![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
সামুর ব্লগাদের অনেকেই আমাদের দরিদ্র জাতীর জাতীয় কবির (১৮৯৯-১৯৭৬) কবিতা পড়েছেন; অনেকই কবির ১০ লাইন কবিতা নকল করে, পরীক্ষার খাতায় লিখে বাংলায় কোন প্রকারে পাশ করেছেন; এটাও কম সৌভাগ্যের কথা নয়। কিন্তু গার্মেন্টস'এর কোন মেয়ে, সিএনজি চালক, সৌদীতে যাওয়া সস্তা শ্রমিকেরা কখনো কবি নজরুল ইসলামের কবিতা পড়েছেন বলে মনে হয় না; কবি কিন্তু এদের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলতে গিয়ে কবিতা লিখেছিলেন; যাদের জন্য তিনি লিখলেন, তারা আজো পড়তে জানে না!
১৯২২ সালে, বৃটিশ কলোনিয়েল সিষ্টেম থেকে ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য বাংগালীদের উদ্দেশ্য করে কবি 'বিদ্রোহী' কবিতা লেখেন; ১৯২২ সালে পুর্ব বাংলার শতকরা কতজন কবিতা পড়তে জানতেন? ১৯৪৭ সালে, পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার সময়, শতকরা ১২ জন বাংগালী শিক্ষিত ছিলেন; এখন, শতকরা ৬৫ জন বাংগালী নাম লিখতে পারেন। ১৯৪২ সালে কবির কবিতা লেখাই বন্ধ হয়ে গেছে।
জন্ম থেকে তিনি রাজকবি ছিলেন না, শাহনামা লিখে স্বর্ণমুদ্রা, রৌপ্যমুদ্রা কোনটাই পাননি; মাত্র ৯ বছর বয়সে বেকারীতে কাজ করতে হয়েছে কবিকে; সেই সময় থেকে তিনি 'লেটো দলের জন্য গান' লিখেছেন; এসব গান ছিলো কলোনিয়েল সিষ্টেমের বিপক্ষে, তাই অনেক শ্রোতা ছিলো উনার।
কিন্ত দারিদ্তা উনার চিরবন্ধু ছিলো, ১৯১৭ সালে, ১৮ বছর এসএসসি'র সমমানের পরীক্ষার ফি যোগাড় করতে না পারায়, পরীক্ষা না দিয়ে তিনি টাকা উপার্জনে মনযোগ দেন, বৃটিশের সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন; ইংরেজদের পক্ষে ১ম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। দেখছেন, দারিদ্রতা মানুষকে কি করে; ইংরেজ বিরোধী মানুষ, পেটের দায়ে ইংরেজদের পক্ষে যুদ্ধে গেছেন!
১৯৩৯ সালে উনার স্ত্রী প্রমিলা দেবী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হন, চিকিৎসার টাকা ছিলো না; ১৯৪১ সালে কবি নিজেই অসুস্হ হয়ে পড়েন, এবার উনার চিকিৎসার পয়সাও নেই। স্বামী স্ত্রী ২ জনেই অসুস্হ; তখন ইংরেজরা ২য় বিশ্বযুদ্ধে লিপ্ত; ১৯৪২-৪৩ সালে বাংলায় ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ নয়, তার থেকে হাজার গুণে ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ ছিলো।
আজকের কলিকাতার লোকেরা বেশ কৃপণ; কিন্তু ১৯৪১ সালে কলিকাতার লোকেরা কবিকে সাহায্য করেছেন! হয়তো বিরাট নয়, তারপরেও করেছেন, বিদেশে পাঠায়েছেন; আজকে ঢাকায় কোন ব্লগার অসুস্হ হলে, কেহ সাহায্য করবে বলে মনে হয় না।
আমাদের শেখ সাহবে জীবনে একটা বড় কাজ করেছিলেন, দুস্হ কবিকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন; থাকার ও খাবারের ব্যবস্হা করেছিলেন; কবি জীবনের শেষ দিন গুলোতে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। শেখ সাহেব আমাদের জাতির মুখোজ্বল করে গেছেন। খুবই খারাপ লাগে যে, প্রমিলা দেবী উনার স্বামীর সামান্য সুখের সময়টা দেখে যেতে পারেননি; প্রমীলা দেবীর মৃত্যু হয়েছিলো ১৯৬২ সালে; উনি অসুস্হ স্বামীর দু:খ দেখে গেছেন, মনে অনেক কষ্ট নিয়ে গেছেন নিশ্চয়! কোন স্ত্রী নিজের স্বামীকে কিংবা নিজের সন্তানদের দরিদ্র দেখতে চান না নিশ্চয়ই!
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
তথ্য ঠিক থাকার কথা।
২| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আপনার লেখা পড়ার পর মনে হয়, আপনার লেখার টপিকটা খুব কমন। কিন্তু পড়ার আগে এরকম টপিক মাথায় আসেনা।
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাই? পরিক্ষার পাতায় কবি নজরুলের কবিতার ১০ লাইন মুখস্হ লিখেছিলেন, নাকি লিখে সাথে নিয়েছিলেন?
৩| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রথমে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লিখে পরে পেটের দায়ে ইংরেজদের পক্ষে যুদ্ধে যান নি
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯০৯ সাল থেকে উনি বৃটিশ-বিরোধী লেটো গান রচনা করেছেন; সেগুলো অনেক জনপ্রিয় ছিলো।
৪| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
তাই? পরিক্ষার পাতায় কবি নজরুলের কবিতার ১০ লাইন মুখস্হ লিখেছিলেন, নাকি লিখে সাথে নিয়েছিলেন?
আমি গনিত ছাড়া আর কোন বিষয়ে দুই নাম্বারি করতামনা এখনো করিনা। বাংলা আমার পছন্দের বিষয়।
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো! গণিতে ২ নম্বরী করা যায়?
৫| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কবি নজরুল,
করিয়াছ ভুল ।
দাড়ি না রাখিয়া
রাখিয়াছ চুল।
বাংলাদেশের বর্তমান তরুণ সমাজ উনার মতো ভুল করছে না। সবাই এখন স্কুল থেকেই দাড়ি রাখা শুরু করে দিয়েছে। বাংলাদেশের নাটকে ও দেখা যায় নায়ক সাহেবের দাঁড়ি আছে।
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের তরুণদের কমনসেন্স খুবই কম।
৬| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
রাজীব নুর বলেছেন: কবিকে নিয়ে ব্যাপক গবেষনার দরকার আছে।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত মাতামাতি হয়েছে তার ছিটাফোটাও নজরুলকে নিয়ে হয় নি।
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীরা সৌদী মরুভুমিতে উট চরাচ্ছেন ও আরবী শিখে কোনভাবে চাকুরী রাখার চেষ্টা করছেন। বুরোক্রটরা সভা সমিতিতে রবীঠাকুর ও নজরুল ইসলামের ২ লাইন কবিতা পড়ে বক্তৃতা দিচ্ছে।
৭| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
ভালো! গণিতে ২ নম্বরী করা যায়?
============================
অবশ্যই যায়, ক্লাস এইট থেকে গনিত নোটবুক এর পাতা ছিড়ে পরীক্ষার হলে নিয়ে যেতাম আর কপি পেস্ট করতাম। যে নকল করেনি তার ছাত্রজীবন বৃথা।
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এই কারণে গ্রামগুলোতে সায়েন্স গ্রুপে ছাত্র নেই।
৮| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সামাজিক পরিবর্তন গরিবরা আনে না ধনীরাও আনে না,আনে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর অগ্রসর অংশ।তারা নজরুলের কবিতা ঠিকই পরেছে।
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লেনিন ও মাও'এর পর শ্রেণী নিয়ে নতুন থিওরী দিচ্ছেন।
৯| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১১
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
এই কারণে গ্রামগুলোতে সায়েন্স গ্রুপে ছাত্র নেই।
=====================================
আগের দুইটা কমেন্ট করেছিলাম অনেকটা মজা করে কিন্তু এখন আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে গ্রাম এ এত পরিমান সাইন্স এর ছাত্র আছে যে আপনার মাথা ঘুরে যাবে।
আমি আগে মনে করতাম বাংরাদেশের শিক্ষা-ব্যাবস্থা সম্পর্কে আপনার ভালো ধারনা আছে। এখন দেখি উল্টো।
কয়টা সাইন্স এর স্টুডেন্ট লাগবে আপনার???
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উত্তর চট্রগ্রামের গ্রামের ১' টি কলেজে এইচএসসি সায়েন্সে নিজের থেকে ২৩ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছিলো, যেখানে আর্টস'এ ২০৬ জন; পরে স্কলারশীপ দিয়ে নতুন আরো ৩৫ জনকে পা ধরে আনা হয়েছে।
১০| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২০
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
উত্তর চট্রগ্রামের গ্রামের ১' টি কলেজে এইচএসসি সায়েন্সে নিজের থেকে ২৩ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছিলো, যেখানে আর্টস'এ ২০৬ জন; পরে স্কলারশীপ দিয়ে নতুন আরো ৩৫ জনকে পা ধরে আনা হয়েছে।
===============================================================
এটা কি ১৯৭২ সালের ঘটনা?
গ্রামে তো ১৮ বছর কাটিয়েছি; নাড়ি নক্ষত্র সবই জানি। সবাই গনহারে সাইন্স নেয়। অর্ধবার্ষিকিতে ডিম পাড়ে। তখন শিক্ষকরা মেরে ধরে আর্টন নেওয়াতে পারে না। আর আপনি বলছেন গ্রামে সাইন্স এর ছাত্র কম।
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
না, ২০১৮ সালের ঘটনা, তখন আমি দেশে গিয়েছিলাম।
আপনি কোন জেলার গ্রামের কথা বলছেন?
১১| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৯
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন:
আমি বলছি সাতক্ষীরা জেলার কোন এক গ্রামের কথা। গ্রামটা জেলার বাসস্ট্যান্ড থেকেও ৩০ কিলোমিটার দূরে।
আপনি ভাবতে পারছেন??? সাতক্ষীরার মত আনাড়ী জেলার অজপাড়া গাঁ এর অবস্থা এই।
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইন্টারেষ্টিং, চট্টগ্রামের অবস্হা ভালো নয়।
১২| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
এই বিশ্বের চরম হাহাকার যুক্ত একটি বক্তব্য.... দারিদ্র !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের দরিদ্ররা কবিতাও পড়তে পারেন না; কিন্তু শ্রী লংকার দরিদ্ররা কবিতা পড়তে পারে, আমেরিকার প্যালেষ্টাইনের দরিদ্ররা কবিতা পড়তে পারে।
১৩| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২৫
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লাগলো। তবে মনে হোল অসর্ম্পূন। মনে হোল হঠাৎ লেখা শেষ করে দিলেন।
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাই? আমি শুধু বলতে চেয়েৈলাম যে, একজন দরিদ্র মানুষ অন্য দরিদ্রদের অধিকার প্রতিষ্টা করার জন্য কবিতা লিখে গেলেন। কিন্তু দরিদ্ররা তা কোন দিন পড়তে পারলেন না।
১৪| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি ভাল লেগেছে।
দুঃখী কবির শেষ জীবনে এই বাংলাদেশ তার আঁচলটি পেতে দিয়েছিল কবির কিছুটা সুখ শান্তির জন্য, যদিও তিনি হয়তো তখন এসব অনুভূতির ঊর্ধ্বে চলে গিয়েছিলেন। একজন কৃতজ্ঞ বাঙালি হিসেবে কবিকে যথাযথ সম্মান, আদর ও ভালবাসার সাথে এ দেশে নিয়ে এসে তাকে লালন করার জন্য আমি বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে গর্ব বোধ করি।
কবি উভয় বাংলায় সম্মানিত। যদিও সবাই তাকে বিদ্রোহী কবি হিসেবেই সম্বোধন করতে ভালবাসেন, আমি তাকে গণমানুষের কবি, ভালবাসার কবি হিসেবে দেখতে ভালবাসি। তার অনেক কবিতা ও গান চুরি হয়ে গেছে। তার পরেও যা আছে, তা নিয়ে আরো বহুদিন গবেষণা চলতে পারে।
২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি বাংলার মানুষের হৃদয়ে জমা হয়ে থাকা সকল ভাবনাকে, সকল অনুধাবনকে, সকল দ্রোহ, সকল ভালোবাসাকে ভাষা ও কন্ঠ দিয়ে গেছেন। বাংগালীরা অন্য কিছু না পারুক, কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখায়েছেন।
১৫| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৫
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আশা করি ভালো আছেন। সুস্থ আছেন ।
আপনার ফোন নাম্বার বা ইমেইল এডরেস কি দেওয়া যাবে?
২৭ শে মে, ২০২০ রাত ২:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি ভালো আছি, আপনিও ভালো থাকুন।
১৬| ২৭ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি পাঠে মনের গহীনে যেসমস্ত প্রাসঙ্গিক কথা উদয় হয়েছে তা লিখলে মন্তব্যের আকার যে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা , তবে মন্তব্যের পরিধি বেশ লম্বা হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই ।
কথা সত্য যে কবির জীবদ্দশায়, এমন কি এখনো দেশের সিংহভাগ দরিদ্র মানুষেরা দরিদ্র কবির কবিতা পাঠ করেননি । আমি যখন আমাদের গ্রামের প্রাথমিক স্কূলের ছাত্র তখন সম্ভবত দেশের শতকরা ১৫ভাগ মানুষ অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন ছিলেন । আমার এখন ঠিক মনে পড়ছেনা, তবে ২য় কিংবা ৩য় শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ে থাকা কাজী নজরুল ইসলামের লেখা ”আমি হব সকাল বেলার পাখী’’নামে একটি কবিতা ছিল । বাড়ীতে গুরুজনেরা বলতেন কবিতাটি ভাল করে মুখস্ত করতে কারণ এটা নাকি স্কুলের বার্ষিক পরিক্ষায় সময় লিখতে হবে।ঐ প্রেক্ষিতে সেসময় নজরুলের লেখা ‘আমি হব সকাল বেলার পাখী’ কবিতাটিকে যেভাবে মুখস্ত করেছিলাম তা আজো হবহু মনে আছে।
"আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুম বাগে
উঠব আমি ডাকি।
"সুয্যি মামা জাগার আগে
উঠব আমি জেগে,
'হয়নি সকাল, ঘুমোও এখন',
মা বলবেন রেগে ।
বলব আমি- 'আলসে মেয়ে
ঘুমিয়ে তুমি থাক,
হয়নি সকাল, তাই বলে কি
সকাল হবে নাক'?
আমরা যদি না জাগি মা
কেমনে সকাল হবে ?
তোমার ছেলে উঠবে মা গো
রাত পোহাবে তবে ।
আমার সাথে স্কুলে আমাদের গ্রামের অনেক দরিদ্র ছেলে মেয়েকেও নজরুলের এই কবিতাটি সহ উপরের ক্লাশগুলিতে আরো অনেক কবিতাই পাঠ করতে হয়েছে। তাই আমার মনে মনে হয় তখন গ্রাম বাংলার কমপক্ষে শতকরা ১০/১২ ভাগ মধ্যবিত্ত/দরিদ্র মানুষ নজরুলের কবিতা পাঠ করেছেন ।
যারা সরাসরি নজরুলের কবিতা পাঠ করেননি তারা সেসময় নজরুলের দেশাত্ববোধক গান ও ইসলামী গান শুনেছেন রেডিওতে। তখন রেডিওতে নিয়মিত দিনে কয়েকবার করে “নজরুল গীতি” নামে সংগীত পরিবেশিত হত । অবশ্য তখন সকলের কাছে বেতার যন্ত্র ছিলনা, তাই বাজারের দোকানে কিংবা চায়ের স্টলে বসে অনেককেই রেডিউতে গান শুনতে হত । এ ছাড়া সেসময় গ্রাম গঞ্জে বিয়ে পার্বন অনুষ্ঠানে নজরুল রচিত ও প্রখ্যাত গায়ক আব্বাস উদ্দীন গীত গ্রামোফোন রেকর্ডে ধারণকৃত গান লা্উড স্পীকারে বাজানো হত যা গ্রামের প্রায় সকলেই শুনতে পেত । তাই দরিদ্র মানুষদের অনেকেই নজরুলের গান ও কবিতার সাথে ছিল বেশ পরিচিত। সমসাময়িককালের কোন কবি সাহিত্যিক তাঁর মত জনপ্রিয়তা পাননি ।
আজিবন দারিদ্র পিড়ীত নজরুল তার জীবনের রহস্য কথা কাওকে বলেননি । বাল্যকালে মক্তবের পাঠ চুকাতে না চুকাতেই পিতৃবিয়োগের পর হতে তাকে চরম দারিদ্রের কশাঘাত পোহাতে হয়। তাঁর কবি প্রতিভা বাল্যকালেই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। তখন সে এলাকায় লেটোগানের প্রচলন থাকায় তিনি লেটোগান দলের জন্য পালাগান রচনা করেন এমনকি পালাতে অভিনয়ও করতেন।পালাগানগুলিতে বিদ্রোহের স্বর ছিল শ্পষ্ট । নজরুল সেসময় ‘চাষীর সং ‘নামে ছোট একটি পালায় একটি গান লিখেন যার রেশ পরবর্তীতে তার রচিত অসংখ্য ইসলামী গান ও গজলে প্রকাশ পেয়েছে ।এই মন্তব্যের পরিধি বড় হয়ে গেলেও এখানে নজরুল রচিত সেই ‘চাষীর সং’ গানটি তুলে ধরা থেকে বিরত হতে পারলাম না ।
চাষীর সং
-কাজী নজরুল ইসলাম
চাষ করো দেহ জমিতে ।
হবে নানা ফসল তাতে।
নামাজে জমি উগালে.
রোজাতে জমি সামলে
কলেমায় জমিতে মই দিলে
চিন্তা কিহে ভবেতে?
লা ইলাহা ইল্লিলাতে
বীজ ফেলা তুই বিধিমতে
পাবি ঈমান ফসল তাতে
আর রইবি সুখেতে ।
নয়টি নালা আছে তাহার
অজুর পানি নিয়ত ইহার
ফলে পানি নানা প্রকার
ফসল জন্মিবে তাহাতে ।
যদি ভালো হয়েছে জমি
হজ-যাকাত লাগাও তুমি
আর সুখে থাকবে তুমি
কয় নজরুল ইসলামেতে ।
বাল্যকালেই দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত কবি নীজ গ্রাম ছেড়ে প্রথমে আসানসোলে রোটির দোকানের কাজ পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহের ত্রীশাল উপজেলাধীন দরিরামপুরে গমন ও সেখানে এক দারোগার বাড়ীতে থেকে দরিরাম পুর হাইস্কুলে ভর্তী। সেখানে পাঠকালীন সময়ে তাঁর জীবনের দুরন্ত ও ডানপিটে কাহিণীও কম নয় ।
দরিরামপুর হাই স্কুলের যে দুটি পাঠকক্ষে নজরুল পাঠ নিতেন তার প্রথম কক্ষটির দেয়ালে কবির হাতের একট লেখা মর্মর পাথরে খোদাই করে রাখা হয়েছে।
কবি এখানে লিখেছেন-
‘আমি এক পাড়াগেঁয়ে স্কুল পালানো ছেলে
তার ওপর পেটে ডুবুরি নামিয়ে দিলেও
‘ক’ অক্ষর খুঁজে পাওয়া যাবে না
স্কুলের হেডমাস্টারের চেহারা মনে করতেই
আমার আজও জল তেষ্টা পেয়ে যায়।’
কবির যুদ্ধে গমন থেকে শুরু তাঁর পরবর্তী জীবন আলেখ্য কিছুটা উঠে এসেছে পোষ্টটিতে ।
তবে এটা অনস্বীকার্য যে নজরুলের মতো বিশাল প্রতিভাকে আমাদের কাছ থেকে সার্বিকভাবে স্বীকৃতি পেতে দীর্ঘ সময় দিতে হয়েছে । তাঁকে জাতীয় কবি বলার কথাটি আমরা প্রথম অনুভব এবং প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলাম ১৯২৯ সালে কলকাতার আলবার্ট হলে সমগ্র বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেবার সময়।তাকে নিয়ে নেতাজি সুভাষ বোসের তেজোদ্দীপ্ত ভাষণে আমরা পেয়েছি আরও গতিময় তীব্রতা ।
বিপুল আত্মবিশ্বাসী নজরুল একসময় বলেছিলেন
আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ
আমি সহসা আমারে চিনেছি
আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ
তবে রবীন্দ্রনাথ ঠিকই চিনেছিলেন নজরুলকে। তিনি তাকে সাবধানবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন ‘দেখ্ উন্মাদ! তোর জীবনে ইংরেজ কবি শেলীর মত ,কীটস এর মত খুব বড় একটা ট্রাজেডি আছে, তুই প্রস্তুত হ’। সত্যিই নজরুলের সারাটি জীবনই ছিল ট্রাজেডিময়। দারিদ্রপিড়ীত ট্রাজেডিময় জীবনের শেষ প্রান্তে অল্প কিছু দিনের জন্য কবিকে ঢাকায় নিয়ে এসে বঙ্গবন্ধু বাংগালী জাতীকে কবির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কিছুটা মুক্তি দিয়েছেন।বিষয়টি আপনার পোষ্টেও সুন্দরভাবে উঠে এসেছে ।
দরিদ্র কবি নজরুলকে আমরা ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি তার গান, কবিতা ,গল্প, উপন্যাস ,তাঁর ভাষা জোরালো,বর্ণনাগুলি সুন্দর ।তাঁর কথায় যেন আগুন ঝড়ে।সকলের মনের কথা টেনে বার করে তিনি যেন ছড়িয়ে দিয়েছেন
সমগ্র বাংলার বুকে।ঝরনার মতো উচ্ছ্বল তার গতি, সাগর কল্লোলের মতো আবেগময় । দরিদ্র কবির দর্শন নিয়ে যায় মানুষকে মহাসুন্দরেরদিকে, বাধে মহাসত্যের বেষ্টনীতে, তাই সবাই আমরা তাকে ভালবাসি । ১২১তম জন্মদিনে তার প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার সমকালীন গতানুগতিক সাহিত্যের ধারাকে ভেঙ্গে দুমড়ে নিজস্ব স্বকীয়তার বিজয় কেতন উড়িয়ে ছিলেন বলেই তিনি যুগস্রষ্টা তার আপন বলয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এক ঝাক নক্ষত্রের, যারা তাকে ঘিরেছিলেন তারা নির্মাণ করেছিলেন এক স্বতন্ত্র প্রগতিশীল সংস্কৃতি সচেতন সমৃদ্ধ বাঙালি সাহিত্যিক গোষ্ঠী ।রবিন্দ্র বলয় ভেঙ্গে অনেকেই ব্রতী হয়েছেন গণমুখী সাহিত্যচর্চায়। সাম্প্রতিককালে এই সামু ব্লগেও দেখা যায় অনেক গুণী ব্লগারের তথা কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও প্রবন্ধীকারের অসংখ গণমুখী কবিতা ও লেখা ।
করোনার কারণে কবি নজরুলের ১২১ তম জন্ম বার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে পালনে বাধার মুখে সামুর পাতায় তাঁকে নিয়ে সুন্দর কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্ট দিয়ে কবিকে নিয়ে যৎসামান্য আলোচনা করার প্রেক্ষিত রচনার জন্য এই পোষ্ট দাতার প্রতি রইল অসংখ ধন্যবাদ।
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কবি সম্পর্কে যা লিখেছেন, এতে আমার নতুন কিছু জানা হলো; যারা পড়তে ও লুখতে জানেন না, তারা নজরুল গীতির মাধ্যমে কবির জীবন দর্শনের সাথে পরিচিত হওয়ার সীমিত সুযোগ পেয়েছেন, এটা সঠিক।
বৃটিশ কলোনিয়েল আমলের সব প্রতিকুল পরিবেশে কবি যেভাবে টিকে ছিলেন; স্বাধীন পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশে দরিদ্রদেরকে আরো প্রতিকুল পরিবেশের মাঝে পড়তে হয়েছে। ১৯৭২ সালের জানুয়ারী থেকে যদি প্রটিটি শিশু স্কুলে যাবার সুযোগ পেতো, আজকের বাংলাদেশের সবাই কবির লেখা পড়তে পারতো।
১৭| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ কাজ জাতীয় কবিকে এই দেশে নিয়ে আসা। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। গানের দেশ কবিতার দেশ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। বিদ্রোহী কবির নিত্য সঙ্গী ছিল দরিদ্রতা। এই উপমহাদেশে তিনি সাম্যের গান গেয়েছেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে চেয়েছেন। লাল ছালাম জাতীয় কবি গণ মানুষের কবি কে। দরিদ্র মানুষ উনার কবিতা পড়তে পারলে দারুন হতো।
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহবে সাড়ে সাত কোটীর জন্য কিছু করতে পারেননি, কিন্তু কবির জন্য যতটুকু করেছেন, তাতে জাতির মুখ রক্ষা হয়েছে।
১৮| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
আমি সাজিদ বলেছেন: এইটা যে একা জাতির জনকেরই প্ল্যান কাজীকে দেশে নিয়ে আসা, এতোটা সিউর হচ্ছেন কেমনে? অন্য কেউও তো জাতির জনককে বুদ্ধি দিতে পারে। তাই না? একটা কথার সাথে একমত, ৮০% ভালো ছাত্র নজরুলের তিনটা কবিতা পুরোটা বলতে পারবে না। আপনি ইদানীং একজন মানুষের প্রশংসা আপনার সব লেখাতেই আকারে ইংগিতে করেন, একটু কেমন যেন লাগতেসে লাস্ট কয়েকটা পোস্ট। কিছু মনে করবেন না।
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কবিকে বাংলাদেশে আনার বুদ্ধি কেকে দিয়েছেন, তাদের নাম আপনি পারলে যোগ করেন। আমি জানি যে, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শীদ হয়েছেন, আপনি পারলে তাদের নাম বলুন।
আমি আকারে ইংগিতে কার নাম বলার চেষ্টা করছি? আমার জনার দরকার
১৯| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: খুবই আফসোস!! যাদের জন্য কবিতা লিখলেন তারা আজো পড়তে পারেনা; ইহা সত্যিই আফসোসের বিষয়।
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটাই ছিলো পাকিস্তান, এটাই বাংলাদেশ
২০| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
পোস্টে +
আপনার চোখের অবস্থা ভালো তো?
২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, ভালো।
২১| ২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
রাকু হাসান বলেছেন:
আনন্দময়ীর আগমনে
- কাজী নজরুল ইসলাম---সংকলিত (কাজী নজরুল ইসলাম)
আর কতকাল থাকবি বেটী মাটির ঢেলার মূর্তি আড়াল?
স্বর্গ যে আজ জয় করেছে অত্যাচারী শক্তি চাঁড়াল।
দেব–শিশুদের মারছে চাবুক, বীর যুবকদের দিচ্ছে ফাঁসি,
ভূ-ভারত আজ কসাইখানা, আসবি কখন সর্বনাশী?
মাদীগুলোর আদি দোষ ঐ অহিংসা বোল নাকি-নাকি
খাঁড়ায় কেটে কর মা বিনাশ নপুংসকের প্রেমের ফাঁকি।
ঢাল তরবার, আন মা সমর, অমর হবার মন্ত্র শেখা,
মাদীগুলোয় কর মা পুরুষ, রক্ত দে মা রক্ত দেখা।
তুই একা আয় পাগলী বেটী তাথৈ তাথৈ নৃত্য করে
রক্ত-তৃষার 'ময়-ভুখা-হু'র কাঁদন-কেতন কণ্বে ধরে।-
অনেক পাঁঠা-মোষ খেয়েছিস, রাক্ষসী তোর যায়নি ক্ষুধা,
আয় পাষাণী এবার নিবি আপন ছেলের রক্ত-সুধা।
দুর্বলেরে বলি দিয়ে ভীরুর এ হীন শক্তি-পূজা
দূর করে দে, বল মা, ছেলের রক্ত মাগে দশভুজা।..
'ময় ভুখা হুঁ মায়ি' বলে আয় এবার আনন্দময়ী
কৈলাশ হতে গিরি-রাণীর মা দুলালী কন্যা অয়ি!
নজরুল সব সময় এইসব মানুষের জন্যই লিখেছেন। আপনার লেখায় একটি দিক উঠে এসেছে। ভালো হত এই শ্রেণির মানুষগুলো যদি নজরুল সাহিত্য পড়তে পারতো।
২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
কবিতার ওজন আছে, ১ কবিতা লেখে ৫ বছর বৃটিশ জেল।
শেখ হাসিনা কত বছর জেল দেয় কবিতার জন্য?
২২| ২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
রাকু হাসান বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
কবিতার ওজন আছে, ১ কবিতা লেখে ৫ বছর বৃটিশ জেল।
শেখ হাসিনা কত বছর জেল দেয় কবিতার জন্য?
হাসিনা কে দেখি নি কবিতার জন্য জেল দিতে তবে গুজবের জন্য জেল দিতে দেখেছি। জেল দেওয়ার মত নতুন কবিতা এখনও চোখে পড়েনি । কিছু কবিতাতে বিদ্রোহ জিনিসটা থাকলেও সেগুলো নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে যেতে পারছে না । এখনকার কবিরা খুব বেশি আত্ম কেন্দ্রীক ঝুঁকি নেয় না ।
২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলার নতুন কবিদের বেশীরভাগ প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের, কি লিখছে নিজেও বুঝে না।
২৩| ২৭ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৪
গুরুভাঈ বলেছেন: কবির যুদ্ধে যাওয়ার ইতিহাস কি? কি কারণে কি মননে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন?
২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
দারিদ্রতা।
৯ বছর বয়স থেকে বাবা নেই; বাবা ছিলেন মসজিদের ইমাম ১৯০৮ সাল অবধি; অবস্হা বুঝেন।
২৪| ২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১২:১৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: লেনিন দরিদ্র ছিল না, মাও সে তুং দরিদ্র ছিল না ,এমন কি ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির কেউ কেউ ছিলেন জমিদার,একজন ছিলেন মহারাজ,তিনি ৩০ বছর জেল খেটেছেন।আবারও বলছি মধ্যবিত্ত শ্রেনীর অগ্রসর অংশ সমাজের পরিবর্তন ঘটায়।গরীব অংশ না।
দার্শনিক আলোচনায় গেলে অনেক বড় হয়ে যাবে,আপনি আমি বা আমরা সবাই সমাজের কিছু পরিবর্তন চাই এবং আমর কেউ বড়লোক বা গরীব লোক না সবাই মধ্যবিত্ত ।
২৯ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি দরিদ্র, আপনি মধ্যবিত্ত।
সমাজের পরিবর্তন তারাই আনতে পারেন, যারা সমকালীন রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতি বুঝেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কবি ১৯১৭ সালে যুদ্ধে গিয়েছিলেন আর ইংরেজদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী কবিতা লেখেন ১৯২২ সালে । আপনার তথ্য অনুযায়ী ।