নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাপান ও সিংগাপুরে ২য় দফায় করোনা বাড়ছে, চিন্তার বিষয়

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮



সিংগাপুর ও জাপান করোনার শুরুতে করোনা পজিটিভ সনাক্তকরণ, আইসোলেসন, ও সর্বস্তরে মাস্ক ব্যবহার করে বেশ সাফল্য লাভ করেছিলো; জাপান পুরোপুরি লকডাউন করেনি। গতকাল জাপানের প্রাইম মিনিষ্টার টোকিও ও অন্য ৬টি শিল্প শহরে "ইমারজেন্সী" ঘোষনা করেছে, যা আসলে লকডাউন নয়, ইহা শুধুমাত্র সোস্যাল ডিসট্যান্সকে কার্যকরী করার ও বাড়ী থেকে কাজ করার ব্যাপারে। এই সপ্তাহে টোকিওতে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১৪০০; গত সপ্তাহে ইহা ছিলো ৬০০। প্রাইম মিনিষ্টার বিদেশী শ্রমিকদের যারা গাদাগাদি করে বসবাস করেন, তাদেরকে স্বদেশে পাঠিয়ে দিতে পারেন। জাপানের উচিত ছিলো টোকিওকে লকডাউনে আনা।

জাপান বাংলাদেশের মানুষের প্রতি খুবই স্নেহশীল, এবং জাপানে প্রচুর পরিমাণে বাংগালী কাজ করেন। জাপানে বাংগালীদের অবস্হা কি রকম আমার তেমন ধারণা নেই; তবে, ফিলিপাইনের লোকজন গাদাগাদি করে বসবাস করেন টোকিওতে।

জাপান ও চীনের মাঝে ব্যবসায়িক কারণে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করতো; তা'ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর চীনা ছাত্রছাত্রী জাপানে পড়ালেখা করে; ফলে, উহানের সময়েই জাপানে করোনা প্রবেশ করে। কিন্তু জাপান করোনা সনাক্তকরণ, আইসোলেশন করে মোটামুটি কন্ট্রোলে রেখেছিলো, এবং সংক্রমণের হার কমে আসছে বলে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হায় রিপোর্ট করেছিলো; গত ও এই সপ্তাহের নতুন সংক্রমণের হার দেখে মনে হচ্ছে যে, জাপানে ২য় দফা সংক্রমণ বাড়ছে।

সিংগাপুর করোনার শুরুতে ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের মতো সফলতা অর্জন করে; কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে গাদাগাদি করে থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের মাঝে; ইহা এখন হঠাৎ করে কন্ট্রোলের বাহিরে চলে যাচ্ছে! গত ৩ দিনে নতুন করে ৩০০০ সংক্রমণ ঘটেছে; এখন সিংগাপুর হচ্ছে ইষ্ট এশিয়ার মাঝে সবচেয়ে বেশী সংক্রমনের দেশ, আজকে ইহা ১০,০০০ উপনীত হয়েছে; দেশটি লকডাউনের সময় বাড়িয়ে জুন অবধি নিয়ে গেছে।

সিংগাপুরে তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রীর (ফারেন) কাছাকাছি হওয়ায়, সংক্রমণের হার কমার আশা করছিলো বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা; কিন্তু বাস্তবে তা ঘটছে না; কিন্তু তাপামত্রা নিমোনিয়ার ব্যাপারে সাহায্য করছে, এখানে নিমোনিয়ার হার কম ও রোগীর অবস্হা শীতের দেশের রোগীর চেয়ে ভালো। বাংলাদেশেও নিমোনিয়া সমস্যা কম হবে, এবং হলেও অবস্হা নিয়ন্ত্রণের মাঝে থাকবে। সিংগাপুরের হাসপাতালগুলো জানায়েছে যে, ভালো হয়ে যাওয়া রোগীরা এখনো ফুসফুস সমস্যায় ভুগছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এদিকে ইটালি আর জার্মানির অবস্থা দিন দিন ভালো হচ্ছে।
আমাদের দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশের সঠিক তথ্য সরকার নিজেও জানে না; সরকার তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কোন সংস্হাকে দায়িত্ব দিয়েছে কিনা কে জানে!

জার্মানী ভালো করছে, তারা অবস্হা বুঝে ব্যবস্হা নিয়েছে; ইতালী আসলে সঠিক ব্যবস্হা আজো নেয়নি; এখন ভালোর দিকে, কারণ, মানুষ চাকুরীর মায়া ছেড়ে দিয়েছে, হাসপাতালে যাচ্ছে না।

নিউইয়র্কে বাংগালীরাও হাসপাতালে যাচ্ছে না।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৭

আহা রুবন বলেছেন: যত দিন বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন বের না করছেন তত দিন মনে হয় শান্তি নেই। করোনায় আদাজল খেয়ে নেমেছে পৃথিবীকে হালকা করতে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক, টিকা বের না হওয়া অবধি বিশ্বে অনিশ্চয়তা থেকে যাবে; অথবা মানব শরীরে যদি মোলেকুলার ষ্ট্রাকচার বদলায়ে, কম সংক্রমণ ও কম ক্ষতিকর না হয়, সমস্যা রয়ে যাবে।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার এক বন্ধুর ছোটভাই ৯০এর দশকে জাপান ছিল।তার কাছে গল্প শুনেছি,ছোট্ট একটা রোমে২০জন ছিল।১০জন ঘরে থাকলে বাকি ১০জন বাইরে থাকতো।একসাথে ২০জন থাকা যেতো না।এখন কি অবস্থা জানি না।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন বাংগালীরা ভালো আয় করছেন; ফিলিপািনের লোকজন ও গৃহকর্মীরা প্রতিমসে বাড়ী যায়; ওরা বেশী গাদাগাদি করে।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০২

রাজীব নুর বলেছেন: দেশে ভি আই পিদের জন্য নাকি আলাদা হাসপাতাল তৈরির কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে । স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর জানিয়েছে ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের মানুষ ভালো হাসপাতালগুলোতে যেতেই পারে না।
দেশে যারা অনেক সম্পদ দখল করেছে, তারা বরাবরই দেশের ডাক্তারদের বিশ্বাস করে না, ওরা বিদেশে চিকিৎসা করায়; হয়তো, বিদেশী কোন হাসপাতালের স্যাটেলাইট শাখা খুলতে পারে।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৪

বাংলার জামিনদার বলেছেন: মানুষ যে হারে প্রকৃতির জন্য মমতা হারিয়েছিলো, এটা মনে হয় তার সামান্য রিটার্ণ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন দেশে মানুষ প্রকৃতির প্রতি মমতা দেখায়নি?

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৩

বাংলার জামিনদার বলেছেন: আমার মনে হ্য় সব দেশই। সবাই যে হারে অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়ন, খামার নিয়ে মেতে উঠেছিলো, তাতে পরিবেশের কি হবে তা নিয়ে মাথায় চিন্তা ছিলনা।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সব দেশে নয়, বেঠিকভাবে শিল্পায়ন হয়েছে চীন ও ভারতে মাত্র।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২

প্রেক্ষা বলেছেন: জাপান আর সিঙ্গাপুরের তো একটা গতি হয়েছে ,বাংলাদেশের যে কি হবে আল্লাহই জানে :(

প্রতিদিন প্ল্যান করি লকডাউন শেষ হইলে সাইকেল চালাইতে বের হবো,সুইমিং এ যাব তখনি মনে পরে প্রতিদিন ৪০০ এর কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে;সারভাইব করতে পারবো কিনা সন্দেহ আছে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মানুষের কি হবে বলা মুশকিল; কারণ, কোন সঠিক তথ্যও নেই, সঠিক পদক্ষেপও নঐ।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: WHO এর কথাকে কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



WHO ইত্যাদিতে কোটা অনুসারে অনেক দেশের ইডিয়টরা চাকুরী করে; ফলে, সবার খারাপ ধারণা এদের ব্যাপারে। ট্রাম্প এদেরকে পয়সা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে, যদিও পদক্ষেপটা ভুল।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার কাছে কোন জাদু মন্ত্র থাকলে আমি এই বাজে ভাইরাসটাকে দূরে করে দিতাম চিরতরে। মানুষ খু্ব কষ্টে আছে। ইহা ঈশ্বরও বুঝতে পারছেনা না। আফসোস।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আগের মানুষ ঈশ্ব বানায়েছেন, তাদের ঈশ্বর তাদের মতোই সীমিত ক্ষমতার; আধুনিক মানুষ টিকা বানাবেন, উহা হবে নতুন ঈশ্বর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.