নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর সামাজিক অবস্হান নিয়ে ধর্মের কোন পজেটিভ ভুমিকা নেই

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৮


সমাজে নারীর অবস্হান, সন্মান, ভুমিকা, প্রভাব সবই নির্ভর করছে সমাজিক, শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক পরিবেশের উপর। স্হান, কাল অনুসারে ধর্মের প্রভাব আছে বেশ, কিন্তু উহা তাঁদের জন্য সুখবর নয়। সাংবিধানিক ও আইনী প্রক্রিয়ায়, পশ্চিমা বিশ্বে নারীরা নিজেদের সামজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক অবস্হান দৃঢ় করেছেন গত কয়েক শতকে; এখন শিক্ষিত তৃতীয় বিশ্বেও নারীদের অবস্হান ক্রমেই ভালো দিকে যাচ্ছে। নারী জাতী মা'য়ের জাতি হওয়ায়, তাঁদের প্রাথমিক অবস্হান হিসেবে গণনায় নেয়া হয় পরিবারে; সুশিক্ষিত, সংস্কৃতিবান, সচ্চল পরিবার হলো নারীর জন্য সবচেয়ে স্বাস্হ্যকর পরিবেশ।

দরিদ্র ও কম শিক্ষিত পরিবারের নারীকে আজকের পশ্চিমা বিশ্বেও অনেক কষ্টকর পরিস্হিতির মোকাবেলা করতে হয়; সৌভাগ্যের বিষয় হলো, স্বাভাবিক জীবনের অধিকারী দরিদ্র নারীরা ইউরোপ ও আমেরিকায় খুব সহজেই সামাজিক ও অন্য নারীদের সাহায্য পেয়ে থাকেন। তৃতীয় বিশ্বের বেশীরভাগ নারীরা নিজেরাই স্বাবলম্বী না হওয়াতে, অন্য নারীকে সাহায্য করার মতো অবস্হানে থাকেন না।

দরিদ্র পরিবারগুলোতে নারীরাই কম শিক্ষা পেয়ে এসেছে; মাত্র কিছু সময় আগেও, তৃতীয় বিশ্বে ইহা ছিলো ভয়ংকর স্তরে; বাংলাদেশ হওয়ার পর, আজ অবধি ২ কোটীর বেশী কিশোরীকে চাকরাণী ও ঝি'তে পারিণত করা হয়েছে, এবং আজকেও চলছে। এঁরা সামন্তবাদের সময়ের দাসীর মতোই জীবন যাপন করেছেন; এঁদের সামাজিক অবস্হান নেই, পারিবারিক জীবনও নেই বললেই চলে।

বর্তমানে আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র পরিবারের নারীরা ভয়ংকর সময় অতিক্রম করছেন; দরিদ্র পরিবারের মা'কে সন্তানদের কষ্ট ও গ্লানি বহন করতে হয়; আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দরিদ্র পরিবারের কর্তারা সবচেয়ে কম দায়িত্বশীল ও স্ত্রী নির্যাতনে দক্ষ। ল্যাটিন আমেরিকায়, কিছু কিছু দেশে চার্চগুলো দরিদ্র নারী ও পিতৃহীন পরিবারগুলোকে সাহায্য করে। কিন্তু এশিয়া ও আফ্রিকার মুসলিম দেশ সমুহে মসজিদ, বা মুসলিমদের এই ধরণের সাহায্যের কোন ব্যবস্হা নেই। এই এলাকাতেও চার্চগুলো কিছুটা সাহায্য করে। বর্তমান বিশ্বে ইহুদী নারীরা বেশ ভালো পরিবেশে আছেন, তাদের মাঝে দারিদ্রতা নেই বললেই চলে, এরা শিক্ষায় সবার চেয়ে সামনে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৮

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ইহুদি নারীরা শিক্ষায় সবার চেয়ে সামনে।বাংলাদেশের নারীরা স্বামীর ঘাড় ভেঙে খাওয়ায় সবার চেয়ে এগিয়ে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি হয়তো কুপের মাঝে আছেন, পরিবারের জন্য বাংলাদেশের মেয়েদের অবদান বিশাল!

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: নারীরা এখন যে অবস্থানে এসেছে তার জন্য বহু কাটখোড় পোড়াতে হয়েছে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলোতে ফেমিনিজমের নামে সেক্সিজম চলছে তবে মনে হয় অতি শীঘ্রই তার সংস্কার হবে। বৈষম্যহীন সমাজই হোক সকলের লক্ষ্য। ধর্ম নামের ফ্যাসিবাদী রূপকথা সমাজে শুধু জঙ্গিবাদ আর কুসংস্কার উপহার দিয়েছে। আধুনিক শিক্ষা দিয়েই একে পরাজিত করতে হবে

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের উনিভার্সিটিগুলো অনেকটা মাদ্রাসার মতো; ওখান থেকে বের হয়ে কোন টেকনোলোজী, ইকোনোমিকস, ফাইন্যান্স, পলিটিকস বুঝতে না; কিন্তু ব্লগে হরদম হাদিস ব্যাখ্যা করে চলেছে, ভুতের গ্ল্প লিখছে, ছড়া ও শিশুতোষ ছড়া লিখছে।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের প্রতি পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে। রক্ষণশীলতা থেকে এখন নারীগন অনেকটাই বেরিয়ে আসছে। পুরুষদের হাতে সামাজিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব ছিল বলে নারীর ক্ষমতায়নে ধর্ম তেমন প্রভাব রাখতে পারেনি এতদিন। এখন ধর্মীয় নেতৃত্ব নারীদের হাতে গড়ালে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়বে । অন্য দেশের কথা তেমন করে বলতে পারবনা তবে বাংলাদেশে জামাতি নারীগন, ঘরোয়া মাহফিলে কিংবা বাড়ী বাড়ী গিয়ে ধর্ম প্রচারে যেমন ভাবে এগিয়ে আসছে তাতে মনে হয় ধর্ম নারীদের ক্ষতায়নে বেশ ভাল প্রভাব রাখবে । আপনার বাড়ীর কাছে ব্রুকলীনের মসজিদে গিয়েও দেখতে পারেন সেখানে নারীগন ধর্মীয় জাগরনে কেমন অংশ নিচ্ছে। ধর্মীয় ব্যপারে ঐসমস্ত নারীদের প্রভাব প্রতিপত্তি নীজ পরিবারে ব্যপক আকার ধারণ করছে বলেও শুনা যাচ্ছে!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখানে অনেক বাংলাদেশী নারী আসছেন বেশী বয়সে, এঁদের পক্ষে এখন এংরেজী শেখা সম্ভব নয়; এদেরকে কিছু মোল্লা ফোল্লারা সামান্য হাত খরচ দিয়ে কি সব সংগঠন মংগঠন গড়ে তুলেছে; দেখি দলে দলে বাংগালীদের বাড়ী, বাসায় যাওয়া আসা করে।

বাংলাদেশ এখনো নারী শিক্ষায় জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ খরচ করছে না।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৮

নুরহোসেন নুর বলেছেন: হুজুরেরা নারীদেরকে ঘরের বাহিরে বের হতে দিচ্ছেনা,
ফলে সমাজ গড়ার কারিগর জ্ঞানী নারীরা চার দেওয়ালে বন্দী থেকে মাথা ঠুকছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


পিএইচডি'র বউয়েরাও পরিবার চালনার প্ল্যানে ভুমিকা রাখতে পারে না বাংলাদেশে

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: বেগম রোকেয়া বলেছেন, ধর্ম নারীকে অবদমিত করে রেখেছে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোল্লারা নিজেই বিভ্রান্ত, পেছনে পড়ে থাকা মানুষ, ওদের সব ধর্মীয় কথা নারীদের বেলায়। শিক্ষিত ও ধনী পরিবারে জন্ম নেয়ায়, বেগম রোকেয়া নিজের সময়ে খুবই ভালো করেছিলেন; অন্যদের জন্য কিছু করেছিলেন কিনা আমার জানা নেই।

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৯

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: উপনিবেশিক যুগে নারীদের জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা। রোকেয়া প্রথম নারীদের জন্য আলাদা বিদ্যালয় চালু করেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বৃটিশ কলোনির নিয়ম ছিলো, পরিবার যদি নিজ খরচে পড়াতে পারে, পড়াক; সেই কারণে, ধনীদের ছেলেমেয়েরা তখন পড়ালেখা করেছে; একই নিয়ম ছিলো পাকিস্তানে; প্রায় কাছাকাছি নিয়ম বাংলাদেশে।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: বরং ধর্মই নারীকে কোনঠাসা করে ফেলেছে।
দুনিয়া কোথায় চলে গেছে- অথচ ধর্মের কারনে আজও একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে একা চাকরীর জন্য ইন্টারভিউ দিতে ভয় পায়।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম নিয়ে পুরুষ্বেরা ব্যস্ত ছিলো; নারীদের জীবন, দক্ষতা, যোগ্যতা সম্পর্কে আদি পুরুষদের ধারণা সঠিক ছিলো না; এশিয়া ও আফ্রিকায় সেই ধারণা এখনো চলমান।

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম শুধু মসজিদে নামাজ আদায় এর জন্য।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ছিলো রাজতন্ত্রের সময় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য; আজকে ইহার কোন সঠিক প্রভাব নেই

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এইসব আজগুবি মনগড়া ফতোয়া দেবেন না দয়া করে।
ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। ইসলামের মহাগ্রন্থ
আল কোরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং
‘ইমরাআহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটির ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ তথা ‘মহিলা’ শিরোনামে নারীর
অধিকার ও কর্তব্যসংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে।
এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর
অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট
বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত
করেছে। দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও
সর্বোচ্চ সম্মান।

সুতরাং যে বিষয়ে জানেন না তা নিয়ে বিতর্কে জড়াবেন না।
আমাদের ধর্মের প্রতি আঘাত আসলে তা প্রতিহত করার জন্য
নির্দেশ দেওয়া হয়েরছে। এই নির্দেশের সর্বনিম্ম স্তর হলো
মনে মনে ঘৃনা করা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম যেই সময়ে প্রচারিত হয়েছে, সেটা ছিল সামন্তবাদ ও রাজতন্ত্র; সেই সময়ে দাসী ছিলো; দাসীদের অধিকার নিয়েও ইসলাম ভালো কিছু বলেনি, বাকীটুকু বাদ দেন; ইসলাম জানতো না যে, নারীরা একদিন দাসী থাকবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.