নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানেরা মানবজীবন পরিক্রমার আদি রীতিনীতি অনুসরণ করছেন

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০



আমাদের চারিপাশের বিশ্ব মেটেরিয়েল থেকে তৈরি, মেটেরিয়েলের প্রাকৃতিক বিবর্তনই প্রাণ ও জীবনকে ধারণ করার মত উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি করেছে; প্রাণীর মাঝে মানুষই সবচেয়ে বুদ্ধিমান হয়েছে কালক্রমে; বুদ্ধির চর্চা করতে হয়, নতুবা জন্মের সময়ে প্রাপ্ত মানুষের সাধরণ জেনেটিক বুদ্ধির লেভেলেই থেকে যায় মানুষ।

শিক্ষা হলো মানুষের সন্চিত লব্ধ জ্ঞানকে আয়ত্ত করার ও উহাকে সম্প্রসারণ করার প্রয়াস; যারা শিক্ষা পায়নি, তারা মানুষের হাজার হাজার বছরের লব্ধ জ্ঞানের সুক্ষতা থেকে বন্চিত হয়ে থাকে; অশিক্ষিতদের যে জ্ঞান থাকে না, তা নয়, সময়ের তুলনায় তাদের জ্ঞানের সুক্ষতা থাকে না। অশিক্ষার অন্য পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া হলো, ভুল ধারণাকে জ্ঞান হিসেবে ধারণা করা; যেমন এস্ট্রোলোজী ও ধর্মকে ফিলোসফির অংশ হিসেবে ভাবা।

প্রতিটি বড় ধর্মের উৎপত্তি হয়েছে রাজতন্ত্রের সময়; সেই সময়ে মেটেরিয়েল ও পরিবেশ সম্পর্কে মানুষের ধারণা ছিল সীমিত; যেমন, ৩ হাজার বছর পুর্বেও মানুষ তামা ও লৌহ ব্যবহার করেছে; কিন্তু তারা তামার কন্ডাকটিভিটি গুণ সম্পর্কে জানতো না, বা লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি করতে জানতো না। এখনো অনেক জাতি আছে, যারা তামা থেকে কম্প্যুটারের মাদার বোর্ডের সুক্ষ কন্ডাক্টরের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে না, বা লোহা থেকে ইস্পাত তৈরি করতে পারে না। যারা ধর্মীয় ভাবনায় মানব জীবনকে ব্যাখ্যা করেন, তারা হাজার বছর আগের সীমিত লব্ধ জ্ঞানের আলোকেই ব্যাখ্যা করছেন।

বিশ্বে যদিও প্রায় ৬০/৭০ ভাগ মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করেন, কিংবা ধর্মের ট্রেডিশন পালন করেন, আসলে ইউরোপ, আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশের মানুষেরা ধর্মীয় ভাবনা ও মেটেরিয়াল জ্ঞানকে ভিন্নখাতে নিয়ে গেছেন। আধুনিক মানব জীবন সায়েন্স ও লজিকের ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে; লজিক্যাল ভাবনা মানুষকে পরিবেশের সাথে তাল মিলায়ে উন্নত জীবনের সন্ধানে সাহায্য করছে।

মুসলমানেরা সীমিত জ্ঞানের যুগের জীবনধারাকে এখনও মেনে চলছেন, ও নতুন ভাবনাকে সীমিত জ্ঞানের যুগের জীবনধারার পদ্ধতির সংস্করণে পরিণত করছেন; ফলে পুরাতন জীবন পরিক্রমা থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না; ফলে, বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে পারছেন না।


মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২২

পবন সরকার বলেছেন: কথা ঠিক

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষিত মুসলমানদের বিশ্বকে বুঝা উচিত, মুসলিম দেশগুলোতে ১০০% ফ্রি লেখাপড়া চালুর দরকার আছে।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: বড় বড় সেক্টরে মুসলিমরা লিড করতে না পারলে এই জাতির জন্য তেমন আশা নাই।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লীড করতে হলে, প্রথমে সমকক্ষ হতে হবে; সমকক্ষ হওয়া কষ্টকর হওয়ার কথা নয়, কারণ বিশ্ব কেহ কোন জ্ঞান লুকায়ে রাখার অবস্হানে নেই।

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৮

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্য উহ্য রেখেছেন-তাই আমাকে লিখতে হচ্ছে -
আপনি বলতে চেয়েছেন -মুসলমানদের ধর্মের ভিতরকে বের হয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ?????

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আধুনিক জ্ঞান ও ধর্মীয় জ্ঞান পরস্পরের সম্পুরক

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আধুনিক মুসলিমরা বিজ্ঞান থেকে পিছিয়ে নেই। ধর্ম কোথাও বাধাও দিচ্ছে না। গোঁড়ামি চলছে পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের কিছু গ্রামে। তারা এমনিতেই পিছিয়ে পড়া জাতি...

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম সরাসরি বাধা দিচ্ছে না এখন; কিন্তু ধর্মীয় লোকেরা সরকারের উঁচু পদে থাকার ফলে ইউনিভার্সিটি হতে পারেনি সময় মতো, পড়ালেখার প্রতি সরকারগুলো উৎসাহ দেখায়নি, আজও দেখাচ্ছে না

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন:
‘অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগ হতে ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত আরবরা সমগ্র বিশ্বের বুদ্ধি এবং সভ্যতার আলোর বাতিকাধারী ছিল। তাদের মাধ্যমে প্রাচীন বিজ্ঞান এবং দর্শন পুনর্জীবিত, সংযোজিত ও সম্প্রসারিত হয় যার ফলে পশ্চিম ইউরোপে বেনেসাঁর উন্মেষ ঘটে। মৌলিক গবেষণা এবং অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্ব জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভান্ডার সংরক্ষণ উভয় ক্ষেত্রেই তারা অসীম দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে মুসলিম বিজ্ঞানীদের মূল্যবান আবিষ্কারের ফলেই আজ বিশ্ববাসী আধুনিক ও উন্নত জীবন ধারণ করতে সমর্থ হয়েছে। বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে টুথব্রাশ পর্যন্ত, মুসলিমদের আবিষ্কারের পরিধি বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের ঐতিহ্যের ওপর রচিত ‘১০০১ Inventions’ গ্রন্থটির সম্পাদক ও ফাউন্ডেশন অব সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সিভিলাইজেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর সালিম আল হাসানি বলেন,একদা স্পেন থেকে পর্তুগাল এবং ইতালি থেকে চীন পর্যন্ত যে মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল এবং সেই সাথে আধুনিক পৃথিবী স্থাপনে মুসলিম বিজ্ঞানীদের বিষ্ময়কর সব আবিষ্কারের কাহিনী এ গ্রন্থটিতে লিপিবদ্ধ আছে, তিনি বলেন, এ বইটি পড়লে মানুষ বিশ্ব জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবে।
প্রশ্ন হচ্ছে - তারা কেন পিছিয়ে পড়ছে ??????? ঐ যে
দলনেতার প্রতি আস্থা না থাকা।
মুসলমানদের ধর্মীয় দ্বন্ধ ,একতা ,ধর্মের ভুল ব্যখ্যা মুসলমান আধুনিক জ্ঞান ও ধর্মীয় ধর্মীয় জ্ঞান পরস্পরের সম্পুরকে বড় বাঁধা ।
এ থেকে পরিত্রান পেয়ে কিভাবে মুস্লিমদের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ??????

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্ম প্রভাব রেখেছে সব সময়; ধর্মের প্রভাবমুক্ত ১ম দেশ হলো তুরস্ক।

রাজতন্ত্রে মুসলমানেরা "রাজ দরবারের" আনুকুল্যে অনেক কইছু করেছিলেন; সাধারণ মানুষের অংশগ্রহন ছিলো না সেগুলোতে; রাজার পতনের সাথে সব হারিয়ে গেছে; সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পর, ৯ রত্ন হারিয়ে গেছে; মানুষ ৯ রত্নের কিছুই পায়নি উত্তারাধিকার সুত্রে।

আজকেও অনেক মুসলিম দেশে ধর্মীয়রা বড় প্রভাব রাখছে। আসলে, ইরান, সৌদী ও উপসাগরীয় মুসলীম দেশগুলো সাধরণ মানুষকে ধর্মীয় আইনের মাঝে সীমিত রাখছে।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

মিথী_মারজান বলেছেন: আমারতো একটু অন্যরকম মনে হয় ভাইয়া।
ধর্ম জ্ঞান আমাদের সুশিক্ষা এবং আধুনিক সাইন্স সম্পর্কে সঠিক ধারণাই দিয়েছে।
তবে ধর্ম এবং সামাজিক আর রাজনৈতিক ব্যবসায়ীরা এর ভুল ব্যখ্যা আর অপব্যবহারের মাধ্যমে অশিক্ষিত/স্বল্প শিক্ষিত মানুষদের মনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে।
আর অনেকটা এই কারণেই মুসলমানেরা শিক্ষাক্ষেত্রে এবং উন্নতিতে একটু বেশি পিছিয়ে পড়ছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলিম এলাকায় আপনার ভাবনার মানুষজনই বেশী।

যাকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, সেটা লজিক নয়; আধুনিক শিক্ষা, সায়েন্স, ফিলোসফি হচ্ছে লজিকেল ভাবনা

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: একটা সময় ছিল যখন মুসলমানরা সবদিক থেকেই এগিয়ে ছিল। বলা হত মুসলিমদের স্বর্ণযুগ। তা এখন ইতিহাসের পাতা থেকেও মুছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এটা আমাদের অজ্ঞতার ফসল, আমাদের অপারগতার ফসল। কেন আওরা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছি তা আমরাও জানিনা। সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে পরা মুসলিম ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমরা। এরা প্রচুর পরিমাণ কুসংস্কারের জন্ম দিয়ে সবচেয়ে সহজ ধর্মকে সবচেয়ে কঠিন ধর্মে পরিনত করেছে। এখনো এ ধারা এদেশেও অব্যহত রয়েছে। সুতরাং এসব নিয়ে চিন্তা করতেও ইচ্ছে হয়না।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামের স্বর্ণযুগ বলতে যা বুঝায়, সেটা ছিল রাজতণ্ত্রের অধীনে রাজ দরবারের মাঝে সীমিত, সাধারণ মানুষ উহার অংশ ছিলো না; সাধরণ মানুষ উহার অংশ হয়ে থাকলে উহা আজও জীবিত থাকতো।

১৮০০ সালের পর, প্রথমবার কুরান চাপানো হয়েছে বড় আকারে; ১৯৬০ সালেও পুর্ব বাংলার ২০% মানুষের ঘরে কুরান শরীফ ছিলো না; ফলে, কোনটা ইসলামের স্বর্ণ যুগ, আজকে নাকি খলীফা হারুনর রশীদের সময়?

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৬

টেকনাফ টু তেতুলিয়া বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন,অনেক ভালো আপনার লেখার হাত

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষিত বাংগালীদের ভাবার দরকার আছে।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হুম এত কিছু আমার মাথায় ঢুকে না।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদেরকে অন্য জাতির মতো জ্ঞান অর্জন করতে হবে, না হয়, আমরা পেছনেই থেকে যাবো।

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

অলিউর রহমান খান বলেছেন: বর্তমান জ্ঞান-বিজ্ঞানের আবিষ্কারে মুসলিম জাতির ব্যাপক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া না যাওয়ার কারণে মুসলিম যুবক তরুণরা এক ধরণের হীনমন্যতায় ভোগেন, যারা ইতিহাস জানেন তারা বিচ্ছিন্ন ভাবে আমাদের সোনালী দিনগুলোর জ্ঞান-বিজ্ঞানের অবদানের কথা উল্লেখ করে থাকেন। বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ না করে কেউ যখন দাবি করে বসেন – আমাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের ১০০০ বছরের অবদান আছে তখন অনেকেই জানতে চান সেই ১ হাজার বছরের মুসলিমদের বিজ্ঞানের কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে অবদান ছিলো?
আমার এই লেখাটি (মূলতঃ সংগ্রহটি) সেই প্রশ্নের জবাবে তৈরির সূচনা করছি। আশাকরি আপনারা যারা মুসলিমদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অতীতে এবং বর্তমানে যে সকল অবদানের কথা জানেন তা সংযোজন করতে এগিয়ে আসবেন। সবার সম্মিলিত সংগ্রহে এই ব্লগটি সদালাপে আর্কাইভ হয়ে থাকলে ভবিষ্যতে যারা এই ব্লগটি পড়বে তাদের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ না করে ভবিষ্যতকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে সচেষ্ট হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার বা অন্য কারো তথ্যগত ভুল থাকলে তাও সংশোধন করতে এগিয়ে আসবেন বলে আশা রাখছি।
ইসলামী সভ্যতা যে বিশ্বের উন্নতির সর্বক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও আবিষ্কারের জনক, তা এক ঐতিহাসিক সত্য।
বিজ্ঞান বিভাগে দৃষ্টি দেওয়া যাক-
১। রসায়ন-
দেখুন রসায়ন বা কেমিস্ট্রি কাদের হাত দিয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে? এই রসায়নের ইতিহাসে যার নাম সর্ব প্রথমে আসবে তিনি আর কেউ নয় তিনি হচ্ছেন- আল জাবির। ছোটখাটো আবিষ্কারের ফিরিস্তি দিতে গেলে তো লেখা অনেক লম্বা হয়ে যাবে, তাই বিশেষ বিশেষ আবিষ্কারের উল্লেখ করে শেষ করতে চাই এই লেখা। প্রস্তর নিক্ষেপ যন্ত্র, বারুদ, বন্দুক, কামান তো মুসলিমরা করেছিলো। যুদ্ধের উন্নত কৌশল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারাই প্রথম আরবি ভাষাতে বই লিখেছিল বিশ্ববাসীর জন্য। সে বইটির নাম ‘আলফুরুসিয়া ওয়াল মানাসিব উল হারাবিয়া’।
২। ভূগোল-
প্রথম ভূ-মানচিত্র এঁকেছিলেন যারা তারা সকলেই মুসলিম ছিলেন। ৬৯ জন মুসলিম ভূগোলবিদ পৃথিবীর প্রথম যে মানচিত্র এঁকেছিলেন তা আজো এক পরম বিস্ময়! এই মানচিত্রের নাম-‘সুরাতুল আরদ’ যার অর্থ হচ্ছে বিশ্ব আকৃতি।
৩। এক্ষেত্রে ইবনে ইউনুসের অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা মণ্ডল নিয়ে গবেষণার ফলকে ইউরোপ মাথা পেতে মেনে নিয়েছিল। আর মুসলিম ফরগানী, বাত্তানী ও আল খেরজেমি প্রমুখের ভৌগলিক অবদান তো স্বর্ণমণ্ডিত বলা যায়।
৪। কম্পাস যন্ত্রের যিনি আবিষ্কারক তিনিও মুসলিম ছিলেন, যার নাম- ইবনে আহমদ।
৫। পানির গভীরতা এবং স্রোত মাপার যন্ত্রও মুসলিম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেছিলেন- যার নাম – আব্দুল মজিদ।
৬। বিজ্ঞানের উপর যে বৈজ্ঞানিক ২৭৫টি বই লিখেছিলেন তিনি আর কেউ নয় তিনি মুসলিম বৈজ্ঞানিক আলকিন্দি।
৭। আর প্রাচীন মুসলিম বৈজ্ঞানিক, হাসান, আহমদ, মুহাম্মদ সম্মিলিত ভাবে ৮৬০ সালে বিজ্ঞানের একশত রকমের যন্ত্র তৈরির নিয়ম ও ব্যবহার প্রণালী এবং তার প্রয়োজন নিয়ে বই লিখে রেখে গেছেন।
৮। আজকের বিশ্বে বিজ্ঞানের যে বিশেষ শাখা নিয়ে তুমুল বিতর্ক সেই বিবর্তনবাদ এবং বিবর্তনবাদের জনক বলে যে চার্লস ডারউইনের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে, সেই পশু-পাখি, লতা-পাতা নিয়ে ডারউইনের আগেও যিনি কাজ করে গেছেন তিনিও মুসলিম বৈজ্ঞানিক যার নাম আল আসমাঈ, বর্তমান কোন মানুষ তার লেখা সে সময়ের গবেষণামূলক বইকে অস্বীকার করতে পারবেন না। তার জন্ম ৭৪০ খৃঃ, মৃত্যু ৮২৮ খৃঃ।
৯। আজ যে চিনি মানুষ তার প্রয়োজনে ব্যবহার করছে সে চিনিও মুসলিমরা আবিষ্কার করেছিল। চিনিকে আরবরা সুক্কার বলে, সেই সুক্কার ইউরোপে সুগারে রূপান্তরিত হয়, আর ভারতে এই চিনির নাম ছিল শর্করা।
১০। ভূতত্ত্ব সম্পর্কে বিখ্যাত বই ‘মুজাম আল উবাদা’ লেখক হচ্ছেন মুসলিম- ইয়াকুব ইবনে আব্দুল্লাহ।
১১। তুলা থেকে প্রথম তুলট কাগজ আবিষ্কার করেন আরেক মুসলিম আবিষ্কারক- ইউসুফ ইবনে উমার। এই আবিষ্কারের মাত্র ২ বছর পরে বাগদাদের কাগজের কারখানা তৈরি করা হয়েছিল।
১২। আর মুসলিম বৈজ্ঞানিক জাবীর ইবনে হাইয়ান তো- ইস্পাত তৈরি, ধাতুর শোধন, তরল বাষ্পীয় করণ, কাপড় ও চামড়া রঙ করা, ওয়াটার প্রুফ তৈরি করা, লোহার মরিচা প্রতিরোধক বার্ণিশ, চুলের কলপ, লেখার পাকা কালি আবিষ্কার করে বিজ্ঞান জগতে তার স্মৃতি অমর হয়ে আছে।
১৩। ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড থেকে যিনি প্রথম কাঁচ আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনিও মুসলিম বৈজ্ঞানিক আর রাজী। ইংরেজদের ইংরাজি শব্দে ঐ বৈজ্ঞানিকের নাম আজো- Rezes লেখা আছে।
তিনি একদিকে যেমন ছিলেন ধর্মীয় পণ্ডিত তেমন করে অন্যদিকে ছিলেন গণিতজ্ঞ ও চিকিৎসা বিশারদ। সোহাগা, পারদ, গন্ধক, আর্সেনিক ও সালমিয়াক নিয়ে তার লেখা গবেষণা উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীতে প্রথম পানি জমিয়ে বরফ তৈরি তারই অক্ষয় কীর্তি। এর পরেই ইউরোপ বরফ তৈরির কারখানা তৈরি করেছিল।
১৪। পৃথিবীখ্যাত গণিত এবং চিকিৎসা বিশারদ ওমর খৈয়ামের কথা সর্বজনবিদিত। তিনিও মুসলিম জামানায় জ্ঞান বিজ্ঞান অর্জনের সুফলতা ভোগ করে এত বড় পণ্ডিত হতে পেরেছিলেন। মুসলিম পিতা মাতার সন্তান ছিলেন।
সে ভাবে-
১৫। নাসির উদ্দিন তুসী
১৬। আবু সিনার নাম এবং তাদের অবদান সর্বজনবিদিত।
১৭। পৃথিবীর প্রথম মানমন্দিরের আবিষ্কারক ছিলেন- হাজ্জাজ ইবনে মাসার এবং হুনাইন ইবনে ইসহাক।
১৮। পৃথিবীর ১ম মানমন্দির তৈরি হয় ৭২৮ খৃঃ, ২য়টি ৮৩০ খৃঃ। ২য় মানমন্দির জন্দেশ পুরে, ৩য়টি বাগদাদে আর ৪র্থটি দামেস্কে। তা তৈরি করেন মুসলিম খলিফা আল মামুন।
১৯। পৃথিবীর ১ম বীজ গণিতের জন্মদাতা মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খারেজমি। তিনি ভারতকে নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন যার নাম কিতাবুল হিন্দ। অংক বিভাগে শূন্যের মূল্য অমূল্য এবং অপরিসীম। এই শূন্য [০] আবিষ্কার তার বলে দাবি করা হয়। ‘হিসাব আল জাবর ওয়াল মোকাবেলা’ বইটি তার বিরাট অবদানের কথা মনে করিয়ে দিবে। শুধু তাই নয় তিনি জ্যোতির্বিদও ছিলেন। খলিফার অনুরোধে আকাশের মানচিত্রও তিনি এঁকেছিলেন এবং একটি পঞ্জিকার জন্ম দেন। তাকে সরকারী উপাধি দেয়া হয়েছিল- ‘সাহিব আলজিজ’।
২০। আর ইতিহাস বিভাগে তো মুসলিম ঐতিহাসিকদের অবদানের কথা বাদ দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসের ইতিহাস লেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আজ যে ভারতীরা তাদের ইতিহাস নিয়ে গর্ব করার মত উপাদান পেয়েছেন সেই উপাদান তারা পেতেন না যদিনা তাদের ইতিহাস মুসলিম ঐতিহাসিকগণ লিপিবদ্ধ করে যেতেন। তবে এই ক্ষেত্রে ইংরেজ ঐতিহাসিকদের অবদানও কম নয়, তবে মনে রাখতে হবে ইতিহাসের স্রষ্টা মুসলিম তার অনুবাদক হচ্ছেন ইংরেজ। এই সত্য যারা ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তারা কখনও অস্বীকার করতে পারবেন না।
আলবিরুনী
ইবনে বতুতা
আলিবিন হামিদ
বাইহাকী
উৎবী
কাজী মিনহাজুদ্দিন সিরাজ
মহীয়ুদ্দিন
মুহাম্মদ ঘোরী
জিয়া উদ্দিন বারণী
আমীর খসরু
শামসী সিরাজ
বাবর
ইয়াহিয়া-বিন- আহমদ
জওহর
আব্বাস শেরওয়ানী
আবুল ফজল
বাদাউনি
ফিরিস্তা
কাফি খাঁ
মীর গোলাম হুসাইন
হুসাইন সালেমি
সইদ আলী প্রমুখ
যে ইতিহাসের বইগুলো তারা লিখে গেছেন-
তারিখই সিন্ধু, চাচা নামা, কিতাবুল-ইয়ামিনি, তারিখই মাসুদী, তারিখই-ফিরোজশাহী, তারিখুল হিন্দ, তা’জুম্মাসির, তবকত-ই-নাসিরি, খাজেনুল ফতওয়া, ফতওয়া উস সালাতিন, কিতাবুর-রাহলাব, তারিখই মুবারক শাহী, তারিখে সানাতিনে আফগান, তারিখে শেরশাহী, মাখজানে আফগান, আকবর নামা, আইনি আকবর, মুনতাখাবুত তওয়ারিখ, মুন্তাখাবুল লুবাব,ফতহুল বুলদান, আনসাবুল আশরাক ওয়া আখবারোহা, ওয়ুনুল আখইয়ার, তারিখে ইয়াকুব, তারিখে তাবারী, আখবা্রুজ্জামান, মারওয়াজুজ জাহাব, তামবিনুল আশরাফ, কামিল, ইসদুল গাবাহ, আখবারুল আব্বাস, কিতাবুল ফিদ-আ, মুয়াজ্জামুল বুলদান।
পৃথিবীর বুকে জ্ঞানকে প্রকাশ প্রচারের আদিমতম বাহন ছিল কলম এবং এর পর বই লিখে তাতে সংরক্ষণ করা, পরবর্তী ধাপ গ্রন্থাগার নির্মাণ এর পরবর্তী ধাপ পাঠশালা, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। মুসলিমদের সভ্যতায় এই বিষয়গুলো কতটুকু অগ্রসর ছিলো তা নিয়ে এবার আলোচনা করব-
ইসলাম মুসলিমদের শিক্ষা দেয় জ্ঞান অর্জনের জন্য, এর জন্য বলা হয়- ‘যে জ্ঞান অর্জন করে তার মৃত্যু নাই’, ‘চীন দেশে যেতে হলেও সেখানে গিয়ে জ্ঞান অর্জন করবে’, ‘প্রত্যেক নর নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন অবশ্য কর্তব্য’, ‘সমস্ত রাত্রির প্রার্থনার চেয়ে এক ঘণ্টা জ্ঞান চর্চা করা উত্তম’, ‘যে জ্ঞানীকে সম্মান করে সে রাসুল সাঃকে সম্মান করে’।
সুতরাং মুহাম্মদ সাঃ-এঁর নির্দেশের বাস্তবায়ন তাঁর জীবদ্দশাতেই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
মুহাম্মদ সাঃ-এঁর ইন্তেকালের ১১৮ বছরের মধ্যে ইউরোপ এশিয়া আফ্রিকা তথা স্পেন থেকে আরম্ভ করে ভারতের সিন্ধু নদ পর্যন্ত ইসলামী সভ্যতার বিকাশ লাভ হয়েছিল।
মুসলিমরা শুধু দেশ জয় করে ক্ষান্ত হয়ে থাকেনি বরং ঐ সকল এলাকায় পণ্ডিত ব্যক্তিদেরকে গবেষণায় উৎসাহিত করেছেন, গ্রন্থাগার গড়েছেন, গ্রন্থাগারসমূহে নতুন পুরাতন গ্রন্থ পুথি পুস্তকে পরিপূর্ণ করেছিলেন। তাই সালেনা, কার্ডোভা, বাগদাদ, কায়রোতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল।
উমর রাঃ এর ১শত বছর পর বাগদাদের প্রথম লাইব্রেরী পরিদৃষ্ট হয়। উমাইয়াদের আমলে ব্যাকরণ লেখা, ইতিহাস লেখা, স্থাপত্য বিদ্যার অগ্রগতি হওয়া শুরু করেছিল।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ যখন ইন্তেকাল করেন তখন বড় এক উট বোঝাই বই রেখে গিয়েছিলেন। আপনাদের বুঝতে হবে তখন আমাদের আজকের মত বই সংগ্রহ করা এত সোজা ছিলোনা। কারণ ঐ সব বই সবই ছিল হাতের লেখা।
আবু হুরাইরা রাঃ বহু বই রেখে গিয়েছিলেন। মুহাম্মদ সাঃ এর তরবারির খাপেও অনেক বইয়ের উপকরণ সংরক্ষণ করে গিয়েছিলেন। এই তো ৫০/৬০ বছর আগেও লোকে বাঁশের চোংগার মধ্যে বই সংরক্ষণ করতেন।
গ্রন্থ পুস্তক সংগ্রহ করা মুসলিমদের জাতীয় বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। বন্দরে বন্দরে লোক প্রস্তুত থাকতো কোন নতুন লোক এলেই তার কাছে পাওয়া নতুন বইয়ের অনুলিপি তৈরির জন্য। অনুলিপি তৈরি করে মূল বই বাহককে ফেরত দেওয়া হতো। আর কেউ যদি মূল বই বিক্রয় করতে চাইতো তাহলে যথার্থ মূল্য দিয়ে কিনে নেয়া হতো।
আব্বাসীয় খলিফা মামুন বাগদাদে ‘দারুল হিকমাহ’ নামে যে বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তাতে সে যুগেই প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছিল। সেই বিরাট গ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান ছিলেন- পৃথিবী ১ম বীজ গণিতের জন্মদাতা মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খারেজমি। তিনি ভারতকে নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন- যার নাম কিতাবুল হিন্দ। অংক বিভাগে শূন্যের মূল্য অমূল্য এবং অপরিসীম। এই শূন্য [০] আবিষ্কার তার বলে দাবি করা হয়। ‘হিসাব আল জাবর ওয়াল মোকাবেলা’ বইটি তার বিরাট অবদানের কথা মনে করিয়ে দিবে।
আল মুকাদ্দাসি একজন পর্যটক ছিলেন। তিনি আদাদউল্লাহ সিরাজ শহরের এমন একটি লাইব্রেরী ভবন তৈরি করেছিলেন, তখনকার পৃথিবীতে আর কোথাও ২য়টির নজির ছিলনা।
‘The Bible, the Quran and Science’ গ্রন্থে ডঃ মরিস বুকাইলী উল্লেখ করেন, ‘অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে ইসলাম জ্ঞান-বিজ্ঞানকে অনেক ঊর্ধ্বে তুলে ধরে। যখন খ্রিষ্টীয় জগতে বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছিল তখন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বহুসংখ্যক গবেষণা ও আবিষ্কার সাধিত হয়। কর্ডোভার রাজকীয় পাঠাগারে ৪ লাখ বই ছিল। ইবনে রুশদ তখন সেখানে গ্রীক, ভারতীয় ও পারস্য দেশীয় বিজ্ঞানে পাঠদান করতেন। যার কারণে সারা ইউরোপ থেকে পণ্ডিতরা কর্ডোভায় পড়তে যেতেন, যেমন আজকের দুনিয়ায় মানুষ তাদের শিক্ষার পরিপূর্ণতার জন্য আমেরিকা যায়।
‘ইসলাম ও আরবি সভ্যতার ইতিহাস’ বইতে ওস্তাভলি বোঁ লিখেছেন, ‘ইউরোপে যখন বই ও পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব ছিল না, অনেক মুসলিম দেশে তখন প্রচুর বই ও পাঠাগার ছিল। সত্যিকার অর্থে বাগদাদের ‘বায়তুল হিকমাহ'য় ৪০ লক্ষ, কায়রোর সুলতানের পাঠাগারে ১০ লক্ষ, সিরিয়ার ত্রিপোলী পাঠাগারে ৩০ লক্ষ বই ছিল। অপরদিকে মুসলমানদের সময়ে কেবল স্পেনেই প্রতিবছর ৭০ থেকে ৮০ হাজার বই প্রকাশিত হতো। কিন্তু বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোতে বইয়ের কদর নেই, বই প্রকাশের বিষয়ে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা অপ্রতুল। ইউরোপের একটি ক্ষুদ্র দেশ গ্রিসে বছরে ৫০০টির মতো বই অনুবাদ করে থাকে।
সে সময়ে মুসলিমদের তৈরি আর যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো সেগুলো হচ্ছে- গ্রানাডা, টলেডো, মার্সিয়া, আলমেরিয়া, সেভিল, ভ্যালন্সিয়া কাদজে বিশ্ববিদ্যালয়। এইগুলোই হচ্ছে আজকের ইউরোপ আমেরিকার জগত বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদাতা। ঐ সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্পেন, ফ্রান্স, ইটালি এমনকি জার্মানির জ্ঞান বিজ্ঞান সাধকদেরকে চুম্বকের মত টেনে নিয়ে যেত।
মুসলমানদের অতীত ইতিহাস বই পড়ার ইতিহাস। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাস। অতীত ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পুনরায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য আজ সারাবিশ্বের মুসলমানদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণ আল কুরআনে বার বার জ্ঞান চর্চার বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই মুসলমানদের জন্য জরুরি ধর্মীয় জ্ঞানের সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ ব্যবহারিক জীবনের যাবতীয় জ্ঞান অর্জন করা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই পড়ার প্রতি উৎসাহিত হওয়া জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান।
অসম্পূর্ণ——–
বিঃদ্রঃ গোলাম আহমদ মোর্তজার চেপে রাখা ইতিহাস এবং মোশারফ হোসেন পাটোয়ারীর জ্ঞান বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান থেকে সংকলিত।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা যতটুকু অবদান রেখেছিলেন, সেটা সভ্যতাকে নিশ্চয় সামনে যেতে সাহায্য করেছে; কিন্তু তারা সময়ের সাথে তাল মিলাতে পারেনি; আজযকের বিশ্বের নতুন টেকনোলোজীতে তারা বেশ পেছনে; কারণ মুসলিম এলাকায় ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্টা হয়নি ইউরোপ যখন ইউনিভার্সিটি চালু করেছে।

বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোর ইউনিভার্সিটিগুলো পেছনে পড়ে আছে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মন্তব্যে আপনি লিখেছেন, " ৫। পানির গভীরতা এবং স্রোত মাপার যন্ত্রও মুসলিম বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার করেছিলেন- যার নাম – আব্দুল মজিদ। "

-পানির গভীরতা মাপার যন্ত্র হলো "ইকো সাউন্ডার", যাতে ব্যবহার হয় আলট্রাসাউন্ড; আপনি কোন শতাব্দীর কথা বলছেন?

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদ 'সোফিয়া'কে নিয়ে কিছু লিখেন। এত টাকা খরচ করে আনলো। তাতে দেশের লাভ কি হলো?
এদিকে গতকাল পেয়াজ কিনলাম ১৩০ টাকা কেজি। তিন মাস আগে পেয়াজ কিনেছি ৩০ টাকা কেজিতে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা ছোটকালে পুতুল খেলার সুযোগ পাননি; বাবা জেলে থাকায় উনার ছোটকাল স্বাভাবিক হয়নি হয়তো, উনি হবুর মত কান্ড করছেন, গবুরা উনার সাথে মোসাহেবগিরি করে বেড়াচ্ছে! উনি যেভাবে সোফিয়ার সাথে কথা বলেছেন, কিছুই মানায়নি ।

মতিয়া চৌধুরী অংক জানেন না; কত লোকের জন্য কি পরিমাণ পেঁয়াজের দরকার, উনি কোনদিনও সেই অংক পারবেন না।

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

অলিউর রহমান খান বলেছেন: জনাব আমাদের অধপতনের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
এ জন্য আজ আমরা সব দিক দিয়েই পিছিয়ে।
৫ নাম্বারটা ভুল হলে লেখকের ভুল হয়েছে কারণ আমি মোশারফ হোসেন পাটোয়ারীর “জ্ঞান বিজ্ঞানেে মুসলিমদের অবদান” থেকে তথ্য গুলো নিয়েছি।

সঠিক তথ্য জেনে থাকলে জানাবেন তাহলে নতুন কিছু জানতে পারবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অতীতের জ্ঞান বিজ্ঞানকে ভিত্তি করে মানুষ বর্তমান লেভেলে এসেছেন; অতীত ইতিহাস ভালো, কিন্তু বর্তমান না থাকলে শুধু ইতিহাস তো সাহায্য করবে না।

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন:


আধুনিক জ্ঞান ও ধর্মীয় জ্ঞান পরস্পরের সম্পুরক

ইহা আমি কি শুনিলাম! কাহার মুখে!!

আপনার নিক হ্যাকড্‌ হয়নি ত চাঁদগাজি ভাই?

তবে, আপনার পোস্টের বক্তব্যের সত্যতা পাচ্ছি - যখন দেখছি -

একটা সাধারণ মানের চাইনিজ স্মার্ট ফোনের চাইতে নিম্নমানের একটা মেশিনকে নারীর আকৃতির একটা কেসে ভরে সুফিয়া নাম দিয়ে প্রথমে নেয়া হল পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্বৈরশাসকের দেশ সৌদিতে। সুফিয়া নামের যন্ত্রটাকে এর নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন সৌদিতে নিয়ে গেয়েছিল পয়সা কমানোর ধান্দায়। বিনিময়ে সৌদি স্বৈরশাসকদের ভাবমূর্তি কিছুটা উজ্জ্বল করতে। স্বৈরশাসক একটা মেশিনকে মানুষের মর্যাদা দিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে দিল। বিশেষ কোন কূটনৈতিক কারণ ছাড়া সাধারণ ভাবে সৌদিরা কোন মানুষকে নাগরিকত্ব দেয় না।

এরপর সোফিয়ার নির্মাতা চিন্তা করলেন কোথায় গেলে আরো কিছু কামান যাবে। তিনি সহজেই খুঁজে পেলেন আরেকটা নিকৃষ্ট স্বৈরশাসকের দেশ। যে দেশের মিডিয়া স্বাধীন স্বাধীন ভাব করে নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছে স্বৈরশাসকের কাছে। যেই মিডিয়া দিনের পর দিন লেখে, "সুফিয়া মা হতে চায়" বা "সুফিয়া সংসার চায়"। যে মিডিয়া বিতর্কে লিপ্ত হয়, "সুফিয়া ওড়না পরবে, না পরবে না?"; যে মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে, "সুফিয়া এখন পাঁচ তারকা হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছে"।

সুফিয়া নামের যন্ত্রটাতে কয়েকটা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, যা এখন সাধারণ মানের স্মার্ট ফোনেও পাওয়া যায়।

১. চাটবোট (Chatbot, talkbot, chatterbot, Bot, IM bot, interactive agent, or Artificial Conversational Entity) নামের একটা প্রোগ্রাম। যা আপনি আপনার স্মার্ট ফোনেও পাবেন।
২. ফেসিয়াল রেকগনেশন সিস্টেম বা সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যার আপনি স্যামসাং, আইফোন এবং অবশ্যই চাইনিজ ফোনে পাবেন।
৩. ভয়েজ রিকগ্‌নিশন সফটওয়্যার। এটাও সব স্মার্ট ফোনে পাবেন।
৪. ভিজুয়াল ডাটা প্রসেসর। যন্ত্রটা যে কোন প্রশ্নকে ভয়েজ রেকগনেশনে প্রসেস করে, এর সম্ভাব্য উত্তরের মধ্যে কোন ধরণের ইমোশনাল শব্দ আছে, সেই উপযোগী অভিব্যক্তি প্রকাশ করা - [মোহাম্মদ আলী আকন্দ ভাইয়ের পোস্ট থেকে]

তবে স্বৈরশাসকরা, তার ক্রীতদাস মিডিয়া এবং ধান্ধাবাজরা এইগুলি নিয়ে ধান্ধাবাজী করতেই থাকবে - যতদিন আপনার কথার সত্যতা থাকতেই থাকবে।

অসংখ্য ধন্যবাদ চাঁদগাজি ভাই এমন সত্য তথ্য তুলে ধরবার জন্য।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোফিয়া হচ্ছে মানুষের ভাবনার ও টেকনোলোজিক্যাল জ্ঞানের একটা প্রতিফলন; মুসলিম দেশের লোকদের জন্য, সৌদীর বাদশাহ, শেখ হাসিনা, বা প্রথম আলোর জন্য বিস্ময়; কিন্তু মারকেল ও একটা জাপানী বাচ্চার জন্য পান্তাভাত।

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

শকুন দৃিষ্ট বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদ 'সোফিয়া'কে নিয়ে কিছু লিখেন। এত টাকা খরচ করে আনলো। তাতে দেশের লাভ কি হলো?
এদিকে গতকাল পেয়াজ কিনলাম ১৩০ টাকা কেজি। তিন মাস আগে পেয়াজ কিনেছি ৩০ টাকা কেজিতে।


আপনি কি সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী? - উত্তর যদি "হ্যাঁ" হয় তা'হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পেয়াজ পিছু আপনার বাজেট পেয়াজের দামের উপরেই আছে।

আর যদি "না" হয়, তা'হলে আপনাদের জন্য প্রোগ্রামে এখনও কোন ফিচার(বাজেট) যোগ হয় নাই। ফল্টি প্রোগ্রাম বলতে পারেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন সরকারের বাজার।

১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আমি আপনাকে সমর্থন জানিয়ে বেশ সাহসিকতার সহিত প্রথম প্লাস দিলাম !


রাজীব নূর এর মন্তব্য এবং আপনার উত্তর আমাকে হাসালো।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রত্যেক মুসলমানের উচিত অন্য ৫ জন মুসলিমকে আধুনিক জ্ঞান দেয়া

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন । ভালো লাগল কথা গুলো

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি চাই এই কথাগুলোর বিপরিতে আপনি একটা কইছু করুন, একাটা একশানের কথা বলুন।

১৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: দুনিয়া মাত্র দুইদিনের। এতো টেকনোলজি, গবেষনা,জ্ঞান বিজ্ঞান দিয়ে কি হবে? মনে করুন রাস্তায় চলাচল করছেন হঠাৎ গাড়ি এসে ভবলীলা সাংগ করে দিল তখন এতো জ্ঞান গরিমা দিয়ে কি মুড়ি কিনে খেতে হবে? ধর্ম আর পরকাল যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে ধর্ম পালনের ফল আপনার সাথে যাবে। বাকি সব কিছু ভোগাস

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি মোল্লাদের মত কথা বলছেন, মানুষ য্তদিন জীবিত আছেন, এটাই জীবন, এর বাইরে কিছু নেই; এটা সুন্দর ও খুখময় হওয়ার দরকার।

১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৫

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: শিক্ষা সবার আগে..। তারপার শিক্ষিতরাই বুঝতে পারবে কি করা উচিত আর অনুচিত। এজন্য দরকার যুথেপোযুগি শিক্ষানীতি(ধর্ম যার যার শিক্ষা সবার)
বাংলাদেশে কৃষি প্রযুক্তি আর ইন্ডাস্ট্রীজ এ বেশি গুরুত্ত দেওয়া উচিৎ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক ভাবনা

১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মুসলমানদের অধঃপতনের জন্য নিজেরাই অনেকাংশে দায়ী। ধর্মহীনতার সাথে মুলমানরা তাল মিলিয়ে চলতে পারবেনা।

ধর্মকে জড়িয়েই তাদের বাঁচতে হবে যা করার করতে হবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানদের সব সময় "সোনালী দিনের" রূপকথা শুনেই দিন কাটাতে হবে; এতে বসুন্ধরার লোকেরা ম্যানাটনে ঈদ করবে, ফালু করবে মালয়েশিয়ায়, রংপুরের কারো স্বামী ঈদ করবে কমলাপুর ষ্টেশনে।

২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলিম সরকারগুলো নিজেদের মানুষকে পেছনে টেনে ধরে রেখােছে

২১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫০

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মুসলিমরা এই চক্রে ঢুকেছে ১২ শ শতাব্দিতে ইমাম গাজ্জালীর হাত ধরে, তানাহলে বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ এখন মুসলিম তথা অারবদের হাতেই থাকতো। এ থেকে বেরোবার পথ দেখিনা..........

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের যেসব এলাকায় ইসলাম প্রচার হয়েছে, এটা বরাবরই কিছুটা পেছনে ছিলো মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.