নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মগুলো কোনদিন সহ-অবস্হানে ছিলো না, কোনদিন থাকবে না

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৪৭

কারন, ধর্মে কোন লজিক নেই, সবই বিশ্বাস; সহ-অবস্হানের জন্য সামান্য হলেও লজিক্যাল মিল, ও লজিক্যাল কারণ থাকতে হয়; ধর্মগুলো অন্য ধর্মের লোকদের "দোযখের জ্বালানী" হিসেবে দেখে; ওরা বিশ্বাস করে যে, অন্য ধর্মের লোকেরা "ভ্রান্ত পথে" আছে; ভ্রান্তপথ ও সত্যপথ একই গন্তব্যে গিয়ে শেষ হয় না; কারণ, ভ্রান্ত ও সত্য লজিক্যালী একমুখী নয়, বিপরিত মুখী।

তবে, সুখবর হলো, ধর্মগুলো সহ-অবস্হান এলে, বা না-এলেও, তেমন কোন সমস্যা হবে না; কারণ, ধর্মগুলোর বিলুপ্তি ঘটবে বেশ সহসাই; অনেকের কাছেই ভাবতে কষ্ট লাগবে যে, হাজার বছরের ধর্ম কি করে বাস্পের মতো বাতাসে মিশে যাবে! ধর্মগুলো একদিন ঠিক কর্বুরের মতো বাতাসে মিশে যাবে না, ধর্মের রূপান্তর ঘটবে, ধর্মগুলো সামাজিক ট্রেডিশনে পরিণত হবে; যেমন আজকের সুইডেনে, বা আজকের জাপানে।

২০০ বছরের ক্রুসেডে ততকালীন সময়ে কয়েক লাখ মুসলিম ও খৃষ্টানের রক্তে জেরুসালেমের মাটি সিক্ত হওয়ার পর, সালাদীন ও বৃটেনের রাজা রিচার্ড-১ ১১৯২ সালে সহ-অবস্হানের চুক্তি করেছিলো ; কিন্তু সহ-অবস্হান কখনো হয়নি, আজো নেই; কারণ, ধর্মে কোন লজিক নেই, সবাই নিজেদের বিশ্বাসে ফিরে যায় সব সময়। সালাদীন ও রিচার্ড হয়তো সহ-অবস্হানে থাকতে পারতো; কারণ, ধর্মের বাহিরেও, তাদের মাঝে বড় লজিক্যাল মিল ছিলো, ২ জনই জেনারেল।

যারা যেভাবই বলুক না কেন যে, তাদের ধর্মীয় বই'র একটা অক্ষরও বদলায়নি, বা কোনদিনও বদলাবে না; কারণ, যিনি বই দিয়েছেন, তিনি বইয়ের যত্ন নিচ্ছেন; তারপরও বইয়ের সারবস্তু নিয়ে কোটী মতামত হয়ে মুল বিষয় বদলে গেছে, প্রতিদিন আরো বদলে যাবে; কারণ, বইকে সবাই আলাদাভাবে ভালো ব্যাখ্যা করে, এবং সবাই নিজের সমস্ত ভক্তি ও বিশ্বাস দিয়ে উহাকে ভালোর দিকে নিয়ে যায়; যুগে যুগে তারা বইয়ের বিষয়কে এতো বেশী ভালো ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, আসল অর্থ আজকে আর নেই; যা আছে, উহা ভালো অর্থ আছে মাত্র।

আমাদের ব্লগেও সেদিন নতুন কিছু যোগ হলো: সুরা ফাতেহা পড়ে ফুঁ দিলে নাকি সব রোগ ভালো হয়ে যাবে; ফুঁ দেয়ার পর রোগ ভালো না হলে, নাকি রোগীর ইমান নেই; এতে নবীজির অূস্হতা নিয়ে ভাবতে হয়, উনি অসুস্হ হয়ে পরলোক গমন করেছিলেন, উনি নিশ্চয় সুরা ফাতেহা জানতেন। এভাবে, শুধু একজন ব্লগারই পুরো কোরানকে বদলায়ে দিতে সক্ষম!

আজ থেকে ২ হাজার বছর আগে হযরত আদমের গল্প ঠিক কি রকম ছিলো, বলা মুশকিল; তবে, আজকের মতো সুন্দর ভার্সন হয়তো তখন ছিলো না; এবং বিবিধ লোকালয়ে এই গল্প বিবিধভাবে ছিলো; গত কয়েক'শ বছরে গল্পটির ইনটেগ্রেশান ঘটেছে, এখন ইহা আর বদলাবে না; কিন্তু এখন উহা নিয়ে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে যে, ইহা শুধু গল্পে পরিণত হচ্ছে ক্রমেই। তবে, এই ঘটনাটিই ধর্মগুলোর মাঝে একটা মাত্র মিলের বিন্দু তৈরি করেছে। কিন্তু প্রতিটি ধর্ম হাজারভাবে বিপরিতমুখী হওয়ার কারণে, একা হযরত আদম উনার সন্তানদের মাঝে কোন ভাবেই সহ-অবস্হানের ব্যবস্হা করতে পারবেন বলে মনে হয় না।





মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষের বড় পরিচয় ধর্ম হওয়া উচিত নয়। সব চেয়ে বড় পরিচয় মানুষ।
ধর্মের আবেগে মানুষ উগ্র হয়ে যাচ্ছে।
আমি আমার পরিচিতজনদের সাথে আলাপ করে দেখেছি।
সবাই ধর্মের জন্য হত্যা করা পছন্দ করছে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মকে হিসেব না করলে, মানুষে মানুষে অনেক মিল: প্রায় মানুষের ২ পা, ২ হাত, ২ চোখ; অনেক অনেক মিল; এতো মিল যে, ২ জনের মিলের কারণে ৩য় আরেক জনের জন্ম হয়ে যায়, সত্যই বিশাল মিল।

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছোট ছোট বাচ্চাদের মুখেও শুনেছি- ও তো হিন্দু।
ও দোজখে যাবে।
অবস্থাটা খুবই জটিল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা মরলে বেহেশতে যাবেন; জীবিত অবস্হায় জার্মানী যাবেন, কানাডা যাবেন, সমস্যা

৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৪৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধর্মের বিরুদ্ধে সত্য বলা কঠিন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি ধর্মের পক্ষে বলছি; ধর্মের বিপক্ষে বলার মতো ক্ষমতা কারো নেই।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ধর্মের গোঁড়ামি থেকে সবাইকে মুক্ত হতে হবে। ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে মানলে পৃথিবী শান্তিময় হয়ে উঠবে। শুভ সকাল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো কথা বলছেন, ধর্মের গোড়ামি থেকে মুক্ত হতে হবে; আপনি হয়ে দেখান।

৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি এই আধুনিক যুগে ধর্মের কোনো মূল্য নেই।
ধর্ম কিছুই দিতে পারেনি। এই যে আধুনিক পৃথিবী তা ধর্ম দেয়নি। ধর্ম আকড়ে ধরে পড়ে থাকলে দিন শেষে কিছুই পাওয়া যায় না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের শতকরা ৮০ জন মানুষ কোন না কোনভাবে ধর্ম মানে।

ধর্ম তাদেরকে একটা বিষয়ে সাহায্য করছে: সব মুসলমান জানেন যে, মৃত্যুর পর সব খৃস্টান, সব হিন্দু, সব ইহুদী, সব বৌদ্ধ দোযখে যাবে; বাকিরা জানে যে, সব মুসলমান দোযখে যাবে; এটা হয়তো ধর্মের মাঝে সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।

মৃত্যুর পর, এদের কোন সহ-অবস্হান সম্ভব হচ্ছে না।

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমি মুক্ত। বয়স বাড়ার সাথে বইপত্র যত ঘাটাব জ্ঞানের পরিধি বাড়বে, তত গোঁড়ামি কমবে। ধন্যবাদ ।


রাজীব নূর ভাই ববলেছেন: "সত্য কথা বলতে কি এই
আধুনিক যুগে ধর্মের কোনো মূল্য নেই।"

ভাই, ধর্ম সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেন, আবার একদম বাজে মন্তব্যও করেন, বিষয়টা খেয়াল করেছি।

ধর্ম সম্পর্কে আপনার কাছ থেকে একটি পোস্ট আশা করি যেখানে আপনার ধর্ম দর্শন থাকবে।

আপনি সব সময় ধর্ম সম্পর্কে বাজে ধারণা পোষণ করে থাকলে আমি এই কথা বলতাম না। আবার সব সময় সুন্দর মন্তব্য করলেও করতাম না।


একই সাথে দুই ধরণের মতামত দেখছি বলেই বলতেছেই। এর বেশি কিছু নয়। আপনি আবার কিছু মনে করবেন না।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজিব নুর ধর্ম নিয়ে লিখতে গেলে, সম্রাট আকবরের মত নতুন ধর্মের সৃষ্টি করে ফেলবে, মনে হয়।

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


কেমন আছেন?

বাংলাদেশের সরকার ব্লগে ঢুকতে দিচ্ছে না । তাই ভিপিএন দিয়ে ঢুকে আপনার ব্লগে আসলাম ।

ধর্ম নিয়ে টানাটানি সেটা সেই আদি যুগ থেকেই চলে আসছে । অথচ কেউ বই গুলো ঠিক ভাবে পড়ে দেখানি । কেউ ভাবেনি আসলে বই গুলোতে কি বলা হয়েছে আর তারা কি করছে । এই পার্থক্য মানুষ তৈরি করেছে ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ভালো আছি, ধন্যবাদ! আশাকরি, আপনিও ভালো আছেন।

খেয়াল আছে কিনা, সামুতে কিছু সরকারী ব্লগার ছিলো: 'তালপাতা নাকি বালপাতা সিপাহী, স্বপ্নবীথি, আরো কি কি! ওদের রিপোর্ট কাজে লাগাচ্ছে সরকারের ২/৪ জন। ফলাফল, সামুর জনপ্রিয়তা বাড়বে।


কোটী কোটী মানুষ ধর্মীয় বইয়ের প্রতিট লাইন অনেকটা মুখস্হার মতো জানেন ও পড়েন, তারপরও এগুলো পড়া হয়নি? প্রতি বছর ৪০ মিলিয়ন কপি কুরান ও আনুষংগিক ধর্মীয় বই, ৪৫ মিলয়ন বাইবেল ছাপানো হয়; আপনি ভুল জগতে আছেন।

সুরা ফাতেহা আপনি নিজেই প্রতিদিন পড়ছেন; ১৭০ কোটী মুসলমানের মাঝে ১২০ কোটী মুসলমান সুরা ফাতেহা দৈনিক ৬০০ কোটী বার পড়েন; আপনি হয়তো অংক কম জানেন।

৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


আমি এখানে পড়া বলতে বুঝার কথা বলেছি । আমাদের কত জন আছে যারা পড়ে সেটাকে ধারন করেন । অথবা বলা যায় পালন করেন । সবাই কম বা বেশি পড়ে কিন্তু সেই লেখার মধ্যে আসলে কি বলা হয়েছে তা বুঝার ক্ষমতা কত জনের আছে ।

নিজের জ্ঞান বুদ্ধি মানুষ এখন কম কাজে লাগায় । তারা যেটা শুনে সেটাই বিশ্বাসা করে তারপর সেটা নিয়েই লাফায় । কেউ ভিতরে যেয়ে দেখে না আসলে ঘটেছে কি ।

আসলে আমাদের সব কিছুই উন্নত হয়েছে তবে জানার আগ্রহ বা চিন্তা শক্তি কমে গিয়েছে ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সুরা ফাতেহা বুঝেন কিনা? নাকি কোনদিন মনযোগ দিয়ে পড়েননি? আজকে আবার পড়ে, একটা পোষ্ট দেন, দেখেন, মনযোগ দিয়ে পড়ার পর, আপনি নতুন করে কি বুঝলেন! দেখেন, পোপ আপনার ভাই হয়ে যায় কিনা, ২ জনের সহ-অবস্হানের ভিত্তি রচনা হয় কিনা!

৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আদিকালে সভ্যতা ও সমাজ গঠনে ধর্মগুলো মানুষদের একত্রিত করতে পেরেছিল।
বর্তমানে এর প্রয়জনিয়তা নেই বললেই চলে।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজতন্ত্রে অত্যাচারের থেকে, ধর্মের মাধ্যমে মানুষ সামান্য পরিমাণ মানসিক শান্তি পেতো।

১০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: "বইয়ের সারবস্তু নিয়ে কোটী মতামত হয়ে মুল বিষয় বদলে গেছে, প্রতিদিন আরো বদলে যাবে;"
চমৎকার;
কেন ধর্ম থাকবে না তা ঐ কথায় পরিস্কার।
ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মের মুল বিষয়গুলো বদলে গেছে, সেজন্য কোন ধর্ম অন্য ধর্মকে সহ্য করছে না।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: হা হা - স্বপ্ন দেখতে থাকেন - স্বপ্ন দেখতে পয়সা লাগে না।
যদি সহঅবস্থানে না থাকতে পারার জন্য কোন কিছু ধ্বংস হতেই হয় তাহলে সবার আগে রাস্ট্র ধ্বংস হওয়া উচিত। কারণ বহু ধর্মের মানুষ এখনও একই এলাকায় পাশাপাশি বসবাস করতে পারে - কিন্তু কোন এলাকায় দুই রাস্ট্র থাকতে পারে না। ধর্মের চেয়ে রাস্ট্র অনেক বেশী স্বার্থপর। ধর্মের চেয়ে রাস্ট্রগুলির মধ্যকার সম্পর্ক অনেক বেশী সাংঘর্ষিক। ধর্ম মানুষকে যদি প্রধানত ৫-৭ভাগে বিভক্ত করে থাকে তাহলে রাস্ট্র করেছে শতাধিক ভাগে বিভক্ত। তাই বিভক্ত থেকে উত্তরণ চাইলে রাস্ট্র বিলুপ্ত করা উচিত।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, আরবদের জীবন জানুন; তখন বুঝতে পারবেন, ধর্মীয় মানুষরা কিভাবে এসব দেশকে এখনই দোযখে পরিণত করে রেখেছে: এমন কোন অন্যায় নেই যে, এরা করে না।

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধর্ম পৃথিবী থেকে উবে যাবে- এগুলো দিবাস্বপ্ন। এগুলো নেতিবাচক অবস্থান তৈরিতে সহায়তা করে; ব্লগ এবং ব্লগার সকলের জন্যই যা ক্ষতিকর। বাংলাদেশ বাংলাদেশই। আমেরিকা, জাপান, সুইডেন নয়।

১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




ধর্মের ভয়ংকর রূপান্তর ঘটছে, আপনার জীবনকালেই বুঝার সুযোগ পাবেন।

বাংলাদেশে যা ধর্ম হিসেবে আছে, উহা মানুষের সাধারণ নৈতিক গুণকে দুর্বল করে দিচ্ছে: অসততা, ঘুষ খাওয়া, অন্যের ক্ষতি করা, ধর্মীয়দের জীবনের অংশ: ধর্মীয়রা সাধরণ নৈতিক গুণের থেকেও অনেক কম মানবিক।

১৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মের ভয়ংকর রূপান্তর ঘটছে, আপনার
জীবনকালেই বুঝার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশে যা ধর্ম হিসেবে আছে, উহা
মানুষের সাধারণ নৈতিক গুণকে দুর্বল করে
দিচ্ছে: অসততা, ঘুষ খাওয়া, অন্যের ক্ষতি
করা, ধর্মীয়দের জীবনের অংশ: ধর্মীয়রা
সাধরণ নৈতিক গুণের থেকেও অনেক কম
মানবিক।



এই দায় ধর্মের নয়। ধর্মের জ্ঞান, ধর্মের নির্দেশনা নিজের মধ্যে ধারণ করতে না পারার কারণে এগুলো হচ্ছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্মের গুণাবলীর চেয়ে, মানুষ আরো উন্নত গুণাবলীর অধিকারী হয়েছে বিশ্বে।

১৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাইবেলে কেন পরিবর্তন আনা হয়েছে, কোরআনে আগের সূরা পরে ,পরের সূরা আগে কেন সাজানো হয়েছে এগুলো বুজলেই বুজা যায় ধর্ম গুলো কেন সহাবস্থান সম্ভব না।
আপনার বই নিয়ে ভাবনা কতদূর?

২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বই লেখা শুরু করেছি; তোরাহ ও বাইবেল মানুষের লেখা; মানুষের লেখা সময়ের উপর নির্ভরশীল

১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: সব যুগেই অবিশ্বাষী ছিল, আছে এবং থাকবে। আবার পারস্পরিক ধর্মীয় বিদ্বেশের পরও ধর্মগুলো সহ-অবস্হানে ছিল, আছে , এবং থাকবে হাজার বছর পরেও।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্ম থাকবে।

১৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কারন, ধর্মে কোন লজিক নেই, সবই বিশ্বাস; সহ-অবস্হানের জন্য সামান্য হলেও লজিক্যাল মিল, ও লজিক্যাল কারণ থাকতে হয়; ধর্মগুলো অন্য ধর্মের লোকদের "দোযখের জ্বালানী" হিসেবে দেখে; ওরা বিশ্বাস করে যে, অন্য ধর্মের লোকেরা "ভ্রান্ত পথে" আছে; ভ্রান্তপথ ও সত্যপথ একই গন্তব্যে গিয়ে শেষ হয় না; কারণ, ভ্রান্ত ও সত্য লজিক্যালী একমুখী নয়, বিপরিত মুখী।


আপনি যে খুব লজিক্যাল সেটা গতকাল আমার পোষ্টে আমি প্রমান পেয়েছি।
আমার পোষ্টে গতকাল বললেন,
চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "পানির মধ্যে অণু আছে, পরমানু আছে...."

-আপনি আবার বাঁশের কেল্লা বানাচ্ছেন মনে হয়; পানির "পরমাণু" থাকে না, আপনি বিজ্ঞান বুঝবেন না।

আমার প্রতিমন্তব্যটা ছিল, পানির একেকটি অণু একটি অক্সিজেন পরমাণু এবং দু'টি হাইড্রোজেন পরমাণুর সমযোজী বন্ধনে গঠিত ।
আপনার একটি কথায় আমি প্রমান পেয়েছি আপনি কতটুকু লজিক্যাল আর ভ্রান্ত ধারনায় ডুবে আছে।যা মূর্খতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

তবে, সুখবর হলো, ধর্মগুলো সহ-অবস্হান এলে, বা না-এলেও, তেমন কোন সমস্যা হবে না; কারণ, ধর্মগুলোর বিলুপ্তি ঘটবে বেশ সহসাই; অনেকের কাছেই ভাবতে কষ্ট লাগবে যে, হাজার বছরের ধর্ম কি করে বাস্পের মতো বাতাসে মিশে যাবে! ধর্মগুলো একদিন ঠিক কর্বুরের মতো বাতাসে মিশে যাবে না, ধর্মের রূপান্তর ঘটবে, ধর্মগুলো সামাজিক ট্রেডিশনে পরিণত হবে; যেমন আজকের সুইডেনে, বা আজকের জাপানে।


শুনেন চাঁদগাজীর মত পাগলের বিশ্লেষনে কোন বিবেকবান মানুষ কান দিবে না।যারা দিবে তার ঐ আপনার মতোই।

যারা যেভাবই বলুক না কেন যে, তাদের ধর্মীয় বই'র একটা অক্ষরও বদলায়নি, বা কোনদিনও বদলাবে না; কারণ, যিনি বই দিয়েছেন, তিনি বইয়ের যত্ন নিচ্ছেন; তারপরও বইয়ের সারবস্তু নিয়ে কোটী মতামত হয়ে মুল বিষয় বদলে গেছে, প্রতিদিন আরো বদলে যাবে; কারণ, বইকে সবাই আলাদাভাবে ভালো ব্যাখ্যা করে, এবং সবাই নিজের সমস্ত ভক্তি ও বিশ্বাস দিয়ে উহাকে ভালোর দিকে নিয়ে যায়; যুগে যুগে তারা বইয়ের বিষয়কে এতো বেশী ভালো ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, আসল অর্থ আজকে আর নেই; যা আছে, উহা ভালো অর্থ আছে মাত্র।

একটা জাত যতক্ষন নিজেরা না পরিবর্তন হবে আল্লাহ তাঁদের পরিবর্তন করেন না।

আমাদের ব্লগেও সেদিন নতুন কিছু যোগ হলো: সুরা ফাতেহা পড়ে ফুঁ দিলে নাকি সব রোগ ভালো হয়ে যাবে; ফুঁ দেয়ার পর রোগ ভালো না হলে, নাকি রোগীর ইমান নেই; এতে নবীজির অূস্হতা নিয়ে ভাবতে হয়, উনি অসুস্হ হয়ে পরলোক গমন করেছিলেন, উনি নিশ্চয় সুরা ফাতেহা জানতেন। এভাবে, শুধু একজন ব্লগারই পুরো কোরানকে বদলায়ে দিতে সক্ষম!

খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেন।কিন্তু আপনার চোখ কিভাবে এড়িয়ে যায়, "আল্লাহ যখন যা চায় তখন তাই হয়?
আর তখন হাজার ঝাড়ফুক দিলেও কিছু হয় না।আল্লাহ আপনার মৃত্যু যেখানে যেভাবে রেখেছে ঠিক সেভাবেই হবে।মহানবীর মৃত্যু আল্লাহ যেভাবে রেখেছেন ঠিক সেভাবেই হয়েছে।এই ক্ষুদ্র ব্যাপারটা যদি ব্লগার রাজীব নূরের গুরু হয়ে না বুঝেন কি আর বলবো।এটা আপনার জন্য খুবই লজ্জার।খুব খুব খুবই লজ্জার।

একা হযরত আদম উনার সন্তানদের মাঝে কোন ভাবেই সহ-অবস্হানের ব্যবস্হা করতে পারবেন বলে মনে হয় না।

ধরুন আপনার বড় ছেলে একটা মেয়েকে রেপ করলো আর তখন আপনার ছোট ছেলে সেই মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে আপনার ছেলেকে মেরে ফেললো।এখন আপনি কোন ছেলের পক্ষে দাড়াবেন?যদি বলেন বড় ছেলে তবে আপনি পশু আর যদি বলেন ছোট ছেলে তাহলে আপনার মধ্যে বিচার বিচক্ষন ক্ষমতা ন্যায্য বলে আমি বিশ্বাস করি।



২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার মন্তব্য পোষ্টের মানহানী ঘটায়; আপনার কমেন্ট আমার পোষ্ট থেকে বড়!

১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:০৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি এই আধুনিক যুগে ধর্মের কোনো মূল্য নেই।
ধর্ম কিছুই দিতে পারেনি। এই যে আধুনিক পৃথিবী তা ধর্ম দেয়নি। ধর্ম আকড়ে ধরে পড়ে থাকলে দিন শেষে কিছুই পাওয়া যায় না।


কথায় আছে, বিড়াল যখন খায় চোখ বন্ধ করে খায়।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজীব নুর ব্লগ থেকে অনেক কিছু আয়ত্ব করেছে।

১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩১

আখ্যাত বলেছেন:
রাজনীতিতে লজিক ছাড়া কিছু নেই,
রাজনীতি আবেগসর্বোস্ব কিছু নয়।
এদেশের রাজনৈতিক পক্ষগুলো অন্য পক্ষের লোকদের "জীবনের দুশমন," হিসেবে দেখে না;
ওরা বিশ্বাস করে যে, অন্য পক্ষের লোকেরও "গণতন্ত্র ভোগ করার অধিকার" আছে;
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা পরিষদে, ইউনিয়নপরিষদে, ডাকসুতে, সংসদে সবখানে যাওয়ার অধিকার আছে।

২০ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীন হওয়ার পর, বাংগালীদের নিজস্ব রাজনৈতিক ভাবনা কাজ করার কথা ছিলো; কিন্তু ১৯৭৫ সালের ঘটনার পর, বাংগালীদের স্বাধীনতা যারা চায়নি, তারা ক্ষমতায় চলে যাওয়ায়, আমরা পথ হারায়েছি

১৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

গরল বলেছেন: কোনদিন সহবস্থানে থাকা সম্ভবও না কারণ নিজের ধর্ম সঠিক প্রমাণ করার একটাই উপায় তা হল অন্যান্য সব ধর্ম মিথ্যা প্রমাণ করা। অতএব নিতীগত বা পদ্ধতিগত কোনভাবেই সহাবস্থানের সুযোগ নেই।

২১ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাকী সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে, ধর্মগুলো পরস্পরের বিপক্ষে ভয়ংকর বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.