![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
বুঝা যাচ্ছে, দেশে নারীর উপর নির্যাতন আগের থেকে বেশ বেড়েছে; নারীর উপর কি কি নির্যাতন বাংলাদেশে হয়ে থাকে, বর্তমান সমাজ ব্যবস্হায় কোনটা বাড়ছে, কোনটা কমছে? আমাদের নারীরা গায়ানা, বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এতো বেশীহারে আত্মহত্যা করছেন না; তবে, হার বাড়ছে!
দারিদ্রতা কিছুটা কমেছে, এতে দরিদ্র পরিবারের স্ত্রীরা দারিদ্রতার কষাঘাতের থেকে উদ্ভুত পরিস্হিতি থেকে কিছুটা মুক্ত হয়েছেন; কিন্তু উহার সামানুপাতিক নতুন সমস্যা হচ্ছে, অনেক স্ত্রীর স্বামী সাথে নেই, স্বামী টাকা আনতে গিয়ে দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকেন, এটা কি নতুন সমস্যার সৃষ্টি করছে: একাকীত্ব, বেশী দায়িত্ব, অযাচিত ভালোবাসা? পুরুষের হাতে বিপুল টাকা পয়সা কিন্তু অনেক সময় নিজের স্ত্রী ও অন্য নারীদের জন্য সমস্যা হতে পারে; বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ মানুষ নব্য ও অসাধু ধনী হয়েছে, এটা কোনভাবে নারী নির্যাতনে সাহায্য করছে? এরপর আছে মাদক; তরুন ছেলেমেয়ে, ব্যবসায়ী ও ধনীরাও মাদকের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে, এটা কি সামানুপাতিক হারে নারী নির্যাতন বাড়াচ্ছে?
ছেলেমেয়েরা বেশ কম বয়সেই মেলামেশা করছে, প্রেম নিবেদন করছে, কম বয়সে মন ভাংছে সহজেই; আমি সাম্প্রতিক বাংলা কবিতায়, সব সময় মনভংগের কথাই পড়ে আসছি; ইহাও একটা ছোটখাট ফ্যাক্টর? সমাজের বিশৃংখলার কারণে, বিয়ের পুর্বে দৈহিক মিলন, পরকীয়া, বিয়ের আগে সন্তান ধারণ ও ধর্ষণ কেমন প্রভাব রাখছে? আমাদের জাতির জন্য নতুন আরেকটা বিষয়, বিবাহবিচ্ছেদের উচ্চহার; লিভ-টুগেদারের ভাংগনে কি নারীরা নির্যাতীত হয়ে, হতাশ হচ্ছে? যৌতুক প্রথা এখন কি অবস্হায় আছে; মেয়ের জামাইকে কি সিরিয়া পাঠানোর টাকা দিতে হয়?
নারী ও পুরুষের স্বত্তাকে তুলনা করলে, নারীর মন বটগাছের মতো বিশাল; আর পুরুষেরা কাউয়া, ময়ুর, কোকিল, কাঠ-ঠোকরা, সবাই বটবৃক্ষে স্হান পায়, কোকিল ব্যতিত সবাই বাসা বাঁধ্তে চায়।
বাংলাদেশের স্বামীরা পাকী ও আফগানিস্তানের স্বামীদের মতো স্ত্রী পিটায়; এখানে একটি শক্ত আইনের দরকার; আরেকটা শক্ত আইনের দরকার ৩ তালাকের ব্যাপারে! এই ২টিতে হুজুরদের প্ররোচনা আছে: হুজুরেরা তাদের ওয়াজে সব সময় স্ত্রীকে "শাসন"এর মাঝে রাখতে পরামর্শ দেয়, স্ত্রীকে জীবনসাথী হিসেবে দেখতে পরামর্শ দেয় না; ৩ তালাকও হুজুরদের থেকে এসেছে; হুজুরেরা মা ফাতেমার কি একটা উদাহরণও টানে, যেখানে স্ত্রীকে কিলঘুষি দেয়ার জন্য উৎসাহী করে; এইসব ব্যাপারে হুজুরদের একটু কন্ট্রোলে আনার দরকার, এবং আইনী প্রসেস চালু করার দরকার।
নারীকে নিষ্পেষনের কারণগুলোর অনেকগুলোই সামজিক, অর্থনৈতিক ও আমাদের জাতীয় চরিত্রের সাথে যুক্ত; এগুলো এখন বিশৃংখলার মাঝে আছে, এবং আরো বিশৃংখলার দিকে যাবে; ফলে, এই মহুর্তে সহজ কোন সমাধান হাতে নেই। সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রনালয় থেকে যদি পরিবার উন্নয়নের অংশ হিসেবে ১০ হাজার নারীর জন্য একজন এডভাইজার দেয়া যায়, সেটা কিছুটা সহায়ক হতে পারে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
সঠিক, উহা আমি কখনো না দেখায় একেবারেই মনে থাকে না। আমাদের নারীরা হিন্দিতে বলতে পারেন, "আমি তোমাকে ভালোবাসি"?
২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আসলে নারীদের চাওয়া পাওয়া বেড়ে গেছে সিরিয়ালের কল্যাণে । তাই নিগৃহীত হচ্ছে ও বেশি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
পুরুষদের জন্য কোন সিরিয়াল নেই?
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: পুরুষদের জন্য জুয়ার সিরিয়াল আছে। তবে
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অসৎ উপায়ে টাকা হাতে এলে মানুষ জুয়া খেলে; আবার ধনীরা জুয়া খেলে সব সময়; বউ নিয়ে জুয়ার বেট টেট ধরে নাতো আবার?
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন: শাসকগোষ্ঠীর বক্তৃতা শুনলে, পত্রপত্রিকা পড়লে এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে নারীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে কেন নারীদের আত্মহত্যার হার বাড়ছে? আসলে নারীদের স্বাধীনতার নামে তাদের অধিকার থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদেরকে বিপদের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। নারীরা মানসিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা বুঝা যাচ্ছে যে, নারীদের মাসিক অশান্তি বাড়ছে; আমি কিছু কারণের কথা বলেছি, আপনি আরো অন্য কারণ দেখছেন কিনা? বেগম জিয়াকে জেলে নেয়ার প্রভাব পড়ছে নাকি?
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের দেশের নারীরা তার স্বামীর আয়ের কথা চিন্তা করে নিজের চাহিদা ঠিক করে না। স্বামীর আয় থেকে তার চাহিদা কিছুটা বেশি থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হয়।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারীদের চাহিদা কি বেশী? তাদেরকে বার্মার মেয়েদের মতো ক্ষমতা দিতে হবে নাকি, নারী-প্রধান সমাজ!
৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভারতীয় সিরিয়ালে শেরোয়ানী অথবা স্যুটে পুরুষরা গৃহপালিত হিজরা হয়ে থাকেন। সারাদিন পুরুষরা বাসায় কি করেন তা আজো জানা হয়নি, হিন্দি সিরিয়ালের কাউকে চিনিনা, বাংলাদেশের নির্মাতা হলে জানতে চাইতাম। বাংলাদেশে ভারতীয় আদলে একটি শো শুরু হয়েছিলো “গুলশান এভিনিউ” অভিনেতা তারেক ইনাম ভাইকে বলেছিলাম ইজ্জত নিয়ে মরতে চান তো সরে পরেন। আমার কথায় কোনো কাজ হয়নি তবে শো’টি বেশীদিন চলে নি, শো বন্ধ হয়েছে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয় শাড়ী, নাকি কি একটা কাপড়ের জন্য ২টি মেয়ের আত্মহত্যার খবর ছিলো একবার; মেয়েগুলোর হয়তো মানসিক সমস্যা ছিলো, কিংবা দারিদ্রতা ওদের ভাবনাশক্তিকে সীমিত করে দিয়েছিলো! ভারতীয় শো দেখে কি মেয়েরা অশান্ত হয়ে উঠছে?
৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: @ ঠাকুর ভাই।
গুলশান এভিনিউ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবার কারণে। সেটা সম্ভবত চ্যানেল ওয়ান ।
গুলশান এভিনিউ সম্ভবত তারিক আনামের স্ত্রী অভিনেত্রী নিমা এর ছিল
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশেও ভারতীয় বানরদের শিষ্য ছিলো?
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তসলিমা নাসরিন ও মূলত এসব বিষয় নিয়ে লিখতেন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাই? উনার কিছু পড়া হয়নি!
আপনার ষ্টেটাস ঠিক আছে? আমি নিজের কারণে ব্লকড হলে, আমার জন্য পোষ্টমোষ্ট দেবেন না, এতে সমস্যা হতে পারে।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে এমন একটা সেক্টর বা বিষয় পাবেননা যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলছে চলছে। এমনকি নর-নারীর সম্পর্কের মাঝেও রয়েছে নানান সমস্যা। সম্পর্ক গুলোও ঠিক মতো চলছে না ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে বিশৃংখলা দেখা দিলে সবচেয়ে বেশী চাপ পড়ে নারীর উপর।
১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: একটি বিষয় বলা দরকার সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশের নারীদের উপার্জনের জন্য কোন কাজ নেই । এক সময়ে সরকারি চাকরিতে নারীদের 10% কোটা ছিল । সেটা উঠে যাওয়ায় এখন দেখবেন সরকারি অফিসগুলোতে নারীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে । নারীরা ছোটখাটো ব্যবসায় ও এগিয়ে আসতে পারছেনা । সামাজিক সমস্যার কারণে । এক জন নারী বাংলাদেশে একটি দোকান খুলে বসতে পারবে না।
উপার্জন না থাকলে কারোরই মূল্যায়ন হয় না। এটাই বাস্তবতা।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বয়ং শেখ সাহেব ১৯৭২ সালে, মেয়েগুলো স্কুলে নেয়ার চেষ্টা করেননি; কাকে দোষ দেবো?
আবার কোটা-বিরোধীরা তো আছে, উহারা নিজে চাকুরী করতে চায়, বাকীদের কথা ভাবে না।
১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে ছোটখাটো পোস্ট দেই। সামান্য টুকটাক মন্তব্য করি। তাতেই আমি ব্যান খেয়ে গেলাম। মনটাই গিয়েছিল খারাপ হয়ে।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমারও একই সমস্যা; এখন থেকে নিয়ম টিয়ম মেনে চলবো, এডমিনরা শক্ত হয়ে গেছে!
১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: নারীদের নিরাপত্তায় সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, যেমন একবার পত্রিকায় পড়েছিলাম সম্পত্তিতে এখন নারী-পুরেষের সমান অধিকার, জানিনা সেটা কার্যকর হয়েছে কিনা। নারীদের জন্য সরকার ব্যাংকে "পারিবারিক সঞ্চয়পত্র" চালু করেছিল, সেটাও বোধহয় এখন অনেক ঝামেলাপূর্ণ হয়ে গেছে। ভারতে শুনেছিলাম তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়েছে, বাংলাদেশেও এরকমটা করা উচিত।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো অর্থনৈতিক, এদিকটার একটু উন্নতি হয়েছে; ৩ তালাক এখনও গ্রামে রয়ে গেছে। সমস্যা হচ্ছে, যেগুলো ৩ তালাক মালাক দেয়, ওগুলো মোটামুটি ইডিয়ট, ওরা নারীদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে।
১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন পোস্ট। দারিদ্র আত্নহত্যা বৃদ্ধির কোন প্রধান কারণ নয়। তিন তালাক আর তালাকে নতুন বিয়েতে কোন পার্থক্য আনে কি না আমার জানা নেই। মনের মিল না হলে সেই বিয়ে নিয়ে কি হবে। সর্বোচ্চ চার বিয়ে যা পুরুষ করতে পারে এর তো ব্যাখ্যা আছে নাকি? স্ত্রীর ক্ষেত্রে সেটা নেই। স্বামী স্ত্রী তাদের অধিকার বুঝে পেলেই হলো। এটা ধর্মীয় নিয়ম । আগে হিন্দুরা সহমরণে যেত। আর এখন তালাক দিয়ে বিয়ে করতে পারছে ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যা বলছেন, এগুলোতে আত্মহত্যা বাড়ার কারণ আছে? রাষ্ট্রে ধর্মীয় আইন চালু রাখা ঠিক হবে না; এখন মানুষ ধর্ম থেকে বেশী জ্ঞানী।
১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ভাল, তবে মনে হচ্ছে আরো বেশী কিছু লিখতে পারতেন, যা আপনি লেখেননি ।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগারেরা আজকাল অনেক কিছু জানেন; আমি নারীদের আত্মহত্যার বিষয়টা তুলতে চেয়েছি মাত্র; আমাদের দেশের বিশৃংখলা নারীর আত্মহত্যা বাড়তে সাহায্য করছে, এই পয়েন্টা সামনে আনতে চেয়েছি।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যদিও আমরা শেখ হাসিনা, বেগম এরশাদ, মতিয়া চৌধুরী, আমাদের স্পীকার, সাহারা খাতুন, বেগম জিয়াকে পেয়ে খুশী, কিন্তু ইহাতে আমাদের নারীদের খুব একটা লাভ হচ্ছে কিনা, ভাবতে হচ্ছে!
১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেখি সবাই কি মন্তব্য করেন। মোটামোটি ২০-২৫টি কমেন্ট হোক তারপর নারীদের মূল সমস্যা নিয়ে এবটি মন্তব্য করবো। পড়ছি - দেখছি - সাথে আছি। ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাইকে দেখে ভালো লাগছে, মালয়েশিয়া নিয়ে ব্লগে লেখার আর কেউ নেই। তাকে শুভেচ্ছা।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা'কে ধন্যবাদ, উনি মালয়েশিয়ার রিপোর্টিং বিভাগ'এর কার্যক্রম ঠিক রেখেছেন।
১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সারাবিশ্বে আত্মহত্যায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম। ২০১১ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩৪তম। গতবছর অর্থাৎ ২০১৮ সনে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার । বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে পুরুষের আত্মহত্যার হার বেশি হলেও বাংলাদেশে এই চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, অধিকাংশ দেশে নারীদের তুলনায় প্রায় তিন গুণ পুরুষ আত্মহত্যা করেন। অথচ বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীর আত্মহত্যার হার বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ১০ হাজার ১৬৭ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৭৩ জন নারী, আর পুরুষ ৪ হাজার ৩৯৪ জন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর যারা আত্মহত্যা করেন, যাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি এটা রগভহৃ নফ গবেষনা কর্মেই উঠে এসেছে । তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো বয়সের হিসেবে তরুণ-তরুণীরাই বেশি আত্মঘাতী হচ্ছেন বলে দেখা যায় । আরো বড় বিষয় হলো আত্মহত্যার চেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আরও প্রায় ১০ গুণ বেশি। আত্মিকগ্বহ যারা করে তারা হয়তবা মরে গিয়ে বাঁচল কিন্তু মরতে গিয়ে যারা বিবিধ ধরনের পঙ্গুতা নিয়ে বেঁচে থাকল তাদের দুর্গতির পরিমানও কম নয় ।
দেশে আত্মহত্যার দুটি ধরন আছে- পরিকল্পিতভাবে এবং আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা। বাংলাদেশে অধিকাংশ আত্মহত্যার ঘটনা আবেগতাড়িত। তরুণ-তরুণীদর বেশির ভাগই আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা করেন। নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি হওয়ার কারণ অবশ্য আপনি বেশ ভাল করেই তুলে ধরেছেন পোষ্টে । আমাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা, নির্যাতন, ইভটিজিং, যৌতুক, সম্ভ্রমহানি, অবমাননা, অর্থনৈতিক সক্ষমতা না থাকা ইত্যাদি কারণেরই নারীদের মধ্যে আত্ম হত্যার সংখ্যা বেশী এ কথাগুলি সুন্দরভাবে উঠে এসেছে পোষ্টে ।
যে সমস্ত কারণে দেশে আত্মহত্যাগুলি ঘটে তার তার কিছু পরিসংখ্যান উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষনায় । সেখানে দেখা যায় পারিবারিক সমস্যা (৪১.২%), পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া (১১.৮%), বৈবাহিক সমস্যা (১১.৮%), ভালোবাসায় কষ্ট পাওয়া (১১.৮%), বিবাহবহির্ভূত গর্ভধারণ ও যৌন সম্পর্ক (১১.৮%), স্বামীর নির্যাতন (৫.৯%) এবং অর্থকষ্ট (৫.৯%) থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ।
মানসিক রোগীদের মধ্যেই আত্মহত্যার হার নাকি বেশি । বিষণ্ণতা, বাইপোলার মুড ডিজ অর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, মাদকাসক্ত, উদ্বেগে আক্রান্ত ইত্যাদি কারণে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার হার উচ্চ। মানুষের মধ্যে তীব্র আশাহীনতা কারণেও এটা ঘটে । আশাহীন মানুষ দুনিয়ার সবকিছুই নেতিবাচকভাবে দেখে। তারা নিজের সম্পর্কে, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ও অন্য মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা পোষণ করে। তারা ভাবে, এই পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হবে এবং এটি পরিবর্তনের জন্য শত চেষ্টায়ও কোনো লাভ হবে না। এর চেয়ে মুক্তির একমাত্র উপায় নিজেকে মেরে ফেলা। এই চিন্তায় তাড়িত হয়ে তারা আত্মহত্যা করে।
আত্ম হত্যার প্রচেষ্টা কারীদের মধ্যে এক দশমাংশ মরে নীজে বাঁচে ,আর তার পরিবারকে মঁত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে যায়। আর বাকী যারা আত্মহত্যা করতে গিয়ে বেঁচে থাকে তারাও নীজেদের জীবনকে করে তুলে আরো বিভিশিকাময় । এর কুফল ভোগ করতে হয় পুরা জাতিকেই । সমাজে তেরী হয় আরো বিশৃঙ্খলা, আর এই বিশৃঙ্খলার কারণে মাদকাসক্তিও রাড়ে আর এটিও আত্মহত্যা প্রবণতার জন্য একটি বড় কারণ। মাদকাসক্তদের সঠিক চিকিৎসা এবং মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিলে আত্মহত্যার পরিমান কমবে।
অবশ্য অর্থনৈতিক মন্দার কারনেও সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরী হয় । সমাজে যখন হরেক পদের বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তখন মানুষ বিষণ্ণতায় ভোগে ফলে আত্মহত্যার হারও যায় বেড়ে। যারা আত্মহত্যা করেন তাদের ৯৫ ভাগই কোনো না-কোনো মানসিক রোগে ভোগেন বলে মনোচিকিৎসা বিশেষজ্ঞোব বলে থাকেন । এই মানসিক রোগীদের মধ্যে নারী পুরুষের সংখ্যা বলতে গেলে সমান সমান, মানসিক রোগের সঠিক চিকৎসা করা গেলে আত্মহত্যা কমবে । মনে রাখতে হবে আত্ম হত্যা সকলের জন্য অভিশাপ । এটা যে করে তার কি হয় সেটা সে হয়ত পরকালে গিয়ে দেখতে পাবে তবে সে যাদেরকে এ ধরার বুকে রেখে যায় দাদের সকলকেই বিবিধভাবে তা ভোগ করতে হয় । তাই এই আত্মহত্যা ও এর জন্য দায়ী কারণগুলিকে সঠিকভাবে সনাক্ত করে আত্নহত্যার প্রবনতার কারণগুলিকে দুরীভুত করতে হবে এর প্রাথমিক পর্যায়েই সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায়।
সমাজের গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ, আপনার কমেন্টই আসল পোষ্টে পরিণত হয়েছে; আপনি ষ্টেটিসটিক্যাল ডাটা যোগ করে ভালো করেছেন।
১০ হাজার মহিলার জন্য ১ জন করে এডভাইজার রাখা দরকার; একদিকে, ১০ হাজার শিক্ষিত মানুষের চাকুরীও হয়ে যেতো, অনেক সমস্যার সমাধান হতো। এডভাইজারেরা পুরুষদের সাহায্য করতে পারতো।
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রতি ১০ হাজার মহিলার জন্য ১ জন করে এডভাইজার রাখার পাশাপাশি প্রতি ১হাজার মহিলার জন্য ১ জন করে সমাজ কর্মী রাখা প্রয়োজন । এতে করে আরো বেশি কর্মসংস্থান সৃস্টি হবে দেশে । আমি সামাজিক আয় -ব্যয় বিশ্লেষন করে দেখাতে পারি এই বিপুল পরিমান কর্মী বাহিণীর পিছনে সরকারের রাজস্বখাত হতে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হবে তার থেকে বেশী পরিমান অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা ও প্রাপ্তি যুক্ত হবে জাতীয় অর্থনীতিতে ও দেশের সার্বিক মানষিক স্বাস্থ্য খাতে । যার ফলে দেশের মানুষের উৎপাদনশীলতা ( Enhancement of productivity ) বৃদ্ধি পাবে অনেক গুণ বেশী । তাই এই নিয়োগ হবে আর্থিক , অর্থনৈতিক ও সামাজিক সর্ববিধ দৃষ্টিকোন হতেই একটি viable কর্মকান্ড ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এডভাইজার ও সমাজকর্মী নিয়োগ করলে পুরো জাতি উপকৃত হবেব, অনেক সমস্যা কমে আসবে, সরকারের অনেক অহেতুক ব্যয় কমে আসবে।
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন:
ঘটনা-০১
ন.... বেগম। আমাদের এলাকার বড় বোন। এবং আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড। হঠাৎ কয়েকমাস ফেইসবুকে না দেখে খুজ নিয়ে জানালাম; শ্বশুরবাড়ির লোকেরা স্মার্টফোন চালাতে দিচ্ছে না। কারণ, তার বিয়ের পূর্বের কিছু আপত্তিকর ছবি ব্যবহার করে কেউ একজক ফেইক আইডির মাধ্যমে স্বামীর কাছে পৌছিয়ে দিয়েছে।
ফলে, স্বামী তাকে আর বিশ্বাস করছে না। মেয়ে পক্ষ চাইছে, ছেলে ডিভোর্স দিক। ছেলে ডিভোর্স দিলে বিশাল অংকের মোহরের টাকা আদায় করাটা সহজ হবে। ফলাফল: সমস্যা, নির্যাতন, বিচার সালিশ অব্যাহত আছে।
ঘটনা-০২
পাশের বাড়ির তাজুল প্রেম করে বিয়ে কয়েছে। বয়স ২২ হবে। মেয়ের বয়স আরো কম হবে। মেয়ে শাশুড়ির কথা শুনে না। বান্নাবান্না করেনা। সারাদিন মোবাইল টিপে। স্বামীর কাছে মায়ের নামে অভিযোগ করে। এই সমস্যা নিয়েও বিচার সালিশ হওয়ার খবর শুনা যায়।
ভুক্তভোগীদের নিকটাত্মীয়রা ফেইসবুকে থাকায়, আমিও খুজখবর রাখি।
বর্তমান সময়ের নির্যাতনের সমস্যাগুলোর পেছনে ইন্টারনেট, প্রযুক্তির কোথাও না কোথাও হাত আছে। চারিপাশে পরকিয়া, বিশ্বাসঘাতকতার যে ঘটনাগুলো ঘটছে ইন্টারনেটের কল্যাণে সেগুলো সবাই জানতে পারছে, এবং সেসব ঘটনার প্রভাব সংসার জীবনে পড়ছে। সাথে ইন্ডিয়ান জি বাংলা, জলসা... ইত্যাদি চ্যানেলের ক্রিমিনালি, সাংসারিক পলিটিক্স, পরকিয়া সংক্রান্ত আজেবাজে গল্পের সিরিয়াল তো আছেই।
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯
এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন:
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ছোট একটি "ফ্রেইজ"এর মাধ্যমে নারীদের কষ্টের অনেক কিছুকে ধারণ করা হয়েছে; আপনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন, এবং এটা সঠিক।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: নারীর উপর নির্যাতন যুগ যুগ ধরেই হচ্ছে।
ধার্মিকেরা বউ পেটায় অথচ বড় বড় নীতির কথা বলে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেসব জাতি নারীদের সাথে নির্মম, বাংগালীদের নাম তাতে আছে।
২১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪
গোধুলী বেলা বলেছেন: শুধু হুজুরদের দোষ দেয়া ঠিক হবেনা। দেশে বর্তমানে হুজুরের চেয় নন হুজুরের সংখ্যা বেশি।
তারপরেও শুধু মাত্র হুজুর দের দোষারোপ করা ঠিক নয়।
বর্তমানে আধুনিক সমাজ আর এই ধারায় সবাই আধুনিক চালচলনে অভ্যস্ত।আপনি শহুরে জীবন যাপনের দিকে তাকালেই দেখবেন স্বামী/স্ত্রীর মাঝে একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে গেছে যার ফলে অনেক সময় স্বামী পরকিয়া জনিত কারণে স্ত্রীর প্রতি দুর্ব্যবহার করার ফলে যার জন্য অনেকেই বাধ্য হয় নিজেকে হত্যা করতে। সেই সাথে মাদকের ব্যাবহা। যৌতুক এর ফলে গরীব সমাজ থেকে আত্নহত্যার দিকে ঝুকে যাচ্ছে।
এর জন্য তো হুজুরের কোন হাত নেই।
আমার মতে এই সকল কর্মের জন্য দায়ী আদর্শের অভাব,অপররের প্রতি সন্মানবোধের অভাব।
আসলে একটা গোষ্ঠীকে সচেতন বা শাসন না করে কেনো হচ্ছে সেটা দূর করাই বেশি যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারী সবচেয়ে বেশী অপমানিত হয়, স্বামীর হাতে মার খেয়ে; হুজুরেরা কোথাকার এক ইডিওটিক মিথ্যা গল্প জুড়ে দেয় যে, বিবি ফাতেমা নাকি উনার স্বামীর জন্য একটা ছড়ি এনে রাখতেন, যেন পিটাতে হলে কষ্ট করে ছড়ির জন্য হয়রাণ হতে না হয়।
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
গোধুলী বেলা বলেছেন: বিবি ফাতেমা নাকি উনার স্বামীর জন্য একটা ছড়ি এনে রাখতেন, যেন পিটাতে হলে কষ্ট করে ছড়ির জন্য হয়রাণ হতে না হয়
আপনি কোথায় পেয়েছেন এইটা জানিনা। তবে এইটা ঠিক কথা না। যদি এমন হত তাহলে প্রতিদিন পত্রিকায় খবর পেতাম।
আপনার পোস্টের মুল শিরোনাম আত্নহত্যা কমানো নিয়ে। কিন্তু ভিতরের লিখায় হুজুরদের নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে।
যদি হুজুরের প্রতি ক্ষোভ থাকে তাহলে শিরোনামটাই বদলে দিন।
আর যদি আত্নহত্যাই মূল বিষয় হয় তাহলে আপনার চোখ কেনো হুজুরদের প্রতি?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারী আত্মহত্যা করেন বিবিধ কারণে; তার মাঝে একটা হচ্ছে, "বউ পিটানো"; বউকে "শাসনে" রাখার জন্য হুজুরেরা নিয়মিত ওয়াজ করছেন। "শাসন"এ রাখা ভয়ংকর খারাপ কথা, ব্উ হলো জীবনের সাথী; ষেজন্য হুজুরদের অপপ্রচার থামানোর জন্য হুজুরদের একটু কন্ট্রোলে আনার দরকার।
২৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫
ইসিয়াক বলেছেন:
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হচ্ছে, নীলসাধু ও রেজাঘটক ব্লগার কুহকের ব্যাপারটা জানতেন; টাকার অভাবে কুহক যে, ভারতে চিকিৎসা করাতে পারছিলন না, উহা ব্লগারদের জানানোর দায়িত্ব ছিল নীলসাধু ও রেজাঘটকের।
২৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: নারী ও পুরুষের স্বত্তাকে তুলনা করলে, নারীর মন বটগাছের মতো বিশাল;
আর পুরুষেরা কাউয়া, ময়ুর, কোকিল, কাঠ-ঠোকরা, সবাই বটবৃক্ষে স্হান পায়,
কোকিল ব্যতিত সবাই বাসা বাঁধ্তে চায়।
......................................................................................................
আপনার এই বক্তব্যকে মোটেই সমর্থন করি না । নারীদের মন এখন আর বটগাছের মতো
বিশাল নয় । অল্প কিছু সুন্দর সরল মনের নারী ছাড়া সবার দৃষ্টি থাকে ছেলেদের পকেটের দিকে ।
এমন কি প্রবাসী স্বামীর টাকা নিয়ে অন্য যুবকের সাথে পালানোর ঘটনা এখন " চমকপ্রদ" গল্প ।
[নারীকে নিষ্পেষনের কারণগুলোর অনেকগুলোই সামজিক,
অর্থনৈতিক ও আমাদের জাতীয় চরিত্রের সাথে যুক্ত;
.......................................................................................................
ডঃ এম এ আলী বলেছেন : স্বামীর নির্যাতনে ডিভোর্স (৫.৯%) , নারীর আচরনে বা নির্যাতনে ডিভোর্স
কত পার্সেন্ট তা কেন আসলনা ??
আসলে যারা নারীর নির্যাতনের আন্দলোনে সোচ্চার, তার কানা অথবা নিজ স্বার্থের কারনে পক্ষ নিয়ে আছেন ।
সমাজ উন্নয়ন মন্ত্রনালয় থেকে যদি পরিবার উন্নয়নের অংশ হিসেবে ১০ হাজার
নারীর জন্য একজন এডভাইজার দেয়া যায়, সেটা কিছুটা সহায়ক হতে পারে।
.......................................................................................................
সরকার ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলায় এধরনের সেল খুলেছে , কিন্ত তারা কতটা নিরপেক্ষ ?
বা নারীর পক্ষে কাজ করে ??? আমি আমার এক আত্নীয়াকে পাঠায়ে ছিলাম, বেশীদুর নয়,
এই গাজীপুর জেলায়, কিন্ত কার্যকর কিছুই করে নাই, পরে আমাকে থানার পুলিশ পাঠায়ে
আপাতত: সমস্যা সমাধান করলাম, এখানে স্বামীর চেয়ে টাকার জন্য শ্বাশুড়ীর লোভ বেশী ।
প্রতিবেদনটির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ২০১২ সালে ১০ হাজার ১৬৭ জন আত্মহত্যা করেছেন।
তাদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৭৩ জন নারী, আর পুরুষ ৪ হাজার ৩৯৪ জন।
.......................................................................................................
২০১২ সালের তথ্য অনুসারে ১৩৭৯ জন নারী বেশী আত্নহত্যা করে ছিলো, এখন ডাটা নিলে
প্রমান হবে পুরুষ নির্যাতনের হার অনেক বেড়ে গেছে, আত্নহত্যা বেড়েছে ।
আমার পরিচিত একজন হাইকোর্টের পি পি আছেন যিনি অন্য প্রাকটিস এর সাথে সাথে নারী নির্যাতনের
কেস গুলি দেখেন ।সেখানে টাকা পয়সা, সম্পদের জন্য মেয়ে পক্ষ নানা অজুহাতে , কেস করেন আবার
উদ্দেশ্য হাসিল হলে, হলফনামা দিয়ে ভিকটিমকে খালাস করে নেন ।
আইন এতই শক্তিশালি যে, পুরুষ বিচারক ঘটনা বুঝেও কিছু করতে পারেন না ।
...............................................................................................................
সে জন্য আইনটির দূর্বলতা খুঁজে সহনীয় করা উচিৎ , এবং সমাধিকার সূত্রে :
এই আইন অপপ্রয়োগ রোধে পুরুষ নির্যাতনের আইন ও থাকা উচিৎ ।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "প্রবাসী স্বামীর টাকা নিয়ে অন্য মানুষের সাথে পালায়"
-এটা ঠিক প্রচলিত ব্যাপার নয়, ব্যতিক্রম; তবে, ঘটেছে
এডভাইজার না থাকলে, সমস্যা সমাধান করার কোন প্রচেষ্টা আছে বলে ধরা হবে না; এডভাইজার থাকার পরও সুফল না পেলে, এডভাইজারের অদক্ষতা নিয়ে ভাবতে হবে।
পুরুষ-প্রধান সমাজে, দারিদ্রতা ও পারিবারিক কষ্টের চাপে পুরুষই বেশী আত্মহত্যা করার ডাটা আছে; কিন্তু বেশী নিষ্পসিত হয়ে থাকে পরিবারের নারীরা
পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানে নারীদের পক্ষে পুরুষ নির্যাতন অনেকটা ব্যতিক্রম
২৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফেসবুক, ইন্টারনেটের কারণে 'উদার' নর নারীদের মাঝে বিবাহ বহির্ভূত 'জিং জিং' এবং যোগাযোগ বেড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে 'উদার' পরিবারগুলোতে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হয়।
শিক্ষিত মেয়ে হওয়াতে কিল-ঘুষি এখন আর সচেতন পুরুষ দেয় না। তাই পাকি, আফগানিদের সাথে তুলনাতে আমার আপত্তি আছে।
সারাদিন যে পরিমাণ স্ট্রেসের ভেতর দিয়ে পার হয়ে একটা পুরুষ ঘরে যায়, তা যদি ঘরের নারী বুঝত তাহলে ১০০০ বার চিন্তা করত দাম্পত্য কলহ আর আত্মহত্যা করতে...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিয়ের আগে, নারী ও পুরুষকে সঠিক পারিবারিক বন্ধন, বিবাহিত জীবন, পারিবারিক অর্থনীতি, ২ জনের দায়িত্ব নিয়ে কাউন্সেলিং'এর দরকার।
২৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: যেখানে স্ত্রীকে কিলঘুষি দেয়ার জন্য উৎসাহী করে; এইসব ব্যাপারে হুজুরদের একটু কন্ট্রোলে আনার দরকার, এবং আইনী প্রসেস চালু করার দরকার।
আপনি যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন তাহলে দলিল দিন যেখানে ইসলাম স্ত্রীকে কিল ঘুষি দেয়ার জন্য উৎসাহ দেয়।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের হুজুরেরা স্ত্রীকে "শাসন"এর মাঝে রাখার জন্য ওয়াজ করেন; উহার বাংলা অনুবাদ হলো, মাঝে মাঝে বুম বাখ করতে হবে।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজেও তো ইসলামের প্রবক্তা, মোটামুটি ভুল ব্যতিত সঠিক কিইছু লিখতে পারেন না।
২৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: নারী ও পুরষের মধ্যে ব্যবধান একজন আরেকজনকে 'মানুষ' হতে দেয় না। একজন 'মানুষ' অন্য মানুষের উপর নির্যাতন করতে পারে না। যারা করেন, তাহারা মানুষ নয়, তারা অমানুষ।
মানুষের মধ্যে মান অভিমান হতে পারে, নির্যাতন কেন হবে এই সভ্য যুগে!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা উন্নত ধরণের সমাজ ব্যবস্হা গড়ে তোলার জন্য পাকিস্তান থেকে বের হয়ে এসেছিলাম; কিন্তু আমাদের মিলিটারী শাসকেরা আমাদেরকে আবার পুরানো পাকী সমাজ ব্যবস্হায় নিয়ে গেছে।
২৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০২
গরল বলেছেন: বাংলাদেশের কোন হাসপাতালেই মানসিক কাউন্সিলিং এর ব্যাবস্থা নাই, থাকলে হয়ত কমানো যেত।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
হাসপাতালের ডাক্তার ও মালিকদেরর কাউন্সিলিং করার দরকার সবার আগে; এগুলো এই পেশায় এসে অমানুষ হয়ে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার লেখায় হিন্দি সিরিয়ালের প্রভাব আসেনি, দেশে পরিবারের দ্বন্দ্বর মূল হিন্দি ও ভারতীয় সিরিয়ালের ভুমিকা অন্যতম।