নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যাপিটেলিজমের ডাইলেমা: প্রাণরক্ষা, নাকি কলকারখানা চালু করা?

১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫২



বাংলাদেশেও আপনারা এই ডাইলেমার সাক্ষী; আপনাদের অনেকেই ব্লগে বলছেন, সরকার কেন এই সময়ে লকডাউন তুলে নিচ্ছে! যদিও আমাদের মনে হচ্ছে যে, ইউরোপ ও আমেরিকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা শীপমেন্ট নিতে প্রস্তুত নয়, কিংবা সেসব দেশের রিটেইল ব্যবসা ও মলগুলোতে ক্রয়বিক্রয় জমে উঠতে সময় লাগবে, আমাদের দেশের গার্মেন্টস মালিকেরা এমন কিছু জানে, যা আমরা জানি না, তারা প্রোডাকশানে যাচ্ছে।

করোনার বর্তমান ফেইজে গলাকাটা ক্যাপিটেলিজম এক ডাইলেমার সন্মুখীন হচ্ছে: প্রান রক্ষার জন্য লকডাউন রাখা হবে, নাকি সম্পদ উৎপাদন করে, গত দেড় মাসের 'লস' পুরণ করা সঠিক হবে? উডাহরণ হিসেবে নিউইয়র্কের অবস্হা পর্যবেক্ষণ করা হোক: নিউইয়র্কে যখন করোনায় দৈনিক ৩/৪ জন মানুষের মৃত্যু হচ্ছিল, সাধারণ মানুষ 'লকডাউন' করার দাবী জানিয়ে আসছিলো, সেটা ছিলো মার্চ মাসের শুরুতে; নিউইয়র্কের গভর্ণর তা করেনি; লকডাইন করেছে ৩ সপ্তাহ পরে, ২০শে মার্চ। ট্রাম্প চেয়েছিলো এপ্রিল মাসের ১২ তারিখে লকডাউন তুলে নিতে; নিউইয়র্ক লকডাউন তুলবে ১৫ই মে, আর ৪ দিন পরে; এখন নিউইয়র্কের গড় মৃত্যুর হার সাড়ে ৩ শ'তের মতো; পুরো আমেরিকার শতকরা ৬৮ জন লকডাউন তোলার বিপক্ষে। দৈনিক ৩/৪ জনের মৃত্যুতে লকডাউন চাওয়া হয়েছে, দৈনিক সাড়ে ৩ শ'তের মৃত্যুর সময় লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে; এখানে সমস্যা আছে, ইহা ক্যাপিটেলিজমের সমস্যা।

নিউইয়র্ক শহরে এসেনসিয়্যাল সার্ভিসের লোকজন, যাদের শারীরিকভাবে কাজে উপস্হিত থেকে কাজ করতে হয়, ও সিটি সার্ভিসের মানুষদের বেশী মৃত্যু হয়েছে, মৃতদের শতকরা ৯২ ভাগ এসব মানুষ; যারা বাড়ী থেকে কাজ করেছে, তাদের থেকে প্রাণ হারায়েছেন মাত্র শতকরা ৮ ভাগ। যারা বাড়ীতে বসে সিটি চালাচ্ছে, ওয়াল ষ্ট্রীট চালাচ্ছে, ব্যাংক অব আমেরিকা চালাচ্ছে, আমাজন, মাইক্রোসফট চালাচ্ছে, যারা বাড়ীতে বসে নিউজার্সি থেকে ট্রাক পাঠাচ্ছে নিউইয়র্ক শহরে, তারাই এখন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, লকডাউন তুলে দিতে হবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: ক্যাপিটেলিজম আমি জানতে চাই না। বুঝতে চাই না-
শুধু বু্ঝি
গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত ১১,
নতুন আক্রান্ত ১০৩৪,
সুস্থ ২৫২ জন।
নমুনা পরীক্ষা ৭২০৮
মোট মৃত ২৩৯,
আক্রান্ত ১৫৬৯১,
সুস্থ ২৯০২ জন।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ক্যাপিটেলিজম বুঝেন না, আপনি কাজে যাননি, সুরভী ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে করলা ভাজী করেছে, আপনি ব্লগে কেমন্ট করছেন।

একটা মেয়ে বরিশাল থেকে গাজীপুর আসছে, পথে ভাড়া নিয়ে সমস্যা; গাজীপুরে বাসায় উঠতে দিবে কিনা ও কারখানায় আসলে কাজ আছে কিনা, সেও জানে না, শেখ হাসিনাও জানে না; এটা হচ্ছে, শেখ হাসিনা ও বরিশালের মেয়ের সমস্যা, এরাও ক্যাপিটেলিজম বুঝেন না।

২| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এদেশের দরিদ্র মানুষদের একটাই সমস্যা খাবার চিন্তা । এটাই তাদের প্রধান সমস্যা। পেটের দায়ে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক বার ঢাকা আসে‌ আবার গ্রামে ফিরে যায়। আবার ঢাকা ঢাকায় আসে।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই সমস্যা আইয়ুব খানের আমলেও ছিলো, পরে উহা শেখ সাহেবের আমলেও ছিলো, এখ শেখ হাসিনর আমলেও আছে; এসব হচ্ছে হবুচন্দ্রদের কাহিনী

৩| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: যারা বাসায় বসে নেটফ্লিক্স দেখে তাদের পক্ষে দেশের অবস্থা বোঝা সম্ভব নয়।

যারা কম্পিউটর এর সামনে বসে কি-বোর্ডে ঝড় উঠাচ্ছেন তারাও বর্তমান পরিস্থিতির ছিটে-ফোটাও জানে না।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মৃতদের মাঝে, শতকরা ৯২ প্রান হারায়েছেন, শারীরিক কাজের লোকজন, শতকরা ৮ জন হলো বাড়ীতে বসে যারা কাজ করেছে; এখন বাড়ীতে বসে কাজ করার লোকেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ইহাই ক্যাপিটেলিজমের সমস্যা

৪| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: ইউরোপ, আমেরিকায় লকডাউন উঠিয়ে দিচ্ছে; তাদের বডি প্রটেকশন আছে। আমাদের আছে???

আমাদের ব্যাবহৃত ৯০% মাস্কই অকার্যকর। (মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো পাবলিকের কথা নাই বা বললাম)

ইউরোপ আমেরিকার জনসংখ্যার ঘনত্ব আর আমাদের জনসংখ্যার ঘনত্বে আকাশ পাতাল ফারাক।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক, আমাদের দেশের মানুষের ঘনত্ব গড়ে আমেরিকা ও ইউরোপের ১১ গুণ; আমাদের শক্তি হওয়ার কথা ছিলো ১১ গুণ বেশী! শেখ হাসিনা ও উনার ব্যুরোক্রেটদের কাজে কি তা মনে হচ্ছে?

৫| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

এলিয়ানা সিম্পসন বলেছেন: কালকে বাঙ্গালী স্টোরের সামনে পার্ক করা অবস্থায় দেখলাম, কোন লাইন নাই। সবাইকে ইচ্ছামত ঢুকতে দিচ্ছে। একটা ছোট দোকানে মিনিমাম ২০ জন মানুষ। Funny thing is they got a ticket for overpricing stuff a few weeks ago.

হাসি আসে যখন বাংলাদেশের মানুষ বলে আমরা বিদেশে থাকি বলে আমরা সেইফ থাকব, আর বাংলাদেশের সব মানুষ করোনাভাইরাসে মারা যাবে। আপনারা একটু স্ট্যাটিস্টিকস দেখে আসেন। মানুষ যেসব মাস্ক পড়ে বাইরে যায় সেগুলো এমনিতেই কাউকে প্রোটেকশন দিবেনা। সাধারণ মানুষ n95 মাস্ক পড়েনা।

শুরু থেকে দেখলাম মানুষ সারাদিন সরকারের বদনাম করে আর নিজেরা বাইরে গিয়ে ভিডিও করে যে, মানুষ কোন নিয়ম মানে না, সবাই বাইরে। তাহলে আপনি ভিডিও করলেন কিভাবে?

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের সরকারে ব্লগারদের মতো লোকজনই কাজ করে। সরকারী ডাক্তার, বাংলাদেশের 'সিডিসি'র উচিত ছিলো কি ধরণের মাস্ক পরতে হবে, তা ব্যাখ্যা করা, প্রতিদিন নিউজ ব্রিফিং করা; গরীবদের ১ জোড়া করে ভালো মাস্ক দেয়া।

বাংগালীরা জাতিগতভাবে হিপো, অন্যকে যেটার জন্য সমালোচনা করে, নিজে সেটাই করে।

৬| ১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: মার্কসবাদী অর্থনীতিবিদেরা জোর দেন মূলধন একত্রিত করা, শোষণ ও মজুরির ওপর।

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



উহানে কারো চাকুরী যায়নি, আমেরিকায় সারে ৩ কোটী মানুষের চাকুরী চলে গেছে; ইহার ব্যাখ্যা আছে আপনার কাছে?

৭| ১২ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫১

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: নীতিনির্ধারকরা বরাবরের মতোই কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারতেছে না। প্রথম থেকেই সমন্বয়হীনতার চিহ্ন, এইটা নিয়ে আফসোস করর আর লাভ নাই। এখন যে রোগী পাচ্ছে তাও তো বেশ কয়দিন আগে আক্রান্ত হওয়া রোগী। লক ডাউন শিথিল করার পর যে আক্রান্ত হয়েছে অলরেডি সেই রোগী তো এখনো আসে নাই। নিউইয়র্কেেে মতোর রোগী হ্যান্ডেল করারও তো ক্যাপাসিটি নাই আমাদের।

১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লকডাউন তোলার পর, সংগ্রমণ বাড়বে; তবে, বেশীরভাগ হবে "এসিম্পটোমিক"; যাদের অন্য রোগ আছে, তাদের জন্য খারাপ সময় আসছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.