![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
আজকের বাংলাদেশে যেই বিশাল পরিমাণ শিক্ষিত বেকার দেখছেন, বাংলাদেশ সরকারের পরনির্ভরশীলতা ইহার জন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী; যেই কাজটি বাংগালীদের করার কথা, সেটা বিদেশীরা করছে; বিদেশীরা অভিজ্ঞ, এতে সন্দেহ নেই; একজন বিদেশী দক্ষলোক টেকনোলোজী ব্যবহার করে, বাংলাদেশে যেই পরিমাণ কাজ করছেন ১ দিনে, সেখানে ৫ জন বাংলাদেশীও সেই পরিমাণ কাজ করলে, দেশের ভালো ছাড়া ক্ষতি হতো না; আমাদের লোকদেরই চাকুরী হতো: তাদের তৈরি রাস্তায় আমরা চলতাম, তাদের তৈরি ইলেকট্রিসিটি আমরা ব্যবহার করতাম, তাদের তৈরি সেতুর উপর দিয়ে আমরা নদী পার হতাম। সেতুতে ফাটল ধরলে, বাংগালীরাই উহা মেরামত করতো, এবং ক্রমেই একদিন দক্ষ হয়ে উঠতো!
২০১২ সালের জুন অবধি, বাংলাদেেশ সরকার জানতেন যে, পদ্মাসেতু হচ্ছে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের টাকায়; সরকার সেই জুনে বিশ্ব ব্যাংক থেকে পত্র পেলেন যে, বিশ্ব ব্যাংক টাকা দেবে না; মুহিত সাহেব মালয়েশিয়া, দুবাই, চীন গেলেন টাকার সন্ধানে; প্রাথমিকভাবে টাকার কিছু আশ্বাস পেয়েছিলেন; কিন্তু ৩,০০০,০০০,০০০ ডলার যারা দিতে চাচ্ছিলেন, তারা অনেক শর্ত জুড়ে দিচ্ছিলেন; একটা শর্ত ছিলো: টাকা পরিশোধ না হওয়া অবধি, সেতুর ম্যানেজমেন্ট ওদের হাতে থাকবে; এখানে শেখ হাসিনা আটকে যাচ্ছিলেন। প্রায় বছর খানেক আকাশ পাতাল চষার পর, শেখ হাসিনা ঘোষণা করলেন, "নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করবো"। কিন্তু বিশ্ব ব্যাংক ঘোষণা দেয়ার পরদিন শেখ হাসিনা বলেননি যে, নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করবেন; এক বছর সময় কেন লেগেছিলো? এক বছরে, বিবিধ ঘাটের পানি খেয়ে, শেখ হাসিনার জ্ঞান বেড়েছিলো।
নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করতে যাওয়ায়, শেখ হাসিনার (বাংলাদেশ সরকারের) আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, এটা বিরাট ব্যাপার; জাতি প্রথমবার, বড় একটা প্রজেক্ট মাথায় নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ায়েছে। বিশ্ন ব্যাংকের টাকায় পদ্মাসেতু করলে, আরো ভালো হতো; কারণ, এত সস্তায় (০.৭৫ শতকরা হারে ঋণ) ক্যাপিটেল আজকাল মা-বাবার কাছ থেকেও পাওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ব ব্যাংক সেতুটি ২.৯৫ বিলিয়ন ডলারে করার প্ল্যান করেছিলো; হয়তো, উহা বেড়ে টেড়ে সাড়ে ৩, বা ৪ বিলিয়নের ভেতর হয়ে যেতো; কিন্তু ইহা এখন ৬ বিলয়ন বা তার বেশী ডলারে করা হবে।
পদ্মাসেতু নিজে করলেও, বাংলাদেশ সরকার কিন্তু পরনির্ভশীলতা থেকে বের হয়ে আসিনি; সরকার, পদ্মাসেতুর নিজের উপর নেয়ার পর, ভারত থেকে অনেক ঋণ নিয়েছে; বর্তমানে, সরকার চীন থেকে অনেক বিলিয়ন ডালর ঋণ নেয়ার চুক্তি করেছে! চীন থেকে শুধু ডলার আসবে না, আসবে লোকবল ও টেকনোলোজী। অভিজ্ঞ লোকবল দরকার আছে, সেটা সঠিক; কিন্তু আমাদের অনভিজ্ঞ লোকবলের কি হবে? মনে হচ্ছে, আমাদের শিক্ষিত বেকারেরা চাকুরীর অভাবে সামান্য বিয়েটুকুও করতে পারবে না; এগুলো ভালো ভাবনা নয়, এগুলো খারাপ ম্যানেজমেন্ট!
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকের সরকারও বাজেট থেকে সুদে-মুলে ডলার পরিশোধ করছে; কিন্তু তারা সেটাকে লো-প্রোফাইলে রাখে। আবার, প্রাইভেট বিশ্ববিদয়ালয় ইত্যাদি থেকে যেসব পংগু গ্রেজুয়েট বের হচ্ছে, তারা বিদেশী ঋণ, সরকারী বন্ড, পাবলিক ফাইন্যান্স, বাজেট ইত্যাদি সঠিকভাবে বুঝে না; ফলে, তারা চাকুরী না পেলে, ধরে নেয় যে, খোদা উহাকে সৌভাগ্য দেয়নি।
বিদেশী ঋণ নিয়ে আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুগাল, গ্রীস ভয়ংকর অবস্হায় আছে, তাদের বেকারেরা দেশের বাইরে পালাচ্ছে
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বড় অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে বলে দাবী করা হয়। এতো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তাহলে এতো বেকারত্ব কেন?
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুহিত সাহেব সত্যবাদী ছিলেন না; আবার প্রবৃদ্ধির হার হিসেব করার সময়, ২/৪টা 'ভেরিয়েবল'এর মানকে একটু 'মাসাজ' করে দিলে, ফলাফল বদলে যায়; তদুপরি, উনারা কি ধরণের সফটওয়ার ব্যব হার করতেন, ইত্যাদি অপরিস্কার।
আপনি উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণটা নেন (আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন ডলার), তারপর, মিনিষ্ট্রি অব প্ল্যানিং ও ইমপ্লিমেনটেনশনের লোকবল দেখেন; এরা ১ বছরে, ৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে, সেটা থেকে আগামী ২/৩ বছরে শতকরা ৮ ভাগ রিটার্ন পাবার মতো লোকজন এরা? দুনিয়ার গোজামিল, মনে হয়
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
মোগল সম্রাট বলেছেন: এমন জবলেস গ্রোথ চলতে থাকলে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া তো দুরের কথা মধ্য আয়ের দেশ হওয়াও আকাশ কুশুম কল্পনা।
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশ আগের স্হানে আছে, তৃতীয় বিশ্ব; সরকার প্রচারণা চালাচ্ছে ও আইএমএফ ইত্যাদিতে লবিং করছে ষ্টেটাস বদলানোর জন্য, আসলে কিছু ঘটছে না।
৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শেষের শব্দ দুটো হবে। " খারাপ ম্যানেজমেন্ট"।
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ঠিক করেছি।
প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে মাহাথিরের নিয়ম কানুন সঠিক হচ্ছে না; উনি ভুলে যাচ্ছেন যে, এরা পরিবারের জন্য আয় করতে মালয়েশিয়া গেছেন, ও মালয়েশিয়া এদের শ্রম থেকে লাভবান হচ্ছে।
৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: "প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে মাহাথিরের নিয়ম কানুন সঠিক হচ্ছে না; উনি ভুলে যাচ্ছেন যে, এরা পরিবারের জন্য আয় করতে মালয়েশিয়া গেছেন, ও মালয়েশিয়া এদের শ্রম থেকে লাভবান হচ্ছে।"
মাহাথির নিজেও চান না যে, বিদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়াতে কাজ করুক। তিনি প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলে থাকেন, মালয়েশিয়ার তরুণরাই এ দেশের সব কাজ করবে। যেন দেশের টাকা দেশেই থাকে। আমার মনে হয় না যে তার ভাবনায় কোনো গলদ আছে । গলদ যদি থাকে সেটা আমাদের দেশের নেতাদের । নিজের দেশের শ্রমিকদের নিজের দেশে কাজ দিতে হবে। অন্য দেশে গিয়ে গোলামী করার কোন অর্থ নেই। লাখ লাখ শ্রমিকের কোন পারিবারিক জীবন নেই। মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। একটাই তো জীবন।
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মালয়েশিয়া অতীতে শ্রমিক নেয়াতে, ও মাঝখানে 'প্রয়োজনের তুলনায় বেশী' শ্রমিক নেয়ায়, বাংলাদেশের নিরক্ষরেরা ওখানকার প্রয়োজনীয়তা অনুমান করতে পারছে না। যারা ওখানে চলে গেছে, তাদেরকে জরিমানা না করে দেশে ফেরত দিলে হয়; বাংলাদেশ সরকারের সাথে বসে, যাতে মানুষ শুধুমাত্র 'মালয়েশিয়ার সরকারী টিমের' মারফত সেই দেশে যেতে পারে, সেটার ব্যবস্হা করার দরকার।
৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, প্রসঙ্গক্রমে আপনি এই লিংকে দেয়া খবরটি একটু পড়ে দেখতে পারেন । সে ক্ষেত্রে আপনার প্রশ্নের জবাব খুঁজে পেতে পারেন । আপনার চিন্তার খোরাক যোগাবে।
http://www.dailysangram.com/post/305302-১২-লাখ-বিদেশী-বসবাস-করলেও-আয়কর-দেন-মাত্র-১৬-হাজার
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঠিক আছে, পড়বো।
৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটি পড়ুন
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটিও দেখবো; বাংলাদেশের গরীব মানুষেরা নিজের চেষ্টায় মালয়েশিয়া যায়, এটুকু ড: মাহাথির নিশ্চয় জানেন।
৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের সব বেসরকারি কর্পোরেট হাউসে একটি মনস্তত্ত কাজ করে -
বিদেশী ম্যানেজাররা কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হয়, প্রতিষ্ঠানে একটা শৃক্ষলা থাকে। বাংলাদেশী থাকলে স্বজনপ্রীতি বিশৃক্ষলা হয়।
যদিও এসবের কোন ভিত্তি নেই।
আর ভারতীয় বিশেষ ভাবে সাউত ইন্ডিয়ানদের আগ্রাসন বিশ্বব্যাপি।
গুগল বলেন উবার বলেন আপনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সবচেয়ে বেশী সিইও ভারতীয়।
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকায় চাইনীজ, ভারতীয় সিইও আছে, আমেরিকার সেই সম্পদ, ব্যবসা ও আয় আছে; বাংলাদেশ ঋণ করা টাকা থেকে বিদেশীদের বড় বেতন দিচ্ছে, এ হলো পার্থক্য।
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব। সেটি থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা সরকারের আছে কি না আমার জানা নেই। এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ সর্বাগ্রে। কারন আমাদের ছোট্ট দেশে রয়েছে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী...... এটিকে জনসম্পদে পারিণত করতে পারলে দেশটি অর্থনৈতিক ভাবে অনেক এগিয়ে যাবে। আর ৬ বিলিয়ন টাকার সিস্টেম লস কতো ? এই টাকা কার পকেটে যাচ্ছে সেটা সহজেই অনুমেয়।
দারুন পোস্ট ।+
০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি প্রশাসনের অংশ, আপনি এগুলো জানার কথা। প্রশাসনের লোকেরা কি জাতিকে সাহায্য করছে?
১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: যেদিন পদ্মাসেতু উদ্ববোধন হবে আমি সেদিন গাড়ি নিয়ে যাবো সেতুতে। এপাড় থেকে ওপারে চলে যাবো কয়েক মিনিটে!!! ফেরিতে খুব ভোগানি।
০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
পদ্মাসেতুতে যদি বাজেট থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়, এই বিশাল পরিমাণ টাকা ৫/৬ বছরে বাজেট থেকে স্হাবর সম্পত্তিতে চলে গেলো; এতে, বেকার সমস্যা বেড়েছে ৬ বছর ধরে।
আপনি যেদিন গাড়ীতে যাবেন, অনেক 'শিক্ষিত বেকার' সেদিন টাকার অভাবে বাসেও পদ্মাসেতু পার হতে পারবেন না।
১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে দক্ষ লোক আছে বিদেশের মাটিতে রাস্তা তৈরি করছে ব্রিজ তৈরি করছে ড্যাম তৈরি করছে যে সকল প্রতিষ্ঠান সেখানে বাংলাদেশের লেবার, টেকনিসিয়ান, মেকানিক, ছোট ইঞ্জিনিয়ার, মাঝারী ইঞ্জিনিয়ার, বড় ইঞ্জিনিয়ার এমনকি প্রজেক্ট ম্যানেজার সহ ডিরেক্টর ও আছে যারা গাধার গর্ধভের মতো খেটে অল্প বেতনে চাকুরী করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে। হয়তো বলতে পারেন অনেকে এই সকল এক্সপার্ট লোক দেশে আসলে প্রজেক্ট শেষ হলে আবার কোথায় যাবে - খাবে কি ? - কোথাও যেতে হবে না, দেশের ছেলে দেশে থাকবে। কারণ বাংরাদেশে প্রতিনিয়ত বড় বড় প্রজেক্ট হচ্ছে যেখানে ইতালীয়, থাই, জাপানী, চীনা, ভারতীয় লোকবল চাকুরী করে অত্যাধিক ও উচ্চমুল্য বেতন নিয়ে চলে যাচ্ছে।
আমি বিস্তারিত পোষ্ট আকারে দিচ্ছি। চাঁদগাজী ভাই, বাংলাদেশে সরকার সর্বক্ষেত্রে দায়ী তবে তারচেয়ে বেশী দায়ী এই দেশের সাধারণ মানুষ। এরা ইডিয়ট।
০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগার "নীল আকাশ"কে জেনারেল করা হয়েছিলো, উনি দাবী করে ছিলেন যে, উনি "সত্য বলাতে" উনাকে জেনারেল করা হয়েছে; উনি রাজনীতিবিদ নন, এই ব্লগে লেখেন; ব্লগে লিখে কেহ মিথ্যা বলুক, এটা কাম্য নয়; আমি উনার মিথ্যার প্রতিবাদ করেছি; কমপক্ষে ৩০/৩৫ জন ব্লগার উনার পক্ষে থাকায়, উনি আমাকে গালি দিতে পেরেছেন।
১২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
পুলক ঢালী বলেছেন: চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া করনীয় কিছু নেই । মনের কথা ব্লগে লিখে মনের শান্তি কামনা করবেন ?? ব্লগও আক্রান্ত।
আমরা হুজুগে চলি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। পদ্মা সেতু নিয়ে লিখবোইনা কিছু, যমুনা সেতুর কথা বলি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন যেদিন থেকে যমুনা সেতু চালু হবে সেদিন থেকে ট্রেন সেতুর উপর দিয়ে চলবে। তখন যমুনা সেতুর কাজ প্রায় শেষ ।
আচ্ছা ! একটা সড়ক সেতু ডিজাইন করে তৈরী করে তার উপর দিয়ে ট্রেন চালানো যায় ? (যায় যদি কল্পনায় বাস মহাশূন্যে পাঠাতে চাওয়া হয়) একেবারেই না। প্রধানমন্ত্রীর ভাষনকে রাজনৈতিক বলে সমীক্ষা টমীক্ষার কথা বলে বলা যেত মাটি নরম বরঞ্চ পাশে দিয়ে আরেকটা রেল সেতু করা যায় কিনা সেটা বিবেচনা করা হচ্ছে। বাস্তবে কি হলো সবাই দেখেছে অথচ কোন কারিগরী টীম প্রধান মন্ত্রীকে সমস্যা বুঝাতে গেল না।
এদিকে আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা কি করলেন যমুনা সেতুর উপর স্থাপিত গ্যাস লাইন পানি দিয়ে লিকেজ পরীক্ষা করতে গেলেন গ্যাসের ওজন আর পানির ওজন সমান ??? ফলাফল হাজার হাজার টন পানির ভারে সেতুর ব্রাকেট থেকে পাইপ ছুটে নদীতে পতন।
আবার ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভারের ডিজাইন আমেরিকা থেকে করিয়ে এনে ফ্লাইওভার তৈরী করা হল। তৈরীর পর দেখা গেল রং সাইড দিয়ে অন্য গাড়ীর মুখোমুখি হয়ে ফ্লাইওভারে উঠতে হবে এবং রং সাইড দিয়ে নেমেই আগত গাড়ীর মুখোমুখী হতে হবে। ফলাফল কি হবে?? সঙ্ঘাতে সঙ্ঘাতে গাড়ী ধ্বংস মানুষের মৃত্যু। কেন এমন হলো? কারন আমেরিকায় গাড়ী চলে ডান দিক দিয়ে আর আমাদের দেশে চলে বামদিক দিয়ে। ডিজাইন ঐ ভাবে এসেছে সেটা দেখা ও স্টাডি করার কথা কেউ মনে করেনি। ওটা যাচাই করার মত কোন মানুষ দেশে নেই?? ছিল । ফ্লাইওভার বানাবার পর ঘোল খেতে হলো আরো হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আরেকটা ফ্লাইওভার বানাতে হলো। এই তো আমরা।
আমাদের সাবেক চার বিভাগে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় রেখে সব বন্ধ করে দেওয়া দরকার ছিল এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সবাইকে কারিগরী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বাধ্যতামুলক করা দরকার ছিল। (কোন জেনারেল এডুকেশন নয়)
পদ্মাসেতুর সব টাকা এইখাতে বিনিয়োগ করে দরকার হয় আরো ২০ বৎসর পরে পদ্মাসেতু বানানো যেতো ।
আমাদের কারিগরী ভাইদের বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিটেন্স দিয়ে।
হা হা হা অহেতুক বকবক করলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আজকের ক্ষমতাবানরা একদিন থাকবেন না। তখন এই বিপুল ঋণের বোঝা কী জাতি বইতে পারবে? এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করাই তখন মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। ভয়াবহ বেকারত্ব সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে থাকবে।