায়।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা মাথা নোয়ায়েছেন, নাকি মাথা আরো উপরে উঠায়েছেন, সেটা আমি বলতে চাইনি; আমি বলতে চাইছি যে, হেফাজতের "ঐক্য" কাজ করেছে কিছুটা, ফল দিয়েছে; এটা একটা উদাহরণ

১১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: তাদের ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনা মাথা গুণতে বাধ্য হয়েছেন।সত্যিই কি তাই??
হেফাজত নিয়ে আমরা একটু বেশিই ভাবছি না,আমরা যেমনটা ভাবছি তারা কি সত্যিই এতটা শক্তিশালী???

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


গত ৯ বছরে, চাপ দিয়ে বা সমঝোতায় গিয়ে, শেখ হাসিনা থেকে কে কি পেয়েছে?

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

দিকভ্রান্ত এক পথিক বলেছেন: হেফাজত ইদানীং আসলে দেশের সকল মাদ্রাসার মুখপাত্র হয়ে গেছে। ফলে পুরো দেশের মাদ্রাসাগুলোর সিংহভাগই তারা নিয়ন্ত্রন করতে পারে। ধর্মভীরু পাবলিকে জামাতের বদলে হেফাজতকে বেশি পছন্দ করে। এতটা সাপোর্ট যেহেতু আছে, ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল হিসেবেই এরা ফিরে আসবে, যেহেতু জামাত-শিবিরের বর্তমানে অবষ্থা তথৈবচ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে, উনারা নামবেন; তবে, ৭৭ বছরে জামাত যে অবস্হানে আছে, উনারাও ততদুর যাবেন।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫০

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, হেফাজত দেশ চালালে আমেরিকাও দেশ চালানোর সুযোগ নেবে বিষয়টা এভাবে চিন্তা করে দেখি নি। ধন্যবাদ চোখ খুলে দেওয়ার জন্য।
দ্বিতীয় কথাটা বেশ জটিল মনে হল। কি বোঝাতে চাইলেন সেটা ক্লিয়ার বোঝা গেল না।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


২) ধর্মীয় জ্ঞান মৌলিক জ্ঞান, সময় ও সভ্যতার সাথে বদলায় না; এবং ধর্মীয়রা নিজেরাও চাহে না যে, তাদের পুস্তকের মৌলিক ধারনা বদলাক; কিন্তু মানুষের "এনালাইটিক মৌলিক ধারনা ক্রমাগতভাবে রিফাইন হচ্ছে সময় ও সভ্যতার সাথে"; ফলে, আগেরদিনের ধারণাগুলো প্রভাব হারিয়ে ফেলছে, মানুষ নিজেদের লেখা "নীতি" দেশ চালনায় ব্যবহার করছে।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১০

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: বুঝলাম, কিন্ত ধর্মীয় জ্ঞান যদি ইশ্বর প্রদত্ত জ্ঞান হয় তবে কি তা মানুষের এনালাইটিক ধারণা বা নিজের লেখা নীতি থেকে সুপিরিয়র নয়? সেটা দিয়ে দেশ চালানো কি ভাল না?

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


একই বই পড়ে কেহ ১০০ পায়, কেহ ফেল করে; ইশ্বর প্রদত্ত জ্ঞানের বই পড়ে ধর্মীয়রা হয়তো গড়ে যতটুকু পারছেন, সেটা যথেস্ট নয়; কারণ, ধর্মীয়রা বিশ্বের কোথায়ও দেশ চালনা করছে না আর।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

কানিজ রিনা বলেছেন: মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এই সুক্ষ বুদ্ধির উপর
আসা রাখি কওমী মাদ্রাসা গুল সরকারী
আওতায় আনার সুদুঢ় পরি কল্পনার চিন্তা
চেতনা। মাদ্রাসা থেকে পাস করা ছেলেরা
সব সময় অভাবী হয়। তারা বেশীর ভালো
কোথাও চাকরী করে সচ্ছলতা বা ভালবাবে
খেয়ে পড়ে জীবন ধারন করতে সক্ষমতা
হাড়ায়। মাদ্রাসা থেকে বেড় হওয়ার পর
যখন কোনও অবলম্বন না পায় আস্তে আস্তে
অভাবের তারনায়। আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠির
টাকার প্রলভন দেখিয়ে হাত করে নেয়।

এই ভাবেই আমাদের গরীব ছেলেরা অভাবের
তারনায় বিপদগামী হতে বাধ্য হচ্ছে।
তাই এদের সরকারী আওয়ায় এনে এমন
বিপদগামীর হাত থেকে রক্ষা করার দায়ীত্ব্য
একমাত্র সরকারের উপরেই বর্তায়।

বাংলাদেশে যত প্রাইমারী স্কুল বা হাই স্কুল
আছে। এখন কওমীমাদ্রাসার ছাত্ররা পাস
করে বেড় হলে একটি স্কুলে একজন করে
ইসলামী শিক্ষক নিয়োগ দিলে হয়ত ভবিষ্যতে
সমস্যা সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা।
সেই সাথে অফিস আদালত ব্যাংক হাসপাতাল
তো আছেই। আমি অনেক বেসরকারী অফিসেও দেখেছি অনেক মালিকরা একজন
করে মৌলানা চাকুরী করেন।

আর থেমিসের ব্যপারটা একটা প্রশ্নবিদ্ধ
গ্রীক মুর্তী। একটা মুর্তী ইদগাহর সামনে
থেকে সরিয়ে আর একটি জায়গায় বসান
হয়েছে। এটা হেফাজতের দাবী হলেও ৯০
ভাগ মুসলিমের দেশে এটা অমুলক কিছু
ঘটেছে বলে মনে করিনা।
সবকিছুতে সরকারের বিরোধীতা করা উচিৎ
না। হেফাজত যদি বলত মন্দিরের পুজনীয়
মুর্তী বাংলাদেশে রাখা যাবেনা তাহলে কথা
ছিল। দেখাযেত হেফাজটের কত ধানে কত
চাউল।

তবে সরকার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে
খাদক ভারতদের দিয়ে আমাদের মাথায় বেল
ভেঙে খাওয়ার ব্যাবস্থা করছেন। তারফল
ভবিষ্যতে আমরা সুন্দর বন হাড়িয়ে ফেলব।
ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৬ বছরে মাদ্রাসার ছেলেরা কিছুই পায়নি সরকার থেকে; সরকার ওদের এই দেশের বাগরিক হিসেবে চেনেনি; যারা মাদ্রাসায় যাবার সুযোগও পাচ্ছে না, তারা "টোকাই"; সরকারদের এদেরকেও চেনে না।

১৬| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই এঙ্গেল থেকে ভাবিনি, ভাল বলেছেন.........

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কমপক্ষে, বিঁএনপি;র কমিটি থেকে ভালো করেছে।

১৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

সেদিন রাতে হেফাজতের এক উর্ধতন আমীরের ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম এত লোক ওয়াজ মাহফিলে, নিশ্চই কোন কারন আছে। তাদের জনপ্রিয়তার উৎস কোথায় ।

পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে পৌছালাম- যে যৌন আবেদনমূলক ছায়াছবি মানুষ যে কারণে এনজয় করে, হেফাজতের বক্তৃতায় সেই উপাদান রয়েছে। তার একঘণ্টা বক্তৃতার মধ্যে অন্তত পনের মিনিট আমি যৌনতার কথা পেয়েছি। আর এসব ওয়াজ শোনার পর আমরা মনে করি পূণ্যের সঞ্চার হলো ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ ফেরেশতা নন, মানুষ মানুষকে বুঝে, বাজার বুঝে।

১৮| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে বেশীর ভাগ গরীব এতিম শিশুরাই
মাদ্রাসায় ভর্তী হয়। পথ শিশুদের জন্যও
যদি এমন সরকারী ব্যবস্থাপনা করা হত
হয়ত সরকার দেশের মানুষের কাছে আরও
গ্রহন যোগ্যতা পেত। ধন্যনাদ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৬ বছর এ দেশ চালাচ্ছেন মারাঠারা; দেশের মানুষের সম্পদ দখলই এদের কাজ।

১৯| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: আমি তো ভয়ে আছি দেশে না আবার কবে খেলাফত জারি হয়ে যায় ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


খলিফা মুয়াবিয়া খেলাফতকে কবর দিয়ে গেছেন।

২০| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: আহ রাজনীতি

১৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবকিছু কন্ট্রোল করছে রাজনীতি

২১| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৫৪

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, "একই বই পড়ে কেউ ১০০ পায়, কেউ শুন্য পায়" এখানে দোষ তো বইএর না, যে পড়ছে তার।

১৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


না বইয়ের দোষ নয়; তবে, বইতে যতটুকু আছে, অন্য বইতে তার থেকে বেশীও আছে, মানুষ সেইসব বইও পরছে।

২২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১২

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: এখানে কোয়ান্টিটি ফ্যাক্ট নয়, ফ্যাক্ট হচ্ছে কোয়ালিটি। মানুষের বই কোয়ান্টিটির দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে পারে, কিন্ত কোয়ালিটির বিচার করলে ইশ্বর প্রদত্ত জ্ঞানের সাথে কিছুর তুলনা হয় না। যতদিন সেই জ্ঞানের আলোকে রাষ্ট্র চালানো হয়েছে ততদিনই রাষ্ট্র সুষমভাবে চলেছে। পরবর্তীতে মানুষ যতই সেই জ্ঞান থেকে দূরে সরেছে ততই রাষ্ট্রে অন্যায় অরাজকতা বেড়েছে।

১৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


রেনেসাঁর পর, কোন দেশ ধর্মীয় নিয়মে পরিচালিত হয়নি; এখন কোন দেশ আর ধর্মীয় নিয়মে চালাতে পারবে না; মানুষের মৌলিক ধারণাসমুহ ধর্মীয় ধারনা থেকে অনেক বেশী প্রগ্রেসিভ।

২৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হেফাজতের জন্ম রহস্য গভীরভাবে বিশ্লেষন করলে অনেক বিষয় পরিস্কার হয়ে যাবে !!! হেফাজতকে খালি চোখে যা দেখছি তারা কি আসলে তাই!! এরা নীজেরা পয়দা হয় নাই ,তাদেরকে দীর্ঘ সময় নিয়ে বিশেষ একটি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পয়দা করা হয়েছে বলে ধারনা । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেশ্য সাধনে তারা কি ভাবে ব্যবহৃত হয়েছে ও এখনো হচ্ছে সে দিকে তাকালে কিছুটা বুঝা যেতে । এর সুফল কারা কারা বিভিন্ন সময়ে ঘরে তুলেছে তা একটু চোখ মেলে দেখলে সহজেই বুঝা যেতে পারে !!!

ধর্ম শিক্ষার বা্‌ইরে আধুনিক অন্যসব ডিসিপ্লিনে শিক্ষিত মানুষজনও কিন্ত দক্ষতার সাথে প্রশাসন চালাতে পারছেনা , পদে পদে ভুল ও ভ্রান্ত পথে পরিচালিত করছে দেশকে ; মুহিত , এমাজুদ্দীন , রামপাল প্রকল্প প্রনয়নকারী প্রকৌশলীগন এর কিছু উদাহরণ । তাই কিছু লোকের শিক্ষার ডিসিপ্লিনটাই বড় কথা নয় , বড় কথা হল নিয়ম শৃংখলা ও সুসাশন , গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক করণ। সকল ডিসিপ্লিনের শিক্ষার মধ্যে সুসাঞ্জস্যতা অানয়ন করা প্রয়োজন । ধর্ম যে বিজ্ঞানেরই অংশ কিংবা ধর্মই যে বড় বিজ্ঞান তা ধর্ম তত্ব কথা হতেই প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে সেসাথে সঠিক শিক্ষা পন্থা অবলম্বন করে সকলের মাঝে করতে হবে প্রচলন । হাতুরে ডাক্তারকে যেমন ভুল বাল চিকিৎসার কুফল গুলি শিখিয়ে দিলে সে হাতুরে ডাক্তারী কর্ম ছেড়ে দেয় , তেমনি শুধু কওমী কেন, দেশের সকল মাদ্রাসা শিক্ষার মধ্যে আধুনিক বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের বিষয়গুলিকে যথায়থভাবে অঙ্গীভুত করতে পরলে লম্বা মেয়াদে তা দেশের জন্য সুফলই বয়ে আনবে ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:

৭০৯ শতাব্দীতে আরবে মাদ্রাসা শিক্ষার শুরু হয়েছে; এবং মুসলিম বিশ্বের মাদ্রাসার সংখ্যা স্কুল কলেজের প্রায় সমান; এবং মাদ্রাসা সময়ের সাথে বদলাচ্ছে; আল আজাহার মাদ্রাসা থেকে ইউনিভার্সিটি হয়েছে।

ইসলামের ও রাজনীতির বিবর্তনের একটা ইট হচ্ছে হেফাজত; তারা তাদের ঐতিহাসিক ভুমিকা পালন করবে। তারা শেখ হাসিনার আমলে, নিজেদের সামান্য দাবী প্রতিস্ঠা করতে পেরেছে।

আপনার মন্তব্যটা আবার পড়ে, আরো উত্তর দেবো।

২৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: কলিমুদ্দি দফাদার @ ঘুষ তো ঘুষই সেটা হুজুর খাক বা সাধারন মানুষেরা খাক, ঘুসের চরিত্র কিন্তু বদলায় না। নাকি আপনি বলতে চাচ্ছেন হুজুররা ঘুষ খেলে সোওয়াব বেশি হয়।

আমার যতটুকু ধারনা তা হোল হেফাজত আর কিছুই না জামাতেরি আর এক রুপ, কারন সেই কুখ্যাত শাপলা চত্তর ধ্বংস লীলার কর্মযজ্ঞে হেফাজতকে জামাতি লোক জনরাই লিড দিচ্ছিল। (নিজের চোখে দেখা)

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



দফাদার কথার পিঠে কথা বলটে গিয়ে, ঘুষের লজিকচ্যুত হয়ে গেছে!

জামাত সকল ধর্মীয় দলকে নিজেদের পক্ষে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

২৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "রেনেসাঁর পর, কোন দেশ ধর্মীয় নিয়মে পরিচালিত হয়নি; এখন কোন দেশ আর ধর্মীয় নিয়মে চালাতে পারবে না; মানুষের মৌলিক ধারণাসমুহ ধর্মীয় ধারনা থেকে অনেক বেশী প্রগ্রেসিভ"

এটা এক দিকের ধারনা। এর বিপরীত ধারনা হল 'রেনেসাঁর পর থেকেই মানব সভ্যতার অধ:পতনের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই বিশ্বযুদ্ধে যত মানুষ হতাহত হয়েছে তা আগের হাজার বছরের হাজার হাজার যুদ্ধের মোট ক্ষতির চেয়েও অনেক বেশী। ধনী গরীবের ব্যাবধান ও পরিবেশ ধ্বংস যে পর্যায়ে গেছে তা পুরো মানব সভ্যতাকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। কাজেই মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার জন্যই ধর্মীয় চেতনায় ফিরে যাওয়া জরুরী।' - আপনার মন্তব্য আশা করছি।

১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধ্বংস, মংস, কোন কিছুই মানব সভ্যতাকে "ধারণার " দিক থেকে আর পেছনে নিতে পারবে না; আনবিক যুদ্ধে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা প্রতিদিনই বাড়ছে; তারপরও চাকা আর পেছেন ঘুরবে না; রেনেসাঁ'র পর মানুষ বিশাল ভাবে মৌলিক জ্ঞান অর্জন করেছে, যা পেছনে যাবার পথ বনদ্ধ করে দিয়েছে।

২৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

নতুন নকিব বলেছেন:



রানার ব্লগ,
নিজের চোখে আপনি কী দেখেছেন ভাই? আপনিতো কলা কোনটা আর কচু কোনটা তাও বোধ করি গুলিয়ে ফেলবেন। হেফাজত আর জামাত এক জিনিষ?

হয় আপনার এই কথা মিথ্যা, অথবা আপনার চোখে কোন সমস্যা! চোখের সমস্যা থাকলে আপাতত: ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে থাকুন। ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

আসুন, ভাই রোজা রমজানে মিথ্যাচার থেকে একটু দূরে থাকি। ভাল থাকুন।

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের মানুষকে বিএনপি-জামাত ও আওয়ামী লীগ ভাগ করে ফেলেছে, এতে জনতার শক্তি "শুন্য"তে নেমে এসেছে; এই বিভক্তর ফলে, বামদের সাথে আওয়ামীদের মিল আছে, বিএনপি'র সাথে জামাতের মিল আছে। হেফাজত অবশ্যই আওয়ামী লীগে ভোট দেয়ার কথা নয়, এবং আওয়ামী লীগ হেফাজতের ভোট গণনায় নেয়ার কথা নয়!

২৭| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭

blackant বলেছেন: আপনি তো বিশাল গিয়ানি রে ভাই! এই গিয়ান খোঁঁচাখুঁচিতে ব্যায় না করে ভাল কাজে ব্যায় করার তোওফিক দান করুন। আল্লাহ আমার ভাইদের এবং আমাকে সঠিক বুঝ দান করুন। আপনার অনুশারী করুন।

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জ্ঞানচর্চা মানুষকে গুহা থেকে বের করে এনেছে, আপনি কি গুহায় ফেরত নেয়ার ফেরেশতা?

২৮| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আনবিক যুদ্ধে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা প্রতিদিনই বাড়ছে; তারপরও চাকা আর পেছেন ঘুরবে না;"

কট্টর পন্থা, মৌলবাদ, গোঁয়ারতুমি, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস - এই বিশেষণগুলি আমরা কত সহজেই না ধর্মের সাথে জুড়ে দেই - অথচ আপনার এই মন্তব্যের মধ্যে এ'গুলি যতটা প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে তার দৃষ্টান্ত বিরল। আমরা পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলব কিন্তু কিছুতেই নিজেদের সংশোধন/সংযত করব না - এটাই কি আপনার আধুনিকতা??

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পৃথিবীর লিডার বাংলাদেশ ও মুসলমানেরা নয়; তারা অনুসারী মাত্র; পৃথিবী যেদিকে যাচ্ছে সবাইকে সেইদিকে যেতে হবে

২৯| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২১

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: রানার ব্লগ@ ভাই এখানে হুজুর ঘুষ খেলে পূন্যবান হয়ে যাবে তা বলা হয় নাই, কিছু মানুষ তাদের অপর্কম ঢাকার জন্য এইসব হুজুরদের সামনে নিয়ে এসে ধর্মের অবমাননা করে।আমাদের দেশে তো হেফাজত ইসলামের প্রতিনিধিত্ব ক রে না, দেশে আরো অনেক ভাল হুজুর আছে। একটি অপরাধ কখনো আরেক টি অপরাধ ঢাকাতে পারে না। যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে এত ডাক ডোল পিটানোর কি দরকার? আপনি সোজা বিচার করেন। এদেশে তো যুদ্ধের পর কখনো হুজুরা ক্ষমতায় আসে নাই, তবে আজ কেন দেশের এই অবস্থা? আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল গুলো তাদের সুবিধার জন্য সব সময় এদের ব্যবহার করে আসছে? এদেশে হুজুরেরা ক খনো ক্ষমতায় আসবে না, আর বাংলাদেশ ও আফগান হবে না।

আর এখনে তো একজন ব্লগার হুজুরদের বাশ দিতে গিয়ে ব্যাক্তি আক্রমণাত্মক ভাবে একটি মন্তব্য করে বসেছেন। আমার তো মনে হয় নাসির যখন তার বোন নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিয়েছিল এই ধরনের অসভ্য ব্লগার সেখামে অশালিন মন্তব্য করেছেন।

৩০| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: নতুন নকিব @ আমি কলা কচু দুটোকেই আলাদা করে চিনতে পারি, এমনকি আমার চোখে ওঁই দিন কোন সমস্যা ছিল না।
অকারনে মিথ্যা বলে নিজের জাহিরত্ব ফলানর মতো ইচ্ছা আমার নাই। নিজের চোখে যাহা অবলকন করিয়াছি তাহাই প্রকাশ করিয়াছি।

৩১| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: বিএনপি ও বাম নেতারা বাংগালী কথিত মুসলমানদের নেতৃত্ব দিতে পারে নাই বলে শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারে নাই, হেফাজত করেছে বলেই কাবু করতে পেরেছে এবং উনাকেও বাঙালী থেকে কথিত মুসলমান বানিয়েছে। এটাই হেফাজতের বিশাল সাফল্য। এ সাফল্যের কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। এ সাফল্যের কথা একমাত্র অস্বীকার করতে পারে যে একেবারে পাড়-আওয়ামীলীগ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আধুনিক রাস্ট্র হিসেবে চালনা না করে, ইহাকে অনেকটা কলোনীর মত চালাচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে শিখানোর মত বিদ্যা হেফাজটের নেই, তারা পেছনের দিকে যাচ্ছে; তবে, হেফাজত শেখ হাসিনাকে সাময়িকভাবে কিছুটা চাপের ভেতর ফেলেছে; ভোটের পর বুঝা যাবে, হেফাজতের সাফল্য।

৩২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অফটপিক
রাংগামাটিতে পাহাড় ধসে মানুষের মৃত্যু অতঃপর চট্রগ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে দেয়া-
আজকে আবার শুনলাম রাংগামাটিতে বয়ে নিয়ে যাওয়া বিএনপির ত্রানবাহী গাড়িতে আওয়ামী কর্মীদের হামলা।
দেশের নীরব দূর্যোগে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ
এসব নিয়ে আপনার আরো কয়েকদিন লেখা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

আসলে আমাকে সামনের দিন গুলোতে ছুটিতে যেতে হবে।

বিএনপি'র শাসন আমলে দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাও রিলিফ পায়নি, বিদেশী রিলিফের টাকায় ফালুসহ অনেক ব্যবসায়ী জন্ম নিয়েছে; দারিদ্র বিমোচনের টাকায় "বিএনপি পল্লী" হয়েছে, ইলিয়াস আলীদের বাড়ী উঠেছে; এখন ভোটের আগে কি রিলিফ তারা দিচ্ছে?

৩৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

কানিজ রিনা বলেছেন: কলিমুদ্দিন দফাদার,কাঙ্গাল মুরশীদ,ডাক্তার
এমএ আলির সাথে শ্রদ্ধান্তে একমত জানাচ্ছি।
ডাক্তার এমএ আলি বলেছেন ধর্মযে বিজ্ঞানের
অংশ ধর্মই যে বড় বিজ্ঞান ধর্ম তত্ব কথা
হতেই প্রজ্ঞা ও মেধা খাটিয়ে সঠিক শিক্ষাপন্থা
বা পদ্ধতি অবলম্বন করে প্রচলন করতে
পারলেই সুফল পাওয়া যাবে।
আসলে এটাই সত্য কোরআনে যে জ্ঞান
বিজ্ঞানের মহা পদ্ধতি রয়েছে তা আমরা
মুসলমানরা গবেষনায় আজও অনেক অনেক
পিছিয়ে। বিজ্ঞানী মার্কনী প্রথম শব্দ রেডিও
আবিস্কার করেছিলেন কোরআনের একটি
উপমা দিয়ে তা হোল আল্লাহ্ পৃথিবীর সর্ব
স্তরে সমান ভাবে বিস্তির্ন।
আজ আমরা দেখি সৌদী আরব মোহাঃ সাঃ
এর দেশ তেলের খনি সোনার খনি বিক্রি
করেই আরব বিশ্ব বড়লোক কোরআনের
বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজন মনে করেনাই। অথচ
ইহুদী খৃষ্টান তাদের বিজ্ঞান গবেষনা কেন্দ্রে
কোরআনের জ্ঞান নিয়ে পর্যালচনা কর হয়।
আমরা সৌদী অনুসরন করেই এতটা পিছিয়ে
পরেছি। তাই আমাদের মুসলমান রাস্ট্রগুল
যদি কোরআনের বিজ্ঞান গবেষনাগার করা
যেত অনেক অনেক সুফল বয়ে আনত।
ধন্যনাদ।

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোরান শরীফ মানুষকে আল্লাহ ও রসুলে বিশ্বাস রেখে, ধর্মীয় মতে সৎ থেকে, এবাদত করে ভালো থাকার কথা বলা হয়েছে; পুর্বের অনেক উদাহরণ টেনে মানুষকে সৎ থাকার, ও আল্লাহের কথা মনে রাখার কথা বলা হয়েছে।

কোরানের বাণী ও রসুলের কার্যক্রমে ততকালীন বেদুইন আরব ও বিভক্ত তুর্কীরা সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়ে সাম্রাজ্যের সৃস্টি করেছিল; সেই অনুপ্রেরণার শেষ সাম্রাজ্য ছিল অটোম্যানদের সাম্রাজ্য।

এখন সেই ধরণের রাজতন্ত্র আর হবে না

এখন ভাংগার সময়; কোরান ও ইসলাম এখন বিভক্ত হয়ে গেছে।

৩৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আপনার মত হেফাজত ঘেঁষা মানুষরাই লাভবান হয়েছে।

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


হেজাজত ও হেফাজত ঘেঁষা মানুষেরা মানসিকভাবে জয়ী হয়েছে; লাভবান হয়েছে কিনা ভোটের পরে বুঝা যাবে। লাভবান হয়তো কেহ সহজে হবে না; লাভবান হয়ে আছে বসুন্ধরা, আলম ব্রাদার্স, টেলনর, লুকায়িত হাজার হাজার হলমার্ক, ব্যুরোক্রেট, রাজনৈতিক ক্যডার ও "উন্নয়নের মহাসড়কের ড্রাইবারেরা"।

৩৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

স্বতু সাঁই বলেছেন: হাসিনা সুষ্ঠ নির্বাচন দিলে আওমীলীগ জিতবে না এটা নিশ্চিত করে বলা যেতে পারে। এখন যদি হাসিনা জোর পূর্বকভাবে ১৫র নির্বাচনের প্রহসন করে তাহলে ক্ষমতায় যেতে পারবে। ১৫র নির্বাচন যদি আবারও করতে হয়, তাহলে হেফাজতের সাথে নাটক করার কোন যৌক্তিকতা ছিল না। হাসিনা দেশকে আধুনিকতা নয় দুর্নীতির আখঢ়া বানিয়েছে দেশটাকে। পেশাগত এমন কোন স্তর বকি নেই যেখানে দুর্নীতির সুযোগ করে দেয় নি।

১৮ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭৫ সালের হত্যাকান্ড, ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড আক্রমণের কারণে শেখ হাসিনা বিএনপি'কে ক্ষমতায় যেতে দেবে না।

৩৬| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: বিএনপি রোধের দাবী আমাদেরই ছিলো, কারণ বিএনপি রোধ ছাড়া জামাতকে রোধ করা সম্ভব ছিলো না। কিন্তু তার মানে এই নয় গোটা প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক একটি দুঃশাসনের রাজত্ব বানিয়ে ফেলবে। যার ফলশ্রুতিতে এখন নিজের হাতের আঙ্গুলগুলিও তার এই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। ফলে হেফাজতের মতো একটি অরাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে আপোষ করতে হয় ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের ক্ষমতাসীন সরকারকে। এর চাইতে লজ্জার আর কি হতে পারে?

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাদের সাথে শেখ হাসিনার কার্যক্রম কিছুটা মিল ছিল; আপনারা চেয়েছেন বিএনপি'কে থামাতে, কারণ উহার সাথে জামাত আছে; এই অংশটুকু শেখ হাসিনারও আছে। এ ছাড়া, শেখ হাসিনার নিজস্ব কিছু কারণ আছে, উনার বাবার করবের উপর যেই পার্টি গড়ে উঠেছিল, ও যেই পার্টির লোকেরা উনার উপর গ্রেনেড মেরেছিল, তাদের থামানো।

এই ৩ কারণে বিএনপিকে উনি খাঁচায় ঢুকাতে গিয়ে, উনার পদক্ষেপগুলোর সাইড এপেক্টে জাতি সব হারাতে বসছে, বিএনপি থেকে জাতি বেশী মুল্য দিচ্ছে!

৩৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:৫২

স্বতু সাঁই বলেছেন: উনি সবচেয়ে ভুল করে ফেলেছেন গণজাগরণ মঞ্চকে দূরে ঠেলে। উনিও যে কান কথা শুনেন, এটাই তাঁর মস্ত ভুল। ছাত্রলীগের কান কথায় এবং ওদের অপকর্মের ধামাচাপা দিতে গিয়ে, ছাত্রলীগকে প্রাধান্য দিয়ে ফেলে ছিলেন। ফলে অকর্মার ঢেকি ছাত্রলীগ তাঁর কাল হয়ে পড়েছিলো। ক্ষমতা চালাতে কিছুটা ডিক্টেটর হতে হয়, তাঁর এই হওয়া পর্যন্ত ঠিক ছিলো। কিন্তু সরকার ও দলের ব্যবস্থাপনায় তিনি অত্যান্ত দূর্বল ছিলেন। এখানেই তাঁর অদুরদর্শিতার পরিচয় পাওয়া যায়। সমস্যা আমাদের একটাই, আমরা দূর ভবিষ্যতকে দেখতে পারি না, তাই নিকট ভবিষ্যতের পথ আঁকতে পারি না।

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির স্বার্থ, স্বপ্ন, অধিকারের কাছে গণজাগরণ মঞ্চ ইত্যাদি ছিল অপ্রয়োজনীয় ইডিোটিক ঝামেলা।
ছাত্রলীগ ছিল শেখ সাহেবের মৃত্যুর কারণগুলোর ১টি অন্যতম কারণ।

শেখ হাসিনা কারো কান কথা, মান কথা শুনেন না; উনি যতটুকু জানেন সেটাই করেন। আধুনিক বিশ্বে বাংলাদেশ চালানোর মতো কোন আইডিয়া উনার নেই। উনি চালাচ্ছেন জমিদারীর মতো করে।

৩৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

স্বতু সাঁই বলেছেন: হৃদয়ের গহীনের ডাক হঠাৎ মাঝে মধ্যে শোনা যায়। এ ডাক আসতে কখনও কখনও এক বা একাধিক যুগ লেগে যায়, আবার কখনও শতাব্দীও পার হয়ে যায়। গণজাগরণ মঞ্চ ছিলো ঠিক তেমনি এক ! কিন্তু পরিণতি হয়েছিলো, ষড়যন্ত্র কাছে অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের পরাজয়। ঠিক যেন স্পার্টাকাসের দাস বিদ্রোহের মতো।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ মনে ক্ষোভ দেখাতে এসেছিল গণজাগরণ মঞ্চে; পেছনের অরগেনাইজাররা ছিল শিশু কিশোর।

৩৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

স্বতু সাঁই বলেছেন: ফলেই আজ গণজাগরণ মঞ্চ বিলীন। এখন অপেক্ষা আর একটি ক্ষোভের।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্ষোভ ইত্যাদি প্রতিবাদের সৃস্টি করে, এমন কি ক্ষমতার বদলও ঘটাতে সক্ষম; কিন্তু রাজনীতিহীন ক্ষোভ সমস্যার সমাধান করবে না।

৪০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সৈন্য থেকে জেনারেল বেশী - ঘরে ঘরে কমরেড

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোস্যালিজম কঠিন সাবজেক্ট, বুঝতে হলে ভাবটে হয়

৪১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এই মুহুর্তে দরকার
চাঁদগাজী ভাই এর ট্রাক্টর
- কি ভাই বলেন স্যোলিজম কতোটা বুঝি ?

***ভাই আপনি যেই ক্লাসে পড়েছেন আশে পাশে তাকালে এই দুঃখি ভাই কে ও দেখতে পারতেন
- কষ্টে আছি “আইজ উদ্দিন”

১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ডা: আইজুদ্দিন?

৪২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ভাই আইজ উদ্দিন হওয়ার মতো বড় ছাতী নাই আমার নাই, আমি সামান্য মানুষ মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে হিমু হয়ে যাই, আইজ উদ্দিন হয়ে যাই এই আর কি ।

বি: দ্র: বানান ভুল হয়েছে: সঠিক হবে সোস্যালিজম

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন অসুবিধা নেই; "আমার ব্লগে"র ডা: আইজুদ্দিন কোথায় আছেন কে জানে!

৪৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "কিন্তু দেশ চালনা তাদের হাতে গেলে দেশ আফগানিস্তান কিংবা সোমালিয়ার মতো চলবে; যাক, দেশ উনাদের চালাতে হবে না হবে না কোনদিন, সেটাই সুখবর। "

দেশ উনারা কখনো চালাবেন না ! দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে অধিকাংশ মূর্খ, এমন কি জেনেরাল শিক্ষিতরাও, এমন জাতিকে ইসলামী শাসনে আনার চেয়ে দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষিত করাটাই জরুরি। ওলামায়ে হক তাহাই করিতেছেন !
হেফাজত কারা , কেন , কিভাবে গঠন করিয়াছিল, কাহারা ইহাকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি বানাইতে চাহিয়াছিল, তাহাদের সামনে রাখিয়া, বিরোধিতা করিয়া ধ্বংসযজ্ঞ চালাইয়াছিলো ইহা না জানিয়া হেফাজত ও জামাত এক , হেফাজত বাহির থেকে কেহ গঠন করিয়াছে এধনের আবালীয় মন্তব্য পুরাই মূর্খতা।

হেফাজত ও জামাতের আদর্শিক দ্বন্দ্ব আছে ! এমনকি বামাতি পাঠারাও রাজনীতির কারণে জামাতিতের পাছায় চুমা খাইতে দ্বিধা করে নাই। হেফাজত কখনোই তাহা করিবে না, করে নাই ! জামাতিরা ক্ষমতায় গিয়া কওমি সম্প্রদায়ের বরং ক্ষতিই করিয়াছে। তাহারা তেল আর জল। কখনো এক হইবে না ! বি এন পি ও জামাত আগুনে আলু পোড়াইতে গিয়াছিল। তাহাদের কারণেই এই অরাজকতা সরকারি দল ও জামাত- বি এন পি করিতে পারিয়াছিল !

০১ লা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন ইসলামিক বিশ্বে সর্বকালের মাঝে সবচেয়ে বেশী শিক্ষিত ; এতে ইসলামের যে অবস্হা, তাতে মনে হচ্ছে, ইসলাম আর সামনে এগুতে পারবে না।

৪৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জেনেরাল শিক্ষায় শিক্ষিত, ধর্মীয় শিক্ষায় নহে। যদি শতকরা বের করা হয়, তাহা হইলে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ৫ % মুসলমান হইবে না। আমি , আপনি সহ আমাদের শিক্ষিত ব্লগাররা ইহার প্রকৃষ্ট উদাহরণ !

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মীয় শিক্ষিতরাও নিশ্চয় অশিক্ষিত ধার্মিক মানুষ থেকে আলাদা।

৪৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: অবশ্যই ! তবে , কম বেশি ধর্মীয় এলেম সবার কাছে থাকিলেও , এলেমের নূর এবং আমল সবার কাছে নাও থাকিতে পারে ! তবে তাহারা আমাদের মতন নিশ্চেষ্ট নহেন ! মউত পর্যন্ত চেষ্টা করেন ! ওলামায়ে হকই এই উম্মতের নেতা , অভিভাবক, নবীদের ওয়ারিশ, পথ প্রদর্শক, পাইওনিয়ার ! তাহাদের অবমূল্যায়ন আমাদের দুরাবস্থার অন্যতম কারণ !

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মীয়রা তাদের শিক্ষা ব্যবস্হার কারণে আধুনিক "নলেজ" থেকে পেছনে পড়ে গেছেন; ফলে, তারা সমাজকে হয়তো আর লীড দিতে পারবেন না। একমাত্র উপায় হলো আধুনিক "নলেজে" এগিয়ে আসা।

৪৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: তাদের লিড দেওয়ার প্রয়োজন আছে। নাহলে জাতি বিপদ চিনিবে না , ফেতনা চিনিবে না ! ইসলামী শাসনকালে অধিকাংশ শাসক ইসলামী শিক্ষাই গ্রহণ করিয়াছিলেন ! ব্যাতিক্রম অবশই আছে , তাহাদের দোষত্রুটিও ছিল। যদি নেতৃত্বে না থাকে , তাহলে অবশই তাহাদের পরামর্শ নিতে হবে এবং যথাসম্ভব পরামর্শ অনুযায়ী চলিতে হইবে ! তবেই কল্যাণ হইবে। (পড়িতে পারেন 'আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। অনুবাদ বাহির হইয়াছে ';)

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমস্যা হলো, মানুষকে বলে কয়ে লীডারের পেছনে নেয়া যায় না, ডাক দিয়ে কেহ লীডার হয় না; লীডারসীপ আসে কমপ্লেক্স গুণ নিয়ে, মানুষ লীডারকে নিজের থেকে অনুসরণ করে; এখন আধুনিক নলেজ না থাকলে কেহই লীডারশীপে যেতে পারবে না, মনে হয়।

৪৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "সমস্যা হলো, মানুষকে বলে কয়ে লীডারের পেছনে নেয়া যায় না, ডাক দিয়ে কেহ লীডার হয় না; লীডারসীপ আসে কমপ্লেক্স গুণ নিয়ে, মানুষ লীডারকে নিজের থেকে অনুসরণ করে; এখন আধুনিক নলেজ না থাকলে কেহই লীডারশীপে যেতে পারবে না, মনে হয়।"

আমার তাহা মনে হয় না। ব্যাক্তিগত ভাবে অনেককে জানি, তাহাদের নেতৃত্বের তুলনা হয় না ! আপনি আশ্চর্য হইয়া যাইবে না, তাহারা দুনিয়া বিষয়ে কি পরিমান বিজ্ঞ ! কিন্তু , পশ্চিমা বিশ্ব তাহাদের মানিয়া নিবে না ! তাহাদের নেতৃত্বের যোগ্যতার কিছু উদাহরণ পাইবেন , 'দেওবন্দের ইতিহাস -ইসলামী ফাউন্ডেশন ' , 'চেরাগে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লাম)- প্রকাশনী জানা নাই ' 'মাল্টার বন্দি-প্রকাশনী জানা নাই )

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ইসলামিক শিক্ষার ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না; তবে, জানি যে, সেখানে আধুনিক ফিলোসফি, ফাইন্যান্স, অর্থনীতি, উচ্চ লেভেলের অংক, সমাজ বিদ্যা, জেনারেল সায়েন্স, পলিটিক্যাল ইকোনমি পড়ানো হয় না; এগুলো ব্যতিত কোন পড়ালেখা আজকাল সম্পুর্ণ হওয়ার কথা নয়।

৪৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৬

ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: চাঁদগাজী কি কামাল পাশার আদর্শের মানুষ? তাহলে ভূল পথে আছেন। আর টার্জান ভাই, জঙ্গলের ফল ফলাদি খেয়ে আর বান্দরের সাথে থেকে ব্রেনের যে হালত তাতে এইসব বিষয় বুদ্ধিমানদের জন্য ছেড়ে দিলে জাতি বড় ধরণের বিপদ থেকে বাঁচবে।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মনে করি, অটোম্যানদের পরাজয়ের সময় কামাল পাশা নিজের মানুষদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ রক্ষা করেছেন, না হয় তুরস্ক ভেংগে ছোট ছোট উপনিবেশ হতো।

৪৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২৩

ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: মোবাইল থেকে কমেন্ট কমেন্ট করতে গিয়ে ভূল দেখে উলটো কাজ হয়ে গেছে। টারজান ভাইয়ের লেখাই ঠিক আছে। চাঁদগাজী ভাই ভূল লিখেছেন। আপনার মাদ্রাসার পাঠ্যক্রম সম্মন্ধে আরও জেনে তারপর লেখালেখি করা উচিৎ।

কওমি মাদরাসার পাঠ্যতালিকার সংক্ষিপ্ত ধারণা দেয়া হলো। যাতে শিশু শ্রেণি থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত বিষয়ভিত্তিক তালিকা দেখানো হয়েছে।

পাঠ্যতালিকা
শিশু শ্রেণি
১। দ্বীনিয়াত ও সংস্কৃতি ২। আরবি অক্ষর পরিচয় ৩। বাংলা ৪। গণিত ৫। ইংরেজি।

প্রথম শ্রেণী (প্রাথমিক ১)
১। দ্বীনিয়াত ২। ইসলামি তাহযিব। ৩। বাংলা ৪। গণিত ৫। আরবি ৬। ইংরেজি।

দ্বিতীয় শ্রেণি (প্রাথমিক ২)
১। দ্বীনিয়াত ও তাজবিদ ২। ইসলামি ফিকহ ও তাহযিব। ৩। বাংলা ৪। গণিত ৫। ভূগোল ও সমাজ ৬। উর্দু ৭। আরবি ৮। ইংরেজি।

তৃতীয় শ্রেণি (প্রাথমিক ৩)
১। দ্বীনিয়াত ও তাজবিদ ২। ইসলামি ফিকহ ও তাহযীব ৩। বাংলা ও ব্যাকরণ ৪। গণিত ৫। ইতিহাস ৬। ভূগোল ও সমাজ ৭। আরবি ৮। উর্দু ৯। ইংরেজি ও গ্রামার।

চতুর্থ শ্রেণি (প্রাথমিক ৪)
১। দ্বীনিয়াত ও তাজবিদ ২। ফিকহ ও তাহযিব ৩। বাংলা ও ব্যাকরণ ৪। গণিত ৫। ইতিহাস, ভূগোল ও সমাজ ৬। আরবি ৭। উর্দু ও কায়েদা ৮। ফার্সি ৯। ইংরেজি ও গ্রামার।

পঞ্চম শ্রেণি (প্রাথমিক ৫)
১। দ্বীনিয়াত ও তাজবিদ ২। ফিকহ ও তাহযিব ৩। বাংলা ও ব্যাকরণ ৪। গণিত ৫। ইতিহাস, ভূগোল ও সমাজ। ৬। আরবি ৭। উর্দু ও কাওয়ায়েদ ৮। ফার্সি ও কাওয়ায়েদ ৯। ইংরেজি ও গ্রামার।

ষষ্ঠ শ্রেণি (নিম্ন মাধ্যমিক ১)
১। আরবি ভাষা ও রচনা। ২। আরবি ব্যাকরণ ৩। ফিকহ ৪। বাংলা ও ব্যাকরণ ৫। সমাজ, ইতিহাস ও ভূগোল। ৬। গণিত/তাজবিদ, মশক ও মুখস্থ ৭। ফার্সি ও কাওয়ায়েদ ৮। উর্দু সাহিত্য ও ব্যাকরণ ৯। ইংরেজি ও গ্রামার ১০। বিজ্ঞান।

সপ্তম শ্রেণি (নিম্ন মাধ্যমিক ২)
১। আরবি ভাষা ও রচনা ২। আরবি ব্যাকরণ (নাহব) ৩। আরবি ব্যাকরণ (সরফ) ৪। ফিকহ ৫। বাংলা ও ব্যাকরণ ৬। ইতিহাস ও ভূগোল ৭। ফার্সি সাহিত্য ও ব্যাকরণ ৮। তাজবিদ মশক ও মুখস্থ ৯। ইংরেজি ও গ্রামার ১০। গণিত ১১। বিজ্ঞান।

অষ্টম শ্রেণি (নিম্ন মাধ্যমিক ৩)
১। আরবি ভাষা ও রচনা ২। আরবি ব্যাকরণ (নাহব) ৩। আরবি ব্যাকরণ (সরফ) ৪। ফিকহ ৫। বাংলা ও ব্যাকরণ ৬। ইতিহাস ও ভূগোল ৭। ফার্সি সাহিত্য ও ব্যাকরণ ৮। তাজবিদ মশক ও মুখস্থ ৯। ইংরেজি ও গ্রামার ১০। গণিত ১১। বিজ্ঞান।

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ১)
১। আরবি সাহিত্য ও রচনা ২। নাহব (ব্যাকরণ) ৩। ফিকহ (ইসলামি আইন শাস্ত্র) ৪। উসূলুল ফিকহ (ইসলামি আইনের নীতি শাস্ত্র) ৫। ইতিহাস ৬। আখলাক (নৈতিক চরিত্র) ৭। মানতিক (তর্ক শাস্ত্র) ৮। বাংলা সাহিত্য ৯। বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা। ১০। গণিত ও জ্যামিতি ১১। ইংরেজি ও গ্রামার।

দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২)
১। আরবি সাহিত্য ও ইনশা ২। নাহব (ব্যাকরণ) ৩। ফিকহ (ইসলামি আইন শাস্ত্র) ৪। উসূলুল ফিকহ (ইসলামি আইন শাস্ত্রের নীতি শাস্ত্র) ৫। তাফসিরুল কোরআন ৬। ইতিহাস ৭। বালাগাত (ভাষার অলংকার শাস্ত্র) ৮। মানতিক (তর্ক শাস্ত্র) ৯। ইতিহাস।

একাদশ শ্রেণি (উচ্চ মাধ্যমিক ১)
১। আরবি সাহিত্য ২। ইনশা তথা রচনা ৩। বালাগাত (অলংকার শাস্ত্র) ৪। ফিকহ (আইন শাস্ত্র) ৫। উসূলুল ফিকহ (ইসলামি আইনের নীতি শাস্ত্র) ৬। তাফসির ৭। ইতিহাস ৮। ইলমুল ফারাইজ (উত্তরাধিকার জ্ঞানের হিসাব-নিকাশ) ৯। মানতিক (তর্ক শাস্ত্র)।

দ্বাদশ বর্ষ (উচ্চ মাধ্যমিক ২)
১। আরবি সাহিত্য (প্রাচীন ও আধুনিক) ২। ইনশা (রচনা) ৩। আল আরূয (আরবি কবিতা শাস্ত্র) ৪। বালাগাত (অলংকার শাস্ত্র) ৫। তাফসিরুল কোরআন ৬। ফিকহ (আইন শাস্ত্র) ৭। উসূলুল ফিকহ (ইসলামি আইনের নীতি শাস্ত্র) ৮। মানতিক (তর্ক শাস্ত্র)।

ত্রয়োদশ শ্রেণি (স্নাতক ১)
১। তাফসীর ২। ফিকহ ৩। উসূলুল ফিকহ ৪। মানতিক (তর্ক শাস্ত্র) ৫। উসূলুত তাফসির ৬। আরবি সাহিত্য ৭। ইসলামি অর্থনীতি ৮। ইলমে হিকমাত (দর্শন শাস্ত্র) ৯। ইলমুল কালাম (আকিদাবিষয়ক শাস্ত্রজ্ঞান)।

চতুর্দশ শ্রেণি (স্নতক ২)
১। হাদিস ২। হাদিস ৩। তাফসির ৪। তাফসির ৫। ফিকহ ৬। ফিকহ (ফিকহুল মু’আমালাত) ৭। উসূলুততাফসির (তাফসিরুল কোরআনের নীতি শাস্ত্র) ৮। উলূমুল হাদিস (হাদিসে রাসূল সা.-এর নীতি শাস্ত্র) ৯। ইলমুল কালাম (আকিদা) ১০। ইসলামি অর্থনীতি।

পঞ্চদশ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর)
এই বর্ষে শুধু হাদীস পড়ানো হয়। সিহাহে সিত্তা তথা হাদিসের ছয় সহিহ কিতাব এর সাথে তাহাবি শরিফ, মুআত্তা মালেক ও মুআত্তা মুহাম্মদ। এসব নিয়ে ১০ বিষয়। এর পাশাপাশি তাজবিদও এক বিষয়। উল্লিখিত হাদিসের কিতাবগুলো পরিপূর্ণই এই পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত।

এই পাঠ্যক্রম সম্পন্ন করার পর অনেকে আরো উচ্চশিক্ষার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে। তাদের জন্য রয়েছে বিভাগভিত্তিক উচ্চাশিক্ষার ব্যবস্থা। যেমন-

ইসলামি আইন শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য ইফতা বিভাগ (তাখাসসুস ফিল ফিকহিল ইসলামী)।

হাদিস ও হাদিসের নীতি শাস্ত্রের জন্য হাদিস বিভাগ (তাখাসসুস ফি উলূমিল হাদিস)।

তাফসির ও তাফসিরের নীতি শাস্ত্রের জন্য তাফসির বিভাগ (তাখাসসুস ফি উলূমিল কুরআন)।

তাজবিদ ও তাজবিদের নীতি শাস্ত্রের জন্য তাজবিদ বিভাগ (তাখাসসুস ফী তাজবীদিল কুরআন)।

ইসলামি অর্থনীতির জন্য ইকতিসাদ বিভাগ (তাখাসসুস ফি ফিকহিল মু’আমালাত ওয়াল ইকতিসাদিল ইসলামি)।

আরবি সাহিত্যের জন্য কিসমুল আদব (তাখাসসুস ফি আদবিল আরবি)।

তাখাস্সুস ফিদ দাওয়াহ ওয়াল ইরশাদ

বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের জন্য বাংলা সাহিত্য ও ইসলামী গবেষণা বিভাগ। অনেক জায়গায় আলাদা সাংবাদিকতা বিভাগও রয়েছে।

এভাবে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। আধুনিক শিক্ষার জন্য বহু মাদরাসায় এখন কম্পিউটার বিভাগ চালু রয়েছে।

কিছু কিছু মাদরাসায় কারিগরি প্রশিক্ষণ বিভাগও রয়েছে। প্রকাশনা বিভাগও আছে অনেক মাদরাসায়। একসময় বিভিন্ন মাদরাসায় হস্তশিল্প বিভাগ নামে স্বতন্ত্র বিভাগ ছিল; কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে ও যুগ চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তা বন্ধ হয়ে গেছে।

যারা কওমি মাদরাসা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণা করছেন, তাদের কওমি মাদরাসা সম্পর্কে আরো স্টাডি করা উচিত। খামোখা প্রশ্ন তুলে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করাতে কোনো লাভ নেই। ইসলামি শিক্ষায় পারদর্শী ও প্রাজ্ঞ হওয়ার জন্য কওমি মাদরাসার এই পাঠ্যতালিকা থেকে উন্নত পাঠ্যতালিকা কোথাও নেই।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার কারিকুলামটা দেয়ার জন্য; প্রায় ক্লাশে গণিত দেখে ভালো লেগেছে। আশাকরি, কওমী গ্রাজুয়েটরা আধুনিক বিশ্বের সমমানের শিক্ষা পাচ্ছেন!

৫০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫০

ডেণ্টিস্ট সাইফ বলেছেন: কামাল পাশা সম্বন্ধে জানতেঃ
http://www.somewhereinblog.net/blog/dentist_saif/30201049

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার দেয়া লিংক দেখবো; আপনার লেখায়, মনে হয় কমেন্ট করেছি!

কামাল যখন (১ম বিশ্বযুদ্ধে) অটোম্যান সাম্রাজ্য রক্ষার জন্য যুদ্ধ করছিলেন, তখন তিনি বুঝেছিলেন যে, অটোম্যানরা পরাজিত হয়ে যাচ্ছে; তখন থেকে তিনি পথ খুঁজছিলেন তুরস্ককে কি করে তুর্কীদের জন্য কমপক্ষে মাতৃভুমি হিসেবে রক্ষা করা যায়; অন্যেরা পরাজয় অবধারিত জেনে ভয়ের কাছে সারেন্ডার করেছিল।

৫১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কামালের ওই একটাই গুন্ ছিল , বাকি সব বেগুন !
আমার ধারণা, ব্রিটিশ এতবড়ো সাম্রাজ্য দখল করিলেও হজম করিতে পারিত না। খেলাফত ধ্বংসের অভিযোগে সারা দুনিয়ায় ব্যাপক নিরস্ত্র , সশস্ত্র আন্দোলন ছড়াইয়া পরিতো, যাহার উদাহরণ আমাদের উপমহাদেশে দেখা গিয়াছে। ব্রিটিশ, বরং কামালরে তুর্কি ভূখণ্ড দান করিয়া বা কামালের দখলকৃত ভূখণ্ড মানিয়া লইয়া মুসলিম জাতিরে গরু মারিয়া জুতো দান করিয়াছে এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের কার্যকর বিদ্রোহের আশঙ্কাও শেষ করিয়াছে ! খেলাফত থাকাকালীন মুসলিম অঞ্চল গুলোতে মজলুমদের সাহায্য করা খেলাফতের দায়িত্ব ছিল। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাহাদের ভূমিকা দেখা যায়। একারণে গান্ধীজি খেলাফত আন্দোলন সমর্থন করিয়াছিলেন। কামালকে অনুরোধ করা হইয়াছিল নিজেকেই খলিফা হিসেবে ঘোষণা করুন। অন্তত খেলাফত প্রাতিষ্ঠানিক হিসেবে থাকুক। তিনি তাহাও প্রত্যাখ্যান করিয়া মুসলমানদের আশার বুকে শেষ পেরেকটা মারেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম বিশ্বযুদ্ধ বৃটিশ পুরো তুর্কী এলাাকা দখল করলে তুরস্কের এশিয়ান এলাকা ধরে রাখা মুসকিল হতো; ২য় বিশ্বযুদ্ধ তারা হয়তো হিটলারকে সাপোর্ট করতো; কিন্তু দেশ পেতে হয়তো ১৯৬০/১৯৭০ সাল অবধি সময় লাগতো; কিন্তু দেশ বলতে হতো, তা হতো বসনিয়া, আর্মেনিয়া, বা আজেরবাইজান, উজবেকিস্তানের মতো কিছু দেশের সমষ্টি।

৫২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "আমি ইসলামিক শিক্ষার ব্যাপারে তেমন কিছু জানি না; তবে, জানি যে, সেখানে আধুনিক ফিলোসফি, ফাইন্যান্স, অর্থনীতি, উচ্চ লেভেলের অংক, সমাজ বিদ্যা, জেনারেল সায়েন্স, পলিটিক্যাল ইকোনমি পড়ানো হয় না; এগুলো ব্যতিত কোন পড়ালেখা আজকাল সম্পুর্ণ হওয়ার কথা নয়।"

সবাইকে সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পন্ডিত হইতে হইবে এমনতো কোনো কথা নেই ! যিনি সমাজ বিদ্যায় বিশেষজ্ঞ পন্ডিত তাহার কি পলিটিকাল ইকোনোমিতে বিশেষজ্ঞ হইতেই হইবে ? ধর্মকে কেন একটি বিষয় মনে করা হয় না ? ইহার মধ্যে সমাজবিদ্যা , অর্থনীতি , ফাইন্যান্স, ফিলোজফি আছে। আধুনিক ফিলোজফির সাথে ইসলামী ফিলোসফির ব্যাপক পার্থক্য আছে। আধুনি ফিলোজফি ইসলাম সমর্থিত নয় , তাই পড়ান হয়না। বিজ্ঞান বিষয়গুলো শুরুর দিকে বেশ ভালোভাবেই ছিল। পড়ুন দেওবন্দের ইতিহাস। পরের দিকে কেন বাদ পড়িয়াছে জানিনা। ইদানিং একটু একটু করে সংযুক্ত হইতেছে। ওলামা হজরতদের যে মেধা আর পড়ার অভ্যাস (১২-১৮ ঘন্টা ডালভাত ) দাওরা শেষে পুরো অনার্স মাস্টার্স মায় থিসিস তাহারা ২ থেকে আড়াই বৎসরে শেষ করিয়া ফেলিবেন বলিয়া আমার বিশ্বাস। তাই তাহাদের জন্য দাওরা শেষে বিজ্ঞান , গণিতে অনার্স , মাস্টার্স অপশনাল বিষয় হিসেবে রাখা যাইতে পারে।

তবে ব্যাক্তিগত ভাবে আমি ইহার প্রয়োজন দেখিনা। তাহারা ইসলাম বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবেই থাকুন ইহাই আমার চাওয়া।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম প্রধান দেশসমুহে ধর্মীয়দের একটা স্হান আছে! সময়ের সাথে ইহা কি সংকুচিত হবে, নাকি বড় হবে? আমার ধারণা ইহা সংকুচিত হবে।

৫৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মাদ্রাসার অর্থ জানতে চাইলে কেউ বলে না।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসা ছিল সময়ের সাথে তাল মিলায়ে "বিদ্যা নিকেতন"; আজ, পেছনে পড়া এক শিক্ষা ব্যবস্হা।

৫৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পুরো ইসলামই তো প্রাথমিক কালের মতো অবস্থায় ফিরিয়া যাইবে , ইহাই ভবিষ্যৎবাণী !

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সভ্যতা ও সময়ের প্রভাব মিলায়ে দেখেন, যেকোন প্রকার লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি করা সম্ভব; কিন্তু ইস্পাত থেকে পিগ-আয়রণ করার কথা কেহ ভাবে না।

৫৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইস্পাত থেকে পিগ-আয়রণ করার কথা কেহ না ভাবিলেও ইহা ঘটিবেই , কারণ ইহা হাদিসের কথা !

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখানে ঐতিহাসিক সমস্যা আছে, যা সময় ও সভ্যতার উপর নির্ভরশীল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.