নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যক্তিগত দান খয়রাত দারিদ্রতা বিমোচনে যথেষ্ট নয়

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪



সরকার যখন তার সব নাগরিকের ভার নিচ্ছে না, তখন সামর্থবান নাগরিকেরা ছিটেফোটা ২ পয়সা দিয়ে দরিদ্রদের সাময়িকভাবে ২/৪ দিন বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য করতে পারে; তবে, এটা সমাধান নয়; লাখে ২/৪ জন ভিক্ষুক হয়তো স্ভাবাবিক জীবনে ফিরে যেতে পেরেছে, বাকীরা ভিক্ষুক হিসেবে জীবন যাপন করেছে।

বাংলাদেশে দারিদ্রতা রয়ে গেছে সরকারগুলোর সম্পদ লুন্ঠন ও অসম বন্টনের কারণে; ৪৬ বছর বয়সী কোন বাংগালী অশিক্ষিত, দক্ষতাহীন ও বেকার থাকার কথা নয়। বেগম জিয়ার ২ ছেলে, ২ ভাই, ১ বোন ধনী হতে গিয়ে লাখ লাখ মানুষকে দরিদ্র করে ছেড়েছে। বসুন্ধরা হাজার হাজর মানুষকে ভুমিহীন করে আমেরিকান ডলারে বিলিওনিয়ার হয়েছে। আফতাব নগরে হাজার পরিবারের জমি কেড়ে নিয়ে জহুরুল ইসলামরা বিলিওনিয়ার হয়েছে। আলম ব্রাদার্স ও মাওলানা ব্রাদার্স চট্টগ্রামের বিশাল পরিমাণ ভুমি কিনে নিয়েছে ব্যাংকের টাকা ব্যবহার করে; ব্যাংক একজন সাধারণ মানুষকে ভুমি কিনতে টাকা ঋণ দেয় না।

বেগম জিয়ার পরিবার, বসুন্ধরা, আফতাব গোস্ঠী, আলম ব্রাদার্সের দান খয়রাতের ফলে, ক্ষতিগ্রস্তদের কয়জন লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা? আসলে কোন সম্ভাবনা নেই।

দান খয়রাত আসলে কোন রকম পরিকল্পিত ফাইন্যানসিয়াল ব্যবস্হা নয়; এগুলো মানুষের সামান্য বদান্যতা মাত্র, যা আধুনিক ফাইন্যানসিয়াল সিস্টেমে কোনভাবে সমাজের উপর প্রভাব ফেলবে না। মানুষকে দান খয়রাত করার জন্য উৎসাহিত করে কোন লাভ নেই; দরকার পরিকল্পিত উপায়ে, নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে প্রতিস্ঠিত করে, দারিদ্রতার বিমোচন ঘটানো।

দান খয়রাত ছিলো, এখনো আছে; খারাপ সরকার ও অসম বন্টন ব্যবস্হা থাকলে, দান খয়রাত আজীবন থাকবে।






মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

ওমেরা বলেছেন: জী এটা এটা সত্য কথা ব্যক্তিগত দানে দারিদ্র বিমোচন হয় না ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই যুগে ব্যক্তিগত দান খয়রাত মানুকে ভিক্ষুক হয়ে থাকতেই সহায়তা করবে, এর বেশী কিছু নয়; মানুষের মৌলিক অধিকারের উন্নয়নই সঠিক পথ

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

নীলপরি বলেছেন: দান কখনোই স্থায়ী সমাধান নয় । একমত ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ যাদেরকে দান করছেন, তাদেরকে তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিস্ঠায় সহায়তা করা দরকার।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কথা ঠিক। তয় শুধু বিরোধীদলকে আঘাত সরকারী দল কী ধোয়া তুলসী পাতা?







ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখানে বিরোধীদলটা কে?

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনারে আর কি কমু ?

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাকে আর কি বলবেন; শুধু বুঝতে হবে যে, দরিদ্রদের পক্ষ নিয়ে লড়তে হবে, কাজ করতে হবে।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

রানা আমান বলেছেন: একমত ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওকে

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

আল ইফরান বলেছেন: মানুষের মধ্যে বদ্ধপরিকর ধারনা জন্মে গেছে যে কোনভাবে টাকা উপার্জন করে কিছু সেইটা থেকে কিছু দান-সাদকা (মসজিদ/মাদ্রাসাতে) করে দিলেই হারাম পয়সা হালাল হয়ে যাবে।
আর রাস্ট্রীয় পর্যায়ে দূর্বৃত্তায়ন নিরসন না করে এই ব্যাক্তিগত পর্যায়ে খুচরা দান-খয়রাত এই পুজিবাদী অর্থ-ব্যবস্থার মধ্যে কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসবে না।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লুটেরাদের অনেকেই বেশ দান খয়রাত করে; ঈদের সময় খয়রাতের কাপড় আনতে গিয়ে দরিদ্ররা প্রানও হারয়েছে।

জাতির কাছে সম্পদ আছে, মানুষকে সেই সম্পদের সঠিক অংশ দিলে মানুষ ভালো করতে পারবে।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

সালমান মাহফুজ বলেছেন: সিস্টেমটা যখন ব্যক্তিকেন্দ্রিক ; তখন সেখানে গুটিকয়েক ব্যক্তিরই মুক্তি সম্ভব । কিন্তু সামষ্টিক মুক্তির জন্য যারা কাজ করবে তারাতো দিনে দিনে খালি ক্ষয়েষ্ণু অবস্থার দিকে যাচ্ছে !

অল্পকথায় ভালো একটা সংকটকে সামনে নিয়ে এলেন । লেখককে অভিনন্দন ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক ব্যক্তির ১টা মাথা ও ২টি হাত মাত্র।

সরকারকে এমনভাবে চালানোর দরকার যাতে প্রতিটি নাগরিক উপকৃত হতে পারে।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঠিকমত ট্যাক্স নি‌য়ে বেকার ভাতা, দ‌রিদ্র ভাতা চালু করা যে‌তে পা‌রে। ত‌বে মন্ত্রী, স‌চিব দুর্নী‌তিবাজ হ‌লে এসব কাজ করা যায় না।
একজন ব্য‌ক্তির এ‌কের অ‌ধিক বা‌ড়ি থাকা জরুরী কিনা ভাবার সময় এ‌সে‌ছে...

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সবার বাসস্হানের নিশ্চয়তা দিতে হলে, শহরের মানুষকে সরকারী প্ল্যানের অধীনে ফ্ল্যাট দিতে হবে; পারিনবারিক একটার বেশী বাড়ী করার মত ভুমি আমাদের নেই।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ঠিক কথা সহমত ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


একই মতের অনেক লোকই আছি আমরা বাংলাদেশে।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমরা একই থা‌কি। ত‌বে যারা নেতৃ‌ত্বে যায় তারা গতানুগ‌তিক ধারা থে‌কে বের হ‌তে পা‌রে না...
রাজধানী সহ অ‌নেক শহ‌রে অ‌নে‌কের এ‌কের অ‌ধিক বা‌ড়ি, জ‌মি আ‌ছে...

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষকে যদি জাতির সম্পদ, ফাইন্যান্স, মালিকানা সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায়, মানুষ সরকার ও নেতাদের বুঝতে পারবেন।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

আবদুল মমিন বলেছেন: শত কোটি টাকার মালিক হয়েও যখন অভাব যায়না তখন ছিটেফোঁটা দান কি আর দারিদ্রতা দূর করতে পারে ? আসলে সমাজ থেকে অর্থনৈতিক দারিদ্রতা দূর করার আগে আমার মনে হয় আমাদের মানসিক দারিদ্রতা দূর করতে হবে ।

এখন ও আমাদের যুবক রা যানেনা তারা যুবক তারা সুধু যানে তারা পুরুশ , যেটা শুধু জনসংখ্যা বাড়ানোর কাজে লাগে ।

দশম শ্রেণী শেষ করার আগেই একটা যুবকের মাথায় বাজ পড়তে থাকে সে এখন কি করবে ?
আসলে দশম শ্রেণী থেকেই আমাদের যুবক দের মৃত্যু শুরু হয়ে যায় চাই সে মাদ্রাসায় পড়ুয়া হোক বা ইস্কুল কলেজে পড়ুয়া হোক ।

দারিদ্রতা দুরিকরনে রাষ্ট্রকেই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে , যুবকদের কে টেকনলজীকাল শিক্ষায় শিক্ষিত করে নিতে হবে , কর্ম মুখি শিক্ষা বেবস্থা গ্রহন করতে হবে , কর্মকেই তার শিক্ষার সাবজেক্টে রুপান্তরীত করতে হবে , তার পর ভাবা যেতে পারে আমি এখন কি করব ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আধুনিক টেকনোলোজিক্যাল ফাইন্যান্সে ভালো করার একমাত্র উপায় নতুন টেকনোলোজীতে দক্ষতা; ১০ ম শ্রেণীর পর, প্রত্যেককে একটা টেকনিক্যাল দক্ষতার জন্য ট্রেনিং দেয়া সম্ভব।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: দান খয়রাত হুজুরদের ভিক্ষাবৃত্তির জন্য প্রবর্তিত হয়েছিলো। কারণ ধর্ম প্রবর্তকরা জানতো এরা জম কুঁড়ে হবে। এদের কোন মেধা জ্ঞান নাই। ধর্ম প্রচারের জন্য এসব অলস প্রকৃতির মানুষের প্রয়োজন, যারা সারাদিন বসে আড্ডা দিবে আর ধর্মের বকবকানী বকতে থাকবে। তাই তাদের জীবিকার একটা পথ করে দেবার জন্য ধর্মে দান খয়রাতকে সংযোজন করা হয়েছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মগুলোর ফাইন্যান্স বলতে কিছু ছিলো না; ধর্মের গুলোর শুরুর সময় মানুষ দরিদ্র ছিলো, দান খয়রাতের বাহিরে নতুন কিছু সেই যুগের লোকেরা জানতো না।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১২

স্বতু সাঁই বলেছেন: মহাভারত পড়লেই বোঝা যায় ব্রাহ্মণরা কোন কাজ করতো না তাই তাদের জীবিকার পথ ছিলো ভিক্ষাবৃত্তি। ত্রিপিটকেও ভিক্ষুদের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি। ইসলামেও ইসলাম প্রচারের জন্য ভিক্ষাবৃত্তির জন্য দান খয়রাতের কথা এবাদতের চেয়ে বেশী বলা হয়েছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভয়ংকর দরিদ্র যুগে ধর্মগুলো এসেছিল, ভিক্ষা ব্যতিত অন্য পথ খোলা ছিলো না।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এক টাকা দান করলে ৭০ টাকার সওয়াব পাওয়া যাবে। উন্নতি হোক আর নাই হোক।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকার মানুষের প্রাপ্য অধিকার না দেয়াতে বিপুল পরিমান মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে; ভিক্ষা ইত্যাদি মানুষকে জীবন থেকে বন্চিত করছে।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:১১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভিক্ষাবৃত্তি উঠায় দেওয়া উচিৎ। ভিক্ষার জন্য মানুষ পঙ্গু হয়

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কয়েক লাখ বয়স্ক মানুষের কোন আয় নেই

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২৯

সনেট কবি বলেছেন: ১০০ ভাগ সঠিক কথা বলেছেন।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্যক্তির দান খয়রাতে একজন মানুষ ভিক্ষুকের জীবন যাপন করে বাঁচতে পারবে; কিন্তু এটা মানুষের জীবনের স্বপ্ন নয়।

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: দারুন একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নাগরিকদের অধিকার, আধুনিক ফাইন্যান্স, এসব বুঝার দরকার আছে; দরিদ্রদের জীবনের মানোন্নয়নের দরকার।

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অতি মুল্যবান বক্তব্য সম্বলিত পোষ্ট, সহমত ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার অতি দরিদ্রের নাগরিকই মনে করে না, মানুষের দান খয়রাতের উপর এদের বাঁচতে হচ্ছে!

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মিঃ আতিক বলেছেন: আপনি বলছেনঃ আমাদের পর্যাপ্ত জমি নেই
শুধু পরিকল্পনার অভাবে এমন হচ্ছে, ঢাকা শহরের যতটুকু এরিয়া নিয়ে দের কোটি লোক বাস করছে সতকরা হিসেবে এর ২০ ভাগ জমি ব্যাবহার করে এই পরিমান লোকের বাসস্থান করা সম্ভব।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ নিজের ইচ্ছা মতো শহরগুলো বানাচ্ছে; সরকারের পরিকল্পনাকারীরা সামান্য ঘুষের বিনিময়ে যা ইচ্ছা তা করতে দিচ্ছে। সরকার প্লট দিচ্ছে যাদের টাকা আছে তাদেরকে। সেসব লোক যা পারছে তাই করছে।

২০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১০

প্রামানিক বলেছেন: দান খয়রাত আসলে কোন রকম পরিকল্পিত ফাইন্যানসিয়াল ব্যবস্হা নয়; এগুলো মানুষের সামান্য বদান্যতা মাত্র, যা আধুনিক ফাইন্যানসিয়াল সিস্টেমে কোনভাবে সমাজের উপর প্রভাব ফেলবে না।

কথা সত্য

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের সম্পদ লুট করে, তাদের অধিকার না দিয়ে, দেয়া হচ্ছে খয়রাত!

২১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৫১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে পরিমাণ টাকা সুইস ব্যাংক আর মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম - এ আছে, এগুলো এখানে নিয়ে এসে ট্যাক্স আদায় করে অতি দরিদ্রদের জন্য পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তোলা যায়...

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা বিদেশে টাকা নিয়ে গেছে, এরা ভয়ংকর অপশক্তি; এরা মনে হয়, সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসনে আছে; এদের থেকে কিছু ফেরত নেয়ার জন্য অনেক কিছু বদলে যেতে হবে

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:১৮

বজ্রকুমার বলেছেন: তবে কি বলতে হবে 'বেঁচে থাকুক দান খয়রাত' কারণ কুকুরের লেজতো আস্ত একটা ইতিহাস।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষের শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নিয়ে, তাকে দান খয়রাত দিনে কোন কাজ হবে না, অশিক্ষিত মানুষ দরিদ্র হয়েই থাকবে।

২৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কাউকে মাছ না দিয়ে শিখিয়ে দিতে হবে কীভাবে মাছ ধরতে হয়। সমাজ-রাষ্ট্র নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা-ভাবনা ক'জন করে? দু-চার পয়সা দান করলে লোকে ভালো বলবে; এ উদ্দেশ্যেই বেশিরভাগ দান করে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক মানুষের নামের সাথে টাইটেল আছে "দানবীর", ভিক্ষুক কিন্তু থেকেই যাচ্ছে; সরকারের কাজ মানুষের পক্ষে পুরোটা করা সম্ভব নয়।

২৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখনকার দান খয়রাত হচ্ছে লোক দেখানো। অনেকটা 'গরু মেরে জুতা দান' অবস্থা।
বেশির ভাগ দাতা ভন্ড, এরা দারিদ্র বিমোচনের জন্য নয়, প্রচারের জন্য দান করে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন যারা বড় আকারে লোক দেখানো যাকাত দেয়, এরাই জাতির সম্পদ লুন্ঠনকারী

২৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: দান বা খয়রাত যাই বলি না কেন এই সবই ভিক্ষাবৃত্তি কে উৎসাহিত করে , কিছু লোক আছে দান খয়রাত করে নিজেদের কে প্রমানের চেষ্টা করে আর কিছু লোক সমাজকে মুখাপেক্ষী করে রাখার জন্য সাময়িক দান বা খয়রাত করে, সমাজ উন্নয়নে দান বা খয়রাত কোন কাজে আসে না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


দান খয়রাতগুলো একটা নিরপেক্ষ সংস্হার মাধ্যমে সংগ্রহ করে, দরিদ্ড় ভাতা, শিক্ষা ও চাকুরী সৃস্টিতে ব্যবহার সম্ভব; ব্যক্তিগত দান খয়রাত ২/৪ দিনের জন্য কাজে লাগে মাত্র।

২৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভিক্ষা দানে দারিদ্র বিমোচন হয় না কিছু মানুষ হয়ত ভাল থাকে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক অসাধু লোক গরীব লোকদের এবং বাচ্চাদের হাত পা কেটে ভিক্ষায় বসিয়ে টাকা ইনকাম করছে। পত্রিকায় এগুলো নিয়ে অনেক লেখা লেখি হয়েছে, অপরাধিরা ছাড়া পেয়েছে বন্ধ হয় নি। যাইহোক মোট কথা দান খয়রাতে দারিদ্র বীমোচন করে না বরং কিছু মানুষ যারা ভাল খেতে পারে না তারা ভালমন্দ খায় মাঝে মধ্যে এটা স্থায়ী সমাধান নয় ! ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না এতে।
কর্ম পরিবেশ নিশ্চিন্ত করলে ভিক্ষাবিত্তি কমে আসত সাথে ভিক্ষাকে কেন্দ্র করে যেই অপকর্ম গুলো করে অপরাধী চক্র তৎপর তাদের দৌরাত্বও কমত। সাথে আমাদের দেশে সব মানুষের জন্য চিকিৎসা ইনসুরেন্স, বেকার বাতা, সরকারি বেসকারি সব চাকরিজীবীদের জন্য পেনশোনের সুবিদা নিশ্চিন্ত করা দরকার। প্রয়োজনে সবার মাসিক বেতন থেকে একটা নিদিষ্ট অংশ কেটে রেখে এই সুবিদা নিশ্চিন্ত করা দরকার। এতে কারো আপত্তি থাকবে না।


০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লাখ লাখ মানুষকে পংগু করা হয়েছে যুগে যুগে ভিক্ষা করানোর জন্য; যারা মানুষকে পংগু করে ভিক্ষা করায়েছে, তাদের বিচার এখনো হয়নি। এই বিচার হওয়ার দরকার।

২৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

প্রোলার্ড বলেছেন: আল্লাহর বিধান যাকাত আদায় সঠিকভাবে স্টাবলিশ করলে দারিদ্র বিমোচন হত নিশ্চিত । তখন অবস্থা এমন হবে যে যাকাত নেবার মত আর লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না । মানে দরিদ্র লোক থাকবে না ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো হুজুরেরা বলে আসছেন আজীবন; উনারা নিজেরাই আবার যাকাতের টাকায় চলেন।

২৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই, বেসিক ব্যাংক, হলমার্কের দুর্নীতি বাদ দিলেন কেন!? বিএনপির কথা বাদ দেন, খালেদা জিয়া কয় দিন পর নিজেই সাহায্যের দারগ্রস্ত হবেন।আমাগো অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে বসে আছেন। দেশের মন্ত্রীদের ছেলে মেয়ে দেশে পড়ালেখা করে না।
এতো টাকা দুর্নীতি প্রতিদিন হচ্ছে! এর কোনো সমাপ্তি নেই।
দান খোয়রায় কোনো বড় সমাধান না! সমাধান যাদের হাতে তারাই হাত বাঁকা করে বসে আছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

আমরা সবাই সরকারের দুস্ট ও ভুল নীতি দেখে আসছি প্রতিদিন।

এই পোস্টটা দিয়েছিলাম, একটা পোস্ট পড়ার পর, ঐ পোস্টে লিখেছিল যে, মানুষ যদি সঠিক মতো দান খয়রাত করেন, দানখয়রাত কারীরা বেহেশতে যাবেন, ও দারিদ্রতা দুর হবে। দান খয়রাতে দারিদ্রতা দুর হবে না; ভিক্ষা করে ভিক্ষুক যা পায়, খয়রাত পেলে, হয়তো ২০/৩০ গুণ বেশী হবে বছরে একদিন, এটুকুই

২৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বছর বারো আগে ছাগু সম্প্রদায়ের জনৈক মন্ত্রী হিসাব দিয়াছিলেন, জাকাত ঠিকমতো আদায় করিলে ২০০০ কোটি টাকারও বেশি তহবিল তৈরী হইবে। এখন এই সংখ্যা ৫০০০ কোটি টাকারও বেশি হইবে আমার ধারণা। এই পরিমান টাকা যদি প্রতি বছর সংগ্রহ হয় , তাহা হইলে কি দারিদ্র বিমোচন হইবে না ?
আপনার পোস্টেই মনে হয় মন্তব্য করিয়াছিলাম, গাধা জল ঘোলা করিয়া খায় ! পশ্চিমা বিশ্ব সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্যাক্স আদায় করিয়া দরিদ্র ও বেকারদের সহায়তা করে, অথচ ১৪০০ বছর আগেই দারিদ্র বিমোচনের ব্যবস্থা বাৎলাইয়া দেওয়া হইয়াছে ! যেহেতু ইসলাম দিয়াছে, তাই বুদ্ধুজীবীরা ইসলামের জাকাতের দিকে তাকাইবে না , তাকাইবে পশ্চিমা বিশ্বের সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্যাক্সের দিকে।তাহাদের পশ্চিমা চশমা দিয়া ইসলাম দেখিতে পাইবে না, পাইবে ট্যাক্স !

তখন ফিনান্সিয়াল ব্যবস্থা ছিল না ইহা আপনাকে কে বলিয়াছে ? অবশ্যই ছিল ! ভালো করিয়া জানুন।
এখন বহু মানুষ জাকাত দাতা হওয়ার যোগ্য হইয়াছে, অনেকে দিয়াও থাকেন।আমাদের ওলামা হজরতগণ বলেন , যদি দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য জাকাত, সদকা যথেষ্ট না হইতো আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই অন্য বিধান দিতেন। যেহেতু দেন নাই , সুতরাং ইহাই যথেষ্ট ! দারিদ্র বিমোচন হইতেছে না কারণ সমস্যা আমাদের সিস্টেমে :
১. যথার্থ সিস্টেম নাই , একারণে জাকাত বিচ্ছিন্নভাবে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে দেওয়া হইতেছে।
২. সরকারি উদ্যোগে আদায় করা হইলে বানরের রুটি ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৩. জাকাত দেওয়ার সিস্টেমটাও কিছুটা ভিন্ন রকম করিলে ফলদায়ক হইবে বলিয়া মনে হয়। দশজনকে ১০০০ টাকা করিয়া না দিয়া যদি ১ জনরে ১০ হাজার টাকা দেওয়া যায় , তাহা হইলে ক্ষুদ্র পুঁজি তৈরী হইবে। অল্প টাকা দেওয়ার কারণে কোনো পুঁজি তৈরী হয় না , দরিদ্র মানুষেরা দৈনন্দিন প্রয়োজনে খাইয়া ফেলে।

ট্যাক্স উঠাইয়া বন্টন করিলে ধনী, ক্ষমতাবান, রাজনৈতিক পাণ্ডারাও ভাতা খাইবে যেমন বয়স্ক ভাতা , দরিদ্র ভাতা খাইতেছে।
আমাদের দারিদ্র অভাবে নহে , মননে ! একারণে আমাদের বুদ্ধুজীবী , ব্যাংকার, ব্যাবসায়ী সম্প্রদায় এখন থেকেও পুঁজি সংগ্রহের চেষ্টা করিবে !

আর যেসমস্ত পাঁঠা আমাদের আলেম সমাজকে ভিক্ষুক বলিল , তাহাদের কথা আর কি বলিব , বিচিতে জোয়ার আসিলে ইহারা ব্লগে আসিয়া রেতঃপাত করিয়া যায় ! হিছা মার শালাদের বিচিতে !

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



"অথচ ১৪০০ বছর আগেই দারিদ্র বিমোচনের ব্যবস্থা বাৎলাইয়া দেওয়া হইয়াছে ! যেহেতু ইসলাম দিয়াছে, তাই বুদ্ধুজীবীরা ইসলামের জাকাতের দিকে তাকাইবে না , "

-১৪০০ আগে ইসলাম কোন কিছু হঠাৎ আবিস্কার করেনি; ইসলামের আগে, আরবদের কোন রাজত্ব ছিলো না, ছিলো ছোটখাট জমিদারীর মতো; আরবেরা রাজ্য পরিচালনা শিখেছে পারসিক, গ্রীক ও রোমানদের থেকে। সময়ের সাথে পারসিক, গ্রীক, রোমান, আরবেরা পেছনের সারিতে, এখন ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান , কানাডা নাগরিকদের জন্য বেশী করার চেস্টা করছে; তার কারণেই মুসলমানেরা ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকায় হিজরত করছে। মুসলামনাদের নিয়ম ভালো হলে মানুষ মদিনায় বাস করার চেস্টা করতেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাকাতের টাকা সরকার সংগ্রহ করে, শিক্ষা, চাকুরী সৃস্টি ও দরিদ্রদের ভাতা ও পুঁজি হিসেবে দিলে কিছুটা কাজ হবে।

৩০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ইসলাম আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত মানবজাতির জন্য সর্বাপেক্ষা কল্যাণকর ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিটি স্তর পর্যন্ত নৈতিকতা ও মানবীয় মূল্যবোধকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। ইসলাম যেমন মানুষের চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস, জীবন, ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার নিরাপত্তা বিধান করেছে, তেমনি আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের নিমিত্তে যাকাত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছে। যাকাত দ্বীন ইসলামের মৌল পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম এবং ইসলামী অর্থনীতির প্রধান উৎস। ইসলাম সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে শ্রেণী-বৈষম্যহীন সুষম নীতিমালা উপস্থাপন করেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তায়ালা, মানুষ তার আমানতদার। যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা মানুষে মানুষে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে পারস্পরিক সৌন্দর্য ও সম্প্রীতির বন্ধনে সকলকে আবদ্ধ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমাজ বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা রাখতে পারে

বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এদেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক যাকাত ব্যবস্থা পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ দেশে যাকাত উত্তোলন ও বণ্টনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যাকাত প্রদান ও গ্রহণের যে পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু রয়েছে, তা ইসলামের মৌল চেতনার সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। ফলে এদেশ থেকে দারিদ্র্যবিমোচন সম্ভব হচ্ছে না।

ব্যাপক অর্থে, পরিবারের বার্ষিক খরচ মেটানোর পর কোনো মুসলিম ব্যক্তির নিকট যদি ৭.৫ তোলা স্বর্ণ বা ৫২.৫ তোলা রৌপ্য বা তার সমপরিমাণ সম্পদ বর্তমান থাকে; তবে উক্ত সম্পদের ৪০ ভাগের এক ভাগ বা শতকরা ২.৫% হারে শরীয়তের সুনির্দিষ্ট বিধান মোতাবেক নির্ধারিত শ্রেণীর মানুষের মাঝে বণ্টন করার মহৎ কাজকে যাকাত বলে।

ইসলাম সম্পদের লাগামহীন সঞ্চয়কে নিয়ন্ত্রণ করে পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে মানব সমাজকে মুক্ত করার নিমিত্তে যাকাতের বিধান প্রবর্তন করেছে। সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ সুনিশ্চিত করা, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করে সুবিচার ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থব্যবস্থা চালু করা, সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা, ব্যক্তির হৃদয় ও মালের পরিশুদ্ধি আনয়ন করা এবং সর্বোপরি ধনী-গরীব সকলের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য মহান আল্লাহ যাকাত ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন।

ইসলাম সংঘবদ্ধ জীবনে বিশ্বাসী। যাকাতের ক্ষেত্রেও একই মৌল ভাবধারা কার্যকর। ।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহে গচ্ছিত সম্পদ, কৃষি সম্পদ, আয়করভুক্ত ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ, স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন সম্পদ থেকে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি যাকাত আদায় সম্ভব। অতএব উপরোক্ত তথ্যাবলীর আলোকে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, যদি বাংলাদেশে শরীয়ত নির্ধারিত পন্থায় যাকাত আদায় ও বণ্টন করা যায়, তাহলে অনধিক পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন করে এদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।

আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে গেলাম মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও এদেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক যাকাত ব্যবস্থা পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি।"

-সব মুসলীম দেশে যাকাত ইত্যাদি ব্যক্তিগত দান খয়রাত হিসেবে বিদ্যমান। বাংলাদেশে সরকার যদি যাকাতের টাকাটা সংগ্রহ করার মত সৎ কোন প্রতিস্ঠান গড়ে তুলতো, যাকাতের একটা ভুমিকা থাকতো।

৩১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: -১৪০০ আগে ইসলাম কোন কিছু হঠাৎ আবিস্কার করেনি; ইসলামের আগে, আরবদের কোন রাজত্ব ছিলো না, ছিলো ছোটখাট জমিদারীর মতো; আরবেরা রাজ্য পরিচালনা শিখেছে পারসিক, গ্রীক ও রোমানদের থেকে।
আরবরা রাজ্য পরিচালনা যদি পারসিক, গ্রীক ও রোমানদের থেকেই শিখিত তাহা হইলে আরবদের শাসন ব্যাবস্থাও তাহাদের আইন দাড়াই চলিত। তাহা হয় নাই।শরিয়া আইন দাড়াই চলিয়াছে।বরং আজিকার পশ্চিমা বিশ্বই গ্রিক-রোমানদের কাছ থেকে শিখিয়াছে এবং অনুসরণ করিতেছে। ইসলামের আইন ও অর্থনীতি, কোরআন ও হাদিস, ইজমা ও কিয়াস থেকে আসিয়াছে। গ্রিক, রোমান, পারস্য থেকে আসে নাই।ইহার জ্বলন্ত প্রমান সুদ মুক্ত অর্থনীতি যাহা পাশ্চাত্য কোনোদিনই প্রতিষ্ঠিত করিতে পারে নাই।
সময়ের সাথে পারসিক, গ্রীক, রোমান, আরবেরা পেছনের সারিতে, এখন ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান , কানাডা নাগরিকদের জন্য বেশী করার চেস্টা করছে; তার কারণেই মুসলমানেরা ইউরোপ, কানাডা, আমেরিকায় হিজরত করছে। মুসলামনাদের নিয়ম ভালো হলে মানুষ মদিনায় বাস করার চেস্টা করতেন।
মদিনায় এখনো মানুষ বাস করার চেষ্টা করে।তাহাদের সিস্টেম পাশ্চাত্যের চেয়ে কোনো অংশে কম নহে।শুধু জেনারেল শিক্ষা ব্যাবস্থার অভাব আছে। তাছাড়া ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান , কানাডার মতন মদ, জুয়া, মাগিবাজী উন্মুক্ত নহে। তাই সবাই সেখানে যাইতে চাহিবে না স্বাভাবিক, আর চাহিলেও মদিনা তাহাদের বমি করিয়া দিবে !

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ঠিক অন্য ধর্মগুলোর একটা ধর্ম, মুসলমানদের কাছে এটা শ্রেস্ঠ, যেমনি অনয়দের কাছে নিজের ধর্ন শ্রেস্ঠ; মানব সভ্যতার একটা সময়ে ধর্ম ছিল প্রগ্রেসিভ, এখন শুধু পরকালের কার্যকলাপ।

ইসলামের বর্তমান প্রয়োগে মানুষ বিভক্ত হবে মাত্র।

৩২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: কঠিনভাবে একমত। অাধুনিক ফাইনেন্সীয়াল সিস্টেমে দানখয়রাতের মিনিমাম ইফেক্টও আসলেই নেই।

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


জনসংখ্যা ও আধুনিক অর্থনীতি দান খয়রাতকে হিসেবে নিচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.