নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের ৩০ লাখ টোকাই শিশুদের পিতাদের জন্য অভিনন্দন

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৫



আজকে বাংলাদেশের অনেক শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, ছাত্রছাত্রী, প্রফেশানেল ও বেকাররা তাদের পিতাদের অভিনন্দন জানায়েছেন, পিতার স্নেহকে অনুভাব করেছেন, পিতাকে নিজের ভালোবাসা জানাতে পেরেছেন। কিন্তু ৩০ লাখের মতো টোকাই তাদের হতভাগ্য পিতাকে হয়তো কিছু বলার সুযোগ পায়নি; তাদের জীবনে হয়তো পিতা ও পিতৃত্ব অনুপস্হিত; কিন্তু তাদের একাংশের পিতা হয়তো আছেন কোথয়ও; টোকাই শিশুদের পক্ষ থেকে আমি সেসব পিতাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি, যা কোনদিনও এসব পিতার কাছে পৌঁচবে না; কিছু ব্লগার হয়তো দেখবেন; ব্লগারেরা আমাদের জাতির এই ক্ষতটুকু হয়তো অনুভব করবেন।

আধুনিক রাস্ট্রে পিতামাতাহীন শিশুর মালিক কে? তারা নাগরিক কিনা? নাগরিক হলে, তাদের নাগরিক অধিকার আছে কিনা? থাকলে, সেই নাগরিক অধিকারের আওতায় তাদের ন্যুনতম মৌলিক অধিকার রক্ষা কিভাবে হচ্ছে? সরকারের কেহ এই দায়িত্ব নিয়ে কোন সংগঠন চালাচ্ছেন কিনা? সংগঠন না থাকলে, প্রেসিডেন্ট, কিংবা প্রাইম মিনিস্টারের অফিস এই দায়িত্বটুকু নিতে বাধ্য কিনা?

এক দেশের ৩০ লাখ শিশু যদি রাস্তায় ঘুমায়, সেই দেশের হাইকোর্ট দেশের সরকারের কাছে এইসব শিশুদের রাস্তায় ঘুমানো ও নাগরিক অধিকার থেকে বন্চিত হওয়ার কারণ জানতে চাইতে পারেন কিনা? আমাদের প্রধান বিচারপতি এ ব্যাপারে সরকারকে নোটীশ দিতে পারেন কিনা?

সেক্রেটারী, ডাক্তার, ব্যবসায়ী পরিবারের ৫/৬ বছর বছর বয়সী শিশুর জন্য সরকার স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদিতে মাথাপিছু কি পরিমাণ ব্যয় করছেন? একজন টোকাইর ঠিক সেই পরিমাণ পাওনা আছে কিনা? থাকলে, টোকাই কি এসে তার অধিকার চেয়ে নিতে পারবে, নাকি সরকার তাকে খুজে নিয়ে, সেই অধিকার পুরণ করবে?

অনেক প্রশ্ন করলাম। দেশে শিশু টোকাই থাকা মানে সরকার অপরাধ করছে; ওরা জাতির সন্তান, ওদের অধিকার আছে, ওদের লালন পালনের দায়িত্ব জাতির নেয়ার কথা ছিল ১৯৭২ সাল থেকে। ৪৬ বছরের অপরাধ জমা হয়েছে; এখন সময় হয়েছে, আজকেই রাস্ট্রের উচিত এসব শিশুদের দায়িত্ব গ্রহন করা; এই শিশুদের মানুষ করার মতো সম্পদ আমাদের জাতির কাছে আছে।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত বলেছেন: বাস্তব কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। ধন্যবাদ

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির এই ধরণের ক্ষতগুলি ব্লগারদের কাছে পরিস্কার হওয়া দরকার।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সুন্দর ভাবনা।

এই ভাবনা রাষ্ট্রের ভাবা উচিৎ। টোকাইদের আশ্রায়ন কয়রা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
কিন্তু দু:খের কথা হল আমাদের দেশে মাঝে মাঝে কিছু এনজিও তাদের জন্য কিছু খফয়রাতি দেয়, তাও বিদেশ থেকে কিংবা দাতাদের ডলার আসার পর। ডলার আসা বন্ধ হলে খয়রাতি কার্যক্রম ও বন্ধ হয়ে যায়।

১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারী চাকুরেদের বেতন দেয়া যেমন জাতির দায়িত্ব, শিশুদের লালন পালন তার থেকে বেশী দায়িত্বপুর্ণ

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭

রক বেনন বলেছেন: আগামী ১৪২ বছরেও এর সুরাহা হবে না! এদেশ ধীরে ধীরে অমানুষদের দেশে পরিণত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে হয়ত বিভিন্ন দেশের অপরাধীদের অপরাধের সাজা হিসেবে এদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি তার শিশুকে রাস্তায় রেখে নিজে ঘরে ঘুমাচ্ছে এখন; এই ঘুম হবে দু:স্বপ্নের

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

রিদওয়ান আহমাদ আল-আমীন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন....

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


টোকাইদের বাবাহীন পৃথিবী, সরকারের মগজহীন বাবাগিরি

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: অনেক প্রশ্ন করলাম। দেশে শিশু টোকাই থাকা মানে সরকার অপরাধ করছে; ওরা জাতির সন্তান, ওদের অধিকার আছে, ওদের লালন পালনের দায়িত্ব জাতির নেয়ার কথা ছিল ১৯৭২ সাল থেকে। ৪৬ বছরের অপরাধ জমা হয়েছে; এখন সময় হয়েছে, আজকেই রাস্ট্রের উচিত এসব শিশুদের দায়িত্ব গ্রহন করা; এই শিশুদের মানুষ করার মতো সম্পদ আমাদের জাতির কাছে আছে।

সহমত।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাস্তার শিশুদের অধিকারের কথা ভুলে গেছে প্রেসিডেন্ট সাহেব ও উনার সরকার।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত ভাই, সকল টোকাই ভাসমান মানুষদের সরকারিভাবে সকল নাগরিক সুবিধা দেওয়া হোক।

সুন্দর পোষ্ট করেছেন, কৃতজ্ঞতা রইল পোষ্টে।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সরকারের লোকেরা নিজেদের বাচ্ছার জন্য চুরিদারী সবই করছে, জাতির বাচ্চারা রাস্তায়

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আজকের লেখা আপনার এযাবৎ কালের
সব লেখার উর্ধে। কেন বলুন তো পড়তে
পড়তে বার বার চোখ ঝাপসা হোল।
এমন করে কেউ বলতে পারে বা লিখতে
পারে কিছুক্ষন স্তবদ্ধ হয়ে রইলাম।

বাবা পিতা দিবসে যাদের পিতা আছে যে
যার মত শ্রদ্ধা স্নেহ জানিয়েছে।
কিন্তু দেশে ৩০ লাখের মত পথশিশু টোকাই
তাদের বাবাকে কিছু বলার সুযোগই পাই নাই
এইসব হতোভাগ্য টোকাইদের পিতা পিতৃত্ব
অনুপস্থিত। একাংশের পিতা হয়ত আছে
কোথাও।
এলেখাটা ঘুরে ফিরে বার বার দিন।
পথ শিশুদের নিয়ে অনেক লেখা আশা জরুরী
অজস্র শ্রদ্ধা থাকল।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি কোকিলের মত হয়ে গেছে, ডিম পেড়ে নিজকে নিয়ে ব্যস্ত

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: হ্যা, অনেক প্রশ্ন করেছেন, শেষের অংশটুকু একদম যথার্ত বলেছেন। এই শিশুরা জাতির সম্পদ, এদের অবশ্যই অধিকার আছে।
কিন্তু সরকার আদৌ পর্যন্ত এদের নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যাথা দেখায় নি।

১৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারের মাথা আছে মগজ নেই।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতিবিদের সামু ব্লগ পড়া উচিত। পড়লে তারা দেশের অনেক সমস্যার কথা জানতে পারবেন।

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের এমপি'রা ঈদের টাকার এনভেলাপ আনতে বসুন্ধরার অফিসে লাইন ধরে বসে আছে; সামুতে ওরা আসতে পারবে না, পোস্ট দেয়ার মতো বিদ্যা থাকার কথা নয়।

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: এসব প্রশ্নের উত্তর সরকারের দেয়ার কথা । সরকার দিচ্ছে না ।
নানা ভাবে ব্যর্থ এই দেশের সব গুলো সরকার ।
ব্যর্থ সরকারের কাছে আর কি প্রশ্নের উত্তর চাইব !

পথশিশুদের দায়িত্ব সরকারের নেয়া কর্তব্য, সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে না। তারা দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যস্ত।
কতজন পথশিশু না খেয়ে দিন পার করছে তার পরিসংখ্যান নেই তাদের কাছে কিন্তু ইফতার পার্টি বেশ হয়ে যাচ্ছে ।
তবে আমি স্বপ্ন দেখি একদিন সরকার ও বেসরকারী সংগঠনগুলো এদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে পারি এদের সাহায্য করি ।

তৃতীয় বিশ্বের তৃতীয় শ্রেণির একজন মানুষের স্বপ্ন আর কি বা হতে পারে !

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


তৃতীয় বিশ্ব থেকে মারাঠাদের বিদায় করাও ১টা স্বপ্ন হতে পারে।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিরোধী দলের পেছনে আর নিজের আখেরের পেছনে সময় চলে যায়, টোকাইদের নিয়ে ভাবার সময় কই সরকারগুলোর? বিষয়টা খুব জটিল। সরকার ঠিক মত দেশের মানুষের সেবাই নিশ্চিত করতে পারেনি। সেখানে পথশিশুদের কীভাবে দিবে? সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর কী করে কে জানে? একদম এতিম হলে তো তাদের জন্য এতিমখানা আছে। তবে বেশীরভাগ মা অথবা বাবার সাথে থাকে। তাই তারা কোন না কোন কাজ করে বাঁচে। এরশাদ পথকলি ট্রাস্ট করেছিল। পরের সরকার সেটা বন্ধ করেছিল। সেটা চালু থাকলে টোকাইদের খারাপ পথে যাওয়া কিছুটা হলেও কমত...

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পথ শিশুরা জীবন থেকে বন্চিত হচ্ছে, এবং তাদের জীবন সমাজের জন্যও কস্টের কারণ হতে পারে; তবে, সমাধান করলে, পুরোজাতি উপকৃত হবে।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ যাবৎ অনেক সরকার দেখেছি। তারা আপনার মতো করে ভাবেনা। যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন করছে তারাও এসব কথা ভাবেনা। অনেকেই আদর্শের বুলি আওড়ায় কিন্তু তাদের আদর্শ আসলে কি বুঝিনা। অভাগা মানুষ গুলো এ ভাবে কতকাল পার করবে? এখন যাদের সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার তাদের সমস্যা কখন সমাধান হবে? এ ব্যাপারে কারো কি কোন দায় বদ্ধতা নেই? এসব লিখার জন্য আল্লাহ আপনাকে আরো অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখুন। তথাপি যদি অসহায় নিরুপায়দের প্রতি কারো দৃষ্টি পড়ে। সরকার অনেক করতো করলো। এবার যদি দরিদ্র কর চালু করে সেই টাকায় দরিদ্র কল্যাণ ফান্ড গঠন করে তাহলে তাতে আশা করা যায় তাতে বিদেশী দাতাদের অর্থায়নও ঘটবে। তারপর সেই অর্থায়নে সুবিধা বঞ্চিতদের কিছু সুধিা দানের ব্যবস্থা হয়, তবে তাতে সুবিধা বঞ্চিতরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি সরকারের অনেক জন সমর্থন বাড়বে। তবে আবার সেই টাকা মেরে খেলে উল্টাটা ঘটবে!

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সরকারে আজ অবধি যারা গিয়েছেন, তাদের ভাবনাশক্তি ভয়ংকরভাবে সীমিত; তারা কখনো নিজ দায়িত্বের পরিধি নিয়ে মানুষের সাথে আলাপ করেনি, মানুষ থেকেও দেশ চালনার ব্যাপারে জানতে চাহেনি। আবার অনেকের ভাবনাশক্তিই ছিলো পংগু; কিন্তু তারা দল ইত্যাদি কারণে ক্ষমতায় চলে গেছে; কাজ তো কিছুই হয়নি, শুধু জাতিকে কস্ট দিয়েছে!

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রাষ্ট্র এ ব্যাপারে তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না ।

২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৬ বছর এড়ায়ে গেছে; আমাদের রাস্ট্র-প্রধানদের ধারনাশক্তি স্বাভাবিক রাস্ট্র-প্রধানদের ধারণাশক্তির লেভেলর চেয়ে নিচে।

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৬:২২

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: Apnar valo post delete korlen keno?

I need to post something to ask for some help, but my post doesn't go to the front page.

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসার পোস্ট কমেন্ট করে বলেন, আপনাকে সামনের পাতায় প্রকাশের ক্ষমতা দিতে।
কোন ব্যাপারে সাহায্যের দরকার ছিলো।

২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার "ব্লগ এরিয়ায়" পোস্ট দেন, না'হলে ওরা সামনের পাতায় সহজে যেতে দিবে না, মনে হয়।

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

তাতিয়ানা পোর্ট বলেছেন: I will never ask him for anything. He is incompetent.

It's okay. I figured it out.

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো যে, আপনি নিজে সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন। আপনি পোস্ট লিখুন।

১৬| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

কানিজ রিনা বলেছেন: চাঁদগাজী আপনি ঠিক এই লেখাটাই আবার
দিন সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে দেশের
সর্ব স্তরের সচেতন পার্সন ব্যক্তিত্ব পথশিশুদের
নিয়ে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। সেই
সাথে এমপি মন্ত্রি রাজনৈতিক ব্যক্তিদ্বয়।
আপনি টোকাইদের নিয়ে আরও লিখুন।
নিস্চয় ব্লগ কতৃপক্ষ স্টিকি করার দায়ীত্ব্য
নিবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ভাবনার প্রতি সন্মান রলো।

১৭| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: দেশের ৩০ লাখ পথকলি শিশু এক সময় বড় হবে, কোন পিতা-মাতা ছাড়াই। রাস্তায় বড় হওয়া এই তরুণ-তরুণীদের থেকেই জন্ম নিবে কোটি প্রাণ।

দেশের বর্তমান শিক্ষিত সমাজ কানাডা-অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হচ্ছেন। তাদের জায়গা দখল করে নিবে আধা-শিক্ষিত/অশিক্ষিত এইসব প্রাণগুলো।

এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


গত ৪৬ বছরে, নিশ্চয় ৩০ লাখের বেশী "টোকাই" দেশের জনসংখ্যায় মিশে গেছে; আপনি বলছেন যে, এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ; সেই বাংলাদেশটা কি রকম হবে?

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সেই বাংলাদেশে একসময় মাত্র দু'টি শ্রেণী থাকবে- উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই বাংলাদেশর কারিগর হচ্ছেন, শেখ সাহেব, জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা; আপনার নাম যোগ করবো?

১৯| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: উনারা অন্ততঃ একবার হলেও চেষ্টা করেছেন দেশের উন্নয়ন ঘটাতে।

আমিও চেষ্টা করছি। হয়তো মাত্রাটা ভিন্ন!!!

তাঁদের মতো সুযোগ পেলে আমার চেষ্টা হবে, এই পথকলিদের শিক্ষিত করে তোলা এবং তাদের পাঠ্যক্রমে 'উচ্চাকাঙখার ম্যাজিক' নামক বইটি অন্তর্ভুক্ত করা।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঐ বইটা কে লিখেছেন? মুল ধারণা কিসের উপর?

২০| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
The Magic of Thinking Big -David J. Schwartz, এই বইটির অনুবাদই 'উচ্চাকাঙখার ম্যাজিক' নামে বের হয়েছে।

বইটিতে আর্থিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, ক্ষমতা ও প্রভাব, জীবনে পরিতৃপ্তি আর বেশি উপার্জনের উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

"বইটিতে আর্থিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সম্পর্ক, ক্ষমতা ও প্রভাব, জীবনে পরিতৃপ্তি আর বেশি উপার্জনের উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। "

-শুনতে সবকিছু ভালো লাগছে; কিন্তু "বেশী উপার্জনের " উপায় কথাটা ভালো লাগেনি; কেহ বেশী উপার্জনের চেস্টা করলেই, সেখানে নিয়ম ভংগ হওয়ার সম্ভাবনা

২১| ২০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৬

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার এক একটা পোস্ট, এক একটা চাবুক মনে হয়................

২২| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এবারের বাবা দিবসে ভাল বিষয়ের উপরে লিখেছেন ।
টোকাই ও পথ শিশুদের নিয়ে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলি একেবারেই যে উদাসিন তাত মনে হয়না । এটা বৈদেশিক দান খয়রাত পাওয়ার একটি উত্তম পন্থা বলে দেখা যাচ্ছে ।
প্রথমে দেখা নেয়া যাক সরকারী ব্যবস্থাটি কি
শিশু সুরক্ষার জন্য দেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের দুটি প্রকল্প
চলমান আছে বলে দেখা যায়
বিস্তারিত জানার জন্য নীচের লিংকটিতে গিয়ে দেখা যেতে পারে

http://www.msw.gov.bd/site/page/9eb3b03b-7e9c-4af0-82b2-1a7496ca11a2/শিশু-সুরক্ষা-প্রকল্প

চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) নামক পকল্পটির মুল ব্যয় দেখা যায় ১২৫,৪৬ কোটি টাকা যার মধ্য ইউনিনেফ সহায়তা ১২৫.০৭ কোটি টাকা আর বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নের পরিমান মাত্র ৩৯ লক্ষ টাকা , তার মানে প্রকল্পটির পুরাটাই বিদেশী সাহায্য নির্ভর । আমরা সকলেই জানি বিদেশি সাহায্যপুষ্ট সকল প্রকল্পের পিছনেই থাকে গভীর কিছু শর্ত , জানিনা টোকাইদের জন্য আনা সাহায্যের পিছনে না জানি রয়েছে কঠিন কি সব শর্ত । প্রকল্পটির দুটি কমপোনেন্টের মধ্যে একটির মুল লক্ষ হিসাবে -
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য জরুরী ভিত্তিতে শিশু সুরক্ষাকল্পে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ প্রতিষ্ঠিত করা এবং নিরাপদ পরিবেশ তৈরীর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করে কেইস বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, আবাসন, কাউন্সেলিং এবং পুনঃএকীকরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে বলে দেখা যায় ।

সার্ভিসেস ফর চিলড্রেন এট রিসক ( সকার) শীর্ষক কম্পোনেন্ট-২ এর আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সমাজসেবা অধিদফতর এর মনিটরিং কার্যক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি অন্তভুক্ত আছে বলে দেখা যায় । দুটি কমপোনেন্টের মধ্যে কোন খাতে বেশী অর্থ বরাদ্ধ আছে তার কোন বিভাজন সরকারী ওয়োবসাইটে পাওয়া না গেলেও বুঝা যায় অবস্থাটি কি রকম হতে পারে ।

বৈদেশিক অার্থিক সহায়তায় পরিচালিত এ সরকারী প্রকল্পগুলি হতে যে কাংখীত সুফল এখনো পাওয়া যাচ্ছেনা তা সহজেই বুঝা যায় রাস্তায় টোকাইদের অবস্থা পর্যবেক্ষন করলে ।

টোকাই ও পথ শিশুদেরকে নিয়ে দেশের সররকারী ও বেসরকারী এনজিও গুলি সারা দুনিয়া থেকে দান খয়রাত সদকা এনে কি যে করছে তার একটি চুলচেরা বিশ্লেশন হওয়া প্রয়োজন , এর কতটুকু যাচ্ছে টোকাইদের কাজে আর কতটুকু যাচ্ছে এ সমস্ত্ প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বিভিন্নখাতে ।

বাংলাদেশের এবারের বাজেট বিশ্লেষনে দেখা যায় দেশের ১৬ কোটি মনুষের জন্য মাথাপিছু ঋনের পরিমান দাঁড়াবে ৪৬০০০ টাকাতে, যার মধ্যে দেশের টোকাইরাও আছে । পিতৃহীন অনেক টোকাই যেমন জানেনা তার পিতাদের খবর, তেমনি জানেনা ডাস্টবিন খেকে কুড়িয়ে খেয়ে ফুটপাতে ঘুমালেও তার মাথার উপর রয়েছে ৪৬০০০টাকা ঋনের বুঝা যা প্রতিবছর চক্রুবৃদ্ধিহারে কেবল বেড়েই যাবে ।

ধন্যবাদ গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট টির জন্য

২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী সরকার ও প্রশাসন মিলে "টোকাই"দের পাওনাটুকু হজম করে ঢাকায় বাড়ীঘর তুলছে, নিজ্ের ছেলেমেয়েদের বিদেশে পড়াচ্ছে।

ঋণ্বের সুদ হিসেবে মোটামুটি ১ বিলিয়ন ডলার চলে যাচ্ছে, এতে গরীবদের টাকা চলে যাচ্ছে বিদেশে; ঋণের সমপরিমাণ টাকা প্রশাসন ও সরকার চুরি করে নিয়ে গেছে।

২৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:০০

বর্ষন হোমস বলেছেন:
কথা গুলো সত্য।এবং পড়ে খারাপও লাগছে :|

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলোর সমাধান আমাদিগকেই করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.