নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের ১৭তম লোকসভার ভোট চলছে, বাংলাদেশীরা কাকে চায়?

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪



ভারতের ১৭তম লোকসভার (কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট) ভোট শুরু হয়েছে ১৭ই এপ্রিল, শেষ হবে ১৯শে মে; ২৩শে মে ভোট গণনা হবে, এবং সেদিনই ভোটের ফলাফল দেয়া হবে; ভোটারের সংখ্যা ৯০ কোটী, এবং ৫৪৩ সীটে ভোট হচ্ছে; সরকার গঠনের জন্য ২৭২ সীটের দরকার।

এবারের ভোটে মুল দল হচ্ছে: বিজেপি ও ভারতীয় কংগ্রেস; বিজেপি নেতা হচ্ছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেসের নেতা হচ্ছেন, ইন্দিরা গান্ধীর নাতি, রাহুল গান্ধী। গত ভোটে নরেন্দ্র মোদীর দল ২৮২ সীট পেয়েছিলো; আর কংগ্রেস পেয়েছিলো ৪৪ সীট; কংগ্রেসকে জয়ী হতে হলে, নতুন করে ২২৮ সীট যোগ করতে হবে!

ভারতের ভোট হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোট; মাসাধিক চলমান ভোটের সময় কমপক্ষে ৬০ কোটী ভোট গৃহিত হবে; প্রায় ১২ লক্ষ ভোট কেন্দ্রে সরকারী ও দল থেকে মিলে ২ কোটী মানুষ ভোটের গ্রহনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন; সব দল হিসেবে করলে ৪৫০ টি দল ভোটে অংশ নেবে।

ভারতের আয়তন: ৩, ২৮৭,২৬৩ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা: ১৩০ কোটী, শতকরা ৭৫ জন শিক্ষিত, বেকারের সংখ্যা: শতকরা ১০ ভাগ; জিডিপি: ২.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, মাথাপিছু আয় সাড়ে ৪ হাজার ডলার।

ভোটে বাংলাদেশীরা কোন দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায়? এবারের ভারতীয় নির্বাচন বিশ্ব-মিডিয়ায় তেমন স্হান পাচ্ছে না, বিশেষ করে আমেরিকান মিডিয়ায় ভারতে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন আলোচনা নেই বললেই চলে; বাংলাদেশের মিডিয়াতে মুলত: আসছে বলিউডের কোন কোন নায়িকা ভোটে দাঁড়ায়েছেন, তাদের ছবি ও তারা কে কিভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে, সেটার খবর।

বিজেপি ধর্ম-নিরপেক্ষ ভারতে ধর্মকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে, এবং বিবিধভাবে ধর্মকে কাজে লাগাচ্ছে; সেদিক থেকে বাংলাদেশীরা বিজেপি'কে সমর্থন দেয়ার কথা নয়; আবার, বাংলাদেশের বিরাট অংশ, বাংলাদেশের বেলায় 'ধর্ম নিরপেক্ষতার' বিরোধী; বাংলাদেশীরা ভারতের বেলায় 'ধর্ম নিরপেক্ষতা' পছন্দ করেন; খুবই ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার।

ইতিহাস অনুসারে, বাংগালীরা কংগ্রেসকে সাপোর্ট সকরার কথা; বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে কংগ্রেসের সরকার ছিলো, ও ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় ছিলেন; তিনি বাংগালীদের ভালোবেসেছিলেন, ও বাংগালীদের জন্য একটি স্বাধীন, সমৃ্দ্ধ দেশ চেয়েছিলেন। ভারতের রাজনীতিবিদ হিসেবে ইন্দিরা অবশ্যই মিলিটারী শাসনের বিপক্ষে ছিলেন; শেখ হত্যা ও বাংলাদেশ মিলিটারী কর্তৃক দেশের ক্ষমতা দখলের পর, তিনি বাংলাদেশ নিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন; কিন্তু মিলিটারীর বিপক্ষে আজকের শেখ হাসিনাকে গড়ে তোলেন।

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাহিনুর বলেছেন: আমরা তো যেই আসুক কিন্তু যেনো এই হারামি মোদী না আসে,এ এলে ভারতের অবস্থা আরো খারাপ হবে , সংবিধার বিপদের মুখে পড়বে,। খুব খারাপ অবস্থা এখন ভারতে ।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোদী ভারতকে অনেক স্তর সামনে নেয়ার কথা ছিলো; সেই ধরণের ভয়ংকর উন্নতি ঘটেনি, গো-মুত্রের বাজার বড় হয়েছে; নতুন করে ১৮৮ সীট যোগাড় করা কংগ্রেসের পক্ষে কঠিন হবে।

২| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: যেই আসুক তাদের বিদেশনীতি খুব একটা পরিবর্তিত হবে না। ইন্দিরা জিয়াকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়েছিলেন ।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইন্দিরা লাল গালিচা সংবর্ধনা পাকীদেরও দিয়েছিলেন, উনি রাজনীতি করতেন।

৩| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: তাদের জন্য তাদের দেশের স্বার্থ আসল কথা। যেই আসুক নিজেদের পলিসি ঠিক রাখবে

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটাই নেচারেল; তবে, ভারত তার প্রতিবেশীদের প্রতি অনুদার, কপট রাজনীতি ও অসম ব্যবসায় নিয়োজিত।

৪| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

প্রািন্ত বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি ভারতের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় যে কোন দলই আসুক বাংলাদেশের জন্য বাড়তি কোন সুবিধা পাওয়ার সম্ভবনা নেই।
তবে মনেপ্রাণে চাই এই নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর যেন ভরাডুবি হয়। এই মহিলার কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি করতে পারেনি।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মমতা ব্যক্তিগতভাবে অসুস্হ জীবন যাপন করে: বিয়ে না হলে, মানুষের স্বাভাবিক ভাবনাশক্তি লোপ পায়; পশ্চিম বংগের বাংগালীরা দিল্লীতে কেরাণীর চাকুরী করে, আর মাড়ওয়ারীরা কলিকাতায় ব্যবসা করে; মমতা হাউকাউ

৫| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

জুন বলেছেন: জাত -বর্ন, ভিন্ন ধর্ম বিদ্বেষী কোন দল না আসুক ক্ষমতায়।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারত ধর্ম-নিরপেক্ষ ছিলো; কিন্তু মানুষ ধর্মের দিকে ঝুঁকছে, বিজেপি সেই সুযোগ নিয়েছে।

৬| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

সাহিনুর বলেছেন: তবে বিজেবি ও এবার আর একা সরকার গড়তে পারবে না ।

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওরা একা ২৮২ সীট পেয়ে গেলেও, একা সরকার গঠন করে না; ৪৫০ দল স্হান খুঁজে নেয়; বিজেপি'র পক্ষে যারা যারা যায়, ওরা ধর্মীয় দিক থেকে বিজেপি থেকেও আরো বেশী হাউকাউ

৭| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সব পরাশক্তি প্রতিবেশীকে দমিয়ে রাখে

১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা কোনদিনও কানাডাকে দমানোর চেষ্টা করেনি; ফান্স ও ইংল্যান্ড খুবই ঘনিষ্ট; সমস্যা হচ্ছে চীন, রাশিয়া ও ভারত

৮| ১১ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আখেনাটেন বলেছেন: বাংলাদেশের বিরাট অংশ, বাংলাদেশের বেলায় 'ধর্ম নিরপেক্ষতার' বিরোধী; বাংলাদেশীরা ভারতের বেলায় 'ধর্ম নিরপেক্ষতা' পছন্দ করেন; খুবই ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার। --- ভালো জিনিস ক্যাচ করেছেন। বড়ই ইন্টারেস্টিং। :D

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কীভাবে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে পর্যদস্তু করে তা মিঃ মোদী গত পাঁচ বছরে দেখিয়েছেন ভালোভাবেই। ডিভাইড অ্যান্ড রুল। এভাবেই উত্তর ভারতের পর উত্তর-পূর্ব ভারতেও শক্ত ঘাঁটি গেড়েছে। অথচ বছর সাতেক আগেও এদিকে বিজেপি'র হাঁকডাক ছিল না। তবে এবারে ২০১৪'র মতো করে ঝাঁকের কইয়ের মতো ভোট পাবেন না নানামুখী কারণে।

তবে কংগ্রেস আসলেও সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়া দলিত শ্রেণির মানুষদের যে পোয়াবারো হবে সেটাও অকল্পনীয়। কারণ ঘুরেফিরে সেই একই মানুষ। তবে বহুত্ববাদী সমাজে ধর্মের বিষ নিয়ে রাজনীতি না থাকাই ভাল। তা না হলে কেউ গরু খাওয়ার জন্য মরবে; কেউ আবার গরু না খেতে পেয়ে মারবে। ভবিতব্য।

সেই হিসেবে রাহুল গান্ধী বেটার চয়েস। ২০১৪'র ছোটা গান্ধী, এবার অনেক পরিবর্তিত ও পরিপক্ক। যদিও দিল্লিতে কেজরিওয়াল ও উত্তরপ্রদেশে মহাজোটের(মায়াবতী ও অখিলেশের জোট) সাথে না থেকে বিজেপির হাতে অনেকগুলো আসন তুলে দিয়েছেন।

আর কংগ্রেসের ৪৪ আসন (এখন মনে হয় ৫৫) থেকে এক লাফে ২৭২ অসম্ভব। বড় জোর এবার কংগ্রেস ১২০-১৪০ আসন পেতে পারে বিশ্লেষকদের মতে। তবে ইউপিএ অন্য দলগুলোকে নিয়ে জোট সরকার করার সম্ভাবনাই বেশি।

আর বিজেপি'র আসন কমে আসবে অবধারিতভাবেই। এনডিএ শেষ দাবার চাল কীভাবে খেলে সেটা দেখার বিষয়।

পাশাপাশি গোপ্নে গোপ্নে আমাদের মমতাদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ৪২ আসনের সিঁড়ি ডিঙিয়ে। দেখি পদাতিক দা'দের ভাগ্যে কী লেখা আছে? B-)

তবে যেই আসুক ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করবে না এই কামনা করতে পারি আমরা প্রতিবেশীরা। কারণ ওখানের কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের টুপি-টিকিদেও ফাল পাড়তে অনুঘটকের কাজ করে।

*ভারতের নমিনাল জিডিপি ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এবং নমিনাল মাথাপিছু আয় ২০৩৬ ডলার। (২০১৯)

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিডিপি ঠিক আছে; মাথাৈছু আয়টা আপনার ও আমার মাঝে বড় পার্থক্য হয়ে গেছে; আমাকে দেখতে হবে।

ভারতের শিক্ষিতদের টনক নড়েছে কিছুটা, ওরা মোদীর ধর্মবাজীতে ভয়ানক বিরক্ত; কিন্তু ভারতীয়রা তাদের 'আমুদে ধর্মকে' ভালোবাসে ও ক্রমেই ধর্ম আরো জনপ্রিয় হচ্ছে।

কংগ্রেস কোয়ালিশন গঠনে মোদী থেকে সহজ হবে; মুল সীট কিন্তু দরকারী বিষয়।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশীরা নিজেদের বেলায় "ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র" চাহে না, ভারতের বেলায় চায়; বাংলাদেশীরা লিলিপুটিয়ান রাজনীতি করেন।

৯| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আপনি কাকে দেখতে চান ?

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কংগ্রেসকে

১০| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু,

একটু সংশোধনী দরকার, ভারতের প্রধান রাজনৈতিক বিরোধী দল 'ভারতের জাতীয় কংগ্রেস'। 'আমজনতার' সংজ্ঞা প্রসঙ্গে একদিন বিখ্যাত সমালোচক চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের একটি প্রতিবেদনে দেখছিলাম- আমরা সময়ে অফিসে যাব না, কাজ করবো না ঘুষ নেব। কিন্তু অন্যের ব্যাপারে কাজ না করলে তুলো ধোনা করব।আমি নিজে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবো না, কিন্তু আমার ছেলে মেয়ের কোথাও পড়াশোনায় ক্ষতি হলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুন্ডুপাত করব। আমার এখানে গোমূত্র গো রক্ষক এর ভূমিকা নিয়ে একে তাকে চিহ্নিত করে কোতল করব, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় নিগ্রহ হলে দূতাবাসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবো। সুতরাং আমরা ভারতীয় আমজনতা নেপালে কমিউনিস্ট পার্টি দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করলে তাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ করব।
শ্রীলঙ্কায় তামিলদের কেন হত্যা করা হচ্ছে তার জন্য আমরা এখান থেকে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলবো। প্যালেস্টাইনে ইসরাইল ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে আমরা উৎফুল্ল হবো। আমরা সরাসরি চিন বিরোধী হলেও রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকবো।আমরা ভারতীয় আমজনতা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর দিল্লির ভোটের আগে পাকিস্তানের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর মত আক্রমণে আনন্দ প্রকাশ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবো।

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের দীর্ঘ শাসনকালে দেশ অনেক পিছিয়ে গেছে।পৌরাণিক সূত্র ধরে গোমূত্র ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধির প্রতিষেধক রূপে প্রমাণ করে বিশ্ব দরবারে পেটেন্ট নেব। গোমূত্র ও গো মাতাকে শুধু গাঙ্গেয় উপত্যাকায় নয় গোটা দেশে প্রতিষ্ঠিত করে আগামী দিনে বহির্বিশ্বে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করব। হিন্দুদের রাষ্ট্র হিসাবে ভারতবর্ষকে প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে হিন্দুত্ব প্রতিষ্ঠা করাই ভারতীয় জনতা পার্টির একমাত্র লক্ষ্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পার্টি অফিস ও শিক্ষা অনুষ্ঠানে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন হওয়াতে বিদ্যার্থী পরিষদ এর শাখা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে সে স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় এক ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়তে, গৈরিক ভারত গড়তে,গোমূত্র সেবন, গো মাতার পূজা সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল ভারতীয়ের কাছ থেকে নিশ্চিত করতে, বিদেশি বিজ্ঞান শিক্ষার পরিবর্তে জ্যোতিষ বিদ্যাকে সার্বজনীন করতে,আকাশে বাতাসে জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলতে সদ্য চলমান লোকসভা নির্বাচনে মোদিজীর হাতকে শক্ত করার কোন বিকল্প নেই।

আজি দেখলাম টাইমস মাগাজিনে মোদীজি কে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, 'India's divider in chief.'
আসুন আমরা যেখানেই থাকি এমন ডিভাইডারের হাতকে আরও শক্ত আরো মজবুত করে তুলি।

ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোদীকে নিয়ে ভারতের অনেকের বড় আশা ছিলো, সেটা ঘটেনি; কারণ, সে ধর্মকে কাজে লাগাতে গিয়ে, ভারতের মানুষেকে ১ পা পেছনে নিয়ে গেছে।

কংগ্রেসের সময় ভারত অর্থনৈতিক দিক থেকে ভালো করেনি; আশাকরি, তারা সেটা বুঝতে পেরেছেন

১১| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন:
আমি সব সময় ধর্মনিরপেক্ষর দলে।

মোদির মুত্র ব্যবসা বন্ধহোক এটাই চাই।

তার উপর বড় কথা মোদি এলে আসামের ৭০ লক্ষ মুসলিম দেশ থেকে বিতাড়িত হবে, আর তারা বাংলাদেশে আশ্র‍্য চাইবে। রহিঙ্গাদের ঠ্যালাই কুলানো যায় না...

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমামের মানুষ ভারতীয়; ওদেরকে যদি সরাতে চায়, ভারতের অন্য রাজ্য নিতে হবে। মোদীর দল এবার এককভাবে জয়ী হবে না; তারপরও উহার আসার সম্ভাবনা আছে। কংগ্রেস যদি কোয়ালিশনের বেলায় উদার হয়, কংগ্রেস আসার সম্ভাবনা বাড়বে।

১২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মমতা মোদীর কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোদীর দল ভোট কম পাবে, তবে ধর্মীয় কোয়ালিশন বেশ শক্ত

১৩| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ব্রিটিশরা 1947 সালে বাংলাদেশ অংশটি কে ভারতের সাথে যুক্ত করে স্বাধীনতা না দিলেই পারত। আমার নিজের মত এই অংশ টিকে তারা 2000 সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের আন্ডারে রাখতে পারত। 2000 সালে বাংলাদেশে অথবা বাংলা যে নামেই হোক স্বাধীন দেশ হিসেবে চলার অনুমতি দিতে পারতাম। তবে আমরা একটুখানি ভালো বাংলাদেশ পেতে পারতাম। এটা আমার মনের কথা। এই পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে গেলাম।
ধর্মের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন করলে সেটা আসলে ভালো দেশ হয় না।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯২০ সালের পর থেকে বৃটিশ নিজেদের কলোনী কমানোর নীতি গ্রহন করেছিলো; ২য় বিশ্বযুদ্ধ সেটাকে ত্বরান্বিত করে দিয়েছিলো; ফলে, এটুকুই সম্ভব হয়েছিল।

১৪| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশিরা নয়, আপনার প্রশ্নটি হয় উচিত "বাংলাদেশী রাজনৈতিক দলগুলো কাকে চায় ?" | ভারতীয় কোন দল ক্ষমতায় এলো তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উপর কোনো প্রভাবই পড়ে না | আর ভারতীয় যে দলই ক্ষমতায় আসুক তারা ভারতীয় জনগণের স্বার্থের বাইরে আরেক প্রতিবেশী দরিদ্র দেশের লোকজনকে নিয়ে মোটেই ভাবে না | বরং বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকরা নিজের দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হয় "জনগণমনো অধিনায়ক..." বলে ভারত অথবা "পাক সার জামিন সায়দাবাদ .." বলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলির পা চাঁটার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে |

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর, শেখ সাহেব রাজনীতিতে পরনির্ভরশীলতা আনেননি; উনাকে হত্যা করার জন্য আমাদের মিলিটারী পাকীদের সাথে হাত মিলায়; মিলিটারী থেকে শক্তি কেড়ে নিতে গিয়ে শেখ হাসিনা ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়; শেখ হাসিনা ভারতমুখী হওয়ার পর, বেগম জিয়া পাকী ও ভারত নির্ভরশীল হয়েছিলেন।

১৫| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় আসলে ভারতের জন্যে ও ভাল এবং আমরা বাঙালিরা ও একটু সস্তিতে থাকতে পারবো। কংগ্রেসই একমাত্র ভারতের রাজনৈতিক দল যেটি ভারতকে মোটামুটি শান্তিতে রাখতে পারবে।বিজেটি উগ্র ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুসলিম নিধনে নামে।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারতের মুসলমানেরা পড়ালেখায় পেছনে পড়ে গেছে; কাশ্মীরে শিক্ষা বলতে কিছুই নেই; কংগ্রেস এলে, সবার জন্য কিছুটা ভালো।

১৬| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১৬

কানিজ রিনা বলেছেন: মোদী হোল হিন্দু মৌলবাদী গোষ্ঠি বিজেপি।
মোদী গাভীকে মা বলে ষাড়কে বাপ বলেনা।

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোদীর সমস্যা হচ্ছে, গাভী বিয়ে করে না; গাভী বিয়ে করলে, মোদী হয়তো বাবা পেতো!

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



তবে, ৯০ কোটী ভোটার যে ভোট দিতে পারছেন, এটা বিশাল বড় ব্যাপার; সেটা হিসেবের মাঝে রাখিয়েন।

১৭| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের মৌলবাদী তেঁথুই হুজুররা এখন
সরকারী আওতায়। বিম্পির আওতায়
ছিল জামাত। এটাই রাজনীতির মাইড়।
তেঁতুই মৌলও জামাত মৌলরা একই মূদ্রার
এপিট ওপিট।
তবে একটা সত্য কি জানেন? বাংলাদেশের
সবচেয়ে অসহায় গরীব এতিম শিশু কিশোররা
এই জামাত তেঁতুইদের কাছে খেয়ে পড়ে বাঁচে। সরকার সেইসব মাদ্রাছার
দায়ীত্ব গ্রহন করায় আমি অনেক ধন্যবাদ
দিয়েছি। আমাদের নাস্তিকরা সরকারের প্রতি
একারনে ভিষন নারাজ। কারন নাস্তিকদের
জ্ঞানের পরিধি কম। তার ভিতরে আপনি
একজন।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমিও নাস্তিক হয়ে গেছি? নাস্তিক হওয়াটা তো বেশ সোজা দেখছি; আপনি বললেন, আমি হয়ে গেলাম; অনেকটা বাংলাদেশের ৩ তালাকের মতো।

আমি তো আজীবন লিখছি যে, টোকাই ও গরীবের ছেলেমেয়েদের পরালেখা, দা্যিত্ব হলো সরকারের। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের এতিমদের ভার না নেয়ার জন্য শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবকে লিলিপুটিয়ান ডেকেছিলাম; আপনার সব ঠিক আছে তো?

১৮| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: ভারতের শিক্ষিতদের টনক নড়েছে কিছুটা, ওরা মোদীর ধর্মবাজীতে ভয়ানক বিরক্ত; -- হুম; অনেকের মোহভঙ্গ ঘটেছে। 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ' এর বদলে অন্যকিছু দেখে অনেকেই পিঠটান দিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু বিজেপি'র এবারে জয়জয়কার। গতটার্মে এখানে বিজেপি মাত্র ১৬% ভোট আর দুইটি আসন পেয়েছিল। এবার আমার মনে হয় সেটা বেড়ে ৩০% ভোট আর ৭টি আসনে গিয়ে ঠেকবে।

কংগ্রেস কোয়ালিশন গঠনে মোদী থেকে সহজ হবে; মুল সীট কিন্তু দরকারী বিষয়। -- কংগ্রেসের জন্য বামদিকে হেলে থাকা দলগুলোকে টানা সহজ হবে; যেটা মোদীর জন্য সহজ নয়। এক্ষেত্রে রাহুলের প্রধানমন্ত্রীত্ব অনেকেই নাও মানতে পারে।

এরপরও এনডিএ (বিজেপি'র জোট) কাংখিত আসন না পেলে ছোট আঞ্চলিক দলগুলোকে প্রলোভন দেখিয়ে আবার বিজেপি'র ক্ষমতায় আসা অসম্ভব নয়।

কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন উঠবে সেক্ষেত্রে মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়ে। বিজেপে ম্যাজিক ফিগার ২৭২ থেকে বেশ কম আসন পেলে জোট সঙ্গীরা মোদীকে প্রধানমন্ত্রী নাও মানতে পারে। আমার মনে হয় এরকম একটি সমস্যা মোদীর জন্য হতে পারে। অনেক বিশ্লেষকও সেটা ধারণা করছেন।

২৩'শে মের পরেই জানা যাবে কি ঘটছে যাচ্ছে ৯০ কোটি ভোটারের এই গণতন্ত্রে।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠিক বলেছেন, মোদীর দল এককভাবে ২৭২ এর কম পেলে, মোদীকে কোয়ালিশনের লোকেরা প্রধানমন্ত্রীর পদে সহজে দিতে চাইবে না। এককভাবে ২৭২ ভোট পাওয়া এবার চিন্তারও বাহিরে।

রাহুল আগে যদি ঘোষণা করতো যে, সে প্রধানমন্ত্রীর পদে যাবে না, কংগ্রেসের সীট অনেক বেড়ে যেতো, কোয়ালিশনে বিজেপি ব্যতিত সবাই আসতো। গান্ধী পরিবারের লোকজন, বিশেষ করে রাহুল নিয়ে মানুষের উৎসাহ কম।

১৯| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ২:৪৮

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: বিজেপি,বাংলাদেশিদের মারে পিটিয়ে,আর কংগ্রেস মারে মিষ্টির সাথে বিষ মিশিয়ে।

১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওরা বড় জাতি, আমাদের থেকে ভালো অবস্হানে আছে; আবার প্রাকৃতিক দিক থেকে উজানে আছে; ফলে, ওদের সাথে সুসম্পর্ক রাখাই আমাদের জন্য ভালো।

২০| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: ভারতের রাজনীতিবিদ হিসেবে ইন্দিরা অবশ্যই মিলিটারী শাসনের বিপক্ষে ছিলেন; শেখ হত্যা ও বাংলাদেশ মিলিটারী কর্তৃক দেশের ক্ষমতা দখলের পর, তিনি বাংলাদেশ নিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন; কিন্তু মিলিটারীর বিপক্ষে আজকের শেখ হাসিনাকে গড়ে তোলেন।

খুব মজা পেলাম। খালি পেটে ভালই তেল মারলেন।
-লাভ নাই আপনার পেটে কিছু পরবে না !

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেকুবেরা কখন মজা পায়, কখন পায় না, সেটার সঠিক কোন প্যাটার্ণ নেই

২১| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিজিবি কংগ্রেস সাপোর্ট করে বাংলাদেশের মানুষের কি লাভ হতে পারে...?


আমি যে জিতবে তাঁর জন্য শুভ কামনা করবো

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের লাভক্ষতি হিসেবে করার দরকার আছে; কংগ্রেস জিতলে পানি ও অসম বাণিজ্য ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা সহজ হবে।

২২| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশীরা ব্লগার চাঁদ্গাজীর মত এক ঝগড়াটেকে ভারতের ক্ষমতায় দেখতে চায় যে শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ঝগড়া করবে, বন্ধুত্ব নয়।

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন নয়, এগুলো পড়ে নিজের মগজের উপর অকারণ চাপ সৃষ্টি করছেন

২৩| ১২ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

জুন বলেছেন: এন মোদির প্রতি স্পিড ব্রেকার দিদি মমতা ব্যানার্জির এই উক্তিটি আমার কাছে সেরা ;)
এখান থেকে আমাদের রাজনীতিবিদরা কিছু শিখতে পারে শুধুই হল্লাচিল্লা না করে #:-S

আপনি তো তুঘলকের ঠাকুরদা এবং হিটলারের জ্যাঠামশাই।
=p~

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের মাঝে যারা কিছু শিখতে পারেননি, তারাই রাজনীতিতে ঢুকে গেছেন।

২৪| ১২ ই মে, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

প্রামানিক বলেছেন: জুন আপার সাথে আমিও সহমত।

১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারত আমাদের পাশে, আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোট এখানেই হয়।

২৫| ১৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

পথিক প্রত্যয় বলেছেন: ভারতে এবার ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হবে।

১৮ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এবার কঠিন কোয়ালিশন হবে, অবশ্যই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.