নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু জাতি নিজ পায়ে দাঁড়াতে চেষ্টাই করেনি

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১২



আফগানিস্তান রাজতন্ত্র থেকে প্রজাতন্ত্রে যাবার জন্য ১৯৭৩ সালে রাজা জহির শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করে; তাদের সেই কাংখিত রিপাবলিকের দেখা আজো মিলেনি; উল্টো দেশটি যু্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দেশটির সাথে আমেরিকাও যুক্ত, তারপরও যুদ্ধের শেষ নেই, কোনভাবেই স্হিতিশীলতা ফিরে আসেনি। আমেরিকা যেখানে যুদ্ধ করেছে, সেই দেশগুলো যুদ্ধের পর অনেক সাহায্য পেয়েছে, কয়েকটা দেশ খুবই ভালো করেছে।

আরেকটি দেশ ইয়েমেন, ইহা রাজতন্ত্রে একটি দেশ ছিলো, স্বাধীন হতে গিয়ে ২ ভাগ হলো: নর্থ ইয়েমেন(১৯৬২ - ১৯৯০), সাউথ ইয়েমেন (১৯৬৭-১৯৯০); অতপর ১ ইয়েমেন; তারপর আবার বিভক্তি, একাংশ সোস্যালিষ্ট হলো (সাউথ), অন্য অংশ ক্যাপিটেলিষ্ট (নর্থ); অতপর এক হলো, ইসলামিক হলো, কিছুতেই শান্তি নেই; এখন শিয়া-সুন্নী সমস্যা; শিয়াদের অস্ত্র দিচ্ছে ইরান, সুন্নীদের হয়ে বোমা ফেলে যাচ্ছিল সৌদী আরব। সুখ শান্তির মুখ দেখলো না মানুষগুলো। দিনের ২টার পর, দেশের ৯০ ভাগ পুরুষ ও ৭০ ভাগ নারী মাতাল থাকে।

সুখ-শান্তির আশায় বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিলেন; সুখ শান্তির আশা যারা দিয়েছিলেন, ওরা নিজেরাই জানতো না সুখ শান্তির মুলমন্ত্র। বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম ছিলো মিলিটারীর বিরুদ্ধে; এত মানুষের প্রানের বিনিয়মে অর্জিত দেশটিকে মিলিটারীই দখল করে নিলো। দেশটা কোনভাবে স্বনির্ভর হতে পারলো না, কেহই চেষ্টা করে দেখেনি। একজন শিক্ষিত মানুষ দেশটিকে স্বনির্ভর কথা বলে না।

বার্মা বৃটিশ কলোনী থেকে বের হলো ১৯৪৮ সালে; দেশটি প্রাকৃটিক সম্পদে ভরপুর ছিলো, মানুষ ছিলো না; আজো মাত্র ৬ কোটি মানুষ; এত সম্পদ থাকার পরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি মিলিটারীর কারণে। ১৯৫৮ সালের ভোটে, ততকালীন সময়ের নেতা ইউ নু ধর্মীয়দের আস্কারা দেয়; ধর্মীয়রা দেশের জন্য কখনো ভালো নয়, ওরা ভোটে গন্ডগোল করে; সেই ছুতো ধরে ১৯৬২ সাল মিলিটারী ক্ষমতা দখল করে নেয়; এখনো ওরাই দেশ চালাচ্ছে। সম্পদের-ভরা দেশের মানুষ আরব ও চীনাদের দাসে পরিণত হয়েছে।

মিসরের মানুষগুলো আরবদের মাঝে খুই মডারেট ছিলো; তারা এখন আরব হলেও, ওদের নিজস্ব সংস্কৃতি ছিলো, যার ফলে, ওখানে কখনো বেদুইনদের মতো গোত্র সমস্যা ছিলো না। জামাল নাসের দেশটিক এগিয়ে নেয়ার জন্য বিরাট প্রোগ্রামও নিয়েছিলেন; ভুল করলেন 'যুদ্ধ করে প্যালেষ্টাইন প্রতিষ্টা করতে গিয়ে'; এতে তিনি ইউএন , আমেরিকা ও ইউরোপের বিপক্ষে অবস্হান নেন ও সেনা বাহিনীর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন; সেটা মিশরকে আজকের অবস্হানে এনেছে; এখন পিরামিড দেখো ও মিলিটারীর রেশন কার্ডে আমােরিকান আটা খাও।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৮

আল ইফরান বলেছেন: বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার কথার সাথে একমত হতে পারলাম না, দুঃখিত।
বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম মিলিটারির বিরুদ্ধে ছিলো না, এইটা ছিলো শ্রেণীসংগ্রামের আরেকটা ভিন্ন ফ্রন্টিয়ার।
এই সংগ্রামে মিলিটারি একটা উপাদান ছিলো কেবল, কিন্তু মূল দ্বন্দটা হচ্ছিল পশ্চিমের লব্ধপ্রতিষ্ঠ মধ্যবিত্তের সাথে পূর্বের উদীয়মান মধ্যবিত্তের। মাঝখান দিয়ে যেই ত্রিশ লাখ নিস্পাপ জনগণ প্রাণ দিয়েছিলো তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত ও প্রান্তিকজন ছিলেন।
আর ঢাকার আরবান গেরিলা বলে যাদের মিডল ক্লাস হিরো হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হয় তারা অধিকাংশই মুজিববাহিনীর অংশ ছিলেন (যা ঐক্যের চেয়ে বিভাজনকেই বড় করেছে ৭১' পরবর্তী সময়ে)।
শ্রেণী সংগ্রামের এই ডাইমেনশনকে অস্বীকার করা (এবং বুঝতে না পারার) কারনেই এই জাতি মাথা উঠে দাড়াতে পারে নাই।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেবের মিটিং'এ কি বাংলাদেশের মধ্যবিত্তরা গিয়েছিলো কখনো? ভলনটিয়ার হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন কাহারা, উহাতে মধ্যবিত্ত ছিলো? তখন বাংলাদেশের শতকরা ১০ ভাগ যারা ব্যবসা বাণিজ্যে ছিলো, তারা মিলিটারী ও পাকিস্তানীদের সাথেই ছিলো; ওরা বৃহত্তর পাকিস্তান চেয়েছিলো।

ঢাকায় কোন গেরিলা ছিলো না; ঢাকা ২৫ শে মার্চ থাকে ১৬ই ডিসেম্বর অবধি পাকীদের দখলে ছিলো। ১৫/২০ জন ছেলে যারা এটা সেটা করেছেন, উহাকে গেরিলা যুদ্ধ বলা যায় না।

২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছেঃ
“আমি কোন জাতীর ভাগ্য পরিবর্তন করি না যতক্ষণ না সে জাতি
তার নিজের ভাগ্য উন্নয়নে সচেষ্ট না হয়” (সুরা রা'দ ১৩:১১) ...
আর মুসলিম সমাজে এসব কুকর্ম বন্ধ করা সম্ভব হবে না যতক্ষন
পর্যন্ত মুসলিম সমাজের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামী চরিত্রের
সঠিক ও সৎ নেত্রীত্ব না আসবে।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কুরান শরীফ বেদুইনদের জন্য কাজ করেছিল; ওরা এক হয়ে, ইতিহাসে ১ম আরব সাম্রাজ্য গঠন করেছিলো। কুরানে অভিজ্ঞ সবচেয়ে জ্ঞানী নেতা এখন মসজিদের মুয়াজ্জিন হতে পারবেন।

৩| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪২

জুন বলেছেন: আফগানিস্তানের ব্যাপারটা বড়ই দুঃখজনক। আধুনিক একটি জাতির এমন দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি মনে হলে খারাপই লাগে। আরেকটি দেশ হলো ইরান। কোন অন্ধকার যুগে যে মুসলিম জাতি ফিরে চলেছে ভাবতেও কষ্ট হয়। তবে যেসব দেশের কথা উল্লেখ করেছেন তার সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট তুলনা হয় না বলেই আমি মনে করি।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইরান হয়তো এটম বোমা বানাতে গিয়ে এটম বোমা হজম করে, জাপানের মতো জ্ঞানী হয়ে যাবে। মুসলমানদের বিশ্বাস, ঐতিজ্য ও শিক্ষার মান তাদেরকে আধুনিক বিশ্বের বেদুইনে পরিণত করছে ক্রমেই।

৪| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বিদেশ থাকেন বলেই বাংলাদেশের উন্নয় আপনার চোখে পড়ে না।
একসময় বিক্রমপুর যেতে সময় লাগতো ৭/৮ ঘন্টা। এখন এক দেড় ঘন্টায় চলে যেতে পারে।
আমাদের দেশ হয়ে গেছে ডিজিটাল। বাস ট্রেন প্লেনের টিকিট কাটি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে।
এমন কি বাজার করতে হলেও আজকাল বাজারে না গেলেও চলে।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


২০১৯ সালে, ধনী উৎপাদনে বাংলাদেশ ছিলো শতকরা হারে আমেরিকা ও চীনেরও সামনে।
আমি আজকে এখানে বাজার করেছি নিজে গিয়ে।

৫| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বিদেশ থাকেন বলেই বাংলাদেশের উন্নয় আপনার চোখে পড়ে না।
একসময় বিক্রমপুর যেতে সময় লাগতো ৭/৮ ঘন্টা।


বিক্রমপুর বলিয়া একদা এক জনপদ থাকিলেও কালক্রমে তাহা
পদ্মার বুকে বিলিন হইয়া যাইবার কারনে উহা এখন কেবলই পুস্তকে
পাওয়া যাইতে পারে। তবে বাস্তবে বিক্রমপুরের অস্তিত্ব এখন আর খুঁজিয়া
বাহির করা দুস্কর হইবে। বিক্রমপুর শহরের ধ্বংসাবশেষও বিলীন হইয়া গিয়াছে।
বর্তমানে বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ জেলার এক বিস্মৃত নাম।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


তাই, ইহা আর নেই? ওখানে অনেক জ্ঞানী গুণী বাংগালীর জন্ম হয়েছিলো!

৬| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সামরিক শাসনের এই সব দেশের মেহনতী মানুষের মুক্তি আজও মেলেনি । ভবিষ্যতে মিলবে বলেও কোন আভাস নেই। সম্ভাবনাময় দেশগুলো অন্ধকারেই রয়ে গেল।
আফসোস।!

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই জাতিগুলোতে অবুদ্ধিমানের সংখ্যা বেশী।

৭| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন:


কুরান শরীফ বেদুইনদের জন্য কাজ করেছিল; ওরা এক হয়ে, ইতিহাসে ১ম আরব সাম্রাজ্য গঠন করেছিলো। কুরানে অভিজ্ঞ সবচেয়ে জ্ঞানী নেতা এখন মসজিদের মুয়াজ্জিন হতে পারবেন।

ঠিক মতো ওয়াজ করতে পারলে এখনো ঘন্টায় লাখ টাকার সেলামি পাওয়া যায়। সেই সাথে হেলিকপ্টার ভাড়া ফ্রি।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব ওয়াজে রূপকথা থাকে, অশিক্ষিতরা দল বেঁধে রূপকথার আসর জমান।

৮| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৪

সোহানাজোহা বলেছেন: একটি ব্যাপার ভেবে উত্তর দেবেন। বাংলাদেশ ১৯৯০ এর পর আদতে আর মিলিটারি শাসনে ছিলো না। মধ্যে একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার মঈন ইউ আহমেদ ব্যতিত তাহলে বাংলাদেশে গত ত্রিশ বছরে রাজনৈতিক যে ভিত তার মূল্যায়ন কিভাবে করবেন? এখানে মিলিটারির কোনো ভূমিকা তো নেই। তাহলে কারা ক্ষতি করছে চলমান দুটি রাজতৈক দল নাকি সরকার চালাচ্ছে মিলিটারি?

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিয়ার পরে মিলিটারী ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বেগম জিয়াকে বিএনপি'তে এনেছিলো, দেশ চালাচ্ছিলো ঢকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে; বেগম জিয়াকে ও বিএনপি'কে ওরা সাইনবোর্ড বানায়ে রেখেছিলো; শুধু ঢাকা ক্যান্টমেন্ট একা ছিলো না, পাকী মিলিটারীও ইহাতে যুক্ত ছিলো।

এমন কি শেখ হাসিনা মিলিটারীকে অনেক ছাড় দিয়ে এখানে এ্তটুকু এসেছেন। বিএনপি এখন রাজনৈতিক দল নহে, উহা দুষ্ট বাংগালীদের ক্লাব।

এখন দেশ চালাচ্ছে ব্যুরোক্রেটরা ও প্রশাসন, তারা শেখ হাসিনাকে খুশী রাখে, মুখে বলে "আপা চালাচ্ছেন"।

৯| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জামাল আবু নাসের নিজে মিলিটারি ছিল। তার জামাতা আশরাফ বিখ্যাত ডাবল এজেন্ট ছিল।। মিসর আর ইসরায়েলে আশরাফ খুবই জনপ্রিয় ।
আরব দেশগুলো মিলিটারির কারণে ধ্বংস । অথচ ইসরায়েল মিলিটারি আর প্রযুক্তি দিয়ে পুরো দুনিয়া শাসন করছে ।
অদূর ভবিষ্যতে কাতার ধ্বংস হবে বলে আশংকা ।

১৯ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


জামাল নাসেরের অনেক অভিজ্ঞতা ছিলো; মিশরে গোত্র সমস্যা না থাকায়, মিশর আরবদের মাঝে সুসম দেশ ছিলো। উনি ভুল করেছিলেন ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধে গিয়ে; প্যালেষ্টাইনে ২ জাতির জন্য যথেষ্ট যায়গা ছিলো। জামাল নাসের আমেরিকা, ইউরোপ ও ইউএন'এর বিপক্ষে গিয়ে একা হয়ে গিয়েছিলেন।

১০| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার শেষ প্যারাটি খুবই তাৎপর্য পূর্ণ। অল্প কথায় অনেক বড় একটি বিষয়কে সারসংক্ষেপ করেছেন। ১৯৬৯ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরবের নেতৃত্ব ছিল মিশর। তখন গালফ দেশগুলো হতো দরিদ্র ছিল। তেলের আবিষ্কার শুরু হলেও আজকের মত এতো সমৃদ্ধ ছিল না। ৬৯-এ মিশরের ভুল নেতৃত্বের কারণে ফিলিস্তিন ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। আর এর কিছুদিন পর থেকে তেলের টাকায় গালফ নেশন এবং ইরান মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

মিশরীয়দের সেই পরাজয়ের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ধীরে ধীরে আরব নেতৃত্বও হাতছাড়া হয়। কয়েক শতাব্দীর দম্ভচুর্ণ হয়। তখন ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়াটা ভুল ছিল। অবশ্য ইসরাইল মিশরীয় নেতৃত্বের বুঝে উঠার আগেই দক্ষতার সাথে তাদের যুদ্ধ বিমান এবং মিলিটারী বেইস ধ্বংস করে দেয়। পরে আমেরিকার সহযোগিতায় ইসরাইল বড় যুদ্ধ এড়িয়ে ফিলিস্তিনকে নিজের করে নেয়। আরবরা এই পরাজয় কখনো মেনে নিতে পারেনি।

ঐতিহাসিকভাবে মিশর এই অঞ্চলের সবচেয়ে অগ্রসরমান জাতি। খৃষ্টপূর্ব থেকেই সাহিত্য, বিজ্ঞান গবেষণা এবং দর্শনে পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু ধর্মীয় আগ্রাসন আর ক্রুসেডে তাদের ভাবনার রুট পরিবর্তন করে অদৃশ্যবাদী করে তোলে। বিজ্ঞান চর্চা বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুক্ত বুদ্ধির চর্চাকারীদের হত্যা করা হয়। সাহিত্যিকদের বিতাড়িত করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজ মিশর বয়সের ভারে ন্যুজ জলহস্তি।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সঠিকভাবে এনালাইসিস করেছেন।

যেহেতু, ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ইউএন, আমেরিকা ও ইউরোপ মিলে 'প্যালেষ্টাইনে ২টি দেশ' করছিলো, মিশরকে ইহা মেনে নিয়ে, প্যালেষ্টাইনকে সাহায্য করার দরকার ছিলো। ১৯৪৮ সালে, ১২ আরবদেশের বিপক্ষে ইসরায়েলের জয় মানে ইহার পেছনে আমেরিকা ও ইউরোপ ছিলো; তাদের বিপক্ষে যাওয়া সঠিক হয়নি। এরপর, ক্রমেই ইসরায়েল প্যালেষ্টাইনের বাক্সকী ভুমি গ্রাস করেছে; কারণ, তারা জানতো আররবেরা তাদের সাথে পারবে না।

১১| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই সমস্ত দেশগুলো ধ্বংসের জন্য দুর্বল নেতৃত্ব যতটানা দয়ী,আমরিকা কোন অংশেই কম দায়ী না।এখনো সে আইএস কে সুরক্ষা দিয়ে চলছে।তালেবান তাদের অর্থেে লালিত পালিত।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আইএস এর ব্যাপারটা আসলে মুসলমানদের শিয়া ও সুন্নী বিভক্তির ফসল; সিরিয়া ও ইরাকে সুন্নীরাই শিয়াদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আইএস'কে সাহায্য করেছে।

১২| ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এত ক্ষুদ্র আয়তনের এবং এত কম সম্পদের দেশে 18 কোটি মানুষকে কাজে লাগানো কখনোই সম্ভব না। যারা এই অসম্ভব ব্যাপারটা নিয়ে ভাববেন তারা পাগল হয়ে যাবেন । এটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।

শুধু এক বার ভাবুন পুরো আমেরিকার অর্ধেক জনসংখ্যা বাংলাদেশে। অথচ সম্পদ নেই বললেই চলে। আছে খালি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। কি ভয়ঙ্কর কথা।

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন বাংলাদেশের মানুষের যেই মানবিক গুণ, এরা নিজেদের ক্ষতির জন্য যথেষ্ঠ

১৩| ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫১

সুপারডুপার বলেছেন: ঠিক আছে , আমেরিকা যেই দেশগুলোতে যুদ্ধ করেছে, সেই দেশগুলো যুদ্ধের পর অনেক সাহায্য পেয়ে উন্নত দেশ হতে পেরেছে। কিন্তু যুদ্ধের পর মোসলমানের দেশ উন্নত হতে পারলো না যে?

২০ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা আফগানিস্তানে অনেক টাকাই খরচ করেছে; কিন্তু ওখানকার সরকার ও প্রসাসন সেগুলো দখল করেছে, চুরি করেছে।

১৪| ২০ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:০৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: তুরস্কের ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?

২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



তুরস্ক ছিলো ইউরোপিয়ান-মুখী জাতি, এরেদেগান ইহাকে আরবমুখী করেছে, ইহা কষপথ হারায়েছে; ইহা যদি আবার ইউরোপমুখী না হয়, ইহার ভবিষ্যত ভালো নয়।

১৫| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

অজ্ঞতা বিরোধী এসিড বলেছেন: বার্মার প্যারাটিতে অতি সংক্ষেপে বিশাল একটি ব্যাপার সামনে নিয়ে এসেছেন৷ধর্মীয় শাসন এবং সামরিক শাসন একটি রাষ্ট্রের গনতন্ত্রকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারার জন্য যথেষ্ট।

২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব দেশে গত ৫০ বছরের মাঝে মিলিটারী কিংবা ধর্মীয়রা ক্ষমতা দখল করেছিলো, কিংবা ভুমিকা রেখেছিলো, তাদর বেশীরভাগই এখনো সমস্যার মাঝে।

১৬| ২০ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: এমন জাতি বিদ্বেষী পোস্ট চোখে লাগে। আমরা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীজননেত্রীশেখহাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছি তা মোটেও আমলাতান্ত্রিক নয়৷ আমরা আগামী বিশ বছরের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে চলে যাবো৷ আপনি উৎসাহমূলক পোস্ট দেন। দেশনেত্রীকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর প্রবন্ধ লেখতে পারেন।

২০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া, এরশাদের ক্ষমতায় আসার পথ রচনা করেছে জেনারেল জিয়া, জনসংখ্যার একাংশ মিলিটারীকে সাপোর্ট করায় ইহা ঘটেছে; আজকেও জামাত-বিএনপি মিলিটারীর আশায় দিন গুনছে।

১৭| ২০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ব্লগার নুরু সাহেব পোস্ট দিয়েছেন , বাংলাদেশে আজ রাতে নাকি মহিমান্বিত রজনী।

মালয়েশিয়াতে গত রাতে ছিল 'মহিমান্বিত রজনী'। আজকের রাত্রি আবার সাধারন।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে খুব বেশী একটা দূরে ও না। মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টার যাত্রা।

তাহলে কেমন হয়ে গেলো না ব্যাপারটা।

২০ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মের অনেক ট্রেডিশন রূপকথা মাত্র; গ্রীক ও রোমান ধর্মের পুরোটাই ছিল রূপকথা

১৮| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গতরাতে আমার শবেকদর মনে হয়েছে গতরাতের বৃষ্টি ছিল রহমতের বৃষ্টি এক ফোটা বাতাস নেই রিমঝিম বৃষ্টি মুষলধারে বৃষ্টি। আর আবহাওয়া ছিল আরামদায়ক ঠাণ্ডা।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জন্য অনেকটা বোনাস ভাবনার মতো।

১৯| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:০৩

সুপারডুপার বলেছেন:



নুরু হুজুরের পোস্টে মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু মন্তব্যটা আপনি কেন্দ্রিক। তাই অফটপিকঃ নিচের ফটো


২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



নুরু সাহেব কইছুটা আধুনিক মানুষ, কিছুটা পেছনে-পড়া বাংগালী মানুষ। ধর্ম নিয়ে উনার বেশ কিছু ভুল ধারণা আছে; তবে, ভালো দিক হলো, উনি সাহিত্য ও আধুনিক রাজনীতির পক্ষের লোক।

২০| ২০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৮

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা ভাইজান । আপনি কি র্ব্যথ রাষ্ট্র বোঝাতে চাইলেন ? তা হলে লিষ্টটা আরো লম্বা হবে।
পাকিস্তান - ওদের যে গন্তব্য কোথায় কেউ জানে না। ভারতের এখন যে অবস্থা তাতে মনে হয় ভারতবর্ষের ভাঙন অনির্বায ছিলো।

আফ্রিকা। আলাদা করে বললাম না। ঐ মহাদেশ বলয়ের কয়েকটি দেশ। আসলে তাদের কথা বলতে গেলে ক্লান্তি এসে যায়।

প্যালেষ্টাইন। প্রকৃত পক্ষে প্যালেষ্টাইন কখনো হবে না। হওয়ার নয়। মুসলমানদের অভ্যূদয়ের ইতিহাস দেখুন। প্যালেষ্টাইন হওয়া উচিৎ কিনা ?

বাংলাদেশ - যদি ঐতিহাসিক কোনো পালাবদল না ঘটে এই ধারাবাহিকতায় চলে তবে এই দেশটি “স্বপ্র দিয়ে তৈরী সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা হয়ে যাবে।”

মালদ্বীপ - যদিও প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

দক্ষিণ আমেরিকা। বলিভিয়া, মেক্সিকো, নিকারগুয়া - তিনটি দেশই মাদকের জন্য বিলীন হবে।

ব্যতিক্রম, ইয়েমেন - টিকে থাকবে। মুসলিম আমল থেকেই পীড়িত ছিলো, থাকবে, নির্মূল হবে না।

সিরিয়া - বিলীন হয়ে যাবে।

নর্থ কোরিয়া আর মিয়ানমার একই রকম মঙ্গোলীয় ববর্র্ স্যাডিষ্ট মানুষের বসতি টিকে থাকবে সভ্যতার কলংক তিলক হিসেবে।

তাইওয়ান, হংকং, তিব্বত গ্রাস হয়ে যাবে। যদি টিকে থাকে তবে হবে মানুষের শৈায্যের গৌরবের স্নারক।

আমি গুনিণ নই। সামাজিক বাস্তবতা নিজের মতো দেখছি।

২০ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পর্যবেক্ষণ মোটামুটি ঠিক আছে।

আমি ব্যর্থ দেশগুলো নিয়ে কথা বলিনি; আমি মাত্র ৫টি দেশের উদাহরণ দিয়েছি, যেখানকার মানুষ চেষ্টা করেছিলো, কিন্তু নেতারা সব নষ্ট করেছে। এসব দেশের মানুষ মুল্য দিয়েও কিছু পায়নি, এসব জাতিগুলোকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করা হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.