নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বে অশান্তি দেখা দিলে, কাপড়ের ব্যবসা ও আদম বেপারী ব্যবসার ক্ষতি হবে!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৮



এখন সিংগাপুরে রাত ১১টার কাছাকাছি; ট্রাম্প ও কোরিয়ার কিম জং উন সিংগাপুরে অবস্হান করছেন; কাল সকাল থেকে ২ জনের একান্ত মিটিং শুরু হবে; মিটিং'এর অগ্রগতির উপর নির্ভর করে, মিটিং ২/৩ দিনও হতে পারে, বা কালকেই শেষ হয়ে যেতে পারে। যদি মিটিং কম সময়ের জন্য স্হায়ী হয়, বাংলাদেশ ও এশিয়ার জন্য সামনে বিপদের আশংকা আছে, উত্তর কোরিয়া আক্রান্ত হতে পারে; মিটিং ২/৩ দিন স্হায়ী হলে, বুঝতে হবে, ট্রাম্প ও কিম জং কোন ধরণের সমঝোতায় পৌঁছাচ্ছেন।

পেন্টাগণ ট্রাম্পের এই ধরণের মিটিং কোনভাবেই পছন্দ করছে না; কংগ্রেস ও সিনেটও এই ধরণের মিটিং'এর পক্ষে নয়; তাদের মতে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট কিমের মতো ডিক্টেটরের সাথে বসাই আমেরিকার জন্য অসন্মানজনক। কিন্তু ট্রামপের জন্য এই মিটিং খুবই দরকার, দেশের ভেতরে ট্রাম্পের যেই অবস্হা, তাকে কোরিয়ায় জিততেই হবে; হয়, কিমকে বুঝােয় সুঝায়ে এটমিক প্রোগ্রাম থেকে সরায়ে নিতে হবে, না হয়, আক্রমণ করে কিমকে ধ্বংস করতে হবে। ট্রাম্প ব্যবসায়ী মানুষ, সে কিমের সাথে যুদ্ধে যেতে চাইবে না; কারণ, সে তেল ও অস্ত্র ব্যবসায় কোনদিন বিনিয়োগ করেনি, তার ব্যবসা রিয়েল-ষ্টেট ডেভেলপমেন্ট ও বিনোদন, যা যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়।

উত্তর কোরিয়ার কিম ও দ: কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মাঝে কি কথা হয়েছে, বিশ্ব তা জানে না; তবে, কোরিয়ায় যুদ্ধ হলে, ২ কোরিয়ার মানুষ যে মরবে, সেটা নিয়ে নিশ্চয় আলোচনা হয়েছে; ফলে, কিম যুদ্ধে যেতে চাইবে না; তবে, সে নিজের রাজত্ব বজায় রেখে, আমেরিকার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়তে চাইবে।

সমস্যা হবে, ট্রাম্প যদি শুরুতে 'নি:র্শতভাবে এটমিক অস্ত্র ধ্বংস করে প্রোগ্রাম বন্ধের চাপ' দেয়; কিম আমেরিকানদের বিশ্বাস করবে কিনা, কে জানে! কিম জানে, পেন্টাগণ ও ট্রাম্প একই মনোভাব পোষণ করে না, এবং ট্রাম্প কতদিন আছে সেটাও পরিস্কার নয়।

ট্রাম্প যদি আলোচনার মাধ্যমে কিমকে এটমিক প্রোগ্রাম থেকে না সরাতে পারে, পেন্টাগণ চাইবে ট্রাম্প শক্তি প্রয়োগ করুক; ট্রাম্পও সেটাকে লুফে নিতে পারে তখন। ট্রাম্প ও কিমের মাঝে প্রথম থেকেই সমস্যা দেখা দিলে, দ: কোরিয়া হয়তো চেষ্টা করবে সেই সমস্যার সমাধান করতে; কারণ, যুদ্ধ লাগলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে দ: কোরিয়া।

মিটিং ফলপ্রসু না হলে, আমেরিকা ও এশিয়া যুদ্ধের আশংকায় থাকবে, বিনিয়োগ ও উন্নয়নে ভাটা পড়বে; মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া ভয়ে থাকবে; আনবিক যুদ্ধ হলে, বিশ্ব থমকে যাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য।



মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:১১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: সবে কাপড়ের ব্যাবসা ধরলাম, আর আপনি ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যুদ্ধা হলেও, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন ব্যবসা ঠিক থাকবে; যারা আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে যুক্ত সেখানে মন্দাভাব পড়বে।

২| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: কিম-ও তাহলে রাজত্ববাদী!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিম সামরিক সর্বস্ব হয়ে গেছে; তার সঠিক কোন তত্ব নেই।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: কিছু একটি তো হবে।

আরে দুই নেতা বসছে সেটাই বিস্ময়কর!!

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের সবচেয়ে ২ গন্ডগোল লোক একান্ত মিটিং করবে, এটা আসলে বিরাট ব্যাপার; ২ জনে মারামারি লেগে যায় কিনা কে জানে!

৪| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০২

জুন বলেছেন: সাদ্দামের কাল্পনিক মাস ডেস্ট্রাকশন উইপন আছে বলে বলে ইরাককে ধ্বংস করলো। তা কিম জং উনের কাছে যে পরমানবিক অস্ত্র আছে তা সে প্রকাশ্যেই ছুড়ে মেরে প্রমান করেছে । তো আমেরিকা উত্তর কোরিয়ার উপর আক্রমন চালাচ্ছে না কেন বলবেন ? সে কি চীনের ভয়ে ? ঐখানে আক্রমন করলে তো আর না হোক দঃ কোরিয়া আর জাপানের সাপোর্টতো পেতো। এখন সিংগাপুর আসছেন আলোচনা করতে উত্তর কোরিয়ার মত তাদের ভাষায় এক ক্ষুদে পাগলের সাথে ।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিমকে সামনে রেখে চীন ও রাশিয়া মিলে আমেরিকাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে আসছে; আমেরিকা যদি উ্ত্তর কোরিয়াকে এটমিক পাওয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, আমেরিকার কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এখন। আমেরিকা কেন অকারণ এটা নিয়ে লেগেছে বুঝা মুশকিল। সময়ের সাথে, কিমকে ক্ষমতাচ্যুত করবে উত্তর কোরিয়ার মিলিটারী ও ২ কোরিয়া এক হবে।

ইউরোপের উচিত ছিলো উ: কোরিয়াকে এটমিক পাওয়ার হিসেবে মেনে নেয়া।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৫

কানিজ রিনা বলেছেন: ট্রাম্পু যদি বলে তুমি আমার ছেলের মত
তাহলে হয়ত কিমজং গললেও গলতে
পারে
বলা যায়না কিমজং যদি বলে আমি
আপনার ছেলে হলে আমার কথা শুনে
চলতে হবে আমিও আপনার কথা শুনব।
কারন ট্রাম্প দুর্বল বলেই কিমজংএর সাথে
বৈঠক করছে। শেষ মেষ ট্রাম্পু যদি ছেলে
পাতায় তাহলে হয়ত দুই পিতা পুত্র মিলে
পৃথিবীর সংকট কিছুটা মুক্ত হবে। আশা করা
যায় দুই উন্মাদ সমঝতায় আসবে। কারন
আগে থেকেই ট্রাম্প ছেলে বলে সম্মোধন
করে আসছে।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিম জানে, তারই জীবনকালে ২ কোরিয়া এক হয়ে যাবে; সে বরং আমেরিকার সাপোর্ট নিয়ে তার রাজত্বকে লম্বা করতে চায় ও ভালো শর্ত নিয়ে এক হতে চায়; আমেরিকা ২ কোরিয়া এক হওয়ার বিপক্ষে।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২২

নাজিম সৌরভ বলেছেন: আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি সহজে চেঞ্জ হবার নয় । কিন্তু ট্রাম্প এসে হিসেব নিকেশ উলটে দিয়ে পররাষ্ট্রনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে । যেমন ইরানের চুক্তি এবং বিশ্ব আবহাওয়া চুক্তি নিজের ইচ্ছায় বাতিল করলেন । মনে হয় পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তনের এই খেলা এখন আমেরিকাতে চলতে থাকবে । যদি তাই হয়, তাহলে ট্রাম্প কিমের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত আসবে তা কি আমেরিকার পরের প্রেসিডেন্ট রাখবেন ? মনে তো হয়না ।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গত ভোটে রাশিয়ান কানেকশান নিয়ে, ও হোয়াইট হাউজে নেতৃত্বের ক্রমাগত বদলী ট্রাম্পকে বেশ খারাপ পজিশনে নিয়ে গেছে! ট্রাম্প কোরিয়ান সমস্যায় জয়ী হওয়ার চেষ্টা করবে, সন্ধি করে, কিংবা বল প্রয়োগ করে।

৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: কিমজং উন্মাদ হলেও ট্রাম্পে যে ধরিবাজ
তা ভাল করেই জানে নিজেরটা উসুল না
করে কিমজং কখনও গলবে না। ট্রাম্প
চেষ্টার কমতি করবেনা ছেলেটাকে বসে
আনার, তবে ট্রাম্প কিমজংকে বসে আনতে
পারলে আন্তর্জাতিক ভাবে ট্রাম্পু প্রসংসা পাবে।

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের ভেতরে ট্রাম্পের অবস্হা এতই সমস্যাপুর্ণ যে, সে নিজেই একটা সমাধান চাচ্ছে।

৮| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই মিটিং-এর ব্যপারে কিছুদিন আগে ট্রাম্প বলেছিল উত্তর কোরিয়ার সাথে সংলাপে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। কারণ হিসেবে কিম কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অব্যাহত ক্ষোভ ও শত্রুতা পোষণ করাকে দায়ী করা হয়েছে। পরে আবার মত পরিবর্তন হয়ে আগামীকাল বসবেন তেনারা। এবার যদি আলোচনা ফলপ্রসূ হয় তাহলে তেনারা নোবেল পুরস্কার পাবেন বলে মনে হয়। তবে আমি চিন্তা করছি উত্তর কোরিয়ানদের নিয়ে। কারণ, তাদের স্কুল থেকেই শেখানো হয় আমেরিকানরা শত্রু। তাদের কয়েকজনের সামনে আমেরিকার নাম নিলেই রেগে উঠত! এই মনোভাব নিয়ে বন্ধুত্ব করলে উত্তর কোরিয়ানরা কী ভাববে? অবশ্য তারা তো রোবট। তাদের কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না...

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


গত ২/৩ বছরে উ: কোরিয়ায় অনেক কিছু বদলে গেছে; মানুষকে ছোটখাট ব্যবসা করতে দিচ্ছে; মিলিটারী ও সরকারের লোকদের জন্য কয়েকশত নতুন উঁচু বাড়ীঘর করা হয়েছে; মানুষ দ: কোরিয়ার দিকে ঝুঁকছে।

৯| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৫

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: ব্লগার দূর্বা জাহানের বাবা view this link

১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার দেয়া লিংকে পড়লাম; সকাল থেকে ব্লগেও পোষ্ট এসেছে।

বাংলাদেশে, ব্লগিং'এ বা সামাজিক আলোচনায় ধর্ম নিয়ে আলোচনা করা ভুল; এখানে মানুষ ধর্ম নিয়ে আলাপ পছন্দ করে না, এবং এসব আলোচনা বুঝার অবস্হানে নেই; সর্বোপরি, শতকরা ২০/২৫ জন মানসিক সমস্যায় ভোগে।

১০| ১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন:

১২ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ভালো ছবি পোষ্ট করেছেন; কিমকে সহজ মনে হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.