![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
মনে হচ্ছে, ডেমোক্রেটরা নিজেদের ক্ষতি করছে।
আমেরিকার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে, হান্টার বাইডেন ইউক্রেনের গ্যাস কোম্পানীর পক্ষে আইনবিদ হিসেবে কাজ করে বেশ কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করেছে; মাসে বেতন ছিলো ৫০ হাজার ডলার; চাকুরী করার সময়, হান্টার বাইডেনের বিপক্ষে ইউক্রেন সরকার এক মামলা করে। সেই মামলাটি আমেরিকান সরকারের চাপের মুখে অতীতে চাপা দেয়া হয়েছিলো।
সাম্প্রতিক সময়ে, ইউক্রেনকে ২০০ মিলয়ন ডলারের অস্ত্র দেয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের টেলিফোনে কথা বলেন। টেলিফোনে কথা বলার সময়, ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে নির্দেশ দিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলের স্হগিত মামলাটিকে পুনরায় চালু করতে। এখন সেটা চালু করলে, আগামী আমেরিকান ভোটে ইহার প্রভাব পড়বে; প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন আগামী আমেরিকান ভোটে ট্রাম্পের বিপরিতে ডেমোক্রেট দলের ক্যানডিডেট হবার বড় সম্ভাবনা আছে।
ডেমোক্রেট দলের লোকেরা বলছে যে, প্রেসিডেন্টে ট্রাম্প এই ধরণের নির্দেশ দিয়ে, আমেরিকার আইন ভংগ করেছে, তাকে কংগ্রেসে ও সিনেটে ভোট করে বাদ দেয়ার দরকার। বাদ দিতে হলে, হাইজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেটে এই ব্যাপারে ভোট হবে। ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য স্পীকার নেনসী পলোসি তদন্ত চালু করেছেন; তদন্ত চলছে; তবে, ইহা ডেমোক্রেটিকদের বিপক্ষে চলে যেতে পারে!
আমেরিকান কংগ্রেস (পার্লামেন্ট) হচ্ছে ২ কক্ষ বিশিষ্ঠ্ পার্লামেন্ট: প্রথনটি হলো, হাইজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ, এখানে ৪৩৫ সদস্য আছেন, অন্যটি হলো সিনেট, সেখানে ১০০ সদস্য। হাইজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ২৩৩ জন ডেমিক্রেট দলের সদস্য ও ১৯৭ জন রিপাবলিকান (ট্রাম্পের দল) দলের সদস্য আছেন; আর সিনেটে আছে, ডেমোক্রেটদের ৪৭ জন সিনেটর, রিপাবলিকানদের ৫৩ জন, ২ জন নিরপেক্ষ।
ট্রাম্প রিপাবলিকান দলের থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন; অতীতে ট্রাম্পের রাজনৌতিক কার্যকলাপ ছিলো না, তিনি রিয়েলষ্টেইট ব্যবসায়ী; আমেরিকানরা উনাকে নির্বাচিত করেছিলেন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, আমেরিকানরা রাজনীতিবিদদের উপর আস্হা হারায়েছেন বেশ কিছু কাল। ২০১্র৬ সালে, প্রাইমারীতে ( প্রার্থী হওয়ার দলীয় নির্বাচন) ট্রাম্প অনেক বড় বড় সিনেটর ও গভর্ণরদের পরাজিত করে দলীয় নমিনেশন পান। উনার নিজের দল উনাকে নমিনেশন না দেয়ার পক্ষে ছিলো; কারণ, তারা সবাই রাজনীতিবিদ, ট্রাম্পের রাজনৈতিক ব্যাক-গ্রাউন্ড ছিলো না।
নির্বাচনের পর, ট্রাম্পের বিপক্ষে অভিযোগ তোলা হয় যে, ট্রাম্প রাশিয়ানদের সাহায্য নিয়েছে নির্বাচনে; ইহা প্রমাণ করার জন্য একটি তদন্ত হয়; এই তদন্তে, ট্রাম্পের পক্ষের বেশ কয়েকজনের জেল হয়েছে ও অনেকের চাকুরী চলে গেছে; কিন্তু ট্রাম্পকে সরাসরি দায়ী করতে পারেনি। তারপরও, ডেমোক্রেটরা তদন্তের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে কিছু যায় কিনা তা দেখছিলো; হঠাৎ করে আবার টেলিফোনে এই ঘটনা ঘটেছে।
ট্রাম্পকে বাদ দিতে পারবে কিনা? না, বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তারপরও, নেনসি আশা করছে, যেসব রিপাবলিকান ট্রাম্পকে পছন্দ করে না, তারা হয়তো নেনসির পক্ষে আসবে। মনে হয়, সেই সম্ভাবনা কম।
ট্রাম্প টেলিফোনে যা বলেছে, কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট তা বলার কথা নয়; এতে সমস্যা হওয়ার কথা; কিন্তু সিনেটে ট্রাম্পের সিনেটর বেশী, এখান থেকে কেহ কি নেনসি'র পক্ষে যাবে? আরেকটা ব্যাপার, ট্রাম্প আগামী ভোটে বাইডেনকে যেই সমস্যায় ফেলটে চেয়েছিলো, সেটা সার্থক হয়েছে: অনেক আমেরিকান বলছে, বাইডেনের ছেলে কেন ইউক্রেন গেলো চাকুরী করতে, আমেরিকায় কি চাকুরীর অভাব আছে?
আজকে চীনের সাথে ভালো ও কঠিন বাণিজ্য চুক্তি করেছে; সব আমলের থেকে ইহাই আমেরিকানদের জন্য বেশী বাণিজ্যের সুযোগ করেছে। আগে চীনারা আমেরিকা থেকে কখনো ২০ বিলিয়ন ডলারের বেশী কৃষিজাত দ্রব্য কিনতো না, এবার ৪০/৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রোডাক্ট কেনার জন্য চুক্তি হয়েছে; ইহাতে কৃষকদের ভোট ট্রাম্পের দিকে যাবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সামু আমাকে ব্লক করেছে।
আপনার পরিস্হিতি কি নিয়ে, ব্লগিং নাকি ব্যক্তিগত ব্যাপার?
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ট্রাম্প-এর ব্যক্তিত্ব আর চাপার কাছে কেউ পাত্তা পাবে না বলে মনে হয়। ব্যক্তিত্বের কারণে ক্লিনটনকে ইমপিচ করা যায়নি...
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আসলে, প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনকে ইমপিচ করা হয়েছিলো, ক্ষমতা থেকে সরানো হয়নি।
ট্রাম্পকে ইমপিচ করা সম্ভব হবে না, সময় নেই, সবাই ভোট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে।
চীনা বাণিজ্য চুক্তি ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমেরিকানরা মনে হয় তাদের দেশের স্বার্থ ঠিকই ভালো বুঝে। তারা সব কিছুই ঠিক করে ফেলবে । আগামী নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবারও ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকানরা রাজনীতিবিদদের উপর আস্হা হারিয়েছে; ট্রাম্প বেশ সংকটে আছে; তবে, ডেমোক্রেটরা হয়তো নিজ পায়ে কুড়াল মারছে।
৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় ছিলাম, তবে পোস্ট আশা করেছিলাম দেশের সমসাময়িক পরিস্থির উপর। আপনার লেখা যে পাতায় থাকুক না কেন, আপনার লিখা যারা পড়ার তারা ঠিকই পড়ে নিবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের কিছু নিয়ে এি মহুর্তে লিখতে চাচ্ছি না, সামান্য সমস্যা আছে!
আপনি লেখার শুরু করেন।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সব দেশের সরকার ব্যাবসা বোঝেন একমাত্র বাংলাদেশ সরকার ব্যাতিত।
বাংলাদেশের সরকার বোঝেন রাজনীতি!!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
শুরু থেকে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব ভুল ব্যুরোক্রেটদের নিয়ে প্রশাসন শুরু করেছিলেন।
৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শিবির-ছাত্রদলকে ইঙ্গিত করে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, একই গোষ্ঠী আন্দোলন করছে। কোটা আন্দোলনে প্রমাণ হয়েছে, এগুলো করা করেছে। শিবির-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সম্পৃক্ত ছিল। এটাতেও তাই হচ্ছে।
সভায় মেয়র দাবি করেন, বাংলাদেশের তুলনায় আমেরিকা-কানাডায় অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়। এগুলো মুখের কথা নয়। প্রমাণিত সত্য।
সূত্রঃ প্রথম আলো।
ঃ
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
তার অনুমান সত্য; তবে, এই ধরণের আওয়ামী লীগারদের কারণে মানুষ অশান্তিতে আছে, এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী হয়ে গেছে; অথচ, আওয়ামী লীগই সঠিকভাবে গঠিত ও বাংগালীদের স্বপ্নের একামাত্র দল ছিলো।
৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহ হাফেজ।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা মানুষকে নিজের দিকে টানছেন না, এটা ভয়ংকর ব্যাপার; উনার উচিত, মানুষের সাথে বসে, মানুষের কথা শোনা ও সেইভাবে দেশ চালানো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৬
দয়িতা সরকার বলেছেন: আপনাকে আংকেল বলতে ইচ্ছে করছে। আংকেল আপনি কেমন আছেন? আপনাকে কয়েক দিন হল কোনও পোস্ট করতে দেখছি না। আমি খুব জটিল পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছি। কারো সাথে শেয়ার করতে পারছি না। আপনাকে বলতে চাই।