নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতা কারা চেয়েছিলেন, কারা এনেছিলেন, কারা স্বাধীনতা বুঝে নিয়েছেন

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:৫৮



*** কোন ১ ইডিয়ট পোষ্টটাকে রিফ্রেশ করার শুরু করেছে ****

পুর্ব পাকিস্তানের কোন শ্রেণীর জনতা স্বাধীনতা চেয়েছিলেন? দরিদ্ররা স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী, মোনায়েম খান, একে খান, সবুর খানরা ও ব্যুরোক্রেটরা পুর্ব পাকিস্তানে এতটা আরামে ছিলো যে, উহারা বাংগালীদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, এরা পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে!

মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবর রহমান সাহেব মানুষকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, পুর্ব পাকিস্তানে যে পরিমাণ সম্পদ আছে, সব বাংগালী সুখে শান্তিতে থাকতে পারবেন; পশ্চিম পাকিস্তানের মিলিটারী, ধনকুবের ও অফিসারদের লাথি, থাপ্পড় খাবার দরকার নেই।

মওলানা ভাসানী ও শেখ সাহবের সভাগুলোতে উপস্হিত লোকজনের কাপড়, বেশভুষা, পায়ের স্যান্ডাল, খালি পা দেখলে, স্বাধনতাকামীদের চিনতে ভুল হওয়ার কথা নয়: রেসকোর্সের ছবি দেখেন (রাজধানীর লোকজন), পল্টনের ছবি দেখেন, লালদীঘির ছবি দেখেন, পোলো-গ্রাউন্ডের ছবি দেখেন, খুলনার শিল্প এলাকার সভায় উপস্হি্তিদের চেহারা দেখেন, বুঝতে পারবেন, কারা এই দেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন!

১ নং সেক্টরের হেড কোয়ার্টার হরিণার ছবি কোথায় পেলে দেখবেন, কাহারা যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন ভলনটিয়ার হিসেবে! একজন ভালো চাকুরীজীবির ছেলেও ছিলো না সেখানে: সবগুলো গ্রামের কৃষকের ছেলে, দিনমুজুর, শ্রমিক, গ্রামের কলেজের ছাত্র।

যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে, সামান্য অবস্হাপন্ন লোকজন, চাকুরে, প্রশাসনের লোকজন, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, সাংবাদিক, ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের হাবভাব ছিলো যে, যুদ্ধ করার দায়িত্ব তো গরীবদের।

গরীবেরা অশিক্ষিত থাকে, অশিক্ষিতরা গরীব হয়; গরীবেরাই জাতিকে উদ্ধার করতে গেলো; তাও, আবার ভলনটিয়ার: নিজের লুংগি, নিজের পুরান শার্ট, খালি পা, কিংবা একজোড়া স্পন্জ; কোন বেতন নেই, খাবার নেই, থাকার ব্যবস্হা নেই, চিকিৎসা নেই; তাজুদ্দিন সাহবের সরকারের একটা দায়িত্ব ছিলো: কোথায়ও শুধু নামটা লিখে রাখা; সেটাও ঠিক মতো করতে পারেনি। যুদ্ধে কে কোথায় শহীদ হয়েছেন, তাজুদ্দিন সাহবেের লোকেরা সেটাও লিখে রাখতে পারেননি; কার ছেলে কোথায় শীদ হয়েছেন, কার স্বামী কোথায় প্রাণ হারায়েছেন সেটার হিসাবে রাখার লোকও পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধে জাতি জয়ী হয়েছেন; তাজুদ্দিন সাহেবের সরকারের বেংগল রেজিমেন্টের লোকদের চাকুরী রলো, ইপিআরদের চাকুরী রলো, পুলিশ, আনসারের চাকুরী রলো, তাজুদ্দিন সাহেবের চাকুরী রলো; শুধু বিনা-বেতনের ভলটিয়ারগুলোর চাকুরী রলো না; তাদেরকে খালি হাতে ফেরত আসতে হলো পোড়া ভিটায়; এই ছিলো বাংগালীর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আনার সৈনিকদের পাওনা।





মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: শেখ মুজিব আর তাজউদ্দিন সাহেব সামান্য দূরদর্শিতা ও কঠোরতা দেখালে আমাদের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যার কাছে যাহা নেই, সেজন উহা দেখাতে পারার কথা নয়।

তাজুদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা রেখেছেন, ভলনটিয়ার দরিদ্র সৈন্যদের চাকুরীটা রাখেননি; উনার মত কমবুদ্ধিমান বাংগালী বাংলার মাটিতে কোনদিন জন্ম নেননি।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ সবাই সামরিক ছিল, সবাই শহীদ হয়েছেন। জীবিতদের মধ্যে কি বীরশ্রেষ্ঠদের মত যুদ্ধ কেউ করেনি?

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেংগল রেজিমেন্টের অফিসারেরা পাকী-অফিসারদের নিরীহ ছোট সতভাই ছিলো; আক্রান্ত হওয়ায় যুদ্ধ করেছিলেন; কিন্তু চিন্তাভাবনা তেমন বদলায়নি, শুধু পাকীদের বিপক্ষ দলে ছিলেন।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যথার্থই বলেছেন যুদ্ধ করার দায়িত্ব গরিবদেরই । যুগে যুগে গরীবরাই দাবার গুটি হয়ে নেতা-নেত্রীদের মনোবাসনা পূর্ণ করেছে । বেয়োনেটের সামনে তাঁরাই জামার বোতাম খুলে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছে। বিনিময়ে ক্ষমতায় এসে নেতা নেত্রীরা ক্রিম খেয়ে গেছে আর দেখা গরিবরা পড়ে থেকেছে সেই তিমিরেই সেডিমেন্ট হয়ে ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাঁরা যু্দ্ধ করেছিলেন ভলনটিয়ার হিসেবে, দেশ চালনার কথা তাঁদের। সেই সাহসী ও সবলদের সামান্য চাকুরী না দিয়ে দিয়েছে "কোটা", তাঁদেরকে কেন কোটা দেয়া হবে? কোটা দেয়ার দরকার ছিলো অসমর্থদের! আজকে সেই কোটার বিপক্ষে আন্দোলন করে বিশ্বাসঘাতকদের বাচ্চারা নেতা হচ্ছে।

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩২

অনুভব সাহা বলেছেন: পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। দ

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, ১ জন বাংগালীর হলেও মন আছে, যা খারাপ হয়, ভালো হয়!

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




শুধুমাত্র আপনার এই লেখাটি দেখেই ব্যস্ততা সত্বেও লগইন হয়েছি।
আপনার লেখার মূল প্রতিপাদ্যের সাথে সহস্রভাগ সহমত। সে সময়ে দীর্ঘকালীন লাথি ঝাটা খাওয়া বাঙালীদের একটি রাষ্ট্র পরিচালনার অনভিজ্ঞতাই এর জন্যে দায়ী। হঠাৎ করে একটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব হাতে এসে যাওয়ায় কি করতে হবে , কি করা জরূরী, কি করা যাবেনা তা বুঝে উঠতে পারেননি পরিচালকেরা। যেমন হাত দিয়ে ভাত খাওয়া বাঙালিকে ফাইভষ্টার হোটেলে বসিয়ে কাটা-চামচ দিয়ে খেতে দিলে সে যেমন প্রথমে সব কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলবে, এখানেও হয়েছে তাই।
তেমনি প্রথম প্রথম তারা হয়তো বুঝে উঠতে পারেননি সব, কি কিন্তু সময় করে সে ভুলগুলো অবশ্যই শুধরে নেয়া যেত। তা শুধরে দেননি কেউই। চেষ্টাও করেননি। চাপের মুখেও ছিলেন না কারন বৃহত্তর জনগণ যারা যুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, যারা সরাসরি খালি পায়ে, লুঙ্গি পড়ে, খেয়ে না খেয়ে, বিলে জঙ্গলে লুকিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন তাদের কোনও চাহিদা ছিলোনা রাষ্ট্রের কাছে।
এ সুযোগটাই নিয়েছেন তারা - এরা যখন দেখেছেন, রাষ্ট্রের মালিক হয়ে গেছেন তারা তখন ধরাকে সরা জ্ঞান করেছেন। যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিঃস্বার্থ সমর্থনে তারা সিংহাসনটি বগলদাবা করতে পেরেছেন, তাদেরকেই বসিয়েছেন প্রজার কাতারে। ভেবেছেন , এরা যদি প্রজা না হয় তবে তারা রাজা হবেন কি করে! এই স্বল্প জ্ঞান- দুর্বুদ্ধি- লোভ- হাভাতে স্বভাবের চরিত্র থেকে বেড়িয়ে তারা কখনই জ্ঞানী-প্রাজ্ঞ-বুঝদার হয়ে উঠতে পারেন নি । সে চেষ্টাও করেন নি। দেখেছেন, এভাবেই তো তাদের পোলাও-বিরানী পাতে এসে যাচ্চে, তাই কোনও কিছু তলিয়ে দেখার প্রয়োজনটাই তারা বাদ দিয়ে দিয়েছেন। পরে যারা সেই দন্ডমুন্ডের সনদ হাতে পেয়েছেন, তারা আরো ধারালো করেছেন সেই দন্ড, প্রজাদের গলা কাটার জন্যে। দিন দিন সেই দন্ডের ধার আরও বেড়েছে।

পদাতিক চৌধুরি ঠিকই বলেছেন --"যুগে যুগে গরীবরাই দাবার গুটি হয়ে নেতা-নেত্রীদের মনোবাসনা পূর্ণ করেছে । বেয়োনেটের সামনে তাঁরাই জামার বোতাম খুলে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছে। বিনিময়ে ক্ষমতায় এসে নেতা নেত্রীরা ক্রিম খেয়ে গেছে............"

আজ স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার সুফল বঞ্ছিত সেই সব খালি পায়ে, লুঙ্গি পড়ে, খেয়ে না খেয়ে, বিলে জঙ্গলে লুকিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম করা অগনিত বাঙালীকে সশ্রদ্ধ সালাম...............
যদিও জানি এই লেখাটুকু তারা কেউই পড়ে দেখার অবস্থায় নেই তবুও তাদের জন্য প্রানের এই কান্নার শব্দটুকু রেখে গেলুম যদি সেই শব্দ তারা কোনদিন শুনতে পান.................

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লগ-ইন করার জন্য ধন্যবাদ, সামান্য ৫০০ জনের একটা আলোচনার প্লটফরমে লগ-ইনের স্বাধীনতাটুকুও আজ যারা কেড়ে নিচ্ছেন, তারাই ১৯৭১ সালের যোদ্ধাদের চাকুরীটুকু কেড়ে নিয়ে, নিজের চাকুরীটা রেখেছিলেন।

যুদ্ধ করে যাঁরা দেশ এনেছিলেন, তাঁদেরকে চাকুরীর বদলে "ভাতা" দেয়া হয়েছে, "ফ্রি-পড়ালেখার" বদলে "কোটা দেয়া হয়েছে; সেই "কোটার" বিপক্ষে আন্দোলন করে, এই দেশের বিশ্বাসঘাতকদের সন্তানেরা নেতা হচ্ছে আজকে।

৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। তবে গরীবরা ছাড়াও ছাত্রদের আপনি উপেক্ষা করেছেন। আপনি নিজেও খুব সম্ভবত ছাত্র ছিলেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি আমাদের একমাত্র কানা ব্লগার!

৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

সায়ন্তন রফিক বলেছেন: আপনার পোস্টের মূলবক্তব্যের সাথে মতানৈক্যের কোনো উপায় নেই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


'৭১ সালের সবচেয়ে সবল ও সাহসীদের চাকুরী না দিয়ে বেকার করে, ভাতা দিয়েছে, মানুষের শত্রু বানায়েছে বেকুবেরা।

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪৪

শাহাদাত নিরব বলেছেন: গাজী ভাই যথার্থই বলেছেন।
গরীব রা ছিলো মুক্তিযুদ্ধের মুল ভুমিকায় ।
স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শহীদদের জন্য আবার ওপারে আবার কোটা টোটা চালু করা হচ্ছে কিনা কে জানে!

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

নতুন বলেছেন: এই কথাগুলি প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার।

এখন দেশে দারিদ্র কমানোর জন্য আইডিয়া বানানোর মিটিং হয় ৫ তারা হোটেলে... যেখানে এক কাপ চায়ের পেছনে খরচা করে ৯০ টাকা ++ :)

রাজনিতি এখন ব্যবসা... দেশ সেবা বলে কিছুই নাই।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রধানমন্ত্রী কানে কম শোনেন, বুঝেনও কম।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



আসলে মুক্তিযুদ্ধের পর তাদের যে পরিমান দূরদর্শিতার দরকার ছিল সেটা তারা দেখাতে ব্যর্থ । সবচেয়ে বড় কথা যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অ দান ই রাখেনি তারাই চাকের মত ভীড় করেছে । নিজদের দাবী করেছে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে । তারাই চালকের আসনে বসেছে । তারাই ঘিরে রেখেছিল পুরো সিস্টেম ।

অথচ বঙ্গবন্ধু বা তাজউদ্দিন দুজনের এক জনের ভিতরে কি একবার ও প্রশ্ন জাগেনি ।

তারা চলে গিয়েছেন । বাদ দেই । এখন যারা আছেন তারাই বা কতটা খোজ করেছেন ।

স্বাধীনতার সময় কাউকে বলে দিতে হয়নি । কিন্তু যুদ্ধে শেষ সব বদলে গিয়েছে । তখন যা দরকার ছিল তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব গায়ে গতরে হলেও বড় ছিলো; ১৯৭৫ সালে গাছ কেটে এখন আগাছার বনজংগল তৈরি করেছে বিশ্বাসঘাতকেরা।

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বেংগল রেজিমেন্টের লোকদের চাকুরী রলো, ইপিআরদের চাকুরী রলো, পুলিশ, আনসারের চাকুরী রলো, তাজুদ্দিন সাহেবের চাকুরী রলো;
শুধু বিনা-বেতনের ভলটিয়ারগুলোর চাকুরী রলো না


কিছু বাছাই করা মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরি হয়েছিল
১৯৭২ এ ২৫ হাজার তরুন সিভিল মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় রক্ষীবাহিনীতে নেয়া হয়েছিল। আরো নেয়া হতো, কিন্তু মাত্র তিন বছরের মাথায় মুজিবিকে হত্যা করে পাকিপন্থিরা ক্ষমতা দখল করে পট পরিবর্তন করে।
তরুন 'মুজিব বাহিনীর' মুক্তিযোদ্ধা ও কাদের বাহিনীর প্রায় সবাইকেই নেয়া হয়েছিল রক্ষীবাহিনীতে।

৭৫ এর পর বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে রক্ষীবাহিনী বিলুপ্ত করা হলেও এদের সকল সদস্যকে সেনাবাহিনীতে আত্নিকরন করা হয়েছিল।
রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে সকল অপবাদ মিথ্যা প্রমানিত হয় ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর।
যখন রক্ষীবাহিনীর সকল অপপ্রচার ভুলে প্রতিটি সদস্যকে এক ধাপ পদন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হয়, আর রক্ষীবাহিনীর চিফ কে দেয়া হয় রাষ্ট্রদুতের পদ। ৯ই অক্টোবর ১৯৭৫ এ একটি অধ্যাদেশ Jatiya Rakkhi Bahini Absorption Army Ordinance 1975. গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই সেনাবাহিনীতে আত্তিকরণ করা হয়।
এই অধ্যাদেশটিতে অনেকটা দায়মুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে -
"রক্ষীবাহিনী কতৃক বর্তমান ও পুর্ববর্তি সকল কর্মকান্ড, সেগুলো অনুমান করে নেওয়া হবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত জিনিষ"

পরবর্তিতে এই রক্ষীবাহিনীর ২ জন সেনাপ্রধান পর্যন্ত হয়েছিলেন।
বিস্তারিত জানতে পড়ুন
view this link


২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুজিব বাহিনীর লোকেরা যুদ্ধ করেননি, কিন্ত ট্রেনিং দিয়েছিলেন, যুদ্ধের জন্য প্রস্তত ছিলেন; তারাও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিননির অধীনে ছিলেন; তাদেরকে নেয়া হলো, মুলযোদ্ধা, যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, তাঁদেরকে কেন রাখা হলো না? কাদের সিদ্দীকির লোকেরা দেশের সামান্য এক এলাকার লোকজন; বৃহত্তর বাংলাদেশের যোদ্ধাদের বাদ দিয়ে ওরা কিভাবে এককভাবে চাকুরী পেলো?

১৯৭২ সালের পরে "আরো মুক্তিযোদ্ধাকে চাকুরীটে নেয়ার" কথা আপনি অনুমান করছেন কেন? তাজুদ্দিন সাহবের চাকুরী থেকে গেলে, গরীবের ছেলের চাকুরীটা রাখা গেলো না কেন? আপনার মাথায় আসলে বানরের সমান মগজ।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: Happy Independence Day.

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

নতুন নকিব বলেছেন:



যুদ্ধে জাতি জয়ী হয়েছেন; তাজুদ্দিন সাহেবের সরকারের বেংগল রেজিমেন্টের লোকদের চাকুরী রলো, ইপিআরদের চাকুরী রলো, পুলিশ, আনসারের চাকুরী রলো, তাজুদ্দিন সাহেবের চাকুরী রলো; শুধু বিনা-বেতনের ভলটিয়ারগুলোর চাকুরী রলো না; তাদেরকে খালি হাতে ফেরত আসতে হলো পোড়া ভিটায়; এই ছিলো বাংগালীর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আনার সৈনিকদের পাওনা।

অন্যরকম একটি পোস্ট। স্বাধীনতা দিবসে এমন একটি পোস্ট দেয়ায় অভিনন্দন। দারুন লিখেছেন। বিশেষ করে শেষের এই লাইন ক'টা ঠিকই হৃদয়স্পর্শী।

পদাতিক চৌধুরি এবং জিএস ভাইয়ের মূল্যবান মন্তব্য ভালো লেগেছে।

ভালো থাকবেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্বাধীনতার শুরুতে তাজুদ্দিন সাহবে ভয়ংকর বড় ভুল করেছিলেন; উনার ভুলের জন্য জাতি ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

লক্ষণ ভান্ডারী বলেছেন: রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের দেশের স্বাধীনতা। শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা। আসুন, দেশ ও জাতির মুক্তিকামী সৈনিকদের সাথে আমরা স্বাধীনতার বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে বলি জয় বাংলাদেশ, জয় বাঙালি। জয় বাংলা মা, জয় বাংলার মাটি আর বাংলার মানুষের জয়গান গাই। সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাবু, স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা নেবেন; ভালো থাকুন।

১৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

তবে সব দোষ যেভাবে তাজউদ্দিন সাহেবকে দিচ্ছেন তাতে আমি একমত না। কেন নয় তার অনেক ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে?

এটা ঠিক যে নিঃস্ব, অভুক্ত, কৃষক মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় নি। যখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে তখন তাদের বড় একটা অংশ না পাওয়ার বেদনা নিয়ে ধরাধাম ত্যাগ করেছেন।

কৃষকদের কিংবা ঐ অভুক্তশ্রেণীদের এখনও কি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। নাকি তেলে মাথায় তেল দেওয়াতে এখনও আমরা আপাদমস্তক ডুবে আছি। সেই পুরাতন কু-সংস্কৃতির আদৌ কি কোনো পরিবর্তন এসেছে? এখনকার জন্য কাকে দোষ দেওয়া যেতে পারে?

কৃষকের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমার আজকের পোস্টটায় একবার চোখ বুলিয়ে দিতে পারেন।

২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি চাষী ছিলাম, কৃষকদের কিছুটা বুঝি; কৃষকদের সংগঠিত করার দরকার, মুলধন যোগাড় করা সম্ভব; চাষে এখনো লাভ আছে, যা দিয়ে চলা যায়।

তাজুদ্দন সাহেব ১৯৭১ সালের প্রাইম মিনিষ্টার, যুদ্ধাকালীন প্রাইম মিনিষ্টার, যিনি যোদ্ধাদের অবদান ও অধিকার বুঝেননি।

১৬| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

ঢাকার লোক বলেছেন: দেশের সূর্যসন্তান সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের, এমনকি অন্তত যারা শহীদ হয়েছেন ,তাঁদের একটা সঠিক তালিকাও যদি এতদিনে তৈরী হতো ! মুজিব তাজউদ্দীন গত হওয়ার পরও এতো সরকার এলো গেলো গত প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে, স্বাধীনতার পক্ষে বলেন বিপক্ষে বলেন, কেউ সততার সাথে নিঃস্বার্থ ভাবে একাজটাকে করা দরকার মনে করেনি ! এর চেয়ে দুর্ভাগ্য কি আর হতে পারে ?

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন, এরপর অন্য কোন বাংগালীর উপর আশা করা নিতান্ত ভুল; বাকীরা অনেক নিকৃষ্ট।

১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪১

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন:
স্বাধীনতা কেন যে এখন একটা আক্ষেপের মতো হয়ে গেল?

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরকারের থেকে অনেক অনেক বেশী রক্ত দেয়াতে মানুষের ক্ষোভ এখনো রয়ে গেছে।

১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: যুদ্ধে জাতি জয়ী হয়েছেন; তাজুদ্দিন সাহেবের সরকারের বেংগল রেজিমেন্টের লোকদের চাকুরী রলো, ইপিআরদের চাকুরী রলো, পুলিশ, আনসারের চাকুরী রলো, তাজুদ্দিন সাহেবের চাকুরী রলো; শুধু বিনা-বেতনের ভলটিয়ারগুলোর চাকুরী রলো না; তাদেরকে খালি হাতে ফেরত আসতে হলো পোড়া ভিটায়; এই ছিলো বাংগালীর মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আনার সৈনিকদের পাওনা। :(

ভয়ঙ্কর একটি ভুলে ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জাতি।
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা আপনাকে।
ভালো থাকবেন স্যার।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার জন্যও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রলো

১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

গরল বলেছেন: কৃষকদের জন্য আজ পর্যন্ত কোন কৃষিবীমা চালু হল না, দূর্বিপাকে কারো গাড়ি বাড়ি বা কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বীমা সুবিধা পায় কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মূল্য পায় না এমনকি নূণ্যতম মুজুরিটাও উসুল করতে পারে না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কৃষকের বীমা নামগলাদেশের চোর-ডাকাতদের বীমা ও ব্যাংকগুলোচালু করবে না, কৃষক্বেরা নিজেদের একটা ব্যাংক করে, বীমা চালু করতে পারেন; সেটার জন্য কিছু শিক্ষিত মানুষকে ভলনটিয়ার হতে হবে।

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,



৫নং মন্তব্যের জবাবে আপনার লেখা এই অংশটুকুতে - সেই "কোটার" বিপক্ষে আন্দোলন করে, এই দেশের বিশ্বাসঘাতকদের সন্তানেরা নেতা হচ্ছে আজকে। আপত্তি জানিয়ে আপনার দৃষ্টি গোচরে কিছু কথা বলতে চাই ------

মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আপনার নাড়ীর টান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসনের জন্যে আপনার ঐকান্তিক চাওয়া, লক্ষ্যবার প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু আপনার কি একটুও মনে হয়নি যে, দেশে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা অনেক অনেক গুন বেশী? আর তারাই যে খুটি ও পেশীর জোরে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া সকল সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একঘরে করে রেখে হটিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রের দেয়া সকল সম্মান ও আর্থিক সহযোগিতা থেকে ? আপনার কি জানা নেই, মুক্তিযুদ্ধের ভূয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পদ দখল করে রাখা জালিয়াত মানুষদের
সংখ্যা যে অসংখ্য ? আপনি কি জানেন না, এর থেকে শিক্ষক- অধ্যাপকেরাও পেছিয়ে নেই ?
সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স এখন কম করে হলেও ৬৬/৬৮ বছর। তাদের সন্তানদের বয়সও সরকারী চাকুরী প্রাপ্তির বয়স ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। যখন তাদের একটি কর্ম সংস্থানের প্রয়োজন ছিলো সব চেয়ে বেশী তখন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের দাপটে (সমাজে প্রতিপত্তি ও পেশীর জোর আর রাজনৈতিক কানেকশানের কারনে) আসলেরা ছিটকে পড়েছে যোজন দূর। কারন আপনার কথা ও বিশ্বাস মতো এইসব মুক্তিযোদ্ধারা ছিলো খালি পায়ে, লুঙ্গি পড়ে, খেয়ে না খেয়ে, বিলে জঙ্গলে লুকিয়ে সশস্ত্র সংগ্রাম করা একদল গরীব শ্রেনী যারা গ্রামের কৃষকের ছেলে, শ্রমিক, দিনমজুর, গ্রামের কলেজের ছাত্র। যেখানে চাকুরীজীবিদের কোনও ছেলেই ছিলোনা, ছিলোনা কোনও চাকুরীজীবি, প্রশাসনের লোকজন, শিক্ষক। এইসব নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধাদের না আছে সমাজে প্রতিপত্তি, না আছে গায়ের জোর, না আছে রাজনৈতিক কানেকশান ও ধান্ধাবাজী। আপনার কি একবারও মনে হয়েছে, এদের ঠাঁই নেই কোথাও? এদের খাওয়া-পড়াই তখন জোটেনি আর তাদের সন্তানদের লেখাপড়া করানো ছিলো তো শতহাত দূর। অর্থনৈতিক কারনে এদের সন্তানদের দু'ক্লাস পড়ার পরেই নামতে হয়েছে যেনতেন একটা রোজগারের পথে। এরা সরকারী ক্যাডারে চাকুরী পাওয়ার যোগ্যতা রেখেছে কোন কালে ? রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে সে জায়গাটিই পূরন হয়েছে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা, ভূয়া সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান আর ফয়দা লোটা লোকজন দিয়ে । এ তো দাওয়াৎ দিয়ে নিয়ে এসে খাবারের থালা সামনে থেকে উঠিয়ে নেয়ার মতো। এ কথাগুলো কি আপনার একবারেই অজানা? মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে অমুক্তিযোদ্ধা ভূয়াদের দ্বারা মুক্তিযোদ্ধাদের সকল সুবিধা এমন করে লোপাট হয়ে যাওয়াতে আপনারই তো সব চেয়ে আগে এমন কোটা পদ্ধতির বিরূদ্ধে কথা বলা উচিৎ ছিলো। ছিলো কিনা ?

আপনাকে ভেবে দেখতে বলি - আপনার মতো মনে প্রানে এবং সক্রিয় একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে চলে আসা এই প্রহসন, তাদের প্রতি এমন অসম্মান, অপমানকর কিনা। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে বুঝতে পারলে রণাঙ্গনে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করা একজন মুক্তিযোদ্ধার রুখে দাঁড়ানো উচিৎ কিনা।

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রবঞ্চনার অনেক কথাই হয়তো আমি লিখতে বা বোঝাতে পারিনি, সে অক্ষমতা আমারই।
তবুও বলি - ভেবে দেখুন । আপনার মতো বিজয়ীর বেশে ফিরে আসা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার কাছে এমন করে ভেবে দেখার আবদার করতেই পারি। ভাবুন......................

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আপনার নাড়ীর টান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পূনর্বাসনের জন্যে আপনার ঐকান্তিক চাওয়া, লক্ষ্যবার প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু আপনার কি একটুও মনে হয়নি যে, দেশে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের চেয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা অনেক অনেক গুন বেশী? আর তারাই যে খুটি ও পেশীর জোরে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া সকল সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একঘরে করে রেখে হটিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রের দেয়া সকল সম্মান ও আর্থিক সহযোগিতা থেকে ? আপনার কি জানা নেই, মুক্তিযুদ্ধের ভূয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পদ দখল করে রাখা জালিয়াত মানুষদের
সংখ্যা যে অসংখ্য ? আপনি কি জানেন না, এর থেকে শিক্ষক- অধ্যাপকেরাও পেছিয়ে নেই ? "

-তা'হলে, আপনি ও দেশের সবাই জানেন যে, দেশে বিশাল পরিমাণে "ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে"; আমার মতে, প্রতি ৫ জনে, ৪ জনই ভুয়া। তা'হলে, ছাত্রদের আন্দোলন হওয়া উচিত ছিলো, "ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনাক্ত কর, তাদের কোটা কেটে দাও"।

২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:
স্বাধীনতা পেতে চাইলে হয়ত আজীবন পরাধীন থেকে যেতেই হয়

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা পাকী সৈন্যদের থেকে স্বাধীনতা আনতে গিয়ে, দুষ্ট বাংগালীদের দাসে পরিণত হয়েছি।

২২| ২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: স্বাধীনতায় আক্ষেপ রয়েই গেছে........

যুগযুগ ধরে সমাজের শোষিত মানুষরা যুদ্ধ করেছে অন্যদিকে তার ফল ভোগ করেছে মুষ্টিমেয় সুবিধাবাদী......

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেকোনো যুদ্ধে সাধারণ সৈনিকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। কেউ স্বীকার করুক না করুক !

২১ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



তাজুদ্দিন সাহেবের বেকুবীর জন্য স্বাধীনতা দুষ্টদের হাতে চলে গেছে।

২৩| ২২ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ১ এর প্রতিউত্তরে লেখকবলেছেন:
যার কাছে যাহা নেই, সেজন উহা দেখাতে পারার কথা নয়।তাজুদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা রেখেছেন, ভলনটিয়ার দরিদ্র সৈন্যদের চাকুরীটা রাখেননি; উনার মত কমবুদ্ধিমান বাংগালী বাংলার মাটিতে কোনদিন জন্ম নেননি।


তা আপনার মত হাতির মজগধারী লোকজন থাকতে দেশের এই হাল কেন হল ভ্যা??


২৩ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনীতিতে দলের দরকার, দলের কারণে গাধাও নেতা হয়ে গেছে বাংলায়; একবার স্হান দখল হয়ে গেলে, একই মনোভাবের লোকদের জন্য সাংকুলান হয় না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.