![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
১৮৮১ সাল থেকে ১৮৮৩ সালের মাঝে বিশ্বের সব ইহুদীরা নিজেদের মাঝে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়, এবং ঠিক করেছে যে, তারা প্যালেষ্টাইনে ফিরে যাবে। তখন প্যালেষ্টাইন অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রদেশ, অটোম্যানরা তখন এমন শক্তিশালী ছিল না যে, সাম্রাজ্যের পুর্ব ও রিমোট এলাকায় ৫০/৬০ টি পরিবার কোনদিকে যাচ্ছে, কি করছে, তার খবর রাখবে।
তখন বিশ্বে কি ঘটছে আপনার দাদাও জানতেন না, প্যালেষ্টাইনের গ্রামের আরবেরা জানতো না; বাংগালীদের জন্য তখনকার বড় ঘটনা ঘটেছিল মওলানা ভাসানী জন্ম নিয়েছিলেন, ১৯৮০ সালে, কিন্তু কোন বাংগালী তা জানতেন না। ১৮৮১ সালের দিকে রাশিয়া ও ইয়েমেন থেকে কয়েক'শ পরিবার প্যালেষ্টাইনে এসে অটোম্যানদের খাস জমিতে, বা আরবদের থেকে জমি কিনে গুচ্ছ গ্রাম গড়ে চাষাবাদ শুরু করে। রাশিয়ান ইহুদীরা ছিল শিক্ষিত, সেই সময়ে তারা আরবদের কাছে অন্য গ্রহের মানুষের মতো ছিলো। এরপর, ১ম মহাযুদ্ধ ও রাশিয়ান বিপ্লবের পর, ১৯২৩ সালের মাঝে আরো ইহুদী আসে পোল্যান্ড ও রাশিয়া থেকে।
১ম মহাযুদ্ধের ভেতরে ও বৃটিশের প্যালেষ্টাইন দখলের পর, ইহুদীরা প্যালেষ্টাইনে প্রবেশ করার সময় কি আরবদের অনুমতি নিয়েছে, নাকি নিজেদের লোকদের কাছে চলে এসেছে? অনুমতি যদি নিতে হয়েছে, তারা ইংরেজ সেনাদের থেকে নিয়েছে, আরবরা দেশের মালিক ছিলো না।
১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের কারণ হিসেবে ইহুদীদের দায়ী করে জার্মান সমাজ; ইহুদীরা জানতো যে, ইহা ভয়ংকর হবে একদিন, তারা পালাতে শুরু করলো, দরিদ্র ইহুদীদের জন্য প্যালেষ্টাইন ছিল বাঁচার উপায়; দরিদ্ররা হল্যান্ড, ফ্রান্স বা আমেরিকায় যেতে পারছিলো না।
প্যালেস্টাইনে, ইংরেজরা কার সহযোগীতা পাচ্ছিল, ইহুদীদের, নাকি আরবদের? অবশ্যই ইহুদীদের, ওরা ইউরোপিয়ান, এক ভাষায় কথা বলে, একই রকম কাপড় পরে, কাজ করে, ট্রেডিশন একই রকম: নাচগান করে, ক্লাব বানায়, ছেলেমেয়ে একত্রে ঘোরাফিরা করে, একত্রে মাঠে কাজ করে।
আরবেরা চাষবাস করতো পরিবারের জন্য; ইহুদীরা কম্যুউন চালু করে, তারা চাষবাস করতো গ্রামের সবাই (কালেকটিভ ফার্মে) মিলে; কারা শক্তিশালী হয়ে উঠে? ইউরোপিয়ানরা সাথে আনছিলো টাকা পয়সা, সেগুলো বিনিয়োগ শুরু করে।
হিটলার ক্ষমতায় আসার পর, জার্মানী ও পুরো ইউরোপ থেকে ইহুদীরা পালাতে শুরু করে, একাংশ আসে প্যালেষ্টাইনে, এরা স্হানীয়দের থেকে অনেক ধনী, অনেক শিক্ষিত, অনেক কর্মঠ; এরা ইংরেজদের সাথে মিলে তেল-আবিবে পোর্ট গড়ে তোলে, আশেপাশে ইউরোপিয়ান ষ্টাইলে ঘরবাড়ী, অফিস গড়ে তোলে।
১৮৮১ সালে, পুরো প্যালেষ্টাইনে ২৫ হাজার ইহুদী ছিল; ১৯৪৮ সালে এদের পরিমাণ ছিলো ৬ লাখ ৫০ হাজার; এরা কি আরবদের অনুমতি নিয়ে এসেছিল, নাকি বৃটিশের অনুমতি নিয়ে এসেছিল? অনুমতি দেয়ার মালিক কে ছিল?
১ম বিশ্বযুদ্ধের আগে ও পরে, গায়ানা, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, আফ্রিকায় ভারতীয়দের নিয়ে গিয়েছিল ইংরেজরা, তারা স্হানীয়দের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করেছিল?
ইতিহাস বুঝে পদক্ষেপ নিলে প্যালেষ্টাইনীরা ভুল করতো না; তারা ইহুদীদের ইতিহাস, তাদের মাইগ্রেশন, ইংরেজ কলোনী, ২টি বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব বুঝতে পারেনি; ফলে, ইংরেজরা কেন প্যালেষ্টাইন প্রদেশে ২ দেশ করার কথা বলেছিল তারা সেটাকে বুঝতে পারেনি; আজও বুঝতে পারছে না; সময়, বিশ্ব পরিস্হিতি, ইহুদীদের প্রোফাইল সব মিলিয়ে বিশ্ব ইহুদীদের পক্ষে ছিলো।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্যালেষ্টাইনের আরবেরা, ভারতের মুসলমানেরা, ১৮৮৯ সালে মোটামুটি তেমন কিছু জানতেন না; সেই তুলনায় ইউরোপীয় ইহুদীরা ছিলো ২০০ বছর সামনে; তারা ইউরোপ থেকে প্যালেষ্টাইনে এসে "কম্যুউন পদ্ধতি" চালু করেছিল বাঁচার তাগিদে, নিজেদের শক্তিশালী করার তাগিদে; তাদের তুলনায় আরবেরা ছিল অনেক পেছনে।
ইহুদীরা ইংরেজদের সহযোগীতা করেছে প্যালেষ্টাইনে, তাদের কালচার ছিলো কাছাকাছি; ভারতে করেছে হিন্দুরা, মুসলমানেরা ইংরেজদের সহযোগিতা করেনি
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: বিস্তর আলোচনা করেছেন, খুব ভালো লাগলো কথা গুলো। আসলেই সে সময় এমনকি এখনও সমগ্র বিশ্ব ইহুদিদের সমর্থন করছে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বে দেড় কোটী ইহুদী আছে, ১৭০ কোটী মুসলমান আছে; কোন দেশকে এই ২ গ্রুপ থেকে মানুষ নিতে বললে, কাদের নেবে অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপ, ব্রাজিল, জাপান, সৌদী?
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রায় আড়াই হাজার বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধাওয়া খেয়ে ইহুদিরা বহু দেশে ছড়িয়ে পড়লেও তাদের স্বপ্নভূমির কথা কখনো ভোলোনি। এক্ষেত্রে তারা কট্টর ও চরমপন্থি। কারণ মিডল ইস্টের কোনো এক জায়গায় তিন হাজার বছর আগে তাদের জন্মভূমি ছিলো সেই যুক্তিতে একটি জায়গার দখল নেয়া একটি অবাস্তব বিষয়। কেননা এর কোনো সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। কিন্তু ইহুদিরা তা তৈরি করে নিয়েছে। তারা বিশ্ব শক্তিকে তাদের পক্ষে কাজে লাগিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে তাদের মেধার কারনে।
এর বাইরে ইহুদি কমিউনিটির সদস্যদের মেধার কল্যানে মেডিসিন, ফিজিক্স, কেমিষ্ট্রি, ইকোনোমিক্স, লিটারেচার ও পিচ বিভাগে এখন পর্যন্ত ১৭৫টিরও বেশী নোবেল পুরষ্কার এসেছে। এ থেকে তাদের মেধার বিস্তার সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া সম্ভব।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সময় ও বিশ্ব পরিষ্হিতি ইহুদীদের পক্ষে ছিলো; এখন ইউরোপে ইহুদীদের প্রতি সমর্থ কমছে; কিন্তু আরবদের জন্য সমর্থন নেই বললেই চলে; তবু ইউরোপ চায় যে প্যালেষ্টাইন দেশ হোক।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু সাল লিখতে টাইপো হয়েছে। ভাসানীর জন্ম এবং ইহুদিদের সংখ্যা ১৮৮১ সাল হবে।
ভালো কথা তারা বসত গড়তে কারো অনুমতি নেয়নি। কিন্তু পরে কেন ধীরে ধীর প্যালেস্টাইনীদের ভূমি দখল করে নিল? কেন নতুন নতুন ভূমিতে বসদ গড়লো তারা? যেখানে আরবদের সাথে মিলে মিশে একটা সমঝোতায় যাওয়ার কথা...
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
অটোম্যান ও ইংরেজদের সময়ে, মানুষের জমি ব্যতিত, পুরো প্যালেষ্টাইন ছিলো "খাস জমি"; ওরা খাস জমি নিয়েছে সরকারগুলো থেকে নামমাত্র মুল্যে; কিন্তু ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর, তারা আরবদের থেকে "বসুন্ধরা ষ্টাইলে" জমি কিনেছে, সেখানে অন্যায় ছিলো। সেই অন্যায় বৃটিশ বা জাতি সংঘ বড় চোখে দেখেনি, সেটা সমস্যা ছিলো।
ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পর, আরবেরা যুদ্ধের ভয়ে বিশাল এলাকা ফেলে পালিয়ে যায়।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ইহুদীরা ১৮৮১ সাল থেকেই সামান্য পরিমাণে আসার শুরু করেছিল রাশিয়া থেকে
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
শামচুল হক বলেছেন: ইহুদিদের মেধাই ওদেরকে এগিয়ে দিয়েছে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেটা যদি আরবেরা বুঝে, মুসলমানেরা বুঝে, তাদেরকে মেনে নিয়ে দেশ করতে চায়, প্যালেষ্টাইন দেশ হবে।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যে টাইমে ইহুদিরা রিফিউজি থেকে আস্তে আস্তে সেটেলমেন্ট হতে শুরু করেছে এবং নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে, সে টাইমে আরবের শেখরা সদ্য আবিষ্কৃত তেলের টাকায় বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে 'ইয়া হাবিবী ইয়া হাবী' সূরে রব তুলেছে। ইহুদিরা যখন নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং নতুন জ্ঞানের শাখায় হাত বাড়াচ্ছিল তখন আরবেরা একটি গাড়ি, একটি বাড়ি এবং কয়জন দাসী বান্দি রাখা যায়েজ আছে তার হিসাব নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের কিছু বেকুবদের বলতে শুনি, আরবে সোনার, তেলের খনি আছে যা তারা আজীবন বসে বসে খাইলেও শেষ হবে না!
জানা উচিৎ, তেল এবং সোনা জন্মাতে কোটি বছর লাগে। আরবে যে তেলের ভাণ্ডার রয়েছে তার শেষ হতে বড় জোড় একশ বছর লাগবে। একশো বছর পর তাদের আর্থিক মন্দা দেখা দিবে। তখন ধনি শেখরা ইউরোপে মাইগ্রেশন করবে। দরিদ্ররা আবার রাখালগিরীতে নাম লিখাবে। কিন্তু তখন তাদের জন্য রাখাল গিরি করাটাও দুষ্কর হবে।
তাদের অপচয় দেখলে যে কারো মাথা ঘুরাবে। অথচ পবিত্র কোরানে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে।
একথা সত্য যে, আরবরা ছিল বেদুইন এবং রাখাল, যাদের অবসস্হা ভালো ছিল তারা ছিল ব্যবসায়ী। কিন্তু তাদের সংখ্য ছিল অতি নগন্য। ইতিহাস সাক্ষী দেয় বাংলার সুলতানগণ আরবে সাহায্য পাঠাতেন।
এই অবসস্হা থেকে বাঁচতে হলে আরবদের প্রতিবেশীদের মারার জন্য আম্রিকা, ইউরোপ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলালের অস্ত্র না কিনা বাদ দিতে হবে। নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বরং নিজেরা উৎপাদনে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইরান অনুকরণীয় হতে পারে। তেলের টাকা শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং ব্যবসা বাণিজ্যে লাগানো অধিকতর বিনিয়োগ করতে পারে।
আপাতত ইউরোপীয় দেশ সমূহ ছাড়া ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা দুরূহ। মুস্লিম বিশ্বের ব্রা... ব্রা... আম্রিকা ইস্রাইলের কাছে হাসি তামাশা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
বেনামি মানুষ বলেছেন: জ্যিউ কমিউনিটিটাকে আমার ভালো লাগে তাদের একতার কথা ভাবলে, তাদের একাত্মতার কথা ভাবলে। তাদের যে কর্মস্পৃহা, যে জ্ঞান গরীমা তার কিয়দংশ ও যদি তাদের বিপরীত কমিউনিটির লোকেদের থাকতো!