নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামুর কোন কোন ব্লগার আমাদের মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮



যেসব বাংগালীর বয়স ৬০ বছর, কিংবা বেশী, তাঁরা যুদ্ধ দেখেছেন; যাঁদের বয়স ৫৬ বা তার উপরে, তাঁরাও দেখেছেন, কিন্তু পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারেননি। আবার যাঁরা রণাংগন এলাকাগুলো থেকে বেশ দুরে ছিলেন, তারা সবকিছু সঠিকভাবে দেখেননি; তাঁরা হয়তো তাঁদের এলাকায় ২/১ দিনের আক্রমণে কিছু মানুষের হত্যাকান্ড দেখেছেন, বাড়ীঘর পোড়ায়ে দিতে দেখেছেন। ঢাকা ছিল পরাজিত শহর; ৯ মাস ঢাকা পাকী বাহিনীর পুরো দখলে থাকাতে, সেখানে ২৫ মার্চের হত্যাকান্ডের পর, সামনাসামনি যুদ্ধ হয়নি; রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, ২৫ শে মার্চ যুদ্ধ হয়েছিলো, ৭/৮ ঘন্টা; রাতে হওয়ায় মানুষ গোলাগুলির আওয়াজ শুনেছেন, মানুষ পালিয়েছিল; ফলে, খুব একটা দেখার সুযোগ পাননি। ডিসেম্বরের ১৪ তারিখের পর, ঢাকা অবরোধ হওয়ার পর, ঢাকা শহরবাসী বুঝেেছিল যে, ঢাকায় যুদ্ধ হবে; ১৬ তারিখ পাকি বাহিনী সারেন্ডার করায়, অলিতে গলিতে যুদ্ধ হয়নি, ভালো হয়েছে, এতে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারাতেন।

যারা যুদ্ধ দেখেননি, যুদ্ধে অংশ নেননি, যুদ্ধ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা কি ছিলো ১৯৭১ সালে; আজকে ৪৮ বছর পর, তাদের সেই সময়ের ধারণাটুকু কিভাবে উনাদের জীবনের উপর কাজ করছে, জাতির পক্ষে, নাকি তেমন কোন অনুভুতি নেই?

জাতি আক্রান্ত হয়ে যখন যুদ্ধে গেছে, তখন যোদ্ধার দরকার ছিলো; এই ধরণের গণযুদ্ধ শুরু হলে, সাধারণ মানুষকে, শিক্ষিতদের যুদ্ধ করতে হয়; শুরুতে আমাদের মুলযোদ্ধারা ছিলেন ইপিআর, কিছু বেংগল রেজিমেন্ট, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সামান্য সদস্য; এরপর, যোগদেন মুলত গ্রামের তরুণরা: গ্রামের তরুণদের মাঝে বেশীরভাগ ছিলেন চাষীবাসীর ছেলেরা, কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিক শ্রেণীর লোকেরা, গ্রামের ছাত্ররা।

আমাদের শিক্ষিত সমাজ, চাকুরীজীবিগণ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালেয়ের শিক্ষকগণ ও তাদের পরিবারের লোকেরা যুদ্ধে মোটামুটি অংশ নেননি; যুদ্ধে সাধারণ মানুষের উপস্হিতি দেখে মনে হয়েছে, পাকি বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করা একমাত্র গরীবদের ও অশিক্ষিতদের দায়িত্ব। আমাদের শিক্ষিতরা যু্দ্ধের সময় কোথায় ছিলেন? তারা চাকুরী করেছেন; এদের অনেকের অবস্হা এমন ছিলো, চাকুরী না করলে পরিবার চালানোর অবস্হা ছিলো না। গরীবদের পরিবার এমনিতেই চলতো না; ফলে, যুদ্ধে গেলেও চলেনি, বাড়িতে পালিয়ে থাকলেও চলেনি। গরীবেরা সহজে সবকিছু ফেলে যুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন; কারণ, 'সবকিছু' বলতে তেমন কিছুই ছিলো না: ছিলো হয়তো, মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান। ধনীদের ছিলো বড় বাড়ীঘর, ব্যবসা বাণিজ্য, চাকুরী, সরকার।

চাকুরী থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা ছিল সহজ; বাড়ীতে থাকলে, বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা ছিলো সহজ; ফলে, অনেক পরিচিত মুখ, যারা পাকিস্তানের পরাজয় কামনা করতেন, কিন্তু চাকুরী করেছেন, বাড়ীতে ছিলেন, এই ধরণের দেড়/দুই হাজারের বেশী পরিচিতদের ধরে নিয়ে হত্যা করেছে ইসলামী ছাত্র সংঘের (শিবিরের বড় ভাইয়েরা) জল্লাদেরা। যুদ্ধ থেকে ধরে নেয়া মোটামুটি অসম্ভব; যুদ্ধকে বুঝার দরকার ছিলো; আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিপক্ষকে বুঝার দরকার ছিলো। সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ লাগলে, মাতৃভুমির জন্য যুদ্ধ করতে হয়; যারা মায়ের জন্য যুদ্ধ করেনি, যোদ্ধাদের সাহায্য করেনি, তাদের কাছে মাতৃভুমির তেমন কোন মুল্য নেই!

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর শেয়ার ।+

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



যাঁরা যুদ্ধ দেখেননি, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাঁদের কি ধারণা? এই বিষয়টা আমার কাছে পরিস্কার হয়নি। বাংগালীরা নিজেদের জাতিকে জানতে, বুঝতে চাহে না তেমন; ফলে, অদেখা সেই যুদ্ধ তাঁদের মনের উপর কেমন প্রভাব ফেলে?

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মুক্তিযুদ্ধের উপর অনেক বই পড়েছি। সিনেমা দেখেছি।
এত এত বই পড়ার ফলে আমার মনে হয়- যুদ্ধ আমার চোখের সামনেই ঘটেছে। মা বাবা, এবং আত্মীয় স্বজনদের মুখে শুনেছি মুক্তিযুদ্ধের কথা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাদের লেখা বই? যারা সারা যুদ্ধে ঢাকায় ছিলেন, তাদের লেখা বই পড়ছেন?

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখি নি , মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে পড়াশোনা করেছি। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রথম জানি আমার বাবার কাছ থেকে ।

আমার বাবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ করেন নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই বার গ্রেফতার হয়েছিলেন । প্রথম গ্রেফতার হন ৩১শে মার্চ । কয়েকদিন পর ছাড়া পান ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের আশেপাশে বিহারী থাকায় পাকিস্তানী হানাদাররা খুব সহজে এই কাজ করতে পেরেছিল ।
আর গত চার বছরে অনেক কিছু জেনেছি বই পড়ে ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হালিশহর, সৈয়দপুর, দিনাজপুর?
যারা ঢাকা শহরে, চট্টগ্রাম শহরে বসে বই লিখেছে, ঐসব বই পংগু বই; যারা যুদ্ধে গেছে, তাঁদের বই পড়লে কিছুটা বুঝা যাবে।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: At last you came to the point.
আপনিই একটু শেয়ার করুন না......

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


চোখের সমস্যা বেড়েছে, এগুলো লিখতে সময়ের দরকার; তাই সেসব নিয়ে লেখা হয়ে উঠে না

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: হালিশহর । মৌলভি সৈয়দ এর কথাও আমি আমার বাবার কাছ থেকে শুনেছি । আপনার তো উনাকে চেনার কথা ।

বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার বইও আমি পড়েছে । চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডাঃ মাহফুজুর রহমান এর বইও পড়েছি ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিজের বাবার অভিজ্ঞতা যখন জেনেছেন, নিশ্চয় অনুমান করতে পেরেছেন; চট্টগ্রামের মানুষ পুরো যুদ্ধ দেখেছেন।

মৌলভি সৈয়দ'এর কথা আমি জানতাম; রাজনীতিতে যুক্ত না থাকায় দেখা হয়নি।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

নজসু বলেছেন:




আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি,
নিজের কানে শুনিনি বুলেট লাগা শরীরের আর্তনাদ।


আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প পড়তে পড়তে বড় হয়েছি।
আর অনুভব করেছি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, অনুধাবন করে থাকলে ভালো

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এখন না লিখলে কবে লিখবেন??????

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা একটা গুরুত্বপুর্ণ কথা

৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লিখুন না.....

কে কি মনে করবে তার জন্য তো আর যুদ্ধ করেননি....

দেশের জন্য লিখুন...
লিখুন নতুন প্রজন্মের জন্য.....

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কে কি মনে করে ওটা আমার জন্য কখনো সেই সমস্যা ছিলো না; এগুলো নিয়ে লিখতে সময় লাগে; আমার চোখের অবস্হা ভালো নয়, সেজন্য দরকারী বিষয়ে লিখতে গিয়ে, লেখার পেছনে সময় দিচ্ছি না।

৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এটা নতুন প্রজন্মের অধিকার....

একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার কর্তব্য...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখি, সামনের দিন গুলোতে চেষ্টা করবো।

১০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

যবড়জং বলেছেন: তবে যারা আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে পেট চালান (নাম না বললেও যাদের চিনবেন) তারা যে কেন মুক্তিযুদ্ধে যায় নি তাদের ব্যপারে কিছু বলবেন আশা করি ।।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা রাজনীতি করছে, তাদের ভেতর সামান্য মানুষ যুদ্ধে গিয়েছে; আওয়ামী লীগের সবাই যুদ্ধকে সমীহ করে কমপক্ষে; বিএনপি'র শুরুর দিকে নেতারা এই যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্হান নিয়েছিলেন; এরা জামাতের সাথে মিলে যাবার পর, এরা এখন এই যুদ্ধকে আর সন্মান করে না; বেগম জিয়া মনে করেছিলেন যে, বাংগালীরা পরাজিত হবে।

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আমার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমার বাবা । তাই আমি আরো করাও দিকে শুনিনি ।

তিনি যুদ্ধের সময়টা দেখেছেন । আমার দাদীর জন্য যুদ্ধে যেতে পারেনি । উনি তখন ক্লাস এইটে পড়তেন । আর বই এবং সিনেমা তো আছেই । কোন কনফিউশন থাকলে সেটা বাবার কাছে জেনে নেই ।

আর তাছাড়া আপনারা তো আছেন ই ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৮ বছরের নীচের কারো যুদ্ধে যাওয়া ঠিক ছিলো না; যুদ্ধের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট হতে হয়; অনেক কম বয়সী গেরিলাদের জন্য যুদ্ধ ভয়ংকর কষ্টকর ছিলো। আমার জানা মতো একটা কমবয়সী ছেলে যুদ্ধের মাঝখানে মানসিক ভারসাম্য হারায়েছিল

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ঠিক আছে...

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

বনসাই বলেছেন: ১৪ ডিসেম্বর এতো বুদ্ধিজীবী ঘরে বসে ছিলেন কেন? এই প্রশ্ন আমার ছিল। আমার বাবাও বুদ্ধিজীবী। তিনি '৭১ ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত পালিয়ে ছিলেন। নাবিস্কো গ্লুকোজ বিস্কিট নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল রোডে এক বাড়িতে তালা দেয়া ঘরে একা থাকেন।

আপনার কথা সত্য, শিক্ষিতরা কম যুদ্ধে ছিল। আমার পরিচিতের মাঝে কেবল এক ফুফাতো ভাই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ১৬ তারিখ আমাদের বাসার সামনের মাঠে তার বিজয় উল্লাসের গল্প শুনে ছেলেবেলায় গর্ব হতো।

বাবা সরাসরি যুদ্ধে যেতে পারেন নি, কিন্তু নিয়মিত অর্থ সহায়তা করতেন। যুদ্ধের পরে আমার এক মেজর মামা জেনারেল ওসমানীর স্বাক্ষর করা মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলেন। বাবা রাখেন নি। এখনো সেই কথা মামা বলেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার মতে যাঁরা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রান দিয়েছেন, সবাই বাংগালী; যারা চাকুরী করতে গিয়ে, বা পরিচিত হওয়া সত্বেও পালিয়ে যাননি, যুদ্ধে যাননি, তারা ভুল করেছেন; এই ধরণের লম্বা যুদ্ধে মানুষকে টার্গেট করে অনেক দিক থেকে। পরিচিতরা অবরুদ্ধ ঢাকায় থেকে মহা ভুল করেছিলেন, যুদ্ধ থেকে ধরে নেয়া অনেকটা অসম্ভব।

পাকিস্তানী সৈন্যদের সাথে থেকে ইসলামী ছাত্র সংঘ ও জামাত যেই ধরণের যুদ্ধ অপরাধ করেছে, এই দেশে থাকার অধিকার এদের নেই।

১৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: উপরের কমেন্টকারীগণ মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শুনেছেন জেনে ভালো লাগল। আর আমি এবং আমার বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুরুতেই ট্রেনিং করেছিলাম। পরবর্তীতে খান সেনারা আমার গ্রামে হামলা করে ছয়জনকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলার পর পুরো গ্রামের মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় এর ফলে আমাদের ট্রেনিং করা লোকজনও সব নিখোঁজ হয়ে যায়।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা একটি গ্রুপের গোপন আশ্রয় ছিল আমাদের বাড়িতে। এরা সব সময় গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিত। গভীর রাতে আমার মা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাত রান্না করে দিতেন আমি এবং আমার বড় ভাই তাদেরকে ভাত খাওয়াতাম আর বাবা মুক্তিযোদ্ধাদের নিরাপত্তার জন্য সারারাত জেগে জেগে বাড়ির চারিদিকে ঘুরে ঘুরে পাহারা দিতেন। অনেক কথা অনেক কাহিনী এখনও আমার মনে আছে কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো সেসব কাহিনী লেখা আকারে ব্লগে পোষ্ট করবো।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার যতটুকু জড়িত ছিলেন, যতটুকু দেখেছেন, সেটা লিখুন।

১৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
কাদের লেখা বই? যারা সারা যুদ্ধে ঢাকায় ছিলেন, তাদের লেখা বই পড়ছেন?

অনেকে যুদ্ধের সময় না থেকে, যুদ্ধ না করেও কিন্তু দারুন যুদ্ধের ঘটনা লিখেছেন। যেমন আল মাহমুদের 'কাবিলের বোন' অথবা 'উপমহাদেশ' দু'টা বই আমার খুব ভালো লেগেছে। হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল, জোছনা ও জননীর গল্প।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, আমি কারো লেখা বই এখনো পড়িনি, দেশে এলে, মেজর জিয়া ও মেজর রফিকের বই পড়ার ইচ্ছা আছে।

১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনার উচিত আপনার মুক্তিযুদ্ধের কথা ব্লগে শেয়ার করা। মুক্তিযুদ্ধের কোন বইতে কি আপনার অবদানের কথা কি লিখা হুয়েছে <

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মুক্তিযুদ্ধের উপর কোন বই এখনো পড়িনি; যেডফোর্সের কথা জেনারেল জিয়া ও কর্ণেল অলি লিখেছেন শুনেছি

১৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। তবে বিশ্বাস করি মুক্তিযুদ্ধ করে ঠিক কাজ করেছিলেন আপনারা। আমি এটাও বিশ্বাস করি অভিভক্ত ভারতের সাথে থাকলে আমরা আরও উন্নত জাতি হতাম। তবে পাকিস্তানের সঙ্গ ছাড়াকে আমি ভাগ্যবান মনে করি(যদিও আপনাদের অগ্রজরাই পাকিস্তান করেছিলেন)। আমি বাংলাদেশ কে নিয়ে এবং বাংলাদেশী হিসেবে গর্ব করি। তবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা ব্যবসা করে বা এটাকে পুঁজি করে আলাদা সেন্টিমেন্ট নিতে চায় তাদের আমি পছন্দ করি না...

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শুরু থেকে আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ীদের দল ছিলো, ওরা যা পায়, সেটার উপর ব্যবসা করে।

১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:



খা‌মোশ! চুপ থাক বেয়াদব!!

খা‌মোশ! চুপ থাক বেয়াদব!!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ড: কামাল সাহেবের উচিত সতর্ক হওয়া, উনাকে হত্যা করতে পারে কয়েক পক্ষ

১৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা
তার কাছেই শুনেছি যুদ্ধের গল্প

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বাবার জন্য শ্রদ্ধা রলো

২০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ যে শুধু দেখেছি তা নয় বরং রনাঙ্গনে সম্মুখ সারীতে থাকারো কিছুটা সৌভাগ্য হয়েছিল , শহীদ হতে পারলে পুর্ণতা পেতো , সেটা কেন হয়নি সে জন্য এখন আক্ষেপ লাগে । অনেক আনন্দঘন ও দু:সম স্মৃতি আছে, সময় সুযোগ পেলে তার কিছু রেখে যাব নব প্রজন্মের কাছে, এখনো মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অন্যদের লেখাই দেখছি আর ভাবছি কমতিটা কোথায় রয়ে যাচ্ছে , সে সকল শুন্যস্থান পুরণের অভিপ্রায় নিয়ে অল্প অল্প করে কিছু কথা জমা হচ্ছে কালির আচরে । ধন্যবাদ , বিজয়ের মাসে এমন একটি লেখার জন্য , মুক্তিযুদ্ধ দেখা নিয়ে করা মুল্যবান প্রশ্নটি প্রিয়তে গেল এই সাথে ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা; আমি জামতাম না যে, আপনি মুক্তিযোদ্ধা; অনেক সন্মান রলো আপনার জন্য

২১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

সনেট কবি বলেছেন: আমিও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে শুনেছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেকেই জাতির অংশ হিসেবে এখনো নিজকে সৌভাগ্যবান মনে করেন।

২২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০

বনসাই বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার উন্নত জাতি বলতে কী বুঝালেন? পশ্চিম বাংলা কি অর্থে আমাদের চেয়ে উন্নত?

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা চাই না তবে চেতনা ধারণ করতে চাই।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, আপনি তাঁদের জন্য ভালো অনুভব করলেই এটা হবে বিশাল অনুধাবন

২৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০২

মা.হাসান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ দেখতে হলে এখন বয়স ৫৬এর উপর হতে হবে আপনার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত না। আপনি অনেক দিন দেশের বাইরে। দেশের খবর সব জানেন না। এর আগে অাপনার এক পোস্টে মন্তব্য করেছিলাম, এখানে পুনরাবৃত্তি করলাম, গত দশ বছরে দেশে মুক্তিযোদ্ধার বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন আর মুক্তিযুদ্ধ দেখতে বা বুঝতে বা করতে ৬০ বা ৫০ বা ৪০ বছর বয়স হওয়া লাগে না, ১৯৮০ সালে জন্ম নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়। অার জাতি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাই শিখছে মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট দলটি জাতিকে যা শিখাচ্ছে।new freedom fighter

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের অনেক জালিয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের সার্টিফিকেট কিনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেজে; ওরা অপরাধী; আপনাকে কোনদিন ব্লগার বলে মনে হয়নি আমার কাছে

২৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: আমরা 7 ভাই, বড় ভাই ঈষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট -এ ছিলেন ৷ আনুমানিক 71এর এপ্রিল-এ শহীদ হয়েছিলেন ৷ তাঁর খোঁজ আমরা কখনো পাইনি ৷
মেজো ভাই কর্ণেল হায়দার-এর অধীনে যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযোদ্দা কমান্ডার হয়েছিলেন, রাজাকার পুত্র হাজি সেলিম ( বর্তমান, অতীত ও আগামী আওয়ামি এম পি) মেরে ফেলেছে ৷
সেজো ভাইকে এলাকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আর্মির হাতে তুলে দেয় ৷ নির্যাতিত ভাই বিজয় দিবসের দিন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ৷
5ম ভাই ঢাকা শহরের খবরাখবর কেরানীগঞ্জে গেরিলাদের কাছে পৌঁছাতেন ৷
আমার এলাকার যারা রাজাকার ছিলো, সবাই আজ আওয়ামী লীগার ৷

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু একটা একটা সমস্যা আছে; ঢাকা ইত্যাদি বিশ্বাসঘাতকদের এলাকা; যুদ্ধের জন্য ভালো ছিলো, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও কুমিল্লা; এসব এলাকার লোকজন যোদ্ধা ছিলেন

২৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৪

রাফা বলেছেন: চমৎকার ,পোষ্টের সুবাদে অনেক কিছুই জানা হলো।মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝেই বেড়ে উঠেছি।যুদ্ধের সময়ে নিজেদের পরিবাারের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবেনা।সব কিছু বলা যায়না।অহংকার আছে ,তবুও বলা যায়না।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই বিশাল অভিজ্ঞার মানুষের সংখ্যা দ্রুত কমে আসছে; অনেক সন্মান রলো আপনার পরিবারের জন্য

২৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:২৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ !!!
আমার জীবন, সংসার আর সমাজের উপর দিয়ে গেছে
....................................................................
এখনও অনেক স্মৃতি কষ্ট দেয় ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন, কোন না কোনভাবে জাতিকে সাহায্য করেছেন, তাঁরা এক অনন্য জেনারেশন

২৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫৫

বলেছেন: কতজন শহীদ হয়েছিল আপনার মতে?




একটু জানতে চাই!!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন; জনতার কথা আমি জানি না; তবে, শেখ সাহেব যা বলেছিলেন, আমাদের সেটাই সংখ্যা

২৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৫০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যেদন যুদ্ধ শুরু হয় সেদিন আমার বয়স তিন মাস। আমি মায়ের কোলে থাকেই যুদ্ধ দেখেছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, আপনার মা আপনাকে রক্ষার জন্য সবই করেছিলেন নিশ্চয়ই, এটাই বিশাল ব্যাপার।

২৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১২

জগতারন বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী ; আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিয়াছ।
তখন আমার বয়স ১১ বছর, ৬ ক্লাসে পড়ি।
সেই সময়ের অনেক অনেক আনন্দঘন ও দু:সম স্মৃতি এখনও মনে আছে, এ-ই যেমন;
রাত্রে বাড়ীর উঠানে সবাই মিলে রেডিওতে স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনা,
'চরম পত্র' 'বজ্রকন্ঠ' 'স্বাধিনতার গান' দেশাত্মবোধক গান শুনা।
আমাদের বাড়ীতে একবার পাকি' আর্মি আসিয়াছিল। আবার আসিবে এই ভয়ে পরিবারের সবাই মিলে পাশের গ্রামে মা'র মামা বাড়ীতে আশ্রয় নেওয়া। সেইখানে ডাকাত আসিয়া আমাদের সব কিছু ডাকাতি করিয়া নিয়া যায়। পরে গ্রমের কিছু লোক মিলে ডাকাত দল ধাওয়া করা ও তাহাদের কাছ থেকে এস-এল-আর ছিনাইয়া রাখা ইত্যাদি স্মৃতি।
১৯৭০ সালে আমাদের টেকের হাট-এ বঙ্গবন্ধুর মিটিং ও ভাষন শুনিয়াছি ও তাহাকে প্রথম দেখিয়াছ।
সে সময় থেকেই পরিবেশ, দেশ সমন্ধে ধারনা হইতে আরম্ভ করিয়াছিল আমার। তার পর
১৯৭৩ সালে ঢাকায় আসিয়াছিলাম এবং লালমাটিয়া বয়েজ হাই স্কুলে ৮ ক্লাস ভর্তি হইয়াছিলাম।
থাকিতাম নানুর কাছে শুক্রাবাদ বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রাস্তার পূর্ব দিকে।
সকাল বিকাল বঙ্গবন্ধুর বাড়ীর পাশে ধানমন্ডির লেক ও ৩২ নম্বর রাস্তায় যাওয়া আসা ছিল আমার।
একদিন খুব ভোরে বঙ্গবন্ধুকে দেখিয়াছিলাম খুব কাছ থেকে।
সেই সময় ধানমন্ডির অন্য এক বাড়িতে কবি দুঃ খ মিয়াকেও দখিয়াছিলাম খুব কাছ থেকে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সুখী ও দু:খী বাংলার মুখ দেখেছেন; অনন্য অভিজ্ঞতা

৩০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

রাকু হাসান বলেছেন:

যুদ্ধ দেখার সুযোগ না হলেও । যুদ্ধাদের কাছ থেকে গল্পশুনা ,কিছূটা পড়া হয়েছে । আপনার সাথে একমত পোষণ করছি । বই পুস্তকে পড়েছি সাধারণ মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো । খেটে খাওয়া মানুষদের যুদ্ধে অংশ গ্রহণের তাঁদের দেশপ্রেম কে হাজারো সালাম । শিক্ষতদের সংখ্যাটা ৫০% হবে না ,আমার অনুমান বা ধারণা ।ভুল হতে হতে পারে । আপনি আনুমানিক কত % দিবেন ?মানে শিক্ষিতদের সংখ্যাটা কেমন হতে পারে
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক পোস্ট করার জন্য অভিনন্দন আপনাকে স্যার । যুদ্ধ বিষয়ক আরও পোস্ট আশা করবো । দোয়া ও শ্রদ্ধা নিবেন আমার । ভালো থাকুন ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা ভারতে গিয়েছিলেন, যুদ্ধের ব্যবস্হাপনায় ছিলেন; যাারা শিক্ষিত শ্রেণী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তারা কেহই যাননি

৩১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

কলাবাগান১ বলেছেন: ল বলেছেন
"কতজন শহীদ হয়েছিল আপনার মতে? "

এদের কে ঘাড় ধরে রাজারবাগের বধ্যভূমিতে নিয়ে যাওয়া দরকার ১৯৭১ সনে কি হয়েছিল তা দেখানোর জন্য ....

শহীদের সংখ্যা নিয়েও রাজনীতি..। সংখ্যা কম হলে কি রাজাকারদের অপরাধ কম হবে জনাব ল?????

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শহীদের সংখ্যা নিয়ে আমার বা মুক্তিযোদ্ধাদের মতামত নেই, শেখ সাহেব যা বলেছেন, সেটাই শেষ কথা

৩২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি যুদ্ধ দেখিনি যুদ্ধের ৮ বছর পর আমার জন্ম। আমার বাবা পাকিস্থানে বন্দি ছিলেন। ৭৫ এর এপ্রিলে তিনি দেশে আসেন তার আগ পর্যন্ত আমার দাদী জানতেন তার ছেলে মারা গেছে। এমনকি পাকিস্থান নেভী শোক প্রকাশ করে আমার দাদির ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েছিল। যাই হোক যুদ্ধ দেখিনি তবে মাএর কাছ থেকে যুদ্ধের গল্প শুনেছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধে সাহায্য করেছেন, সাপোর্ট করেছেন, ভয়ংকরভাবে অত্যচারিত হয়েছেন, তাঁদের অন্য রকম অনুভুতি

৩৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বর্তমানে রাজনৈতিক মঞ্চে বিএনপি আওয়ামী নট নটীদের যে নাটক চলছে তা হালুয়ারুটির জন্য কামড়াকামড়ি ছাড়া আর কিছুই নয় | আর মুক্তিযুদ্ধকে আমরা এখন পণ্য বানিয়ে ফেলেছি, নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের মায়াকন্যা করে দেশোদ্ধার করে ফেলছে | খুঁজে দেখলে তার চৌদ্দ পুরুষেও একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে না | কেউ যদি দেশকে যদি সত্যি ভালোবাসে তবে সে আর যাই হোক সম্পদ লুটে, দুর্নীতি করে দেশের সাধারণ মানুষের চরম দুঃখের কারণ হতে পারে না |

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভুয়াদের জনউ মুক্তিযোদ্ধা শব্দটা ব্যবহার করা ঠিক নয়

৩৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জেড ফোর্সে আপনার সহযোদ্ধা কারা ছিলেন ? আপনি কোন রেজিমেন্টে ছিলেন ??

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


রেজিমেন্ট একটাই ছিলো, "বেংফল রাজিমেন্ট"; স হযোদ্ধ ছিলেন ৩০০ শতের কাছাকাছি; আমার প্লাটুনে ৩৮ জন ছিলেন, ৬ জন শহীদ হয়েছিলেন।

৩৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্ট ও প্রতিমন্তব্য (অনেকগুলো) ভাল লেগেছে। + +

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, আপনি মনযোগ দিয়ে পড়েন সব সময়।

৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সুন্দর শেয়ার।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাঁরা যুদ্ধ দেখেছেন, অনুধাবন করেছেন, সেই রকম ২ থেকে আড়াই কোটী মানুষ বেঁচে আছেন।

৩৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: স্বামী বিশুদ্ধানন্দ খুব সুন্দর কমেন্ট করেছে। আমি আরো কিছু যোগ করতে চাই। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদের পক্ষে কোনদিনই দেশের সম্পদ লুন্ঠনকারী আওয়ামিলীগ বা বিএনপির রাজনীতি সমর্থন করা সম্ভব নয়। আপনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন, আবার আওয়ামিলীগের নষ্ট রাজনীতি সরাসরি না করে একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে সমর্থন করেন!!

ব্লগে আমরা নিজেকে যা খুশি তাই দাবী করতে পারি, আফটারল এখানেতো প্রমান হাজির করা বাধ্যকতমুলক নয় ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সাধারণ মানুষের ক্ষতি করেছে; আপনি ওদের কোনটাকে সরাতে পারবে না; আওয়ামী লীগ একটাকে কমপক্ষে দুর্বল করেছে।

আপনি যদি আওয়ামী লীগকে দুর্বল করতে পারেন, আমি আপনার সাথে আছি।

৩৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬

নীল-দর্পণ বলেছেন: অনুধাবন করি কিনা বুঝি না। তবে প্রতি বিজয় দিবসে আমার মন প্রচন্ড খারাপ হয়। আমার বার বার মনে হয় যেই লোকটা দেশ স্বাধীন করে বাড়ী ফিরে এসে দেখল তার ভিটেয় কিছুই নেই, না বাড়ী না পরিবার। তার তখন কেমন লেগেছিল, এই স্বাধীন দেশটা কেমন লেগেছিল তার…

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুক্তিযো্দ্ধারা বাড়ীঘর ও অনেক পরিবারের লোকজন হারায়েছেন; এটি কোনভাবে তাজুদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেবের মাথায় ঢুকেনি; ২ জনই অদক্ষ মানুষ ছিলেন।

৩৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

নয়া পাঠক বলেছেন: চোখে দেখিনি গল্প শুনেছি, বাবার মুখে, তিনি একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তবে তিনি কোন প্রতিদান নেনতি দেশের কাছ থেকে, এমনকি নিজের সনদপত্রটাও নয়। আর তাঁর কাছে যাদের রাজাকার বলে জেনেছি, তারা আজ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ গ্রহণ করে নিয়মিত প্রতিমাসে মাসোহারা সহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে, এসব দেখে একসময় বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটা কী হচ্ছে আপনারা প্রতিবাদ করছেন না কেন? বাবা বলেছিল, লাভ কি? যার পাপের ফল সে এ দুনিয়া ভোগ না করলেও একদিন সব সূদ+আসল সহ পরিশোধ করতে হবে। আর আমি ভাতা নেওয়া/সুবিধা নেওয়ার জন্য তো যুদ্ধ করিনি, স্বীকৃতিও আমার দরকার ছিলনা। প্রয়োজন ছিল দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেশের মাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা, আমি তা করেছি। এখন এর বিনিময়ে যদি আমি দেশের কাছ থেকে প্রতিদানস্বরূপ মাসোহারা বা সুবিধা আদায় করি, তাহলে আমি আমার মহত্ব খোয়ালাম। আমি তখন আর দেশের জন্য কিছু করেছি বলে গর্ব করতে পারব না, কারণ আমি তখন একজন সাধারণ সৈনিক বা কর্মচারী হয়ে যাব যা তখন আমার দায়িত্ব হিসেবে দাঁড়াবে। দেশ আমাকে এমনিতেই আশ্রয় দিয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে, বেঁচে থাকার রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে অহর্নিশ এর পরও যদি আমি দেশ, মাটিকে রক্ষা করার বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করি তাহলে আমার আত্মা অশুদ্ধ হয়ে যাবে। তাহলে আমি আর যে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা সেজে সুবিধা নিচ্ছে তার মধ্যে পার্থক্য কি থাকল? তুই বল। তাই বাবার জীবদ্দশায় তিনি কখনও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিবন্ধন করেননি। পরবর্তীতে আমরাও আর চেষ্টা করিনি, যে সুবিধা বাবা নিতে চায়নি, তা আমরা কেন নেব এই ভেবে।

এখন যখন চারপাশে তাকাই দেখি মুক্তিযুদ্ধ নয়, কিন্তু অন্যরকম এক যুদ্ধ চলছে দেশে। মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন জাগে...... নাহহ কোন প্রশ্ন নেই.... যার গলায় জোর বেশি..... যার ক্ষমতার জোর বেশি..... যার টাকার পরিমাণ বেশি...... সেই ... ঠিক..... আর সব ভুল.... এটা কোন রাজনৈতিক বিষয়ের মন্তব্য নয়.... সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা সবকিছুতে ভেজাল মেশায়; মুক্তিযোদ্ধাদের ভেজালও বের করেছে

৪০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

কাল্পনিক_জীবন বলেছেন: চোখে দেখেন কম
পড়েন চোখে টিনের চশমা
কানে শোনেন একটু বেশি
মনে হয় সবই যেন আপনার তামশা।
৭১রে করিয়া মুক্তি যুদ্ধা এখন হইয়াছেন বুড়া
দেখলে আবার লার্কি ছুড়ি কথা কন উড়াধুরা । :P

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


পানির স্বাভাবিক ভাবে সাগরের দিকে গড়ায়

৪১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,
যুদ্ধ যারা লড়েছেন তাদের সম্পর্কে বলা কঠিন আমাদের নিজের পরিবারে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা তার মধ্যে একজন শহীদ, বাকী চারজন তাদের সকলের প্রিয় ছোট ভাই হারিয়ে বাকবন্দি। তাদের ব্যাপারে কিছু বলার নেই - আসলেই কিছু বলার নেই, কারণ সেই ভাষাজ্ঞান আমার নেই যে ব্যাখ্যা করে লিখতে পারবো তাদের কথা থাক।

এখানে ছোটবেলায় যারা যুদ্ধ দেখেছেন তাদের মতামত শুনে আশ্চর্য্য হই। আমি তাদের সম্পর্কেও কিছু বলতে চাই না।
নিজের কথা বলি *** মিরপুর সাড়ে এগারো পল্লবিতে বড় চাচার বাসায় আমরা সবাই ঠাই নিয়েছি, তখন কারফিউ চলছে, বাসার সামনে দিয়ে পাকিস্তানী মিলিটারিদের ট্রাক যাচ্ছে ঘড় ঘড় ঘড় ট্রাকের চাকার শব্দ - প্রবল ভয় আর আতংকে মা’কে জাপটে ধরে এক এক রুমে চার পাঁচ জন পালংকের নিচে ভয়ে হিম শিতল হয়ে আছি - এই বুঝি বাসার সামনে ট্রাক থেমে যাবে ! সেই আতংক আর ভয় মৃত্যু ভয়ের কাছে কিছুই না- মৃত্যু ভয়ের কাছে কিছুই না, চাঁদগাজী ভাই। - এভাবে দুই দিন দুই রাত - প্রতিটি মিনিট ভয়ংকর, পৃথিবীর সময় থেমে গেছে সাথে আমরাও। তৃতিয় দিনে আমরা মিরপুর কালশী/কালাপানি দিয়ে নৌকা করে নরসিংদী পৌছি। ভয়ংকর সেইসব দিন - কোথাও আনন্দ আছে আমার যানা নেই, রেডিও শোনার মন মানষিকতা হবার তো প্রশ্নই আসে না চাঁদগাজী ভাই, বুকের ভিতর বাজতো শুধু মিলিটারিদের ট্রাকের চাকার শব্দ আর দুরে থেমে থেমে ক্যাট ক্যাট ক্যাট করে গুলির শব্দ।

কিসের রেডিও ! কিসের আকাশবানী ! কিসের বজ্রকন্ঠ! কিসের চরমপত্র ! কিসের স্বাধীনতার গান - এই সব স্বাধীনতার পরের ইতিহাস (বানানো নাটক, বানানো সিনেমা, গল্প, প্রবন্ধ, ফালতু পত্রিকার খবর) রেডিও শোনা তো দুরে থাকুক মানুষ পোটলা পুটলি আর শিশু বাচ্চা, ছেলে মেয়ে নিয়ে অস্থির, যাদের ঘরে উপযুক্ত মেয়ে আছে বা স্ত্রী তাদের আরো আতংক । যুদ্ধ সম্পর্কে নাটক সিনেমা গল্পে বাংলাদেশে ফাইজলামী করা হয়েছে।

যুদ্ধপূর্ব শেখ সাহেবের মিটিং ও গ্রেফতার থেকে শুরু করে সংগ্রামের পুরো বছর পুরো সময় ছিলো ভয়ংকর আতংক - এই আতংক সম্পর্কে ভারত আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশীদের ধারণা নেই। বাংলাদেশে ১৯৭১ এ কি সংগ্রাম হয়েছে তা যুদ্ধ বলে কাটিয়ে দেয়া সহজ কিন্তু যখন মনে করি সংগ্রাম তখন মনে পরে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসা আতংক ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটি ছিল নিয়মহীন হত্যাকান্ড, গণহত্যা; আপনি অনুধাবন করেছেন।

৪২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

তার ছিড়া আমি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের অনেক বই পড়েছি, প্রামান্য চিত্র দেখেছি কিন্তু সামগ্রীক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা তৈরি হইনি। সবগুলই মেকি মেকি লাগে।
খুবই ভাল লাগা একটি পোষ্ট। আপনি সংক্ষেপে সুন্দর ভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে কার কি ভুমিকা, তা তুলে ধরেছেন। সে জন্য ধন্যবাদ।
আমার আব্বার কাছ থেকে এমন পরিস্কার কোন ধারনা পাইনি। তিনি শুধু নিজের এলাকার গল্প বলতে পারতেন। কেননা, তিনি ছিলেন একজন অক্ষরজ্ঞানহীন কৃষক। (আল্লাহ তাকে জান্নাত নসীব করুন।)

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বাবা নিজ এলাকায় যেটা দেখেছেন, তার বাইর থেকে হয়তো তথ্য পাবার মতো অবস্হানে ছিলেন না; তবে, উনার থেকে যা শুনেছেন, সেটাও একটা বড় অধ্যায়; আপনার বাবার জন্য সন্মান র'লো

৪৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

আখ্যাত বলেছেন: ১৬ তারিখ পাকি বাহিনী সারেন্ডার করেছিলো। ভাল হয়েছিলো। এর ফলে অলিতে গলিতে যুদ্ধ হয়নি। পাকি বাহিনী সারেন্ডার না করলে আরো প্রচুর মানুষ প্রাণ হারাতেন। পাকি বাহিনী আরো আগে সারেন্ডার করলে আরো ভালো হতো। পক্ষ বিপক্ষের প্রচুর নিরীহ মানুষ আহত নিহত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতেন। ২৬ তারিখ শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর পাকি বাহিনী এদেশ ছেড়ে নীরবে চলে গেলে আরো বেশি ভালো হতো। বিনা রক্তপাতে পূর্বপাকিস্তান তথা বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যেত।
সবচাইতে ভালো হতো, ৭০ এর নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হতো যদি। পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শেখ মুজিব হতেন নিখিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কালান্তরে তার কন্যা হতে পারতেন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভানেত্রী/ সভাপতি, নিখিল পাকিস্তানের জনপ্রিয় নেত্রি এবং প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ব পরিচিত হতে পারতো ভিন্ন এক পাকিস্তানের সাথে, ভিন্ন এক পূর্ব পাকিস্তানের সাথে। ভারত চাইলেই এদেশের গরীব মানুষকে কুকুর মারার মত করে মেরে ফেলতে পারতো না। যার ফেলানিদেরকে মেরে কাটাতারের সাথে ঝুলিয়ে রাখা সম্ভব হতোনা। এদেশের দিকে একটি বুলেট ছোঁড়ার আগে সাত বার ভাবতে হতো ভারতকে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তানের সেনা বাহিনীতে যারা ছিলো, এরা আসলে মনের দিক থেকে ক্রিমিনাল ছিলো।

৪৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: চাকুরী থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা ছিল সহজ; বাড়ীতে থাকলে, বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা ছিলো সহজ; ফলে, অনেক পরিচিত মুখ, যারা পাকিস্তানের পরাজয় কামনা করতেন, কিন্তু চাকুরী করেছেন, বাড়ীতে ছিলেন, এই ধরণের দেড়/দুই হাজারের বেশী পরিচিতদের ধরে নিয়ে হত্যা করেছে ইসলামী ছাত্র সংঘের (শিবিরের বড় ভাইয়েরা) জল্লাদেরা। যুদ্ধ থেকে ধরে নেয়া মোটামুটি অসম্ভব; যুদ্ধকে বুঝার দরকার ছিলো; আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিপক্ষকে বুঝার দরকার ছিলো। সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ লাগলে, মাতৃভুমির জন্য যুদ্ধ করতে হয়; যারা মায়ের জন্য যুদ্ধ করেনি, যোদ্ধাদের সাহায্য করেনি, তাদের কাছে মাতৃভুমির তেমন কোন মুল্য নেই!

উপযুক্ত কথা বলেছেন ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই অংশটুকু আমারো পছন্দ হয়েছে

৪৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @ বনসাই - পশ্চিম বঙ্গ'র সাথে বাংলাদেশের তুলনা করতে হবে না। উহা একটা রাজ্য মাত্র। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এক সাথে থাকলে অবিভক্ত ভারত অনেক শক্তিশালী থাকত বলে মনে করি। হিন্দু মুসলিমের হানাহানিও এত থাকত না মনে হয়...

৪৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে মানুষ নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, শিশু, কিশোর কিশোরি, যুবক যুবতি, নারী পুরুষ - মেটো পথ, সড়ক, আধা পাকা - পাকা রাস্তা, ডোবা নালা নদী কোথায় লাশ নেই, সবখানে লাশ - করবর দেওয়ার মানুষ নেই, কবর দেওয়ার কাফনের কাপড় ও নেই, বড় গর্ত করে কোনো মতে জানাজা করে নারী পুরুষ শিশু কিশোরের লাশ একসাথে দাফন করতে হয়েছে - সেসব দিনের কথা মনে করলে প্রথমে মনে হয় মাননীয় আদালতের রায়ে “বেগম খালেদা জিয়াকে” ততোক্ষণ ফাঁসীঁর দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা উচিত যতোক্ষন তার মৃত্যু নিশ্চিত না হয় - রাজাকার জননী সকল রাজাকারকে বাংলাদেশ সংসদে বসার সুযোগ করে দিয়েছে, সকল রাজাকার বাংলাদেশের স্বাধীণ পতাকা গাড়ীতে চড়িয়ে বাংলাদেশের জনগনের টাকায় কেনা কোটি টাকার গাড়ী হাকিয়েছে।

আমার তরফ থেকে বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজাকারের মুখে থুঃ থুঃ দিলাম ।

৪৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে মানুষ নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, শিশু, কিশোর কিশোরি, যুবক যুবতি, নারী পুরুষ - মেটো পথ, সড়ক, আধা পাকা-পাকা রাস্তা, ডোবা নালা নদী কোথায় লাশ নেই, সবখানে লাশ - কবর দেওয়ার মানুষ নেই, কবর দেওয়ার কাফনের কাপড় নেই, বড় গর্ত করে কোনো মতে জানাজা করে নারী পুরুষ শিশু কিশোর সব লাশ একসাথে দাফন করতে হয়েছে - সেসব দিনের কথা মনে করলে প্রথমে মনে হয় মাননীয় আদালতের রায়ে “বেগম খালেদা জিয়াকে” ততোক্ষণ ফাঁসীঁর দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা উচিত যতোক্ষন তার মৃত্যু নিশ্চিত না হয় - রাজাকার জননী সকল রাজাকারকে বাংলাদেশ সংসদে বসার সুযোগ করে দিয়েছে, সকল রাজাকার স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা গাড়ীতে চড়িয়ে বাংলাদেশের জনগনের টাকায় কেনা গাড়ী মহাসড়কে হাকিয়েছে।

আমার তরফ থেকে বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজাকারের মুখে থুঃ থুঃ দিলাম ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেগম জিয়া জাতির সাথে আবর্জনা মিশিয়ে দিয়েছেন।

৪৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

কানিজ রিনা বলেছেন: ১৭ নং উত্তরের সাথে একমত, ৭১ সালে
যুদ্ধের সময় খুবই ছোট ছিলাম। তবুও মনে
আছে বোমারু বিমান যখন উড়ত তখন বাবা
আমাদের বাড়ির উঠানে ট্রেনিজ কাটা ছিল
সেখানে আমাদের লুকায়ে রাখতেন পুকুরের পানিতে
গলা পর্যন্ত ডুবে থাকতাম। আমাদের গ্রামের
উপর হামলা না হলেও চারিদিকের গ্রামে
যখন আগুনে পুড়াত হানাদাররা তখন
আমরা আমাদের বিল্ডিংয়ের সাদে দাড়িয়ে
দেখতাম কিছু না বুঝলেও আগুনের লোলিহান
দেখতাম। বাবা চাচারা কাঁদাকাটি করতেন।
কারন আমাদের গ্রামের পর যত গ্রাম চারি
পাসে ছিল সবই আমার দাদার জমিদারি
তারা চাষ করত বা দেখাশুনা করত। পরপর
গ্রামগুলোর সব মানুষই দাদা চাচাদের বন্ধু
আত্বিয় পরিজন অতি প্রিয় সবাই ছিল।
আমাদের আশে পাশের গ্রাম থেকে অসংখ্য
যুবক ছেলেরা মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল
যারা বেশীর ভাগই প্রান দিয়েছিল আর ফেরে
নাই।
আমার চাচতো ভাই মামা খালু মুক্তি যুদ্ধে
অংশ গ্রহন করেছিল। একজন আদা পাগলা
চাচা রাজাকারে নাম দিয়েছিল শুধু হানাদাররা
কোন গ্রামে লুটপাট করল কয়জনকে মেরে
ফেললো সেইসব সংগ্রহ করে আমার মুক্তি
যোদ্ধা ভাইকে তথ্য দিত। যত স্বরনার্থী
আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যেত
দাদার আদেশ ছিল তাদের পেটপুরে খেতে
দেওয়া চিড়েমুড়ি গুর দেওয়া রাস্তায় খাবে। আমাদের প্রাইমারী স্কুলটায় হানাদার
রাজাকাররা জোর করে ক্যাম্প করেছিল।
কিন্তু সাহস ছিলনা আমাদের গ্রামে কোনও
অত্যাচার করা। রাত দুপুরে দেখতাম মা
চাচীরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বড় বড় ডেকচি
ভরে রান্না করতেন যা কানাগোসা করা
নিশেধ ছিল। আমাদের কাচারী ঘরে গভির
রাতে শতশত মুক্তিযোদ্ধারা খেতেন। তাদের
মা বাবারা দেখা করতে এসে হুমহুম করে
কাঁদতেন দাদা তাদের সাহস যোহাতেন।
আরও অগনিত স্মৃতি মনে পড়ে। আমার
মুক্তি যোদ্ধা পাগল ভাইটা মুক্তিযোদ্ধার ভাতা
পায়না।

হায় আমার সেই স্বাধীনতা তিরিশ লক্ষ সহিদের
প্রান ত্যাগ কত অবদান। সেই দেশের রাজনীতি
আজ অপনীতিতে পরিনত। ভোটের অধিকার
কোথায়? দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা
ব্যাংক হ্যাকার আরও কত কি। রাজনীতির
অপনীতি মানে ব্যবসা বাক স্বাধীনতা হরন
আরও কত কত অপনীতিতে দেশ জর্জরিত।
শেষে বলব মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সম্মানবোধ
নিয়ে স্মৃতি চারন করবেন বলে আশা রাখি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই বিশাল বিভিষিকা দেখার অভিজ্ঞা হয়েছে আপনার!

৪৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৪

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: হিরু আলুম নামের নিকৃিষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বগুরা ৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে, যেই সংসদ নির্বাচণে অংশ নেবেন শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা, যেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান সরকারের তাবত মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীগণ। কিন্তু হিরু আলুম কে ? কি তার পরিচয় - দেশে তার গ্রামে মেম্বার নির্বাচন করার যোগ্যতা সে রাখে না। চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চাইলে ভর বাজারে বিচার ডেকে হিরু আলুমকে কানে ধরে উঠ বস করানো হবে। সেই ব্যাক্তি নর্দমার কীট নোংরা অশালীন ভিডিওকারী ও ই্উটিউবে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে - তার বিরুদ্ধে আপনারা কেউ লিখেন না, আবার আপনারা সবাই ব্লগ লিখেন ! কিসের ব্লগ লিখেন বলতে পারেন ? দেশের প্রতি কি দায়িত্ব নিয়ে লিখেন যে একটা নোংরা নর্দমার কীট অশালীন ভিডিওকারীর বিরুদ্ধে লিখছেন না। আপনাদের কাছে দেশ কি আশা করে? আপনারা ব্লগে বড় বড় কলাম লিখেন এই নর্দমার কীট সম্পর্কে কেনো লিখছেন না । কি লাভ এই বড় বড় কলাম লিখে যদি আপনার-আপনাদের লিখা দেশের সমাজের পরিবেশের উপকারে না আসে।

নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে? পবিত্র সংসদ ভবন যেখানে দেশের আইন বিচার ব্যাবস্থা সংশোধন সংযোজন পরিমার্জন করা হয় সেখানে হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুমের কাজ কি?

হিরু আলুম বাংলাদেশ ইন্টারনেট সমাজে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রকাশ করে সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। সে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে ? আপনারা কেউ কিছু বলুন ? কেউতো কিছু লিখুন - এই নোংরা কীট সমাজ ছিড়ে খাবলে খাবে । সমাজ পরিবেশ দেশ রক্ষা করুন। আপনারা দেশের কাছে দায়বদ্ধ - নিজেকে কি বলে সান্তনা দেবেন ?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনৈতিক অবদানের কথা বললে, মুহিত সাহেব ও হিরো আলম বেশ কাছাকাছি থাকবেন।

৫০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২১

শেখ মফিজ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনি শহর বা গ্রাম যেখানে থাকুন, যুদ্ধ আপনাকে স্পশ করেছেই । যুদ্ধের সময় আমি শহর ও গ্রাম দু জায়গায় ছিলাম । ১৬ ই ডিসম্বার ১৯৭১ তারিখে রাজধানীর লালবাগে ছিলাম, যুদ্ধ শুরুর দিনগুলোতে চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম । দেখেছি সারা শহরের উপর দিয়ে উড়ে চলা যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া কামানের গোলা । সারারাত মেসিনগানের গুলির শব্দ । দেওয়ালে গুলি আছড়ে পড়ার শব্দ । রাত কেটেছে ভয় আতম্কে ।এ বুঝি বাড়ীর উপর গোলা এসে পড়ল । গ্রামে দেখেছি, হাইওয়ে ধরে আমী' চলাচলের সময় গ্রামের উপর মেশিনগানের গুলি ছোড়া । হঠাৎ করে খবর আসতো আ'মী আসছে গ্রামে । তখন গ্রাম শুদ্ধ মানুষ এদিক ওদিক লুকাতো । এর মধ্যে বিমানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছি ।ককপিটের পেছনে যাত্রীদের মুখোমুখি দুু জন সৈনিক অস্ত্র নিয়ে বসে থাকতো ।দেখেছি পাকিস্থানী বিমানের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র আক্রমন, তেমনি দেখেছি ঢাকার আকাশে ডগ ফাইট, বিমান আক্রমনের সময় পুরো আকাশ জুড়ে এণ্টি এয়ার ক্রাফটের গুলি ।আরমবাগ থেকে দেথেছি বঙ্গভবনের উপর এয়ার আক্রমন । চট্টগ্রামের মদুনা হাট ব্রীজে ছিল রাজাকারদের চেকপোষ্ট । কত মানুষ যে মারা পড়েছে তাদের হাতে । যুদ্ধ শুরুর আগে আমি চট্টগ্রাম সিটি কলেজের প্রথম বষে' র ছাত্র ছিলাম ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি রণাংগন এলাকায় ছিলেন; আপনার অনেক অভিজ্ঞা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.