নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা স্বস্হানে না ফেরা অবধি, বিশ্ব শ্লো হয়ে থাকবে।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১



একটা ভালো খবর হলো, আমেরিকান কৃষকেরা করোনায় মোটামুটি আক্রান্ত হয়নি; কারণ, তারা আমেরিকার গ্রামে থাকে; ফলে, কৃষিকাজ সঠিকভাবে শুরু হচ্ছে; তবে, যদি গরমের পর করোনা ফিরে আসে, কৃষি শ্রমিকের অভাব হতে পারে আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে। অক্টোবরের মাঝে টিকা বানানো সম্ভব হলে, কৃষি ও শিল্প এলাকায় সবার আগে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা আছে সরকার ও গভর্ণরদের।

এমন কি ইউরোপ যদি আগে টিকা বের করে, উহার ম্যানুফেকচারিং'এর ভার আমেরিকাকে নিতে হবে। চীন যদি সবার আগে টিকা আবিস্কার করে, চীনের কনভেনশানেল টিকা ইউরোপ ও আমেরিকা হয়তো ব্যবহার করবে না; অনেক নাগরিক সেগুলো নিতে চাইবে না।

আমেরিকা যদি পুনরায় সঠিকভাবে পুরোপুরি চালু না হয়, ইউরোপ ও চীনের ব্যবসা পুরোপুরি চালু হবে না; ইউরোপ ও আমেরিকা পুরোপুরি চালু না হলে, বিশ্ব অর্থনীতি চালু করা সম্ভব হবে না। আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষ যদি বিমানে না চড়ে ও মালমাল আমদানী রপ্তানী শুরু না করে, তেলের দাম বাড়বে না, এমন কি তেল ও গ্যাসের উৎপাদন আজকের চেয়ে অনেক কমাতে হবে; এর অর্থ আরব ও রাশিয়া চুপসে যাব।

এই সপ্তাহে আমেরিকার বেকারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ মিলিয়নে (৪ কোটী); সামনে ভোট, ট্রাম্পের সরকার জোর করে অনেক চাকুরী ধরে রেখেছে এখনো, বর্তমান অবস্হার পরিবর্তন না'হলে ভোটের পর, সরকারী চাকুরী থেকে ২/১ মিলিয়ন চাকুরী হারাবে।

ভোটে ট্রাম্প জয়ী হলে, বিশ্বের জন্য ভয়ংকর সময় আসবে, ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা কোন সাহায্য পাবে না; ইতিমধ্যেই সে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পশুখাদ্য রপ্তানী সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যদি করোনা থেকে যায়, খাদ্য পঁচে গেলেও রপ্তানী করতে দেবে না। আর বাইডেন জয়ী হলে, কিছু সময়ের জন্য কর্পরেশন গুলো নতুন কর্মচারী নেয়া বন্ধ রাখবে। এদিকে এই বছরের নতুন গ্রেজুয়েটদের শতকরা ৯৫ জনের চাকুরী হবে না, সরকারকে এদের জন্য হয়তো বেকার ভাতা চালু করতে হবে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য, কিংবা মাথাপিছু ১২০০ ডলার করে এদেরকে দিয়ে যেতে হবে।

যারা এতদিন আমেরিকার পতন চেয়ে দোয়া খায়ের করেছেন, নিজেদের ভালোর জন্য এখন থেকে দোয়ার কথাগুলো বদলায়ে দেন, বলতে থাকেন, ইহুদী নাসারা যেন সবার আগে নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারে।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পৃথিবীর সব চেয়ে মহৎ পেশা হলো কৃষি।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


করোনা যদি থেকে যায় ২/৩ বছর, ইউরোপ, রাশিয়া ও আফ্রিকাকে নির্ভর করতে হবে একা কানাডার উপর; অষ্ট্রেলিয়া খরায় ভুগছে, দ: আফ্রিকা খরায় ভুগেছে, কালিফোর্নিয়া খরায় ভুগছে।

২| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ট্রাম্প জয়ী হলে কি হবে সবাই ধারনা করতে পারছে। বাইডেন হলে বলা মুশকিল। টিকা এবছরেই আসলে ভালো, তবে মুখ্য বিষয় হতে পারে কোন দেশ থেকে আসে তা দেখা। দোয়া যারা সঠিকভাবে করতে জানে না তারা কখনো দোয়া পরিবর্তিত করবে না।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


দোয়া যদি কাজ করতো, ইয়েমেন ও আফগানিস্তান বিশ্ব চালাতো; একমাত্র মুসলমানেরা খ্রিষ্টান ও ইহুদীদের বিপক্ষে দোয়া করে থাকেন।

চীনের টিকা কনভেশানেল টেকনোলোজী বেইজড হওয়ার সম্ভাবনা; পশ্চিম জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং টিকা বের করবে। আমেরিকানরা শাঁখের করাতে আছে কেনডিডেট নিয়ে।

৩| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: হয়তো বিপক্ষে দোয়া করেই পিছিয়ে পড়তে পড়তে এতটুকু এসেছে।দোয়াবিদ্যার যাদু মুসলমানরা আদৌ কবে বুঝবে তা বলা মুশকিল। চীন থেকে পেলে বাংলাদেশ কিছুটা লাভবান হতে পারে।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ ও ৩য় বিশ্ব টিকা পাবে ফ্রি, ওয়ার্ল্ড স্বাস্হ্য সংস্হা সেটার ব্যবস্হা করবে।

৪| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: বাংলাদেশে আক্রান্ত বাড়ছে,লকডাউনের বালাই নেই,প্রণোদনার নাট্যমঞ্চ চলে,জিনোম সিকোয়েন্স তথ্য কার্যকারীতা নেই,হার্ড ইম্যুনিটি কতটুকু এগিয়েছে তাও সঠিক তথ্য নেই।তবে ভালো খবর, মৃত্যুুহার কম, নিউমোনিয়া হচ্ছে না।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে, সরকারীভাবে মিলাদ পড়ানো।

৫| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন। দোয়া করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলমানেরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে এখন যেই অবস্হানে আছে, দোয়া করা ব্যতিত অন্য কোন কিছু করার অবস্হানে নেই।

৬| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকাতে শ্রমিকের অভাব হলে- অবশ্যই বাংলা্দেশ থেকে শ্রমিক নিবে। হে হে আমার একটা সুযোগ আছে।

আমি বিশ্বাস করতে চাই না- আমেরিকা আর ইউরোপের উপর বিশ্ব অর্থনীতি নির্ভরশীল।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা কৃষিতে শ্রমিক নেয় মেক্সিকো থেকে; বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করেছে কিনা সকে জানে; আমেরিকা সাময়িক ভিসায় মানুষ আনে।

৭| ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

রাকু হাসান বলেছেন:

মড়লরা ভাল না থাকলে অন্যেদের ভাল থাকা কঠিন। যেহেতু পৃথিবীর প্রথম কাতারের দাতা দেশ।
ট্রাম্প সরকার আমিরিকাকে এগিয়ে দিয়েছি নাকি পিছিয়ে দিয়েছে ,দিচ্ছে বিশ্ব রাজনীতি ? আশা করছি আপনার স্বাস্থ্য ভাল আছে। ভাল থাকুন।

২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কবি নজরুলের ভক্ত, ব্যতিক্রম কিছু তুলে ধরেন। ধন্যবাদ, আমি ভালো আছি।

ট্রাম্প আমেরিকাকে বিপদের মাঝে টেনে নিয়েছে, এতে আমেরিকানরা পেছনে পড়বে। আমেরিকা পেছনে পড়লে, বিশ্বের ক্ষতি হবে।

৮| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: চায়না এক জীবানু যুদ্ধে পুরা বিশ্বকে অর্থনৈতিকভাবে নাজুক অবস্থায় টেনে জয়ী! সামনের দিনগুলোতে ওরাই এগিয়ে থাকবে; ট্রাম্প-পাম্প শুধু খিস্তিখেউর করে যাবে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সামনের দিন গুলোতে চীনারা বাংলাদেশ, বার্মা, নাইজেিয়া, শ্রীলংকায় এগিয়ে থাকবে; আপনারা প্রশ্নফাঁস কম করেন, তখন চাকুরী বাকুরী পাবেন, দেশের টাকা চীনারা আর সরকারের লোকেরা ভগ করে নিতে পারবে না।

৯| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ প্রায় কাছা কাছি সময়ে টিকা বের করে ফেলবে। তার মধ্যে কানাডা এবং চীন প্রথম কাতারে ।উৎপাদনে যাবে ভারত।ভারতের অবকাঠামো অনেক শক্তিশালী ।
বর্তমানে আমরিকার যে অবস্থা তাতে করে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়া আর হয়তো কোন কালেই সম্ভব হবে না।শেয়ার বাজারের বেহাল দশা।চীনের সাথে বানিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত হলে আরো করুন হবে।চীনের শেয়ার বাজারের অবস্থা ভাল।ব্যাংকিং অর্থব্যবস্থায় চীন আমেরিকার থেকে ভাল অবস্থানে আছে।পৃথীবির মোট উৎপাদনের ২৮%করে চীন অন্যদিকে আমেরিকা করে১৬%।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি ষ্টক-মার্কেট ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করেন; আমেরিকান শেয়ার মার্কেট চীন-জাপান থেকে ভালো অবস্হায় আছে। ট্রাম্প অকারণে কর্পোরেশন গুলোকে রেসকিউ ফান্ড ও ঋণ দিয়ে দেশকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে, এটা সঠিক। চীনের টিকা সঠিক হবে কিনা সন্দেহ আছে; ওরা পুরোনো কনভেনশাল পদ্ধতিতে যাচ্ছে, উহা হয়তো প্রসেসকে এগিয়ে আনবে।

চীনে পৃথিবীর কেহ টাকা জমা রাখে না, কেহ চীনের বন্ড কিনে না; ব্যাংকিং নিয়ে যা বলছেন, সেটা ওদের স্হানীয়, উহা নিয়ে বিশ্বের মাথা ব্যথা নেই। চীন ৯৯ সেন্টের মাল বানায়, আমেরিকা দামী জিনিষ বানায়।

১০| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩২

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: @চাঁদগাজী ---প্রশ্নফাঁস তো ওল্ড ট্রেন্ড, আর চাকরি/বাকরি তো শুধু এটেনড্ করলেই কারো কারো হয়ে যায়!

উন্নত-ধনী দেশগুলোতে মেধা-জ্ঞানকে মহামূল্যবান এবং সম্পদ ও খাবারকে কূটনৈতিক হাতিয়ার বিবেচনা করা হয়।

এদেশ থেকে brain drain যখন শুরু হয় তখন থেকেই আপনার মতো লোকেরা পাড়ি জমিয়েছে। এদেশে বসে এ দেশের সমালোচনা করা কঠিন।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ব্রেইনড্রেনের মাঝে পড়ি না; আমি বিদেশে পড়ে দেশে চাকুরী করেছি; আমার মাথায় একটা টিউমার ধরা পড়ার পর বিদেশে চিকিৎসা করায়ে, বিদেশে বেশী সময় চাকুরী করতে বাধ্য হয়েছি।

দেশের শিক্ষিতরা দেশের মানুষের দায়িত্ব না নেয়ায় সব সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে; প্রশাসনের লোকজন নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য দৈনিক ৮ ঘন্টা করে কাজ করেনি কোন সময়।

১১| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৯

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: ইহুদী নাসারা ছাড়া কেউ পৃথিবীর কল্যাণ করতে পারবে না।
সেই মেধা, মনন, দক্ষতা নাই।
আছে শুধু ধন। যা শুধু পেনিট্রেট করতে কামে লাগায়।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা যেসব পড়ালেখা করে, এর ফলে স্বাক্ষরতা বাড়ে; কিন্তু যোগ বিয়োগ করলে কমন-সেন্স কমে যায়।

১২| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমেরিকা কি বিশ্বকে মুফতে কিছু দিবে?
ওরা বনিয়ার জাত!! লাভ ছাড়া ছাইও দিবেনা।
তবে পঞ্চাশ পর আমেরিকার অস্তিত্ব বিলীন হবার
সমূহ সম্ভব্না আছে।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স বুঝেন না, যাদের বুদ্ধ কম, তারা ফিতরা ও যাকাত (ভিক্ষা, মুফতে) দেয়; বুদ্ধিমানেরা চাকুরী ও ট্যাক্স দেয়।

আমেরিকার সিষ্টেম ক্রমাগতভাবে বদলাচ্ছে; ফলে, ইহা বিবিধরূপে টিকে থাকবে; জ্ঞানীরা পথ খুঁজে বের করে আসছে, এটাই ইতিহাস।

১৩| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজকের আলোচনা খুবই ভালো লাগলো । অনেক ভালো মতামত রেখেছেন। এরকম আলোচনা হলে আসলে বুদ্ধির চর্চা হয়। ফেসবুকের মত কেবল লাইক দেওয়া আর আমিন না লিখে যাবেন না বললে আসলে কিছুই শেখা হয় না।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফেইসবুক বাংগালীদের সাহায্য করছে, বুদ্ধিমান মানুষরা সহজেই বাংগালী বেকুবদের পরিসংখ্যন পাচ্ছেন সহজেই।

১৪| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৬

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী ভোটে যদি ট্রাম্প যেতে বিশ্বকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, সেক্ষেত্রে আমেরিকার মানুষ জন নিজেদের নিয়েই চিন্তায় অস্থির হয়ে থাকবে, ডোন্ট ওরি। আর হিসাব বলছে ট্রাম্প আবার জিততে যাচ্ছে, প্রকারান্তে পুতিনের হাতেই মনে হয় আমেরিকার পতন দেখবে বিশ্ব, যেমন দেখছে ৯০ তে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটায়েছে 'রাশিয়ান কম্যুনিষ্ট পার্টি'; ওরা আজেরবাইজান, উকবেক, তাজিক, কিরগিজ, প্রি-বাল্টিক, রুমানিয়া, বুলগেরিয়ার বোঝা আর টানতে চাহেনি। সোভিতেতের অফুন্ত সম্পদ ওরা দখল করতে চেয়েছিলো, তা করেছে।

পুটিন হলো স্বয়ং খোদা থেকেও বেশী ধনী, সে এখন বিশ্ব ক্যাপিটেলিজমের বাবা, সে কেন আমেরিকা বা চীনের বিপক্ষে যাবে? আমেরিকানরা হচ্ছে ব্যকিত্বশীল মানুষ, সোজা মানুষ, বিশ্ব এদের পছন্দ করে।

এপ্রিল অবধি ট্রাম্পের বিজয় পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলো; এখন উহা করোনার বিপরিত-সামানুপাতিক হয়ে যেতে পারে, করোনা বাড়লে ওর ভোট থিওরিটিক্যালী কমবে।

১৫| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৩

আল ইফরান বলেছেন: আপনার জন্য কয়েকটা সাধারন জ্ঞানের প্রশ্ন রেখে যাই, দেখি উত্তর দিতে পারেন কিনাঃঃ

১। পুজিবাদের সুচনা কিসের উপর ভিত্তি করে হয়?
২। পুজিবাদের বিবর্তনের স্তরগুলো কি কি?
৩। সমগ্র বিশ্ব এখন পুজিবাদের কোন ধারায় (স্তরে) আছে?

আপনিতো ব্লগের মোটামুটি স্বঘোষিত ক্যাপিটালিজম এক্সপার্ট, তাই প্রশ্নপত্র ফাস জেনারেশনের প্রতিনিধি হিসেবে আপনার কাছে সদুত্তর প্রত্যাশা করছি।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি চাচ্ছেন, ব্লগের মন্তব্যের ঘরে এগুলোর উত্তর লিখতে? যাক, আমি আমেরিকার বর্তমান অবস্হার পরিপ্রেক্ষতে যা দেখছি, সেটা থেকে বলবো; বইয়েরটা এখানে বলা সম্ভব হবে না।

১) পুঁজিবাদের সুচনা: ক্যাপিটেল যখন কিছু মানুষ ও কইছু কর্পোরেশন কন্ট্রোল করে, তখন ক্যাপিটেলিজমের সুচনা হয়।
২) বিবর্তনের স্তর: ইন্ডাষ্ট্রিয়েল ক্যাপিটালিজম, মার্চেন্ট ক্যাপিটেলিজম, এগ্রিকালচারেল ও ফাইন্যানসিয়াল ক্যাপিটেলিজম
৩) আমেরিকা এখন ফাইন্যানসিয়াল ক্যাপিটেলিজম, মার্চেন্ট ক্যাপিটেলিজম ও এগ্রিকালচারেল ক্যাপিটেলিজমের সমম্ময়ে আছে।

আমি স্বঘোষিত, কারণ আমি আমেরিকার কোন ইনষ্টিটিউটের মেম্বার নই, কোন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করি না।

১৬| ২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: মানুষের যখন অঢেল টাকা হয়ে যায়, তখন তার কাছে টাকার মূল্য আর সেভাবে থাকে না, যেমনটা আপনি বলছেন সে এখন বিশ্ব ক্যাপিটেলিজমের বাবা, ইতিহাসে গর্বাচেভের নাম অমর কারন সময়ই কম্যুনিজমের পতন। তো টাকা পয়সা দিয়ে ইতিহাসে অমর হওয়া যায় না, রাষ্ট্র নায়কদের ক্ষেত্রে। তাদের এমন কিছু করতে হয় যাতে বিশ্ব ইতিহাস তাদের মনে রাখে, মাও, লেলিন এদের কাতারে নাম উঠাতে হলে পুতিনের সে রকম কিছু একটা করতে হবে, আর পুতিনের সে বুদ্ধি আর ক্ষমতা আছে। আপনি যদি বর্তমান ওপেক ভার্সাস রাশিয়া তেল যুদ্ধ দেখেন সাদা চোখে সেখানে ইসলামী রাষ্ট্র গুলোর অর্থনৈতিক ব্যাবস্থায় ধ্বস নামছে, কিন্তু আরো গভীর ভাবে দেখুন এর প্রতিফল রাশিয়ার থেকে আমেরিকার জন্য খারাপ আনবে।

ওদিকে পাগলা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে, পুতিনের কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে যাবে। আশির দশকের মাঝামাঝিও কেউ ভাবে নাই এইভাবে হুড়মুড় করে রাশিয়া ভেঙ্গে যাবে। পুতিন ইতিহাসে অমর হতে চাবে, তার জন্য যা যা দরকার তাই করবে, হয়ত জানেন সে কিন্তু সংবিধান সংস্কারের দিকে যাচ্ছে। তার অনেক বড় ইচ্ছা আছে। আপনাদের বাচাবাচির একটাই রাস্তা পাগলটাকে সরিয়ে বুদ্ধিমান কাউকে প্রেসিডেন্ট বানানো। :)

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামী রাষ্ট্র বলতে একসাথে ৪৬ বা ততোধিক রাষ্ট্রকে বুঝায়, এরা বিশ্বের জন্য সমস্যা, এরা পেছনে পড়ে আছে, প্রায় সব দেশে অরাজকতা চলছে। তেলের দাম কমার পেছনে ওপেক ও পুটিনের বেকুবী আছে; তবে, পুটিনের হারানোর কিছু নেই, সে রাশিয়ার সব তেলের ফিল্ড ব্যক্তিগতভাবে দখল করে রেখেছে। আমেরিকা এখন চাইলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানীকারক হতে পারে। তেল বিক্রতা: সৌদী, কুয়েত, ইরান, লিবিয়া ইত্যাদিও তেলকে মানুষের সম্পদ হিসেবে দেখে না, ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করেছে, যা পায় তাই লভ।

১৯৭৬ সালে থেকে সোভিয়েতের কম্যুনিষ্ট গুরুরা বলে আসছে যে, সোভিয়েত ভুল পথে যাচ্ছে, ইহার সম্পদ জমা হচ্ছে, মানুষের হাতে যাচ্ছে না, ইহা ভাংবে।

ট্রাম্পের সৌভাগ্য ডেমোক্রেটদের ভালো কেন্ডিডেট নেই; বাইডেন মোটামুটি ছিল, কিন্তু ছেলের স্কানডাল সমস্যা হয়ে গেছে।

১৭| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১২:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমেরিকা তার সমস্ত কৌশল দিয়ে চেষ্টা করেছিল ইরানের তেলবাহী জাহাজ যাতে ভেনিজুয়েলা পৌছতে না পার।কিন্ত পৌঁছেগেছে।আমেরিকার পক্ষে পৃথীবির কোন দেশ সমর্থন দেয় নাই।বিশ্ব বানিজ্য চলে ডলারে,আর এই বিশয়টা নিয়ে আমেরিকা যেভাবে ছড়ি ঘুরায় তা সারা পৃথীবির জন্য মাথা ব্যথার কারন।তারা বিকল্প পথ খুঁজছে।পৃথীবির সবথেকে ব্ড় লৌহ কোম্পনি রিও টিনটো চীনা মুদ্রায় চুক্তি করেছে।ভিসা এবং মাষ্টার কার্ডের বিপরিতে ডিজিটাল ওয়ালেট ৫৬টা দেশে গৃহীত।
আমেরিকা হয়তো আরো ১৫/২০বছর বিশ্ব মোড়ল থাকতে পারতো কিন্ত করোনা সেই সুযোগ দিল না। এই মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিকে চিরতরে বদলেদিবে। পরিবর্তন ঘটবে রাজনীতির।মার্কিন জনগন বিশ্বায়ন ও আন্তর্জাতিক বানিজ্যের ওপর বিশ্বাস হরিয়ে ফেলেছে।তাই তারা মুক্ত বানিজ্য চুক্তিগুলো থেকে বেরিয়ে আসছে।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা কোন চুক্তি থেকে বের হয়নি, ট্রাম্প চুক্তিগুলোর শর্তগুলোকে শক্ত করছে, যা আমেরিকার দরকার। আমেরিকা ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপের ও করোনায় ভুল পদক্ষেপের জন্য মান সন্মান হারায়েছে; তবে, মাথা হারায়নি।

রাস্তা দিয়ে ১ জন আমেরিকান, ১ জন চীনা ও ১ জন মুসলমান হেঁটে যাওয়ার সময়, আপনি সামনে পড়লে, আমেরিকনটা আপনাকে সালাম দেবে; ওদের ব্যক্তিত্ব আছে।

৫ ট্যাংকার তেল আমেরিকার ছোট কোম্পানীর কাছেও জমা থেকে; উহা নিয়ে আমেরিকা কি করছে, আমার জানা নেই।

১৮| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি জানেন বাংলাদেশে বেক্সিমকো কোম্পানী আমেরিকাতে ৬৫ লাখ পিপিই পাঠিয়েছে?

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৩:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সম্ভব, আমেরিকা পিপিই ইত্যাদির ম্যানুফেকচারিং ছেড়ে দিয়ে বসে আছে গত ১০/৫ বছর আগের থেকেই, এবার সেটার মুল্য দিয়েছে।

১৯| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনীতি কি জ্যোতিষীদের৷ হাতে চলে যাচ্ছে? ওয়াও কত প্রেডিকশন!

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা বেকুবের মতো আচরণ করায়, ইউরোপ ও বিশ্বের অনেকেই হতবাক।

২০| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ২:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমেরিকার জিডিপি বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৩৩ শতাংশ। আমেরিকার ওপর বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। চীন, কানাডা, মেক্সিকো, জাপান ও জার্মানি থেকে আমেরিকা সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০১৯ সালে আমদানি করা পণ্যের প্রায় ৫৮ শতাংশ এই পাঁচটি দেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা না হলে এসব দেশের অর্থনীতিতে স্বাভাবিকভাবেই বিরূপ প্রভাব পড়বে। ২০১৮ সালে শুধুমাত্র চীন থেকেই প্রায় ৫৪০ বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি করেছিল আমেরিকা।সকলেই জানি যে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের জেরে দু দেশের ওপরই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের পরাশক্তিধর দু দেশের শেয়ারবাজার বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।এর নেতীবাচক প্রভাব দুনিয়ার অপরাপর দেশে পরাটা খুবই স্বাভাবিক । শেয়ার বাজার ধ্বসের প্রভাব দুনিয়ার সকল দেশের শিল্প বানিজ্যের উপর পরবে তাতে কোন সন্দেহ নাই । তাইতো মনে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বস্থানে ফিরে না গেলে তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের বড় শক্তিধর দেশগুলির পাশাপাশি অন্য দেশগুলিতেও ।

উল্লেখ্য যে, করোনা পরবর্তীতে আমিরিকার কেপিটালিষ্টরাই তাদের কেপিটালিজমের মাধ্যমে আমিরিকাকে কিভাবে পুর্বের জায়গায় নেয়া যায় তার পথ ঘাট বের করে ফেলবে, আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পতো কেপিটালিষ্টদেরকেই প্রতিনিধিত্ব করছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য হতে দেখা যায় যে যদিও করোনার কারণে অমিরিকা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
তার পরেও অ্যামেরিকার ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে। মার্চের ১৮ তারিখ থেকে মে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন অ্যামেরিকার ছয়শ’রও বেশি কোটিপতির যে তথ্য প্রতিবেদন ফোর্বস তৈরী করেছে তাতে দেখা যায় করোনাকালীন সময়ে অ্যামেরিকার কোটিপতিদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৫ ভাগ বেড়েছে ৷ ২ দশমিক ৯৪৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৩৮২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার৷এর মধ্যে দুই মাসে অ্যামাজনের জেফ বেজোস এর সম্পদে যোগ হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সম্পদে যোগ হয়েছে বাড়তি ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ শীর্ষ পাঁচ ধনী বেজোস, সাকারবার্গ, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এবং ল্যারি এলিসনের মোট ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ বেড়েছে ৷

তাই সেখানকার কেপিটালিষ্টরা যতদিন রমরমা অবস্থায় থাকবে ততদিন আমিরিকার চিন্তা করার তেমন কোন কারণ নাই। যদিও গলাকাটা কেপিটালিম সাধারণ পাবলিকের ভোগান্তির মাত্রা বাড়িয়ে দিবে অনেকাংশে, বেকারত্ব পেতে পারে নতুন
মাত্রা, তার পরেও যে কোন মুল্যে চীনের সাথে তীব্র প্রতিযোগীতা করে হলেও আমিরিকা বিশ্ব মোড়লের অবস্থানকে
আরো অনেক দিন ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে বিশ্লেষকগন মনে করেন। তবে এ ক্ষেত্রেও আমিরিকাকে অনেক চ্যলেঞ্জ
মোকাবেলা করতে হবে । তবে যেহেতো বৈশ্বিক আর্থ -রাজনৈতিক-বানিজ্যিক চ্যলেঞ্জের বিয়য়গুলি যেহেতো এ
পোষ্টে তেমনভাবে উঠে আসেনি সেহেতু সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলি এ মন্তব্যের ঘরে আলোচনা করা হলনা ।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


২ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক রেসকিউ প্যাকেজটা দেয়ার মুলে ছিলো "বিলিওনারদের লবি"; উহারা সেটা হজম করাতে, তাদের সম্পদ গড়ে ৮% থেকে ৯% বেড়েছে, ছোট সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাজন ও ওয়ালমার্টে সেই পরিমান বিক্রয় হয়েছে, ইহা আগামী ৫০ বছরের জন্য রেকর্ড হবে।

চীনারা বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে না, তাদের ব্যক্তিত্ব নেই।

ষ্টক-মার্কেট মোটামুটি খুবই কম সময়ে অনেকটা রিকভার করে ফেলেছে, ইহা ভীতিজনক: "ডাও ইন্ডাষ্ট্রিয়েল" ১০,০০০ পয়েন্ট পড়ে, ৬০০০ পয়েন্ট রিকোভার করেছে, "নাসডাক" এখন মাত্র ৫% লসে আছে; এগুলো আবার পড়বে।

২১| ২৬ শে মে, ২০২০ ভোর ৬:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেক প্রশ্নে উত্তর পেলাম এজন্য ধন্যবাদ

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোনভাবে উপকৃত হয়ে থাকলে, ভালো অনুভব করবো।

২২| ২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ৭:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: করোনা পূর্ববর্তী সময়ের মতো অর্থনৈতিক শক্তি কী আমেরিকা পুনরুদ্ধার করতে পারবে?

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



পারবে; আমেরিকার বিশৃংখল অবস্হা দেখে, রাশিয়া, চীন, ইরান, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার বিপক্ষে কিছু করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বিশ্বের কেহ ওদেরকে সন্মান করে না; পুটিন যেভাবে রাশিয়ার ক্ষমতায় আসছে, চীনাদের অসৎতা, ইরানের জংগী নীতিকে কেহ সন্মান করে না।

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিাক যদি বেকারত্ব নিয়ে বেশী বিপদে পড়ে, মেক্সিকোর দরিদ্রদের কপাল পুড়বে; এখন ১৫ মিলিয়নের মতো বেআইনীাবে বসবাসরতদের বড় অংশকে ফেরত যেতে হবে।

২৩| ২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তারমানে পৃথিবীর সামনে ইকোনোমিক ক্রাইসিস অপেক্ষা করছে। সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা না হলে পস্তাতে হবে ইউরোপ আমেরিকা সহ গোটা বিশ্ব। ট্রাম্প বাইডেন উভয় সংকটের মতন। পৃথিবীর একটা পরিবর্তন দরকার। মেধা মানবতার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি হওয়া দরকার।

২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার ইতিহাসে এই ধরণের বেকারের ইতিহাস নেই; এই সপ্তাহ মিলে ৪ কোটী মানুষ বেকার হবে। যেখানে চীনে জনও বেকার হয়নি, সেখানে আমেরিকার ৪ কোটী বেকার বিশাল সমস্যা; ইহা আমেরিকা ও বিশ্বের জন্য বড় ধরণের দু:সংবাদ।

২৪| ২৬ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"২ ট্রিলিয়ন ডলারের প্রাথমিক রেসকিউ প্যাকেজটা দেয়ার মুলে ছিলো "বিলিওনারদের লবি"; উহারা সেটা হজম করাতে, তাদের সম্পদ গড়ে ৮% থেকে ৯% বেড়েছে, ছোট সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাজন ও ওয়ালমার্টে সেই পরিমান বিক্রয় হয়েছে, ইহা আগামী ৫০ বছরের জন্য রেকর্ড হবে।"

ক্যাপিটালিজমের সবচেয়ে বড় উদাহরণ এটি। চমৎকার বলেছেন।

২৬ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সামনে করোনার সময় ক্যাপিটেলিজম আমেরিকায় ডাকাতী করে যাচ্ছে।

২৫| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৯

আল ইফরান বলেছেন: আপনি বলেছেন "আমি আমেরিকার বর্তমান অবস্হার পরিপ্রেক্ষতে যা দেখছি, সেটা থেকে বলবো"

ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গেলে অতীত ইতিহাস জানা জরুরী বলে আমি মনে করি। ক্যাপিটালিজমের এপিসেন্টার দুইটা (ইউরোপ আর নর্থ আমেরিকা)- সেই হিসেব বিবেচনায় আপনার এনালিসিস অসম্পুর্ণ। কারনগুলো আমি আপনার উত্তরের প্রতিউত্তরে দিচ্ছিঃ

১) পুঁজিবাদের সুচনা: ক্যাপিটেল যখন কিছু মানুষ ও কইছু কর্পোরেশন কন্ট্রোল করে, তখন ক্যাপিটেলিজমের সুচনা হয়।

উত্তর ভুল। পুজিবাদের সূচনা হয় সামন্তবাদের সাথে যান্ত্রিকীকরণের সংঘাতের ফলশ্রুতিতে। আপনার মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের জন্ম এই জায়গা থেকেই। আর কর্পোরেশনের ধারনার উন্মেষ ঘটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলশনের এক্কেবারে শেষের দিকে। পরবর্তীতে কর্পোরেশনকে লিগ্যাল এনটিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াটা আমাদের লিগ্যাল ডিসকোর্সের একটা বড় ক্যাভিট।

২) বিবর্তনের স্তর: ইন্ডাষ্ট্রিয়েল ক্যাপিটালিজম, মার্চেন্ট ক্যাপিটেলিজম, এগ্রিকালচারেল ও ফাইন্যানসিয়াল ক্যাপিটেলিজম

উত্তর আংশিক সঠিক। আপনি সার্ভিস ক্যাপিটালিজম (সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রি বেইজড) আর সার্ভেইল্যান্স ক্যাপিটালিজম (ডেটা বেইজড ফার্মগুলো/ আমি নিজে এখনও পড়তেছি) বাদ দিয়েছেন।

৩) আমেরিকা এখন ফাইন্যানসিয়াল ক্যাপিটেলিজম, মার্চেন্ট ক্যাপিটেলিজম ও এগ্রিকালচারেল ক্যাপিটেলিজমের সমম্ময়ে আছে।

উত্তর আংশিক সঠিক। দুই নম্বরের সার্ভেইল্যান্স ক্যাপিটালিজম না আসার কারনে আপনি একটা বিশাল অংশ মিস করেছেন। গুগল, ফেইসবুক (আই মিন ডাটা ইঞ্জিনিয়ারিং) এখন মার্কিন অর্থনীতির বিশাল অংশকে দখল করে রেখেছে। ২০১০ এর রিসেশনের পরে ফাইনান্সিয়াল ক্যাপিটালিজম গ্রেভইয়ার্ডের পথে হাটা দিয়েছে (এইটা আমার চাইতে আপনার ভাল বুঝার কথা)

আমার প্রশ্ন অথবা উত্তরে আপনি যদি অফেন্ডেড ফিল করেন, আই আম আস্কিং ফর মাই সিনসিয়ারেস্ট এপোলজি। আপনি আমার বাবার বয়সী বলেই আপনাকে বলা। কিন্তু মাঝেমধ্যে আপনার কিছু মন্তব্য খুব আক্রমণাত্নক হয়ে যায়, বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়গুলোতে। আশা করি খেয়াল রাখবেন।

২৭ শে মে, ২০২০ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো লম্বা একাডেমিক ও স্পেসিফিক জাতির অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স পলিসির উপর নির্ভর করে; ফলে, ব্লগের ১৫ লাইন পোষ্ট, কিংবা ৫ লাইনের মন্তব্য আলাপ করা কঠিন।

আমি নিজে সবাইকে প্রশ্ন করি, এবং একটা উত্তর আশা করি; ফলে, আপনার প্রশ্নগুলো আমাকে উৎসাহিত করেছে বরং। আমি ধর্মীয় ব্যাপারে ঠিক আক্রমণ করি না, আমি আমর কথাটা শক্ত করে বলি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.