![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
সিলেটের লোকজন পরহেজগার, ঐদিকে ঝড় টড় হয় না; দুনিয়ার ঝামেলা সাতক্ষিরা, পটুয়াখালী, আর প্রাচ্যের ভেনিসের লোকজনদের নিয়ে। এবার মমতাদির উঠানেও নাকি পানি উঠেছে; খাও দিদি, বেশী করে পানি খাও, বাংলাদেশের মানুষকে পানি দাওনা, এখন দেখ তোমার পানি রাখার যায়গা নেই, সব কলসী ভরে গেছে; সামনের বার তোমার উঠানে ইলিশ মাছও পাওয়া যাবে।
করোনার কারণে দক্ষিণ এলাকার যেসব ব্লগারেরা গ্রামের বাড়ী গিয়েছিলেন, তারা বোনাস হিসেবে আম কুড়াবার সুযোগও পেয়েছেন এবার; ছবিতে যাঁকে দেখছেন, উনিও ব্লগার; আমগুলোকে এক যায়গায় বাড়ীর দিকে যাচ্ছেন টুকরী মুকরী আনতে, যদি টুকরী যায়গা মতো থাকে!
আমি চিটাগং'এর মানুষ, কবি টবি নই, ১৯৬২ সাল থেকে বড় বড় ঝড় দেখেছি, ঝড় টড় পছন্দ করি না, উহা নিয়ে কবিতা টবিতা লিখি না; ঝড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু দেখেছি, নিজেদের ঘরবাড়ী মাটির সাথে মিশে যেতে দেখছি; নিজের এলাকার মানুষের কষ্ট দেখেছি, সমুদ্রের পানির তান্ডব দেখেছি; কৃষকের গোলার ও জমিনের ধান ভেসে যেতে দেখেছি। তখনকার সময়ে, যখন আমাদের এলাকায় ঝড় হতো, আমেরিকা, কানাডা থেকে রিলিফ আসতো অনেক, মানুষ তেমন কিছু পেতো না, সরকারের লোকেরা চুরি করে ফেলতো। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, সন্দ্বীপ, ভোলা, পটুয়াখালীর মানুষজন অনেক কষ্ট করেছেন যুগে যুগে।
১৯৭০ সালের ঝড়ে আমার খুবই ঘনিষ্ট একটা ছেলের মৃত্যু হয়েছে, এটি আমাকে আজীবন মনোকষ্ট দিয়েছে; ছেলেটির মানসিক সমস্যা ছিলো, সে আমার সমবয়স্ক ছিলো; আমার বড় ভাবীর বাপের বাড়ীর পাশের বাড়ীর ছেলে। মানসিক সমস্য থাকার কারণে তাকে বাড়ী থেকে দুরে যেতে দিতো না; গ্রামের ছেলেরা তাকে উত্যেক্ত করতো, ক্ষেপাতো; সেজন্য সে তাদেরকে পছন্দ করতো না। আমাকে প্রথমবার দেখে সে খুবই উৎসাহিত হয়েছিলো। সে সহজে ভাবতে পারতো না, কি করে আমি দুর থেকে আসি, আবার কি করে এতদুরে বাড়ী ফিরে যাই! আমি ভাবীদের বাড়ী গেলে সে আসতো, আমার সাথে সমুদ্রের তীরে যেতো। সে কাঁচের গ্লাসে পানি খেতে খুব পছন্দ করতো, ২/৩ গ্লাস পানি খেয়ে ফেলতো। আমার ভাবী আমাকে প্রা্যই শরবত দিতেন, আমি ছেলেটাকে দিতাম; সে যে সাঁতার জানতো না, তা আমি জানতাম না; ১৯৭০ সালের সামুদ্রিক প্লাবনে তার মৃত্যু হয়েছিলো।
আমফান নিয়ে চিন্তিত হওয়ার অনেক কারণ ছিলো, করোনার এই সময় গোলার ধান, জমির সবজি, ঘের ও পুকুরের মাছ, গবাদি পশু, গাছের ফল নষ্ট হওয়া খুবই বড় ধরণের লস। যাক, এবার অল্পতে সেরেছে মনে হয়। ঝড়ের ভালো দিক হলো, আমাদের ব্লগার নুরু সাহবেও আম কুড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন, উনি আবার সব সময় নেয়ামতের আশায় থাকেন।
২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনিও চিটাগাইংগা নওজোয়ান? আপনার বাবার বয়স কি রকম?
পৃথিবীতে পরে এসে ভালো করেছেন, পাশ করা সহজ হয়ে গেছে।
২| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আম আমার প্রিয় ফল। এবার খুব বেশি আম নষ্ট হয়েছে। এটা আমার জন্য কষ্টকর।
ঝড়টড় খুব একটা দেখি নি। তবে ইউটিউবে ঝড়ের কিছু ভিডিও দেখলাম। কলিজা কেপে গেছে।
ঝড় থেকে বাচার একমাত্র উপায় গাছ দিয়ে পুরো দেশ ভরে ফেলা। অথচ গাছ লাগানোর ব্যাপারে কারো কোনো নড়াচড়া দেখি না।
আপনি পোড় খাওয়া মানুষ। অভিজ্ঞ মানূষ। রসিক মানুষ সর্বপরি আধুনিক এবং মানবিক মানুষ। মানুহশের প্রতি আপনার ভালোবাসা রয়েছে। যা আমার ভালো লাগে।
২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই অবস্হায় আম বিনষ্ট হওয়া বড় ধরণের লস। যশোর এলাকায় আম পড়ে গেছে; মনে হয়, দিনাজপুর রক্ষা পেয়েছে। আমার চারিপাশের মানুষজন নিয়ে আমি সব সময় খুশী। তবে, বাংলাদেশের অনেক মানুষ বেদুইনদের অনুসরণ করে ভয়ানক হিংস্র হয়ে যাচ্ছে।
৩| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
বঙ্গদুলাল বলেছেন: আমার বাড়ি কুতুবদিয়া,কক্সবাজার। বাবার জন্ম ১৯৪৭ সালে।উনি ১৯৬০ এর তুফান এর সময় নাকি একটি বিয়েতে ছিলেন;সন্ধ্যার পরে তুফান শুরু হয়েছিলো।
পৃথিবীতে পরে এসে ভালো হয়েছে কি না এখনো বলছি না কিন্তু নকল মকল করে পাশ করিনি।বরং দেখেছি(আমরা যখন ছোট ছিলাম)-এলাকায় যখন কেউ সেকেন্ড ক্লাসে পাশ করতো, পুরো এলাকায় মিষ্টি বিতরণ চলতো এবং বই,নোট দেখে লিখার কাহিনিও শুনতাম। গ্রেডিং সিস্টেম ডিফরেন্ট ছিলো হয়তো তখন,এর বেশি কিছু তেমন দেখছিনা।
২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার বাবা আমার চেয়ে কয়েক বছরের বড়; উনার জন্য সন্মান রলো। ভালো যে, প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের আগে পড়ালেখা শেষ করেছেন। প্রশ্নফাঁস জেনারেশন যখন দেশের ক্ষমতায় আসবে, জাতির নাম পাল্টিয়ে রাখতে হবে, "পিগমী" (বংগীয় )।
৪| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নুরু হুজুরকে দোষ দিয়ে লাভ কি ।
সব হুজুররাই গনিমতের মাল পাওয়ার আশায় থাকে।
২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
নুরু সাহেবের বরিশাল তেমন আক্রান্ত হয়নি এবার; রোজায় উনার দোয়া কাজ করেছে।
৫| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষেরই সাঁতার শেখা উচিত। এটা তাকে সামান্য হলেও সহযোগিতা করবে কোন এক সময়।
২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আগে তো সব বাচ্চাই জলহস্তির মতো প্রতিদিন কিছু সময় পানিতে কাটাতো; এখন দেখি, প্রতিদিন কলেজ ছাত্র ডুবে যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
বঙ্গদুলাল বলেছেন: আপনার স্মৃতিকথামূলক লেখায় বরাবরই হিউমার একইসাথে বাস্তবতা ওঠে আসে । আমার আব্বাও (আপনার মতো) ১৯৬০ সালে নাকি একটি তুফান হয়েছিলো! ওটার গল্প শোনায়।অবশ্য ১৯৯১ সালে আমাদের চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে আরও একটি বড় তুফান তান্ডব চালিয়েছিলো ,অনেকে স্বজন হারিয়েছিলো কিন্তু তখনও পৃথিবীতে আমাদের পদার্পণ ঘটেনি;অভিজ্ঞতা হয়নি।