নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদের ৪০ শতাংশ নামই লিখতে পারে না, তাদের বইমেলা এত বড় কেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৪



ইহুদীরা গত ১০০০ হাজার বছর থেকেই শিক্ষিত, ইংরেজরা ৫০০ বছর থেকে শিক্ষিত, আমেরিকানরা ১০০ বছর থেকে শিক্ষিত; তারা বিশ্বের বড় বড় লেখক, তারা সবচেয়ে বেশী বই পড়ে; কিন্তু তাদের কারো ১ মাস ব্যাপী কোন বইমেলা নেই; যেই জাতি স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও, শতে ৪০ জনকে নাম লেখা শেখায়নি, তারা কি করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বইমেলা করছে? এর পেছনে আসলে কি কাজ করছে?

মনে হয়, শিক্ষিতদের কৌলন্যবোধ, ব্যবসায়ীদের লোভ, লেখকদের পরিচিতি ও শিক্ষিত সাধারণ মানুষের এলিট এলিট ভাব কাজ করছে। ১ মাসে ৮০/১০০ কোটী টাকার বই বিক্রয় ব্যবসায়ীদের জন্য লোভনীয় ব্যাপার; তারা বর্তমানে যেই ফর্মুলায় বই বের করছে, উহা সঠিক ফর্মুলা নয়, ইহা প্রমাণিত। বাংগালীরা অন্য যেকোন জাতির থেকে বেশী লিখতে চান, বলতে চান, নিজকে প্রকাশ করতে চান; এটা একেবারে খারাপ নয়, যদি লেখাতে ভাবনা থাকে, বলাতে ধারণা থাকে, প্রকাশে মানুষের কথা থাকে!

গত বছরের বইমেলা বদনাম কুড়ায়েছে নিশ্চয়; অনেকেই বলেছেন যে, শতকরা ৯০ ভাগ বই পড়ার মতো ছিলো না; অথচ, বেশীর ভাগ বই বিক্রয় হয়ে গেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ নিয়ে লেখা বই নাকি তেমন বিক্রয় হয়নি গত বছর; এই বছর নিশ্চয় সেই ধরণের বই আরো কম বিক্রয় হবে। এই বছর, বিএনপি'র কোন লেখক হয়তো রাজনৈতিক বই প্রকাশ করবেন না; ফলে, রাজনৈতিক বইয়ের বদনাম কিছুটা কমে আসবে।

গত বছর অনেক ব্লগারের বই বের হয়েছিলো; মেলা শেষে ব্লগারেরা নিজেদের বই নিয়ে মুখ খোলাননি; মুখ খুললে ভালো হতো, একটা ধারণা পাওয়া যেতো। এবার সবচেয়ে বেশী সংখ্যক ব্লগার বই বের করেছেন; অনেক ছবি আসছে, অনেক আলাপ হচ্ছে ব্লগে। বাইরের পাঠকেরা কি জানেন যে বইমেলায় ব্লগারদের বই এসেছে, নাকি ব্লগারেরা সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের পরিচায় চেপে যাচ্ছেন?

বইমেলা নিশ্চয় একটি শুভ ও জ্ঞান প্রসারণের প্রচেষ্টা; কিন্তু ইহার দীর্ঘতা ও নতুন বইয়ের সংখ্যা মানুষকে চিন্তিত করার মতো ব্যাপার! এত কম শিক্ষিত ও কম মানের শিক্ষার দেশে এত আয়োজন কেন? বই মেলাতে দেশের জনসংখ্যার ৫০ ভাগ মানুষের যাবার কোন কারণই নেই!

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৩

হাসাস হোসেন বলেছেন: পরিচায় না পরিচয় হবে যানিনা তবে কোন যাতি কে যদি ২৫ বছর অন্ধ কুপে রাখা হয় তাহলে আলোর সন্ধান করতে একটু সময় লাগারি কথা। এদেশের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পোহচে দিতে বর্তমান সরকার যেভাবে দৃড় প্রতিকর তাতে আলোর সন্ধান পেতে আর খুব সময় লাগবে না ইনসায়াল্লাহ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রশ্নফাঁস বন্দ্ধ করতে লাগবে আরো ৪৮ বছর; সাথে ইনসালা্লাহ যোগ করবো নাকি?

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অবশ্যই আছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি কিছু বলার কথা ভাবছেন, সময় লাগবে?

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: Gazi Bhai, if you published a book by your own money and if that make you social celebrity than why not? Peoples are hungry for that!

I am writer of the book! I am writer! I am and I am - - - - -

Afterthought maximum books are thrown on wastage paper house by old paper weight price, publisher are gainer and it’s a good opportunity and business too.

I am in overseas, I seen your special post that’s why I login. Please pardon for foreign language.

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক মানুষের হাতে টাকা এসে গেছে, মাথায় বুদ্ধি আসেনি; কিন্তু বই প্রকাশ করতে চায়; এই সুযোগে অসাধু প্রকাশকেরা টাকার লোভে গার্বেজ ছাপাচ্ছে!

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ছোটবেলায় বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বই বিক্রি করে কটকটি খেতাম | জানিনা বাংলাদেশে এখনো কটকটিওয়ালারা পাড়ায়পাড়ায় ঘুরে বেড়ায় কিনা | অখাদ্য এই সকল বইয়ের অধিকাংশেরই স্থান হয় কটকটিওয়ালার ঝুড়িতে |

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের মানুষের পড়ালেখার হার, পড়ালেখার মান, পড়ার আগ্রহের সাথে, ১ মাসের বইমেলার আয়োজনের সামন্জস্য নেই।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চ্যারিটি শপে ও ফুটপাতে পুরান বই এর দোকানে অনেক ভাল ভাল প্রয়োজনীয় ও বিনোদনমুলক বই পাওয়া যায় । বই মেলার অবিক্রিত বই এর কিছু অংশ সেখানে কমদানে পাওয়া যায় বিধায় সে স্থান গুলিই বই কেনার জন্য বেশ আকর্ষন করে থাকে ।
সেখান হতে যে বাজেটে মাসে কমপক্ষে ১০/১২টি বই কিনে থাকি তা দিয়ে মেলা হতে বড় যোর ২ তিনটা বই কেনা যেতে পারে । যাহোক, বই মেলায় প্রকাশিত ও অবিক্রিত বই থাকার কল্যানে চ্যারিটি শপ বা পুরান বই এর দোকান হতে কমদামে বই কেনার সুযোগটাতো নেয়া যাচ্ছে ।

অন্যদিকে ছাপার অক্ষরে নীজের লেখা কেই বা না দেখতে চায় , এটা লেখককে নীজের থেকেই লেখার কাজে বেশ প্রেরণা দেয় । যথাযথ আর্থিক পাওনাটা পাওয়া না গেলেও লেখক তাঁর লেখক সন্মানটাতো অবশ্যই পান , এটাই বা কম কিসের ।

হ্যাঁ, স্বাধিনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দি পরে দেশের শতভাগ মানুষের শিক্ষিত হওয়ার কথা ছিল , এটা না পারার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের চেয়ে লাগসই কর্ম পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থতাই দায়ী । সরকারী অর্থায়নে ও পৃষ্ঠপোষকতায় যেমনভাবে মাসব্যাপি বই মেলার আয়োজন করা হয় তেমনিভাবে যদি সারা দেশে মাসব্যপি গনশিক্ষা মেলা করা হয় তাহলে মনে হয় কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের শতভাগ মানুষ শিক্ষিত, নিদেনপক্ষে স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হয়ে উঠবে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ মাসে ১০০ কোটীর বই বিক্রয় হচ্ছে; ১ মাসে ১০০ কোটী টাকা খরচ করলে প্রতিটি বাংগালী নাম লিখতে পারতেন। এদেরই অনেকে বইমেলায় যাবার সুযোগ পেতেন।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: তারপরও বই লিখুক। পড়ুক।
এটা ভালো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা পড়ছেন তারা লিখছেন, যারা লিখছেন তারা পড়ছেন; বাকী ৫০% ভাগ সংবাদে বইমেলা দেখছেন।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার ঠাকুরমাহমুদ যা বলেছে, এইটাই হচ্ছে আজকের বাস্তবতা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির বেশীরভাগ কর্মকান্ড সামান্য সংখ্যক মানুষের স্বার্থে করা হচ্ছে সব সময়।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বই কেনা-কে একটা ফ্যাশনে পরিণত করতে পারাটাও সুশীলদের সাফল্য বলা যেতে পারে...

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমেরিকানরা ১০০ বছরের বেশী সময় ধরে শিক্ষিত আর বাংলাদেশে স্বাক্ষরতার হার এখন ৭০-এর উপরে...

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তবুও প্রতিদিন বই মেলায় উপচে পড়া ভীড়, কেবল আমিই এখনো যেতে পারলাম না! তবে আশা ছাড়িনি এখনও, যাবো এক দুদিন। আমার কাছে মনে হচ্ছে আরও একমাস বই মেলার সময় বাড়ানো হলে ভালো হতো। তাতে দেশের সকল প্রান্তের বই প্রিয় মানুষগুলো মেলায় যেতে পারতো সময় সুযোগ করে।

আসলে পুরোপুরি শিক্ষিত না হতে পারাটা আমাদের দেশের ব্যর্থতা মনে হয়, কিন্তু এই ব্যর্থতা আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর, দায়ভার রাজনৈতিক অস্থিরতার। একদল দেশ-মানুষকে এগিয়ে নিতে চেষ্টায় থাকে, আরেকদল দেশ-মানুষকে টেনে পিছনে নিতে চায় মহান স্বাধীনতাকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে। সেই বিবেচনায় যেটুকু এগুতে পেরেছে তা ধরতে অনেকটাই।

১১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনের শিরোনামেই তো সমস্যা! এখন সাক্ষরতার হার ৭১%।


"১ মাসে ১০০ কোটীর বই বিক্রয় হলে সমস্যা কি!!! মানুষ পড়ুক, শিখুক, জানুক।

১২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অক্ষর জ্ঞানহীনদের শিক্ষিত হওয়া পর্যন্ত বসে থাকলে অক্ষর জ্ঞানওয়ালারা জ্ঞান হারিয়ে বসবেন। তখন আম-ছালা দুটোই বরবাদ। এরচেয়ে, দুটোই একসাথে চলুক না।

১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ম্যাঁওপ্যাঁও পোস্ট মনে হচ্ছে!

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ আপনার কথা শুনেছেন, সকালের বৃষ্টিতে অনেক স্টল আর অনেক বই বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.