নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজয়ের মাস: অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩



মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থেকেও অনেকে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব বুঝতে পারেননি, অধিকৃত এলাকায় থেকেও এরা নিজ ঠিকানায় অবস্হান করছিলেন, কথাবার্তায় খোলাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সাপোর্ট করছিলেন, কেহ কেহ কাজে যোগদান করেছিলেন, কেহ কেহ পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করছিলেন, বা সাপোর্ট করছিলেন; এদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধকে ও উহার প্রভাবকে সঠিভাবে অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

যুদ্ধের গুরুত্ব না বুঝাতে আমাদের কিছু শিক্ষিত মানুষজন পুরোপুরি বেঘোরে প্রাণ হারায়েছেন; যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করতে হয়, বা নিজস্ব যোদ্ধাদের কাছাকাছি থাকতে হয়। প্রথমত: যুদ্ধ না করলে, দেশ স্বাধীন হবে কিভাবে? যুদ্ধে যে শুধু অস্ত্রহাতে সৈনিক হতে হবে, তা নয়; ডাক্তারেরা আহত ও রোগীদের সাহায্য করতে পারতেন। ত্রিপুরার শরণার্থী ক্যাম্পে কলেরা ডায়েরিয়ায় বাচ্চারা মারা গেছে বিনা চিকিৎসায়; অথচ ডাক্তারেরা ঢাকায় পাকীদের চুরির তলে বসে ঝিমাচ্ছিলেন! আমাদের যুদ্ধগুলোতে কোন শিক্ষিত লোকজন ছিলো না বলে, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা লেখা হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ঘটনাবলী লিপিবদ্ধ হয়নি, অথচ ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসরেরা ক্লাশ নিয়ে পরোক্ষভাবে পাকীদের সাহায্য করেছেন; এগুলো ছিল ভয়ংকর ভুল; জাতির একাংশ যুদ্ধ করছেন, বাকীরা সেটা না বুঝলে, অবশ্যই এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্ভব ছিলো, এবং সেটা ঘটেছে। বেংগল রেজিমেন্ট, ইপিআর, ছাত্র ও কৃষক যোদ্ধাদের পরিবারগুলোকে সাহায্য করার লোকজন পাওয়া যায়নি।

যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, তাঁদের মাঝেও কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধা এই ৯ মাসের দীর্ঘ ও ভয়ংকর গেরিলাযুদ্ধকে সঠিকভাবে বুঝতে না পেরে অকারণে প্রাণ হারিয়েছেন; বাকীদের কথা অনুমেয়; একই সাথে, আওয়ামী লীগ এই ধরণের যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলো না; তাদের ধারণা ছিলো, অসহযোগ আন্দোলনের কাছে হেরে যাবে ইয়াহিয়ার সরকার, সমঝোতায় আসতে বাধ্য হবে; মাত্র ২৫শে মার্চ রাতে, পাকী আক্রমণের কিছুক্ষণ পুর্বে তারা বুঝতে পেরেছিলো যে, ক্রেক-ডাউন আসছে; তারপরও, তারা এতবড় হত্যাকান্ডের কথা অনুমান করতে ব্যর্থ হয়।

যুদ্ধ শুরু হলে, প্রথমদিকে, কিছুদিন আওয়ামী লীগের লোকজন কিছুটা নেতৃত্ব দিয়েছে ভেতরে; ততকালীন প্রবাসী সরকারের সাথে অধিকৃত এলাকার আওয়ামী লীগের লোকজনের কতটুকু যোগাযোগ ছিল বলা মুশকিল। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে উত্তর চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সব নেতাই ত্রিপুরা চলে গিয়েছিল, দেশের ভেতরে তাদের তেমন কোন নেটওয়ার্ক ছিলো না; তৃণমুলে যারা সাপোর্টার ছিলেন তারা ব্যক্তিগতভাবে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করছিলেন মাত্র। কলিকাতা থেকে ভেতরে লোকদের সাথে শক্ত নেটওয়ার্ক ছিলো বলে মনে হয় না; ফলে, অনেকেরই যুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিলো না।





মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আওয়ামলীগ এই ধরণের যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না।

৭১-ভিতরে বাইরে বইটিতে ঠিক একথায় উল্লেখ আছে যা আওয়ামলীগ কোনভাবে মানতে নারাজ।
তৎকালীন বাঙ্গালীদের মধ্যে যারা মেধাবী ছিল তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিল বলে মনে হয় না, কেউ কেউ প্রকাশ্য স্বাধীনতার বিরুধী করলেও অনেকে গা বাঁজিয়ে চলেছিল যে জিতবে তাঁর গান গাইবে। এরকম বুদ্ধিজীবি বেশ দেখা মেলে কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক দৈন্যতার জন্য তাঁরা বহাল তরিয়তে সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী শিক্ষিতদের মাঝে অনেক নন্দলাল ছিলেন, ও আছেন।

আওয়ামী লীগ নিজের কথা বলবে, আমরা আমাদের মাথা ঘামাবো, এজন্য আমরা ব্লগার, ওরা লীগ

২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপনা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার উপস্হাপনার লেজ কোনটা, মাথা কোনটা আমি নিজেই খেয়াল রাখতে পারি না

৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

তার ছিড়া আমি বলেছেন: সঠিক কথা বলেছেন। সুযোগ সন্ধানীরা অপেক্ষায় ছিলেন। যারা জিতবে, তাদের গান গাইবে।

আরেকটা কথা বেশ পরিস্কার, আওয়ামীলীগ চাইনি, যুদ্ধ বাধুক, দেশ স্বাধীন হোক। তারা চেয়েছিল, ক্ষমতা। অল পাকিস্তানের ক্ষমতা। কিন্তু শয়তান ইয়াহইয়া সে গুড়ে বালি ছিটিয়েছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখন স্বাধীনতার কথা সবাই চাহেনী; স্বাধীনতার কথা কিছু ছাত্র ও মওলানা ভাসানী বলছিলেন মাত্র; পাকী আক্রমণই মানুষকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে গেছে; সর্বশেষ, সাড়ে ৭ কোটীর মাঝে হয়তো ৬ কোটী স্বাধনীনতার পক্ষে ছিলেন।

৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

বেনামি মানুষ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর আমাদের এলাকার মুরুব্বিদের কাছে শুনা মুক্তিযুদ্ধ দুইটা দুইরকম।

যুদ্ধের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি কি না সেটা আলোচনার বিষয় তবে যে ক্ষতি আমাদের দেশের হয়েছে তা ও আমাদের ই জনগণ দ্বারা তা মনে হয় খুব কমই হয়েছে পৃথিবী নামক গ্রহে।



আর আমরা ভুল জানি যে ধর্মের ঢাক আপনি বাজে। ব্যাপার টা হবে যে ঢাক বাজাতে জানে তার ই বাজে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামীলীগ ছিলো তাই মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামীলীগের, যদি তাদের মতো শক্তিশালী দল আরেকটা বা আরো কয়েকটা থাকতো তবে তা তাদের সম্মিলিত রিসোর্স হতো।মুক্তিযোদ্ধা বা জনগণের না।

ফাইটারদের দায়িত্ব ছিলো মুক্তি করা, লীগের দায়িত্ব ছিলো পুরো ক্রেডিট নেয়া। দুপক্ষ ই তাদের জায়গায় সফল আমার মনে হয়, ব্যর্থ শুধু জনগণ নামক আমরা, আমাদের চাওয়া বেশি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ফাইটারদের দায়িত্ব ছিলো মুক্তি করা, লীগের দায়িত্ব ছিলো পুরো ক্রেডিট নেয়া। দুপক্ষ ই তাদের জায়গায় সফল আমার মনে হয়, ব্যর্থ শুধু জনগণ নামক আমরা, আমাদের চাওয়া বেশি। "

-ফাইটারেরা, হোক তিনি ছাত্র, কৃষক, বেংগল রাজিমেন্ট, বা ইপিআর, এঁরা সাধারণ মানুষ; এঁরা নিজের থেকে যুদ্ধে গেছেন; ছাত্রলীগের লোকজন (বিএলএফ) পার্টিগত কারণে গিয়েছিলেন।

৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের অনেকেই বুঝতে পারে নাই! তাহলে তো নতুন প্রজন্মের আরও কম বুঝার কথা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুক্তিযোদ্ধাদের বেশীর ভাগই কমশিক্ষিত, ও শিক্ষাহীন হওয়ার পরও, জাতীর যুদ্ধের সময়, ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছিলেন, ঠিক সময়ে অস্ত্র ধরেছেন, জাতিকে মুক্ত করেছেন।

৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুজিব তো ফিদেল কাষ্ট্রোর মত গেরিলা নেতা ছিলনা।
৪৭এর পর থেকেই আওয়ামীলীগ আন্দলন সুরু রাজনৈতিক ভাবে প্রথমে স্বায়েত্তশাসন পরে আস্তে আস্তে পৃথক।
৬ দফার একটি দফা ছিল পৃথক কারেন্সি।
৬ দফা কায়েম হলে স্বাধীনতার আর বাকি থাকে কি?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব গেরিলা ছিলেন না, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানও অনুধাবন করতে পারেননি।

৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকেই তখন মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি, শত্রু-মিত্র সঠিক ভাবে চিনতে পারেনি।

৭১এ গণহত্যা,
বুদ্ধিজীবি হত্যা,
মুজিব হত্যা,
জেলহত্যা,
২০০০ মুক্তিযোদ্ধা সেনা ফাসি বা গুলিকরে হত্যা।
২১শে আগষ্ট ১ জনকে মারতে ২৬জনকে হত্যা,

এখনও তাদের মনে মনে কামনা "আর সুধু একটি লাশ চাই"

এতকিছুর পরেও কি নাগরিকরা শত্রু-মিত্র সঠিক ভাবে চিনতে পেরেছে?
তাই বিএনপি-জামাত ও মৌলবাদি দলগুলো এখনো বুক ফুলিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগের ভুলের কারণে ১৯৭৫ সালের হত্যাকারীরা টিকে গিয়েছিল; ১৯৭২ সাল থেকে জাতিকে দেশের কাজে সংযুক্ত করলে, সিআইএ ও মিলিটারীর দুষ্ট অংশ সুযোগ পেতো না। আওয়ামী লীগের একাই দেশ চালাতে গিয়েছিল, মুলশক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেয়ায়, আওয়ামী লীগ ছিল শক্তিহীন।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

কলাবাগান১ বলেছেন: বাহ বেশ...জামাতি দের ঢোল বাজাবার মওকা করে দিলেন...ঘুরে ফিরে ১৯৭১ এর ইতিহাস নিয়ে ইনারা সন্ধিহান...উপরের ব্লগারদের অবস্হান ই বলে এরা ১৯৭১ এ কে কিভাবে দেখে......।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগারেরা কথা বলায়, তাদেরযকে বুঝা যায়, বাকীদের বুঝাও মুশকিল।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি হয়তো বাইয়োলোজীতে মোটামুটি ওকে; রাজনীতি ও ইতিহাসে মধুর ক্যান্টিনের দার্শনিক।

আওয়ামী লীগের অফলতার সুযোগে সিআইএ জেনারেল জিয়াকে বসায়েছে, জেনারেল জিয়া টিকে থাকার জন্য জামাত, মুসলিম লীগ, ছাত্রলীগ যাকে পেয়েছে তাকে নিয়ে দল ভারী করেছে। জিয়ার আত্মবিশ্বাস ছিল যে, জামাত ফামাত, ডা: বদরুদ্দোজা, মোজা উনার পায়ের কাছে বসে লেজ নাড়বে, আর জি হুজুর জি হুজর করবে।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আবার রিপ্লাই দিলেন কেন? :||

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন মন্তব্যের ( কত নং ) রিপ্লাই'এর কথা বলছেন?

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শিরোনামের সঙ্গে সহমত।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্টের লেখা পড়েন, দেখেন সেখানে এক মত হতে পারেন কিনা!

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যুদ্ধের মাঝামাঝি খন্দকার মোশতাক প্রস্তাব করেছিল, 'মুজিব কে চাই নাকি স্বাধীনতা চাই' সেটা আগে ঠিক করতে হবে। তাজউদ্দিন রা বলেছিলেন দুইটাই চাই। অর্থাৎ যুদ্ধের মাঝামাঝিও তৎকালীন নেতারা স্বাধীন দেশ নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলেন!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার ধারণা, যুদ্ধ কোনভাবেই মোস্তাক বা তাজুদ্দিন সাহেবের হাতে ছিলো না; যোদ্ধাদের উপর উাদের কোন প্রভাব ছিলো বলে মনে হয় না; পাকিস্তানীদের জন্য একটা পথ ছিলো, যুদ্ধ।

আবার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও একটা পথ খোলা ছিল, পাকীদের পরাজিত করা। যুদ্ধের ভেতর মোস্তাক ফোস্তাকের নাম ঠিকানা কারো জানা ছিলো না

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: বাংলাদেশের সব ক্রেডিট দিলেও কারও কারও পেট ভরে না। কারণ এরা জন্মগতভাবে পেটুকের জাতি। পেছনে লাথি খেয়ে দাত কেলিয়ে হাসতে পারে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ালেখায় কমশিক্ষিত এই বাহিনীকে জাতির সামনে তুলে ধরার ও ক্রেডিট দেয়ার দায়িত্ব ছিলো তাজুদ্দিন সাহেবের ও শেখ সাহেবের; উনাদের অনুধাবনে যতটুকু এসেছিল, ততটুকুই করেছেন।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ১< ছয় দফা
২< ৭ই মার্চের ভাষন
এতটুকুই যতেষ্ট। তখনকার সময়ে ছিলনা কোন যোগাযোগব্যবস্থা,তথ্যর অবাধ প্রবাহ।
একমাত্র রেডিও তাও গ্রামে একটা ছিলো কিনা সন্দেহ।
তারপরেও একটা পিছিয়ে পড়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আপনি ভেবে দেখেন কার ডাকে যুদ্ধে গিয়েছিলেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি গিয়েছিলাম মাতৃভুমির ডাকে!
তখন আপনার বয়স কত? আপনি কার ডাকে গিয়েছিলেন?

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০০

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ৫ নং মন্তব্য। প্রথমবার রিপ্লাই দেয়ার পর দেখা হয়েছে। পরে দেখি আবার নোটিফিকেশন এসেছে আপনি রিপ্লাই দিয়েছেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সফটওয়ারের ব্যাপার স্যাপার

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: হতে পারে। তাছাড়া অন্যান্য মন্তব্য গুলোর রিপ্লাইয়ের সাথে আমাকে দেয়া রিপ্লাইয়ে টাইমিং এর ও মিল ছিল না। তাই জিজ্ঞেস করলাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওকে

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাস ঘাটাঘাটি করতে করতে এখন তেতো হয়ে গেছে। একদল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী করার কারণে, আরেকদল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরি করে পেটের দানাপানি জুটানোর জন্য মানুষের ভিতর নানা প্রশ্নের উদয় হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহাসিক দলিলের ভিত্তিতে, জীবিত মুক্তিযুদ্ধাদের তত্ত্বাবধানে সার্বজনীনভাবে রচনা করে সাংসদে পাশ করতে হবে। অতপর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।

তারপর সেই ইতিহাস নিয়ে যারা ঘোলাপানি কিংবা গল্প (পাকিজাত) অথবা চেতনার ব্যবসা (দালাল, কিংবা চেতনার ব্যবসায়ী) করবে তাদের কে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে সাবস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ পাখি প্রেমি এবং চেতনা প্রেমীদের কারণে ক্ষতবিক্ষত।

বাংলাদেশের আপাময় সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে- সাধীনতা বিরোধী নগন্য রাজাকার এবং গুটি কয়েক চেতনাবাজীদের কে ঘিনা... ঘিনা... ঘিনা।।।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



যুদ্ধ হয়ে গেছে, জাতি জিতে গেছেন; যাঁরা নিজ দায়িত্ব যুদ্ধে গিয়ে জাতির জন্য প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরাই জাতির গৌরবের অংশ

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে লিখুন। আমাদের জন্য।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি সবকিছু পুরোপুরি জানি না; তবুও ছোটাকারে, আমার জানা মতো অংশটুকু লিখবো।

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: হয়তো গুরুত্ব বুঝানোর মত কেউ তেমন ছিল না । জীবন মরনের লড়াই এ দেশপ্রেম কতটা থাকে তা কেবল সেই অবস্থায় বুঝা যায় । অনেক সুন্দর করে লিখেছেন । ভালো লাগলো ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা মুক্তিযুদ্ধকে না বুঝে, অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির অবস্হানে ছিলেন; এদের থেকে কিছু লোকজন প্রাণ হারিয়েছেন, যা কোনভাবে জাতিকে সাহায্য করেনি।

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৭

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: ১৩.নং এর রিপ্লাই।আমি জন্মায়নি তখন। কাতালোনিয়াও তো ওদের মাতৃভূমি কেউ তো অস্ত্র হাতে নিচ্ছে না? পুজেমন তো বেলজিয়ামে।
মাতৃভূমির কেউ না কেউ ঘুমিয়ে থাকা জনগণকে যুদ্ধে যাবার ডাক দেয়। বঙ্গবন্ধুর ডাকেই বাঙ্গালীরা যুদ্ধে যায়।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব বাংগালীদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ও ভোটে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ী হয়েছিলেন; যুদ্ধ আর ভোট এক নয়।

আপনি ১৯৭১ সালে ভার্চুয়াল যোদ্ধা ছিলেন, মনে হয়।

২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভালো লিখেছেন।+

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: আপনি যেহেতু ঐ সময়ের সাক্ষী তাই জিজ্ঞেস করছি,

শেষ পর্যায়ে যেসব বুদ্ধিজীবীদের মারা হল , এরা এই নয় মাস জীবিত থাকলো কিভাবে?
আর এরা পর্যাপ্ত সময় পেয়েও পালায় নি কেনো?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন বাংগালীকে আমার কাছে বুদ্ধিজীবি বলে মনে হয়নি; শেরে বাংলা ছিলেন বুদ্ধিমান বাংগালী।

যেসব শিক্ষিত মানুষ অধিকৃত এলাকায় থেকে, পাকীদের অধীনে চাকুরী করেছিলেন, তারা ভয়ংকর ভুল করেছিলেন; বলতে হবে, অনেক লোক বেণনচে গেছেন, পাকীরা যদি আরো বেশী এই ধরণের লোকজনকে মেরে ফেলতো, কারো কিছু করার থাকতো না; দরকার ছিলো পালিয়ে যাওয়ার।

২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: "দুঃখিত গর্ধভ শব্দটির ব্যবহারের জন্য"
রাজনীতি ভালো লাগে কিন্তু বুঝে উঠতে পারি না। সোজা কথায় কিছুই বুঝি না। চেস্টা চালাচ্ছি।

উনারা যদি টিকে যেতেন হয়ত আমাদের বর্তমান পরিস্থিতের থেকে একটু ভালো থাকতে পারতাম। তারা সত্যিকারের মেধাবী ছিলেন হয়ত ,অন্তত পক্কে বর্তমান বুদ্ধিজীবী দের থেকে।

শিক্ষাব্যবস্থাকে সঠিক লাইনে আনতে কি করা খুব জরুরি ? কোন পদক্ষেপ আগে নেওয়া দরকার?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঐ কথা সঠিক নয় যে, উনারা জীবিত থাকলে জাতির কক্ষপথ বদলে যেতো; যদি উনারা জাতির ভয়ংকর দুর্দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে সামান্য সাহায্য না করে থাকেন, পরে তারা কিইবা করতেন? এগুলো হাইপোথেটিক্যাল। এক হাজার প্রাণ হারালেও ঐ রকম ১০ হাজার তো জীবিত ছিলেন!

২৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার কথাগুলো | এটাই হয়তো সত্যি | যুদ্ধের সময় যুদ্ধকে যুদ্ধের মাঠের পরিচয়েই চিনতে হয় | আমাদের নেতৃস্থানীয়দের সেই ভাবনাটা হয়তো ছিল না একাত্তরের সেই সময়ে |এটাই হয়তো সত্যি আওয়ামীলীগ (অথবা আমরা পুরো জাতি) স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না | আমাদের নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীরা (যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরো সময়ে পড়ালেন ) তারা এই পুরো নয়মাসেও যুদ্ধটা বুঝতে পারলেন না কেন সেটা আমার কাছে এখনো বিস্ময়ের লাগে ! এছাড়া রাজনৈতিক নেতারা যে প্রস্তুতু ছিলেন না সেটা আমাদের প্রধান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভাষ্য থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না আসা থেকেই বোঝা যায় | এটা নিয়ে যতই বিতর্ক থাক বঙ্গবন্ধুর বন্দি হওয়া, স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে তাজউদ্দীন আহমেদের কিছু না জানা (তার মেয়ের বইয়ের ভাষ্যই আমার বেশি সত্যি বলে মনে হয়েছে এ বিষয়ে) এগুলো আমাদের প্রস্তুতিহীনতার কথাই বলে | অনেকেরই পছন্দ হবে না কিন্তু এটাই মনে হয় সত্যি |

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তানী সেনা বাহিনীকে বুঝা মুশকিল ছিলো! সেইজন্য জাতিকে দরকারের চেয়ে বেশী মুল্য দিতে হয়েছে! অনেক শিক্ষিত মানুষ যুদ্ধকে মুল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন; তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন যে, অস্ত্রকে অস্ত্র দিয়েই রুখতে হয়, যুদ্ধ লাগলে প্ল্যান করে যুদ্ধ করতে হয়; অস্ত্র হাতে না নিয়েও যুদ্ধক্ষেত্রে যোদ্ধাদের সাহায্য করা সম্ভব

২৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সমস্যা কেউ চায় বাঘের মত একদিন বাচতে আর কেউ চায় বিড়ালের মত হাজার বছর বাচতে। যারা যুদ্ধে যোগ অথবা যোদ্ধাদের সাহায্য করেনি এরা বিড়াল শ্রেনী ভুক্ত। আর এখন এরাই বড় মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছে। আমাদের এলাকায় অন্তত ওরকম আট দশ জন আছে।
,,,
আপনার চোখের সমস্যা একটু ভাল হয়েছে???

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযোদ্ধাদের বিরাট অর্জনকে আলোকিত করা হয়নি, ও জাতি গঠনে তাঁদের সাহায্য নেয়া হয়নি; এটা ছিল তাজুদ্দিন সাহেব সরেকারে বিরাট অসফলতা।

২৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মাত্র নয় মাসে স্বাধীনতা পেয়ে যাওয়াতে এর মূল্য বোঝে না বাঙ্গাল। মূল্য বোঝে না মুক্তিযোদ্ধাদের। ভিয়েতনামের মতো দুই যুগ যুদ্ধ করতো তাহলে বাঙ্গাল ঠিকই বুঝতে পারতো স্বাধীনতা কী।
অল্প সময়ে পাওয়ার কারণেই রাজাকারদের সঙ্গে তারা আত্মীয়তা বানায়। জাতীয় পতাকা দেয় তাদের জুতা মুছতে।
এর গুরুত্ব বুঝলে ছাগলরা বলতো না পাকিরা আমাদের ভাই। অতীত ভুলিয়া যাও। তারাও মুসল মান আমরাও মছল্মান।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে যেভাবে প্রাণহানী হয়েছে, দীর্ঘ যুদ্ধ হলেও অবস্হা কি হতো ভাবতেও মাথা খারাপ হওয়ার কথা।

যুদ্ধের পর, জাতির যোদ্ধাদেরকে জাতির সামেন আনা হয়নি, যারা যুদ্ধ করেনি তারা যুদ্ধের গল্প বলেছে, যা ছিল ভুল ও আবেদনহীন

২৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০২

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ২৪ নং মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।

এমনকি আমাদের এলাকার বর্তমান থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ৭১ এ নকশাল ছিল। ( আমার আব্বার মুখে শোনা}।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক নকসাল পন্হি বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন; ১ নং সেক্টরে নক্সালপন্হিদের ক্যাম্প ছিলো

২৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১৬ তারিখে ঢাকায় বসে ভারতের একজন জেনারেল বলেছেন,'পাকিস্তান ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে'। এধরনের উক্তিকে আমাদের স্বাধীনতা তথা ৩০ লক্ষ শহীদের জন্য মান হানিকর মনে করেন কি?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালের যুদ্ধের মাঝে ৩টি যুদ্ধ আছে: ১) মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করেছেন পাকীদের আক্রমণ ঠেকাতে ও জাতিকে মুক্ত করতে ২) পাকীরা ভারত আক্রমণ করেছিলো ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করার কারণে ৩) ভারত পাকিষ্তানের বিরু্দ্ধে যুদ্ধ করেছে ভারত আক্রমণের উত্তর হিসেবে; সবাই নিজের রেজাল্ট পেয়েছে।

ঢাকায়, পাকী বাহিনী ভারতীয়দের কাছে আত্মসমর্পন করেছে নিজেদের সৈনিকদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য, ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধারা জেনেভা কনভেনশন অনুসারে্ কোন স্বীকৃত বাহিনী ছিলো না। ভারত বাংলাদেশের জন্য কম জীবনের বিনিময়ে চুক্তিতে আগ্রহী ছিল, কোন সেনা বাহিনী সৈনিক হারাতে চাহে না; ৪৬ বছরে ইহা বাংগালীদের কাছে পরিস্কার হওয়ার কথা।

২৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১৬ তারিখে ঢাকায় বসে ভারতের একজন জেনারেল বলেছেন,'পাকিস্তান ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে'। এধরনের উক্তিকে আমাদের স্বাধীনতা তথা ৩০ লক্ষ শহীদের জন্য মান হানিকর মনে করেন কি?

ভাই ভারতের কথা বাদ দিন। দেশের কীটগুলো যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কু-মন্তব্য করে তখন মানি হানি কি কম হয়?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের যে দেড় কোটী ১৯৭৬ সালে পাকীদের পক্ষে ছিলো, আজ তারা ৬ কোটীর সমান; গিয়াস উদ্দিন লিটনের মন্তব্যের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছি।

২৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১৬ তারিখে ঢাকায় বসে ভারতের একজন জেনারেল বলেছেন,'পাকিস্তান ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে'। এধরনের উক্তিকে আমাদের স্বাধীনতা তথা ৩০ লক্ষ শহীদের জন্য মান হানিকর মনে করেন কি?
সামনের বছর দেখেন ভারত বলতে পারে যে, বাংলাদেশ বলে কোনই নাই এবং ছিলোও না। তখন কি হবে এটা ভাবা দরকার।

চাঁদগাজী ভাই, খুব সহজে পাওয়া বিজয়ের ব্যাপারে বাঙালি বেশ উদাসীন! সেটা সেই যুদ্ধের সময় এবং যুদ্ধের পরেও।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সামান্য পাকী, বা আফগান স্টাইল স্বাধীনটার জন্য ৩০ লাখ সাধারণ মানুষ ও ৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধা কোন জাতি হারায়নি, ইহা মহামুল্যবান বিজয় দিবস, ইহাকে হাস্যকর করেছে এরশাদ, বেগম জিয়া, ও শেখ হাসিনা, এবং জেনারেল জিয়া

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


গিয়াস উদ্দিন লিটন দীর্ঘদিন ব্লগে আছেন, ব্লগে শতবার আলোচনা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংগালীদের অবস্হান, ভারতের সহায়তা, ঢাকায় নিয়াজীর আত্মসমর্পনের শর্তাবলী।

৩০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

হাতুরে গোয়েন্দা বলেছেন: মানসিকতা যেখানে উন্নত নয় স্বাধীনতা সেখানে প্রায় মূল্যহীন

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষা না থাকলে জাতি বদলায় না, ৪০০ বছর পিগমীরা একইভাবে বাস করছে; আমাদের সরকারগুলো কৌশলে মানুষকে পড়ালেখা থেকে বন্চিত করেছে।

৩১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সিফটিপিন বলেছেন: যুদ্ধ এখনো চলছে, যারা বুঝতে পারছে না, তারা তলে পরে আছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা পরিবারে পরিবারে প্রতিযোগীতার ব্যবস্হা করেছে, শুরু হয়েছে টিকে থাকার যুদ্ধ

৩২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: "দেশের যে দেড় কোটী ১৯৭৬ সালে পাকীদের পক্ষে ছিলো, আজ তারা ৬ কোটীর সমান।"

তাদের কথাই বলতে চেয়েছি.....ব্লগে কিছু দিন পর পর এসে ই কোথাও যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা যদি রিকশা চালান, তার ছবি নিয়ে এসে বলবে যে এর জন্যই কি স্বাধীন হয়েছি...মনে হয় যেন উনাদের জন্য কত দরদ। এরা কোন মুক্তিযোদ্ধা কে ১৯৭১ সনে পেলে কি করত তা বলা ই বাহূল্য। কোথাকার কোন ভারতীয় সাংবাদিক/সৈনিক/জেনেরাল বলল যে পাকি-ভারত যুদ্ধ হয়েছিল আর এতে ই আমাদের স্বাধীনতা মূল্যহীন!!!!! স্বাধীনতা এত টাই ঠুনকো???? কে রাজাকার পরিবারে বিয়ে করল আর আমাদের স্বাধীনতা মূল্যহীন??? একটা বিয়ে দিয়ে সমগ্র দেশের স্বাধীনতা কে মূল্যায়ন!!!!! ছয় কোটির মাঝে ৬ হাজারের ও বেশী ব্লগার দেখা যায়। এরাই স্বাধীনতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য প্রায় ই বলেন যে স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে তারা বিভ্রান্ত...। যে ইতিহাস পানির মত স্বচ্ছ, সেটা নিয়ে তারা বিভ্রান্ত!!!!!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীনতার ইতিহাস ভুল বুঝার জন্য দায়ী শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব; উনারা মানুষের শিক্ষার জন্য কিছু করেননি; অশিক্ষিতদের কাছে কোন কিছুই পরিস্কার নয়।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মানুষের ধারণা ভাসা ভাসা, কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন করায়, মুক্তিযোদ্ধারা ও মুক্তিযুদ্ধ পেছনের সারিতে চলে গেছে, সেটা করেছেন তাজুদ্দিন সাহেব।

৩৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:






ট্রাম্প বলছেনঃ বুঝতে না পারার পিছে প্রতিবন্ধকতা কি ছিল?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুল সিদ্ধান্ত, ও সমাজের থেকে বিচ্ছিন্নতা

৩৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

প্রবাসী দেশী বলেছেন:

*মঈদুল হাসান (মুক্তিযুদ্ধকালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও মূলধারা৭১ গ্রন্থের প্রণেতা) রচিত প্রথমা (প্রথম আলো) প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথপোকথন’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ২৫ মার্চ পর্যন্ত যুদ্ধের জন্য কারো কাছ থেকে কোনো নির্দেশ আসেনি। জহুর আহমেদ চৌধুরী নিজে তাজউদ্দিনকে বলেছিলেন, স্বাধীনতার ঘোষনার ব্যাপরে তাকে কিছুই বলা হয়নি। এমনকি স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য তাজউদ্দিন আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে একটি চিরকুট লিখে এবং টেপরেকর্ডার নিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু তাতে শেখ মুজিব স্বাক্ষর করেননি এবং রেকর্ড করতে রাজী হননি। তাজউদ্দীন আহমদের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি যখন তাঁকে বললেন, “মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে, কেননা কালকে কী হবে, আমাদের সবাইকে যদি গ্রেফতার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না কী তাদের করতে হবে।’ এই ঘোষণা কোনো না কোনো জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাব। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে। শেখ সাহেব তখন উত্তর দিয়েছিলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।

Source :online

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেহেতু তাজুদ্দিন সাহেব নিজ মুখে এগুলো বলেননি; এগুলোর মুল্য অনেককটা গোসিপের মতো।

পাকিষ্তান আমাদেরকে আক্রমণ না করলে, অসহযোগ আন্দোলন চলতো আরো কিছু সময়। শেখ সাহেব ধারণা করেছিলেন, চাপের মুখে সামরিক সরকার সঠিক পথে ফিরে আসবে ।

৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এক সময় হয়তো আমাদের আলাদা হতেই হত। এভাবে দুই পাড়ে এক দেশ ভৌগলিকভাবেও অবাস্তব। তবে ৭০-এর নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিয়ে শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের ক্ষমতা দিলে যুদ্ধ শুরু হত না...

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইয়াহিয়া খান ভোট দিয়ে ভোট মানেনি; পাকিস্তানী মিলিটারীতে মানুষ ছিল না, ছিল অমানুষ

৩৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

প্রবাসী দেশী বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=tHx9qmLhmro

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভিডিও দেখেছি, শেখ সাহেব শেষ মহুর্তেও আশা করেছিলেন যে, উনার দল সরকার গঠন করতে পারবে; উনি তো স্বাধীনতার পক্ষে ভোট চাননি, চেয়েছিলেন ৬ দফার পক্ষে।

৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৮

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ৮ নং সেক্টরে নকশালরা দেশের পক্ষে ছিল না। তারা সুযোগ সন্ধানী ছিল।



আমার মায়ের দিকের এক মামাকে আমার বাবা কমান্ডারের নিকট সুপারিশ করে বাঁচিয়েছিল। সে এখন বিশাল মুক্তিযোদ্ধা।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীর ভাগ নক্সাল পাকিষ্তান বিরোধী ছিল ও অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছে; মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক লিষ্ট (ভারতে ট্রেনিং'এর লিষ্টে) নাম থাকলে, তাকে কেহ বাদ দেয়া ভুল হবে।

৩৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

সিভিলিয়ানদের কাছে যুদ্ধ একটা বিশৃঙ্খলা
সোলজারদের কাছে যুদ্ধ একটা প্রাকটিকাল টেস্ট
সরকারের কাছে যুদ্ধ একটা কূটনৈতিক খেলা
কবিদের কাছে যুদ্ধ একটা চেতনা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা পাকিষ্তানের বিশ্রী কুটনৈতিক খেলা থেকে বের হতে গিয়ে, বাংলার বিশ্রী কুটনৈতিক খেলার বৃত্তে প্রবেশ করেছি; প্রথমটা থেকে বের করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা, এবার জনতাকে নিজেই বের হওয়ার চেষ্ট করতে হবে।

৩৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: পাকিপ্রেমীরা মুক্তিযুদ্ধকে কলংকিত করে সবসময় ভিন্নখাতে দেখতে পছন্দ করে; চেতনাবাজরা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুক্তিযুদ্ধকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে;

এই দুই শ্রেণির বাদেও যে বিপুল সংখ্যাক মানুষ এই মাটিকে মানুষকে ভালোবেসে যুদ্ধের বিভীষিকাকে শক্তিতে রূপ দিয়ে দেশ গড়ায় ব্রত রয়েছে ঐ দুই শ্রেণির এতে রা নেই। দুটোই জাতির শত্রু। পশ্চাদদেশে শাবলের বাড়ি মেরে এদের সকলকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সফল প্রয়োগ হত। দেশও তরতরিয়ে এগিয়ে যেত।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের ভুলে ভুল লোকেরা মুক্তিযুদ্ধকে দখল করে নিয়েছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.