নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনাাগাজীর নুসরাত জাহান রাফি-হত্যা মাদ্রাসা শিক্ষার সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮



মাদ্রাসা শব্দটা শুনলে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উহার সংস্কৃতি সম্পর্কে মনে একটা ধারণা আসে, এই ধারণাটা কখনো উঁচু মানের ছিলো না; মাদ্রাসায় পড়ার জন্য কেহ কোনকালে উৎসাহী ছিলো না; আজকে যেই বাচ্চাটা মাদ্রাসায় যাচ্ছে, সে নিজের ইচ্ছায় যাচ্ছে না, পরিবারের ইচ্ছায় যাচ্ছে; আবার, যেসব বাচ্চা স্কুল কলেজে যাচ্ছে, তারাও পরিবারের ইচ্ছায় যাচ্ছে! কোন ধরণের পরিবারগুলো, তাদের কোন সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছে, আর কোন সন্তানকে স্কুল কলেজে পাঠাচ্ছে, সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে এসব পরিবারের পরিকল্পনা কি?

একটা সময় ছিলো, যখন দুস্হ পরিবারের সন্তানের পড়ালেখার কোন সম্ভাবনা ছিলো না, সরকার এসব পরিবারের সন্তানদের নিয়ে কোন কিছুই করতো না, এক পয়সার মাথা ঘামাতো না, পরিবার এসব সন্তানদের পড়ানোর ব্যাপারে ভাবতেন না, মাদ্রাসার লোকজন এসে এসব বাচ্চাদের থেকে ২/৪ জনকে নিয়ে যেতেন; এতিম বাচ্চাদের সৌভাগ্য হলে, তাদের ২/৪ জনও মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পেতো।

স্কুলের শিক্ষকেরা ছাত্র খুঁজে নিতেন না, তারা নিজেদের চাকুরী করতেন, বেতন পেয়ে যেতেন, ছাত্র ভর্তি হলে তাদের পড়াতেন; এলাকার শিশুরা না পড়লে উনাদের কোন মাথাব্যথা ছিলো না কোনদিন; হয়তো, মাথাই ছিলো না। । কিন্তু মাদ্রাসার লোকেরা ছাত্র খুঁজতেন; মাদ্রাসার লোকজন কখনো সচ্চল পরিবারে গিয়ে বাচ্চাকে মাদ্রাসায় আনার চেষ্টা করতেন না, এরা নিজের থেকেই গরীর পরিবারে যেতেন, এতিমদের খুঁজতেন; অবশ্যই, এটা একটি বিরাট মহত্বের কাজ ছিলো, সরকারের খবর নেই, বেসরকারী সাধারণ মানুষ অন্যকে শিক্ষাদানের জন্য চেষ্টা করছেন।

কোন সচ্চল পরিবার যদি তাদের কোন ১ সন্তানকে মাদ্রাসায় পাঠাতেন, এর পেছনে হয়তো কারণ ছিলো; অনেক সচ্চল পরিবারের প্ল্যান ছিলো যে, যেই সন্তান মাদ্রাসায় যাচ্ছে, সেই সন্তান পিতামাতাকে বেহেশতে নেবে, মহা পরিকল্পনা।

আগে মাদ্রাসাগুলো ছিলো দরিদ্র, মাটির, কাঁচা মাটির; এখন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তানের মাদ্রাসাগুলো দামী বিল্ডিং করেছে, এরা টাকা পেলো কোথায়, কারা এদের এত টাকা দিচ্ছে? বাংলাদেশ সরকার টাকা দেয়ার শুরু করেছে অতি সপ্র‌তি।

সরকার শিক্ষা ব্যবস্হাকে "এক সিষ্টেম"এ আনেনি; মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পর্কে মানুষের আজো উঁচু ধারণা নেই; তারপরও শিক্ষার এই শাখা দেশে চলছে। দেশের শিক্ষিত পরিবারগুলোর সন্তানেরা, ব্যুরোক্রেটদের সন্তানেরা, প্রশাসনের উঁচু পদের লোকদের সন্তানেরা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সন্তানেরা মাদ্রাসায় পড়ে না; যদি পড়ে, ধরে নিতে হবে যে, কোন না কোন সমস্যা আছে, কিংবা মহাপ্ল্যান আছে।

নুসরাত জাহান রাফি'র হত্যাকান্ড শুধু শিক্ষক নয়, ১৩/১৪ জন ছাত্র সম্পর্কে আমাদেরকে ধারণা দিয়েছে; মাদ্রাসায় কারা পড়াচ্ছে, কারা পড়ছে, বা পড়তে বাধ্য হচ্ছে, সেটার উপরও আলোক পড়েছে।


মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: মাদ্রাসার কথা মনে হলেই আমার গা শিউরে ওঠে। বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসার কথা ভাবলে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের সরকার শিশুদের প্রতি অবিচার করছে, মাদ্রাসা সেটারই প্রতীক।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

গোধুলী বেলা বলেছেন: একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনি মাদরাসা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিককে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিতে পারেন না। এতিম বাচ্চারা যে মাদরাসায় পড়ছে সেটা নুসরাতের মাদরাসা নয়। আর আমি মনে করি মাদরাসায় পড়লেই এক জন ছাত্র বেশি জানবে। কারন তারা এক সাথে ৩ টি ভাষা শেখার সূযোগ করে দেয়।
নুসরাতের মত অনেক অনেক আলোচিত ঘটনা আছে যা জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে, এই গুলোকে আপনি কি বলবেন? নাকি তাদের অধিকার আছে এই অঘটন ঘটানো?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্কুল কলেজের ছাত্ররা আজো শিক্ষকের হয়ে ছাত্রীকে পোড়ায়ে মারেনি।
আপনি মাদ্রাসায় পড়ে পিএইডি করুন, ভালো হবে।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



নুসরাত হত্যার ঘটনাটা নিশ্চয়ই বেদনাদায়ক, লোমহর্ষক এবং হৃদয়বিদারক। কথা প্রসঙ্গে কথা আসে। এই একটি ঘটনা যদি গোটা মাদরাসা শিক্ষার সংস্কৃতিকে তুলে ধরে থাকে, তাহলে আপনার কাছে বিনীতভাবে জিজ্ঞেস করতে চাই, সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত বুয়েটের আবরার হত্যা কিসের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বুয়েট, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়, রাজশাহী, চট্রগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে মাফিয়া ছাত্ররা ও রগকাটারা ছাত্র হত্যা করে; শিক্ষক ছাত্রদের নিয়ে এখনো কোন ছাত্রীকে পোড়ায়ে মারেনি।

গরীবের মেয়ে নুসরাতের প্রাণ গেছে, সেজন্য আপানার মাথা ব্যাথা কম।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার অধিকাংশ ভাবনায় সঠিক। তবে আপনার হয়ত জানা নেই বাংলাদেশে মাদ্রাসা সাধারনভাবে দুই ধারায় বিভক্ত। আলিম ও কওমি। প্রথমটি সরকার বেশ আগে থেকেই বেশ কিছু রিফর্মের ভিতর দিয়ে আজকের অবস্থায় এনেছে যার কারিকুলাম জেনারেল শিক্ষার সাথে খুব একটা পার্থক্য নেই( এই ধারাটা এক সময় জামাত-শিবির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল; তবে এখন যতটুকু জানি চিত্র ভিন্ন)। আর কওমী মাদ্রাসায় আরো সংস্কার দরকার যেন উনারা যুগের সাথে তালমিলিয়ে চলার মতো অবস্থায় আসতে পারেন।

ভারতে মাদ্রাসাগুলোর ব্যাপক সংস্কার হয়েছে। আলিয়া মাদ্রাসা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই সেখানে পড়ছে। সাধারণ মাদ্রাসাগুলোতে অন্য ধর্মের ছেলেমেয়েরাও ভর্তি হয়ে ভালো ফল করছে।

বাংলাদেশের কোনো সরকারই নানামুখি শিক্ষার হ-য-ব-র-ল অবস্থা নিয়ে খুব একটা ভাবেন নি। তবে ধীরে হলেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জাতির উন্নতিকল্পে এই রিফর্ম অতীব জরুরী।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভারত সরকার মুসলমানদের উন্নতি নিয়ে মাথা কম ঘামায়, সেজন্য তারা মাদ্রাসা নিয়ে চিন্তিত নয়, মুসলমানেরা যত পারে তত আখেরাত নিয়ে ব্যস্ত থাকুক।

বাংলাদেশ সরকারের উচিত সব শিশুকে সমান সুযোগ দেয়া; জ্ঞানীরা শিক্ষক হবে, মাদ্রাসায় কারা পড়াচ্ছে সেটা নিয়ে সরকার মাথা ঘামায় না।

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৭

গোধুলী বেলা বলেছেন: পোড়ায় মারেনি বলে অপকর্মতো কম করেনি বা করছেনা। প্রায় সব জেনারেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ অপকর্মে ভরে গেছে।

আপনার পরবর্তী লিখনিতে সেই সব সাংস্কৃতিক উঠে আসবে আশা করি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


জাতির যেই প্রোফাইল, জাতির যেই পরিচয় আছে বিশ্বে; সেই অনুসারে স্কুল কলেজ চলছে।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষার উদ্দেশ্য ঠিক ছিল। কিন্তু 'দুষ্ট' লোকেরা এটাকে দিন দিন খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কুতর্কের খাতিরে বলা যায়, ঘুষ, দুর্নীতি, অপরাধ/অপরাধীর সংখ্যা বিবেচনায় মাদ্রাসা আর সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান...

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিক্ষায় জাতির প্রতিটি বাচ্চার সমান অধিকার থাকার কথা, সব বাচ্চার প্রাথমিক শিক্ষা সমস্তরে থাকার দরকার, সব বাচ্চার জন্য সমান সুযোগ।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী রা কোরআন এবং নামাজ নিয়ে বেশী ভাবেন এবং জানেন। যা জেনারেল এর অধিকাংশ ছাত্র/ছাত্রীরা জানেনা বা ভাবে না। তাই মুসলীম দেশ হিসেবে সরকারি ভাবে আরো বেশী গুরুত্ব দেওয়া উচিত এই মাদ্রসা শিক্ষা ব্যাবস্থা কে।।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাচ্চারা প্রয়োজনীয় প্রাথমিক শিক্ষা পাবার পর, বাচ্চা বুঝতে পারবে, সে কি পড়বে; দরিদ্র, অশিক্ষিত মা-বাবা বাচ্চার ভবিষ্যত জানে না।

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কিছুটা ধারণা পাওয়া গেছে । অনেক ভালো শিক্ষক আছেন আছে ছাত্র কিন্তু খারাপের প্রচারণা বেশি হয়। তবে ছাত্রদের পেটানো বিষয়ে আমার দারুন আপত্তি। সাম্প্রতিক সময়ে মাদ্রাসার কতিপয় ওস্তাদ তাদের মুখে চুনাকালি মেখে দিয়েছে। ঘটনা হলো আখেরাতে উদ্দেশ্যে তারা অমঙ্গল সাধন করেছে না রিপুর তাড়নায় আর লোভে করছে ।

অনেক বেশি জানতে হলে কয়েকটি মাদ্রাসা সরেজমিনে পরিদর্শন করে হয়তো জানা যাবে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়ালেখা হলো জ্ঞান অর্জন, উহাতে আখেরাত নেই, আছে জীবন। শিক্ষাতে সব শিশুকে সমান অধিকার দিতে হবে, যাতে সবাই সমান সুযোগ পায়।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসায় মূলত গরীব ঘরের ছেলে মেয়েরা পড়ে। তাদের যদি প্রচুর টাকা থাকতো তারা কখনও মাদ্রাসায় পড়তো না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে গরীব মা-বাবার কোন প্ল্যান থাকে না; শেখ হাসিনার ছেলেমেয়েরা কি পড়বেন, সেটা তিনি জানতেন; তিনি কিন্তু গরীবের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে এখনো ভাবছেন না।

১০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। নিন্ম বা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির বাচ্চারা স্কুলে বা মাদ্রাসায় পড়ে ফ্যামিলির ইচ্ছায়।
ছেলেসন্তানকে মাদ্রাসায় পড়ানোর একটা বড় কারণ, পরকালে বেহেস্তের যাওয়ার আশা। আগে শুনতাম, এক সন্ত্রাস আলেম হলে ৭ জনকে বেহেস্তে নিতে পারে।
বেহেস্তে যাওয়ার ইচ্ছায় সন্তানের মতের গুরুত্ব না দিয়ে জোর করেও মাদ্রাসায় পড়াতে দেখেছি।
যাইহোক,

মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারের নজর দেওয়া দরকার। কে বা কারা শিক্ষক হচ্ছেন বা শিক্ষকতা করছেন সরকার এসব দেখভাল করলে ভালো হবে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির সব শিশুকে একই অধিকার দিয়ে, একই স্তরে পড়ালেখার সুযোগ দেয়া জাতির দায়িত্ব, যেন সবাই সমান সুযোগ পায়।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: আমার বাসার সামনে একটা মাদ্রাসা আছে, সারাদিনের মাদ্রাসা। সকাল বেলা গার্মেন্টস মুখী মা বাবারা তাদের সন্তানদের ওখানে রেখে কাজে যায়। মাঝে মাঝে দেখি বাচ্চা মাদ্রাসায় গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে চাচ্ছে না। মেরে পিঠে টেনে হিচড়ে যে ভাবে পারে ভিতরে প্রবেশ করাতে পারলেই যেন তাদের মা বাবার দ্বায়িত্ব শেষ।আমি কয়েক বার এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কি সমস্যা, আপনাদের বাচ্চা মাদ্রসায় যেতে চাচ্ছে না কেন? বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করেন কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা, ইত্যাদি। কে শুনে কার কথা তাই এই গুলো আমি দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



গার্মেন্টস'এর মেয়েদের বাচ্চাদের জন্য জাতির উপহার, মাদ্রাসা শিক্ষা! গার্মেন্টস'এর মালিকের ছেলেমেয়েরা ক্যাডেটে কিংবা আমেরিকায়।

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

সোহানী বলেছেন: হাঁ আমার ও একই মত। মাদ্রাসা সহ সকল মাধ্যমের সংস্কার জরুরী। সত্যি বলতে আমার ও সাধারণ মানুষের মতো মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে ভীতি আছে। নুসরাত সহ আরো অনেক ঘটনা ভীতির জন্ম দিয়েছে। কিন্তু  কেউ ই এ মাধ্যম নিয়ে পরিস্কার কোনো কথা বলেনি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করেছে ভালো মতে, উনার ভাবনা সেখানেই শেষ!

১৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাদ্রাসায় পড়ে তো কর্মসংস্থান হয় না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মন মতো একটা বউও পায় কিনা সন্দেহ; তবে, দারিদ্রতা পায়

১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: মাদরাসার শিক্ষাসিলেবাসে সাধারণত কোরআন-হাদিস, ইসলামি আইন, আরবি ব্যাকারণ, আরবি সাহিত্য- পাশাপাশি প্রয়োজনমতো বাংলা, ইংরেজি, অংক শেখানো হয়। এটি একটি ধর্মীয় শিক্ষাসিলেবাস- এটা মেনে নিয়েই পরিবাররা তার সন্তানকে মাদরাসায় পাঠায়। তবে এটা সত্য যে, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবাবের সন্তানরাই মাদরাসার ছাত্র হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ।

আমার মতে, এই শিক্ষাসিলেবাস পূর্ণাঙ্গ না। এখানে প্রয়োজনমতো আরো সিলেবাস যুক্ত করা গেলে, এবং স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি মানের শিক্ষা দেয়া গেলে এই শিক্ষাব্যবস্থাও সম্ভাবনাময় একটি জাতি উপহার দিতে পারে। এখন যে দিচ্ছে না, তা নয়। এখানকার ছাত্ররাও আজকাল নিজপ্রচেষ্ঠায় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ নানা সংস্কারমুখী কাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন, বিষয়টি আশাব্যঞ্জক।

১। মাদরাসা শিক্ষায় এই অপূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের খামতি কাটিয়ে উঠতে পারলে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিগুলোতে ছাত্রদৈন্য দেখা দিতে পারে।
২। পক্ষান্তরে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিগুলোতে শিক্ষার খরচের আধিক্যতা কমাতে পারলে মাদরাসার মধ্যে ছাত্রদৈন্য দেখা দিতে পারে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্র শ্রেণীর বাচ্চাদেরকে মাদ্রাসায় পড়ায়ে দরিদ্র থাকার ব্যবস্হা করা হয়।

১২ শ্রেণী শেষ করার পর ছাত্র ঠিক করবে, সে ধর্মীয় বিষয়ে পড়বে কিনা; মাদ্রাসার শিক্ষাকে অনার্স লেভেলে চালু করলে ঠিক হবে।

১৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
হয়তো আপনি সঠিক বলেছেন ,তবে এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ।
সর্বত্র অপরাধ এবং নিষ্ঠুর মানুষ আছে ।এমনকি এটি কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদ্রাসাও হতে পারে ।
কিছু লোকের নিষ্ঠুরতার জন্য সব দায়বদ্ধতা মাদ্রাসার নয় ।যদি সকলেরই মানবিকতা বৃদ্ধি পায় তবে আমরা এই ধরণের সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব ।
অন্যথায়, এমনকি যদি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হই তখনও এটি ঘটতে পারে ।

এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য আমাদের মানবিকতার উন্নতি করা দরকার ।

তবে প্রশ্ন হ'ল আমরা এটি কোথায় পাব?

পরিবার? স্কুল- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়? রাজ্য বা সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা ? বা শিক্ষক ?

কোথায় সেই আদর্শবান ব্যক্তি ,সংগঠন , বা প্রতিসঠান? যেখানে আমাদের মানবতা শেখাতে বা এনে দিতে পারে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে সঠিক জ্ঞান লাভ করার জন্য ইউনিভার্সিটিতে যেতে হয়; সেখানে সমস্যা হলে, সেটাকে ফিক্সড করা সম্ভব।

মাদ্রাসা শিক্ষা নাগরিককে 'সমান সুযোগ' দেয় না; ধর্মীয় শিক্ষা যেজন পেতে চায়, সে সেই শিক্ষা নেবে স্বেচ্চায়, যখন সে বুঝতে পারবে। ৫/৬ বছরের বাচ্চা , যে ধর্মকর্ম ও ভবিষ্যত বুঝে না, তাকে দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্হার মাঝে ঢুকিয়ে দেয়া অন্যায়।

১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: লেখক বলেছেন দরিদ্র শ্রেণীর বাচ্চাদেরকে মাদ্রাসায় পড়ায়ে দরিদ্র থাকার ব্যবস্হা করা হয়। কথাটি আংশিক সত্য। বাকি সত্যটি হলো, তারা মিতব্যয়ী হয়ে বাঁচতে শেখে। অবশ্যই দরিদ্র আর মিতব্যয়ী এক নয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাদ্রাসার গ্রেজুয়েটরদের প্রশাসন বা পাবলিক কোম্পানীতে নেয় না; এটা কি আপনি চান?

১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আধুনিক যুগে এই শিক্ষা ব্যবস্থার কোন দরকার আছে বলে মনে হয় না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্কুলে ধর্ম শিক্ষার সাবজেক্ট থাকবে; ১২ ক্লাশ পড়ার পর, ৪ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি করবে ধর্মে, এরপর মাষ্টার্স, পিএইডি করতে পারবে।

১৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: I hate madrsa education system.

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাদ্রাসা হলো, দরিদ্রদের আজীবন দরিদ্র করে রাখার আরবী পলিসি।

১৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে ভালো মন্দ মন্তব্য করতে হলে হার্ড ড্রাইভ ফুল লোড হয়ে যাবে। সহজ কথা বলতে “হয় বৃক্ষ তোমার নাম কি - ফলে পরিচয়”। মদ্রাসার শিক্ষার আউটপুট ফিডব্যাক কি? আমরা মাদ্রাসা থেকে কি পাচ্ছি?

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসা থেকে পাচ্ছি একটা শিক্ষিত দরিদ্র শ্রেণী, যাঁদের কোন আধুনিক প্রফেশান নেই।

২০| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৭

আবদুল মমিন বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষায় যে দিন থেকে চাঁদ গাজী ধরনের আচর পড়েছে সে দিন থেকেই মাদ্রাসা তার স্বকীয়তা হারিয়েছে ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনাকে চয়েস দিলে, আপনি কি মাদ্রাসায় পড়বেন?

২১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

আবদুল মমিন বলেছেন: প্রথমে মাদ্রাসা শিক্ষার যনিয়তাও প্রয়োজনীয়তা ভালো করে বুঝে নিন । আমাদের ধারনা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হলে চাকুরি পাওয়া যায়না , তা হলে সাধারন শিক্ষা কি একটা চাকর তৈরির জন্যই গ্রহন করা হয় ? মুলত আমাদের দেশে স্কুলে পাঠানোর আগেই মা বাবা একটা টারম নিয়ে বসে থাকেন যে আমার চেলে ভালো করে পড়া লিখা করে একটা বড় মাপের চাকর হবে । মাদ্রাসা সিক্ষার মুল উদ্দেশ্য ই হোল বান্দাকে তার স্রষ্টার সাথে সমপরক করে সেয়া , একটা মানুশকে আদর্শবান করে গড়ে দেয়া ,যাতে তার দারা কেউ অত্যাচারিত না হয় , রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম এর আরাফাতের ময়দানে দেয়া শেষ ভাষণের সারাংশ যা ছিল তার মধ্যে অন্যতম গুলা হোল সমধিকার, মানুশের জানের নিরাপত্তা ,মানুশের মানের নিরাপত্তা, মানশের মালের নিরাপত্তা । এবার আপনি বলুন রাসুলের এই ভাষণের উপর যারা আমল করতেছে তারা কত পারসেন্ট এই সকল অপরাধ এর সাথে জড়িত ? নুস্রাত হত্যা কান্ডে কোন মাদ্রাসার আলেম হত্যা কারীদের বাঁচানর জন্য তদবির করেছেন ? হাঁ যারা হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে তাদের মাঝে সরকারী মাদ্রাসায় পড়ুয়া ও সাধারন সিক্ষায় শিক্ষিত উভয় স্রেনীর লোক ছিল ,কই আপ্নিত ম্রিত্তু দন্ড প্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতার কথা বললেন না তাদের তো দলিও পরিচয় ছিল কই সে কথা তো বললেন না । তাই বলছি চশ্মার নাম্বার টা ঠিক করে নিন আলো আধার কে বুজার চেস্টা করুন ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রসা শিক্ষার দরকার ছিলো আরবে ও আফগানিস্তানে; ওখানে এখনো উহাই শিক্ষা

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ও আপনার পরিবারের কয়জন মাদ্রাসায় পড়েছেন?

২২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫

আবদুল মমিন বলেছেন:

এসের কাকে দেখলে মনে হয় হাপেজে কোরআন ? আলেম ? হাদিস বিশারদ ? ফিকাহ বিদ ?

চাদ্গাজি সাহেব চশমা টা ঠিক করুন ,চশমার পাওয়ার টা চেক করুন ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এরা কি এলিয়েন, নাকি এদের মাঝে মাদ্রাসার ছাত্র আছে?

২৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

পুলক ঢালী বলেছেন: মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে কর্ম জীবনে সে কি করবে ? ইমামতি । সারা দেশের মানুষ যদি মাদ্রাসায় পড়ে তাহলে বাস ট্রেন বিমান চলবে ? বা আমদানী রফতানি হবে ? শস্য উৎপাদন হবে ? অথচ সাধারন শিক্ষায় এগুলো সব হবে। মানুষ কি?? খেয়ে নামাজ পড়তে যাবে? ধর্ম শিক্ষার জন্য, নামাজ শেখার জন্য, মক্তবই কি যথেষ্ঠ নয়? হুজুরদের জন্য বিভিন্ন বাড়ী থেকে খাবার পাঠাতে হয় এটা কি পরজীবী জীবন নয় ? নামাজ শিখে ইবাদত করেই জীবন পার করা যায় এত ব্যাখ্যা বিশ্লেষন শেখার প্রয়োজন কি আছে এই গরীব দেশের? যত জ্ঞানী তত বেশী বিভাজন দেখা যায়। এখন তাবলিগও দুই ভাগ। ওদিকে শিয়া, সুন্নি, হানিফি, মোহাম্মদী, কাদেয়ানি,মওদুদী নামে ইসলাম কত ভাগ হয়েছে। একেকজন একেক পদ্ধতির অনুসারী যে যেমন বোঝে তেমনি ব্যাখ্যা করে।

এই বিষয়গুলো আমি এড়িয়ে চলি আপনি পোষ্ট দিলেন তাই মন্তব্য করে ফেললাম ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঘরে, মক্তবে নামাজ শিক্ষার পর, শিশু দেশের সব শিশুর মতো স্কুলে যাবে; ১২ শ্রেণী শেষ করার পর, যারা চায় তারা ধর্মে ব্যাচেলর, মাষ্টার্স, পিএইডি করবে। মাদ্রাসা আরবী পদ্ধতিতে ইসলামি দরিদ্র শ্রেণী তৈরি করার মেশিন।

২৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩০

মেঘলা আকাশ বিষন্ন মন বলেছেন: উপরের ছবিটা কি আপনার ? মাডরাসা তে যাবার সোমোয়ের?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



উপরের ছবিটা আমার, নীচেরটা আপনার।

২৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:০৭

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: স্কুলবিমুখ ছেলেমেয়েদের অনেকসময় মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়।আরবি লাইনে পাশ করা সহজ এই হিসেবেও অনেকে ভর্তি হয়। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মাদ্রাসা ব্যবস্থা উঠিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার অনেকখানি সংস্কার করা প্রয়োজন যাতে ওরা পিছিয়ে না থাকে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মাদ্রাসায় পড়ে, বিনা জ্ঞানে, বিনা প্রফেশানের ছেলেমেয়েরা কি করে প্রতিযোগীতায় অন্যদের সাথে টিকবে? এদের জীবনটা খুবই দরিদ্রতাপুর্ণ হবে।

২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১২

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: কিছু মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলেমেয়ে আলিম পাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে যদিও তাদের সংখ্যা নেহায়েত ই কম। আর গুণগত মানের কথা বিবেচনা করলে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা বেশ পেছানো। সেক্ষেত্রে আপনার কথা ঠিক যে প্রতিযোগিতায় ওদের জন্য টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু আপনি যদি পাবলিক সেন্টিমেন্টের কথা ভাবেন, তাইলে কোনোভাবেই মাদ্রাসা একেবারে উঠে দেয়া সম্ভব হবেনা। কোনো সরকার ই এমন দু:সাহস করবেনা। অনেক বাবা -মা সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় এমন মানত করেন যে ছেলে হলে মাদ্রাসায় পড়াবেন।
বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এখনো ধর্মান্ধ যাদের দ্বারা ধর্মের দোহাই দিয়ে যেকোনো অন্যায় কাজ করানোও সম্ভব। একটু যদি অতীত ভেবে দেখেন- সাঈদী সাহেবকে চাঁদে দেখা গেছে সেই হুজুগে কতজন রাজপথে নেমেছিল, রক্ত দিতেও কুন্ঠা বোধ করেনি! তাই, সরকার যদি এই শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযুগী করার চেষ্টা করেন, পুরো সিস্টেমকে একটু ঢেলে সাজান ( যেমন: মানসম্পন্ন সিলেবাস প্রণয়ন, দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ, কার্যকরী মনিটরিং ব্যবস্থা ইত্যাদি..), তবে এখন না হলেও সময়ের সাথে সাথে কিছুটা হলেও ওরা আপডেটেড হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেসব মাতাপিতা সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়ানোর জন্য মানত করে, তারা অজ্ঞ; কিন্তু শিশুদের রাষ্ট্রীয় অধিকার আছে, এবং সরকারকে সেটা পুরণ করতে হবে। ব্যাংগের ছাতার মতো গড়ে উঠা মাদ্রাসাগুলো কোন অবস্হায়ই বর্তমান যুগের জ্ঞানী মানুষ গড়তে পারার কথা নয়।

২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আমাদের সমাজের একটি বড় অংশের মধ্যে যতটা না রয়েছে শিক্ষার প্রতি মোহ তার চেয়ে বেশি মোহ রয়েছে মাদ্রাসা নামটির প্রতি । অনেকের মনে সেই বাল্যকাল হতেই বংশ পরম্পনায় গ্রতিথ হয়ে আছে দ্বিনি শিক্ষায় তার ছেলে সন্তানদেরকে শিক্ষিত করে তুলবেন। নীজের সন্তান তাঁর জানাজায় ইমামতি করতে পারলে নীজকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন অনেকেই । এটা ভাল কথা তাতে কোন সন্দেহ নাই । কিন্তু জানাজায় ইমামতি করার জন্য কতটুকু অতিরিক্ত পড়াশুনা করতে হয় এটা মনে হয় অনেকেই ভাবেন না । ইমামতি করার জন্য যা জানার প্রয়োজন হয় তা কোরান শরীফ দেখে পাঠ করতে পারেন এমন কোন শিক্ষিত সুসলমানের জন্য অতি সংক্ষিপ্ত কয়েক মাসের একটি বিশেষ প্রশিক্ষন কোর্সের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষকে দিয়েই করানো যেতে পারে। পবিত্র কোরান হতে নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু সুরা ( পরবর্তীতে নীজ উদ্যোগে যে যত পারেন সুরা মুখস্ত করে নিবেন) দোয়া কালাম ও নিয়ম পদ্ধতির সমাহার ঘটিয়ে সর্বোচ্চ প্রয়োজনের সাথে সংগতি রেখে বিষয় ভিত্তিক একটি সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষন কোর্সের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন ব্যক্তিকে ইমামতি করার উপযোগী হিসাবে সহজেই গড়ে তোলা যায়( ইসলামী স্কলার হিসাবে পরিচিত দেশ বিদেশের অনেকেই মাদ্রাসায় শিক্ষা না নিয়েও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়ে পরবর্তীতে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ধর্মীয় বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করে খ্যাতিমান ইসলামী স্কলারে পরিনত হয়েছেন ) সামাজিক জীবন ধারণ ও ফিকাহ শাস্র তথা ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স এর জন্য ইসলামী বিষয়ে অবশ্যই উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন আছে। এর জন্য দেশের বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যায়ে অনার্স এবং মাষ্টার লেভেলে এ সমস্ত বিষয়ে পড়াশুনার ব্যবস্থা এখনো দেশে আছে এবং এ ধরনের বিশেষায়িত ইসলামি পড়াশোনার ক্ষেত্র আরো বিস্তৃত ও সুবিধা মন্ডিত করা যেতে পারে।

এখন যেহেতু মাদ্রাসা নামটির প্রতি সমাজের একটি বড় অংশের মোহ বা দুর্বলতা রয়েছে সে প্রেক্ষাপটে তাঁদের কারোরই মনোকষ্টের কোন কারণ না ঘটিয়ে সবচেয়ে সহজ কাজ হবে দেশের সাধারণ শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে পরিচিত সকল বিদ্যায়তনের নাম ( যথা স্কুল , একাডেমি, কোচিং সেন্টার , কিন্ডার গার্টেন ) পরিবর্তন করে একক (Single/unitary education system) শিক্ষা কাঠামোর অধীনে একটি কমন নাম তথা মাদ্রাসা রাখা যেতে পারে ( নামতো কোন বিষয় নয় পরিচয় হবে ফল দিয়ে )। মাদ্রাসা নামদারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এখনকার সাধারন শিক্ষার সকল বিষয়ই থাকবে, সে সাথে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের জন্য নীজ নীজ ধর্মের একটি বিষয় বাচ্চাদের বয়স অনুযায়ী কারিকুলাম/পাঠ্যসুচী দিয়ে পাঠদান করা যেতে পারে । মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (SSC HSC) পর্যায়ে অন্যান্য বিষয়ের মত ধর্মীয় শিক্ষামুলক বিষয়টির মধ্যে প্রয়োজনীয় মানের পাঠ্যসুচী সন্নিবেশ করা যেতে পারে। আর ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষায়িত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে স্নাতক পর্যায় হতে। উল্লেখ্য যে ইদানিং সরকারী উচ্চ পর্যায় থেকে কথা উঠছে দেশের সকল ইমামদেরকে রাষ্ট্রিয় ভাবে বেতন ভাতাদি দেয়ার জন্য । যদি এরকম ব্যবস্থা চালু হয়েই যায় তাহলে মনে হয় ধর্মীয় শিক্ষা বিষয় নিয়ে স্নাতক সন্মান ডিগ্রীধারীগনই (Graduate with honours in hislamic studies) প্রাধান্য পাবেন । যাহোক, যে ভাবেই হোক শিক্ষা ব্যবস্থাটিকে যথাযথভাবে একটি একক শিক্ষা কাঠামোতে যথাযথভাবে সমন্বয় করে সকলের কাছে যদি গ্রহনয়োগ্য একটি নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান হিসাবে পরিচালনা করা যায়, তাহলে একদিকে যেমন দেশের সীমিত সম্পদের সুষ্ট ব্যাবহার হবে তেমনি শিক্ষা ব্যবস্থা হতে অসাম্যতা ( inequality in Education ) দুরীভুত হবে বলে মনে হয় ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার ধারণা, বাংলাদেশে যেভাবে কোণায় কোণায় মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে, এরা আধুনিক মানের শিক্ষা দিতে পারার কথা নয়। বাংলাদেশে, বাচ্চাদের ধর্মীয় শিক্ষা হয় মক্তব, মৌলভীর কাছে; এরপর স্কুলে সাবজেক্ট হিসেবে ১০ ক্লাশ অবধি পড়ানো হয়।

আমেরিকায় "থিওলোজিক্যাল" স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি আছে; এরা ব্যাচেলের, মাষ্টার্স ও পিএইডি দেয়। বাংলাদেশে, ১২ শ্রেণীর পর অনার্স হিসেবে ধর্মীয় ব্যাচেলর চালু করলে, যারা মাদ্রাসায় পড়তে চেয়েছিলো, তারা কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষা পেতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষায় কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ ডিগ্রি দিলে, এরা সবার সাথে প্রতিযোগীতায় টিকবে।

২৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:২৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি খাদ্য সহ কিছু সাপোর্টের কারণে মাদ্রাসাগুলোতে পড়তে যাওয়া অধিকাংশ ছাত্ররাই খুবই দরিদ্র পরিবার ও এতিমদের মধ্য থেকে আগত | পিতামাতার সামর্থ থাকলে এদের অনেককেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কবিহীন এই শিক্ষাব্যবস্থার বলি হতে হতো না |

এই সকল শিশুরা জন্ম নেয়ার সময় আমাদের মতোই বাংলাদেশের একজন সম্ভাবনাময় নাগরিক হিসাবেই এই ধরণীতে আসেন | কিন্তু আমাদের তথাকথিত রাস্ট্রব্যবস্থা এদের আধুনিক শিক্ষার মূলধারায় আনার যথেষ্ট চেষ্টা করে নাই | মানুষের দারিদ্রের কারণে এবং রাষ্ট্রের নির্লিপ্ততার জন্য এই সকল হতভাগারা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে এবং এদের মধ্যে সমাজের অন্য শ্রেণী, আধুনিকতা ও বিজ্ঞানমনস্কতার বিরুদ্ধে এক ধরণের বিভ্রান্তি ও ক্রোধের সৃষ্টি হচ্ছে |

এই সকল মাদ্রাসাছাত্রছাত্রীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করে বরং তাদের কিভাবে কারিগরি দক্ষতা প্রদান করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে সবার ভাবা উচিত | ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুকিশোরকে কিভাবে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় আনা যায় তা নিয়ে ভাবা প্রতিটি সচেতন মানুষের জন্য ফরজ হয়ে পড়েছে |

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্রদের লাখ লাখ ছেলেমেয়ে থেকে ইসলামী কায়দায় দরিদ্র শ্রেনী সৃষ্টি করছে সরকার; মাদ্রাসায় দরিদ্র ও এতিমদের যেভাবে সাহায্য করা হয়, সেইভাবে এদেরকে সাহায্য করে, ব ধর্মে অনার্স , মাষ্টার্স ও পিএইচডি অবধি পড়ালে, এরা দারিদ্রতা থেকে বের হতে পারবে।

২৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইমামতি কোনোভাবেই পেশা হতে পারে না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইমামতি, মুয়াজ্জিন, এগুলো প্রফেশান হওয়া উচিত নয়।

৩০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: আখেনাতেনের সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। আপনার সাথে নই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো, আপনার নিজস্ব কোন মতামত নেই।

৩১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

বাংলার জামিনদার বলেছেন: ইমামতি বা মুয়াজ্জিন আসলে কোনো পেশা ছিলোনা, আমাদের দেশে এগুলান বানানো হইছে, নইলে ওরা খাবে কি??? যাই হোক সবাই একটা পর্যায় পর্যন্ত একই লেভেলে শিক্ষা গ্রহন করে সিদ্ধান্ত নেবার মত বয়স হলে যায় যা খুশি চয়েস করুক।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ভাবনাশক্তি স্হুুল

৩২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: এখনই যে কোন প্রত্রিকায় ঢোকেন। সরকারি বেসরকারি যাই বলেন, দেখবেন চুরি, ডাকাতি, মাদক অস্ত্র গাঁজা কোনও না কোনও একটা আছে। প্রতিদিন অহরহ খবর পাই। এসবের জন্য তাদের সাধুবাদ জানান না কেন?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কারণ ওরা ধর্ম শিক্ষা দেয়ার নামে এসব করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.