নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মে দিবসে বাংলাদেশের শ্রমিকদের দাবী কি হওয়া উচিত?

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯



মে দিবসে বাংলার শ্রমিকদের দাবী হওয়ার দরকার, "শ্রমিক ও ম্যানেজমেন্ট পার্টনারশীপের মালিকানায় থাকবে কলকারখানা"। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ কলকারখানা হচ্ছে ঋণে, মানুষের টাকায়। মানুষের টাকায় কলকারখানা করলে, মানুষই ইহার মালিক হোক, মাঝখানে ফড়িয়া কেন?

স্বাধীনতা যুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদান অনুসারে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নাগরিক অধিকার সর্বোচ্চ হওয়া উচিত; আজকে যারা গার্মেন্টস'এ কাজ করেন, চাকুরী রক্ষার জন্য ট্রাকের পিঠে ড্রামের মাঝে লুকায়ে ঢাকা আসছেন, এদের পিতামাতাই স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন; যারা মালিক পক্ষে আছে, সম্ভবত এরা স্বাধীনতার জন্য কিছু করেনি, এরা স্বাধীনতার পর সুযোগ নিয়ে এরা বাংলার সম্পদ দখল করেছে।

১৯৭৫ সালে মিলিটারী ক্ষমতা দখলের পর, ততকালীন শিক্ষিত পরিবার, প্রশাসনে থাকা পরিবারগুলো, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা সরকারের সাথে মিলে, সরকারের সহযোগীতায় ক্রমেই বাংলার সম্পদ দখল শুরু করে।

মিলিটারী ক্ষমতায় আসার পরেই বাংলার দরিদ্র মানুষকে আরব দেশে দাস হিসেবে বিক্রয় করা শুরু করে; মিলিটারী প্রশাসন মানুষের জন্য দেশে চাকুরী সৃষ্টি করেনি; ওদের দাস ব্যবসা আজো চলছে, আজো দেশের মানুষ অন্য দেশে কাজ করছে, নিজ দেশে তাদের জন্য চাকুরী সৃষ্টির চেষ্টা আজো হচ্ছে না।

১৯৭১ সালে বাংলার মানুষের মাঝে যেই ২০ ভাগ মোটামুটি মধ্যবিত্ত ছিলো, তারা স্বাধীনতা চায়নি, তারা স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশও নেয়নি, সেসব পরিবারের কেহ যুদ্ধে যায়নি; কিন্তু যুদ্ধের পর, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেবের ভুলের কারণে এরাই দেশের প্রশাসনে চাকুরী পায়, এরাই দেশের সম্পদের মালিক হয়ে যায়; এসব পরিবারের হাতে কিছু টাকা ছিলো, এসব পরিবাবের মানুষ শিক্ষিত ছিলো, এরা প্রশাসনে ছিলো, এরাই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্প কারখানা কিনে নিয়েছে, এরাই পরিত্যক্ত সম্পত্তির মালিক হয়েছে, এরাই কলকারখানা করার লাইসেন্স পেয়েছে।

যারা স্বাধীনতা এনেছিলেন, তাঁদের বড় অংশ জীবনে চাকুরীও পাননি; তাঁদের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখার সুযোগ পাননি; তাঁদের মেয়েরাই আজকে গার্মেন্টস'এর দাসী, তাঁদের ছেলেরা আজকে আরব ও মালয়েশিয়ায় দাস হিসেবে বিক্রয় হচ্ছে।

মে দিবসে বাংলার সাধরণ মানুষের দাবী হওয়ার উচিত, যাঁরা স্বাধীনতা এনেছিলেন, শ্রমিক হিসেবে তাঁরা যেন দেশের কলকারখানার মালিকানায় শেয়ার পান।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কথা সত্য !! অকাট্ট যুক্তি।
পাকিস্তান আমলে আদমজী
জুট মিলের মালিকানা প্রাইমারী
শিক্ষকদের ও দেওয়া হয়েছিলো।
জনগনের টাকার মালিক জনগণ হতেই
পারে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



চীনারা ঢুকেছে বাংলাদেশে, বিড়াল একদিন হাঁড়িতে চলে যাবে।

২| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি যদি নিজে কারখানার মালিক হতেন তাহলে শ্রমিকদের মালিকানার শেয়ার দিতেন ???

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দিতাম।

বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও অন্য অনেক কলকারখানা সরকারী ঋণে করা, এবং বেশীর ভাগই ঋণ খেলাপী; মানুষের টাকায় মানুষকে দাস বানাচ্ছে এরা।

৩| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমেরিকায় নাকি মে দিবসের ছুটি ১ তারিখে হয় না।
অবশ্য এখন তো সারা পৃথিবীতেই করোনার ছুটি চলছে।

বাংলাদেশের কোন মানুষই সততাকে ধারন করে না। কারখানার মালিকরা তো আরো এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা দেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখেনি, মিলিটারী আসায় ওরাই দেশের সম্পদ দখল করে নিয়েছে। বাংলাদেশের শতকরা ৮০ ভাগ কারখানাই সরকারীি ঋণে; শতকরা ৫০ ভাগ মালিকই ঋণ খেলাপী

৪| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের সামান্য কিছু বড় প্রতিষ্ঠান লাভের ৫% শ্রমিক ও কর্মচারীদের দেয়। এটা দেশের আইনে আছে। তবে দেশের অডিট ফার্ম গুলির সহায়তায় লাভ কমিয়ে দেখায়। বেকারের দেশে শ্রম খুবই সস্তা। যার সুযোগ মালিকরা নিচ্ছে। ব্যাপক শিল্পায়ন ছাড়া শ্রমের মূল্য বাড়বে না। দক্ষিণ করিয়াতেও এক সময় শ্রমিকরা খুব নির্যাতিত ছিল। পরে শিল্পায়নের কারণে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের জন্মের পেছনে ছিলো সাধারণ মানুষ, এদেরকে দাসে পরিণত করেছে, যারা স্বাধীনতায় অবদান রাখেনি তারা; এবং বাংলাদেশের কলকারখানা "সরকারী ঋণ" করা ও এদের মাঝে শতকরা ৫০ ভাগ ঋণ খেলাপী; মালিকানা বদল করার দরকার।

৫| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: ৭১ এ যুদ্ধ করা শ্রমীকেরা আজ প্রতিদান পাচ্ছে "মুক্তিযোদ্ধা" কোটার মাধ্যমে (এটা কৌতুক ছিল)।


আপনি যেমন বললেন যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি তারা সম্পদের মালিক হয়েছে, ঠিক তেমনি "কোটা" নামের এই পরশপাথরও পেয়েছে।

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



কারো তো "কোটা" পাওয়ার কথা ছিলো না; মুক্তিযোদ্ধারা চাকুরী করলে "পেনশন" পাবার কথা ছিলো; বেকুব শেখ সাহেব ও ইডিয়ট তাজুদ্দিন সাহেব মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী দেয়নি, চাকুরী সৃষ=টি করতে জানতো না; তাই শেখের মেয়ে বালছাল "কোটা" দিয়েছে।

"কোটা" দিলে আপনি যুদ্ধে যাবেন? "কোটা" নিয়ে কথা বলতে একটু ভেবে বলবেন, সব ইডিয়টের মাথায় কোটা ঢুকে না।

৬| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: মে দিবসে আমাদের দেশে মিটীং মিছিল আর মানব বন্ধন খুব হয়। আজ এসবের কিছুই হয় নি।

আমাদের দেশের শ্রমিকরা মূর্খ তাই মহাজনেরা অন্যায় করে যাচ্ছে হর হামেশাই। সরকারও চুপ।

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওগুলো বালছাল মিটিং; ওরা জানে না, মিটিং'এ কি বলার দরকার।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: ২০২০ এর মে তে আমাদের শাহেজাদী শ্রমিকদের আরো উৎপাদন বাড়াতে বললেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ফ্রেঞ্চকাট ছোট নবাব স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কলকারখানা খুলে দিতে ইচ্ছুক। গরীবেরা খাবে কি? খবরে জানা গেছে - চেতনাধারী নামে এক নতুন চালচোর গোষ্টীর দেখা মিলেছে।

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগে এখন রাজনীতিবিদ নেই, আছে চোর ডাকাত, চাঁদাবাজেরা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.