নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম দেশসমুহে কিছু মানুষ ইসলামের পুনর্জাগরণ চাচ্ছেন

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫



'ইসলামের পুনর্জাগরণ' শব্দটা কেন মিশর, ইরান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া, আফগানিস্তানে ব্যবহৃত হচ্ছে, এগুলো তো মুসলিম প্রধান দেশ, ওখানে ইসলাম কি ঘুমিয়ে গেছে? পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানে মক্তব-মাদ্রাসার সংখ্যা বেশী, নাকি স্কুল কলেজের সংখ্যা বেশী? মানুষের ধর্মীয় জ্ঞান বাড়ছে, নাকি কমছে; মানুষ ধর্মীয় গ্রন্হ পড়ার সুযোগ কি কম পাচ্ছেন, নাকি আগের থেকে অনেক বেশী পাচ্ছেন? এসব দেশে ইসলামিক দলগুলোতে মানুষ কমছে, নাকি বাড়ছে?

'ইসলামের পুনর্জাগরণ' বলতে আসলে বুঝানো হচ্ছে রাস্ট্র পরিচালনায় ইসলাম, ইসলামিক শাসন প্রবর্তন, খিলাফতের প্রত্যাবর্তন। ইসলামিক শাসন ছিল ৪ খলীফার সময়ে, প্রথম ইসলামিক রাস্ট্রে। খলিফা(?) মুয়াবিয়ার সময়, ইসলামিক রাস্ট্র ততকালীন রাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে; মুয়াবিয়া ব্যক্তিগত জীবনে অন্য খলিফাদের মতো ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু উনার রাস্ট্রীয় ব্যবস্হা খিলাফত থেকে চুল পরিমাণ সরে গিয়েছিল; সেটা ছিল শুরু; আজকের পাকিস্তান (ইসলামিক প্রজাতন্ত্র), মিশর, জর্ডান মুসলিম প্রধান দেশ; মুসলিম দেশগুলোর রাস্ট্রীয় ব্যবস্হায় খিলাফতের কোন কিছু নেই; কিন্তু সকল মুসলিম ট্রেডিশন ঠিক মতো আছে। তুরস্কেও অনেক মানুষ এখন কমপক্ষে অটোম্যানদের মতো খিলাফত চায়। মিশরে অনেক মানুষ বর্তমানের ট্রেডিশনাল মুসলিম দেশ থেকে খিলাফতে ফিরতে চায়।

খিলাফতে ফিরে যাওয়াকেই 'ইসলামের পুনর্জাগরণ' বলা হচ্ছে। মুসলিম দেশগুলো এখন সঠিক কোন তত্ব অনুসরণ করছে না; তবে, তারা অশুদ্ধ গণতন্ত্রের অধীনে জোড়াতালি দেয়া দুর্নীতি-পরায়ন ক্যাপিটেলিজম চালাচ্ছে। এই অবস্হা থেকে তাদেরকে কোন একদিকে সরতে হবে: হয়তো গণতন্ত্রের দিকে, না হয়, খিলাফতের দিকে। সঠিক গণতন্ত্র ও সহনীয় ক্যাপিটেলিজম এসে গেলেও দেশগুলো স্হিতিশীল হয়ে উঠতো, এখন অনেকটা অস্হিতিশীল; এই অস্হিতিশীলতা থেকে এসব দেশ কি খিলাফতে গিয়ে স্হিতিশীল হবে, নাকি গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদে গিয়ে স্হিতিশীল হবে?


মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

নতুন বলেছেন: খেলাফত আর কখনোই সম্ভব না। গনতন্ত্রই ভবিশ্যত...

ইউরোপের অনেক দেশেই গনতন্ত্র এখন ভাল ভাগে চলছে... যেটা জনগনের ক্ষমতা আছে এবং তাদের লাভ হচ্ছে...

আমাদের দেশের রাজতন্ত্র শেষ হয়ে যে কবে আসল গনতন্ত্র আসবে সেটাই ভাবছি।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মানুষ আশা ভংগের পর হতাশ হয়ে, দিকহারা হয়ে গেছে; সময় হয়েছে নিজেদের মানুষের জন্য কাজ করার।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলামের পুনর্জাগরণ বুঝলাম না । ইসলাম কি বিলুপ্ত ???

আমার মনে হয় আপনাদের মত টুস মোসলমানদের ইসলাম বিপন্ন। স্বাভাবিক যারা ইসলাম পালন করছেন তাদের ইসলাম বিলুপ্ত না তারা ভালো আছে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মের স্বভাব, সবাই এক লেভেলে থাকবে না; কাউকে না কাউকে দোযখে যেতে হবে; সেজন্যই দোযখ তৈরি করা হয়েছে; যারা স্বাভাবিক তাদের নিয়ে আজকে মাথা ব্যথা নেই, সময়ের সাথে তাদের একাংশ অস্বাভাবিক হয়ে যাবে; মানুষ স্বাভাবিক থাকে না বলেই ২ লাখ ৪০ হাজার নবীকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

তপোবণ বলেছেন: মুসলিম শাসন খিলাফতে আর ফিরবেনা। শাসকদের মধ্যে শতভাগ সততাও সম্ভব নয় খিলাফতও সম্ভব নয়। জোড়াতালির গণতন্ত্রের কারণেই মানুষ আসলে পরিবর্তন চায়। আমাদের দেশে বর্তমানে ১% গণতন্ত্রও নেই। এটা যদি ৫০% ও সম্ভব হতো তাহলেও আমাদের দেশ সুখ এবং সমৃদ্ধিতে ভরে যেত। আমরা কবে নাগাদ দেশ প্রেমিক হবো তার কোন গাইড লাইন আমাদের জানা নেই।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশে আসলে চলছে জাতীয়তাবাদী কলোনিয়ালিজম; এটাকে কোন একদিকে যেতে হবে; খিলাফত কি বিবেচনার মাঝে আছে?

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: খেলাফত আর আশা করা যায় না, গণতন্ত্র থাকলে ইসলাম বতমান অবস্থা থেকে আরও নিচে নিমর্জিত হবে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুয়াবিয়ার সময় থেকে মানুষ ক্রমাগতভাবে খিলাফত থেকে দুরে সরে যাচ্ছে; ফলে, খিলাফত ফিরে আসার সম্ভাবনা কম।

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ইসলাম তো শেষ হয়ে যাওয়ার কোন সংবাদ পাইনি, যে পুনঃজাগরণ দরকার!

আপনার আলোচনার প্রেক্ষিতে আমি, গণতন্ত্র চাইবো, জনগণের স্বাধীনতাই বড় ধর্ম আমার কাছে।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৬০ কোটী মানুষ মুসলিম; ফলে, ইসলাম বাস্পীভুত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই কালকে; কিন্তু দেশ চালনা করার মত প্রয়োজনীয় তত্ব ওখানে আছে কিনা, খিলাফত ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে কিনা, সেটা নিয়ে আলাপ হচ্ছে।

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: খিলাফত সম্ভব হয়তো হবে না। তবে আরো বেশী প্র্যাকটিসিং মুসলিম, কিংবা 'ইসলামী ভাবধারা' আনার চেষ্টা করাটাকে হয়তো পুনর্জাগরণ বলা হচ্ছে। তবে গণতন্ত্র ছাড়া গতি নেই...

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখনকার কমপ্লেক্স অর্থনীতি, ভয়ংকর আন্তর্জাতিক সমস্যাসমুহ, গ্লোবেল ওয়ার্মিং, অস্ত্র প্রতিযোগীতার সময় কঠিন রাজনীতির দরকার; মানুষ চাইলেও খিলাফত ইত্যাদিতে গেলে, এটম বোমা পড়তে পারে মাথায়

৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, একটা ভিন্ন প্রসংগে আপনার কাছে একটা বিষয় জানতে চাইছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোশাকের রঙ কী ছিল? পাকিস্তান আর্মি পড়তো খাকি রঙের পোশাক, এটা জানি। ইস্ট বেংগল রেজিমেন্টের পাকিস্তান আমলের পোশাক কি পাকিস্তান আর্মির মতোই ছিল, নাকি চার রঙের কম্ব্যাট ছিল, যা বাংলাদেশ আমলে দেখা গেছে?

আপনি রণাংগনের যোদ্ধা বলে সবকিছু আপনি দেখেছেন, তাই আপনার কাছেই এ তথ্য রয়েছে বলে জানতে চাইলাম।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


খাকী ছিলো, পাকীদের মত একই রং'এর; ইপিআর অনেক ড্রেস এনেছিল সাথে; ভারতীয়রা খাকী ড্রেস দিয়েছিল সবার জন্য।

৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৯

প্রোলার্ড বলেছেন: গণতন্ত্র হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের খেলা । এখানে ৫১ জন আপনাকে ভোট দিলে বাকী ৪৯ জন যারা আপনাকে ভোট দেয়নি তাদের উপর আপনি ছড়ি ঘোড়াতে পারবেন। ব্রুট মেজরিটি নিয়ে আপনি সংবিধানও সংশোধন করাতে পারবেন । সেখানে যদি বিল আনান যে - যারা আপনার বিরোধী দল , যারা আপনাদেরকে ভোট দেয় নি তাদের সবাইকে ফাঁসি দেওয়া হবে । সংবিধান অনুযায়ী এটাও সঠিক হবে!!

ভোট প্রদান হল ২ মিনিটের ব্যাপার , কিন্তু এর প্রভাব ৪/৫ বছরের। ভোট প্রদানের সময় মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে হুজুগ তুলে বা বানোয়াট খবর কয়েক ঘন্টার জন্য প্রচার করে জনগনকে বোকা বানিয়ে বিপুল ভোট লাভ করা যায়। সেটা আর ফিরয়ে আনা যায় না । ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর অনেকেই Not my President বলে চিল্লা ফাল্লা করেছিল , লাভ হয়েছে?

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে মানুষ গণতন্ত্র এনেছে: ইউরোপ,আমেরিকা, জাপান,অস্ট্রেলিয়ায় গণতন্ত্র ভালো লেভেলে আছে; পাকিস্তান, বাংলাদেশ, বার্মায় খারাপ লেভেলে আছে; তারপরও এটাই আপাতত গ্রহনযোগ্য সিস্টেম।

৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স খুব কম ছিল। ঐ সময়ের একটা স্মৃতি আছে। আমাদের গ্রামের ভিতর দিয়ে একদল আর্মি গিয়েছিল, যাদের পোশাক ছিল চার রঙের কালো কম্ব্যাট। এই পোশাক পরে বাংলাদেশ আর্মিতে দেখেছি। আমি ক্লিয়ার হতে পারছি না ঐ আর্মি আসলে কারা ছিল।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি ১ নং সেক্টরের বাহিরে কিছু দেখার সুযোগ পাইনি, কিছু জানতাম না। আপনি দেশের কোন এলাকায় তাদের দেখেছেন?

১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৫

আখেনাটেন বলেছেন: নেতারা যদি ভালো মানুষ হয়, তাহলে সব তন্ত্রই ভালো। আর নেতারা যদি কুলাঙ্গার হয়, তবে কোন তন্ত্রই কার্যকরী হওয়ার কথা না। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াতে গণতন্ত্র বিরাজ করলেও আসলে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমেই তারা এই জায়গায় এসেছে। কারণ সেখানে শাসকেরা চেয়েছিল জনগণের সমৃদ্ধি।
আর বেশিরভাগ মুসলিম দেশগুলোতে শাসকের নিজের সমৃদ্ধি নিয়ে জনগণের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে। তাই এখানে ইসলামের পূণর্জাগরণ হলেই কি আর না হলেই বা কি? যে লাউ সেই কদু?

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাদ্দাম, মোবারক, গাদাফী, বাশারেরা কোন নিয়ম কানুনই মানেনি; মানুষকে মুল্য দিতে হচ্ছে। বাংলাদেশের অবস্হাও আরবদের মতো হতে পারে।

১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অসভ্য বেদুয়ীনদের যুদ্ধে আনতে যখন যা দরকার সেটাই তখন হয়েছে।
এটা করলে ৭০ নেকি, ওটা করলে যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে ... সেসবই খেলাফতের আইন হয়ে গেছে।
পূর্বের বেদুয়ীন আইন, প্রথা, দাশপ্রথা, দাসি োদা ইত্যাদি বৈধতা দেয়া হয়েছিল, পরে দখলকরা শহরে লুন্ঠিত মাল ও গনিমতের মাল ভোগের বৈধতা দেয়া হয়েছিল অসভ্য বেদুয়ীনদের যুদ্ধে আনার জন্যই।

মক্কা-মদিনার মত স্বল্প পরিসরেই খেলাফত টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। প্রত্যেক খলিফাই নিজেদের কোন্দলে নিহত হয়েছিলেন।
দেড়হাজার বছর গেলেও ১০০ ভাগ মুসলিম প্রধান দেশেও খেলাফত রাষ্ট্র চালু করা সম্ভব হয়নি।
আর হবেও না। আপনার তো কোন আশা দেখছিনা।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিভাবে কিছু মুসলান ইসলামী কায়দায় দেশচালানোর কথা ভাবছেন কে জানে!

১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

নীলপরি বলেছেন: কিছু অজানা তথ্য জানলাম ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু মানুষ বর্তমান থেকে পালিয়ে বেড়ানোর কথা ভাবছেন।

১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাসায় নেট লাইনে খুব সমস্যা করছে। কোনো কাজই করা যাচ্ছে না।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে আপনার কি কি কাজ করতে হয়?

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: লিপ সার্ভিস হিসেবে অনেক কথাই বলা হয়.......

হ্যা, তবে এরদোগান তুরষ্কে হিজাবের অনুমতি দেয়া সহ অনেক কাজই করেছেন।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওসব দেশে হিজাবের দরকার; ওগুলো না ইউরোপিয়ান, না এশিয়ান

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: চাঁদগাজি ভাই দুঃখিত শেষ দুই লাইন ব্যেক্তিগত আক্রমন হয়ে গেছে !!! এই কারনে লজ্জায় দুই দিন ব্লগে আসি নাই । আমি দুঃখিত !!!

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মনে কিছু নিইনি; কথা সামান্য এদিক সেদিক হতে পারে; আমরা দীর্ঘ সময় এসব নিয়ে আলোচনা করছি; ফিল ফ্রি প্লীজ

১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব দেশ কি খিলাফতে গিয়ে স্হিতিশীল হবে, নাকি গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদে গিয়ে স্হিতিশীল হবে? - এ প্রশ্নের উত্তর কিছুটা আপনার প্রতিমন্তব্যেই পাওয়া গেছে।
তবে, গণতন্ত্র ঠিক আছে কিন্তু জাতীয়তাবাদ মানুষের মনন ও চিন্তাশক্তিকে সংকুচিত করে দেয় বলে মনে হয়।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হ্যাঁ, জাতীয়তাবাদ মানুষকে বৃহত্তর মানব সমাজ থেকে আলাদা করতে পারে, জাতীয়ভাবে কিছুটা স্বার্থপর করতে পারে ; তবে, নেতৃত্বহীন অবস্হায় ঐক্যের জন্য এটা একটি বড় উৎসাহ

১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মুসলিমদের পুনর্জাগরণ বলিতে বোঝাইতেছে মুসলিমদের নিজেদের বিশ্বাস , সংষ্কৃতি , চেতনা, আইন , শাসনবাবস্থা, সমাজবাবস্থা , অর্থনীতির দিকে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করাকে যাহা এতদিন পাশ্চ্যাত্য ও তাহাদের চশমা পড়া বুদ্ধুজীবী , লেখকদের ক্রমাগত অপপ্রচারের ফলে মুসলমানরা অবাস্তব মনে করিত, নিম্নমানের মনে করিত, আধুনিককালে অনুসরণ সম্ভব নহে মনে করিত। ইসলামকে ছাড়িয়া , হজরত মুহাম্মদ সাল্লালাহুআলাইহিসসালামের আদর্শ ও গুণাবলী অনুসরণ না করিয়া অমুকের আদর্শ , তমুক মনীষী, বিজ্ঞানী , রাজনৈতিক নেতার তত্ত্ব যাহারা অনুসরণ করিত বা করে , উহার জন্য জীবন উৎসর্গ করে বা করিতেছে তাহাদের অনুসরণ ছাড়িয়া হজরত মুহাম্মদ সাল্লালাহুআলাইহিসসালামের ও সাহাবা (রাঃ) দের আদর্শে , ঈমানী চেতনা, জীবন ও সংষ্কৃতিতে প্রত্যাবর্তনকেই ইসলামী পুনর্জাগরণ বলা যেতে পারে যাহা এখন কিছু কিছু দেখা যাইতেছে।

ইমাম মেহেদী (রঃ) আসার আগে আর খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হইবে না। তবে ইসলামী জীবনব্যাবস্থার উপর চলার চেষ্টা মুসলমানরা করিতে থাকিবে। ধর্ম ও জীবন রক্ষার জন্য যুদ্ধও করিতে থাকিবে।
গণতন্ত্র , সমাজতন্ত্র , কখনোই ইসলামের শাসনবাবস্থা নহে। গণতন্ত্রে জাতিকে মোটা দাগে বিভক্ত করা হয় , সমাজতন্ত্রে ব্যাক্তির সম্পদ লাভের অধিকার, ব্যাক্তি স্বাধীনতার অধিকার খর্ব হয়। বলিতে পারেন জবাবদিহিতামূলক কল্যাণমুখী একনায়কতন্ত্রই ইসলামের শাসনবাবস্থা। ইসলামের খেলাফত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বেও ছিল , তবে খেলাফায়ে রাশেদা আলী (রাঃ) শাহাদতের সাথে সাথে অবলুপ্ত হয়। হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর শাসন ব্যাবস্থাও কল্যাণমুখী ছিল। রাজতন্ত্রের আগমনের ব্যাপারে আগেই ভবিষ্যৎবাণী করা হইয়াছে। রাজতন্ত্র থাকিলেও ইসলামের ইতিহাসে বহু কল্যাণমুখী শাসকের দেখা পাওয়া যায়।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর শাসন ব্যাবস্থাও কল্যাণমুখী ছিল। রাজতন্ত্রের আগমনের ব্যাপারে আগেই ভবিষ্যৎবাণী করা হইয়াছে। রাজতন্ত্র থাকিলেও ইসলামের ইতিহাসে বহু কল্যাণমুখী শাসকের দেখা পাওয়া যায়। "

-মুয়াবিয়ার আমলে সেই এলাকার লোকের একটা ভালো তাঁবু ছিল? মানুষের যায়গা জমি ছিল? মানুষ কোথায় বাড়ীঘর করার মতো অবস্হানে ছিল? কেহ নাম লিখতে পারতেন? যার গায়ে শক্তি ছিল, সে সৈনিক হয়েছে, যুদ্ধ করে একদিন মরে গেছে। বাকী মানুষের কিছু ছিল বলে মনে হয় না।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা কি ভবিষ্যত বাণী করতে পারবে যে, এমন এক আমেরিকান আসবে, যিনি রাশিয়া ও চীনের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবেন? তা'হলে ইসলাম কিভাবে বলে, সামনে এক নেতা আসবেন? এগুলো ছিল আগের মানুষের জন্য ফ্যানটাশি, এখনকার ফ্যানটাসি অন্য গ্রহে চলে যাওয়া।

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬

গ্রীনলাভার বলেছেন: কোন তন্ত্র মন্ত্র খেলাফত কাজে আসবে না যতদিন একটি জাতিকে মূর্খ বানিয়ে রাখা যাবে। মনস্তত্ত্বই প্রধান অস্র।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে পরিকল্পিত উপায়ে অশিক্ষিত করে রেখে, "সস্তা শ্রমিক" হিসেবে বিক্রয় করছে সরকার ও আডম বেপারীরা; মানুষ গডে দৈনিক ১০ ঘন্টা কাজ করে খাদ্য যোগাড় করতে পারছে না; এদের জন্য ধর্ম, কর্ম সবই কঠিন

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: এই অস্হিতিশীলতা থেকে এসব দেশ কি খিলাফতে গিয়ে স্হিতিশীল হবে, নাকি গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদে গিয়ে স্হিতিশীল হবে?
এটা আমারো প্রশ্ন!

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার ধারণা, সভ্যতা আগের ইতিহাসকে কাজে লাগিয়ে নতুন জীবন খুঁজছে, পেছনে যাবার পথ বন্ধ হয়ে যায় সভ্যতার জন্য

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যতদিন পর্যন্ত না ইসলামী দনিয়ার মানুষ নীজেদের সত্যিকার ভালটা বুঝতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত বিভিন্ন কায়েমী স্বার্থবাদীগন খেলামতের বিভিন্ন ধরনের তাত্বিক কথামালায় রাজনীতির মাঠে থাকবেই ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ইবাদত করে, ভালো সঠিক জীবন যাপন করে, ব্যক্তির পরকালের জন্য তৈরি হতে সাহায্য করতে পারে; আধুনিক রাস্ট্রের মানুষের অধিকার সংরক্ষাণ, দেশ পরিচালনা, অর্থনীতি, টেকনোলোজিক্যাল অগ্রগতি, আন্তর্জাতিক সহ-অবস্হানে সাহায্য করার মতো কোন দক্ষতা গড়ে তুলতে সাহায্য করার কথা নয়, মনে হয়

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

মিস্ত্রি সর্দার উরফে বিরাট বিশাল ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: :-*

২২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে নতুন আঙ্গিকে নতুন ভাবে নতুন চিন্তা নতুন রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে। এটাই আমার মত। খেলাফত টেরাফত নয়। নতুন পদ্ধতি। নতুন আইন নিয়ে সাথে থাকবে আল্লার উপদেশ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন চিন্তা, নতুন রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে পৃথিবী, সেটার সাথে ইসলামের মিল নেই; ইসলাম এবাদতে আছে, ধর্ম পালনের মাঝে আছে।

২৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমেরিকা কি ভবিষ্যত বাণী করতে পারবে যে, এমন এক আমেরিকান আসবে, যিনি রাশিয়া ও চীনের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবেন? তা'হলে ইসলাম কিভাবে বলে, সামনে এক নেতা আসবেন? এগুলো ছিল আগের মানুষের জন্য ফ্যানটাশি, এখনকার ফ্যানটাসি অন্য গ্রহে চলে যাওয়া।

হাদিসের ভবিষ্যৎবাণী সাইন্স ফিক্শন নহে! যাহাদের কাছে ইহা ফ্যান্টাসি মনে হয় তাহাদের আমি কি বলিয়া ডাকি তাহা আপনার জানা আছে ! আমার কাছে আপনার যে সম্মানের আসন আছে আপনি তাহা নিজেই ধূলিস্যাৎ করিতেছেন !

আমেরিকার , চীনের কোনো লোকের ভবিষ্যৎবাণী আর হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিসসাল্লামের ভবিষ্যৎবাণী কি সমান হইতে পারে ! আপনার মন্তব্যে এসব গার্বেজ দেখিতেছি কেন ?

আপনি নিজেই স্বীকার করিয়াছেন ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কম। তাহা হইলে অল্প জ্ঞান লইয়া আবালদের মতন মন্তব্য করেন কেন ? ইহা কি আপনার মতন সম্মানিত ব্লগারের শোভা পায়?

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার সন্দেহ হচ্ছে, আমাদের রসুলের নামে, অনেক লোক অনেক কিছু যোগ করে দিচ্ছেন; উনার শিক্ষা, উনার সময়, মুসলমানদের ধর্মীয় সংঠন, একাডেমী ও বর্তমান মুসলমানদের বিভক্তি, অনেক কিছু মিলছে না।

২৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মুয়াবিয়ার আমলে সেই এলাকার লোকের একটা ভালো তাঁবু ছিল? মানুষের যায়গা জমি ছিল? মানুষ কোথায় বাড়ীঘর করার মতো অবস্হানে ছিল? কেহ নাম লিখতে পারতেন? যার গায়ে শক্তি ছিল, সে সৈনিক হয়েছে, যুদ্ধ করে একদিন মরে গেছে। বাকী মানুষের কিছু ছিল বলে মনে হয় না।

আপনার ইসলামী ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা হাঁটুর কাছে ! দয়া করিয়া ইতিহাস পড়ুন !

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলুন, সেই সময় মক্কা ও মদীনায় কি ছিল? মক্কা ও মদীনায় কেন রোমান, গ্রীক ও পারসিকরা যায়নি?

আপনি বলুন মুসলমানরা মদীনার মালিক কি করে হলেন? সেখানে যদি চাষবাস হতো, যদি সম্পদ থাকতো, দামেস্ক, জেরুযালেম বা আলেকসান্দ্রিয়ার মতো যুদ্ধ হতো না সেখানে?

২৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ইতিহাসের চাকা পেছনের দিকে ঘুরে না, তা ভুল হোক কি শুদ্ধ, সামনেই এগিয়ে যায়.............

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



শিক্ষার অভাবে কিছু মুসলিম এগুলো না বুঝে বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করছেন।

২৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৫৭

মিঃ আতিক বলেছেন: খিলাফত আসবে কি আসবেনা এটা সময় বলে দিবে, তবে যারা নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিতে পছন্দ করেন তাদের এ ব্যাপারে ইতিবাচক ধারনাই শ্রেয়। তবে এই এস বা ওআহাবি, শিয়া দের হাত ধরে খেলাফত আসবেনা এটা নিশ্চিত।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


খিলাফত চালানো হয়েছিল কিছু ইমোশানেল নিয়ম কানুন দিয়ে, এবং সামন্তবাদ ধরণের রাজতন্ত্রে; এখন বিশ্ব এমন কমপ্লেক্স যেখানে সায়েন্টিফিক নিয়ম কানুন ব্যতিত টিকে থাকা অসম্ভব হবে। আপনি কার্ড খেলতে বসলে, বাকী ৩ জনের সাথে মিল রেখে খেলতে হবে

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

বক বলেছেন: "লেখক বলেছেন: আমেরিকা কি ভবিষ্যত বাণী করতে পারবে যে, এমন এক আমেরিকান আসবে, যিনি রাশিয়া ও চীনের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবেন? তা'হলে ইসলাম কিভাবে বলে, সামনে এক নেতা আসবেন? এগুলো ছিল আগের মানুষের জন্য ফ্যানটাশি, এখনকার ফ্যানটাসি অন্য গ্রহে চলে যাওয়া"


সূরা রূমে আল্লাহপাক ঘোষনা দিয়ে তৎকালীন সুপার পাওয়ার পারস্যকে পরাজিত করেছিলেন দুর্বল রোমানদের দ্বারা। এগুলো দলিল সমৃদ্ধ ইতিহাস। মুসলমানদের দাবী বা প্রচারনা নয়। তারপরও মানুষের চোখ খুলে না- আফসোস।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১.) আলিফ-লাম-মীম।
২.) রোমানরা নিকটবর্তী দেশে পরাজিত হয়েছে এবং নিজেদের এ পরাজয়ের পর কয়েক বছরের মধ্যে তারা বিজয় লাভ করবে।
৩.) ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আগেও আল্লাহরই ছিল। পরেও তাঁরই থাকবে।

উপরের আয়াতগুলো সূরা রূম থেকে নেয়া।

এখানে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ঃ “নিকটবর্তী দেশে রোমানরা পরাজিত হয়েছে কিন্তু এ পরাজয়ের পর কয়েক বছরের মধ্যেই আবার তারা বিজয়ী হবে।” এর মধ্যে একটির পরিবর্তে দুটি ভবিষদ্বাণী করা হয়েছে।

একটি হচ্ছে , রোমানরা জয়লাভ করবে
এবং
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, মুসলমানরাও একই সময় বিজয় লাভ করবে।

আপাতদৃষ্টিতে এ দুটি ভবিষদ্বাণীর কোন একটিরও কয়েক বছরের মধ্যে সত্যে পরিণত হবার কোন দূরতম সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছিল না। একদিকে ছিল মুষ্টিমেয় কয়েকজন মুসলমান। তারা মক্কায় নির্যাতিত হয়ে চলছিল। এ ভবিষদ্বাণীর পরও আট বছর পর্যন্ত কোন দিক থেকে তাদের বিজয় লাভের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না।

অন্যদিকে রোমের পরাজয়ের বহর দিনের দিন বেড়েই চলছিল। ৬১৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র মিশর পারস্য সাম্রাজ্যের অধীনে চলে এসেছিল। অগ্নি উপাসক সেনাদল ত্রিপোলির সন্নিকটে পৌঁছে তাদের পতাকা গেড়ে দিয়েছিল । এশিয়া মাইনরে ইরানী সেনাদল রোমানদের বিতাড়িত ও বিধ্বস্ত করতে করতে বসফোরাস প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছিল। ৬১৭ সালে তারা কনস্ট্যান্টিনোপলের সামনে খিলকদুন (chalcedon:বর্তমানে কাযীকোই) দখল করে নিয়েছিল। কায়সার খসরুর কাছে দূত পাঠিয়ে অত্যন্ত বিনয় ও দীনতা সহকারে আবেদন করলেন, আমি যে কোন মূল্যে সন্ধি করতে প্রস্তুত।কিন্তু তিনি জবাব দিলেনঃ “ এখন আমি কায়সারকে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবো না যতক্ষণ না তিনি শৃঙ্খলিত অবস্থায় আমার সামনে হাজির হন এবং তাঁর শূলী বিদ্ধ ঈশ্বরকে ত্যাগ করে অগ্নি খোদার উপাসনা করেন।”

অবশেষে কায়সার এমনই পরাজিত মনোভাব সম্পন্ন হয়ে পড়লেন যে, তিনি কনস্ট্যান্টিনোপল ত্যাগ করে কার্থেজে (carthage:বর্তমান টিউনিস ) চলে যাবার পরিকল্পনা করলেন। মোটকথা ইংরেজ ঐতিহাসিক গীবনের বক্তব্য অনুযায়ী কুরআন মাজীদের এ ভবিষদ্বাণীর পরও সাত আট বছর পর্যন্ত এমন অবস্থা ছিল যার ফলে রোমানরা ইরানীদের ওপর বিজয় লাভ করবে এ ধরনের কোন কথা কোন ব্যক্তি কল্পনাও করতে পারতো না । বরং বিজয় তো দূরের কথা তখন সামনের দিকে এ সাম্রাজ্য আর টিকে থাকবে এ আশাও কারো ছিল না।

কুরআন মাজীদের এ আয়াত নাযিল হলে মক্কার কাফেররা এ নিয়ে খুবই ঠাণ্ডা বিদ্রুপ করতে থাকে। উবাই ইবনে খালফ হযরত আবু বকরের (রা) সাথে বাজী রাখে। সে বলে, যদি তিন বছরের মধ্যে রোমানরা জয়লাভ করে তাহলে আমি তোমাকে দশটা উট দেবো অন্যথায় তুমি আমাকে দশটা উট দেবে। নবী (সা) এর বাজীর কথা জানতে পেরে বলেন, কুরআনে বলা হয়েছে ‘ফী বিদ্বঈসিনিন’ আর আরবী ভাষায় ‘বিদঈ’ শব্দ বললে দশের কম বুঝায়। কাজেই দশ বছরের শর্ত রাখো এবং উটের সংখ্যা দশ থেকে বাড়িয়ে একশো করে দাও। তাই হযরত আবু বকর (রা) উবাইর সাথে আবার কথা বলেন এবং নতুনভাবে শর্ত লাগানো হয় যে, দশ বছরের মধ্যে উভয় পক্ষের যার কথা মিথ্যা প্রমাণিত হবে সে অন্যপক্ষকে একশোটি উট দেবে।

(উপরের অংশটুকু এখানে থেকে নেয়া)

তখন পারস্য এখনকার ইসরাইল আমেরিকা থেকে অপতিরোধ্য ছিল। সেটার ধ্বংশ আল্লাহ পাক করেছিলেন ঘোষনা দিয়েই।

কিভাবে ঘটেছিল সেই পরাজয়? তবে এটুকু এখন বলে রাখি , সেটা ঘটানোর জন্য আল্লাহ পাক কোন ফেরেস্তাও পাঠাননি কিংবা অলৌকিক ঘটনাও ঘটাননি। আমরা আমাদের আটপৌর জীবনের সচরাচর যেসব ঘটনা দেখি - তাই ঘটেছিল।

তবে ঘটনা যেভাবেই ঘটুক- অবিশ্বাসী রা তাদের পর্দা পড়া চোখে ত্রুটি দেখবেই-
যদি অতি স্বাভাবিকভাবে হয়- বলবে এতে আল্লাহ পাকের কি ভূমিকা পেলেন?
আর যদি অলৌকিক ভাবে হয়- বলবে মধ্যযুগে পড়ে আছেন

সূরা রূমে আল্লাহপাক ঘোষনা দিয়ে তৎকালীন সুপার পাওয়ার পারস্যকে পরাজিত করেছিলেন দুর্বল রোমানদের দ্বারা। এগুলো দলিল সমৃদ্ধ ইতিহাস। মুসলমানদের দাবী বা প্রচারনা নয়। তারপরও মানুষের চোখ খুলে না- আফসোস।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
১.) আলিফ-লাম-মীম।
২.) রোমানরা নিকটবর্তী দেশে পরাজিত হয়েছে এবং নিজেদের এ পরাজয়ের পর কয়েক বছরের মধ্যে তারা বিজয় লাভ করবে।
৩.) ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আগেও আল্লাহরই ছিল। পরেও তাঁরই থাকবে।

উপরের আয়াতগুলো সূরা রূম থেকে নেয়া।

এখানে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়ঃ “নিকটবর্তী দেশে রোমানরা পরাজিত হয়েছে কিন্তু এ পরাজয়ের পর কয়েক বছরের মধ্যেই আবার তারা বিজয়ী হবে।” এর মধ্যে একটির পরিবর্তে দুটি ভবিষদ্বাণী করা হয়েছে।

একটি হচ্ছে , রোমানরা জয়লাভ করবে
এবং
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, মুসলমানরাও একই সময় বিজয় লাভ করবে।

আপাতদৃষ্টিতে এ দুটি ভবিষদ্বাণীর কোন একটিরও কয়েক বছরের মধ্যে সত্যে পরিণত হবার কোন দূরতম সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছিল না। একদিকে ছিল মুষ্টিমেয় কয়েকজন মুসলমান। তারা মক্কায় নির্যাতিত হয়ে চলছিল। এ ভবিষদ্বাণীর পরও আট বছর পর্যন্ত কোন দিক থেকে তাদের বিজয় লাভের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না।

অন্যদিকে রোমের পরাজয়ের বহর দিনের দিন বেড়েই চলছিল। ৬১৯ সাল পর্যন্ত সমগ্র মিশর পারস্য সাম্রাজ্যের অধীনে চলে এসেছিল। অগ্নি উপাসক সেনাদল ত্রিপোলির সন্নিকটে পৌঁছে তাদের পতাকা গেড়ে দিয়েছিল । এশিয়া মাইনরে ইরানী সেনাদল রোমানদের বিতাড়িত ও বিধ্বস্ত করতে করতে বসফোরাস প্রণালীতে পৌঁছে গিয়েছিল। ৬১৭ সালে তারা কনস্ট্যান্টিনোপলের সামনে খিলকদুন (chalcedon:বর্তমানে কাযীকোই) দখল করে নিয়েছিল। কায়সার খসরুর কাছে দূত পাঠিয়ে অত্যন্ত বিনয় ও দীনতা সহকারে আবেদন করলেন, আমি যে কোন মূল্যে সন্ধি করতে প্রস্তুত।কিন্তু তিনি জবাব দিলেনঃ “ এখন আমি কায়সারকে ততক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবো না যতক্ষণ না তিনি শৃঙ্খলিত অবস্থায় আমার সামনে হাজির হন এবং তাঁর শূলী বিদ্ধ ঈশ্বরকে ত্যাগ করে অগ্নি খোদার উপাসনা করেন।”

অবশেষে কায়সার এমনই পরাজিত মনোভাব সম্পন্ন হয়ে পড়লেন যে, তিনি কনস্ট্যান্টিনোপল ত্যাগ করে কার্থেজে (carthage:বর্তমান টিউনিস ) চলে যাবার পরিকল্পনা করলেন। মোটকথা ইংরেজ ঐতিহাসিক গীবনের বক্তব্য অনুযায়ী কুরআন মাজীদের এ ভবিষদ্বাণীর পরও সাত আট বছর পর্যন্ত এমন অবস্থা ছিল যার ফলে রোমানরা ইরানীদের ওপর বিজয় লাভ করবে এ ধরনের কোন কথা কোন ব্যক্তি কল্পনাও করতে পারতো না । বরং বিজয় তো দূরের কথা তখন সামনের দিকে এ সাম্রাজ্য আর টিকে থাকবে এ আশাও কারো ছিল না।

কুরআন মাজীদের এ আয়াত নাযিল হলে মক্কার কাফেররা এ নিয়ে খুবই ঠাণ্ডা বিদ্রুপ করতে থাকে। উবাই ইবনে খালফ হযরত আবু বকরের (রা) সাথে বাজী রাখে। সে বলে, যদি তিন বছরের মধ্যে রোমানরা জয়লাভ করে তাহলে আমি তোমাকে দশটা উট দেবো অন্যথায় তুমি আমাকে দশটা উট দেবে। নবী (সা) এর বাজীর কথা জানতে পেরে বলেন, কুরআনে বলা হয়েছে ‘ফী বিদ্বঈসিনিন’ আর আরবী ভাষায় ‘বিদঈ’ শব্দ বললে দশের কম বুঝায়। কাজেই দশ বছরের শর্ত রাখো এবং উটের সংখ্যা দশ থেকে বাড়িয়ে একশো করে দাও। তাই হযরত আবু বকর (রা) উবাইর সাথে আবার কথা বলেন এবং নতুনভাবে শর্ত লাগানো হয় যে, দশ বছরের মধ্যে উভয় পক্ষের যার কথা মিথ্যা প্রমাণিত হবে সে অন্যপক্ষকে একশোটি উট দেবে।

(উপরের অংশটুকু এখানে থেকে নেয়া)

তখন পারস্য এখনকার ইসরাইল আমেরিকা থেকে অপতিরোধ্য ছিল। সেটার ধ্বংশ আল্লাহ পাক করেছিলেন ঘোষনা দিয়েই।

কিভাবে ঘটেছিল সেই পরাজয়? তবে এটুকু এখন বলে রাখি , সেটা ঘটানোর জন্য আল্লাহ পাক কোন ফেরেস্তাও পাঠাননি কিংবা অলৌকিক ঘটনাও ঘটাননি। আমরা আমাদের আটপৌর জীবনের সচরাচর যেসব ঘটনা দেখি - তাই ঘটেছিল।

তবে ঘটনা যেভাবেই ঘটুক- অবিশ্বাসী রা তাদের পর্দা পড়া চোখে ত্রুটি দেখবেই-
যদি অতি স্বাভাবিকভাবে হয়- বলবে এতে আল্লাহ পাকের কি ভূমিকা পেলেন?
আর যদি অলৌকিক ভাবে হয়- বলবে মধ্যযুগে পড়ে আছেন

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


খলীফা ওসমানের সময়ে এসব কাহিনী লিখা হয়েছে, তখনকার মানুষ রূপকথায় বিশ্বাস করতেন; গ্রীক ধর্ম ১০০% রূপকথা ছিলো, বাকী ধর্মগুলোতে ৫০% রূপকথা আছে; হিন্দু ধর্মে রূপকথা ৮০% ভাগ।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

বক বলেছেন: লেখক বলেছেন: "খলীফা ওসমানের সময়ে এসব কাহিনী লিখা হয়েছে"

আশা করি কোরআন কখন নাজিল হয়েছে তা আপনি জানেন। ইতিহাসবিদরা তৎকালীন ঘটনা ভালভাবেই জানে। আপনি সত্য জানতে চাইলে একটু সময় দিননা। হয়তো এটা আপনার জীবনের সবচেয়ে সেরা সময় বিনিয়োগ হতে পারে। আর যদি তা করতে না চান বা আগ্রহ না হয় তাহলে দু:খ নিয়ে বলতে হয়

"তবে ঘটনা যেভাবেই ঘটুক- অবিশ্বাসী রা তাদের পর্দা পড়া চোখে ত্রুটি দেখবেই-
যদি অতি স্বাভাবিকভাবে হয়- বলবে এতে আল্লাহ পাকের কি ভূমিকা পেলেন?
আর যদি অলৌকিক ভাবে হয়- বলবে মধ্যযুগে পড়ে আছেন বা এটি রূপকথা"

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আরবের উটের রাখালরাই ততকালীন ইতিহাস বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.