![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
গত সপ্তাহে, ভারতের ঝাড়খন্ডে এক মুসলিম তরুণকে পিটিয়ে ভয়ংকরভাবে আহত করেছিল কিছু সাধারণ মানুষ; আহত হওয়ার ৪ দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে; তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে মটর সাইকেল চুরি করার চেষ্টা করেছিলো! বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতে চোর ধরা পড়লে, বেআইনীভাবে সাধারণ মানুষ তাকে পিটায়, এবং বেশীর ভাগ সময় হত্যা করে, কিংবা পংগু করে দেয়; এটা ভয়ানক অপরাধ।
ঝাড়খন্ডের ঘটনাটা এর থেকে বেশী; মনে হচ্ছে, সম্ভাব্য চুরির অপরাধ ছাড়াও তরুণটি মুসলিম হওয়ায়, তার উপর অতিরিক্ত অত্যাচার করা হয়েছে, এটা পরিস্কারভাবে ধর্মীয় মনোভাবের বহির্প্রকাশ; এই যুবকের উপর অত্যাচার চলাকালে, তাকে "জয় রাম, জয় হনুমান" বলতে বাধ্য করা হয়; এতে যদি তার প্রাণ বাঁচতো, রাম ও হনুমানকে কিছুটা ধন্যবাদ দেয়া যেতো; কিন্তু "জয় রাম, জয় হনুমান" বলার পরও এই তরুণটিকে হত্যা করা হয়েছে; রাম,লক্ষণ, হনুমান, কেহ তাকে রক্ষা করতে পারেনি; লজিক্যালী ভাবলে, এটা পরিস্কার যে, আক্রমণকারীরা রাম ও হনুমানকে আসলে ভগবান হিসেবে মনে স্হান দেয়নি; আক্রমণকারীরা যদি রাম ও হনুমানকে নিজেদের ভগবান হিসেবে বিশ্বাস করতো, যে তরুণ তাদের ভয়ে রাম ও হনুমানকে ভগবান ডেকেছে, তাকে তারা হত্যা করতো না; নিজেরা নরহত্যার ভয়ে থাকতো; এসব ধার্মিকেরা এসব রাম, হনুমানদের রূপকথার চরিত্র হিসেবেই নিয়েছে।
এই যুগে, ধর্ম মানুষকে রক্ষা করতে পারছে না: রাম, শাম, হনুমানরা আজ অসহায়; বরং ধর্ম মানুষের জন্য বিপদজনক হয়ে গেছে; ভারতের ১২০ কোটী মানুষের মাঝে যদি ১ জন মানুষ কিছু পরিমাণ সাধারণ মানুষের বেআইনী অত্যাচারের শিকার হয়ে প্রাণ হারায়, ও শুধুমাত্র ১ জন তরুণী বিধবা হয়ে অনিশ্চিত জীবনে প্রবেশ করে, এটা জনমনে বিশেষভাবে দাগ কাটবে না; কিন্তু যদি সংবিধানের দিক থেকে দেখা হয়, সংবিধানের আওতার বাহিরে থাকা ধর্মীয় মনোভাব ও অনুভুতি যদি 'মাত্র ১ জন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করে, তা'হলে ধর্ম ও ধর্মীয়দের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়ার দরকার আছে'।
বিশ্বের সব অন্চলে ধর্মকে রিপাবলিকের সাংবিধানিক কন্ট্রোলের আওতায় আনা দরকার; বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে। আজকের আধুনিক মানুষ যেখানে নিজের লব্ধজ্ঞানের আলোকে শক্তিশালী মানবিক সংবিধান ও আইন প্রনয়ন করে মানুষের নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ধর্ম সেখানে একটা অলিখিত নিয়মের প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে বহুদেশে, এবং মানুষের সুসম নাগরিক জীবনের উপর অপ্রয়োজনীয় প্রভাব রাখছে, যা সমাজকে কোনভাবে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না।
সামন্তবাদ ও রাজতন্ত্রের যাঁতাকল থেকে মানসিক মুক্তির জন্য মানুষ এক সময় ধর্ম আবিস্কার করেছিলো, তখন স্হায়ী সামাজিক পরিবেশ ও সামাজিক বন্ধনের উপায় ছিলো না বলে, মানুষ পরস্পরের সাথে বন্ধনের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করেছিলো; এখন, রিপাবলিক গঠনের ফলে, মানুষের মাঝে স্হায়ী জাতীয়তা ও জাতীয় সংস্কৃতির বন্ধন গড়ে উঠেছে; ফলে, লজিকহীন বন্ধনের মুল্য হ্রাস পেয়েছে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মের প্রভাব কমিয়ে উহাকে ব্যক্তির চয়েসের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, ইরান, সিরিয়া'র সামনে ধর্মের দেয়াল; ভারত এখন সেখানে নাম লেখায়েছে।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে যত হানাহানি তার মুলে আছে ধর্ম।
শান্তিকামী আধুনিক মানূষেরা দিন দিন ধর্মহীণ হয়ে পড়ছে।
হিন্দু মুসলিম কম দাঙ্গা হয়েছে?? কত মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এই ধর্ম।
ধর্মওয়ালারা সবচেয়ে খারাপ। এরাই দেশটাকে সামনের দিকে যেতে দিচ্ছে না।
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন জাতীয় শাসনতন্ত্র মানুষের সামাজিক অধিকার রক্ষা করছে; ধর্মকে সামাজিক স্তর থেকে ব্যক্তিগত স্তরে নেয়ার জন্য আইন করতে হবে।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:৩৩
ল বলেছেন: @ রাজীব নূর
কোন ধর্ম শিক্ষা দেয় হানাহানি, মারামারি, দাঙ্গা, হাঙ্গামা!!!
এগুলো ধর্ম নাকি উগ্রতা!!!
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সময়ের সাথে বিশ্বে নতুন ধর্নের রাষ্ট্রের জন্ম নিয়েছে, ধর্মের সামাজিক প্রয়োজনীয়তা আর নেই; এখন ইহাকে ব্যক্তিগত চয়েস হিসেবে পালন করতে দিলে, সংঘবদ্ধভাবে অন্য ধর্মের লোকদের প্রতি শত্রুতা কমে আসবে।
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৩২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ধর্ম গুলো তো সেরকমই কথা বলে, ব্যক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ম জোর করে চাপানো যাবেনা।
আলোচনায় যুক্তি আছে
২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্যক্তিগতভাবে যে যার ইচ্ছা মতো ধর্ম পালন করুক; কোন রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় বিষয়ে অংশ নিতে পারবে না, বা ধর্মকে কেন্দ্র করে কোন রাজনৈতিক দল, সামাজিক প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারবে না; এবং নিজের পরিবারের বাইরে ধর্ম প্রচার করতে পারবে না।
৫| ২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৪৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এখানে একটু অমত আছে, নিজের পরিবারের বাহিরেও ধর্ম প্রচার করলে সমস্যা হবার কথা নয় যদি ধর্মের নিয়মে প্রচার করা হয়।আর ধর্মকে কেন্দ্র করে কোনপ্রকার রাজনৈতিক সংগঠন তৈরি নিষিদ্ধ করা পৃথিবীর জন্য উত্তম সিদ্ধান্ত হতে পারে। ধর্মকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করা হলে শাস্তির ব্যবস্থাও করা যেতে পারে, তাতে ধর্মের মর্যাদা রক্ষা হতে পারে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় দল বাংলাদেশে ৭/৮ টা আছে: তার মাঝে জামাত, শিবির অন্যতম; পাকিস্তানেও জামাত আছে; তা ব্যতিত লস্করে তৈয়ব, লস্করে এটা, লস্করে সেটার অভাব নেই। মিশরের ব্রাদারহুডের কারণে মানুষের গণবিপ্লবটা মাটি হয়ে গেছে।
ধর্মীয়রা সব সময় অদক্ষ হয়, তাদেরকে অন্যের আয়ের উপর নির্ভর করতে হয়; ফলে, তারা ধর্মকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করতে বাধ্য।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সারা পৃথিবীতে একটি মাত্র ধর্ম ও একটি মাত্র ভাষা থাকলে পৃথিবীটা আরো বেশী সুন্দর হতে পারতো।
বিধাতা কি এটা বুঝেন না?
২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিধাতা হয়তো বুঝেন; কিন্তু বিধাতা ও মানুষের মাঝে কোন যোগাযোগ থাকার কোন সম্ভাবনা নেই; যোাযোগ থাকলে আপনি টের পেতেন।
৭| ২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
"ধর্মীয়রা সব সময় অদক্ষ হয়, তাদেরকে অন্যের আয়ের উপর নির্ভর করতে হয়; ফলে, তারা ধর্মকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করতে বাধ্য।"
ইহা সত্য, ইহা সত্য, ইহা সত্য।
২৬ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, এটি সঠিক ধারণা
৮| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন:
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মার্ক টোয়েন মানব জাতিকে বুঝতেন।
৯| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
ধর্মীয় রাজনীতির কদর্যতার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত এখন মোদির ভারত। ভারতের হিন্দু জনগণের সিংহভাগ জনগণের ম্যান্ডেট পাওয়ার নিশ্চিত করেছে উগ্র হিন্দুত্বকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়নে। আর এখানেই উগ্র হিন্দুত্বের এত আস্ফালন। যদিও আইন আইনের মত চলছে। মার্কিন পত্রিকা গালমন্দ করলে আবার সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন তুলে আত্মপক্ষ সমর্থন করা হচ্ছে। কাজেই উগ্রবাদীরা রাষ্ট্রের প্রচ্ছন্ন মদত পেয়ে এক প্রকার নিজেদের হিংস্রতাকে বজায় রেখেছে।
আপনার পোস্টটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিভিন্ন খবর ইতিপূর্বে ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে শুনতে পেলেও পশ্চিমবঙ্গে এ দৃশ্যের সঙ্গে আমরা তেমন পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু গতকাল আমরা সে ঘটনারও সাক্ষী হলাম। শিয়ালদা -ক্যানিং লোকালের একদল উগ্র যাত্রী এক মুসলিম যাত্রীকে মুখে দাড়ি ও এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি দেখে মুসলিম শনাক্ত করে জয় শ্রীরাম বলতে ব্যর্থ হওয়াতে মারধোর করে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। যদিও পথ চলতি মানুষ দ্রুত হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে প্রাণ রক্ষা হয় ওই মুসলিম যাত্রীর।
রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ তৃণমূলের বাইরে চলে গেছে। জনগণের উপরে শাসকের রাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে। যে জনগণের সিংহভাগ এখন রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতায়নের স্বপ্নে বিভোর। বিভোর মোদিকরণ গড়নের স্বপ্নে। আমরাও যে যার স্থানে শারীরিক নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পেতে মোদিকরণে ঢোক গিলতে বাধ্য হয়েছি। বেশ আছি। আচ্ছে দিনের শরিক হয়ে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতের মুসলমানদের পোশাক ও চালচলন থেকে যেন চিহ্নিত করতে না পারে, সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে; গরুর মাংস ভুলে যেতে হবে। ভারতকে অপরাষ্ট্রে পরিণত করবে রূপকথার হনুমানের দাসেরা।
১০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩
আহা রুবন বলেছেন: আমরা চাই ভারতে ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার আসুক, কিন্তু বাংলাদেশে চাই ইসলামি দল ক্ষমতায় আসুক। আমি ধর্ম না মানলে পরকালে আগুনে BBQ বানাবে, বা অতি ধার্মিক হলে বাহাত্তরটি হুর পাব; এই লাভ/ক্ষতির ব্যাপারটা তো কেবলই আমার। এগুলো ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবেই থাকা উচিত।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
পাক ভারতের মানুষ সুশিক্ষিত হতে সময় লাগবে; ততদিন ধর্মকে কন্ট্রোল করতে হবে, ব্যক্তি তার ধর্ম পালন করুক; কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে না।
১১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ধর্মীয় গোড়ামি মানব সমাজকে কয়েক যুগ পেছনে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীতে বর্তমানে যত যুদ্ধ, যত অশান্তি তার পেছনে শুধু রাজনীতি নয়, বরং ধর্মীয় উদ্দেশ্যও রয়েছে। পৃথিবীতে প্রায় ৪২০০ টি ধর্ম রয়েছে, এসব ধর্মের রয়েছে কয়েক হাজার সৃষ্টিকর্তা! প্রত্যেক মানুষের কাছেই তার ধর্মই পৃথিবীর সেরা ও বিশুদ্ধতম ধর্ম। আমরা এমন এক গোলকধাঁধায় আছি, যেখানে প্রত্যেকের কাছে তার নিজের পথটিকেই সঠিক মনে হচ্ছে, আর বাঁকিদেরকে বিপথগামী। এধরণের মন মানসিকতা বদলাতে হবে। তবেই এই গোলকধাঁধা থেকে বেরনো সম্ভব।
২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
৪২০০ ধর্মের মাঝে, প্রতিটি ধর্মের লোক বিশ্বাস করছে যে, বাকী ৪১৯৯টি ধর্মের মানুষ ভুল পথে আছে; এটা মানব সমাজের প্রতি অসন্মান ও ভয়ংকর সমস্যা সৃষ্টির কারণ।
১২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এসব ঘটনায় ধর্ম কতটুকু দায়ী আর আইনের শাসন কতটুকু দায়ী তাও ভেবে দেখা দরকার। অন্তত ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানওয়ালা ভারতে তো আইন প্রয়োগ করলেই এসব ঘটনা আর ঘটতে পারে না। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যায় কেউ কাউকে হত্যা করতে পারে, তবে আইন, প্রশাসন চুপ করে থাকতে পারে না। ধর্ম যদি এতই আতংকের হত তাহলে কট্টর দেশ সৌদি আরবে এত আমেরিকান চাকুরি করতে যেত না...
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি হয়তো, কোন এক আরবে থাকেন; তাদের থেকে নিশ্চয়ই অন্য কেহ ইসলাম ধর্ম বেশী বুঝে না; তাদের বেশীর ভাগ কাজই সভ্যতার পরিপন্হি।
ধর্মীয়রা বাধ্য হয়ে দেশের আইন মানে, কিন্তু ওরা দেশের আইন ও ধর্মীয় ভাবনার ভাবনার মাঝামাঝি একটা পথ ধরে চলে, যা অনেক জাতিকে বিশৃংখল করে দিচ্ছে। ভারতের বড় অংশ মানুষ কোনদিন একজন নিরীহ মানুষকে শুধু মুসলমান হওয়াতে হত্যার চেষ্টা চালাবে না, শুধু ধর্মীয়রা এই ভয়ংকর কাজ করবে।
১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, ধর্মের হানাহানীতে ভারত অনেক আগেই চুরান্ত পর্যায়ে আছে এটি একটি রক্ত চাওয়ার বাসনা কামনা, ভারত পাকিস্তান পার্টিশানে যেভাবে মুসলিম হিন্দু নিধন হয়েছে তার আগেও এভাবে নিধন হয়েছে - আসলে ধর্ম হচ্ছে সকল অধর্মের মুল। ধর্ম নামক জাদু খেলাতে প্রচুর রক্তপাত লাগে নয়তো ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়না। ধর্ম মানেই একটি ধর্ম সঠিক বাকী সব ধর্ম মিথ্যা - এখানেই রক্তপাতের সুচনা।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি শেষ লাইনে যেটি লিখেছেন, সেটাই ধর্মগুলোর মাঝে চিরস্হায়ী শত্রুতার সৃষ্টি করেছে।
১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
অনুভব সাহা বলেছেন:
‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মাদ্রাসা শিক্ষককে ট্রেন থেকে ধাক্কা | বিশ্ব সংবাদ | দৈনিক ইত্তেফাক | The Daily Ittefaq
মানুষের বোধশক্তি দিনদিন লোপ পাচ্ছে। ধর্মের নামে উগ্রতার দিকে ঝঁুকছে
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতের নিম্ন মধ্যবিত্তকে জল্লাদের পরিণত করেছে বিজিপি
১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম হলো চতুল লোকদের হাতিয়ার।
আবার দুর্বল লোকদের শেষ আশ্রয়।
এই দুই দলই ধর্মের শিকার।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
কেহ যদি ধর্ম পালন করে সুখী থাকে থাকুক; কিন্তু রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মকে বাদ দিতে হবে।
১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: সন্ত্রাসীদের কোন ধর্মই থাকে না।
ওরা শুধু টেরোরিষ্ট!!!!!!!!
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম মানুষকে পেছনে টেনে রেখেছে, এরা সভ্যতার সাথে তাল মিলাতে না পেরে নিজের ক্ষোভ কাজে লাগাচ্ছে।
১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
হাসান রাজু বলেছেন: ভারত, মিয়ানমার একদম নাকের ডগায় অবস্থান করা দুটি দেশের মুসলমান বিদ্বেষ (+) ৯০% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশকে এখনো যে সংযত রেখেছে সেটা আশ্চর্যের বিষয়। জানিনা একমত হবেন কি না। এদেশের জনগণ এটাকে এখনো সেই সব দেশের রাষ্ট্রীয় অব্যাবস্থাপনা হিসেবেই আমল করছে।
ভয়, যে কোন সময় এটা আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে। দুঃখ যে উগ্ররা এই ধারণা কে ই হাতিয়ার না করে ফেলে যে, আমরা অনেক সহ্য করে ফেলেছি । আর না। কিন্তু ওদের মত হয়ে গেলে আমরা তো আর আমরা থাকব না।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বার্মা বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকর ক্রাইম করছে, ভারত সেইদিকে পা বাড়াচ্ছে; পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ, সৌদীর ইতিহাসও ভয়ংকর।
১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
নজসু বলেছেন:
আমি তো পড়লাম গো মাংস খাওয়ার অপরাধে লোকটাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
আপনার পোষ্ট পড়ে জানলাম ঘটনা অন্য।
মানুষ কিভাবে একটা ঘটনা অন্যদিকে নিয়ে গিয়ে উত্তেজনা বাড়ায়।
আফসোস।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেশীর ভাগ বাংগালী এত অজ্ঞ যে, তারা কোন কিছু সঠিকভাবে বুঝে না।
১৯| ২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট। ধর্মকে ব্যাক্তি চয়েজের পর্যায়ে আনতে হবে এর বিকল্প নেই দারুন সত্য কথা বলেছেন।
২৬ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা ধর্ম পালন করবেন, তারা সেটাকে ব্যক্তিগত ও সবর্বাধিক পারিবারিক পরিবেশে করবেন; সামাজিকভাবে ও রাজনৈতিক মাঠে ধর্মকে কাজে লাগানোর সুযোগ দেয়া বন্ধ করার দরকার।
২০| ২৬ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জয় শ্রীরাম বললে কি লাভ ?
আর না বললে কি ক্ষতি?
২৬ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপাতত: মুখস্হ করে রাখেন, ভারত ভ্রমণে গেলে কাজ দিতে পারে?
২১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ধর্ম মানুষকে বিভক্ত করছে না বরং বিভক্ত করছে ধর্মের বিষয়ে অজ্ঞতা।যেমন আপনি সেই অজ্ঞলোকদেরই একজন।কোন ধর্ম বলে নিরপরাধ মানুষ খুন করতে?বলতে পারবেন?আপনার কথা বাদ দিলাম।আপনার বাবার বাবা বলতে পারবে?
ঐ মিয়া,
আপনাকে তো ফাসি দেওয়া উচিৎ। এধরনের মিথ্যা ছড়ানোর দায়ে,বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর দায়ে।
ধর্মীয় বই কখনও ছুঁয়ে দেখেছেন?কোন আয়াত বলছে? কোন প্রচ্ছদ বলছে তোমরা নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করো।
রিপাব্লিকানদের আন্ডারের নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন?
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী নিরপরাধ মানুষ যারা হত্যা করেছে সেই অমানুষদের আন্ডারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন?
আজকের আধুনিক মানুষ যেখানে নিজের লব্ধজ্ঞানের আলোকে শক্তিশালী মানবিক সংবিধান ও আইন প্রনয়ন করে মানুষের নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ধর্ম সেখানে একটা অলিখিত নিয়মের প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে বহুদেশে, এবং মানুষের সুসম নাগরিক জীবনের উপর অপ্রয়োজনীয় প্রভাব রাখছে, যা সমাজকে কোনভাবে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না।
আরে বেক্কল,
ধর্মীয় বই আগে পড়েন তারপর কথা বলবেন।
মূর্খ কোথাকার।
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার মতো অজ্ঞরা ধর্মীয় বই লিখেছে, পিগমীরা পড়ছে! ব্লগে আপনি যা লিখছেন, বানর তার থেকে ভালো লিখে।
২২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ব্লগে আপনি যা লিখছেন, বানর তার থেকে ভালো লিখে।
বানর লিখতে জানে?
এই মূর্খটাকে কেন যে ব্লগে রাখা হয়েছে।
তাই তো বলি ব্লগে দর্শকদের সংখ্যা হঠাত করে এতো কমে গেল কেন?
আপনাকে ব্যান করা উচিৎ।
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি হতাশ হয়ে ব্লগ থেকে একদিন চলে যাবেন।
২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধর্ম মানুষকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়, তা না হলে মানুষ ধর্মের নামে এতো বর্বর হতো না। আপনার ব্লগ পোষ্টে তার কিছু নমুনা পাচ্ছি। যখণি ধর্মের নামে কোনো বর্বরতা হয় সেই ধর্মের লোক জন বলবে তারা আমাদের ধর্মের না তারা সন্ত্রসী উগ্রবাদী তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় এই উগ্রবাদ কে প্রনোদনা দিচ্ছে - ধর্ম!!! তাহলে ধর্মইতো সকল অধর্মের মুল।
আজকে স্পেস শিপে করেও যদি কেউ বাংলাদেশে নেমে এসে বলে তোমদের ধর্ম ভুল আমার ধর্ম “কুমকুম” গ্রহণ করো তাহলে কি হত্যা রক্তপাত ছাড়াই কুমকুম ধর্ম প্রতিষ্টিত হবে ? প্রশ্নটি চাঁদগাজী ভাইয়ের কাছে - ব্লগে পোষ্ট ও চাঁদগাজী ভাইয়ের। ব্লগ সবার জন্য না।
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
নবী/রসুলেরা বলেছেন যে, তাঁরা সৃষ্টিকর্তা থেকে নির্দেশনা পেয়েছেন; তাঁরা ব্যতিতও কোটি কোটী মানুষ ধর্ম প্রচার করেছে; এখনো কোটী কোটী মানুষ ধর্ম প্রচার করছে। তবে, সব যুগে যারা ধর্ম প্রচার করেছেন, এরা সময়কালীন জ্ঞানী লোকদের চেয়ে খুবই কম জানতেন।
যারা ধর্ম পালন করবেন, তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে ও সর্বাধিক পারিবারিকভাবে ধর্ম পালন করতে দেয়া দরকার; তারা যেন ধর্মকে রাজনীতি ও সমাজনীতিতে আনতে না পারে।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
কেহ যদি ধর্ম পালন করে সুখী থাকে থাকুক; কিন্তু রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মকে বাদ দিতে হবে।
ধর্ম আর আফিম এক জিনিস।
ধর্ম বাদ দিলে দেশ অনেকখানি এগিয়ে যাবে। ভন্ডরা ব্যবসা করার একটা অস্ত্র হারাবে।
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারত একটি ভালো উদাহরণ; গত শতকের মাঝামাঝি ধর্ম নিয়ে ভারত ভয়ংকর অবস্হায় ছিলো; তারপর, গত ৫০ বছর ভারত ছিলো শান্ত; এখন ভারত অন্ধকার যুগে প্রবেশ করছে আবার।
২৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেশের তথাকথিত পীর দেওয়ানবাগ কুতুববাগ শার্শীনা আটরশির পায়ে চুম্বন করছে মেডিক্যাল/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি
পরিক্ষার্থী! এই অন্ধকার সমাজে ছিলো-আছে-থাকবে। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশ সময় রাত বারোটার পর শুরু হয় পীর ফকির আউলিয়া উঝা’র বিজ্ঞাপণ !!!
আমি এমএলএম ব্যাবসার সাথে এই ধর্ম ব্যাবসার মিল পাই। বিজ্ঞানীরা ধর্ম দিয়ে উপকৃত হয়েছে কিনা জানিনা তবে এমএলএম ওয়ালারা ধর্ম ব্যাবসায়ী থিসিস অবলম্বন করে উপকৃত হয়েছেে এটি নিশ্চিত।
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম জানতে ও পালন করতে যতটুকু প্রচেষ্টার দরকার, বাংলাদেশী তরুণদের তার থেকে অনেক বেশী সময়, ভাবনা ও পদক্ষেপের দরকার হচ্ছে।
২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৪
নতুন বলেছেন: মানুষের মাঝে এখন ধম` ভীরুতা নেই, ধম` আছে শুধু নামে।
তাই সন্ত্রাসীরা/ভন্ডরা তাদের অকাজ করে আর ধমেকে নিজের সাথে` ব্যবহার করে।
উপরে ধামি`ক একজনকে দেখলাম ব্লথেকে বের করে দিচ্ছেন লেখকে.... তার পছন্দের ধমের বিপক্ষে লেখার জন্য....
তেমনি আরেকজন তার মতের সাথে মিল না হবার জন্য মানুষকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন....
দুজনের মনমানুষিকতা কিন্তু একই ধারার
https://www.youtube.com/watch?v=8nAos1M-_Ts
রিচাড ডকিন্স তার এই বইয়ে ধমের বিভিন্ন দিক গুলি দেখিয়েছেন খুব চমতকার ভাবে... দেখতে পারেন...
২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঠিক আছে, দেখবো।
পশ্চিমে যারা ধর্ম পালন করছেন, তারা অন্যের জন্য ভীতিকর নয়।
২৭| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধর্মই অধর্মের মূল
২৮ শে জুন, ২০১৯ ভোর ৪:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজনৈতিক দল বা সামজিক সংগঠনকে ধর্মকে কোনভাবে যেন কাজে লাগাতে না পারে; মানুষ ব্যকতিগতভাবে ও পারিবারিক দিক থেকে নিজের ধর্ম পালন করুক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম না থাকলে পৃথিবী টা সুন্দর হতো। হানাহানি হতো। মারামারি কাটাকাটি হতো না।
ধর্ম হলো সবচেয়ে সহজ ব্যবসার মাধ্যম। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি হয়, ব্যবসা হয়।
দেশটা পর্যন্ত ভাগ হয়ে গেল এই ধর্মের কারনে।
ধর্মই এই দেশটারে খাইলো।