নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময় আসবে, মুসলিমদের আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে মাইগ্রেশন করতে দেবে না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

বাংলাদেশের ১ম প্রজন্ম নিজদের বাংগালী হিসেবে গর্ববোধ করতেন; এবং মুসলমান হিসবে বিশ্বের অন্য মুসলমানদের চেয়ে সরলপ্রাণ ছিলেন; বর্তামান প্রজন্মের সদস্যদের কিছু অংশ, কিছুটা নিরীহ পাকিস্তানীদের মতো; এখন যারা কলেজে আছে, তাদের একাংশ মোটামুটি পাকিস্তানীদের লেভেলে চলে যাবে; এরা বাংগালী হিসেবে পরিচয় দেয়ার থেকে বৃহত্তর মুসলিম জাতি হিসেবে পরিচয় দেবে; এটা একটা ট্রেন্ড।

প্রবাসে পাকিস্তান, আরব, ইরান, উজবেক ও ইন্দোচীনের মুসলমানেরা বাংগালীদের মত সরল ও নিরীহ নয়; ওরা পশ্চিমের যেই দেশে বসবাস করে, সেই দেশের সংস্কৃতিকে কথায় কথায় আক্রমণ করে; মসজিদে হোষ্ট দেশের সংস্কৃতির বিপক্ষে খোলাখুলি আলোচনা হয়, দোয়ায় হোস্টদের সংস্কৃতিকে 'অপসংস্কৃতি" হিসেবে উল্লেখ করে, তা থেকে নিজদের মুক্ত থাকার জন্য খোদার সাহায্য চাওয়া হয়; এই ধরণের বক্তব্য ও দোয়া মুসলমানিত্ব বজায় রাখার জন্য হয়তো দরকার আছে; কিন্তু তাদের "হোষ্ট" দেশের লোকদের জন্য ইহা কি ধরণের আঘাত? এবং এই ধরণের মানসিকতার কথা হোষ্ট দেশের লোকেরা জানে কিনা? হ্যাঁ, জানে।

আজকে ব্লগে যারা, বাংগালী মুসলিম মেয়েদের বোরখা ইত্যাদি পরার কথা বলছে, তাদের একাংশ পশ্চিমে বাস করছে; প্রবাসে, তারা নিজ দেশের মেয়েদের বোরখা ইত্যাদি পরার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে! তাদের সামনে যখন ৫ বোরখাধারী আসছে, একই সময়ে ৯৯৫ জন পশ্চিমা পোশাকপরা পশ্চিমের মেয়ে আসছে। যারা বাংলাদেশে বলছে যে, মেয়েরা পর্দা না করায়, পুরুষেরা আকৃষ্ট হচ্ছে, তারা কি পশ্চিমের মেয়েদের সেকথা বলতে পারবে? পারবে না, পারছে না; কিন্তু কোথায় তারা কিভাবে পশ্চিমের মেয়েদের সমালোচনা করছে? মসজিদে করছে! এগুলো সেখানকার মানুষের কানে কি যাচ্ছে? অবশ্যই যাচ্ছে।

একজন আমেরিকান মেয়ে যখন যেই দেশে যায়, দরকার হলে, সব সময় ঐ দেশের সংস্কৃতি অনুসারে কাপড় পরে; আজকে বাংলাদেশে নিয়ম করুক বিদেশী মেয়েরা ঢাকায় শাড়ী পরতে হবে, তারা সাথে সাথে পরবে। কিন্তু মুসলমান পরিবারের মেয়েরা "হোষ্ট" দেশের সংস্কৃতি অনুসারে কাপড় পরতে পারবে? না, বেশীর ভাগই পরিবার, কিংবা মুসলিম সংগঠন থেকে চাপের সন্মুখীন হয় তারা; একথা "হোষ্ট" দেশের লোকেরা জানে। আমেরিকা ও ইউরোপের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষই প্রবাসীদের কাপড় ইত্যাদির ব্যাপারে উদার; কিন্তু শতকরা ৫ ভাগ উদার নয়।

যেই ৫ ভাগ উদার নয়, তারা আজকে সক্রিয় হচ্ছে; এরা মুসলিম ইমিগ্রেশনের বিরোধিতা শুরু করেছে; শতকরা ৫ ভাগ, ৫ বছরের ২৫/৩০ হয়ে যেতে পারে। এসব দেশে অবস্হানরত মুসলমানদের বিপক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার পক্ষে সহসা কেহ মত দেবে না; তবে, নতুন করে মুসলমানেরা যাতে না আসতে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নে্যার পক্ষে চলে যাবে বড় সংখ্যক শীঘ্রই।

প্রবাসে পাকিস্তান, আরব ও ইরান, উজবেক ও ইন্দোচীনের মুসলমানেরা নিজদের প্রবাসী হিসেবে ভাবে না; তারা বরং "হোষ্ট" দেশের লোকদের আল্লাহের অভিশাপ-প্রাপ্ত ( না'লত-প্রাপ্ত) বলে মনে করে; এরা হোষ্ট দেশের সংস্কৃতিকে বাতিল হিসেবে গণ্য করে; ইহা বড় ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করবে সহসা।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সব সমস্যার মুলে আছে ধর্ম।
এই ধর্ম থেকে মানুষদের বের হয়ে আসতে হবে।
সত্যিকার ভাবে বের হয়ে আসতে পারলেই তবেই শান্তি আসবে। সব সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা হোষ্ট জাতির সংস্কৃতিকে আল্লাহের অভিশাপ স্বীকৃত সংস্কৃতি হিসেবে মনে করে না, ও অবজ্ঞা করে; ইসলাম অন্য সংস্কৃতির পাশাপাশি অবস্হানের পক্ষে নয়, অন্য সংস্কৃতির অবসানের পক্ষে।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিরাট চিন্তার বিষয়।
দিনে দিনে মানুষ কেমন যেন উগ্র হয়ে যাচ্ছে। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, ১৯৫২ সালের মানুষও অনেক বেশী প্রগতিশীল ছিল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হোষ্ট দেশে ইসলাম ধর্মের প্রচারের চেষ্টা ও হোষ্টদের সংস্কৃতিকে অপসংস্কৃতি হিসেবে অাখ্যায়ন ক্লেশের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০৬

আখ্যাত বলেছেন: :
তাতো বুঝলাম
কিন্তু আপনি কে?
তোমরাই বা কারা?

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বাংগালী, আপনি কে, সেটা আপনি জানেন।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি কি বলতে চাইছেন ঠিক বোধগম্য হল না। মেয়েদের অশালীন পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ধর্মীয় বিধান আছে। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা যাতে ভিন্ন সংস্কৃতির ছোয়ায় বিভ্রান্ত না হয়ে যায় তাই এই ধরনের বক্তব্য মসজিদের খুতবায় দেয়া হয়।এতে দোষের কি হল? হ্য খুৎবায় যদি আরেকটি ধর্মকে আক্রমন করে বক্তব্য দেয়া হয় সেটা অবস্যই উস্কানিমুলক এবং অগ্রহনযোগ্য। কিন্ত ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়গুলোতো আলোচনায় থাকতেই হবে। আরেক ধর্মের মানূষের সেগুলো ভাল না লাগতেই পারে। প্রত্যেক ধর্মেরই নিজস্ব কিছু বাধ্যবাধকতা আছে যেটা তাদের অনুসারীদের জানানোর কাজটা উপসনালয়ে করা হয়ে থাকে। আপনি কি কোনদিন মন্দির, চার্চে বা সিনাগগে গিয়ে তাদের বক্তব্য শুনেছেন? যদি শোনেন তাহলে একজন মুসলিম হিসেবে আপনার সেগুলো একেবারেই ভাল লাগবে না। কিন্ত পারস্পরিক শ্রদ্ধার দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়গুলো দেখতে হবে। আরেকজনের ধর্মীয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন সেটা একান্তই নিজস্ব ব্যাপার।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি হোষ্টদেশে মুসলমানদের সাংস্কৃতিক সংঘর্ষের কথা আলাপ করছি; আপনি হারাধন চক্রবর্তির মত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

ইসলামে "পারস্পরিক" বলতে কিছু নেই; যেহেতু, ইসলামের মতে, বাকী সংস্কৃতি ও ধর্মগুলো বাতিল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হোষ্ট দেশে মসজিদ বানায়ে, সেখানে হোষ্টদেশের সংস্কৃতিকে বাতিল ও ভুল বলে খুতবা দেয়ার অধিকার কারো থাকতে পারে না।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

শিখণ্ডী বলেছেন: এই অসহিষ্ণুতার জন্য পশ্চিমারই দায়ী। ওরা কোনও মুসলিম দেশে পছন্দের পোশাকে ঘুরতে পারে না, আর আমাদের ওদের দেশের মসজিদে বসে ওদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর সুযোগ দিয়েছে।

আমার মতে অভিবাসীরা সেই দেশের সংস্কৃতিকে অপমান করলে পেছনে লাথি মেরে বের করে দেয়া উচিত।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রবাসে পাকিস্তানী, ইরানী, মিশরীয় ও ইন্দোচীনের মসজিদগুলোতে হোষ্ট দেশের সংস্কৃতি থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য দোয়া কালাম একটা বড় অংশ

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ইসলামকে বরবাত করে দিচ্ছে অল্প শিক্ষিত মোল্লারা।এরা বিভিন্ন মসজিদে মাদ্রাসায় ভূল শিক্ষা দেওয়ার কারনে মুসলমানের ভূল শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অল্প শিক্ষিত মোল্লা ব্যতিত, বড় শিক্ষিত মোল্লা নামের কিছু কি আছে?

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হোস্ট দেশের perspective হিসেবে আপনার বক্তব্য ঠিক আছে। অমুসলিম দেশে গিয়ে বোরকা, হিজাব, দাড়ির জন্য আন্দোলন করা হাস্যকর। আর অর্থনৈতিক কারণে সে দেশে গিয়েও থাকলে এসব বিষয়ে মৌন থাকা উচিত। ধর্ম পালনে অসুবিধা হলে নিজ দেশে ফেরত আসা উচিত। ওখানকার নাইট ক্লাবে বোমা মারা উচিত নয়(এমনকি মুসলিম দেশের উপর হামলার প্রতিবাদ হলেও)...

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীভাগ পাকিস্তানী, ইরানী ও মিশরীয়, ইয়েমেনীরা এমনভাবে কথা বলে যে, হোষ্ট দেশের লোকদের থেকে আল্লাহের জমিকে মুক্ত করার জন্য আল্লাহ তাদের এসব দেশে এনেছেন; আল্লাহের জমি অমুসলিমদের হাতে আটকা পড়ে আছে, জমি নিজেই মুক্তি খুঁজছে।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

একে৪৭ বলেছেন: অনেকাংশেই ঠিক আছে, তবে আপনি মনে হয় একটু গুলিয়ে ফেলছেন।
আপনি যে কাপড় চোপরের কথা বলছেন, হোস্ট দেশের যে ধর্ম সেই ধর্মেও সেই কাড়চোপরের পক্ষে সায় নেই।
(যদিও এটা আপনার লিখার বিষয় নয়)।

তবে তারা কেন পরছে? পরছে, পরতে পারছে কিংবা পরতে কেউ বারন করছে না কারন তা কয়েকটা টার্মের উপর ভিত্তি করে পরছে।
আর তা হচ্ছে "নিজের যা ইচ্ছা তা করার স্বাধিনতা, মত প্রকাশের স্বাধিনতা", যতক্ষন না তা অন্যের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। আর যেটাকে আপনি 'সংস্কৃতি' বলছেন, তা কিন্তু তৈরী হয়েছে ওই দুইটা টার্মের উপর ভিত্তি করেই।

মুসলিমরা মসজিদে যদি বয়ান দেয় যে ওরকম পোষাক শালিন নয়, ওরকম পোষাক পরা যাবে না, তবে তা তারা বলতেই পারে! সেটা তাদের 'মত', আর ওখানে মত প্রকাশের স্বাধিনতা আছে।
মুসলিমরা ওদেরকে তাদের মতো করে হিজাব পরতে বা পরাতে বাধ্য করছে না, মসজিদের চারদেয়ালের ভেতরের ওই কথায় কারও ক্ষতি হচ্ছে না।

আপনি যদি এখানে বসে গলা ফাটান কেন তারা ওটা বলছে, তবে আপনি তাদের দেশের উদার হয়ে ওঠার মূলনিতিতেই আঘাত করছেন, 'মত প্রকাশ করতে বাধা দিচ্ছেন'।

আপনার কথামতো ট্রাম্পকে নিয়ে ট্রল করা আমেরিকানদের কোথায় পাঠানো উচি‌ৎ?
ট্রাম্পের নেচারাল অঙ্গভঙ্গি নিয়ে কথা বলার বা কৌতুক করার কোন রাইটসতো সেখানে থাকার কথা না!

কেন পারছে, কিভাবে করতে পারছে, তা মিলিয়ে দেখেন, আপনার কথার বেইজটা মজবুত কি না।
সম্ভবত আমাদের মতো এত সহজে ওদের 'মানহানি' হয়ে যায় না, তাই আপনি এখানে বসে ওই দেশের সংস্কৃতির মান হানি নিয়ে যতটা উদ্দিগ্ন, তারা ততটা নন।

আমাদের দেশের মাওলানাদের সমস্যা অনেক।
ঠিক যেমন আমাদের সমস্যাও অনেক।
আমরা কোথায় কি কিভাবে বলা উচি‌ৎ তা ঠিকভাবে বুঝতে পারি না, এটা আমাদের জাতীয় সমস্যা।
ওরা যেভাবে অন্যের পোষাক বা সংস্কৃতির বিষয়টা বলে, ঠিক একই কথা কাউকে বা অন্যের সংস্কৃতিকে ছোট না করেও বলা যায়, তবে তারা তা বোঝে না, ঠিক যেমন আপনি আমিও বুঝি না।
জটিল পরিস্থিতিতে আমাদের বাচনভঙ্গিটা বরাবরই বিতর্কিত।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিউইয়র্ক শহরে মসজিদ করে, উহার ৪ দেয়ালের ভেতর, নিউইর্কের মেয়েদের পরণের কাপড় নিয়ে আলোচনা/সমালোচনা করা, হোষ্ট দেশের সংস্কৃতির উপর হস্তক্ষেপ।

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

জুন বলেছেন: আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া সেদেশে মুসলিমদের মাইগ্রেশন না করতে দেয়ার কে? এই দুটো মহাদেশ কি ওদের? ওরাতো কত ছল চাতুরী আর নিষ্ঠুরতার সাথে সেখানকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান আর মাউরীদের পদানত করে ওদের দেশ দখল করেছে। আর এখনো অধিকাংশ মুসলিম ওদের তৈরী ধ্বংস আর নিপীড়নের শিকার হয়ে বেচে থাকার জন্য সেই তাদের দ্বারস্থ হচ্ছে। এতে তারা কোন অধিকারে আজ শরনার্থীদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করবে? আপনি হয়তো বলবেন গায়ের জোরে। তা তারা করতে পারে ক্ষমতা থাকলে কত কিছুই তো করা যায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোগলদের ভারত দখলকে, ইউরোপিয়ানদের আমেরিকা দখল, চেংগিসের মধ্য এশিয়া দখলের মধ্য দিয়ে সভ্যতা এখানে এসে দাঁড়িয়েছে।

আমেরিকা, কানাডা , অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপ মানুষকে ইমিগ্রেন্ট হিসেবে নিচ্ছে; কোন মুসলিম দেশ কাউকে ইমিগ্রেন্ট হিসেবে নিচ্ছে না।

ওরা চাাচ্ছে, নতুন আগতরা যেন তাদের সংস্কৃতির উপর আঘাত না হানে।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের ১ম প্রজন্ম নিজদের বাংগালী হিসেবে গর্ববোধ করতেন; এবং মুসলমান হিসবে বিশ্বের অন্য মুসলমানদের চেয়ে সরলপ্রাণ ছিলেন; বর্তামান প্রজন্মের সদস্যদের কিছু অংশ, কিছুটা নিরীহ পাকিস্তানীদের মতো; এখন যারা কলেজে আছে, তাদের একাংশ মোটামুটি পাকিস্তানীদের লেভেলে চলে যাবে; এরা বাংগালী হিসেবে পরিচয় দেয়ার থেকে বৃহত্তর মুসলিম জাতি হিসেবে পরিচয় দেবে; এটা একটা ট্রেন্ড।

আমার পরিচয় আমি বাংলাদেশি মুসলিম।পাকিস্তান যা করেছে তা ভুল তা অন্যায়।কিন্তু যে অপরাধ করেছে তাকে অপরাধী বলা যায় কিন্তু আজীবন অপরাধী বলা যায় না।আর পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের কথা যতদূর স্মরণ করে আমরা তার চেয়েও বেশী।মনে রাখবেন,কুকুরের ন্যায় আজীবন আচরন করলে সে কুকুরই রয়ে যায়।পাকিস্তান এখন আমাদের বন্ধু দেশ নয় আবার শত্রু দেশো নয়।পাকিস্তান তার জায়গায় আমরা বাংলাদেশীরা নিজেদের স্বাধীন বাস ভূমিতে।পারলে নিজদেশ নিয়ে আলোচনা করেন।না হলে নাকে তেল দিয়ে ঘুম যান।বয়স তো অনেক হলো আর কত বকবক করবেন পাগলের মতো? পোলাপানের সাথে মূর্খের মত কথা বললে হাজারটা উপদেশ দেন পোলাপান আপনাকে পাগলই বলবে।

প্রবাসে পাকিস্তান, আরব, ইরান, উজবেক ও ইন্দোচীনের মুসলমানেরা বাংগালীদের মত সরল ও নিরীহ নয়; ওরা পশ্চিমের যেই দেশে বসবাস করে, সেই দেশের সংস্কৃতিকে কথায় কথায় আক্রমণ করে; মসজিদে হোষ্ট দেশের সংস্কৃতির বিপক্ষে খোলাখুলি আলোচনা হয়, দোয়ায় হোস্টদের সংস্কৃতিকে 'অপসংস্কৃতি" হিসেবে উল্লেখ করে, তা থেকে নিজদের মুক্ত থাকার জন্য খোদার সাহায্য চাওয়া হয়; এই ধরণের বক্তব্য ও দোয়া মুসলমানিত্ব বজায় রাখার জন্য হয়তো দরকার আছে; কিন্তু তাদের "হোষ্ট" দেশের লোকদের জন্য ইহা কি ধরণের আঘাত? এবং এই ধরণের মানসিকতার কথা হোষ্ট দেশের লোকেরা জানে কিনা? হ্যাঁ, জানে।

আপনি জানেন একটা কাজ অন্যায়,আপনার কারনে মানুষ পথ হারা হয়ে যাচ্ছে,বিবেক বোধ হারিয়ে ফেলছে, আপনি কি ভাবলেন তারা আপনার মত বসে বসে বাচ্চাদের মত আঙ্গুল চাটবে?

আজকে ব্লগে যারা, বাংগালী মুসলিম মেয়েদের বোরখা ইত্যাদি পরার কথা বলছে, তাদের একাংশ পশ্চিমে বাস করছে; প্রবাসে, তারা নিজ দেশের মেয়েদের বোরখা ইত্যাদি পরার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে! তাদের সামনে যখন ৫ বোরখাধারী আসছে, একই সময়ে ৯৯৫ জন পশ্চিমা পোশাকপরা পশ্চিমের মেয়ে আসছে। যারা বাংলাদেশে বলছে যে, মেয়েরা পর্দা না করায়, পুরুষেরা আকৃষ্ট হচ্ছে, তারা কি পশ্চিমের মেয়েদের সেকথা বলতে পারবে? পারবে না, পারছে না; কিন্তু কোথায় তারা কিভাবে পশ্চিমের মেয়েদের সমালোচনা করছে? মসজিদে করছে! এগুলো সেখানকার মানুষের কানে কি যাচ্ছে? অবশ্যই যাচ্ছে।

পশ্চিমাকে অনুসরন করছে আমাদের দেশ।দেশ হিসেবে আমরা বাঙ্গালী আর জাতি হিসেবে মুসলমান।পর্দা করা ইসলাম ধর্মে ফরজ।আর কারও প্রভাব দ্বারা কেউ যদি এই পর্দার বিপক্ষে অবস্থান নেয় তখন তার সমালোচনা করবেই যে যে যার যার অবস্থান থেকে।আর এদেশের মানুষ দেশে থেকে যা বলছে তা পশ্চিমাদের কানে যাচ্ছে,অবশ্যই যাচ্ছে সে দেশে গিয়ে বলতে পারছে না কারন ইসলাম ধর্মের মানুষকে পশ্চিমারা অপছন্দ করে এর কারন তারা রুলসে বাহিরে থেকে বাস করতে চায়।তাঁদের ছোট থেকেই সে ভাবে গড়ে তোলা হয় আর সে জন্য ধর্ষণের দিক দিয়ে টপ টেন দেশের মধ্যে আমেরিকা অবস্থান করছে।

একজন আমেরিকান মেয়ে যখন যেই দেশে যায়, দরকার হলে, সব সময় ঐ দেশের সংস্কৃতি অনুসারে কাপড় পরে; আজকে বাংলাদেশে নিয়ম করুক বিদেশী মেয়েরা ঢাকায় শাড়ী পরতে হবে, তারা সাথে সাথে পরবে। কিন্তু মুসলমান পরিবারের মেয়েরা "হোষ্ট" দেশের সংস্কৃতি অনুসারে কাপড় পরতে পারবে? না, বেশীর ভাগই পরিবার, কিংবা মুসলিম সংগঠন থেকে চাপের সন্মুখীন হয় তারা; একথা "হোষ্ট" দেশের লোকেরা জানে। আমেরিকা ও ইউরোপের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষই প্রবাসীদের কাপড় ইত্যাদির ব্যাপারে উদার; কিন্তু শতকরা ৫ ভাগ উদার নয়।

ইসলাম কাউকে জোর করে না।

যেই ৫ ভাগ উদার নয়, তারা আজকে সক্রিয় হচ্ছে; এরা মুসলিম ইমিগ্রেশনের বিরোধিতা শুরু করেছে; শতকরা ৫ ভাগ, ৫ বছরের ২৫/৩০ হয়ে যেতে পারে। এসব দেশে অবস্হানরত মুসলমানদের বিপক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার পক্ষে সহসা কেহ মত দেবে না; তবে, নতুন করে মুসলমানেরা যাতে না আসতে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নে্যার পক্ষে চলে যাবে বড় সংখ্যক শীঘ্রই।

যাক।

প্রবাসে পাকিস্তান, আরব ও ইরান, উজবেক ও ইন্দোচীনের মুসলমানেরা নিজদের প্রবাসী হিসেবে ভাবে না; তারা বরং "হোষ্ট" দেশের লোকদের আল্লাহের অভিশাপ-প্রাপ্ত ( না'লত-প্রাপ্ত) বলে মনে করে; এরা হোষ্ট দেশের সংস্কৃতিকে বাতিল হিসেবে গণ্য করে; ইহা বড় ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করবে সহসা।

এক্ষেত্রে আপনার মতে কি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ?

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পরিচয় "রগকাটা শিবির"।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পোস্ট পড়ে কিছু বুঝলাম না। ঢাবিয়ান.... আর মাহমুদুর রহমান। এই ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে বুঝলাম।


ইসলাম কাউকে জোর করে না। ইসলাম সহজ সরল শান্তির পথ। অন্য ধর্মকে হেয় করতে ইসলাম শেখায় না। কিন্তু নিজের ধর্মের অত্যাবশ্যকীয় কিছু দিক রয়েছে। সেগুলো বলতেই হবে। তাতে অন্য ধর্মের মানুষ কষ্ট পাক বা না পাক তা দেখার বিষয়। আর অত্যাবশ্যকীয় দিকগুলো অন্য ধর্মাবলম্বীদে বলা হয় না বলা হয় মুসলিমদেরকেই কেবল। তার মধ্যে পর্দা একটা।


আপনি দেখেন, যেদেশে পর্দা হয় সেদেশে গড়ে কয়জন দর্ষিত হয়। আর উন্মুক্ত পোশাক পরা দেশে কয়জন ধর্ষিত হয়। তাহলেই বিষয়টা বুঝে যাবেন।


আমি আবার বলছিনা, ধর্ষকদের দোষ নেই। কোন একজন মানুষ যদি একদম উলংগ অবস্থায় তাঁকে। আর সে যদি ধর্ষিত হয়। তাহলে সেই দোষ অবশ্যই অবশ্যই ধর্ষণকারীরর। তার মন বিবেক ভাল না বলেই, সে কুলাঙ্গার বলেই ধর্ষন করে।


কিন্তু মেয়েটিকেও নির্দোষ বলা যাবে না। আপনার সম্পদ হেফাজতে রাখার জন্য বাড়িতে আপনার তালা দিতে হবে। কারণ তালা না দিলে যে জিবনে চুরি করেনি, চুরি করার কথা কল্পনাও যে কোনদিন করেনি সেও তখন লোভ সামলাতে পারবে না। সে চুরি করবেই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


পোষ্ট পড়ে বুঝেননি, এটা বোধগম্য; ২/৪ বছর ব্লগিং করেন, সেটা সাহায্য করতে পারে।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

পুকু বলেছেন: আপনার মতো অপকটে সত্যি বলার মতো সৎসাহস কয়জনের আছে এই ব্লগ?বেশীর ভাগই আবাল।কিছু উগ্র ধর্মান্ধ আর বাকি মড়ারেট ধর্মান্ধ।ধর্মের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে এসে সত্যি কথা বলতে ভয় পায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বিশ্বের সাথে চলার ও বুঝার চেষ্টা করছি

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমি ব্লগিং করছি । দুই বছরের মত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্লগের লেখা পড়ার বয়স ৪ বছরের মত। আমি না হয় বুঝলাম না চাচা।


ঢাবিয়ান ভাই তো দেখি বুঝলোনা.. কারণ../

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাবিয়ান আপনার থেকে কম বুঝে।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: চাঁদগাজী আংকেল মানুষ নয় বাঙ্গালী।
পোশাক ধর্ম থেকে এসেছে আর এই ধর্ম সঠিক ভাবে মেনে চললে কেউ রককাটা শিবির হয়ে যায় ?
#মাহমুদুর রহমান

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্মের আগে পোশাক বানায়েছেন মানব সমাজ; সব ধর্মের নিজস্ব পোশাক আছে, সেগুলো আধুনিক মানুষের জন্য অচল হয়ে গেছে, মানুষ এখন অনেক মানানসই পোশাক পরছেন।

বাংলাদেশ থেকে শিবিরেরা চলে গেছে?

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: বাংলাদেশ থেকে শিবিরেরা চলে গেছে?
হ্যা যেমন আপনি ।
তবে ঢাবির ভিপি শুধু আছে

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বাংলাদেশেই বেশী থাকি; সৌদী ও আসগানিস্তান আমার রাজনধানী নয়।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি অসংখ্য বার ( মনে রাখিনি) ডিভি লটারী ছেড়েছিলাম। এক বারও পাইনি।
আমার বন্ধু কালাম এইচ এসসি পাস করেই প্রথমবার ডিভি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেল। সেখানে গিয়ে সে হয়ে গেল বিরাট হুজুর।
অনেক দিন সেই দেশে থেকে সেই দেশের পাসপোর্ট আর নগদ টাকা নিয়ে দেশে এসেছে।
এখন তার কাজই নিয়মিত চিল্লায় যাওয়া।

আমার ভাগ্য প্রশন্ন হয়নি কখনোই। আমেরিকা আমার প্রিয় দেশ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বিদেশে থাকার কারণে আমেরিকান ভিসা পেতে পারেন।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে আরেকবার আসলাম মন্তব্য গুলো পড়তে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক ব্লগার অনুপস্হিত, এই সুযোগে শিবির মিবির ঢুকে গেছে ব্লগে; উহাদের মন্তব্যে পোষ্টের মানহানী হয়।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫০

আরোগ্য বলেছেন: পোস্ট পড়িনি। কিছু প্রতিউত্তর পড়ে বিনোদন পেলাম। ধন্যবাদ।

আপনার আশু আরোগ্য কামনা করছি।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনারা আছেন বলেই তো বাংলাদেশ এতো বিচিত্র।

১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৫০

নতুন বলেছেন: কিছু মুসলমানের যেই চিন্তাধারা তারা ভবিষ্যতের আমীশদের মতন দলে পরিনত হবে..

আর একজন মানুষ মারা গেলে বিধমীরা বলে রেস্ট ইন পিস....

অনেক মুসলমান আছে যারা মনে করে :: বিধমী কেউ মারা গেলে মুসলমানদের ইন্নালিল্লাহ বলা ঠিকনা বলতে হবে

ফি নারি জাহান্নামা খালিদিনা ফিহা । ( ﻓِﻲ ﻧَﺎﺭِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ ﺧَﺎﻟِﺪِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﺃُﻭْﻟَﺌِﻚَ ﻫُﻢْ ﺷَﺮُّ ﺍﻟْﺒَﺮِﻳَّﺔِ তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম । সুরা বাইয়িনাহ : ৬

যদিও জানিনা আসলেই এটা পড়ার কথা হাদিসে কোথায় নিদেশ আছে কিনা???

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আরবদের মাধ্যমে যদি ধর্ম আসে, উা কি ধর্ম থাকে?

২০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের সবার মন থেকে হিংসা দূর করতে হবে।
উগ্রতা পরিহার করতে হবে।
মানুূষ দিনে দিনে খুবই উগ্র হয়ে যাচ্ছে।
এর পেছনের কারণ বুঝি না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কামত শিবির হলো দোযখের আবর্জনা, ওগুলোকে থেকে দুর করার মত,বা রাখার মতো কিছু নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.