নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাত্রলীগ নিয়ে শেখ হাসিনার খোঁড়া সমাধান!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫



Student League News

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, ছাত্র রাজনীতির দরকার ছিলো না; ছাত্ররা ছাত্র, এরা রাজনীতিবিদ নয়, এরা ইন্জিনিয়ার নয়, এরা ডাক্তার নয়, এরা প্রফেশালে নয়, এরা শুধুমাত্র ছাত্র; এবং ছাত্র অবস্হায় রাজনীতি করার মতো দরকারী লব্ধজ্ঞান কারো থাকার কথা নয়; তাদের মেধা, মনন, সবকিছু পড়ালেখায় নিয়োগ করার কথা; পড়ালেখার সাথে সাথে, সব ধারণার মতো তাদের মাঝে রাজনৈতিক ধারণাও গড়ে উঠার কথা; কিন্তু ছাত্র অবস্হায় ওদের লব্ধজ্ঞান প্রয়োগের মতো প্রফেশাল গ্রেইডে থাকে না, উহা অভিজ্ঞতাহীন, অপক্ক অবস্হায় থাকে।

এরা নিজেরা পড়ে না, অন্যদের পড়তে দেয় না, সেই কারণে, আজ পদ্মাসেতু গড়ছে চীনারা ও গার্মেন্টস'এ ভারতীয়রা ও বাহিরের লোকজন বড় কাজ করছে; এরা ছাত্র নন, এরা মধুর কেন্টিনের গ্রেজুয়েট!

পাকিস্তানী আমলটা কেটে গেছে প্রতিবাদে; সেই সময়, শতকরা ৮৫ জন বাংগালী ছিলেন নিরক্ষর, সরকার কি করছে, নিরক্ষর জনতার চেয়ে ছাত্ররা একটু বেশী বুঝতো হয়তো; কিন্তু আসলে, কি করা উচিত, সেটা ছাত্ররাও জানতো না; কিন্তু তারা প্রতিবাদ করতো। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, জামাতের ছাত্র সংগঠন, "ইসলামী ছাত্র সংঘ" জাতি ও নতুন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়, তারা গণহত্যা চালায়; যুদ্ধের পর, তারা প্রাকৃতিকভাবে হারিয়ে যায়, একইভাবে হারিয়ে যায় মুসলিম লীগের ছাত্র সংগগঠন; ছাত্রলীগের অনেক ছাত্র মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন; ছাত্রলীগের নেতারা যুদ্ধের মাঝে মুক্তিযোদ্ধাদের এক নতুন শাখা খুলে বসে, "বিএলএফ"; ইহা করে, মুক্তিযুোদ্ধাদের মাঝে এক অপ্রয়োজনীয় বিভক্তির সৃষ্টি করেছিলো। ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো।

১৯৭২ সাল থেকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রতিবাদের আর দরকার ছিলো না; আমাদের নিজস্ব জাতীয় সরকার ছিলো; তখন থেকে নিয়ম করার দরকার ছিলো যে, যারা রাজনীতি করবে, তারা রাজনৈতিক দলের সাথে কাজ করবে; ছাত্র অবস্হায় কেহ রাজনীতি করতে পারবে না, শিক্ষংগণ হবে রাজনৈতিক কার্যক্রমমুক্ত; রাজনীতি করতে হলে, রাজনৈতক দলের সদস্য হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্টানের বাহিরে কার্যক্রম করতে হবে। ততকালীন সরকার সেটা না করাতে, একদিন ঠিকই জামাতের "ছাত্র সংঘ" ছামড়া বাদলায়ে, নতুন নাম, "ইসলামী ছাত্র শিবির" নিয়ে আগের মতো রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে উপস্হিত, শুরু হয় ছাত্র হত্যা, ওদের প্রফেশাল কাজ ছিলো ছাত্রদের "রগ কেটে দেয়া"; ঠিকই ২০১৩ সালে, তারা আবার দেশের বিপক্ষে গেরিলা আক্রমণ চালায়; এখন আগামী আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ছাত্রলীগ যা করছে, এটা বেশ ভালো অপরাধ, ওখান থেকে ২/৪ জনকে সরায়ে উহাকে মেরামত করা সম্ভব নয়; কারণ, উহার দরকার নেই, উহার সঠিক কোন উদ্দেশ্য, আদর্শ কিছুই নেই। দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে শেখ হাসিনা গতকাল ছাত্রলীগের ২ শীর্ষ নেতাকে সরায়ে, নতুন ২ জনকে উহাদের স্হলে এনেছেন! এরা ২ জন কি দুর্নীতি করেনি? নিশ্চয় করেছে, হয়তো এখনো স্হুল চোখে ধরা পড়ছে না, অথবা পরিমাণটা ছোট। দেশের প্রয়োজন অনুসারে এই ধরণের সংঠনের কোন উদ্দেশ্য, আদর্শ নেই; যদি এদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা থাকে এদেরকে আওয়ামী লীগে নেয়া হোক, ও ছাত্রলীগ বন্ধ করে দেয়া হোক; সাথে সাথে শিবির, ছাত্রদল ও সকল ধরণের ছাত্র সংগঠন ও তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করার দরকার।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: হাজীরা দিয়ে গেলাম।
পরে পড়বো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, আমি একটু পরে এই মন্তব্য মুছে দেবো, পোষ্ট পড়বেন, না হয়, পরে পড়বেন; হাজিরার কোন দরকার নেই!

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পরাধীন দেশে ছাত্র রাজনীতি হয়তো প্রয়োজন ছিলো, তাছাড়া তখন শিক্ষিত ছিলোই কয়জন? এখন বর্তমান সময়ে ছত্রাক রাজনীতি তথা ছাত্র রাজনীতি শাটডাউন করার সময় হয়েছে। তবে মনে হয় না এই আগুনে কোনো সরকার হাত দেবেন বা এতো বড় দুঃসাহস রাখেন, কারণ এরশাদ ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে গিযে স্বৈরাচার খেতাব পেয়ে ১৯৯০ সনে এরশাদের মৃত্যু হয়।

ছাত্রলীগ নিজেই একটি স্বতন্ত্র সরকার। - এই উক্তির বিপক্ষে যারা মতামত দেবেন তারা “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্পর্কে ০০ ধারণা রাখেন”।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল এরশাদ ছিলেন ভেড়ার ছামড়াপরা নেকড়ে; শেখ হাসিনা এই জেনারেলের জন্য ভাত ছিটিয়েছেন আংগিনায়; আজকে উনার ভয়ের কিছু নেই; "রগকাটার দল"ও গর্তে পালিয়ে গেছে। উনি ছাত্রলীগ রাখলে, রগকাটার দল আবার এসে উপস্হিত হবে, এখন রগকাটার যন্ত্র বানাচ্ছে গর্তে বসে।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি বরাবরই ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে। কোন মতেই - এটার সাফাই চলবে না। সব দেশ এগিয়ে চলেছে। আর আমরা ছাত্রদের দিয়ে শিক্ষকদের ধমকাচ্ছি...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই লিলিপুটিয়ানরা রাজনীতিবিদ নয়, চোর-ডাকাত-মাফিয়ার দল।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: সরকার কোন প্রকারেই দূর্নীতিকে প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং না পারার যথেষ্ট কারন আছে ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশে ইংরেজরা থাকে না, যারা আছে, এরা সবই বাংগালী।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





ছাত্রলীগ নিজেই একটি স্বতন্ত্র সরকার, ছাত্রলীগ বাংলাদেশে এটম বোমা সদৃশ
জামাত ডুবেছে তাদের ৭১ কৃতকর্ম আর আর শিবির দিয়ে
বিএনপি ডুবেছে ছাত্রদল আর তারেক জিয়া গং দিয়ে
এরশাদ ডুবেছে ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে গিয়ে

ছাত্ররাজনীতি একটি ভয়াবহ মারনাস্ত্র - এই অস্ত্র দুধারি তলোয়ার, তার কাছে নিজপক্ষ শত্রুপক্ষ বলে কিছু নেই।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল জিয়া সামান্য শাস্তি পেয়েছে, জেনারেল এরশাদ অপরাধ করে পুরস্কৃত হয়েছে; ছাত্রলীগকে বাঁচিয়ে রাখলে, "রগকাটার দল"ও বেঁচে থাকবে; জাতি আবার আক্রান্ত হবে।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

ঢাকার লোক বলেছেন: স্পষ্টতই এখন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার সময়। ছাত্র রাজনীতি বর্তমানে চাঁদাবাজ তৈরি ছাড়া আর উপকার করছেনা। পড়াশুনা শেষে যারা রাজনীতি করতে আগ্রহী ও উপযুক্ত তারা রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ালেখা শেখার পর, যার যা ইচ্ছে তাই করুক; আমাদের রাজনীতিবিদ ইন্জিনিয়ারেরা বুলশিট গলাবাজি করছে, আর চীনারা আমাদের কয়েক বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি অবশ্যই সময়োপযোগী ও সাহসী। তবে একটি উদাহরণ তৈরি করাই যথেষ্ট নয় । সারা দেশে এই জাতীয় হাজার হাজার ঘটনা আছে। সব গুলোর আইনানুগ শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সাহসী পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতিতি শিক্ষিত বাংগালীর উচিত শেখ হাসিনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করা।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ৭১ এ ছাত্রলীগের ছাত্র সহ তাদের গুরুজনরা এক দৌড়ে কোলকাতা গিয়ে বোতল নিয়ে ডুব দিয়েছিলো। এই দেশে যুদ্ধ করেছে শিক্ষিত-অল্প শিক্ষিত-অশিক্ষত বেকুব জনতা আর কিছু পুলিশ ইপিআর আর ইষ্ট বেঙ্গলে থাকা সব বেকুব। কারণ সব চালাক এক দৌড়ে - ঠিক এক দৌড়ে ভারত পগার পার চলে গিয়েছিলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


যু্দ্ধ করেছেন কৃষকের গরীব ছেলেরা, গরীব ঘরের ছাত্ররা, ইপিআর ও সামান্য পরিমাণ বেংগল রেজিকেন্ট; ধনী ঘরের ছেলেরা যুদ্ধ করেনি। ছাত্রলীগ বা অন্য যারা যুদ্ধ না করে পালিয়েছিলো, তাদেরকে দায়ী না করাই ভালো, যুদ্ধ সবাই করতে পারে না, ইহা বিশাল সাহস ও সিদ্ধান্তের বিষয়।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঢাকার লোক বলেছেন: একক ভাবে পদ্মা সেতু তৈরির মত বিশাল কর্মযজ্ঞ সমাপ্ত করার মত অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের ইন্জিনিয়ারদের নেই, ছিলও না। তাই এ অবস্হা আপাতত মেনে নিতে হবে। তবে আমাদের ইন্জিনিয়াররাও ইওরোপ আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে অনেক প্রকল্পে সফলতার সাথে কাজ করছেন, সেও সত্য। রাজনীতি করায় দোষ নেই, ইন্জিনিয়ার বলেন, শিক্ষক বলেন, ডাক্তার বলেন, নিজের কর্মক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো দক্ষ হতে হবে, নিজেদের কাজ নিজেরা করার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে, তাতে কোন দ্বিমত থাকতে পারে না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বলছি, ছাত্র রাজনীতি যারা করে, তারা পড়ে না, অন্যদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটায়, এজন্য আমাদের ইন্জিনিয়ারেরা ভালো ইন্জিনিয়ার নন, ডাক্তারেরা ভালো ডাক্তার নন, কবিদের অনেকেই উন্নত ভাবনার কবি নন, সাংবাদিকেরা ম্যাঁওপ্যাঁও। চীনারা মেয়ের পেটে থাকতে শিখে ফেলে?

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



.............."শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী এক অধ্যাপিকার আজকের ফেইসবুক স্টেটাস".............

ছাত্রলীগের শোভন-রাব্বানি বাদ"! বিষয়টিকে খুব সাদা-কালো ফ্রেমে দেখার সুযোগ নেই, বরং এতোটাই রঙিন যে এই রঙের খেলায় অনেকেই বা অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে, সেগুলোও কি এখন বের হয়ে আসবে কিনা কে জানে!

ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা বলি, রোকেয়া হলের ৭ মার্চ ভবনে যেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গেলেন, সেদিন আমি সেখানে ছিলাম| প্রক্টরিয়াল কমিটির দায়িত্ব ছিল আমাদের, স্টেজ ও অনুষ্ঠানরুম | প্রধানমন্ত্রী আসার সাথে সাথে আমাদের বসতে গিয়ে দেখা গেলো, তেমন কোন সিট খালি নেই, একদম শেষ দিকে একটা সিট পেয়েছি কিন্তু সেটা তৃতীয় সিট, দুটো ছেলেকে ডিঙ্গিয়ে আমার ওই সিটে বসতে হবে| কিন্তু আমি তা না করে ওদের দুজনকে বললাম, তোমরা এক সিট করে ওই দিকে যাও, আমি এই সাইডে বসি| ওরা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো, যেন আমি ভুল কিছু ভুল কাউকে বলে ফেলেছি! কিন্তু আমি খুব স্পষ্ট করে, তাদের সেই দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে, এবার চোখ দিয়ে ইঙ্গিত করে হাসি মুখে বললাম, এক সিট আগাও! আমি এই সিটে বসি...(কারণটা ওদের না বললেও জানি, আমার যেকোনো সময় উঠতে হতে পারে, তাই আইলের পাশে বসলে উঠতে সুবিধা হবে, তাই)| এবার আর ওদের উপায় নেই, এক সিট করে সরে গেলো, আমি বসলাম, হাসি দিয়ে থ্যাংকস জানালাম| তারপর পুরো অনুষ্ঠানে তাদের মনোযোগ যতটা না অনুষ্ঠানের, তারচেয়ে বেশি আমি কে, আমার এই আচরণে তারা যেন কিছুটা অবাক হয়েছেন| ওদের এতে দোষ দেখি না আমি, আমিতো দেখি প্রতিদিন তাদের প্রতি অন্যদের কি তোষামোদি ব্যবহার! সেই ব্যবহার আমার থেকে তো পাই-ই নাই, বরং এক সিট ছেড়ে বসতে বলেছি, সেটা হজম করা কষ্টের হবে, এটাই স্বাভাবিক! ভাবছে, আমি বোধহয় তাদের চিনি নাই! কিন্তু কথা হল, ছেলে দুটো কে আমি জানি, আমি খুব ভালো করেই জানি, ওরা কারা? কিন্তু আমি ওদের তা বুঝতে দেইনি| হতে পারে তারা ছাত্রলীগের অমুক-তমুক, কিন্তু আমার কাছে ওদের পরিচয় কেবল আমার ছাত্র| আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ওরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র| এর বেশি ওদের কোন পরিচয় আমার কাছে বড় নয়|

এই অভিজ্ঞতা এখানে বলার একটাই কারণ, ছাত্র নেতাদের এতোটা ক্ষমতাধর ভেবে তোষামোদি, ভাগ বাটোয়ারা, কমিশন দেয়া- এসব আমাদের বাদ দিতে হবে| ক্ষমতার লোভে বড়রা (রূপক অর্থে নয়, আক্ষরিক অর্থেই) যদি ছোটদের তোষামোদি করে, তাহলে ছোটরা আশকারা পেয়ে একসময় লাগামহীন ঘোড়া হবে, শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করবে, উপাচার্যের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে, এটাই স্বাভাবিক! ষাটের দশক কিংবা সত্তর এর দশকের ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষকদের সাথে কী আচরণ করতো, সেটা আমার মা একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ছিলেন বলে প্রত্যক্ষসূত্রেই জানি, তাই আজকের দিনের কিছু কিছু ছাত্রনেতাদের আস্ফালন কেবল ছাত্রদের একার দোষ দিলে হবে না, অন্যান্য রংগুলোও আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে!

বলা হচ্ছে, শোভন-রাব্বানিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্বাচন করেছিলেন, মেধাবীও ছিল, ভদ্র-মার্জিত-পারিবারিক পরিচিতও অনেক ভালো ছিল| তাহলে হটাৎ কী এমন হল যে একবছরে এইরকম ছেলেগুলো বদলে গেলো? ছাত্রলীগের নেতা হলেই তাদের কী এমন ক্ষমতার বা দুর্নীতির হাতছানি আসে যে, ছেলেগুলো পালটে গেলো? অনেক বিচার বিবেচনায় আনা ছেলেগুলো কেন এতোটাই ভুল পথে হাঁটল যে, নেত্রী তাঁর পছন্দের নেতাদেরই বাদ দিলেন?

শফিউল আলম প্রধানের পর ছাত্রলীগের ইতিহাসে এতো বড় ঘটনা ঘটেছে কি আর? এই দুজন অনেক বছর ধরে নেতৃত্বে আছে, তাও না| তাহলে কেন এতো দ্রুত ছেলেগুলো পালটে গেলো? তাদেরকে এভাবে পথ হাঁটতে কারা ইন্ধন জুগিয়েছে? কারা প্রশ্রয় দিয়েছে? সেই তারাই আবার রং মেখে এবার নতুনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়-ইন্ধন দেবার জন্য তৈরি হচ্ছে কিনা? তাই নতুনদের পথ হাঁটতে হবে খুব সাবধানে! নেতৃত্ব মানে অন্যের হাতছানিতে কিংবা লোভী হয়ে ওঠা না, বরং বিনয়ী ও সেবক হয়ে ওঠা! তাই দুটো ভাবনা থাকলো-

১| কেউ কেউ দাবি করছে, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কমিটিকে কেউ কেউ ভুল পথে হাঁটিয়ে ভুল প্রমাণিত করার রাজনীতি করেছে| রাজনীতি মানেই তো কাউকে ট্র্যাপে ফেলে অন্যের স্বার্থ হাসিল হওয়া...হতে পারে এমনটি! কিন্তু এতো বড় দায়িত্বের জায়গা থেকে স্বার্থান্বেষী মহলের ট্র্যাপে পড়বে কেন? কেউ তো এখানে শিশু নয়, তাহলে এতো ভুল পথে হেঁটে যাওয়া কেন? নতুনরা নিশ্চয়ই এসব মাথায় রেখে পথ চলবে| ২| ছাত্রলীগের এই নেতাদের দুর্নীতি/ নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পর্দা-কেটলি-বালিশ কাহিনির রাঘব-বোয়ালদের দুর্নীতির কথা ফেসবুকে কিংবা সংবাদপত্রে আসলেও, তাদের বিরুদ্ধে কি গোয়েন্দা সংস্থা কোনো রিপোর্ট দিচ্ছেন উনাকে? নিশ্চয়ই দিচ্ছেন, এবং খুব অচিরেই আমরা এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধেও কঠিন শাস্তি দেখতে পাবো, সেই প্রত্যাশায় রইলাম!

শেষ কথা একটাই, ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে একটা গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দেবার জন্য!! যে ছেলেদুটো বাদ পড়লো, তারা এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে (হয়তো শাস্তিও পেতে হতে পারে, সেই শাস্তি মাথা পেতে নিয়ে) নিজেকে সামলে নিইয়ে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করবে, সেই প্রত্যাশা রইলো| আর যারা নতুন করে যুক্ত হল, তাদের ওপর পাহাড় সমান দায়িত্ব ছাত্রলীগের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের! অভিনন্দন রইলো!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই অধ্যাপিকা একটু মাঝারি ধরণের ইডিয়ট! উনি বুঝেন না যে, ছাত্ররা ছাত্র, ওদেরকে রাজনীতি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তি করানো হয়নি। উনি সিট থেকে সরায়ে বিরাট কাজ করে ফেলেছেন? উনার বলা উচিত ছিলো, "ছাত্ররা পড়বে, ওরা রাজনীতি করার জন্য বিশ্ব বিদ্যালয়ে এডমিশন পায়নি"।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলোচিত হয় তাদের শিক্ষার মান, গবেষণা আর অর্জনের জন্য। বৃটেনে দেখেছি ইউনিভার্সিটিগুলো তাদের সেরা গবেষক/বিজ্ঞানী/নোবেল লরিয়েটদের ছবি ইউনিভার্সিটির দেয়ালে সুন্দর করে সাটিয়ে রাখে; সাথে তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় আর অর্জনের এক্সক্লুসিভ তালিকা। এসব ক্যাম্পাসে মিছিল/মিটিং দূরের কথা কোন হট্টগোল কখনো চোখে পড়ে না। কে শিক্ষক? কে ভিসি? কে নেতা? এগুলো বড় পরিচয় হিসাবে বিবেচিত হয় না কখনো। এসব ইউনিভার্সিটিতে সিলেবাস মুখস্থ করে পরীক্ষায় ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হওয়ার নেশা কিংবা তাড়া নেই। এসব ইউনিভার্সিটি গবেষণা আর নতুন নতুন আইডিয়াকে উৎসাহিত করে।

গত কয়দিন থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খবরের শিরোনাম হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম কিংবা গবেষণায় অর্জন নিয়ে নয়; আলোচনা হচ্ছে ইউনিভার্সিটির উন্নয়ন তহবিল নিয়ে। আরো স্পষ্ট করে বললে চান্দাবাজি নিয়ে। এর সাথে সম্পৃক্ত ইউনিভার্সিটির ভিসি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি! বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক-ছাত্র নতুন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বেশ কিছুদিন থেকে আন্দোলনও করছেন।

খবরে প্রকাশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের ৪-৬ পারসেন্ট চাঁদা দাবি করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ৮ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করে এই চাঁদা দাবী করেন দুই নেতা। উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার পেয়েছে- এমন কোম্পানির কাছ থেকে ভিসিকে টাকার ব্যবস্থা করে দিতে বলেন শোভন ও রাব্বানী। কিন্তু ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) তাতে রাজি না হওয়ায় তার সঙ্গে দুই নেতা রূঢ় আচরণ করেন।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন কাজের জন্য এ বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৫টি আবাসিক হল (তিনটি ছাত্র ও দুটি ছাত্রীনিবাস) নির্মাণের জন্য ৩৬৭ কোটি টাকার টেন্ডার চূড়ান্ত হয়েছে।

এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছে। স্বয়ং ভিসি উনার সাথে দেখা করে বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে বিভিন্ন পত্রিকায়ও এ বিষয়ে খোলামেলা বক্তব্য দেন। এজন্য এসব ভাগবাটোয়ারার খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্রলীগের প্রধান এই দুই নেতার কথা মতো উন্নয়ন প্রকল্পের ৫% তাদের পকেটের উন্নয়নে বরাদ্দ দিলে তার মোট পরিমাণ হবে ৭২ কোটি টাকা! ভাবা যায়? তাহলে সারা দেশের পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলোর বরাদ্দের ৫% কমিশন যোগ করলে কত হবে? নিশ্চিতভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

শুধু এই কমিশন কেন? এরা সারা দেশে কমিটি দিতেও কমিশন চাইবে। যা আগের কমিটিগুলোও করেছে বলে অভিযোগ আছে। শুনা যায়, শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি পদে নিয়োগের জন্য তার কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছে এই দুইজন! বলেছে ৬ মাসেই নাকি এই বিনিয়োগ ডাবল হবে! অন্য ইউনিভার্সিটি/বিভাগ/সিটি/জেলা/উপজেলা পদের বিপরীতে কত ইনকাম হতে পারে?

অভিযোগ আছে,নির্বিঘ্নে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঈদের আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে এক কোটি ও শাখা ছাত্রলীগকে এক কোটি টাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি দিয়েছেন; এমন অভিযোগে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছে একদল শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

এখন কথা হচ্ছে, ভিসি এই টাকা কোথায় পেলেন? উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি টাকা তিনি কোন অধিকার বলে একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে দিলেন? এই টাকা নিশ্চয় তার বাপ-দাদার সম্পত্তি বিক্রি করে দেন নাই। দেশের নাগরিক হিসাবে স্পষ্ট জবাব চাই। একজন ভিসি কোন নৈতিকতার বলে গুন্ডাদের চাঁদা দিলেন? শুনা যায় উনার স্বামী/সন্তান এই উন্নয়ন ঠিকাদরীর সাথে জড়িত! এই দালালদের পুনর্বাস করা হয় ভিসি হিসাবে? এসব অভিযোগ সত্য হলে ভিসির পদে থাকার কোন নৈতিক ভিত্তি উনার নেই। এখনই তাকে সম্মানী এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ।।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্ররা রাজনীতি করার মত জ্ঞানী নয়, ছাত্ররা মাফিয়া হওয়ার মত শক্তিশালী

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৪

নতুন বলেছেন: ছাত্ররাজনিতি দরকার কারন এরা রাজনিতিক দলের লাঠিয়াল বাহিনি,

মানুষকে সায়েস্তা করতে এই ছাত্রদলকেই হ্যালমেট পরিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেয় নেতারা।

এটা শেখ হাসিনাও জানে, খালেদা জিয়াও জানে.

এই সব ছাত্রদের কলমের চেয়ে হাত বেশি চলে তাই এরা নেতা, এরা কলমের চেয়ে লাঠি,পিস্তল বেশি ভালো চালাতে জানে তাই বড় নেতা।

শেখ হাসিনা যতদিন ছাত্র রাজনিতি বন্ধের ঘোষনা না দেবেন ততদিন দেশ থেকে চাদাবাজী, সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারবেন না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক।
শেখ হাসিনার উচিত সর্বপ্রকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি মানে ছাত্র নামধারী কিছু ব্যক্তিকে দুর্নীতির সুযোগ করে দেওয়া।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এরা পড়ালেখার ধারে কাছে নেই, এরা ইউনিভার্সিটিগুলোকে গরু ঘরে পরিণত করেছে।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




১। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হবে না, যে সরকার এটি বন্ধ করতে যাবে সে সরকার পতন নিশ্চিত।
২। ব্লগার কাউসার চৌধুরী উল্লেখিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা একজন বিএনপি ঘরানা ফেসবুকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষিকা কোনো না কোনো রাজনৈতিক পকেটে বসে শিক্ষকতা করেন। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি পদ একটি রাজনৈতিক তৈলাক্ত নাম।
৩। ছাত্ররাজনীতি না বলে এদেরকে সরকার ও বিরোধী দলের “গুন্ডারাজনীতি” বলা যায়। সময়ে অসময়ে গুন্ডাদের সাধারণ মানুষের বা বিরোধী দলের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়।
৪। শিবিরকে সরকার হাতের পাঁচ হিসেবে রেখেছে, শিবির নির্মূল করা অসম্ভব কাজ নয় !!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনাকে অনেকই ভয় পায়, এসব চিচিমিচি পিচিপিচি প্রশ্নফাঁস করাদের লাথি মারার মতো ক্ষমতা শেখ হাসিনার আছে, উনি হয়তো সেটা প্রয়োগ করার কথা ভাবছেন না।

ইউনিভার্সিটির বেস্বহীর ভাগ শিক্ষককে অন্য চাকুরীতে বদল করার দরকার, এরা অতীতে ক্যাডার ছিলো।
শিবির জাতিকে আবার আক্রমণ করবে, এগুলো মগজহীন হায়েনা

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন:
@আমি বলছি, ছাত্র রাজনীতি যারা করে, তারা পড়ে না, অন্যদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটায়, এজন্য আমাদের ইন্জিনিয়ারেরা ভালো ইন্জিনিয়ার নন, ডাক্তারেরা ভালো ডাক্তার নন, কবিদের অনেকেই উন্নত ভাবনার কবি নন, সাংবাদিকেরা ম্যাঁওপ্যাঁও। চীনারা মেয়ের পেটে থাকতে শিখে ফেলে?
@শেখ হাসিনার উচিত সর্বপ্রকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা।
@১৯৭১ এ যু্দ্ধ করেছেন কৃষকের গরীব ছেলেরা, গরীব ঘরের ছাত্ররা, ইপিআর ও সামান্য পরিমাণ বেংগল রেজিকেন্ট; ধনী ঘরের ছেলেরা যুদ্ধ করেনি। ছাত্রলীগ বা অন্য যারা যুদ্ধ না করে পালিয়েছিলো, তাদেরকে দায়ী না করাই ভালো, যুদ্ধ সবাই করতে পারে না, ইহা বিশাল সাহস ও সিদ্ধান্তের বিষয়।

সহমত

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাকে বেশীর ভাগই "সহমতে" দেখা যায়।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি দুইটাই দেশের জন্য ক্ষতিকর। দুইটাকেই চিরতরে বাদ দিতে হবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



শিক্ষকদের বেশীর ভাগ পুরানো ক্যাডার, এদেরকে অন্য এলাকায় বদলী করার দরকার। আমি সম্প্রতি জাহাংহীর নগরের এক প্রাক্তন ভিসি, ড: জসীম উদ্দিনের সাথে আলাপ করার সুযোগ পেয়েছিলেম, জাষ্ট ফাউল লোক!

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আরেকটা জিনিস বাদ দিতে হবে সেটাকে বলে CBA. এই সংগঠনটি বিরাট মাস্তান তন্ত্র।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরা ট্রেড ইউনিয়ন?

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এরা ট্রেড ইউনিয়ন কিনা তা জানি না। তবে এরা বেশির ভাগই হল পিয়ন দারোয়ান পদের লোক । এরা অফিসের সংগঠনের নেতা। কোন কাজ করে না। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকে। অফিসের বড় বড় কর্মকর্তাদেরকে তুই-তোকারি করে কথাবার্তা বলে। পায়ের উপর পা তুলে সময় কাটায়। চলাচল করে পাজেরো গাড়ি করে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের দুর্বলতা

১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন:
আপনাকে বেশীর ভাগই "সহমতে" দেখা যায়।

আপনি অনেক সতর্ক । সব মনে রাখেন হা হা হা। আমি সাধারণত নিজের বক্তব্য কম দেই । কারণ আমি নিজে মনে করি আমি বুঝি কম বা বুঝতে সময় নেই। আমি ভালো শ্রোতা । তবে সম্ভবত আমি ভালো বক্তা নই । আপনাদের মতামত যেটা আমার কাছে মনে হয় সঠিক তাতে সহমত পোষণ করি ।
ধন্যবাদ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওকে

২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট খুব মন দিয়ে দুইবার পড়লাম।
আপনার সাথে আমি পুরোপুরি সহমত।

ছাত্ররা লেখা পড়া করবে। রাজনীতি না। আমাদের মতো দেশে ছাত্রলীগ কোনো দরকার নাই। নো, নেভার।

বহু আগেই এদের অফ করে দেওয়া দরকার ছিল।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের ইউনিভার্সিটিগুলো এদের মাফিয়া ব্যবসার হেডকোয়ার্টার

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ও আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি, এরা ছাত্রলীগ করে টাকার জন্য। ক্ষমতার জন্য। প্রতিটা কলেজের ভিপি মিপি বহু টাকার মালিক হয়ে গেছে। তাদের গাড়ি, বাড়ি ফ্লাট এর অভাব নেই। এমন কি তারা বউ বাচ্চা নিয়ে লন্ডন প্যারিস ঘুরে বেড়াচ্ছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা মাফিয়া ব্যবসা

২২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি বলুন , তো বাংলাদেশের মত এত বেশি মানুষ আর কোন দেশে আছে ? আমার জানা মতে, পৃথিবীর কোন দেশেই বাংলাদেশের মতো এত বেশি অতিরিক্ত লোক জন নেই। জনসংখ্যা থাকতে হবে সম্পদ ও দেশের আয়তন এর সমান অনুপাতে। বাংলাদেশের সেটা নেই । তাই কামলা দিতে ছুটে মালয়েশিয়া মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে। এটি একটি দেশের জন্য অবশ্যই লজ্জার ব্যাপার। অন্যের দেশে কামলা দেওয়াটা একটা অপমানের বিষয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


উৎপাদন করার জন্য, ব্যবসা করার জন্য মানুষ দরকার; বাংলাদেশের মানুষ ছিলো; কিন্তু উৎপাদন, বা ব্যবসা করার মতো জ্ঞান ওদের দেয়নি সরকারগুলো, অর্থাৎ ওদেরকে শিক্ষা থেকে বন্চিত করেছে; সরকার বুঝতে পারেনি যে, এটা ছিলো সরকারগুলোর ভয়ংকর বড় অপরাধ; উন্নয়ন মানে, মানুষের শিক্ষাগত উন্নয়ন হলো ১ম ধাপ, মানুষ করবেন ২য় ধাপ, মানে সমাজ ও শিল্পোন্নয়ন।

২৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: সরকার ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করবে না, এর কারণ সরকারের ছাত্রলীগের দরকার আছে।ছাত্রলীগ দিয়ে সরকারে যেমন লাভ আছে তেমনি ক্ষতি ও আছে।দলকে ক্ষমতায় ঠিকিয়ে রাখার জন্য এই ধরনের সংগঠন দরকার, এর জন্য কার কি ক্ষতি হচ্ছে তা সরকার দেখবে বলে মনে হয় না।এই ছাত্রলীগ দিয়ে সরকার বহু আন্দোলন দমন করেছেন, তা কম বেশি সবাই জানে ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরাই থাকবে আওয়ামী লীগে, শুধু ইউনিভার্সিটির বাহিরে; ইউনিভার্সিটিতে যারা যাবে, তারা পড়বে, রাজীতি করতে পারবে না, করলে আউট!

২৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: অনাবিল স্বপ্ন আর দিনবদলের অপরিমেয় প্রত্যাশার রক্তিম আলোয় উদ্ভাসিত অফুরন্ত প্রাণোন্মাদনা নিয়ে নতুন সূর্যের আলোয় অগ্রসর হবে আমাদের সবার প্রিয় ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন-উপযোগী আদর্শবান কর্মী গড়ার কারিগর হোক ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের কর্মীরাই পারে দেশটিকে পাল্টে দিতে,যদি তেমন কর্মী হয়। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেবের সিঁড়ি ছিলো ছাত্রলীগ; উহা বিভক্ত হয়ে, একটা হয়েছিলো জাসদ; জাসদ শেখ সাহেবের নামে "মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে উনার সুনাম নষ্ট করেছিলো, উনার সরকারের বিপক্ষ 'গণবাহিনী' করে অস্ত্র ধরেছিলো"।

২৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০

কানিজ রিনা বলেছেন: শুধু ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলেই পার হবেনা।
সারাদেশে উপজেলা থানা পর্যায় নেতা উপনেতারা
ক্যাডার বাহিনী পোষে যারা নেতা উপনেতাদের
কোটিপতি বানায় চাঁদা তুলে। হেন কোনও অপরাধ নাই তারা করেনা থানা তাদের হাতে।
ছাত্রলীগের আবার দুই গ্রুপ তারা সারাদেশে
কোনও না কোনও জায়গায় মারামারী খুন
খারাবীতে দুইদলেই পারদর্শী। কথায় আছে
সন্ত্রাসীরা যখন যেদল ক্ষমতায় থাকে সেই
দলের ছাতার নীচে আশ্রয় নেয়। ধন্যবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্র রাজনীতি মাফিয়ার জন্ম দিয়েছে; এরা ডাকাত, এডের কোন দল নেই, এরা দলে নাম লেখায়ে নিজেদের কার্যক্রম চালায়।

২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অপকর্ম শুধুই এই দুই ছাত্রনেতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, অনেক ছাত্র নেতানেত্রীই সীমাহীন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন | পদের কারণে হয়তো এই দুজন হালুয়ারুটিতে একটু বেশি ভাগ বসাচ্ছিল | এমতাবস্থায় এই দুজনকে সরিয়ে যাদের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে তাদেরকেও সেই বেশি হালুয়া রুটির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে নাতো ?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছাত্রলীগকে এমপি'রা ভয় করে, সমগ্র প্রশাসন এদের ভয়ে কাঁপে।

২৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দশ-বারো বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রনেতাদের তো বটেই পাতি নেতাদের পকেটে পিস্তল থাকতো। হলে হলে বহিরাগত, এমনকি টোকাইও পালা হতো ফাইটিঙ্গের জন্যে। প্রতি রাতে গুলির শব্দ শোনা যেত, আসলে হলের ছাদে গুলি প্র্যাক্টিস হতো।

বর্তমানে হলগুলোতে কোন বহিরাগত থাকতে পারেনা। গত ১০ বছর কোন গুলির শব্দ শোনা যায় নাই।
ছাত্ররাজনীতি আরো টাইট দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অপপ্রচারকারিরা এসব এপ্রিশিয়েট না করে আরো দ্বীগুন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি ১০ বছর আগের দিনগুলোর অভাববোধ সকরছেন?

এরা কত লাখ মানুষের পড়ালেখার মত রিসোর্স ডাকাতী করেছে, ইউনিভার্সিটিগুলোকে কত পেছনে নিয়ে গেছে, এদের কারণে কত লাখ ছেলেমেয়ে বিদেশে গিয়ে পড়েছে?

২৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৭

বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলে দেশের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অবশ্যই

২৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: রাজনীতি যখন পেটনীতি তখন কি আর বলার থাকতে পারে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনীতিই বিশ্ব চালাচ্ছে, পেট চালাচ্ছে, জাতিকে চালাচ্ছে! সমস্যা হচ্ছে, এখনকার রাজনীতি হতে হবে বিশ্বমানের।

৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ব্লগারদের মতামত জানালাম।
প্রায় সবাই'ই ছাত্রলীগের রাজনীতি বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে ছাত্রলীগ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দিতে পারেন। তিনি অতীতে ছাত্রলীগের চাইতেও বড়বড় অপশক্তির সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নেতাদের শাস্তি দিয়ে টিকে আছেন।

ছাত্রলীগের মূল কাজ ছিলো ছাত্র অধিকার নিয়ে কাজ করা। কিন্তু তারা সেটা করছে না। তাই তাদের থাকার দরকার নেই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ছাত্রলীগকে রাখা ভুল ছিল, এখনো ভুল; ছাত্রলীগ না থাকলে জেনারেল জিয়া ছাত্রদল গঠন করতে পারতো না।

৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: উনিলে দেশটাকে খুবই সুন্দর ভাবে চালাতে পারেন । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, উনি চান না কেন??

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার ধারণা, উনি এর থেকে বেশী জানেন না।

৩২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দুঃখিত। আমার প্রশ্নে বানান বিভ্রাট ছিল। প্রশ্নটি হবেঃ উনি চাইলেই দেশটাকে খুব সুন্দর ভাবেই চালাতে পারেন । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, উনি চান না কেন??

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মনে হয়, উনি চান; কিন্তু উনি এর থেকে বেশী জানেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.