নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা পরীক্ষার "ব্যাখ্যা" অংশ নিয়ে আমাদের ক্লাসে হাসির ফোয়ারা বইতো

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

আমাদের সময়, ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে শুরু করে, ১০ম ক্লাশ অবধি, বাংলা পরীক্ষায় ১০ নম্বরের একটি প্রশ্ন থাকতো, "ব্যাখ্যা লিখ"; হয়তো এখনো আছে। আমি একই শিক্ষকের কাছে ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে শুরু করে ১০ম শ্রেণী অবধি বাংলা পড়েছি; তিনি খুবই হাসিখুশী মানুষ ছিলেন; বাংলা পরীক্ষার কাগজ ফেরত দেয়ার দিন, ব্যাখ্যা নিয়ে হাসির হাট বসতো ক্লাশে, গড়ে কমপক্ষে ১০/১২ জন ব্যাখ্যা অংশে এমন আজগুবি কিছু লিখতো, তা পুরো ক্লাশের জন্য উপভোগ্য হয়ে উঠতো; স্যার ওদের খাতাগুলো শেষ পর্যায়ে দিতেন, পুরো ক্লাশ আনন্দে মেতে উঠতো!

ব্যাপারটা শুরু হয়েছিলো ৬ষ্ট শ্রেণীর প্রথম সাময়িক পরীক্ষা থেকে: আমাদের মাঝে হারাধন চক্রবর্তী নামে একজন ছাত্র ছিল; সে পড়ালেখায় তেমন সুবিধা করতে পারেনি কোনদিন। বাংলা পরীক্ষায়, কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের একটা কবিতার ২ লাইন তুলে ব্যাখ্যা লিখতে বলা হয়েছিল, কবিতার ১ম দু'লাইন ছিলো:

"যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি,
আশু গৃহে তার দখিবে না আর নিশীথে প্রদীপ ভাতি"

যারা আজগুবি ব্যাখ্যা লিখেছিলো, তাদের মাঝে হারাধনেরটা ছিলো ভয়ংকর আজগুবি; সে লিখেছিলো: এক গ্রামে এক দরিদ্র বুড়ি বাস করতেন, দুনিয়াতে তাঁর আর কেহ ছিলো না; তিনি একটা ভাংগা কুড়েঘরে থাকতেন, পয়সার অভাবে কেরোসিন তেল কিনতে পারতেন না; তাই তিনি মোমবাতি জ্বালাতেন ঘরে। এক শীতের রাতে তিনি মোমবাতি না নিবিয়ে ঘুমায়ে পড়েন; মোমবাতি থেকে প্রথমে কাঁথায় ও পরে ঘরে আগুন লেগে যায়। যাক, গ্রামবাসী আগুন নিভিয়ে ফেলে, বুড়িও প্রাণে রক্ষা পান।

স্যার হারাধনকে কাগজটা ফেরত দেন ও তার ব্যাখ্যা জোরে জোরে পড়ে শোনাতে বলেন; ব্যাখ্যা শুনে পুরো ক্লাশ হাসিতে ফেটে পড়ে, অনেক আনন্দ হয়, অনেক কমেন্ট হয়; স্যার নিজেও হাসেন অনেকক্ষণ; হারাধন নিজেও হাসিতে যোগ দেয়; বিশেষ করে মেয়েরা হারাধনকে তার গল্পটি বারবার পড়তে অনুরোধ করে; হারাধনও উয়য়সাহিত হয়ে বেশ কয়েকবার পড়ে শোনায়!

হারাধনের সুনাম পুরো স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে, উপরের ক্লাশের অনেকেই তাকে দেখতে এসেছিলো। এই কাহিনী শুনে অংকের ক্লাশে শিক্ষক হারাধনকে নির্বোধ ডাকে, এতে আমাদের পুরো ক্লাশ মনোকষ্ট পেয়েছিলো। সবচেয়ে খারাপ ঘটনা ঘটলো পরেরদিন ইংরেজী ক্লাশে, ক্লাশে প্রবেশ করেই আমাদের প্রধান শিক্ষক এটা নিয়ে অনেক্ষণ হাসাহাসি করলেন, একটু পর, হারাধনকে বেতের একাট ঘা দেন; পুরো ক্লাশ স্তব্ধ! হারাধন আমার পাশে বসেছিলো, আমার চোখে পানি এসে গেলো!

মেয়েদের মাঝ থেকে বীণা মজুমদার উঠে বললো, "স্যার আপনি এটা ঠিক করেননি"। স্যার রেগে গিয়ে বীনাকে দাঁড় করায়ে রাখলো। পুরো ক্লাশ নিস্তব্ধ, স্যার বেরিয়ে গেলেন; সবাই চুপচাপ, বীণা এসে হারাধনের গায়ে হাত বুলায়ে দিলো। কিছুক্ষণ পরে, আমাদের বাংলার স্যার এসে বাংলা পড়ানো শুরু করলেন।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমাদের স্যাররা বলতেন- বাংলায় লেটার মার্ক ( মানে ৮০%) পাওয়া যায় না। এটা তারা বলতেন না যে , গোড়ায়ই গলদ ছিল। প্রশ্নের ধরনই ঠিক ছিল না। অমুকের বা হেমাঙ্গিনীর চরিত্র আলোচনা কর। এই রকম প্রশ্নে তো ৮০ % নম্বর পাবার কথা না। ফলে আমাদের মাঝে বাংলা বিষয়ের প্রতি অনিহা তৈরী হত। আমরা ধরেই নিতাম- বাংলায় কোন ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব না।

অথচ প্রশ্নের ধরণ বদলালে বাংলায়ও ৮০% নম্বর পাওয়া সম্ভব।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলায় কম নম্বর দিয়ে বাংলাকে কুলীন করা হয়েছিলো।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শায়মা বলেছেন: বাংলায় বাংলা শিক্ষককে খুশি করা কোনো বাংলা ছাত্রের কর্ম নহে!!! :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিসব এসব বাণী?
আমাদের স্কুল শিক্ষক আমাদের বাংলা নিয়ে খুশী ছিলেন সব সময়; আমরা লিখতাম বাংলায়, পড়লাম চট্টগ্রামের ভাষায়: খাতায় লিখতাম, "মুরগীর ডিম", পড়ার সময় পড়তাম, " কুরার ডিম"।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

জুন বলেছেন: আমিও পারলে বীনা মজুমদারের মতই বলতাম "স্যার এটা আপনি ঠিক করেন নি "।
হারাধন অন্য দেশে জন্মালে তার এই ব্যাখার জন্য টিচার এপ্রিসিয়েট করতো। তার কল্পনাশক্তির প্রশংসা করতো। হায় হারাধন তুমি দুর্ভাগা। বাংলা পরীক্ষা নিয়ে আমাদের সময় মনে হয় পিএইচডির প্রশ্ন করতে বসতেন টিচার।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলা শিক্ষকেরা কঠিন প্রশ্ন করতেন, ও শত শত ভুল খুঁজে বের করতেন; বাংলা কঠিন ছিলো চট্টগ্রামের ছাত্রদের জন্য: আমরা লিখতাম বাংলায়, কথা বলতাম চট্টগ্রামী ভাষায়।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:০৭

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: লেখাটি পড়তে পড়তে হঠাৎ যেন শৈশবের সেই ক্লাসরুমে হারিয়ে গেলাম কিছু সময়ের জন্য...

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সময় পড়ালেখার মাঝে আনন্দ ছিলো; শৈশবটাই সুন্দর।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১০

শায়মা বলেছেন: হাহাহা
শিক্ষকও নিশ্চয় চট্টগ্রামের ছিলেন নইলে তিনি তোমার কুরার ডিমকে ঘুড়ার ডিম ভাবতেন নিশ্চয়! :P

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্য এলাকার শিক্ষকেরা চট্রগ্রামে পড়াতে পছন্দ করতেন না; চট্রগ্রামের ভাষায় কথা না বললে, চট্টগ্রামীরা সবাইকে নোয়াখালীর লোক ভাবতেন; এটা কেমন একটা দুরত্বের সৃষ্টি করতো।

তখনার চট্রগ্রামের লোকদের কাছে ২ ধরণের মানুষ ছিলো: চট্টগ্রামী ও নোয়াখালীর লোক।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্লাসে শুধু বড়ো প্রশ্ন, যেগুলোর নম্বর ১৫ বা ১০, সেগুলো নিয়া ব্যস্ত থাকতাম। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন আর ব্যাখ্যা সবসময় ইগনোর করতাম যেহেতু ওগুলোর জন্য নম্বর ৫ করে। ফলে, পরীক্ষার খাতায় বড়ো প্রশ্নগুলো কমন পড়লে তো ভালো, নইলে ব্যাখ্যা আর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন বেশির ভাগ সময়েই বানিয়ে লিখতে হতো। এটা সমস্যা হতো না তেমন, আর বাংলার প্রতি একটা ঝোঁক থাকায় এটা এত বেশি পড়ার প্রয়োজনও হতো না। কম পড়ে তো আর বেশি নম্বর পাওয়ার উপায় নাই, তাই না? কিন্তু সমস্যা হতো কিছু উদ্ভট ভাবসম্প্রসারণ নিয়া, যেগুলো বুঝতামই না।

আমি কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে দেখেছি তারা কেন বাংলায় শতভাগ নম্বর দেন না। তারা বলেন যে, সাহিত্যের কোনো উচ্চতম মাপকাঠি নাই। কাজেই, ১৫ নম্বরের প্রশ্নে আমি যত সেরাই লিখি না কেন, তার চাইতেও ভালো লেখা সম্ভব। আমি বললাম, আমি যদি তার চাইতেও ভালো লিখি? - না, সেটার চাইতেও ভালো লেখা সম্ভব। তো, তাদের এই যুক্তিতে আমি একমত নই। বোর্ড থেকে কোনো নির্দেশনা আছে কিনা ১০০% নম্বর না দেয়ার ব্যাপারে, তা আমি জানি না। ১০ নম্বরের প্রশ্নে একটা ছেলে ভালো লিখলে সে অবশ্যই ১০ নাম্বার পেতে পারে। আজকাল দেয়া হচ্ছে। হদ্যিকালের সেই গোয়ার্তুমি উঠে গেছে।

হারাধনের ঘটনাটা করুণ এবং বীনা মজুমদারের সহানুভূতিটা একটা মহৎ ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রধান শিক্ষকের অমন করা উচিত হয় নি। শিক্ষকদের কোনো ছাত্রকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও হাসাহাসি করা অনৈতিক; মানুষ হিসাবেও এটা করা অমানবিক।

যাইহোক, ওদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল যোগাযোগ আছে নাকি?

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কষ্টের বিষয়: হারাধন কলিকাতা চলে গিয়েছিলো, যোগাযোগ নেই! বীণার বিয়ে হয়েছিলো আগরতলায়; যুদ্ধের পর, আমাকে দেখতে এসেছিলো। ১৯৯৩ সালে বীনাকে দেখতে গিয়েছিলাম। এখনো ২/১ বছর পরপর যোগাযোগ হয়; সে ভালো আছে।

আমাদের সময়টা বাংলার শিক্ষকেরা যক্ষের মতো কৃপণ ছিলেন; আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩০

প্রামানিক বলেছেন: এরকম ছাত্র আমাদের ক্লাসেও ছিল যার রসিকতায় স্যারেরাও না হেসে পারতো না।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগের দিনে ক্লাশের ছাত্ররা ক্লাশের তুলনায় একটু বেশী বয়সের ছিলো, এতে অনেক কিছুই আনন্দময় ছিলো।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাংলা শিক্ষকের তাঁর ছাত্রদের সাথে এমন হাসিখুশী ব্যবহার আমার খুব ভাল লেগেছে। মনে হচ্ছে, সেই শিক্ষকের প্রভাব কিছুটা আপনার উপরেও পড়েছে, কারণ আপনার সূক্ষ কৌ্তুকবোধের প্রতিও রম্য পিয়াসী অনেকে তাকিয়ে থাকে। তবে প্রভাবটা কার বেশী পড়েছে- বাংলা শিক্ষকের, না প্রধান শিক্ষকের, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ থাকতে পারে! :)
১ নং মন্তব্যে "অমুকের চরিত্র আলোচনা কর" প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের সময় "ফুলের মূল্য" নামে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় রচিত একটা চমৎকার গল্প ছিল। বন্ধুদের কাছে শুনেছি, তখন ঢাকা কলেজের যশস্বী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যর ঐ গল্পটি নিয়ে আলোচনা করে ক্লাস ত্যাগের আগে বলতেন, এ গল্প থেকে পরীক্ষায় একটা না একটা প্রশ্ন পরীক্ষায় থাকেই থাকে- হয় বড় প্রশ্ন না হয় অন্ততঃ যে কোন একটি বা দু'টি লাইনের ব্যাখ্যা। গল্পটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ছিল "ম্যাগী" নামের এক নারী। তিনি বলতেন, "ম্যাগীর চরিত্র নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তোমারা তার নামের বানানটি খুব সাবধানে লিখবে; কেননা আমি দেখেছি অনেক ছাত্রই ম্যাগীর চরিত্র আলোচনা করতে গিয়ে প্রথমেই তার নামের বানান থেকে ভুলক্রমে একটি 'য-ফলা' বাদ দিয়ে তার চরিত্রের সর্বনাশ ঘটিয়ে দেয়। পরে সে যত ভাল কথাই লিখুক না কেন, এমন সর্বনাশের পর আর তাকে ভাল নম্বর দেয়া যায় না।" :) :)
আপনার এ গল্প পড়ে আমি সবচেয়ে বেশী মুগ্ধ হয়েছি বীণা মজুমদারের সাহস আর মমতার পরিচয় পেয়ে। গল্প পড়ছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম, বীণা মজুমদার প্রধান শিক্ষক কে যে কথাটি বলেছিলেন, সেটা বা সেরকম কোন কিছু হয়তো আপনিই বলে উঠবেন!!! :)
বীণা মজুমদার কি এখনও বেঁচে আছেন?

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

বীণা সুখে শান্তিতে আগরতলায় আছে; দীর্ঘ বিরতীতে যোগাযোগ হয়; ক্লাশে বীণা ছিল সবার মুখপাত্র; সে কোন ব্যাপারে কিছু না বললে, সেটার ভার পড়তো আমার উপর। আমি অনেক সময় ওর ভয়ে মুখ খুলতাম না প্রথমে।

বীণা পড়ালেখায় ভালো ছিলো, ক্লাশে চলন্ত কমেন্ট করে আমাকে ও অন্য ছেলেদের বিপদে ফেলতো; একবার অংকের শিক্ষককে বলেছিল, আমি নাকি অংকও মুখস্হ করি। সে মমতাময়ী ছিলো।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ম্যাগী'র "য-ফলা" ভুল করা ছিল বিশাল ভুল; আমাদের সময়ে ১০ নম্বরের মাঝে ৫ নম্বর এতেই চলে যেতো সহজেই।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সে মমতাময়ী ছিলো - তার একটা বড় প্রমাণ তো এ গল্পেই পেয়েছি। এখনও আপনাদের বন্ধুত্ব ও যোগাযোগ অবিচ্ছিন্ন রয়েছে জেনে ভাল লাগলো।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রবাসে থেকে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছি, এরপরও ২/১টা বন্ধন এখনো টিকে আছে।

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৭

নজসু বলেছেন:




প্রতি বছর প্রতি ক্লাশে হারাধনের মতো একজন করে ছাত্র থাকে মনে হয়।
আসলে হারাধনদের নিয়ে হাসি ঠাট্টা না করে সহানুভূতি দেখানোই উচিত।
কারণ, ওরা তো আর মজা দেবার জন্য উত্তর ওভাবে লিখবেনা। নিজের অক্ষমতা আছে।
আমাদের শিক্ষকদেরও বোঝা উচিত। এখনও কিছু শিক্ষক আছেন যারা এমন আচরণ বা এমন মনোভাব পোষণ করেন।
তারা কেন বোঝেন না, যে শিক্ষার্থীর যতটুকু সামর্থ সে ততোটুকুই বহন করুক না কেন।
আপনার বা বীনার মতো সহানুভূতিশীল মানুষ আছে বলে হারাধনরা দুঃখ, অপমান ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সময় খুবই কম সংখ্যাক বাচ্চারা পড়ালেখার সুযোগ পেতো, আমরা সবাই মিলেমিশে কাছাকাছি ছিলাম।

১১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:১৯

নজসু বলেছেন:




(ক) এখন পরীক্ষায় ব্যাখ্যা আর আসে না।
(খ) হারাধন পেশাগত জীবনে কি কাজ করতেন জানতেন কী?
(গ) কত সালে আপনি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়তেন?

১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


হারাধনের সাথে যোগাযোগ নেই; আশাকরি সে ভালো আছে; তাদের পরিবার কলিকাতা চলে গিয়েছিলো।
১৯৬৩ সালে আমি ৬ষ্ট শ্রাণীতে ছিলাম

১২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বাংলা শিক্ষকের ব্যবহার, পড়ানোর নিয়ম ভালো লেগেছে।
ভবিষ্যতে শিক্ষক হলে তার মত কিছুটা হলেও চেষ্টা করব।

আর প্রধান শিক্ষক কাজোটা ঠিক করেন নি। ওনারা আসকে শিক্ষক হবার কোন যোগ্যতাই রাখে না। একজন শিক্ষক হতে হবে নৈতিক গুণাবলির অধিকারী ও সমাজের জন্য আদর্শবান একজন মানুষ যাকে সবাই অনুসরণ করবে। যার লাইফস্টাইল মানুষ কপি করতে চায়বে। যার থেকে শুধু ছাত্রই না সমাজের প্রতিটা মানুষ শিখবে।

অথচ, প্রধান শিক্ষক কি করলেন...

এর জন্য দায়ী কারা?

আমাদের দেশের ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা... শিক্ষাব্যবস্থার নীতিনির্ধারকররা... দেশ যারা পরিচালনা করে তারা...

আর শিক্ষায় ভঙ্গুরতা থাকা মানে দেশের উন্নয়নে প্রধানতম বাঁধা এবং দেশের অবননির মূল কারণ।


আশা করি শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তিন আসবে... শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ সামনে বাড়বেব।


১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশে শিক্ষকেরা তেমন উদাহরণ হতে পারছেন না; জাতির লেখাপড়ায় উনাদের তেমন অবদান নেই; উনারা চাকুরী হিসেবে যেটুকু দরকার, সেটুকু করছেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশে শিক্ষকেরা তেমন উদাহরণ হতে পারছেন না; জাতির লেখাপড়ায় উনাদের তেমন অবদান নেই; উনারা চাকুরী হিসেবে যেটুকু দরকার, সেটুকু করছেন।

১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পুরোনো সেই দিনের কথা.........

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন দেখছি, সেটাই ছিল আসল সুন্দর অংশ

১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ লাগল আপনার পুরানো দিনের গদ্যময় হারাধন কাহিনী । বাংলার মাস্টারমশায়ের সুন্দর অনুভূতিশীল মানুষদের জন্য এখনো শ্রেণিকক্ষ এতটা আকর্ষণীয়, এতটা উপভোগ্য । আপনাদের সময় তবু ক্লাসে বীণারা ছিল। কিন্তু এখন বিনারা না থাকার জন্য শ্রেণীকক্ষগুলো একেবারে প্রাণহীন যেন মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে । উল্টে বীণাদের না পেয়ে হারাধনরা এখন বেপরোয়া হয়ে শিক্ষকদেরকে পেটানো শুরু করেছে ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা গার্লস স্কুল চালু করেছে, তারা ইডিয়ট ছিলো।

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ক্লাস সিক্সে আমার এক ক্লাসমেট 'কীর্তিমানের মৃত্যু নেই!' ভাবসম্প্রসারণে আমাদের এলাকায় সদ্য খুন হওয়া সন্ত্রাসী 'টনু'কে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। স্যার রেগে গিয়ে পিটিয়েছিলেন।

আমাদের বাংলার স্যারকে আমরা ভয় পেতাম। লিখতে গিয়ে কোথাও কেউ যদি সাধু আর চলিত ভাষা মিশিয়ে ফেলতো, তাহলে খবর করে ছাড়তেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আরবী শিক্ষকের মতো ছিলেন বাংলা শিক্ষক? হুজুরেরা আরবী পড়ানোর সময়, পিটানোকে পড়ালেখার অংশ করে ফেলতেন

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০১

ঢাকার লোক বলেছেন: বহুদিন আগের স্মৃতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সত্যি সেকালে আমাদর দেশে বাংলা ইংরেজি সমাজ বিজ্ঞান স্যাররা নিজেরা যতটা ভাল পারবেন তার চে ভাল লিখলেও ১০ থেকে ৬ দিতে দ্বিধা করতেন! অথচ বিদেশে কোন পরীক্ষায় ৭০% থাকে সর্বনিম্ন পাস মার্ক। সুখের বিষয় আজকাল এ অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


তবে, আজকের ৬ষ্ট শ্রেণীর বাচ্ছা কোনভাবে হারাধনের সমান লিখতে পারবে না। আজকের বাচ্ছারা কোনকিছু লিখতে পারে না।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩২

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার এ ধারনা সবার বেলায় ঠিক বলা যায়না, ভাই। বর্তমানে বিপুল প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়ে অনেক ছেলে মেয়েই আছে আগের দিনে তাদের বাবা চাচারা তাদের বয়সে যা পড়াশুনা করতো বা জানত৷ তার চে অনেক বেশী পড়াশুনা করে এবং জানে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বাংলাদেশ ও বিদেশের শিশুদের দেখছি; বাংলাদেশ মানে ঢাকা নয়; আপনি ঢাকার কথা বলছেন, আর চট্টগ্রাম শহরের একাংশের কথা বলছেন।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
পড়লাম।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।


ও আচ্ছা ভালো কথা বীণা মজুমদারের সাথে কি আপনার যোগাযোগ আছে?

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:

দেশ গেলে যোগাযোগ হয়, ২/১ পর হলেও হয়।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খায়রুল আহসান স্যারের মন্তব্য খুবই ভালো লাগলো।
তবে আমার মনে হয় বাংলায় কারো চরিত্র নিয়ে আলোচনা জাতীয় প্রশ্ন না করে সরাসরি উত্তর দেয়া যায় এমন প্রশ্ন করা দরকার বেশী করে। তাদের সাহিত্যের গভীর প্রবেশ সহজ হবে। কেউ সাহিত্য পাঠ না করেই নোট বই বা গাইড বই থেকে চরিত্র আলোচনা করে মুখস্ত করে। মূল গল্প বা কবিতা তারা কখনোই পড়ে না। শিক্ষার্থীরা জানতে পারে কম। নম্বর পায় কম।

বাংলায় প্রশ্ন করা উচিত বিজ্ঞান এর মতো করে।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত চমৎকার ভাবে আপনি স্মৃতি কথা কিংবা চলতি সময় নিয়ে লিখেন তাতে আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি আপনি ব্লগিং না করে প্রিন্ট মিডিয়াতে থাকলে প্রথম সারির কথাসাহিত্যিক হতে পারতেন...

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: এখন দেশ অনেক ডিজিটাল ফার্মের মুরগির ডিমে দেশ শয়লাব। সাদা কুরার ডিম আর হাঁসের ডিম দেখছি বহু বছর আগে।আপনি যে ব্যাখ্যার কথা লিখলেন তা পুরনো দিনের কিছু পড়ালেখার স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিলেন। ব্যাখ্যার উত্তরটা লিখতে হতো ----
আলোচ্য অংশটুকু----------- এভাবে দু ভাগে ভাগ করে। তবে এটি বর্তমান শিক্ষায় প্রশ্ন পত্র হতে উঠিয়ে দিয়েছে।শব্দর্থ,বিপরীত শব্দ,ব্যাখ্যা,কবিতা লিখা কবির নাম সহ ৮ লাইন,শূন্যস্থান পূরণ এইগুলো এখন আর নেই। ১৯৯২ সাল হতে এই সিস্টেমের পরিবর্তন হয়ে গেছে।

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আমিতো ভাবলাম আপনাদের হারাতে বসেছি।

ব্লগে এসেই আপনার এমন রম্য মন ভালো করে দিল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাদের ছেড়ে যাওয়ার উপায় নেই; আমরা পাশাপাশি আছি

২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

জাহিদ অনিক বলেছেন:
হুম ! এরকম উদ্ভট ভাবসম্প্রসারণ আমিও পড়েছি--- মজা হতো ক্লাসে। এখন আসে কীনা পরীক্ষায় জানা নাই। আমাদের সময় পর্যন্ত তো ছিল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই উদ্ভটের কারণে ব্লগারেরা আপনার কবিতা পড়ছেন; না হয়, কি করি আজ ভেবে না পাই'এর মতো এল্পিকেশন টাইপের ছড়া লিখতেন।

২৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সেই আমলে ( এই আমলের কথা আমার জানা নেই) বেত ছাড়া শিক্ষা দানের উপকরণ তেমন কিছু ছিল না।
শিক্ষকগণও সেই বেতের ব্যাপক প্রয়োগ করতেন।
অভিভাবকগণও শিক্ষকগণকে ইনডেমনিটি দিয়ে দিতেন এই বলে যে- স্যার, মাংস আপনার আর হাড় আমার।
পিটিয়ে মানুষ করে দিন।
আনন্দপূর্ণ আর আধুনিক শিক্ষা চাই। জীবন হোক আনন্দময় প্রতি দিন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শতকরা কয়জনই বা আমাদের সময় স্কুলে আসতো, কয়জনই বা মার খেতো? স্কুলে যাবার ক্ষমতা কারো ছিলো না, শিক্ষকের মার খায়নি, জীবনটাই অসার হয়ে গেছে; শেখ আর টাজুদ্দিন সাহেবদের পরিবার পরিজন পড়ালেখা করেছে, সেটাই বড় কথা

২৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:১৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হ্যা, আমাদের বাংলা শিক্ষকের মেজাজ অনেকটা মসজিদের হুজুরের মতো ছিলো। তফাৎ উচ্চারণে ভুল হলে হুজুর বলে না বলে শরীরের যেখানে সেখানে পেটাতেন। আর স্যার বলে শুধুমাত্র হাতে পেটাতেন। কিংবা হাত ওপরে ওঠায়ে ৩০-৪০ মিনিটের জন্য দাড় করিয়ে রাখতেন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের বাংলা শিক্ষক ভালো বাংলা জানতেন, পড়া নিয়ে ঝামেলা করতেন না; বছরের ১০/২০টা বই পড়তে বাধ্য করতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.