![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
আইয়ুব বাচ্চুর গীটার কথা বলতো, প্রানে কথার সুর তুলতো; বাংলা রকে আইয়ুব বাচ্চু কনসার্ট হলকে জীবন্ত করে তুলতো; কিন্তু হার্ট-এ্যটাক আইয়ুবকে থামিয়ে দিলো আজ! মানুষ আইয়ুব বাচ্চুকে মনে রাখবেন অনেকদিন। বাংলার ছেলেরা এখন ৩২ বছর বয়সেও পরাজিত হচ্ছে হার্ট-এ্যটাকের কাছে; বাংলার তরুণ, যুবা সবাই আজ এই মরণ-ব্যাধির কাছে বেশ অসহায়।
সমাজের অস্থিরতার কারণে মানুষ আজ পারিবারিকভাবে, ব্যক্তিগতভাবে নৈরাজ্য ও অস্হিরতার শিকার; অস্হিরতা মানসিক চাপের সৃষ্টি করে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সমস্যা থাকতে পারে, তার সাথে যোগ হচ্ছে সামাজিক অস্হিরতা, পরিবেশ দুষণ ও খাবারে ক্যামিক্যাল, বাতাসে ধুয়ার বিষ; এগুলো হার্ট-এ্যাটাকের বড় বড় কারণ।
বিপুল পরিমাণ তরুণ বেকার থাকায়, বা খুবই কম বেতনে চাকুরী করাতে মেডিক্যাল চেক-আপ করাতে পারে না; কাজ ও সামাজিক অস্হিরতার কারণে, চা কফি, মদ, ইয়াবা খেয়ে নিজকে কয়েক মিনিটের জন্য মুক্তি দিতে চায়; এগুলো অবশেষে হার্টে গিয়ে লাগে।
গায়ক, মিউজিশি্যান, সাহিত্যিকদের আলাদা নিজস্ব ভুবন থাকে, সেখানে স্বপ্নরাজ্যের একটা পৃথিবীও থাকে; ফলে, এরা একটু ফুরফুরে স্বভাবের হয়, মানসিক চাপ এদেরকে সহজে কাবু করার কথা নয়।
আইয়ুব বাচ্চু হয়তো নিজেও নিজের কিছুটা ক্ষতি করেছেন, তিনি মোটামুটি ভালোই ড্রিংক করতেন; আমাদের দেশের জলবায়ু ড্রিংকের জন্য খুবই খারাপ; আমাদের পুর্ব পুরুষেরা ড্রিংক করতো না; ফলে, জেনেটিক্যালীও আমাদের শরীর ড্রিংকের পক্ষে নয়; গরম জলবায়ুর দেশে ড্রিংক শরীরের জন্য আসলে ভয়ংকর।
আমাদের দেশের পরিবেশ দুষণ, খাদ্যে ভেজাল, খাদ্যে কেমিকেলের সাথে ইয়াবা মিয়াবা, বিয়ার ফিয়ার, ভদকা, হুইস্কি যোগ হওয়া মানে ছোটখাট আত্নহত্যার প্রচেষ্টাের সমান। আমাদের তরুণরা সামান্য কিছু করতে পারলে, এদিক ওদিক করে খালি সেলেব্রাইট করতে লেগে যায়; ইহার অংশ হিসেবে ইয়াবা মিয়াবা, বিয়ার ফিয়ার, ভদকা, হুইস্কি যোগ হয়ে যায়, যা অসময়ে ভবলীলা সাংগ করতে সাহায্য করছে, মনে হয়!
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
তিনি ভালো মিউজিসিয়ান ছিলেন, ভালো গীটার বাজাতেন, মানুষের মনে স্হান করে নিয়েছেন।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বন্ধুও হার্ট এটাকে মারা গেল। তার লাশ সৌদি থেকে ঢাকা আনতে দুই মাস সময় লেগেছে।
পুরো পোষ্টটিতে চমৎকার সব সত্য কথা লিখেছেন।
খবরটা শোনার পর থেকেই তার জন্য মন খারাপ লাগছে, মনে হচ্ছে আপনজন কেউ চলে গেছেন।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি উনার গীটার শোনার জন্য ২ বার কনসার্টে গিয়েছিলাম; হাসিখুশী মানুষ ছিলেন।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২১
আখেনাটেন বলেছেন: উনি বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতের একজন দিকপাল ছিলেন। অকাল প্রয়াণ ঘটল।
আমাদের দেশের পরিবেশ দুষণ, খাদ্যে ভেজাল, খাদ্যে কেমিকেলের সাথে ইয়াবা মিয়াবা, বিয়ার ফিয়ার, ভদকা, হুইস্কি যোগ হওয়া মানে ছোটখাট আত্নহত্যার প্রচেষ্টাের সমান। -- চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি...। ...বাবা'রা এখন গ্রামেও হাজির হয়েছে। ভয়ঙ্কর।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগারেরা সবকিছু দেখছেন, সবকিছু নিয়ে ভেবে দেখতে হবে!
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান ২০১৮ বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) যৌথ বার্ষিক সভায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভালো করেছে।
পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার,
শিশুদের স্কুলে পাঠ গ্রহণের সময়কাল,
শিক্ষার মান,
প্রাপ্তবয়স্কদের গড়ে অন্তত ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকা
শিশুদের সঠিক আকারে বেড়ে ওঠা
ইত্যাদি বেশ কয়েকটি সূচক দিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
গড়পড়তা বাংলাদেশের একটি শিশু ৪ বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু করে ১৮ বছর পার হওয়ার আগে গড়ে অন্তত ১১ বছর শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় থাকে।
অন্যদিকে গড়পড়তা ভারতের শিশু ১০ দশমিক ২ বছর ও পাকিস্তানের শিশু ৮ দশমিক ৮ বছর স্কুলশিক্ষা পায়।
স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে শিশুদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে যত শিশু জন্ম নেয় এবং পাঁচ বছর বয়স হওয়ার পর ৯৭ শতাংশ শিশুই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বা উপযোগী থাকে। নবজাতক ও শিশুমৃত্যুর হার কমাতেও ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে প্রতিবেশী ভারতে এমন ১০০ শিশুর মধ্যে ৯৬ শিশু বেঁচে থাকে। পাকিস্তানে এই হার ৯৩ শতাংশ।
সুত্র - প্রথমআলো
আপনার কথামত আমাদের দেশে সবাই পরিবেশ দুষণ, খাদ্যে ভেজাল, খাদ্যে ফরমালিন কেমিকেলের সাথে ইয়াবা মিয়াবা, বিয়ার ফিয়ার ... এসবে ডুবে থাকলে আমাদের গড় আয়ু প্রতিবেশী দেশসমুহের চেয়ে বেশী হল কিভাবে?
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কাগজে কলমে দেখছেন, বাংলাদেশের ডাটায় ফাঁকি আছে; বাংলাদেশ থেকে ডাটা যারা দেয়, তাদের বড় অংশ অদক্ষ ও ফাঁকিবাজ; সবচেয়ে বড় কথা, আমরা এই লেভেলে থাকার জন্য ৩০ লাখ প্রাণ দেননি।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি ভালো মিউজিসিয়ান ছিলেন, ভালো গীটার বাজাতেন - এর সাথে আমি একটুখানি যোগ করতে চাই, তিনি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তিনি মানুষের মনে স্হান করে নিয়েছিলেন; কতটা নিয়েছিলেন, সেটা আগে ততটা বোঝা না গেলেও আজ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আপামোর জনসাধারণ আজ গভীর শোকে মুহ্যমান।
হার্ট এ্যাটাকের বড় বড় কারণগুলো আপনি ঠিকই চিহ্নিত করেছেন। তরুণ-যুবাদের খেলাধুলাহীন, কায়িক শ্রমহীন জীবন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে চেয়ার নির্ভর চাকুরী ইত্যাদি বিষয়গুলোও আপনার ভাষায় "অসময়ে ভবলীলা সাঙ্গ করা"র জন্য সহায়ক।
সুলিখিত পোস্ট। প্লাস + +
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আইয়ুব বাচ্চু খুবই মানানসই মানুষ ছিলেন; আমি উনাকে লাইভ শোনার জন্য গিয়েছিলাম।
আমাদের তরুণরা ক্রমেই পশ্চিমের মতো সেলিব্রসনে মেতে উঠছে; কিন্তু তারা পশ্চিমা মানুষ নন, আমাদের জলবায়ু পশ্চিমের মতো নয়, এখানেই সমস্যা
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: প্রিয় স্যার, আপনার লেখায় অনেক কিছু জানতে পারলাম। আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন হাজারো তরুণের আইডোল। তাঁর জন্য খারাপ তো অবশ্যই লাগবে। তবে পৃথিবী থেকে সবাইকেই একদিন বিদায় নিতে হবে এই কথা মাথায় রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। শুভ রাত্রি।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "পৃথিবী থেকে সবাইকেই একদিন বিদায় নিতে হবে এই কথা মাথায় রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ"
-পৃথিবী থেকে একদিন বিদায় নিতে হবে, উহা তো আমার মাথার সাথে ধাক্কা খাচ্ছে নিয়মিতভাবে!
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যগত ত্রুটি নিয়ে কথাগুলো সঠিক বলেছেন। ফল কিনতে ভয় লাগে। কসমেটিকস কিনতে ভয় লাগে। সব ভেজাল।এত এত ওষুধের দোকান। সবগুলোতে ভীড় লেগেই থাকে ওষুধের জন্য...
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের মানুষ লাকে কাখে ভারত যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য, কারণ তারা খাবারের সাথে কেমিক্যাল বিষ খাচ্ছে, ঔষধের নামে অনেকে ভুয়া কিছু একটা খাচ্ছে; বাংলাদেশের খাবার ব্যবসায়ীদের মাঝে ৯০% ক্রিমিনাল, ঔষধ ব্যবসায়ীদের মাঝে ৭০% ভাগ ক্রিমিনাল; এদের ধরার জন্য যেসব ইনসপেক্টের রাখা হয়েছে তারা ১০০% ক্রিমিনাল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক বলেছেন।