নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশরের বহিস্কৃত প্রেসিডেন্ট ড: মোরসীর মৃত্যু নিয়ে বাংগালীরা বিভক্ত?

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৫



মিশরের বহিস্কৃত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসীর(১৯৫১-২০১৯) মৃত্যু নিয়ে বাংগালীরা বিভক্ত কেন? এই ব্যাপারটা নিয়ে বাংগালীরা একমত পোষণ করলে কেমন হতো? মিশরীয়রা অনেকটা বাংগালীদের মতো ঐক্যহীন জাতি, তাদের মাঝে বড় ৩টি ভাগ আছে: (১) আরব জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয়রা, এরা আরব ব্রাদারহুড ও কয়েকটি দলে আছে (২) আমেরিকানপন্হী, সৈন্যবাহিনী ও ধনীক শ্রেণী, এরা শিক্ষিত, ব্যবসা বাণিজ্য এদের হাতে (৩) সন্মিলিত আরব ঐক্যের পক্ষের সাধারণ মানুষ: এরা জামাল নাসেরের ( প্রেসিডেন্ট, ১৯৫৬ -১৯৭০) আদর্শে বিশ্বাসী, সন্মিলিত আরব ঐক্যে বিশ্বাসী; এদেরকে অনেকে 'বাম' বলে; আসলে, এরা বাম নয়, জামাল নাসেরের সময়, প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়ন মিশরকে বড় আকারে সাহায্য করে: নীল নদীতে বাঁধ দেয়, উহার নাম "আসোয়ান বাঁধ"; এই বাঁধের ফলে মিশরে সেঁচ ও বিদ্যূৎ উদপাদনের ব্যবস্হা হয়; এই সময়ে মিশরের বড় অংশ জনতা জামাল নাসের ও সোভিয়েতের নীতিকে পছন্দ করে। কিন্তু ধর্মীয়রা সোভিয়েতের এই সাহায্য পছন্দ করেনি; কারণ, সোভিয়েতের লোকজন ধর্ম মানতো না। জামাল নাসের অনেকটা শেখ মুজিবের মতো জনপ্রিয় ছিলেন। নাসের ইসরায়েল বিরোধী ছিলেন ও ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছিলেন।

নাসের একেতো ইসরায়েল বিরোধী যুদ্ধে পরাজিত, আবার সোভিয়েতকে নিয়ে দেশ গড়ছে, আমেরিকা এটি পছন্দ করেনি; আমেরিকা নাসেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য মিশরের সামরিক বাহিনীকে ও ধর্মীয়দের ব্যবহার করে। এই সময় ব্রাদাহুড জাতীয় আরবেরা আমেরিকার পক্ষে ছিলো। নাসেরের পর মিসর আসলে সৈন্য বাহিনীর হাতে চলে যায়; সৈন্য বাহিনীর মুখপাত্র হিসেবে আনোয়ার সা'দাত(প্রেসিডেন্ট, ১৯৭০-১৯৮১) ক্ষমতায় আসেন। তিনি বুঝলেন যে, আরবেরা ইসরায়েল ও আমেরিকার মিলিত শক্তির সাথে পেরে উঠবেন না। মিশরের কিছু অংশ ইসরায়েল দখল করে রেখেছিলো, উহার মাঝে ছিল সুয়েজ খাল; সুয়েজ খাল ছিলো মিশরের আয়ের সবচেয়ে বড় পথ। আনোয়ার সা'দাত আমেরিকান নেতৃত্বে ইসরায়েল'এর সাথে চুক্তি করেন; তিনি সুয়েজ খাল ফেরত পান ও আমেরিকান ক্যাশ পেতে থাকেন।

সেনাবাহিনীতে অবস্হিত ধর্মীয় ও ইসরায়েল বিরোধীরা আনোয়ার সা'দাতের আমেরিকা ও ইসরায়েল প্রীতি পছন্দ করেনি, তারা উনাকে হত্যা করে; উনার উত্তরসুরী হয়ে আসেন হোসনী মোবারক(প্রেসিডেন্ট, ১৯৮১-২০১১)। আনোয়ার সা'দাত কিন্তু জামাল নাসেরের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন; এতে করে, কিছুটা দেশ প্রেম ছিলো উনার মাঝে; কিন্তু হোসনী মোবারক আসলে মিলিটারী শাসনের লোক ছিলেন ও আমেরিকার গৃহপালিত রাজনীতিবিদ ছিলেন। ২০১১ সালে, তিউনিশয়া থেকে উদ্ভুত "আরব বসন্তে" উনি কুপোকাত হন। হোসনী মোবারকের সাথে সেনাবাহিনীও পরাজিত হয়। বিপ্লবে মিশরের সাধরণ মানুষই বেশী ছিলেন, নাসের পন্হীরা বড় ভুমিকা পালন করেছিলো; বিপ্লবে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারান, ইহাতে মোরসীর লোকজন বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তারা সেনা বাহিনীর বিপক্ষ অস্ত্র নিয়ে লড়ে; সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র ছিলো না; এদের হাতে অস্ত্র ছিলো; বিপ্লব পরবর্তী ভোটে এরাই জয়ী হয়ে যায়।

ড: মোরসী প্রেসিডেন্ট(জুন, ২০১২- জুলাই, ২০১৩) নির্বাচিত হয়; সেনা বাহিনী এতে খুশী ছিলো না; মিশরের সেনাবাহিনী মোটামুটি দেশের ভেতরে আরেকটি দেশ: তাদের শিল্প কারখানা আছে, ব্যবসা বাণিজ্য আছে, স্কুল কলেজ আছে, আবাসিক এলাকা আছে, জায়গা জমি আছে। তারা ড: মোরসীকে সরানোর সুযোগ খুঁজছিলো ; সুযোগটা মোরসীই করে দিলো। নির্বাচনের পর, মানুষ 'নতুন সংবিধান' চাচ্চিল; মোরসী নতুন সংবিধান রচনার দাবী মেনে নেন, ১ বছর লাগবে সংবিধান তৈরি করতে। তিনি ও মানুষ জানতেন যে, ব্রাদারহুডের এমপি'রা নতুন কি ধরণের সংবিধান রচনা করবেন। এই মধ্যকালীন ১ বছর দেশ কিভাবে চলবে? দেশ চলবে 'প্রেসিডেন্ট ডিক্রিতে'; মোরসী এই ১ বছর ইসলামী শরীয়াহ অনুসারে দেশ চালনা করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন; নাসের পন্হীরা মোরসীর বিপক্ষে ফেটে পড়েন; সেনাবাহিনী এই সুযোগ খুঁজছিলো; তারা ক্ষমতা দখল করে নেয়।

এরপর, মোরসীর লোকেরা মিলিটারীর বিপক্ষে অস্ত্রহাতে নেমে পড়ে; প্রচুর মানুষ প্রাণ হারায়; বিপুল পরিমাণ মানুষ গ্রেফতার হয়; মোরসীর বিচার চলছিলো; আদালতে হার্ট এ্যটাকে উনার মৃত্যু হয়েছে গতকাল; ৩/৪ টা পোষ্ট এসেছে ব্লগে, ব্লগারেরা উনার ভুমিকা নিয়ে বিভক্ত: কেহ বলছেন যে, ফেরাউনদের হাতে উনার মৃত্যু হয়েছে; অন্যেরা বলছেন, ফেরাউনের মৃত্যু হয়েছে!

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ১০৫১ সাল :||

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, ঠিক করেছি!

২| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি সব সময় গণতন্ত্র র পক্ষে। মুরসি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো।
উনি নির্বাচিত হওয়ার পর, দেশের মানুষের সমর্থন ধরে রাখতে পারেননি

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩১

আহা রুবন বলেছেন: যদি মুরসি টিকে যেত, মৃত্যু না হত, ব্রাদারহুড দেশ শাসন করে যেত তাহলে সম্ভবত মিশর আফগানিস্তান হয়ে পড়ত।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেনাবাহিনী মানুষকে কিছু করতে দেয় না, পড়তে দেয় না, খাবার দেয়, আড্ডা দেয়ার ব্যবস্হা করে! মোরসী সুযোগ পেয়েছিলো; কিন্তু জামাল নাসেরের আদর্শ-বিরোধী হওয়ায় মানুষের সমর্থন হারায়ে, বিপ্লবের প্রাপ্তিটুকুকে মাটি করে দিয়েছে।

৪| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মুরসি একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এটাই উনাকে মূল্যায়নের জন্য অনেক।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সঠিক! কিন্তু উনার ও উনার দলের ভুলের জন্য মানুষের সমর্থন হারায়ে 'বহিস্কৃত রাষ্ট্রপতি'তে পরিণত হন।

৫| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সময় দিতে হবে। সব কিছুর জন্যই সময় একটা বিরাট ব্যাপার।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওদের ইতিহাস অনুসারে সবাই সময় পেয়েছেন: জামাল নাসের(১৯৫৬-১৯৭০), আনোয়ার সাদাত (১৯৭০-১৯৮১), হোসনী মোবারক (১৯৮১-২০১১); কিন্তু উনি পাননি; উনি কি বলার ফলে মানুষের সমর্থ হারান? বিপ্লবের পর সেনা বাহিনী ভয়ে ভয়ে ছিলো।

৬| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৮

মোগল সম্রাট বলেছেন: মুরসী তো শরীয়াহ আইন প্রতিস্ঠিত করতে চাইছিলো কিন্তু মুসলিম মেজরিটি দেশ হওয়ার পরও জনগন তা নেয়নি কেন? মিলিটারী ক্যু কি এমনি এমনি হয়েছিলো? নাকি আম্রিকার হাত ছিলো গাজী ভাই?

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ক্যু'তে আমেরিকার সমর্থন ছিলো; কারণ, ব্রাদারহুডেরা ইসরায়েল বিরোধী। মিসর আরবদের দেশ, তারা ধর্মীয় সবকিছু জানে ও ধর্মীয় সংস্কৃতিতে বড় হয়; তারা জেনেশুনেই সোভিয়েত সাহায্য নিয়েছিলো; তারা জেনেশুনেই শরীয়াহ আইন চাহে না; তারা গণতন্ত্রের জন্য হোসনী মোবারক ও সেনাবাহিনীর বিপক্ষে লড়েছিলো।

৭| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: পড়েছি ।
আমার আজকাল কিছু ডুকতে চায়না। মনে হয় ইদানিং আমার মেমরি লুজ হয়ে গেছে ;)

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বয়স ৩০ বছরের বেশী হলে, মেমোরির প্রসেসিং ও ষ্টোরেজ ক্ষমতা কমতে থাকে; তবে, ভয়ের কিছু নেই, একই সময়ে, মানুষের অজ্ঞতা বাড়ে।

মৃত্যু নিয়ে কম ভাববেন, মৃত্যুর পর কি ঘটবে, সেটা নিয়ে চিন্তিত হবেন না।

৮| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে মোহাম্মদ মুরসি সময় পেয়েছেন মাত্র 1 বছর। প্রাচীন সভ্যতার দেশ হলেও তাদের সংবিধান কেন বারবার রচনা করতে হয়? সিসিকে তাড়াতে হলেও মিশরের লোকজনদেরকে 30 বছর অপেক্ষা করতে হবে। ইতিহাস তো তাই বলছে।

১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:

সিসিকে সহসা তাড়ানো সম্ভব হবে না; সেনা বাহিনী মানুষের সবকিছু কন্ট্রোল করছে, উচ্চ-শিক্ষা থেকে মানুষকে দুরে রাখছে। বিপ্লবের পর, দেশকে স্হিতিশীল করতে সমর্থ হননি ড: মোরসী।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৪

ওমেরা বলেছেন: মানুষ হিসাবে আমরা একপেশে , যাকে ভালো জানি তার মন্দগুলোও আমাদের কাছে মন্দ মনে হয় না,আবার যাকে খারাপজানি তার ভালোকাজকেও সমর্থন করতে পারি না , আমাদের মাঝে বিভক্তি থাকবেই ।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের বিভক্তিকে আমাদের ব্যুরোক্রেটরা ও প্রশাসন কাজে লাগায়েছেন; আমাদের রাজনী্তিবিদ, ব্যুরোক্রেটরা ও প্রশাসন আমাদেরকে বন্চিত করে, নিজেরা ভালো থাকছে; সেটা মিশরেও ঘটছে।

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৩২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আবোল তাবোল লেখা।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি পোষ্টে কমেন্ট করলে, পোষ্ট অপমান বোধ করার কথা; ব্লগিং গুহামানবদের জন্য নয়।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আরব বসন্ত অর্থ আরব চিকেন পক্স - ইরাক, লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া কি থেকে কি হয়েছে !!! চিকেন পক্স যদি আরব বসন্ত হয় তাহলে আনন্দ বটে।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



পরিবর্তন এসেছিলো, মানুষ ধরে রাখতে পারেনি; আরবেরা পেছনে আছে সব সভ্যতায়।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মুসলিম ব্রাদারহুড মির্জাফরের ভুমিকা পালন করেছে, এই ধরনের একটি ত্রি-পাক্ষিক সংঘটন অর্থ বিভিষণ, মির্জাফর, রাজাকার। লিবিয়া কি পরিমান হত্যাযজ্ঞ আর ধর্ষণ হয়েছে তা আমাদের বাংলার মানুষের জানার জ্ঞানের বাইরে। এহেন অবস্থায় সিরিয়া বাশার আল-আসাদের পাশে রাশিয়া না দাড়ালে বাশার আল-আসাদের মুক্ত মঞ্চে ফাঁসী হয়ে যেতো “আরব বসন্তের নামে তথা আরব চিকেন পক্স” !!!

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী, কুর্দি ও গোত্রে বিভক্ত আরবেরা বর্তমান বিশ্বের জন্য আসলেই বোঝা

১৩| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আরবেরা শুধু নয় সমগ্র মুসলিম জাতি বিশ্বের জন্য বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে।
একটি কথা আপনাকে বলে যেতে চাই “গুন্ডা রাজনীতি আর ধর্ম চলে ভয়ে আতংকে”
ভয় আতংক ঝেড়ে ফেলে দিলে এই দুই জিনিস(আপদ) বর্জ্যে পরিনত হবে।

১৯ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



অন্য জাতিদের ধর্মজ্ঞান পরিস্কার, তারা জানে কি করতে হবে; মুসলমানেরা অশিক্ষিত হওয়ায় ধর্ম নিয়ে কুহেলিকার সৃষ্টি হয়েছে।

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৩

বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো...
মুরসী শাসক হিসাবে কেমন ছিলেন - তার এক বছরের শাসনামলে উল্লেখযোগ্য কিছু কি করেছেন!!

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু করলে, উনার এই অবস্হা হওয়ার কথা নয়।

১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মুরসী সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
আপনার পোষ্ট থেকে একটা ধারনা পাওয়া গেলো।

১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মিশরের দরকার শিক্ষা,চাকুরী, শিল্প, সায়েন্স, টেকনোলোজী, ফাইন্যান্স; উনি করতে গেছেন শরিয়াহ'এর প্রয়োগ

১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি যতদুর দেখেছি, মুরসি অতিরিক্ত দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেছিল, সেই তুলনায় সুচি নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলছে।

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুচি মিলিটারীর ক্ষমতা কমিয়ে এনেছে, এটুকুই উনার অবদান; তবে, চীন যে বার্মাকে শ্রমিক মৌমাছিতে পরিণত করে মোছাক দখল করছে, সুচি সেটা টের পায়নি

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সানুষের মৃত্যু আল্লার ইচ্ছায় হয় । তবে বিশ্লেষকগন বলেন মুরসির পতনের পর পরই তার মৃত্যু অনেকটা আধারিত হয়ে পরেছিল । এটা স্পষ্ট যে মিসরের শাসনকর্তৃত্ব মার্কিনপন্থী সেনাবাহিনীর হাতেই ছিল । এছাড়া বিচার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মিডিয়া পশ্চিমাঘেঁষা হওয়ায় মিশরের সর্বময় কর্তৃত্ব পেছন থেকে মার্কিনীদের হাতেই ছিল এবং এখনো আছে। মুরসির কিছু কার‌্যকলাপ বেশ বিতর্কিতই ছিল । যাহোক যে যে রকম কর্ম করে ইতিহাস তাকে আখেরে সে ভাবেই পরিচিতি দিবে । মুরসির বেলাতেও তাই হবে ।

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোরসীর ভুলের জন্য মিসরীয় মানুষের রক্তের বিপ্বব বাতাসে মিশে গেছে, আমেরিকানপন্হী সেনাবাহিনীই সবকিছুর মালিক।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: অন্নেক অজানা ছিল, জানলাম :)

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হয়, ছাত্র ইুনিয়ন করতেন? আপনারা হারমোনিয়াম বিপ্লবী ছিলেন।

১৯| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মানুষ শিক্ষিত না হলে তাদের দেশে গণতন্ত্র বজায় রাখা কঠিন।
তাদের দেশে সেনাবাহিনীই বেশী কর্তৃত্ব করে।

বঙ্গ দেশে, পাকিস্তান, মিশর ও আফ্রিকার দেশগুলো এটা প্রমাণ করে।

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে শিক্ষা থেকে বন্চিত করে রেখেছে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সরকারগুলো; ফলে, মানুষ দাসে পরিণত হয়েছে; চাকরাণী প্রথা হলো আজকের বিশ্বের দাস প্রথা

২০| ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে সেই সব দেশে গনতন্ত্র বিদ্যমান।গনতন্ত্রের কারনেই সে সব দেশে জবাব্দিহিতামুলক সরকার গঠিত হয় এবং জনগনের প্রত্যাশা পূরন না হলে পরের টার্মে ক্ষমতা থেকে বিচ্যূত হয়। স্বৈরাচারী সরকার ও তার সমর্থকেরা জনগনের দাবী উপেক্ষা করে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ দাবী করে এবং নিজদের কুচক্রি মনোভাবের পক্ষে স্বৈরাচারী বক্তব্য উপস্থাপন করে।

মিসরে গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি আদালতে মৃত্যূবরন করেছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিষরের সরকারের তুমুল সমালোচনা করছে বর্তমানে। প্রেসিডেন্ট মুরসী ভাল না মন্দ ছিলেন তা একান্তই মিশরের জনগনের বিষয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি খারাপ হলে পরের টার্মে ক্ষমতাচ্যূত হতেন। তিনিতো আর জোড়পুর্বক ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখেননি। একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে যখন পশ্চিমাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে সামরিক ক্যূ করে ক্ষমতাচ্যূত করা হয় তখন সেটার পক্ষে অবস্থান নেয়ার অর্থ একটি দেশের জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া।

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



মিশরের বিপ্লব ছিলো ডিক্টেটরশীপ ও সেনাবাহিনীর বিপক্ষে; বিপ্লবে মানুষ এক হয়েছিলো; মোরসী ১ বছর প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রির মাধ্যমে দেশ চালনার ঘোষণা দিয়ে নিজেই মানুষকে বিভক্ত করে দেয়; সেনাবাহিনী সেটার সুযোগ নিয়েছে।

২১| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আপনার পোস্টে মন্তব্য করার ইচ্ছে ছিলো না,তারপরেও আপনার কাছ থেকে একটি প্রশ্ন রেখে গেলাম,মুরসী নেতা হিসেবে কেমন ছিলেন আপনার চোখে? একজন ব্লগার (ব্লগারদের নাম উল্লেখ করলাম না) বলেছে ফেরআউন মরেছে,আরেক ব্লগার বলছে সে মরাতে নাকি তারা অনেক খুশী? আপনি কি ভাবছেন?

১৯ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো বুঝা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাওয়ার কথা

২২| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

জুন বলেছেন: আমি আসোয়ান বাধ ও দেখেছি আবার কায়রোতে জামাল আবদেল নাসেরের সমাধিও দেখেছি। মিশরীয়রা তাকে খুব সন্মান করে তবে তার কবর পুজা করেনা গিলাফ চড়িয়ে, ফুল, আতর দিয়ে। আর মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালানোর কোন সিস্টেম নাই।

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জামাল নাসেরই মিশরের জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সবই ঠিক ছিলো; উনার ভুল ছিলো, ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধে যাওয়া; ইসরায়েলের সাথে আমেরিকা থাকায়, সেই যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত ছিলো; দরকার ছিলো জাতি সংঘের সিদ্ধান্ত মেনে, প্যালেষ্টাইন সৃষ্টি করা; যুদ্ধে পরাজিত হওয়ায়, উনার বীরের ভুমিকা ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিলো; সেই সুযোগে সেনাবাহিনী ও মোল্লাদের ব্যবহার করে আমেরিকা ঢুকে পড়ে, উনাকে ও সোভিয়েতকে বিতাড়িত করে।

২৩| ১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আরব বসন্ত এনেছিল মুক্তমনা ধর্মনিরোপেক্ষ তরুন বামপন্থিরা ও ছাত্ররা। মোবারকের পতন ঘটিয়েছিল এরাই।

আবার এরাই নির্বাচনে মুরসি/ব্রাদারহুডের কুচক্রে পরাজিত হয়ে আবার বিক্ষোভ করে কায়রো অচল করে মুরসির পতন ঘটিয়েছিল।
এরপর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী বামপন্হীদের আমি জানি: কাজী জাফর, মেনন, মতিয়া; মিশরের বামপন্হিরা দেখতে কেমন? আরবের মাটিতে বাম ডান নেই: আছে তেলের ধনী ও বেকুব আরবরা।

মিশরের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ডিক্টেটর হোসনী মোবারক ও আমেরকার পালিত সেনা বাহিনীকে পরাজিত করেছিল; মোরসী বেকুবী করে ইসলামিক শাসনের উপর জোর দেয়ায় ঐক্য হারিয়ে যায়, সেনাবাহিনী আবার দেশ দখল করে নেয়।

মিশরীয়রা আরব, ওরা ইসলামিক সংস্কৃতিতে চলে, ওরা ইসলামিক শাসন চাহেনী, চেয়েছিলো গনতন্ত্র।

২৪| ১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: আমার মনে হয় মুরসির মৃত্যু নিয়ে মিশরীয়দের চেয়ে বাংলাদেশীরাই বেশি উদ্বিগ্ন!

১৯ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভাবনার দিক থেকে মিশরীয়রা এখন ফার্মের মুরগী; ওরা মোরসীকে চেনার কথাও নয়।

২৫| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশের ভবিষ্যত কি ? সেনাবাহিনী কি কোন ক্যু করতে পারে? ?
আরব বসন্ত আমেরিকান বসন্ত।

১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


না, সেনাবাহিনী আর ক্যু করবে না, বিএনপি মনের মানুষেরা হতাশ হয়ে গেছে; তবে, সেনাবাহিনীতে কিছু জামাতী ইত্যাদি এখনো আছে

২৬| ১৯ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দরাকিব আর পি এম সিবলেছেন: আমার মনে হয় মুরসির মৃত্যু নিয়ে মিশরীয়দের চেয়ে বাংলাদেশীরাই বেশি উদ্বিগ্ন!
.

ফেসবুকে মুরসিকে নিয়ে বিবিসির এক নিউজে দেখলাম ১৭০০প্লাস কমেন্ট। বাঙালীরা থিমট্যাঙ্ক হয়ে যাচ্ছে...

@সামুর সবজান্তা মাননিয় চন্দ্রগাজী
লোহার আকরিকে ভাসছে বাংলাদেশ। তাগাতাড়ি ওসব তুলতে হবে, না হলে মরিচা পড়ে সব নষ্ট হয়্যা যাবে...:D

২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



চলেন, টুকরী ও কোদাল নিয়ে লেগে যাই, ১৭০০ ফুট মাত্র!

মিশরের জামাল নাসেরের সাথে আমাদের শেখ সাহেবের মিল ছিলো।
মিশরের লোকেরা শরিয়াহ আইন চাহে না, আমাদের ম্যাঁওপ্যাঁওরা শরীয়াহ আইনের জন্য দিনরাত ম্যাঁওপ্যাঁও করে।

২৭| ২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৩

নাসির ইয়ামান বলেছেন: "গণতন্ত্র" আপ্রলয় কেবল একটা 'থিওরি' হিসেবেই থেকে যাবে। তা মানবসভ্যতার কোনো কাজে আসেনি,আসবেও না!

২০ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডায় " মুয়াবিয়ার খেলাফত" চলছে!

২৮| ২০ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।
শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের বিপ্লব।

২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ডিক্টেটরেরা, টোটালেটোরিয়ান ও গলাকাটা ক্যাপিটেলিজম মানুষকে রাজনীতি-বিমুখ করে,বিপ্লবকে অনেকটা হত্যা করে ফেলেছে।

২৯| ২০ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ম্যাংগোপিপল বাঙালিরা বিভক্ত হয় নাই , হইয়াছে ব্লগাররা ! ইনারা বুদ্ধুজীবী কিনা ! ইহাদের মধ্যে যাহারা ইয়ের ভারে চলিতে পারে না তাহারা মুরসিকে ফেরাউন বলিতেও কুন্ঠা বোধ করে নাই ! ইহাদের চুল পাকনামী দেখিয়া বিস্মিত হইয়াছি !

ইহারা হইলো সেই বীরপুঙ্গব যাহারা বউকে ভয় পায় না বিধায় বউয়ের কথা মতন সবাই যে দলে থাকে সে দলে থাকে না ! ঠিক একারণেই তাহাদের বুদ্ধুজীবী , বীরপুঙ্গব মনে হয় ! তাই মুরসি তাহাদের কাছে ফেরাউন হইবে ইহাই স্বাভাবিক !!

২০ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেশীর ভাগ বাংগালী আগে মিশর কোথায়, ইন্দোনেশিয়া কোথায় জানতেন না; এখন অনেক শিক্ষিত বাংগালী গরীব মিশরীয়দের বাড়ীতে চাকর হিসেবে আছে; ফলে, অনেকেই জানেন মিশর কোথায়।

মিশরের সাথে বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক ঘটনায় মিল থাকায়, ব্লগারের এই ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন।

৩০| ২১ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন:




বাজেটের উপর আপনার লেখা আসছে না কেন?

২১ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কোথায় হারায়ে যান?

আমি ঘাটতি বাজেট ও কালো টাকা সাদা করণের ব্যাপারে লিখেছি; এরা শেখ হাসিনা বাজার করার চাকর ছেলে, এরা আবার কিসের বাজেট করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.