নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধারা যেই গানটি গেয়েছেন, সেটাই জাতীয় সংগীত

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮



১৯৭১ সালে, যুদ্ধরত অবস্হায় জাতির যোদ্ধারা ও জাতি যেই গানটিকে তাঁদের ইমোশানের অংশ হিসেবে গেয়েছেন, সেটাই আমাদের জাতীয় সংগীত।

যুদ্ধের মাঝে, পতাকা উত্তোলেনের সময়, মুক্তিযোদ্ধারা যেই গানটি গেয়েছেন, সেটাই আমাদের জাতীয় সংগীত, সেটাই 'সোনার বাংলা'; এর বাইরে যারা অন্য গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে চাচ্ছে, তাদেরকে গড়ে ৫ বেত করে দেয়ার দরকার, এটাই বড় গণতন্ত্র।

১ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টারে সকালে নাস্তার আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হতো, জাতীয় সংগীত গাওয়া হতো, পি,টি ও প্যারেড হতো; এসব ছিল হেডকোয়ার্টারে অবস্হানরত মুক্তিযোদ্ধাদের দৈনিক রুটিনের অংশ। 'সোনার বাংলা'কে কখন কিভাবে জাতীয় সংগীত হিসেবে নেয়া হয়েছে, যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের কেহ জানতেন বলে আমার মনে হয় না; তবে, সবাই প্রচন্ড ইমোশান নিয়ে গানটি গাইতেন। সেই সময় যারা হরিণায় ছিলেন, তাঁদের শতকরা ৯৫% গ্রামের তরুণ ও ছাত্র ছিলেন; ছাত্ররা পরীক্ষায় ১০ লাইন কবিতা মুখস্হ লিখতে গিয়া ঘর্মাক্ত হয়ে গেলেও 'সোনার বাংলা' অনেকেরই মুখস্হ ছিলো, দেখলাম।

গানটি নিশ্চয় ১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্হায়ী সরকার জাতীয় সংগীত হিসেবে নিয়েছেন; এই ব্যাপারে কারো কোন প্রশ্ন ছিলো না; গ্রামের তরুণরা নিশ্চয় পল্লীগিতি, ভাটিয়ালী গান, গুণাই বিবির গান, রূপবান ও রহিম বাদশা'র গানের বাইরে তেমন কোন গান জানতেন না; তাঁরা পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতও মুখস্হ জানতেন না; কিন্তু খুবই স্বল্প সময়ের মাঝেই সবাই 'আমার সোনার বাংলা'কে রপ্ত করে নেন; কারণ, গানটা ছিলো প্রানের গান। যুদ্ধে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সিদ্ধান্তই সঠিক ও শেষ সিদ্ধান্ত।

ত্রিপুরার ভেতরে, ১ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার, হরিণার আশেপাশ কোথায়ও 'যেডফোর্স'এর একটা হাইড-আউট(হেডকোয়ার্টার) ছিলো; ষ্টুডেন্ট প্লাটুনকে কখনো ওখানে নেয়া হয়নি; চাঁদগাজী (চাঁনগাজী) যু্দ্ধের পর একরাতে ষ্টুডেন্ট প্লাটুনকে সেখানে নেয়া হয়; রাতটা ছিল ভয়ংকর খারাপ: পাহাড়িয়া বৃষ্টি, মশা, পিপড়ার মাঝে থাকা। সকালে, ক্যাপ্টেন হামিদ ষ্টুডেন্ট প্লাটুনকে জাতীয় সংগীত গেয়ে পতাকা তুলতে অর্ডার দেন। অনেকেই গানটি ভাসা ভাসা জানতেন; কিন্তু লীড-গায়ক কে হবেন?

চট্টগ্রামের নিজামপুর কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র শফিউল আলম নিজের থেকে সামনে গিয়ে গানটা তুললেন; সবাই অংশ নিলেন: ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্টের সবাই গলা মিলালেন। পরবর্তী কয়েক দিনের ভেতর শফিউল আলমে'র কাছ থেকে গানটি সবাই শিখলেন। এরপর, শধু পতাকা তোলার সময় নয়, অবসরেও সবাই গলা মিলায়ে গানটি গাইতেন; বিশেষ করে, বিকেলে চা খাওয়ার সময়, ইপিআর'দের অনুরোধে শফিউল আলম গানটি প্রায় প্রতিদিনই গাইতেন।

আজকে যারা 'সোনার বাংলা'র বাইরে অন্য জাতীয় সংগীতের কথা বলছে, তারা মুক্তিযু্দ্ধের অংশ নয়; তারা মুক্তিযুদ্ধ ও বাংগালীদের গৌরবের দিনগুলোকে হেয় করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে; ওদেরকে গড়ে ৫ বেত করে দেয়াই হবে ওদের সঠিক গণতান্ত্রিক অধিকার।


মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

ভাবুকলাল বলেছেন: একশত ভাগ সহমত

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেইদিন (১৯৭১) যুদ্ধের মাঝে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত; কারণ, যাঁরা যুদ্ধে ছিলেন, সি্দ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তাঁদেরই ছিলো।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ তারিখে ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা শেষে ঘোষিত ইশতেহারে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



তাই? ওকে!

তবে, সেটা ছিলো ঘোড়ার আগে গাড়ী জুড়ে দেয়া।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

জুন বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত বাজলে চোখে কেন জানি পানি চলে আসে । আমার মনে হয় অল্প কিছু লোকের ভাবনা নিয়ে না ভাবাই ভালো। আমি মনে করি আমার মত সবারই একই রকম অনুভুতি হয় চাঁদগাজী।
থাইল্যান্ডে প্রতিদিন সকাল ৮টা আর বিকাল ৬টায় টিভি রেডিও এবং লাউড স্পিকারে সব যায়গায় যেমন অফিস আদালত, ট্রেন মেট্রো স্টেশন, পার্কে , জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় । সেই এক মিনিটের জন্য সবাই দাঁড়িয়ে যায় যার যার জায়গা থেকে অত্যন্ত শ্রদ্ধাবনত ভাবে। লুম্ফিনি পার্কে সকালে শরীর চর্চা করতে আসা শত শত লোকজন স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে যায় । আমি একবার অবাক বিস্ময়ে দেখেছিলাম লাস্ট স্টেষনে স্কাই ট্রেন দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এক মিনিট জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর সময় । বিদেশীরাও তখন দাঁড়িয়ে যায় ।

ছবিতে দেখেন পথের উপর দোকানীদের সাথে ক্রেতারাও দাঁড়িয়ে আছে জাতীয় সঙ্গীতের সময় ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের ইতর প্রাণীদের সংখ্যা বাংগালীর চেয়ে অনুপাতে বেশী বাড়ছে!

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সোনার বাংলা বেস্ট

ভারতের জাতীয় সঙ্গিতও ভালোই

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালের মানুষের সিদ্ধান্তই সঠিক ও শেষ সিদ্ধান্ত

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন:

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালের পরাজিতরা ১৯৭১ সালের বিজয়ী জাতিকে হেয় করার চেষ্টা চলায়ে যাচ্ছে।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: বাংলাদেশে নতুন যে জেনারেশন তাদের মুক্তিযুদ্ধ ,স্বাধীনতা ,দেশ সম্পর্কে আমার মনে হয়না কোন দায়িত্ববোধ বা কান্ডজ্ঞান খুব একটা আছে । বেশির ভাগ ই হুজুগে ...।কথাটা একটু কড়া হয়ে গেল ।কিন্তু কথা সত্য। সব জায়গায় হাত দিতে নেই ।সব কিছু চাইলেই বদলে ফেলা যায় না ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালের বিজয়ীরা ব্যতিত, জাতীয় সংগীত নিয়ে অন্যদের কোন মতামত থাকতে পারে না।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন: ++++

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতীয় সংগীতে বিপক্ষে যে কথা বলবে, তাকে শাস্তি দেয়ার দরকার।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: I'm groot :-0

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কমিক বইয়ের চরিত্র, গ্রূট?

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




সহব্লগার জুন এর মন্তব্যেরর উত্তরে আপনার এই কথাটি ----আমাদের ইতর প্রাণীদের সংখ্যা বাংগালীর চেয়ে অনুপাতে বেশী বাড়ছে! তুলে দিলুম সংক্রামক ভাবে আপনার বক্তব্যে সাড়া দেয়ার জন্যে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশের অনেক ইতর প্রাণী ও স্বল্প সংখ্যক বাংগালী জন্ম নিচ্ছেন একই সময়ে।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে প্রশ্ন তোলা অর্বাচিনতা বই অন্য কিছু নয়।
পোস্টের এক জায়গায় ভুলে বরীঠাকুর লিখা হয়েছে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যাবাদ।
কোনটা শুদ্ধ, বরীঠাকুর, নাকি রবীঠাকুর?

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৭

অন্তরা রহমান বলেছেন: এই বিষয়ে আসলে কিন্তু কোন প্রশ্ন উঠে নাই। ওই গর্ধব নিজের মতপ্রকাশের কথা বলতে গিয়ে একটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলে ফেলেছে। এখন সাপের হরিণ গেলার দশা হয়েছে। তবে এই প্রশ্নের কোন মানেই নেই। সোনার বাংলা-ই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই গানের কথা ও শিল্প নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই, অনেকের মাথা ব্যথা আছে গীতিকারকে নিয়ে।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বেতের মাইর চালু থাকতে হবে। এর বিকল্প নাই।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিজ জাতিকে যারা সম্মানের চোখে দেখে না, তাদেরকে শাস্তি দিতে হয়।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গানটা সফট। ভেতরে নাড়া দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

যারা বিরোধিতা করছে তারা ভেতরে মারাত্মক সাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



গানে সমস্যা নেই, ইতরদের মনে সমস্যা

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইডিয়েটরা এই গান নিয়ে বিতর্ক করে। গানটি গাইলে এদের চোখে রবীন্দ্রনাথের চেহারা ভেসে ওঠে। কিন্তু নিজের মাতৃভূমির কথা মনে পড়ে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা যেদিন সরবে, এরা বাংলাদেশকে আক্রমণ করবে।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেশে ইতর প্রাণী ডেঙ্গু মশার মতোই নালা নর্দমায় জন্ম নিচ্ছে আর দেশ বিরোধী কর্মে লিপ্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা সময় ও সুযোগ পেয়েছিলেন, কাজে লাগাননি; শক্তিশালী একটা জেনারেশন গড়ে তুললে, আগাছাগুলো নিজের থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যেতো; উনি গত ৯ বছর দরকারী কিছু করেননি; সুযোগে আগাছাগুলোই বাড়ছে।

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩৬

সুপারডুপার বলেছেন: [link|https://youtu.be/PFZD7bYKkUA|মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীত

সহমত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭১ সালে, জাতি ও মুক্তিযোদ্ধারা যে গানটি গেয়েছেন, সেটাই আমাদের জাতীয় সংগীত; জামাত-শিবির-রাজাকারেরা যেটা গেয়েছে, সেটা পাকীদের সংগীত; এখন পাকীদের বাচ্চারা ওদের বাবার গান যোগ করতে চাচ্ছে, মনে হয়।

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শেখ হাসিনা সময় ও সুযোগ পেয়েছিলেন, কাজে লাগাননি; শক্তিশালী একটা জেনারেশন গড়ে তুললে, আগাছাগুলো নিজের থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যেতো; উনি গত ৯ বছর দরকারী কিছু করেননি; সুযোগে আগাছাগুলোই বাড়ছে। - সহমত ।
খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি জাতীয় সগীত নিয়ে কেও কটাক্ষ করে, ভিন্নমত পোষন করে । এদের কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা
হওয়া উচিত । মাত্র ৫ টি বেতের ঘা এদের জন্য কোন শাস্তিই নয় , এদের প্রতি জাতীয় পর্যায়ে সকলের ঘৃনা প্রদর্শই একটি
বড় শাস্তি । জাতির একটি গৌরবকে এরা কোথায় নিয়ে যেতে চায় সেটিই ভাবনার বিষয় ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের অদক্ষতার কারণে, যারা নিজ জাতির বিপক্ষে যু্দ্ধ করে পরাজিত হয়েছিল, তারাই আজ শক্তিশালী; অপরদিকে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন ও মুক্তিযোদ্ধারা গরীব। তাজুদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা রেখেছিলো, ফাকড-আপ বাংগালী ব্যুরোক্রেটরা, যারা ১৪ই ডিসেম্বর অবধি পাকিদের সাহায্য করেছে, তাদের চাকুরী রেখেছে; কিন্তু ১ লাখ ভলনটিয়ার মুক্তিযোদ্ধাকে খালি হাতে বাড়ী পাঠায়ে দিয়ে, আজকের এই অসম সমাজ ব্যবস্হার সৃষ্টি করেছে।

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:১০

কানিজ রিনা বলেছেন: বাংলাদেশ দেশ যতদিন থাকবে
জাতীয় সঙ্গীত ততোদিন থাকবে।
জাতীয় সঙ্গীত রদ হলে তা হবে
একজন মুসলিম মায়ের ছেলে
যখন নাস্তিক হয়ে যায় ঠিক
তেমন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি পাকিস্তানপন্হীদেরও সাপোর্ট করেন, আমার কথাও সাপোর্ট করেন; আপনাকে নিয়ে সমস্যা

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৪১

কানিজ রিনা বলেছেন: যাহারা নিজ দেশের জাতীয়
সঙ্গীতকে বিকৃত বা অশীকার
করে তারা ঠিক নাস্তিকের
মতই সত্যকে অশীকার করে।
তাদের বিচার কি হতে পারে
যা দেশ দ্রোহী আইনে তাদের
জ্বীহ্বা কেটে দেশ থেকে বেড়
করে দেওয়া।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখছেন, আফগানিস্তানে কারা শক্তিশালী? যারা মেয়েদের ঘরের বের হতে দেয় না, যার ৪ বিয়ে করে, যারা মেয়েদের পড়তে দেয় না, তারা শক্তিশালী; বাংলাদেশও সেইদিকে যাচ্ছে!

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কারা কটাক্ষ করছে? তাদের পরিচয় বললে ভাল হত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীদের পক্ষে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়েছিল, তারাই এসব করে বেড়াচ্ছে

২১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫

ভাবুকলাল বলেছেন: জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত নিয়ে যে সব বরাহ নন্দন / নন্দিনী গন অহেতুক জল ঘোলা করতে চায় তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া উচিৎ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আসলে, জামাত-শিবির ও রাজাকারেরা নিজেদের এদেশের নাগরিক মনে করে না; ওরা মানসিকভাবে পরাজিত ও পাকিস্তানের নাগরিক।

২২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
তাই? ওকে!
তবে, সেটা ছিলো ঘোড়ার আগে গাড়ী জুড়ে দেয়া।

রবীন্দ্রনাথ অপরিণত বাংলা ভাষাকে সাহিত্যের সব শাখার জন্য তৈরি করে দিয়েছিলেন। বাঙালি তাঁর এই কৃতিত্বকে বোঝার চেষ্টা করে নি। রবীন্দ্রনাথের ওপর গবেষণার নামে একের পর এক থান ইট তৈরি করেছে, বালিশ হিসেবেও সেগুলি ব্যবহার করা যায় না। আর কী করেছে? উত্তর : গলা কাঁপিয়ে আবৃত্তি করেছে এবং হারমোনিয়াম বাজিয়েছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা পড়ালেখা করেছে, ১০ম শ্রেণীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কিংবা নজরুল ইসলামের ১০ লাইন কবিতা মুখস্হ লিখতে গিয়ে নকল করেছে; যারা লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি, তাদের তো সাহিত্য নিয়ে মতামত নেই।

২৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশেই আর থাকবো না। যতদিন এখানে আছি ততদিন আমি - I'm Groot :(

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



দাসে পরিণত হওয়ার ইচ্ছা থাকলে বিদেশে চলে যেতে পারেন।

২৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: আমরা কোথায় যাচ্ছি কোথায় যেতে চাই নিজেরাই জানিনা।
দিকভ্রান্ত জাতিকে কে পথ দেখাবে ? সঠিক নেতৃত্বর বড় বেশী অভাব ।
চাঁদগাজী বলেছেন
শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের অদক্ষতার কারণে, যারা নিজ জাতির বিপক্ষে যু্দ্ধ করে পরাজিত হয়েছিল, তারাই আজ শক্তিশালী; অপরদিকে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন ও মুক্তিযোদ্ধারা গরীব। তাজুদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা রেখেছিলো, ফাকড-আপ বাংগালী ব্যুরোক্রেটরা, যারা ১৪ই ডিসেম্বর অবধি পাকিদের সাহায্য করেছে, তাদের চাকুরী রেখেছে; কিন্তু ১ লাখ ভলনটিয়ার মুক্তিযোদ্ধাকে খালি হাতে বাড়ী পাঠায়ে দিয়ে, আজকের এই অসম সমাজ ব্যবস্হার সৃষ্টি করেছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার পর, তাজুদ্দিন সাহেবের ভুলের ফলে জামাত ও বাংলাদেশ বিরোধীরাই বেশী সুযোগ পেয়েছে।

২৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কতবড় ছাগল হলে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিরোধিতা করে।
ওদের জানা উচিত পৃথিবীর ৩ টি দেশের জাতীয় সঙ্গীত রবীন্দ্রনাথের বাংলায় রচিত রবীন্দ্রসঙ্গীত।
পরে সেসব দেশের স্থানিয় ভাষায় ট্রান্সলেট করা হয়েছে।


অন্যান্ন দেশের সামাজিক অবস্থার সাথে সাথে বাংলাদেশের তুলনা চলে না।
বাংলাদেশ যুদ্ধকরে স্বাধীন হওয়া দেশ। যুদ্ধে যত না মারা গেছে তার চেয়ে অনেকগুন বেশী মারা গেছে পরাজিত স্থানীয় আল-বদরদের নির্বিচার গনহত্যায়। পরাজিত স্থানীয় আল-বদররা সারেন্ডার করেনি। দাড়ীকামিয়ে পালিয়ে ছিল, কিছু পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জামাতের আশ্রয়ে ছিল। এদের আন্ডাবাচ্চাদের হাইব্রিড বংশবৃদ্ধি হয়েছে।

আপনার বুঝতে হবে পাকি আমলেই দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ ছিল।
পাকি সমর্থক আন্ডাবাচ্চারা ও তাদের সমর্থকরা বাই ডিফল্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত বিরোধি হবে।
পাকি সমর্থক আন্ডাবাচ্চারা ও সমর্থকরা সামুর জনপ্রীয় হওয়ার শুরুর দিকে তাদের মূল বিদ্বেষের জায়গা ছিল- "হিন্দু" ও "ভারতীয়" কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী তথা বাংলাদেশ বিরোধী একটা গান কিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করা তথা বাংলাদেশের উন্নয়ন না চাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কেন জাতীয় সঙ্গীত হবে ইত্যাদি ব্যাপারে নানা মিথ্যা প্রপাগান্ডা দিয়ে ভাসিয়ে দিত। তাদের প্রপাগান্ডার কঠিন জবাবও দেয়া হত। আমি তখনো সামুতে লিখতে পারতামনা পড়তাম।

তাই জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে কেউ ফালতু মন্তব্য করলে যেই হোক কঠিন ভাবে জুতাপিটা চলবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭১ সালে জাতি যেই গানটাকে ভালোবেসেছেন; পরাজিত রাজাকার জামাত-শিবির-হেফাজতরা উহাকে হেয় করতে চেয়েছে সব সময়।

২৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জাতীয় সংগীত নিয়ে চমৎকার পোস্ট। যে গান দেশের মানুষকে মুক্তি যুদ্ধে প্রেরণা দিয়েছে। যে গান আত্নস্থ করা এতো সহজ সেটি জাতীয় সংগীত হবে এটিই স্বাভাবিক।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক।

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

নতুন বলেছেন: দেশের প্রতি টান থাকলে অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীত ভালো লাগবে।

দেশের বাইরে আসার পরে যতবার জাতীয় সঙ্গীত গাইছি ততবার চোখের জল এসেছে।

যখন আপনার দেশের প্রতি মমত্ব বোধ কমে যাবে তখন আপনি গানের কথা বা কে লিখেছে সেটা নিয়ে ভাবার সময় থাকবে।

যেমনটা বিয়ের পরে অন্য মেয়ের প্রতি আক`ষন বাড়লে স্ত্রীর কে কম ভালোলাগা শুরু হয়।

কিন্তু আরেকটা বিষয় হলো কোন দেশের জাতীয় সঙ্গীত পাল্টানো যাবেনা সেটাও ঠিক না। পাল্টানোর কথা বললেই সে খারাপ সেটা বলাও কট্টরবাদ.... কারন দেশের জাতীয় সঙ্গীত অনেক দেশই পাল্টেছে আর আমাদের দেশেও মনে হয় এটা বেআইনী না।

বত`মানে যদি আয়ামীলীগ চায় তবে তাদের সেই ক্ষমতা আছে সাংবিধানিক ভাবেই পরিবত`ন করতে পারবে। এখন যদি কোন প্রমান বের হয় যে জাতিক জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন যে দেশের ৫০ বছর পূতি` তে নতুন জাতীয় সঙ্গীত পরিবত`ন করবে তখন ঠিকই সবাই তার পক্ষে যুক্তি খুজে পাবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের যুদ্ধের সময়, জাতি ও মুক্তিযো্দ্ধারা স্বাধীনতা অর্জনের ইমোশানেল সময়ে এই গানটিকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গেয়েছেন; তাঁরা এটাকে বদলানোর কথা বলেননি কোন সময়; জামাত-শিবির-হেফাজতরা ১৯৭১ সালের যেযকোন ঐতিজ্যকে হেয় করতে চায়।

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





১৯৭১ হেয় করা সমাজটিকে বাংলাদেশের মানুষ চিনে এদের দেখা গেছে হলি অর্টিজন হোটেলের তান্ডবে। তারপরও ভাংগালী তাদের ভুলে যায় কারণ ভাংগালীর মেমোরী লস, মটর দানার সমান মগজ নিয়ে চিল্লাপাল্লা করা উগ্র মৌলবাদ ১৯৭১ এর রাজাকারদের পরিচয় আজ আমরা আবার পাচ্ছি দেশের জাতীয় সঙ্গীত নাকি তার ভালো লাগেনা !!! চাঁদগাজী ভাই, এইসব তথাকথিত অকালপক্ক মানসিক ভারসাম্যহীন জেনারেশনের জন্ম পরিচয় নিয়ে আমি সন্দিহান।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব দিয়ে আমরা তাদের পরিমাণ ও বুদ্ধিমত্তা বুঝতে সক্ষম হবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.