নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
যেহেতু কোরবানী ধর্মীয় বিষয়, সেটার পালন, জাতীর সামর্থ, অর্থনীতির উপর প্রভাব, ইত্যাদি নিয়ে সাধারণ মানুষের কি কোন বক্তব্য থাকতে পারে, নাকি শুধুমাত্র মাদ্রাসা গ্রাজুয়েট, শফী হুজুর, জামাতের আমীরেরা বলা উচিত? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কিছু বললে কি "ব্লাসফেমী" হয়ে যাবে? মাদ্রাসার গ্রাজুয়েট, শফী হুজুর, বা জামাতের লোকদের ব্যাপারে একটা বিষয় সঠিক যে, উনারা আমাদের দেশ ও জাতি থেকে অনেক বেশী বড় জাতীর অংশ, উনারা বাংগালী নন, উনারা মুসলিম উম্মার অংশ, যার মাঝে সৌদী, দুবাই, ইরান, জর্ডান আছে; উম্মার আরবী অংশ গরু, ভেঁড়া পালন না করেও গরু কোরবানী দিতে পারেন, উনারা উড়োজাহাজে করে গরু, মেষ, উট নিয়ে আসতে পারেন অস্ট্রেলিয়া থেকে; আর আমাদের একমাত্র ভরসা ভারত! আমাদের দরিদ্র উম্মারা মনের দিক থেকে বড়, তাঁরা জাতীর গরু, ছাগল সম্পদ কি পরিমাণ আছে, কি পরিমাণ কোরবানী দিলে জাতীর পশু সম্পদ ব্যালেন্সের মাঝে থাকবে, এসব অংক নিয়ে মাথা ঘামান না; উনারা আরবদের মতো ধনী নন, কিন্তু আরবদের মতো বেহিসেবী।
ইসলাম ধর্ম কোরবাণীর পশু সম্পর্কে যেসব নীতি অনুসরণের কথা বলেছে, তাতে করে ভারতীয় প্রাণী দিয়ে কোরবাণী করা সঠিক না হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা; ভারতীয় গরু বাংলাদেশে এলসি করে আনলেও উহা ভারতের মুলনীতির বিপক্ষে চলে যায়, ভারতীয়রা মনে প্রাণে চাহে না যে, তাদের গরু বাংলাদেশে যাক, এবং খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হোক; ভারতীয় আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে আনা গরু কোরবাণীর সঠিক নিয়ম কখনো মানছে না।
কোরবাণী যেহেতু সুন্নত কিংবা ওয়াজেব, সেহেতু কোরবাণী করার সময় জাতীর সামর্থকে হিসেবে রাখতে হবে; সালমান রহমান, ওবায়দুল কাদের, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, ফালু ও কর্ণেল ফারুক চাইলে বাংলাদেশের সব গরু একদিনে কোরবাণী করে দি্তে পারবেন; তাই বলে কি উনাদেরকে তা করতে দেয়া যাবে? প্রতিটি সেক্রেটারী এক হাজারের বেশী গরু কোরবানী দেয়ার ক্ষমতা রাখেন; ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানদের ক্যাডারদের জন্যও উনার ২টি আলাদা গরুর দরকার; এভাবে হিসেব করলে, এবং দেশীয় প্রাণী দিয়ে কোরবান করলে, বাংলাদেশ আরবদের মতো পশুহীন হয়ে যাবে; আমরা কিন্তু ট্যাংকারে করে সকালবেলা তেল পাঠায়ে, বিকেলে উড়োজাহাজে করে পশু আনার অবস্হানে নেই।
ভারতীয় গরু দিয়ে কোরবাণী করলে কোরবানী হচ্ছে না, এটা মোটামুটি সঠিক; কারণ, ভারতীয় গরু মানে বেআইনী গরু, এবং গরুর মালিক চাহে না যে কেহ তাদের গরুকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করুক। এখন থাকছে বাংলাদেশের পশু; বাংলাদেশের কত শতাংশ পশু একদিনে কোরবানী দেয়া উচিত, তা হিসেব করে বের করা দরকার, যাতে জাতি পশুশুন্য না হয়, ও বছরের বাকী সময় প্রোটিন পায়।
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে ধর্ম নিয়ে আলাপ করা কঠিন; হুজুরেরা মনে করেন যে, মাদ্রাসার বাহিরে কেহ অংশ নেয়া ঠিক নয়; কিন্তু বেশীরভাগ হুজুরেরা কোন কিছু এনালািসিস করার মত অবস্হানে নেই, তারা দরকারী অংক, ডাটা, লজিক অনুসরণ করেন না।
২| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩
শামীম শাহ বলেছেন: ভারতের ন্যয় বাংলাদেশে গরুর খামার করা যায়না কেন?
কেন আমাদের ভারতের উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে।
অভাবটা কোথায়....
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুলত পুঁজি ও খাদ্যাভাব।
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'গরুর মালিক'-এর সংজ্ঞা কী? আমি যার কাছ থেকে গরু কিনলাম, তিনিই গরুর মালিক। যিনি গরুটি জন্ম থেকে লালন-পালন করেছিলেন, তিনি ততদিনই ওটার মালিক ছিলেন, যদ্দিন গরুটা তাঁর অধীনে ছিল। আমি যার কাছ থেকে চাল-ডাল সবজি কিনছি, তিনি ব্যবসায়ী, কৃষক নন। বিক্রেতাই ঐ চাল-ডালের মালিক, কৃষককে মালিক বলা যাবে না। এভাবে বিবেচনা করলে কোরবানির হাট থেকে কোরবানির নিয়্যত করে গরু কিনলে সেটার কোরবানি না হওয়ার কারণ নেই বলেই আমার মনে হচ্ছে।
২০১৫ ও ২০১৬-তে ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে গরু গেছে আগের বছরগুলোর তুলনায় মাত্র ৫%-এর মতো (ভারত সরকার ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাঠানো নিষিদ্ধ করে ছিল। আগের বছরগুলোতে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না)। কিন্তু ২০১৫ বা ২০১৬-তে বাংলাদেশে কোরবানির জন্য গরুর সংকট দেখা দেয় নি, এবং আগের বছরগুলোর তুলনায় দেশিয় গরুর দামও সে-রকম বাড়ে নি।
ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে গরু পাচার বন্ধ করায় বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে। একদিকে দেশিয় গরুর উৎপাদন বেড়েছে, অন্যদিকে দেশিয় মুদ্রা গরুর বিনিময়ে ভারতে যেতে পারে নি।
কিন্তু ভারতে যাঁরা গরু উৎপাদন ও গরু ব্যবসা করেন, তাঁদের লক্ষ্যই থাকে তা বাংলাদেশে পাচার/পাঠানো। গরু পাচার বন্ধ করায় ভারত ও বাংলাদেশ, উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা মহাসংকটে পড়ে যান। বাংলাদেশিরা বিরাট অংক লগ্নি করেন ভারতে; ভারতের ব্যবসায়ীরা সেগুলো বাংলাদেশে পাঠাতে পারেন না। কিন্তু এত গরু লালন-পালন, দৈনিক আহার, ইত্যাদির জন্য ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়ে যায় বহুগুণ। তখন বৈধ, নাকি অবৈধ, এই হুঁশজ্ঞান থাকে না, যেভাবে সম্ভব সেই গরু বাংলাদেশে পাঠাতেই হয়।
আমি যতটুকু বুঝি তাই বললাম। আপনার টপিকের সাথে অবশ্য পুরোটা গেলো না।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয় গরু কোরবান উপলক্ষে বাংলাদেশে বিক্রয় হয় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে, এরা বাংলাদেশের কথা বলে না কাগজে কলমে; এখানে "মিথ্যা" আছে। মানুষ জেনে শুনে মিথ্যার সাথে জড়িত পশু কিনে কোরবান করছে।
আপনি বাংলাদেশে মদ বিক্রয় করতে পারবেন না, যে কিনবে সেও বেআইনী দ্রব্য ক্রয়ের জন্য দায়ী থাকবে।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: এই ব্যাপারে আমি একেবারেই অজ্ঞ।
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
চোরা ধনীরা প্রয়োজনের বেশী কোরবানী দিচ্ছে
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হুম, গরু বলেই বেআইনি!!!
যারা বিদেশ থেকে মসজিদ মাদ্রাসা এতিমদের জন্য টাকা সংগ্রহ করে দেশে নিজের সম্পদের পাহাড় তৈরি করছে তারা সবসময় আইন-বেআইনের ফাঁকেফাঁকেই পড়ে থাকেন!!
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাদ্রাসা চালানো এখন ব্যবসায় পরিণত হয়েছে; এক সময় খুবই কস্টকর ছিলো।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: "সালমান রহমান, ওবায়দুল কাদের, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, ফালু ও কর্ণেল ফারুক চাইলে বাংলাদেশের সব গরু একদিনে কোরবাণী করে দি্তে পারবেন; তাই বলে কি উনাদেরকে তা করতে দেয়া যাবে? প্রতিটি সেক্রেটারী এক হাজারের বেশী গরু কোরবানী দেয়ার ক্ষমতা রাখেন; ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানদের ক্যাডারদের জন্যও উনার ২টি আলাদা গরুর দরকার; এভাবে হিসেব করলে, এবং দেশীয় প্রাণী দিয়ে কোরবান করলে, বাংলাদেশ আরবদের মতো পশুহীন হয়ে যাবে; আমরা কিন্তু ট্যাংকারে করে সকালবেলা তেল পাঠায়ে, বিকেলে উড়োজাহাজে করে পশু আনার অবস্হানে নেই।"
কঠিন সত্য বলেছেন, এই কথাগুলি মানে বোঝার মত শিক্ষিত-সচেতন-সেন্সেবল মানুষ এই দেশে কয়টা পাবেন ?
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারী পশু পালন দপ্তর থেকে স্ট্যাটেসটিকেল ডাটা দেয়ার দরকার, কি পরিমাণ পশু কোরবান করলে, দেশে গরু ছাগলের ব্যালেন্স থাকবে সারা বছরের জন্য।
৭| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
মামুন ইসলাম বলেছেন: যুক্তি আছে কথায় ।
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ যদি কাগজের টাকার বিনিময়ে প্রয়োজনের বেশী "জীবিত সম্পদ" ব্যবহার করে, বাজারে সমস্যার সৃস্টি হয়; জীবিত সম্পদ সৃস্টি করতে "সময়" লাগে, টাকা সাহায্য করে না সেই সময়ে।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫
চানাচুর বলেছেন: কোরবানির সঠিক নিয়ম হল, আপনি একটা পশুকে পালবেন। তারপর যথাসময়ে প্রাপ্তবয়স কালে সেটিকে কোরবানি দিবেন। পশুটির উপর আপনার মায়া জন্মালে, তবেই না হবে কোরবানি। কিন্তু আমরা ঝামেলা এড়িয়ে কোন ধরণের নিয়ম নীতির ধার না ধেরে নানান অজুহাত দিয়ে অথবা আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে যেভাবে কোরবানি দেই তাতে আসলেই প্রশ্ন আসে কয়জনের কোরবানি কবুল হয়!
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভাবছি, তা'হলে তো সুধা সদনে শেখ হাসিনারও ১টা গরু থাকার কথা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কিছু বললে কি "ব্লাসফেমী" হয়ে যাবে?
হবে না মানে? বিলকুল হবে! এর জন্য আপনাকে ৭২ টার বদলে ২৭ টা দেওয়া হবে ! বাকি গুলান আমার !