নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী ভোট কি আপনাকে উৎসাহিত, নিরুৎসাহিত, কিংবা শংকিত করছে?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮



দেশ আজকে যেই অবস্হায় আছে: শেখ হাসিনার সরকারের অবস্হান, বেগম জিয়ার জেল, জেনারেল এরশাদ ও রওশনের ভাঁড়ামী, শেখ সাহেবের ২ শিষ্য, ড: কামাল ও আ স ম রব'এর জাতীয় ঐক্যের ডাক এবং বিএনপি'র সাথে কোয়ালিশন, মির্জা ফখরুলের বেগম জিয়ার মুক্তির রাজনীতি, সব মিলিয়ে, আগামী ভোট কি আপনাকে উৎসাহিত করছে, নিরুৎসাহিত করছে, কিংবা শংকিত করছে?

গত ৫ বছর শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ চালায়েছেন, তাতে সাধারণ মানুষের কোন অংশ গ্রহন ছিলো না, সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পিত কোন প্রচেষ্টা ছিলো না; সরকার নিজের ভবিষ্যত নিয়ে অনেক অর্থহীন কথা বলছিলো সব সময়, মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেনি: সরকার বলেছে, ২০২১ সালে সরকার কি করবে, ২০৪১ সালে কি করবে; কিন্তু যাদের জন্য করার কথা বলছে, তাদের বর্তমানটা কিভাবে চলছে, সেটা নিয়ে সরকার কথা বলেনি কখনো!

বাজেট, ঋণ ও সরকারী খরচ অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে, সরকার দেশের ইনফ্রাষ্ট্রাকচারে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করছে; দেশে ধনীর হার বৃদ্ধি ও জিডিপি থেকে সহজে অনুমান করা সম্ভব, এই টাকাগুলো সরকারের সাথে পরিচিত বড় বড় ব্যবসায়ীরা নামে মাত্র কাজ দেখায়ে দখল করে নিয়েছে; সরকারের 'উন্নয়ন উন্নয়ন' চীৎকারের সাথে সাধারণ মানুষের অর্থনীতির সাথে কোন মিল নেই: দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা, অর্ধ বেকার, বিদেশে চাকুরীর আশায় দালালের হাতে শেষ সম্বল তুলে দেয়ার প্রবণতা, সরকারের "উন্নয়ন উন্নয়ন" চীৎকারের সাথে মিলছে না।

ধনী বৃদ্ধির অর্থনীতি থামিয়ে, মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের অর্থনীতি নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা হওয়ার দরকার আছে, ভোটের সময় হাউকাউ হলেও কিছু আশার বাণী শুনতে চায় মানুষ; শেখ হাসিনা এবারের ভোট নিয়ে সেই রকম কোন আলোচনায় যায়নি এখনো, এখনো তিনি ড: কামাল, ডা: বদরুদ্দোজাকে নিয়ে ব্যস্ত; ড: কামাল বা ডা: বদরুদ্দোজা কেন উনার জন্য সাবজেক্টে পরিণত হলো, সেটা কোনভাবেই পরিস্কার নয়।

দেশে একাডেমিক কোন জরীপ ব্যবস্হা নেই; ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ, ভোটের দিক থেকে দলগুলোর অবস্হান, কিছুই বুঝার উপায় নেই; সরকারী দলের লোকজনের মাঝে, যুগোপযোগী এমপি হওয়ার মতো রাজনীতিবিদ নেই বললেই চলে! আবার অন্য রাজনৈতিক দলগুলতে রাজনীতিবিদ তো দুরের কথা ভালো মানুষই নেই। পুরো বিপক্ষের মাঝে ড: কামাল হোসেন ছাড়া, অন্যেরা পরিক্ষিতভাবে অসফল রাজনীতিবিদ; সবেধন নীলমনি, ড: কামাল হোসেনও কোনদিন রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখাতে সক্ষম হননি।

শেখ হাসিনার দল, ড: কামালের যুক্তফ্রন্ট, বেগম জিয়ার বিএনপি নিয়ে মানুষ কি উৎসাহিত, নিরুৎসাহিত, নাকি শংকিত?

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার ভোট আমি দেব
অন্য কাউকে আমার ভোট দেবার
সুযোগ দেব না ।
..........................................................................

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা শুনে আসছি আজীবন; আপনি যাকে ভোট দেবেন, সেই রকম কেহ আপনার জানা আছে?

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সেজন্য না ভোট প্রচলনের
দাবী উঠেছে ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


'না' ভোট আসলে তেমন কোন রাজনৈতিক সমাধান নয়; সমাধান হলো, দলগুলোকে চাপ দেয়া, যাতে দুষ্টরা কেন্ডিডেট হতে না পারে; এটা শিক্ষিতদের দায়িত্ব

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে প্লাস। উন্মুক্ত অনলাইনের এই যুগে জনমত তৈরী করা অনেক সহজ। সুষ্ঠু নির্বাচন হবার মত পরিবেশ হলে আগের অসৎ রাজনীতিবিদদের নির্বাচনে দাঁড়ানোই আসলে কঠিন হয়ে যাবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পার্টিগুলোতে রাজনীতিবিদই নেই, তারা কেন্ডিডেট কোথায় পাবে? কোনদলই সৎ ও শিক্ষিত প্রফেশানেলদের দলে আনতে পারেনি।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

নজসু বলেছেন: কেউ কেউ মনে করেন, আগামীতে ভোট হলেই কি আর না হলেই কি।
আওয়ামীলীগ স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকবে।

কেউ কেউ মনে করেন, নির্বাচনে জনগন আওয়ামীলীগকেই নির্বাচিত করবে।

বেশি বোঝনেওয়ালা আরেকদল মনে করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে খালেদা জিয়া তার দলবল নিয়ে সিংহাসনে বসবেন। (তাদের ধারণা নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না)

জোকার মামা তো মনে করেন নির্বাচনের আগেই তিনি ৩০০ আসনে জয়লাভ করে বসে আছেন।

যারা আখের গোছাতে না পেরে কিংবা নিজেদের আখের গোছাতে ভেল্কিবাজী করছেন তাদের সম্পর্কে কিছু কানে আসেনি এখনও।

সুতরাং আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার মনে আপনার পোষ্ট শিরোনামের সম্ভাবনাই ভর করেছে।

আমি চিন্তিত।
আমি শংকিত।
আমি উৎসাহিত।
তবে, নিরুৎসাহিত নই।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশে একাডেমিক, ইনষ্টিটিউশানেল জরীপ ব্যবস্হা নেই; ফলে, মানুষ দলগুলোর অবস্হান সম্পর্কে সঠিক ধারণা পায় না। মানুষকে ভাঁড় এরশাদ, প্রজ্ঞাহীন মির্জা সাহেব, পরিক্ষিতভাবে অফল রাজনীতিবিদদের গলাবাজির উপর নির্ভর করতে হয়।

মানুষকে শংকিত মনে হচ্ছে।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: শেষ নির্বাচন হয়েছে দশ বছর আগে। তখনও উন্মুক্ত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম আজকের মত শক্তিশালী ছিলনা। মানুষের কথা বলার কোন যায়গাই আসলে ছিল না। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে শিক্ষিত বিবেকবান জনগোষ্ঠী একটা শক্ত ভুমিকা রাখতে সমর্থ হবে। ডঃ কামালও কিন্তু সুশাষনের ওপড়ই ,মুলত জোড় দিচ্ছেন। তিনি স্পষ্ট উচ্চারন করেছেন যে এক লুটেরা গোষ্ঠিকে সরিয়ে আরেক লুটেরাকে ক্ষমতায় বসাতে তিনি জাতীয় ঐক্যের ডাক দেননি।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ড: কামাল যদি 'লুটেরা' শব্দটি সঠিকভাবে বুঝেন, তা'হলে উনি আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি'র সাথে কোয়ালিশন করার কথা নয়।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

কানিজ রিনা বলেছেন: লাল নকসা অনুসারে খালেদা জিয়া জেল
থেকে বেড় হওয়ার সম্ভাবনা নাই। তাই
শেখ হাসিনার জয় অনিবার্জ ইনশাল্লাহ্।
কাউয়া কাদেরের গলাবাজীই প্রমান কি হবে
না হবে। খালেদা জেল থেকে বেড় হলে
কাওয়ারা জিততে পারবে না তাই খালেদা
জেলেই থাকবে। ইনশাল্লাহ্ ইনশাল্লাহ জোড়
করেই জিততে হবে ইনশাল্লাহ্। ধন্যবাদ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেগম জিয়া তো বেগম জিয়া, বেগম জিয়াকে রাজনীতিতে আনাটাই ছিল পুরো জাতির বিপক্ষে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র; উনাকে নিজে বাড়ী আজীবন জেলে রাখলে, জাতির মনোকষ্ট কিছুটা হলেও কমবে; উনাকে রাজনীতিতে আনার জন্য ডা: বদরুদ্দোজাকে লালঘরে আটকানো খুবই দরকার।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

কানিজ রিনা বলেছেন: দেশের বৃহদ দুটি দলের নেত্রী শেখ হাসিনা
ও খালেদা জিয়া। সেইহেতু দেশের মানুষ
নব্বই পার্সেন্ট লোক চায় খালেদা বন্দী না
থাক। এবং জোড় পূর্বক বা যেকোনও
কায়দায় কেউ ভোটে জয়ী হোক। শুধু
আপনার মত গুটি কয়েক লোক বিরোধিতা
করলে তো আর দেশের মানুষ কান করবেনা।
যারা সরকারী দলে থেকে আঙুল ফেটে
কলাগাছ তারা তো চায়ই খালেদা জেলেই
মরুক। অতএব নাই মামার চেয়ে কানা মামা
ভাল দেশের জনগন ভাল করেই জানে।
তাইতো দেশের জনগন খালেদা কে এসরকারের
মত হতে দিবে না। শুধু মাত্র গনতন্ত্র মতাবেক
ভোট হলে আপনাদের ভুল ভেঙে যেত।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার বাবাকে জেনারেল জিয়া হত্যা করায়, সেটার বিচার করার জন্য শেখ হাসিনার দরকার ছিলো; ড: কামালেরা শেখ হত্যার বিচার করতো না এই জীবনে; এন্টি-বাইওটিক খাইলে জ্বর সারে, কিন্তু উহাতে ডাইরিয়াও হয়।

বেগম জিয়াকে আনা হয়েছিলো লুটপাট করার জন্য; উনার ১৪ গোষ্ঠী মিলে লুটপাট চালায়েছে; লাল ঘরই উনার সঠিক ঠিকানা।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:০৭

কানিজ রিনা বলেছেন: তাহলে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা
এই দশ বছরে লপাট হয়েছে তার বিচারের
কথা বলুন। আর সে কারনেই গনতন্র মাফিক
ভোট হবেনা। আমিও জানি আপনিও জানেন
শুধু ধোকাবাজী মার্কা কথা বলেন কেন?
যাদের এত ক্ষমতা আজও পর্যন্ত জামাত
নিষিদ্ধ করতে পারে নাই। শুধু মাত্র বিএনপি
নির্মুল করতে জামাত জামাত বলে লাভবান
হওয়া ছারা আর কিছুই না।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা এতদিন থাকতে পারার কথা ভাবতে পারেননি; তিনি টিকে যাওয়ায়, এখন ধরে নিয়েছেন যে, উনাকেই আজীবন থাকতে হবে; উনার আজীবন থাকার বাহন হচ্ছে জামাত ও বিএনপি; জামাত ও বিএনপি মাঠে থাকায় নতুন কোন দল হচ্ছে না।

সরকারী টাকা ডাকাতী করা এখন রাজনীতি ও ব্যুরোক্রেসীর মুল সাধনা।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

দেশটা কবিদের হাতে ছেড়ে দিন
ভালো চলবে। তবে তোষামুদে কবি যেন নয়

২০ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমিও তাই মনে করি।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

গগণ আলো বলেছেন: আমাকে শঙ্কিত করছে।

২০ শে মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাভাবিক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.