![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
সম্প্রতি ব্লগে অনেকগুলো পোষ্ট এসেছে, যেখানে কান্নাকাটি হচ্ছে, বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো কেন বিশ্ব র্যাংকিং'এ নেই; পোষ্টগুলোতে এই নিয়ে শুরু হয় ব্যাখ্যা, অপব্যাখ্যা, মন্তব্য, অপমন্তব্য, হাহাকার, আশা, নিরাশা, হতাশা, দুরাশা, প্রত্যাশা। এখন থেকে ৩/৪ বছর আগেও এই ধরণের অনেক পোষ্ট দেখেছি; তখন সেগুলো পড়ে মনে হতো, ঢাকা, জাহাংগীর নগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যানচেলরেরা ও আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেব এসব পোষ্ট পড়ার পর, এমন ব্যবস্হা নেবেন যে, ২/১ বছরের ভেতরেই আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো হার্বাড, কেম্রিজ, অক্সফোর্ডকে পেছেন ফেলে সামনের সারিতে চলে যাবে। গত কয়দিনের পোষ্ট পড়ে মনে হচ্ছে, সেটা আজো ঘটেনি; তবে, আবদুল হামিদ সাহেব চ্যানচেলর থাকাকালীন সময়ে ঘটতে পারে!
পড়ালেখা সংক্রান্ত এসব পোষ্টগুলো আমি পড়ি ও মন্তব্য করি; মন্তব্য করতে করতে এক সময় ঝগড়া লেগে যাই; ফলাফল, আমি কিছু সময়ের জন্য ব্যানেও পড়ি; ব্যান থেকে বের হলেও, ঝগড়া থামে না। অনেক ঝগড়াঝাটি করেও আমি পোষ্টদাতাদের থেকে সামান্য মৌলিক ২/১টি বিষয়ে আজো জানতে পারিনি!
যাঁরা র্যাংকিং নিয়ে এত কান্নাকাটি করে পোষ্ট দেন, আমি তাঁদেরকে ১ম প্রশ্ন করি, "আপনি কোন ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন?" ইহার উত্তর মিলে না বললেই চলে! পোষ্টের লেখক কেন এই প্রশ্নের উত্তর দেন না, সেটা তিনি জানেন; কিন্তু আমার উদ্দেশ্য হলো, লেখক কোন র্যাংকিং'এ থাকা ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছেন কিনা! লেখক নিজেই যদি র্যাংকিং'এ থাকা কোন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা করেন, পোষ্ট একটু অন্য রকম হতো, এত আশা, নিরাশা, দুরাশা, হতাশা ও প্রত্যাশার অবতারণা ঘটতো না।
র্যাংকিং ব্যাপারটা আসলেই খুবই লজিক্যাল, সেই লজিক বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়; র্যাংকিং'এ ১ম সারির ইউনিভার্সিটিগুলোর ঐতিহাসিক সুনাম আছে: এদের ছাত্ররা বহুদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিষ্টার, অর্থমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ, ফাও'এর প্রধান হয়ে থাকেন, বড় বড় কর্পোরেশন, ষ্টক-মার্কেট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালান; এসব স্কুলগুলো কঠিন কঠিন সাবজেক্টে পিএইচডি দেয়, এসব সাবজেক্টের থিসিসগুলো বড় বড় আবিস্কারের, অর্থনোতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে পরিণত হয়; এসব স্কুলগুলো বিশ্বের বড় বড় ফান্ড থেকে রিসার্চ ফান্ড পেয়ে থাকে, এখানে অনেক যাচাই বাচাই করে ছাত্র নেয়া হয়।
আমাদের বিশ্ববিদয়ালয়গুলোতে পিএইচডি দেয়া হয় বাংলায়, ইসলামিক ইতিহাসে, মওলানা ভাসানীর জীবনীর উপর; এগুলোর জন্য যেই ধরণের রিসার্চ হয়, সেটার জন্য ফান্ডের দরকার হয় না; ফোর্ড ফাউন্ডেশন, ইনটেল বা মাইক্রোসফট, কিংবা কুইন এলিজাবেথ এগুলোর জন্য ফান্ড দেবে না; ফলে, র্যাংকিং'এ যাবার জন্য এসব থিসিস ইউনিভার্সিটিকে সাহায্য করার কথা নয়।
আরেকটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় আছে, সেটা হলো, শিক্ষকদের ও ছাত্রদের রিসার্চ পেপারগুলোর মান ও প্রকাশনার পরিমাণ; আমাদের দেশের ছাত্ররা পিএইচডি লেভেলে যেসব পেপার লেখেন, সেগুলো কোথায় প্রকাশ করেন, আমার জানা নেই; যারা র্যাংকিং নিয়ে কান্নাকাটি করে ব্লগে পোষ্ট দেন, তারা কি জানেন? আমার মনে হয়, উনাদের অবস্হা আমার মতো গড়ে হরিবোল।
আমি আরেকটা লাইন যোগ করতে চাই, সেটা হলো, ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং নির্ভর করে স্বয়ং জাতির নিজের র্যাংক'এর উপর! সবাইকে পড়ার সুযোগ দিতে হবে, আমাদের সেই পরিমাণ সম্পদ আছে; গরীবদের পড়ালেখার ভার সরকারকে নিতে হবে; র্যাংকিং'এ থাকা বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার হলো, সবার শিক্ষার অধিকার যেন পুর্ণ হয়।
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের কয়টা ইউনিভার্সিটি কয় সাবজেক্টে পিএইছডি দেয়? আমাদের পিএইচডিরা বিদেশী ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিলেন।
২| ১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কী খবর? (গাজী নামের পাজি!)
শেষ লাইনটা মনে ধরছে।
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতি যদি পড়ালেখা না করে, সরকার যদি পড়ালেখার দায়িত্ব না নেয়, শতকরা ৪৫ জন যদি নাম লিখতে না জানে, জাতি যদি এত পেছেন থাকে, আমাদের ইউনিভার্সিটি কি করে র্যাংক পাবে? কেন এত অকারণ কান্না?
৩| ১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আমি আপনার লেখায় সহমত প্রকাশ করছি।
আমি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র বিধায় মন্তব্য করা উচিৎ হবে কিনা জানি না তাও বলতে ইচ্ছা করছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষনার উপর গুরুত্ব খুব কমই দেয়া হয়। চতুর্থ বর্ষে যখন সবার থিসিস পেপার লিখতে হয়, সবাই শুধু কপি আর পেস্ট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোর দেয়ালে থিসিস পেপার হোম ডেলিভারির বিজ্ঞাপন ঝুলতে দেখা যায়। স্যার দেরও এসব ব্যাপারে মাথা ব্যথা নেই। আর আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচারদের পদোন্নতির সাথে অবনতিরও নিয়ম রাখা উচিৎ ছিল। মানে গবেষনা করলে পদোন্নতি আর না করলে অবনতি। কারন তাদের পিএইচডি/পোস্টডক শেষ করার পর পরবর্তী জীবনে গবেষনা খুব কমই করে।
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রথমত: আন্ডার গ্রাজুয়েট ও মাষ্টার্স লেভেলের থিসিস ইত্যাদি খুবই ইউনিক হওয়া উচিত, যাতে ছাত্র পড়তে ওনতুন কিছু ভাবতে শিখে। র্যাংকিং'এর জন্য পিএইচডি লেভেলের উপর নজর রাখা হয়।
৪| ১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নজসু বলেছেন:
...................................................
................. একমত। ......................
................. সহমত। .......................
...................................................
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের দরকার জার্মান, কানাডা, সুইডেনের মতো ফ্রি শিক্ষা; আমাদের সেই সমপদ আছে।
আমাদের দরকার শতকরা ১০০ ভাগকে শিক্ষিত করা; র্যাংক, প্যাংক, পিএইচডি, মিএইচডি পরে
৫| ১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের দরকার শতভাগ মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা, সেটা সম্ভব, ফ্রি শিক্ষার মাধ্যমে।
৬| ১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সাহিনুর বলেছেন: হ্যা একদম ঠিক
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
নিজেরা সঠিক মতো পড়তে হবে, কঠিন বিষয়ে পিএইচডি দিতে হবে, প্রকাশনা থাকতে হবে, মৌলিক ভাবনার উপর থিসিস থাকতে হবে; তখন শুধু জাতে উঠা যাবে।
৭| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০১
সাহিনুর বলেছেন: আমি পিএইচডি টেস্ট পরীক্ষা আছে ৩১ মে তে,আপনি দোয়া করবেন আমার জন্য ।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেন, যাঁরা আপনার টেষ্ট নেবেন, তাঁদের সাথে আগের থেকে কোন না কোনভাবে যোগাযোগ করবেন।
৮| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:০৭
জুন বলেছেন: আপনার সাথে সম্পুর্ন সহমত। আমি একজনের কথা শুনেছি যিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের শিক্ষক। সে বিদেশি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স করতে গিয়ে একবারের বার সফল হয়নি। কারন এমনিতেই তার মেধা কম ছিল তার উপর এই দেড় বছরের কোর্সে সে তার বোউ বাচ্চাসহ পুরো ফ্যামিলি নিয়ে গিয়েছিল। যাদের জন্য বাজার হাট করা থেকে ঘুরানো ফেরানো সবই করতে হতো তাকে। তো সে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং এর উন্নয়নে কি সহায়তা করবে?
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের যেই অবস্হা, ছাত্র ও শিক্ষকদের একই অবস্হা; ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাংগীর নগরের মিলে বিদেশে পিএইচডি করতে আসা ৬০০ শিক্ষক দেশে ফেরত যাননি; দেশের অবস্হা খারাপ, আমরা "ডাকসু"র নির্বাচন নিয়ে সংবাদ শুনি, কোন ভালো শিক্ষকের নাম শুনি না।
৯| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার এই লেখাটি অসাধারণ। এই লেখাটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস-চ্যান্সেলর সাহেবদের একবার পড়া। তারা হয়তো জানেই না বিশ্ববিদ্যালয় কি জিনিস। তারা আবার বুঝবে রেংকিং এর মর্যাদা!
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাইস-চ্যান্সেলর সাহেবেরা সবাই বিদেশে পড়েছেন, সবই দেখেছেন; দেশে ফিরলে, এরা সবাই আবার ইঁদুরে পরিণত হয়; কারণ, এরা "জাতিকে শিক্ষিত করার কথা ১ বারও বলেনি", এরা শুধু নিজেদের ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নিয়ে ভাবেন
১০| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ranking বাদ দিয়ে নিজেদের নৈতিকতার ranking নিয়ে চিন্তা করা উচিত ।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের দেশের বড় বড় পোষ্টগুলোতে আছেন ছোট ভাবনার লোকজন; এরা জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার মত বুদ্ধিমান নন
১১| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আমাদের দেশে পিএইচডি ধারী আছেন । তবে ভুয়া নীলক্ষেত থেকে নেয়া । ভাবছি এত সহজ পিএইচডি ডিগ্রী নেয়া । ভাবতেই পারতাম না ।
আর বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর র্যাংকি নিয়ে আমার চিন্তা কম । কারন তারা যেমন শিক্ষা দিচ্ছে তেমন ফল পাচ্ছে । শিক্ষার মান উন্নত করলে র্যাংক এর ও উন্নতি ঘটবে বলে আমার মনে হয় ।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের শিক্ষকেরা ও দেশের প্রেসিডেন্ট চাইলে, দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো ভালো করতে পারার কথা; তবে, ইউনিভার্সিটিগুলোর শিক্ষকেরা কখনো সার্বজনীন শিক্ষার পক্ষে আওয়াজ তোলেননি।
১২| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের লেখা পড়ার মান অনেক খারাপ। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের স্কুল কলেজ গুলোতে। মাস্টার্স পাশ করে ফেলে কিন্তু একটা দরখাস্ত লিখতে পারে না। উচ্চারন ঠিক না। এক লাইন ইংরেজীতে কথা বলতে পারে না। এই হলো অবস্থা।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে, বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিগুলো কিভাবে র্যাংকিং'এ স্হান পাবে? শিক্ষকেরা যদি কমপক্ষে সবার জন্য সার্বজনীন শিক্ষার দাবী তুলতেন, সেটাও একটা অবদান হতে পারতো।
১৩| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
ওমেরা বলেছেন: আপনার লিখা আমার ভালো লেগেছে মানে আপনার কথাগুলোর সাথে একমত।
আগে সর্ব সাধারনদের শিক্ষার সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে।
মূর্খ মানুষ যমের তুল্য।
ধন্যবাদ ।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা আপনার সঠিক উপলব্ধি, "আগে সর্ব সাধারনদের শিক্ষার সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। "
যাঁরা কানাডা, সুইডেন, জার্মানদের জীবনকে বুঝেন, তাঁরা জানেন যে, সবাইকে শিক্ষিত করাই আসল বিষয়; র্যাংক প্যাংক পরের ব্যাপার।
১৪| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তবে সেরা ভার্সিটিগুলোর Ranking যারা করে এরা কেউই বাংলাদেশে বা ভার্সিটি ভিজিটও করে না।
শিক্ষার মানও যাচাই করে না। ছাত্র রাজনীতি আছে না নেই সেসবও বিবেচিত হয় না।
একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন- টাইমস/US News and World Report/ CSIC এর ওয়েবোমেট্রিক্স র্যাংকিং কিভাবে হচ্ছে?
এই র্যাঙ্কিং এর ডাটা কালেকশন কিভাবে কিভাবে করে?
ম্যাগাজিনেই সাইটেই DATA SUBMISSION গাইডটা দেয়া আছে। ইচ্ছা করলে স্বতপ্রনদিত ভাবেও ডাটা (তেল) দেয়া যায়। একবার দেখুন - ওরা কিভাবে করছে!
মুলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট কন্টেন্ট দেখে র্যাঙ্ক যাচাই করা হয়।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর তালিকা যেসব factor গুলোকে ভিত্তি করে করা হয় তার ভেতর 'শিক্ষার মান' বলে কোন ক্রাইটেরিয়া নেই।
গবেষনা পত্র শিক্ষাসঙ্ক্রান্ত ব্যাপারগুলো র সম্মিলিত পয়েন্ট ১৫%
শিক্ষাদান বহির্ভুত অন্যান্ন গুলোর সম্মিলিত পয়েন্ট ৭৫%
factor গুলো দেখুন।
আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র, গাদায় গাদায় পিডিএফ বা ওয়ার্ড ফাইল দেয়া।
ছাত্রদের গ্রাজুয়েশন এর পর বড় বড় কম্পানীতে চাকুরীর হার,
গবেষণা কর্ম, প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জার্নাল গুলোতে এর পাবলিশিং পরিমান।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের হিট সংখ্যা
ফেবু-টুইটারে পেইজ ভেরিফাইড থাকলে পয়েন্ট বাড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক আয় ব্যয় = মুনাফা।
টিউশন ফি/ সেমিষ্টার ফি/বেতন (যত বেশী তত পয়েন্ট)
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বৃহৎ কর্পোরেট লিঙ্ক (বোইং, জেনারেল মটরস, মাইক্রোসফট, জনসন এন্ড জনসন ইত্যাদি) যত ইনভেষ্ট, মিলিয়ন ডলার লেনদেন তত পয়েন্ট।
প্রায় ফ্রীতে লেখাপড়া, এমনকি থাকা খাওয়াও প্রায় ফ্রী বলা যায়। সরকারি ভিক্কায় চলা ঢাবি এসব পয়েন্ট কোথায় পাবে জনাব?
এসব থাকলেই তো হবে না। ওয়েবসাইটে উল্লেখ, ডিটেইল ও ভেরিফাইড লিঙ্ক থাকতে হবে। কিছুই নেই।
ঢাবি-বুয়েটের কমবেশী পাবলিশিং যা আছে তাও যদি সবকিছু সুন্দর ভাবে ওয়েবসাইটে থাকতো, ওয়েবসাইটি দর্শনীয় তথ্যে সমৃদ্ধ হতো, তাহলে অন্তত পাকিদের পিছে পড়তে হত না।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক জার্নাল গুলোতে ঢাবি ও বুয়েটের এর ছাত্র ছাত্রি এবং শিক্ষকদের অসংখ্য লেখা ছাপা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের website এ দিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। অনেক লেখা হারিয়েও গেছে। এটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদের সীমাবদ্বতার কথা অকপটে স্বীকার করেছে।
সুতরাং চিলে কান নিয়ে গেছে .. চিলের পিছে দৌড়ে লাভ নেই।
১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেখানে, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে, শ'তে ৩৫/৪০ জন নিজের নামটা লিখতে পারে না, সেখানে র্যাংককিং কি জন্য?
১৫| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:২৬
ল বলেছেন: সবার শিক্ষার অধিকারের কথা বলছেন সেটা কিভাবে সম্ভব একটু বিস্তারিত বলেন শুনি!!
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বুঝার মতো মগজ আপনার নেই!
১৬| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
মৃত্যু হবে একদিন বলেছেন: আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ২:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের সবচেয়ে বড় দরকার হলো, প্রতিটি নাগরিককে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ফ্রি'তে দেয়া; আমাদের জাতীয় সম্পদ ১ দিনে বেড়ে যাবে।
১৭| ১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:২২
অজানা তীর্থ বলেছেন: কিত্তা কমু ভাইজান সব মানি কিন্তু তালগাছ আমার হওয়া লাগবো।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৩:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব নাগরিককে ফ্রি পড়ানো উচিত কিনা?
১৮| ১৩ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:২৭
অজানা তীর্থ বলেছেন: আমিতো ভাইজান বই কিনে পড়েছি আফসোস ফ্রি পড়তে পারিনি কিন্তু শুনেছি সরকার নাকি বিনামুল্যে বই বিতরণ করে, আর শিক্ষকরা নাকি সৃজনশীল বুঝেনা প্রশ্নেও নাকি ভূল ছাপা হয়। এইবারের ঢাকাবোর্ড এর এইচএসসির পদার্থ ১ম কোন অপদার্থ টাইপ করেছে মনে হয় ফ্রিতে পড়লে এমনই হয়।
১৩ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি পয়সা দিয়ে পড়তে সমর্থ, ভালো; আপনার বয়সী কত লাখ স্কুলে যেতে পারেনি?
১৯| ১৩ ই মে, ২০১৯ ভোর ৪:৪০
অজানা তীর্থ বলেছেন: “আমার জানা নেই তবে তার সংখ্যার পরিমাণ ও কম নহে” ।
আসলে সত্যি বলতে দাদা আপনার কথাগুলো অনেক গভীর ভাবে অনুভব করার মত মানুষ আমরা হয়ে উঠতে পারিনি। শুধু লিখতে শিখেছি আর যেদিন অনুভব করবো সেইদিন হইতো সবাই হবে একএকটা চাঁদগাজী।
১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব শিক্ষিত মানুষই কমবেশী লজিক্যালী ভাবতে পারেন, সেটাই আমাদের প্রশাসন, সরকার ও ব্যুরোক্রেটরা চাহে না; ওরা সৌদী ও মালয়েশিয়ায় বাংগালীদের দাস হিসেবে বিক্রয় করে ট্রিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
২০| ১৩ ই মে, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: গণহারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার চাইতে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নয়নে সরকারকে মনোযোগ দেয়া উচিত | কিভাবে এর কারিকুলাম, শিক্ষক এবং অবকাঠামর উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার |
আর ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয় না বানিয়ে বরং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনোযোগ দিতে পারে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোক্তারা | এই সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববাজারের উপযোগী করার জন্য ইংরেজি সহ প্রয়োজনীয় বিদেশী ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে | সারা বিশ্বেই টেকনিক্যাল দক্ষতার জনবলের প্রয়োজন রয়েছে প্রচুর - কিন্তু ইংরেজি অথবা স্থানীয় ভাষায় ঠিকমতো কমিউনিকেশন করতে না পারলে ওই কারিগরি দক্ষতার কোনো মূল্যই নেই সেই দেশের চাকুরীর বাজারে |
১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইডিয়ট ম্যানুফেকচারিং কারখানা
২১| ১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় মান্যবরেষু,
অত্যন্ত লজিক্যাল আলোচনা করেছেন।@ হাসান কালবৈশাখী র মন্তব্যে লাইক ।
শুভকামনা সতত।
১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে ফ্রি পড়ালেখার দরকার।
২২| ১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: স্বয়ং জাতির র্যাংকিং-এর উপর নির্ভর করে। আর কিছু বলার নেই। যে দেশের ভিসি-রা এখন পর্যন্ত ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারেনি সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে র্যাংকিং এ থাকবে?...
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভিসি'দের রাজনীতি ছাত্ররাজনীতির সম-পর্যায়ে আছে; এরা রাজনীতি করে, ভোট পায় বদি'র বউ।
২৩| ১৩ ই মে, ২০১৯ সকাল ১১:২৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মার্ক্স প্রথম সবার জন্য উচ্চশিক্ষার কথা বলেছিলেন।
আপনি মনে করেন, আমাদের "সম্পদ" আছে। জনগন সেই সম্পদের মালিক না। আমরা ভোট দিয়ে, কিছু মানুষকে সেই সম্পদের মালিক বানাই।
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভোটের বদলে আমাদের থেকে "সাদা চেক" নিয়ে যায় আমাদের রাজনৈতিক দলের লোকেরা। বিশ্বের সব জাতির কাছে আজকাল বাড়ন্ত সম্পদ আছে, অনেক ইডিয়টরা সেগুলো বুঝতে পারে না।
২৪| ১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; বড়িয়া লিখেছেন।
আমি নিজেও দেশের এই উচ্চশিক্ষা-টুচ্চশিক্ষা, গবেষণা-টবেষণা, র্যাঙ্কিং-ফ্যাঙ্কিং নিয়ে নিকট অতীতে লিখেছিলুম (যেহেতু নিজেই গরু খোঁজার কাজে জড়িত ছিলুম; আপনার কথা অনুসারেই কঠিন কঠিন সাব্জেক্টের বৃত্তিসহ একটি বিদেশী ডিগ্রীও ছিল; একারণেই হয়তবা লেখার সাহস পেয়েছিলুম)।
এবং আমার মনে হয় গত দু-তিন বছরে উচ্চশিক্ষা-টুচ্চশিক্ষা, গবেষণা-টবেষণা, র্যাঙ্কিং-ফ্যাঙ্কিং ইত্যাদি নিয়ে এত বেশি কেউ লেখেও নি এই ব্লগে ( যদিও সেইসব পোস্টে ঝগড়া তো দূরে থাক কোনোপ্রকার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যও পাই নাই আপনার থেকে; হয়ত লেখাগুলো লিলিপুটিয়ান ছিল )। এবং সেই লেখাগুলোতে আনাড়িভাবে কিছু পরামর্শও জুড়ে দিতুম এ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে। আপনার এই লেখা পড়ার পর (যদিও লেখাটি বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন বুঝতে পারছি; কিন্তু জেনারালাইজড) নিজেকে পিগমি ও অবশ্যই মুরগীর মগজধারী মনে হচ্ছে।
আপনার এই অসাধারণ পোস্ট ও মন্তব্যে মহামান্য ব্লগারদের ‘সহমত ভাই’ দেখে এখন মনে হচ্ছে পিগমি হয়ে এগুলো নিয়ে লেখা একদমই উচিত হয় নাই। আপনার কথা মতেই যে জাতির মানুষ বদির বউকে এমপি বানাতে পারে উনারা আবার উচ্চশিক্ষা-টুচ্চশিক্ষা, গবেষণা-টবেষণা, র্যাঙ্কিং-ফ্যাঙ্কিং ইত্যাদি নিয়ে হল্লাফল্লা করবে ক্যানে। আর কেউ করলে সেটা পছন্দ হবেই বা ক্যানে?
পোস্ট ও মন্তব্য দেখে বুঝতে পারছি শিক্ষা-টিক্ষাসংক্রান্ত এসব লিলিপুটিয়ান লেখা ব্লগের জন্য অখাদ্য। তাই সেগুলোকে ব্লগ থেকে উইথড্র করাই মনে হয় সমীচীন হবে। কী বলেন?
আমার লিলিপুটিয়ান সমগ্রঃ (যিনারা এখনও সেসব পিগমি লেখা পড়েন নি; এই চান্সে পড়ে দেখতে পারেন যদি হাতে অফুরন্ত ও অলস সময় থাকে
*বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা: কিউএস র্যাঙ্কিং-এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হালহকিকত ও কিছু বাঁকা কথা!!
*বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার লেজেগোবরে অবস্থাঃ অচিরেই কি আমরা একটি মেধাহীন জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি?
*শিক্ষামূলক পোস্ট: 'edX’, ‘Coursera’, ‘Udacity’... ফ্রিতে কিংবা সামান্য টাকা খরচেই হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, জন হপকিন্সের... সার্টিফিকেট!!
*বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী অভ্যন্তরীণ র্যাঙ্কিং জরুরী হয়ে পড়েছে?
*বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতটা উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে যোগ্য নাগরিক হিসেবে আমাদের গড়ে তুলছে?
*বাংলাদেশের শিক্ষার মান কী এতটাই খারাপ!
* গবেষক ও গবেষণার ক্রান্তিকালঃ ‘আচ্ছা, স্বপ্ন কি বেচা যায়’
শিক্ষা দুই প্রকার: সুশিক্ষা ও কুশিক্ষা। আমাদের দেশে 'সু'- 'কু'তে রূপান্তর হয়েছে। আমাদের ভাবনা-চিন্তাগুলোও সে রকম আপনার ভাষায় পিগমি টাইপের।
দেশের সব শিশু সুশিক্ষাই শিক্ষিত হোক এই কামনা। (উল্লেখ্য এ নিয়ে ক্ষুদ্র পরিসরে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া পথে আমি নিজেও কাজ করছি)
১৩ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো পিএইচডি' শিক্ষক আছেন অনেক; আবার ৪৮ বছর পর, শ'তে ৩৫/৪০ জন নাম লিখতে পারে না; পিএইচডি'দের স্হানে ভোটে দাঁড়ায় বদি'র বউ; আমাদের দরকার সবাইকে শিক্ষিত করে তোলা; তারপর দেখা যাবে র্যাঙ্ক ফ্যাঙ্ক আছে নাকি!
বিদেশে পিএইডি যেসব বাংগালী পিএইচডি করেছেন, তাঁরা র্যাঙ্ক ফ্যাঙ্ক নিয়ে লিখলে, লেখাগুলো সঠিক হওয়ার চান্স আছে; যাদের পিএইচডি নেই, তারা র্যাঙ্ক ফ্যাঙ্ক নিয়ে লিখতে গিয়ে গরুর রচনা লিখেন।
আপনার লেখাগুলো ক্রমেই পড়বো।
২৫| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের খুবই খারাপ একটা অভ্যাস হচ্ছে যে একটা সমস্যার সাথে এরেকটা সমস্যা গুলিয়ে ফেলা।'' ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং'' এবং '' সবার জন শিক্ষা '' দুইটি সম্পুর্ন ভিন্ন ইস্যু। একটার সাথে আরেকটা জড়ানোর কোন মানেই নাই। দুইটা ইস্যুই যার যার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন।আমাদের ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং এর যেই হারে অধঃপতন হচ্ছে তাতে আমাদের দেশের যেই গুটিকয়েক ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক রিকগনিশন আছে তা সামনে হয়ত তুলে নেয়া হবে, এটাই সবার ভয়। এটা তুলে নেয়া হলে হায়ার এডুকেশন মারাত্মক কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রিদের জন্য। আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মেধাবী ছাত্র ছাত্রী প্রতি বছর গ্রাজুয়েশন শেষ করে হায়ার এডুকেশন এর উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যায়।
আপনি খুব সম্ভবত বিদেশের কোন ইউনিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যাননি তাই আপনি জানেন না যে ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক রিকগনিশন কতটা জরুরী।
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার থিসিসটা প্রকাশিত হওয়ার পর, ঢাকা ইউনিভার্সিটি র্যাংক ফিরে পাবে, একটা সমস্যার সমাধান হলো। সামুতে আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেব (চ্যানচেলর) লিখেন না; লিখলে, উনার গরুর রচনাতে, গরুর ৪টি পা থাকবে, এর বেশী পা থাকবে না।
র্যাংকিং নিয়ে পিএইচডি, কিংবা পিএিচডি'র ছাত্ররা লিখলে, সঠিক লেখা হবে; অন্যেরা আন্দাজী গরুর রচনা লিখে ভুল ধারণা দিচ্ছে।
২৬| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: গরু রচনা তাদের জন্য যাদের বিদেশের হায়ার এডুকেশন সম্পর্কের বিন্দুমাত্র ধারনা নাই। বিদেশের ইউনিভাসসিটিতে যারাই পড়াশোনা করেছে তারা সবাই জানে ইউনি র্যাংকিং কতটা গুরুত্বপুর্ন। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী বেশ কিছু অধ্যাপক ফেসবুক বা গনমাধ্যমে এই ইস্যূ নিয়ে লিখছেও। আপনি সেসবের খোজ খবর রাখেন না তাই জানেন না।
ব্লগে যারা এই ইস্যু নিয়ে লিখছে তারা নিজেরাও যথেষ্ঠ যোগ্য। আর এটা জরুরী নয় যে সামাজিক মাধ্যমে একটা ইস্যূ নিয়ে লিখতে পিএইচডি ডিগ্রী থাকতে হবে। এইটা পিএইচডির কোন থিসিস না যে কেবল পিএইচডিগ্রীধারীরাই লিখতে পারবে।
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
গরুর রচনা চতুর্থ শ্রেণীতে আসে, ৮ম শ্রেনীতেও আসে; চতুর্থ শ্রেনীর বাচ্চা ও ৮ম শ্রেণীর বাচ্চার লেখা সমান হয় না। যারা সবকিছুকে গরুর রচনার ফরমেটে লিখেন, ওরা প্রকৃত বিষয় জানেন না; তারা লিখেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দুরত্ব ২ লাখ ৪০ হাজার 'বর্গ মাইল'।
২৭| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগারদের ranking নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা কেমন
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগারদের ভাগ করা ঠিক হবে না, এটা একটা জেনারেশন; তবে, কিছু মানুষ অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে আলোকপাত করেন ব্লগে; ব্লগ সেইগুলোকে সহ্য করে না, ওরা সময়ের সাথে নিজ পথে চলে যান
২৮| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভাগ করতে না চাইলেও ভাগ হয়ে যায় । এই ব্লগের অধিকাংশ ব্লগার ব্লগকে সাহিত্য চর্চার মাধ্যম হিসেবে দেখে। একজন ব্লগার যে একজন নগর সাংবাদিক সেটা অনেকেই জানে না। ব্লগ যে অনেক বড় জিনিস সেটা কয়জনই বা উপলব্ধি করছেন।
১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগ আধুনিক সভ্যতার সম্প্রসারণ, ইহাকে বুঝতে অনেক বাংগালীর সময় লাগবে; কিছু মানুষ হয়তো কখনো ইহার বিশাল ভুমিকাকে অনুধাবন করতে সক্ষম হবে না।
২৯| ১৩ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগের ভবিষ্যত কি?? নতুন কোনও ব্লগসাইট কি আসতে পারে
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
অন্য ব্লগ সাইটগুলোতে ব্লগার নেই, আছেন অনেক আঁতেল; ফলে, সামুই শক্তিশালী ব্লগ; ব্লগ ঠিক হয়ে যাবে, জব্বার মিয়ার বিপক্ষে শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করলে, উহার চাকুরী চলে যাবে।
৩০| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯
নতুন অতিথি বলেছেন: আমরা সবাই চাই পিএইচডি হতে। যা বাসতবে সমভব না। ৫ম/১০ম পাসও শিক্ষিত। আমরা সবাই জানি আমাদের শিক্ষার অবসথা।সবার পিছনে তো থাকবেই।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সারাদেশে লাখে লাখে কিশোরী চাকরাণী, ঢাকা ভর্তি টোকাই ও গার্মেন্টস'এ আমাদের মেয়েরা; এদেরকে শিক্ষিত করার দরকার।
৩১| ১৩ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
রাকু হাসান বলেছেন:
ভালো বলেছেন।যেসব বিষয়ে আমার তেমন জ্ঞান নেই সে সব বিষয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকতেই পছন্দ করি। সেখানে সৌজন্যবোধ থেকেই মন্তব্য রেখে যাই হয়তো । আপনার পোস্টের বিষয় বস্তু নিয়েও জ্ঞান অত্যন্ত কম । মনে হচ্ছে হাসান কালবৈশাখী ও আখেননাটেন ভাইয়া খুব ভালো মন্তব্য করেছেন । যেখানে শিক্ষার সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে যারা তাদের ওয়েবসাইটও নিয়মিত আপডেট হয় না । এখনও খোঁজলে তিন-চার বছরের পুরোনো ডাটা পাবেন । সংশ্লিষ্ট আপডেট করার সময় পাচ্ছেন ,নয়তো প্রকাশ করার মতো তাদের ডকুমেন্ট নেই।
১৩ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাদের প্রকাশ করার মতো আছে, "ডাকসু নির্বাচন"।
৩২| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:১২
টারজান০০০০৭ বলেছেন: দেশি বা বিদেশী কোন রাংকিংয়ে বাস্তব অবস্থা পুরোপুরি বোঝা যায় না ! আরও যন্ত্রনা হইয়াছে রাংকিংয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট থাকার কারণে ! মূল ফোকাস শিক্ষা ও গবেষণার মান অনেক সময়ই ভালো হলেও অন্যান্য পয়েন্টে পিছিয়ে যায় ! আমাদের ঢাকা, বুয়েট সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ক্লাসিক রিসার্চ হয়, কিছু আউটপুট এখনও অসাধারণ, অথচ অন্যান্য পয়েন্টে পিছিয়ে থাকায় রাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে পরে ! হাসান কিন্তু ভুল বলেন নাই ! যাহারা রাংকিং করেন ইহারাও নির্ভরযোগ্য তথ্য লইয়া করেন না, যাহারা তথ্য দেয় বা যাহাদের তথ্য সহজলভ্য তাহাদের তথ্য লইয়াই করেন ! খোঁজ লইলে দেখা যাইবে ভারত, নেপাল , ভুটান , পাকিস্তানের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিস্টে আসিয়াছে তাহাদের গবেষণা ও শিক্ষার মান আমাদের ঢাবি বা বুয়েটের চেয়ে এগিয়ে নয় ! তাহারা নিজেদের ঢোল ভালোভাবে বাজাইতে পারিয়াছেন , আমরা পারি নাই ! ইহা লইয়া হাউকাউ করার দিন পার হইয়া গিয়াছে। এখন দরকার অথেন্টিক রিসার্চ আউটপুট বাড়ানো। স্কুল/ কলেজ পর্যায়েই পেপার ওয়ার্কের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া , যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে আসিয়া গবেষণার ক, খ, শিখিতে না হয় ! আমাদের শিক্ষার্থীরা ইস্কুল/কলেজে এসাইনমেন্টাও শেখে না , ইনটেনসিভ লার্নিং এর একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা ! মেধার এই বিপুল অপচয়ের কারণে জাতিকে দীর্ঘকাল ভুগিতে হইবে !
১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের সকল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক পারফর্মেন্সের দিক থাকে, যা ইউভার্সিটির অথারিটি মেইনটেিন করে থাকেন; তারা ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং সম্পর্কে সচেতন; তারা বিদেশী ইউনিভার্সিটিগুলোর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন; আমাদের বেলায়, নিশ্চয় তারা পেরে উঠছেন না।
৩৩| ১৪ ই মে, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভালো লেগেছে
১৪ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকা ইউনিভার্সিটি নিশ্চয় নিজকে র্যাংককে রাখার চেষটা করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভার্সিটির র্যাংকিং সম্পর্কে ভালো ধারণা পেলাম, আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো।