![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
১৯৫২ সালে, কি ধরণের পরিবারের ছেলেমেয়েরা ঢাকা মেডিক্যাল, আহসান উল্লাহ ইন্জিনিয়ারিং, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন? আপনাদের পরিবারের কয়জন ছিলেন তখন ঢাকা মেডিক্যালে, আহসান উল্লাহ ইন্জিনিয়ারিং'এ, বা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে? আমাদের গ্রামের, পাশের গ্রামের, আমাদের ইউনিয়নের কেহ ছিলো না। যারা ১৯৫২ সালে এসব স্কুলে পড়েছেন, সবাই পরে, পাকিস্তানে ও বাংলাদেশে বড় বড় পোষ্টে চাকুরী করেছেন, দেশ চালায়েছেন, লাখ লাখ মিটিং'এ বক্তৃতা করেছেন, ভাষা সৈনিক হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন।
আমি দেশের ভেতরে ও বাহিরে এঁদের বক্তব্য শুনেছি, এদের মাঝে যাদের সাথে সামনাসামনি কথা হয়েছে, তাঁরা হলেন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, গাজীউল হক, মতিন সাহেবে। এদের বক্তব্যে পাকিস্তান সরকারকে গালি দেয়া, পুলিশের গুলি, পাকিস্তান সরকারের বাংগালী নেতাদের বদনাম ছিল; নিজেদের বীরত্বের কাহিনী ছিলো।
এদের বক্তব্যে যে ব্যাপারটা একবারও আসেনি, এবং কোনদিন আর আসার সম্ভাবনা নেই, গরীবদের পড়ালেখার ব্যাপারটা, ফ্রি পড়ালেখার ব্যাপার, সরকারী উদ্যোগে সবাইকে 'বাংলা'য় নাম লেখা শেখনোর দাবীটা। এরা সবাই সরকারের বড় বড় চাকুরী করেছে, এরাই সিএসপি, বিসিএস হয়ে দেশ চালায়েছে, অন্যের কিশোরী মেয়েদেরকে ঘরে চাকরাণী করে তাদেরকে পড়ালেখা থেকে বন্চিত করেছে, নিজের ছেলেমেয়েকে উচ্চশিক্ষা দিয়েছে বিদেশে; এরা 'ভাষা সৈনিক' ছিলো না, ছিলো জাতীয় গল্পকার।
উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সরকারী প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অবধি প্রতিবাদটা সঠিক ছিলো; বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা দাবী করা ছিল অন্যায়; পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের পক্ষে বাংলা শেখার কোন সম্ভাবনা ছিলো না; উর্দুর পক্ষে কথা বলে জিন্নাহ সাহেব যেই ভুল করেছিলেন, আমাদের ৩ বিখ্যাত স্কুলের ছাত্ররা একই ভুল করেছিলেন; ইংরেজী ছিলো তখনকার প্রশাসনের ভাষা, সেটাই ছিলো সঠিক ভাষা; ততকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যালে ও আহসান উল্লাহ ইন্জিনিয়ারিং'এর ছাত্রদের সীমিত ভাবনাশক্তির প্রতিবাদের ফলে ৪ জনের বেশী তরুণ গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন, আবদুল গাফফার সাহেব গান লিখে প্রসিদ্ধ হয়েছেন; আজ অবধি শ'তে ৪০ জন বাংলায় লিখতে পড়তে পারেন না। এদের বক্তব্য শুনেছি শতবার, প্রতিবারই মনে হয়েছে যে, উনাদের বক্তব্যগুলো মোটামুটি হাউকাউ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আন্তর্জতিক ভাষা আন্দোলনের জন্মস্হানে শতকরা ৪০ জন লেখাপড়া জানে না; এখন ইহা আন্তর্জাতিক "প্রশ্নফাঁস"এর জন্মস্হানে পরিণত হয়েছে।
ভাষা সৈনিকেরা বড় বড় সিএসপি, বিসিএস হয়েছিলো, অন্যদের বাংলা শেখা বন্ধ করেছে।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭
স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: সহমত। আপনার বয়স্ক মাথায় নতুন আইডিয়া দেখে প্রীত হলাম।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাকে আইডিয়া বলে না, এটাকে বলে, পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তখন প্রাদেশিক ভাষা করতে হত বাংলা আর রাষ্ট্রভাষা(প্রশাসনিক/দাপ্তরিক ভাষা) ইংরেজী। ভুলটা শুরু করেছে জিন্নাহ্, রাজনৈতিক ভাবে সেটা মেটানো যেত, কিন্তু হয়নি। শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দি, ভাসানী কি করেছে কে জানে?
ফলাফল, কয়েকটা তাজা প্রাণ ঝরে গেল।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রাদেশিক, থানা, গ্রামের ভাষা ঠিক করে দিতে হয় না; প্রশাসনিক ভাষা ও লেখাপড়ার ভাষা ঠিক করে দিতে হয়।
৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি বারবার একই ভুল করেন। দেশে শিক্ষার হার এখন ৭১%। ২০০১সালের বেগম জিয়ার রিপোর্ট নিয়ে পড়ে থাকলে তো হবে না।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রশ্নফাঁসের হারকে "শিক্ষার হার" হিসেবে দেখাচ্ছেন না'তো?
৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: এই ধরনের মূল্যায়নেরও প্রয়োজন আছে। একমত আপনার সাথে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৫২ সালে যারা ঢাকা ইউনিভার্সিটি, আ উ ইন্জিনিয়ারিং, ও মেডিকেলে পড়েছেন, তারাই দেশ চলাায়েছেন পরে; দেশের মানুষের পড়ালেখা হয়নি, ওদের ছেলেমেরা পড়ালেখা করেছে দেশে বিদেশে।
৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা করেন, ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। পাকিস্তানকে আমরা ইসলামী রাষ্ট্ররূপে গঠন করতে যাচ্ছি।’ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রদেশের ভাষা কী হবে, তা প্রদেশবাসীই স্থির করবেন, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।
আমার সাথে তর্ক করার মত ঘিলু আপনার নাই। এখন একটা পোস্ট লিখবো।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার সাথে তর্ক হতে পারে শুধু আপনারই; আপনি বুদ্ধমান লোকের সাথে তর্ক করতে ভালোবাসেন!
ততকালীন সরকার ভুল করেছিলো, ছাত্ররাও ভুল করেছিলো।
৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
জুন বলেছেন: আপনার মাথায় এত টপিকস কেমনে আসে
আমিতো সাত দিন ভেবেও কিছু লিখতে পারি না
উল্লেখ্য আমি কিন্ত প্রশ্নফাস জেনারেশন না চাঁদগাজী
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা সুন্দর, প্রশ্নফাঁসদের লেখা দেখলেই বুঝা যায়।
আমি ভাষা সৈনিকদের অনেক বক্তৃতা শুনেনি, উনারা কাজের কাজ করেননি, অনেক গল্প করে বেড়ায়েছেন।
৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টের সকল বিষয়ে সহমত নই। অধিকাংশ বক্তব্যে সহমত।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা সবাই নিশ্চয়ই একই ফ্যাক্টরীতে তৈরি রোবট নই; আমাদের সবার নিজস্ব ভাবনা, নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, এনালাইসিস আছে; এবং সেটাই ভালো।
৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমাদের এখানেও ছোটখাটো হলেও এর অনুষ্ঠান হয়।। অনুষ্ঠানে আমারও কিছু বলার প্রসঙ্গে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করি। ব্যক্তিগতভাবে একসঙ্গে এত মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনায় অত্যন্ত শোকাহত। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে এযাবৎকাল ইতিহাসে যা পড়েছি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মত একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে এই পোস্টটি নিঃসন্দেহে আমার মনিকোঠায় নবতম সংযোজন ; পড়ে খুব ভালো লাগলো।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীদের বর বড় ব্যাপারে আমার মতামতগুলো তুলনা করে দেখতে পারেন; হয়তো, অনেক কিছু সহজ হয়ে যাবে।
১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ওস্তাদ দেশ তো পুড়ে শেষ!
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে কোন দূর্যোগের প্রথম শিকার হয় দরিদ্র মানুষ। গোদের ওপর বিষ ফোড়া। এমন দিনে কোথাও যেতে ইচ্ছে হয় না। পোড়া গন্ধ আকাশে বাতাসে ভাসছে কোথায় যাবো !!!! কালো পোশাকের দিনে নতুন কালোর যোগ!
এরপরেও কি পুরনো ঢাকার ক্যামিকাল ইন্ডাস্ট্রিগুলো সরানো যাবে? মানুষ ব্যবসা বোঝে জীবন বোঝে না!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঘটনা ঘটার আগে বুদ্ধিমানরা ভাবেন, ইডিয়টরা ভাবেন দুর্ঘটনা ঘটার পর; বাংলাদেশে অগ্নিকান্ড কমানোর জন্য এক জেনারেলকে ভার দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার, যিনি ক্যান্টমেন্ট এলাকায় বসবাস করেন; ঐ ইডিয়ট কি শহরের খবর রাখে?
১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জানবে কি করে?
যে দেশে শোক বলেন,বিজয় বলেন বুদ্ধিজীবী দিবস বলেন প্রতিটি দিবসেই পাবলিক রাস্তার ধারঘেষে সাউন্ডবক্স লাগিয়ে হিন্দিগান শোনে এবং প্রশাসনও তখন নীরব ভূমিকা পালন করে, সে দেশে এমনটা হবেই তো।এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী ছিল কোন কালে? আমি অনেক শিক্ষিত বুদ্ধিহীন জীব দেখেছি।
১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৩
নীলপরি বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোন । ভাবায় ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
যা দেখছেন, যা শুনছেন, সেটার পেছনের লজিকটা বের করুন।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:২৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মন্দ বলেননি কোনভাবেই!
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত আমার মাতৃভাষা, ভাবতেই কেমন গর্বিত হয়ে উঠে মন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ভুল বলছেন; শুদ্ধ হবে, ২১ শে ফেব্রুয়ারী হলো আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস।
আমি গর্বের কিছু দেখি না, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে, শ'তে ৪০ জন নাম লিখতে পারে না, শ'তে ৫০ পরিবার প্রশ্নফাঁসের সাথে যুক্ত।
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা, সেই ভাষা সর্বদাই আমরা আমাদের অন্তরে ধারণ করবো এটাই স্বাভাবিক | কিন্তু নিজের ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে অতি আবেগের বশে জাতি হিসাবে যদি আমরা ইংরেজি ভাষার চর্চা থেকে দূরে সরে যেতে থাকি তবে বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে শ্রমবাজার ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকবো |
আমি একে আগেও বলেছি যে, বাংলাদেশের যেকোন পেশার সাথে জড়িতরাই বেশ দক্ষ | তাদের একটিমাত্র দুর্বলতা হচ্ছে ইংরেজিতে দক্ষতার অভাব | মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশী ভাইরা কাজে কর্মে অনেক পরিশ্রমী হওয়া সত্বেও তাদের চেয়ে বেশি বেতনের কাজগুলো নিয়ে নেয় ভারতীয়রা | এর কারণ একটাই, ভারতীয়দের ইংরেজির দক্ষতা অনেক বেশি | আজ যদি সবাই ইংরেজি কমিউনিকেশনে দক্ষ হতো, বাঙালিরা সারা বিশ্বে ভারতীয় এবং পাকিদের চাইতে বিভিন্ন পেশায় ডমিনেট করতো |
ভবিষ্যতের জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে অবশ্যই বর্তমান প্রজন্মকে ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খুব সিরিয়াস হতে হবে | দেশের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে অতি দক্ষ ইংরেজি ভাষা শিক্ষক নিয়োগ করে কিছুটা হলেও এই গ্যাপ দূর করতে পারে যে কোনো দেশপ্রেমিক সরকার |
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইংরেজী জানাটা জ্ঞান অর্জনের ১ম শর্ত
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২১
আখ্যাত বলেছেন: আনকমন অথচ চমৎকার
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাই সঠিক
১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বিগত ৬ ই সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মুক্তমনা ব্লগে সাংস্কৃত্যায়ন বিরচিত
ভাষা আন্দোলনের নির্মোহ ইতিহাস এবং আমাদের ভাষা সৈনিকরা
শির্ষক একটি লেখা দেখতে পারেন । সেখানে অনেক তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে যা সমসাময়িক কালের আমাদের অনেকের কাছেই পরিচিত । বর্তমান সময়ে ভাষা অআন্দোলনে যুক্ত থাকার বিষয়ে অনেকে কথা ও ভাষন শুনতে পাওয়া যায় যা অসলেই অনেকাংশে সত্য নয় , অনেক মনগড়া কথা কায়েমি স্বার্থবাদীদের স্বার্থ উদ্ধার ও সংরক্ষনে ব্যবহৃত হয়েছে । রাতের আঁধারে স্কুলের ভিতরে বাগানের এক কোণে ভাষা শহীদদের স্বরণে ছোট একটি শহীদ মিনার গড়ার জন্য সে সময়ে নীজ স্কুলের শিক্ষকদের কাছে যে পরিমান শাস্তি পেতে হয়েছে (এখন বুঝতে পারছি সম্ভবত মুসলিম লীগের লোকজন স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকায় তাদের প্রভাবে শিক্ষকগন ছিলেন প্রভাবিত) তা আজকের প্রজন্মের কাছে রিতিমত অবিশ্বাস্য ।
যাহোক, কামনা করি বাংলা ভাষার প্রতি সকলের শ্রদ্ধা বোধ বাড়োক, বাংলা ভাষার পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে এটা সত্যিকারের একটি আন্তর্জাতিক ভাষায় পরিনত হোক । প্রায় এক কোটি বঙ্গ সন্তান এখন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছেন , তাদের মাধ্যমেই পৃথিবীর সকল প্রান্তে এ ভাষার প্রচলন হোক । মনে পরে নব্বই এর দশকে একজন শিক্ষাব্রতী হিসাবে যুক্তরাজ্যে অবস্থানের সময় যখন সেখানে প্রথম ন্যাশনাল হেল্থ ট্রাষ্ট (NHS) গঠন করা হয় তখন এর বিষয়ে সচেতনতা ও জনগনকে সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন ভাষায় যে লিফলেট প্রনয়ণ করা হয়েছিল সেখানে বাংলা ভাষাবাসীদের জন্য বাংলায় ভাষায় লিফলেট প্রনয়ন কারীদের মধ্যে আমার নীজেরো কিছুটা ভুমিকা ছিল । তখন বাংলা টাইপের ব্যবস্থা ছিলনা , যথেষ্ট সময় নিয়ে স্বহস্তে বাংলা ক্যলিগ্রাফিতে লিখতে হতো প্রায় ছাপার মত অক্ষরে । যাহোক পৃথিবীর যে প্রান্তেই বাংলা ভাষাভাষি আছেন তারা ইচ্ছে করলেই বাংলা ভাষাকে সেখানে প্রচলণের ব্যবস্থা করতে পারেন বিবিধ উপায়ে। নীজ দেশেতো এর প্রচার , প্রসার ও সর্বক্ষেত্রে এর প্রয়োগ হচ্ছেই । ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত সৈনিকদের প্রতি রইল পরম শ্রদ্ধা সাথে এ প্রজন্মের ভাষা সৈনিকদের প্রতিও রইল বিনম্র শদ্ধা ও ভালবাসা । কামনা করি দেশের সকলেই বাংলা শুদ্ধ করে লিখতে , পড়তে ও বলতে পারোক ।
ধন্যবাদ পোষ্টটির মাধ্যমে একটি আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকে যারা বাংলায় পড়তে পারে না, সেটার পেছনে অনেক ভাষা সৈনিকের অবদান আছে, ওরাই দেশ চালায়েছে ব্যুরোক্রেট হিসেবে ও বড় পদে থেকে, ওরা মুক্তিযুদ্ধ করেনি, ওরা শেখ ও তাজুদ্দিনের প্রশাসনে থেকে শেখ ও তাজুদ্দিনের বিরোধিতা করেছে।
১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় চাঁদগাজী ভাই, কোনো একটা বিষয়ে গভীর জ্ঞান থাকলে অনেক বিতর্কিত বিষয়ই অল্প আলোচনায় মীমাংসিত হয়। আমি অনুরোধ করবো, আমার এই লিংকটায় একবার একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং আমাদের স্বজাতীয় ভিলেনরা
'বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি ছিল অন্যায়।' - এ ব্যাপারে আমি একমত নই। বাংলা রাষ্ট্রভাষা হলেই যে বাংলায় পশ্চিম পাকিস্তানিদেরও কথা বলতে হবে, ব্যাপারটা তা না। এটা ছিল জিন্নাহর 'উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা'র প্রতিবাদে বাঙালিদের পালটা দাবি। ইন্ডিয়াতে ২২/২৩টা রাষ্ট্রভাষা। সিয়েরা লিওনেও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার অংশ করা হয়েছে, তার অর্থ এই না যে সিয়েরা লিওনিজদের বাংলায় কথা বলতে হবে। উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সাথে সাথে আরো অনেকগুলো উদ্যোগ ছিল, যার একটা হলো উর্দু অক্ষরে বাংলা লেখা। এটা যদি হতো তাহলে আজ ব্লগ লিখতেন উর্দু অক্ষরে।
আর ঐ সময়ে যারা বুয়েট ভার্সিটিতে পড়েছেন তারাই পরে দেশ চালিয়েছেন- হ্যাঁ, এটাই তো হবার কথা। এখন যারা ভার্সিটিতে, বুয়েটে পড়ছে, তারাও একদিন এই দেশ চালাবে। আপনার এই কথাটা মনে হয় অপ্রয়োজনীয়।
তবে, বাঙালিদের প্রকাশক্ষমতা খুবই দুর্বল, তা যে-কোনো আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বক্তব্য দানকালেই বোঝা যায় (ব্যতিক্রম ইউনুস সাহেব)। ভাষা সৈনিকদের বক্তব্য শুনে আমার যা মনে হয়েছে তাতে আপনার সাথে আমি একমত।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
জিন্নাহ দেশ আনতে সাহায্য করেছে, আপনি পাকিস্তান আনতে সাহায্য করেননি, জিন্নাহের ভুলকে ক্ষমার চোখে দেখার দরকার ছিলো; ততকালীন সময়ে বাংলা কোনভাবে প্রশাসনের ভাষা হওয়ার কারণ ছিলো না; জিন্নাহ ভুল করেছিলো, সেটার প্রতিবাদে ততকালীন চলমান ইংরেজীকে সাপোর্ট করার দরকার ছিলো ঢাকা ইুনিভার্সিটির ছাত্রদের।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
বাকপ্রবাস বলেছেন: অতি মূল্যায়ন যা হয়েছে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নবমূল্যায়ন জরুরী। গদবাঁধা মূল্যায়ন সংস্কৃতি থেকে বের হবার চেষ্টা করা উচিত